Tuesday, June 17, 2025
Home Blog Page 26

CLASS 10| MODEL ACTIVITY TASK| BENGALI| NEW PART 4 JULY  -2021(NEW)

2

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক   
দশম শ্রেনী 

 বাংলা (পার্ট -৪)

 

ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

১.১ তপনের লেখা যে গল্পটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল

ক) রাজা ও রানি।

খ) অ্যাকসিডেন্ট

) প্রথম দিন

ঘ) স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা

১.২ পাঠ্য অসুখী একজন কবিতাটির অনুবাদক

ক) শঙ্খ ঘোষ

) নবারুণ ভট্টাচার্য

খ) উৎপলকুমার বসু

ঘ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

১.৩  ‘আফ্রিকা কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে

ক) মানসী

খ) চিত্রা

) পত্রপুট

ঘ) নৈবেদ্য ।

১.৪বাবু কুইল ড্রাইভারসকথাটি বলতেন

ক) ওয়াটারম্যান

) লর্ড কার্জন

গ) উইলিয়াম জোন্স

ঘ) উইলিয়াম হেস্টিংস

১.৫  যে কাব্যগ্রন্থটি শঙ্খ ঘোষের লেখা নয়

) দিন রাত্রি

খ) দিনগুলি রাতগুলি

গ) পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ

ঘ) ধূম লেগেছে হৃৎ কমলে

. কমবেশি ২০টি শব্দের উত্তর লেখো :

২.১ কোন্ কথাটি শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল?

উঃ– তপনের ধারণা ছিল লেখকরা বোধ হয় অন্য জগতের মানুষ। তাই একজন লেখককে সামনে থেকে দেখা তার কাছে এক স্বপ্নপূরণের মত ছিল। সেকারণেই ছোটামেসো বই লেখেন আর সেই বই ছাপা হয় শুনে তপনের চোখ মার্বেলের মত হয়ে গিয়েছিল। একজন সত্যিকার লেখক’-কে যে এভাবে সামনে থেকে দেখা সম্ভব সেটাই তপনের কাছে অবিশ্বাস্য ছিল।

২.২অসুখী একজন কবিতাটি পাবলো নেরুদার কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উঃ অসুখী একজন কবিতাটি পাবলো নেরুদার ” Extravagaria কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত

 ২.৩হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক ছেলেবেলায় কার লেখা জ্যামিতি পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন?

উঃহারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে, প্রাবন্ধিক ” ব্রহ্মমোহন মল্লিক ” জ্যামিতির বই পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।

২.৪আফ্রিকা কবিতায় দিনের অন্তিমকাল কীভাবে ঘোষিত হয়েছিল?

উঃযখন ওপনিবেশিক লুণ্ঠনকারীরা এল আফ্রিকার আদিম অন্ধকার ভেদ করতে তখন্নঅশুভ ধ্বনিতে ঘোষিত হল দিনের অন্তিমকাল

২.৫আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতায় কবি পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ বলতে কী নির্দেশ করেছেন?

উঃ  ‘হিমানী’ অর্থাৎ তুষারাবৃত কঠিন পথ অর্থাৎ সাধারন মানুষের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা কঠিন তুষারাবৃত।

৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :

৩.১ওর হবে।বক্তা কে? কেন তার এমন মনে হয়েছে?

উঃআশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পে, উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন তপনের ছোট মেসো মশাই। গল্পের প্রধান চরিত্র তপন ছোট বয়স থেকেই সে গল্প লিখতে খুব ভালোবাসে, তপনের বয়সের ছেলেমেয়েরা যেসব গল্প লিখতে পারে, যেমন রাজা রানীর গল্প, খুন-জখমের গল্প প্রভৃতি কিন্তু তখন তাদের ব্যাতিক্রম , তপন লিখে ফেলল তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি, লেখক মেসোর এ ব্যাপারটি বড়ই ভালো লাগে, এবং তার পরই তিনি আলোচ্য উক্তিটি করে বসেন।

৩.২অসুখী একজন কবিতায় কার মাথার উপর বছরগুলি কেন পর পর পাথরের মত নেমে এসেছিল?

উঃ– কবি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা সেই মেয়েটি মাথায় বছরগুলো পরপর পাথরের মতো নেমে এসেছিল, কারণ কবি তার প্রেমিকাকে জানাননি যে তিনি কখনোই আর ফিরে আসবেনা, কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকেনি, বৃষ্টিতে কবির পায়ের দাগ মুছে গেছে, এবং ঘাস জন্মেছে রাস্তায় ,কবির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির কাছে সময় কেটেছে বহু ধীরে, বিষন্ন বছরগুলো তাঁর কাছে পাথরের মতোই ভারী আর কষ্টকর।

৩.৩আমরা ভিখারি বারোমাস।–“আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতায় কবির এমন মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো।

উঃআয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটিতে শঙ্খ ঘোষ , আমরা ভিখারি বারো মাস বলতে , কবি মানুষের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরেছেন, কবি বোঝাতে চেয়েছেন মানুষ নানা প্রতিকুলতা যুগ যন্ত্রণার ক্ষত , অসহয়তা নিয়ে বেঁচে আছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে যুগের বদল হলেও সাধারণ নিঃস্ব মানুষের রোজনামচা চিরকাল একি , তারা দুঃখের ভার বয়ে দীন দরিদ্রের মতোই কাটায় জীবন। তাই কবি এমন মন্তব্য করেছেন।

৩.৪উদ্ভ্রান্ত আদিম যুগের কথা আফ্রিকা কবিতায় কীভাবে উল্লিখিত হয়েছে?

উঃ আদিম যুগে মহাবিশ্ব তথা আমাদের পৃথিবী ছিল অশান্ত, ধীরে ধীরে তা শান্ত হয়। সে সময়ে সব কটি মহাদেশ ছিল একই ভূখণ্ডের অন্তর্গত। এরপর বিভিন্ন মহাদেশ তাদের মূল ভূখন্ড থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং সশস্ত্র মহাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, এভাবে  সৃষ্টির যুগে স্রষ্টা যখন বারবার নিজের সৃষ্টি ভেঙে-চুরে নিখুঁত করে গড়ার চেষ্টায় রত, তখন উত্তাল সমুদ্র প্রাচ্যদেশ থেকে আফ্রিকা মহাদেশের ভূখণ্ডকে আলাদা করে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

 ৩.৫আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস। সেই আপিসের চিত্র লেখক কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন?

উঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ জানিয়েছেন তিনি লেখালেখির অফিসে কাজ করেন, কিন্তু সেখানে কারো হাতে কলম নেই, সকলেই বসে থাকে কম্পিউটারের সামনে, কিবোর্ড দিয়ে প্রতিটি অক্ষর অনায়াসে লিখে ফেলেন, অফিসে কবি ছাড়া আর কেউই তেমন কলম ব্যবহার করেন না, কবির অফিসের প্রত্যেকেই লেখক কিন্তু তাদের হাতে কলম নেই।

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ (কমবেশি ১৫০ শব্দ) :

৪.১পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে?’—কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে? সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল, জ্ঞানচক্ষু গল্প অনুসারণে বুঝিয়ে দাও।

উঃ  তপন একজন অল্পবয়স্ক কিশোর, লেখকরা যে সাধারণ পৃথিবীর মানুষ তা সে বিশ্বাস করত না। তার লেখক মেসোকে স্বচক্ষে দেখে তপনের ভ্রান্ত ধারণাটা যায়। তারপর সে নিজেও গল্প লেখার উৎসাহ পায়। তিন তলার সিঁড়ি ঘরে বসে সে একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলে। তপনের বয়সের ছেলেমেয়েরা যেসব গল্প লিখতে পারে, যেমন রাজা রানীর গল্প, খুন-জখমের গল্প প্রভৃতি কিন্তু তখন তাদের ব্যাতিক্রম , তপন লিখে ফেলল তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা। তপনের গল্প লেখার কথা জানতে পেরে তার ছোটোমাসি গল্পখানি একরকম জোর করেই তুলে দেয় ছোটোমেসোর হাতে। তিনি গল্পটির প্রশংসা করেন এবং সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তা ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর বাড়ির লোকজনের ঠাট্টা ও ইয়ার্কির মধ্যেই তপন তার লেখা গল্পটি ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়ার আশায়। দিন গুনতে থাকে। এদিকে দিন চলে যায়, তপনের লেখা গল্পটি প্রকাশিত হয় না। এ বিষয়ে সে যখন হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছে তখনই একদিন তার বাড়িতে ছোটোমাসি ও মেসোর আগমন হয় সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে। সেখানে সে নিজের চোখে দেখে, লেখকসূচিতে তার নাম প্রকাশিত হয়েছে—প্রথম দিন’ (গল্প), শ্রীতপন কুমার রায়। এই ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়।

৪.২আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা? কবিতায় এই আহ্বান ধ্ববিত হয়েছে কেন?

উঃ আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি- কবিতাটি সমসাময়িক কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যসংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে।

‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় বর্তমান পৃথিবীর সাধারণ মানুষের বিপন্নতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা ও রাষ্ট্রনেতাদের স্বার্থ-সংঘাতের বলি হতে হচ্ছে সাধারণ নিরীহ মানুষকে। বিপন্ন মানুষকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে। অথচ আমাদের কোনোদিকেই যাওয়ার পথ নেই। আমাদের “ডান পাশে ধস” আর “বাঁয়ে গিরিখাত”।

যুদ্ধের অনিবার্য পরিণতিতে পৃথিবী জুড়ে মৃত্যু হচ্ছে মানুষের, মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের। এই পৃথিবীর কোথাও আমাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় নেই। ইতিহাস আমাদের কথা বলে না। ইতিহাসের পাতায় সাধারণ মানুষের কোনো অস্তিত্ব নেই। দরিদ্র, বিপন্ন মানুষকে দোরে দোরে ঘুরতে হয় সাহায্যের প্রত্যাশায়।

এমন এক বিপন্ন সময়েও আশাবাদী কবি হতাশার কথা বলেননি। মানুষকে তিনি ঘুরে দাঁড়াতে বলেছেন। সাধারণ মানুষের ঐক্য‌ই পারে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে পৃথিবীতে শান্তির বাতাবরণ গড়ে তুলতে। তার জন্য প্রয়োজন মানুষের ঐক্য। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে হাতে হাত রেখে গড়ে তুলতে হবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের জোট। মানব সমাজকে সুস্থ ও সুন্দর করে গড়ে তোলার এটাই একমাত্র পথ।তাই কবি সবাইকে একত্রিত হয়ে মানব সভ্যতারেই চরম বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আহবান জানিয়েছেন।

 ৪.৩ দস্যুরা কীভাবে আফ্রিকার ইতিহাসে চিরচিহ্ন এঁকে দিয়ে গিয়েছিল, তা আফ্রিকা কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।

উঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতার অন্তর্গত উদ্ধৃত অংশটিতে ‘তোমার’ বলতে আফ্রিকার কথা বলা হয়েছে ।

♦ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকার ওপর সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের অত্যাচার ও শোষণ-বঞ্নার কাহিনিকে বর্ণনা করেছেন । প্রাকৃতিকভাবে দুর্গম আফ্রিকা দীর্ঘসময় ইউরোপীয় শক্তিগুলির নজরের বাইরে ছিল । কিন্তু উনিশ শতকে ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে । এই শতকের শেষে প্রায় পুরো আফ্রিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উপনিবেশে পরিণত হয় । এইসব তথাকথিত সভ্য রাষ্ট্রশক্তি আফ্রিকার মানুষদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালাত । তাদের নির্লজ্জ লোভ যেন বর্বরতার রূপ ধরে আত্মপ্রকাশ করেছিল । ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল আফ্রিকার মানুষ । তাদের রক্ত আর চোখের জলে কর্দমাক্ত হয়েছিল আফ্রিকার মাটি । সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রনায়কদের কাঁটা-মারা জুতোর নীচে বীভৎস কাদার পিণ্ড যেন চিরকালের মতো অত্যাচারের চিহ্ন রেখে গিয়েছিল আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে ।

৪.৪জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।”—‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলমরচনা অবলম্বনে ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করো।

উঃ– বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার ওরফে শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুযায়ী ‘ফাউন্টেন পেন’ বাংলায় ‘ঝরনা কলম’ নামে পরিচিত ।

  ♦ উক্ত নামটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া বলে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন ।

  ♦ তথাকথিত ‘ফাউন্টেন পেন’ -এর পূর্বনাম ছিল ‘রিজার্ভার পেন’ । একেই উন্নত করে ‘ফাউন্টেন পেন’ -এর রূপদান করা হয়েছিল । ‘ফাউন্টেন পেন’ -এর স্রষ্টা ছিলেন, লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান নামে জনৈক ব্যবসায়ী । তিনি একবার অন্য আরেক ব্যবসায়ীর সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা কালীন দোয়াতে রাখা কালি কাগজের উপর উল্টে পড়ে যায়, ফলে ওয়াটারম্যানকে কালি সংগ্রহের জন্য পুনরায় বাইরে যেতে হয় । কিন্তু ফিরে এসে তিনি শোনেন ইতিমধ্যে অন্য এক তৎপর ব্যবসায়ী চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে চলে গিয়েছেন । দোয়াতে রাখা কালির জন্য ঘটা এই দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে, এই উদ্দেশ্যে ওয়াটারম্যান ‘ফাউন্টেন পেন’ -এর আবিষ্কার করেছিলেন । এইভাবে লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান ফাউন্টেন পেন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ”কালির ফোয়ারা খুলে দিয়েছিলেন ।

৪.৫তারপর যুদ্ধ এল কীসের মতো যুদ্ধ এল ? তার কী পরিণতি ঘটল?

উঃ–  পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন কবিতায় কবি বিপ্লবের আহ্বানে ঘর ছেড়েছিলেন। যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়ে শহরে । আগুনের করাল গ্রাসে ধ্বংস হয় শিশু দেবতারা । শান্ত হলুদ দেবতারা তাঁদের মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে । কবির স্বপ্নের বাড়ি-ঘর সব চূর্ণ হয়ে যায়, পুড়ে যায় আগুনে । যেখানে শহর ছিল সেখানে চারদিকে ছড়িয়ে থাকে কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা, আর রক্তের একটা কালো দাগ ।

রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে দেশের শিশুদের ও সাধারণ মানুষদের মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে আগে । যুদ্ধের তাণ্ডবে বাড়ি-ঘর সব ধ্বংস হয়েছিল ।যুদ্ধের রোষানলে কবির প্রিয় বাড়ি, ঝুলন্ত বারান্দায় গোলাপি গাছ, করতলের মতো চওড়া পাতা, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ সবই ধ্বংস হয়েছিল । মন্দির থেকে দেবতাদের উলটে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং সেগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় । শহরের বুকে শুধু ছড়িয়ে থাকে কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির মতো মাথা । যুদ্ধ শুধু মানুষের প্রাণ নেয় না, মানুষের মনেও বিপর্যয় ঘটায় । যেন রক্তের একটা কালো দাগ মানুষের মনকে সম্পূর্ণ ভেঙে বিপর্যস্ত করে দেয়

৫. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :

৫.১ অনুসর্গ হলো একপ্রকার

(ক) বিশেষ্য পদ

(খ) বিশেষণ পদ

(গ) সর্বনাম পদ

() অব্যয় পদ

৫.২বিভক্ত কখনোই লুপ্ত হয় না

() কর্মকারকে

(খ) করণ কারকে

(গ) সম্বন্ধ পদে

(ঘ) কর্তৃকারকে

৫.৩ নির্দেশকের একটি উদাহরণ হলো

(ক) হইতে

(খ) কর্তৃক

(গ) জন্য

() গুলি

. বঙ্গানুবাদ করো :

Home is the first School where the Child learns his first lesson. He sees, hears and begins to learn at home. It is home that builds his Character. In a good home honest and healthy men are made.

উঃ গৃহ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম বিদ্যালয় , যেখানে শিশুরা তাদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে। শিশু দেখে , শুনে এবং সেখানেই তাঁর প্রথম শিক্ষা শুরু করে। গৃহ হল এমন এক স্থান যেখানে শিশুদের চরিত্র গঠন হয়। উন্নতমানের পরিবার সৎ এবং সুস্থ মানুষ তৈরি করে।

Click Here To Download The Pdf

 

CLASS 9|MODEL ACTIVITY TASK| LIFE SCIENCE|NEW PART 4| JULY  -2021(NEW)

0

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

 নবম শ্রেণী   

জীবন বিজ্ঞান পার্ট 

 

. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখো :

. যে পর্বের প্রাণীদের মধ্যে ক্লোরোপ্লাস্ট কোশ দেখা যায় তা শনাক্ত করো

(ক) নিমাটোডা

(খ) নিডারিয়া

() টিনোফোরা

(ঘ) মোলাস্কা

. নীচের বক্তব্যগুলি পড়ো এবং সঠিক বক্তব্যটি চিহ্নিত করো

(ক) কনড্রিকথিস শ্রেণির অন্তর্গত প্রাণীদের অন্তঃকঙ্কাল অস্থি দিয়ে তৈরি।

(খ) টেরিডোফাইটার প্রধান উদ্ভিদদেহটি লিঙ্গধর।

(গ) মোলাস্কা পর্বের অন্তর্গত প্রাণীদের দেহ খণ্ডিত।

() ব্যক্তবীজীর প্রধান উদ্ভিদদেহটি রেণুধর।

. যে জোড়টি সঠিক নয় সেটি নির্বাচন করো

(ক) প্যারেনকাইমা কলা কৌশান্তর রন্ধ্র উপস্থিত।

(খ) আবরণী কলা – ভিত্তিপর্দা উপস্থিত।

() স্কেলেরেঙ্কাইমা কলাজীবিত কোশ উপস্থিত।

(ঘ) স্নায়ুকলা – স্নায়ুকোশ এবং নিউরোগ্লিয়া উপস্থিত।

 . নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করো :

 . নানা জৈব অণু মিশ্রিত সমুদ্রের গরম জলকে বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স হট ডাইলিউট সুপ নামে অভিহিত করেন।

 উঃ–  মিথ্যা।

 . প্রোটিস্টা জাতীয় জীবদের কোশ প্রোক্যারিওটিক প্রকৃতির।

উঃমিথ্যা।

 . নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষার, পেন্টোজ শর্করা ফসফেট মূলক নিয়ে নিউক্লিওটাইড গঠিত।

 উঃসত্য।

. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

. এই পর্বের প্রাণীদের দেহ আংটির মতো ছোটো ছোটো খণ্ডক নিয়ে গঠিতপর্বটির নাম দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ- পর্বটির নাম অ্যানিলিডা বা অঙ্গুরীমাল।

 অ্যানিলিডা পর্বের বৈশিষ্ট্য:-

(i) এই পর্বের প্রাণীদের দেহ অসংখ্যা আংটির মত খন্ডক বা সোমাইট বা মেটামিয়ার নিয়ে গঠিত।

(ii) দেহের প্রতিটি খণ্ডকে একজোড়া করে গমন অঙ্গ বা সিটা ও রেচন অঙ্গ বা নেফ্রিডিয়া থাকে।

. এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার তিনটি কাজ উল্লেখ করো।

উত্তর:-

(i) ক্ষরণযোগ্য প্রোটিন, লিপিড ও স্টেরয়েড হরমোন ইত্যাদি সংশ্লেষ অংশগ্রহণ করে।

(ii) মেদকলায় লিপিড সংশ্লেষ হয়ে অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিয় জালিকায় জমা থাকে।

(iii) অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার পর্দায় রাইবোজোম mRNA -র সাহায্যে প্রোটিন সংশ্লেষণ করে।

  1. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :

8. মানবদেহে যকৃতের অবস্থান দুটি ভূমিকা উল্লেখ করো।

উঃ-যকৃতের অবস্থান:-  যকৃত মানবদেহের বক্ষপিঞ্জরে মধ্যচ্ছদার নিচের অংশে অবস্থিত।

যকৃতের ভূমিকা:-

  1. যকৃত অব্যবহৃত অ্যামিনো এসিড থেকে অরনিথিন চক্র এর মাধ্যমে ইউরিয়া উৎপন্ন করে যার রক্ত দ্বারা বাহিত হয়ে পৌঁছায় ও মূত্রের মাধ্যমে রেচিত হয়।
  2. বিভিন্ন স্নেহ জাতীয় পদার্থ যেমন কোলেস্টেরল, লেসিথিন ইত্যাদির অপসারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

iii. যকৃৎ লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন কে বিশ্লিষ্ট করে পিত্তরঞ্জক বিলিরুবিন ও বিলিভারডিন উৎপন্ন করে যা মল ও মূত্র এর মাধ্যমে দেশের বাইরে বেরিয়ে যায়।

. জাইলেম ফ্লোয়েমের পার্থক্য নিরূপণ করো :নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে

বিষয় জাইলেম ফ্লোয়েম
উপাদান জাইলেম প্রধানত ট্রাকিয়া, ট্রাকিড, জাইলেম প্যারেনকাইমা এবং জাইলেম তন্তু নামে উপাদান দ্বারা গঠিত। ফ্লোয়েম প্রধানত সিভনল, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা এবং ফ্লোয়েম তন্তু নামে কোষীয় উপাদান দ্বারা গঠিত।

 

কাজ জল ও খনিজ লবণের সংবহন এবং উসের যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান জাইলেম এর প্রধান কাজ। ফ্লোয়েম এর মাধ্যমে খাদ্য রসের সংবহন ঘটে এবং যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান এর ভূমিকা নেই।

 

 

 

 

CLASS 9। MODEL ACTIVITY TASK|GEOGRAPHY| NEW PART 4| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক |নবম শ্রেণী|ভূগোল পার্ট -৪

0

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

 নবম শ্রেণী   

ভূগোল পার্ট 

 

. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :

. সৌরজগতের বহিঃস্থ গ্রহগুলির যে বৈশিষ্ট্যটি থাকেনা সেটি হলো

ক) এরা আকারে বড়

খ) এদের নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে

) এরা কঠিন শিলায় গঠিত

ঘ) এরা সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত

. সূর্যের উত্তরায়নের শেষ সীমা হলো

ক) মকরক্রান্তি রেখা

) কর্কটক্রান্তি রেখা

গ) কুমেরুবৃত্ত রেখা

ঘ) সুমেরুবৃত্ত রেখা

. মানবিক সম্পদের একটি উদাহরণ হল

ক) সূর্যালোক

খ) প্রাকৃতিক গ্যাস

) দক্ষতা

ঘ) ভূতাপ শক্তি

. বাক্যটি সত্য হলেঠিকএবং অসত্য হলেভুললেখো :

. নিরক্ষরেখায় অভিকর্যের মান সর্বাধিক।

: ভুল

. কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে আয়ন বায়ু বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।

: ভুল

. অচিরাচরিত শক্তির একটি উৎস জোয়ারভাটা শক্তি।

: ঠিক

. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

. কোনো একটি নিরপেক্ষ সামগ্রীর সম্পদ হয়ে ওঠার শর্তগুলি উল্লেখ করো।

উ:- পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত যেসব বস্তু বা পদার্থ সম্পদ নয় আবার সম্পদ উৎপাদনে কোন বাধা বা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে না সেইসব সামগ্রিকে এই নিরপেক্ষ সামগ্রী বলে।

আজ যা নিরপেক্ষ উপাদান তা আগামী দিনে সম্পদে পরিণত হতে পারে কিন্তু তার কিছু শর্ত আছে যেমন –

কার্যকারিতা থাকবে:-  কোনো নিরপেক্ষ উপাদানের যদি কার্যকারিতা থাকে এবং তা মানুষের কাজে লাগে তবে সেটি সম্পদে পরিণত হতে পারে যেমন খরস্রোতা নদীর জল আজ একটি নিরপেক্ষ সামগ্রী তবে এই জল কে কাজে লাগিয়ে যদি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তবে সেই জল সম্পদে পরিণত হবে।

উপযোগিতা থাকবে:  কোনো নিরপেক্ষ সামগ্রী যদি হঠাৎ করে মানুষের উপযোগী হয়ে ওঠে তবে সেটি সম্পদে পরিণত হয় যেমন একখণ্ড পতিত জমি কিন্তু একটি নিরপেক্ষ সামগ্রী কিন্তু সেই জমিতে জলসেছ, সার প্রয়োগ এবং কর্ষণের মাধ্যমে যদি কৃষি কাজের উপযোগী করে তোলা যায় তবে সেই জমিটি সম্পদে পরিণত হয়।

অভাব মোচন এর ক্ষমতা থাকবে: কোনো নিরপেক্ষ উপাদান যদি মানুষের অভাব চাহিদা পূরণ করতে পারে তবে তাকে সম্পদ বলা যাবে যেমন নদীর মাছ নিরপেক্ষ উপাদান কিন্তু সেই মাছ ধরে যদি মানুষ বিক্রি করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তবে তা সম্পদে পরিণত হয়।

বিক্রয় যোগ্যতা থাকবে: নিরপেক্ষ সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ উপার্জন তাহলে তা সম্পদে রূপান্তরিত হবে যেমন জমির উদ্বৃত্ত ফসল বিক্রি করে চাষী অর্থোপার্জন করে।

. আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করিনা কেন?

উ:- আমরা যদি নিরক্ষরেখায় দাঁড়াই তবে আমরা পৃথিবীর সাথে সাথে ঘণ্টায় প্রায় 17 কিলোমিটার বেগে ঘুরতে থাকবো আবার অথবা কুমেরু বৃত্ত দাঁড়ালে কোনরকম না ঘুরেও 24 ঘন্টা পার করে দেবো তবে ভূপৃষ্ঠে বসবাস করা সত্বেও আমরা আবর্তন বেগ অনুভব করতে পারি না এর কারন হল আমরা পৃথিবীর যেখানে আছি তার পারিপার্শ্বিক গাছপালা জীবজন্তু ঘরবাড়ি যাবতীয় জিনিসপত্র পৃথিবীর সঙ্গে একই গতিতে এবং একই সঙ্গে আবর্তন করছে অর্থাৎ প্রতিটি বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান একই থাকছে বলে আমাদের চোখে তার স্থান পরিবর্তন ঘটে না ফলে আমরা পৃথিবীর আবর্তন অনুভব করিনা।

  1. চিত্রসহ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির প্রমাণ দাও।

() দিগন্তরেখা

 () ধ্রুবতারা

 

🙁) দিগন্তরেখা :

পৃথিবীর আকৃতি কি রকম এই নিয়ে বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের বিরাট কৌতূহল ছিল এবং এ নিয়ে নানান বিজ্ঞানী পন্ডিত গণিতজ্ঞ নানান মতামত দিয়েছেন পরবর্তীতে বেশকিছু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রমাণ এর সাহায্যে পৃথিবীর আকৃতি ধারণা তৈরি হয় যেমন দিগন্ত রেখা থেকে যত উপরে যাওয়া যায় দিগন্তরেখার পরিধি ততই বেড়ে যায় ছবিতে স্তম্ভটির অবস্থান থেকে অবস্থানে গেলে দিগন্তরেখার পরিধি বৃদ্ধি পায় আবার বিমান থেকে দেখলে আরো অনেক বেড়ে যাবে পৃথিবীর গোলাকৃতি জন্যই এমনটা হয় এবং এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী গোলাকার।

() ধ্রুবতারা:

ধ্রুবতারা পৃথিবীর উত্তর মেরু অক্ষ বরাবর দৃশ্যমান তারা ধ্রুবতারা নামে পরিচিত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে থেকে সারা বছরই ধ্রুবতারাকে আকাশের উত্তরে নির্দিষ্ট স্থানে দেখা যায় যখন ম্যাপ কম্পাস কিছুই ছিলনা তখন ধ্রুবতারা কে দেখে মানুষ দিক নির্ণয় করতো তবে মজার ব্যাপার নিরক্ষরেখা থেকে যতই উত্তরে যাওয়া  যাবে তারাটিকে ততই প্রতিরাতে উপরের দিকে উঠছে দেখা যাবে এবং উত্তর মেরুতে এর উন্নতি কোণ থাকে 90° । পৃথিবী গোল বলেই এমন হয়। যদি সমতল হতো তাহলে তারাটিকে সব জায়গা থেকে একই অবস্থানে আছে বলে মনে হতো।

 

Click Here To Download  The Pdf

 

CLASS 9|MODEL ACTIVITY TASK|HISTORY |NEW PART 4| JULY  -2021(NEW)

0

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

 নবম শ্রেণী   

ইতিহাস পার্ট 

 

) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করঃ

(ক) ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন ষোড়শ লুই।     (চতুর্দশ লুই/পঞ্চদশ লুই/ষোড়শ লুই /নেপোলিয়ন)।

(খ)’কাঁদিদ’ নামক গ্রন্থটির রচয়িতা ছিলেন ভলতেয়ার।  (রুশো/ভলতেয়ার/মন্তেস্কু/দিদেরো ) 

(গ) ফ্রান্সকে ‘ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন– অ্যাডাম স্মিথ। (নেপোলিয়ন রোবসপিয়ের/মিরাবো/অ্যাডাম স্মিথ। )

. স্তম্ভের সাথে স্তম্ভ মেলাওঃ

স্তম্ভ। স্তম্ভ
রোবসপিয়ার সন্ত্রাসের শাসন
ডিউক অব ওয়েলিংটন   ইংরেজ সেনাপতি
কুটজফ রুশ সেনাপতি

 

. দুই বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

() কারাইনটেনডেন্টনামে পরিচিত ছিলেন?

উঃ-  ফ্রান্সে প্রাক-বিপ্লব সময়ে রাজস্ব আদায়কারী কর্মচারীরা ‘ইনটেনডেন্ট’ নামে পরিচিত ছিল।

() ‘লিজিয়ন অব অনারকি?

উঃ-  ‘লিজিয়ন অব অনার’ হলো নেপোলিয়ন প্রবর্তিত এক বিশেষ সম্মান বা উপাধি।

() ‘অর্ডারস ইন কাউন্সিলকী?

উঃ-  1806 সালের নভেম্বরে নেপোলিয়ান বার্লিন ডিক্রি মহাদেশ থেকে ব্রিটিশ বানিজ্য বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত সার্বভৌমের জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে কাউন্সিলে জবাব দেয়।

      1807 সালের নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের এদেশে ব্রিটিশ বাণিজ্যকে বাদ দিয়ে যেকোনও বন্দরের অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছিল। যা ‘অর্ডারস ইন কাউন্সিল’ নামে পরিচিত ছিল।

. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাওঃ

কোড নেপোলিয়ন বিষয়ে একটি টিকা লেখো।

উঃফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘কোড নেপোলিয়ন’ বা আইনবিধির প্রবর্তন। তার শাসনকালের পূর্বে ফ্রান্সের নানাস্থানে নানা ধরনের বৈষম্যমূলক পরস্পর বিরোধী আইন প্রচলিত ছিল। নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সে  একধরনের ব্যবস্থা চালু করে। ফ্রান্সের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে 4 জন বিশিষ্ট আইনজীবীর  পরিষদ গঠন করেন। এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আইন-বিধি সংকলিত হয়, যা ‘কোড নেপোলিয়ন’ নামে খ্যাত।

 কোড নেপোলিয়ন এর গুরুত্ব:-

i) একই আইন প্রবর্তন:

কোড নেপোলিয়নের সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন ব্যবস্থা চালু করেন। ফলে ফরাসির প্রশাসন একটি সুস্থিত রূপ লাভ করে।

ii) বিপ্লবের আদর্শকে রক্ষা:

ফরাসি বিপ্লবের সময় যে সমস্ত ঘোষণা ও আইনগত ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল, সেগুলি একটি আইনগ্রন্থে সংকলিত হয়। এইভাবে কোড নেপোলিয়ন এর প্রবর্তন বিপ্লবী আদর্শ রক্ষিত হয়েছিল।

 iii) ফরাসি সমাজের বাইবেল হিসেবে স্বীকৃতি:

‘কোড নেপোলিয়ন’ ফ্রান্সের বুর্জোয়া শ্রেণি অধিকাংশ মানুষকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। এইভাবে ফরাসি সমাজের বাইবেল পরিণত হয়।

 উপসংহার:-

এইভাবে ‘কোড নেপোলিয়ন’ -এর মাধ্যমে নেপোলিয়ন ও বিপ্লবের আদর্শগুলিকে বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। এই আইন সংহিতা কেবল ফ্রেন্সই নয়, ফ্রান্সের সীমানা ছাড়িয়ে ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছিল। এই আইনের মাধ্যমে সকল মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না হলেও, এ বিষয়ে যে আন্তরিক প্রয়াস লক্ষ্য করা গিয়েছিল তা বিশেষভাবে উল্লেখ এর দাবি রাখে।

Click here To Download The Pdf

CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK ENGLISH NEW PART 4 JULY  -2021(NEW)

0

CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK

ENGLISH NEW PART 4

JULY  -2021(NEW)

Read the passage and answer the questions that follow:

I remember another funny incident about Bhola Grandpa related by my father. It had been a rainy afternoon. Bhola Grandpa, wild with excitement, told my father and his friends that he had seen a gang of pirates. They were burying a large box under one of the sand dunes on the seashore by our village. At once father and his friends started looking for the hidden treasure. Evening passed on to night. Moonlight came in through the clouds. A pack of jackals were howling. It was past midnight. At this point of time, Bhola Grandpa confessed that there was no real treasure. It was all a dream which he had during his midday nap.

Activity 1

Write the correct answers from the given alternatives in the given space :

(i) The funny incident about Bhola Grandpa was related by the narrator’s            

  1. a) mother
  2. b) aunt
  3. c) father
  4. d) sister

(ii) The afternoon was                             

  1. a) sunny
  2. b) rainy
  3. c) cold
  4. d) snowy

(iii) The pirates were burying a large box under the    

  1. a) fields
  2. b) valley
  3. c) foothills
  4. d) sand dune

Activity 2

 Change the following sentences into Passive Voice:

(i) He saw a tiger.

Ans:-  A tiger was seen by him.

 (ii) Close the door.

Ans:- Let the door be closed.

(iii) I gave the baby a doll.

Ans:- A doll was given by me for the baby.

Activity 3

 Write a paragraph in about 100 words on ‘Online Classes’ using the following points:

introduction – necessity – advantages – disadvantages – conclusion

Online classes during lockdown are very much necessary in today’s “Corona” time. The students are now being taught through this online mode only. Teachers are trying so much to motivate students and involve them in online classes.During this lockdown period, the teachers and students interacting as it happened earlier in a traditional classroom are not possible now.
First of all, the teachers are making a group of students on WhatsApp then send a link to join the various online meeting apps such as zoom, Jio meets, Google meets, etc.The teacher then shares the screen with students of various topics. it can be audio as well as video.They also, explain different chapters on various subjects. the teachers are really giving time which is appreciable. They are trying to clarify the doubts of students even though this is live chatting. To make every student indulge in online classes is really a work of patience. The teachers tolerate every kind of indiscipline occurred due to students.
As the duration of the online classes is increasing, it has become a hectic schedule for both teachers and students. Due to this, the side effects of headaches and eye problems are prevalent. The students of rural area who do not have electricity or facility of smartphone and internet cannot attend online classes. So, a discrimination is raising. But during this pandemic online classes are only the safest mode of learning.

Click Here To Download  The Pdf

CLASS 9|MODEL ACTIVITY TASK|BENGALI PART 4| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক| – 4 নবম শ্রেনী| বাংলা

6

CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK BENGALI PART 4 -2021(NEW)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক – 4

নবম শ্রেনী

BENGALI /বাংলা

১ ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

১.১ঈশান হল— ) উত্তরপূর্বকোণ  খ) উত্তর-পশ্চিম কোণ  গ) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ  ঘ) পশ্চিম কোণ

১.২ ‘আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?’ – প্রশ্নটি করেছে

ক) সূচক  খ) জানুক  ) ধীবর  ঘ) রাজশ্যালক

১.৩ ‘বন্ধুগণ হাসবেন না। – একথা বলেছে।

) ইলিয়াস  খ) শাম-শেমাগি  গ) মহম্মদ শা  ঘ) মহম্মদ শার জনৈক আত্মীয়

১.৪ ‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ। বক্তার লাভ হয়েছিল

ক) পাঁচ টাকা  ) দশ টাকা  গ) পনেরো টাকা  ঘ) কুড়ি টাকা

১.৫ ‘নোঙর’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত

ক) কুসুমের মাস  ) সাদা মেঘ কালো পাহাড়  গ) পাতাল কন্যা  ঘ) ছায়ার আলপনা

২কমবেশি ১৫ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো:

২.১প্রজা চমকিত।‘ – প্রজা চমকিত কেন ?

উ:- উদ্ধৃতাংশ টি কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি থেকে সংগৃহীত হয়েছে। যেটি চন্ডীমঙ্গল কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত।

     প্রজারা চমকিত কারণ কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাতের ফলে এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপরে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তা দেখে প্রজারা চমকৃত হয়েছিল।

২.২ ধীবরবৃত্তান্তনাট্যাংশে ধীবরের বাড়ি কোথায় ?

উ:- মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক অভিজ্ঞানম শকুন্তলম থেকে আলোচ্য ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ টি সংগৃহীত হয়েছে। ধীবর শক্রাবতারে থাকে ।

২.৩ ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ‘- কারা একথা বলত?

উ:-  উদ্ধৃত বাক্যটি লিও টলস্টয় লেখা ইলিয়াস নামক গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। ইলিয়াসকে ভাগ্যবান বলতো ইলিয়াসের প্রতিবেশীরা।

২.৪মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা।‘ – কখন এমনটি ঘটেছে?

উ:-উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘দাম’ গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। কথকের মনে মাস্টারমশাইয়ের কথা এসেছিল যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে তার ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাস এসেছিল।

২.৫ ____ বিরামহীন এই দাঁড় টানা।‘ – কবি দাঁড় টানাকেবিরামহীনবলেছেন কেন?

উ:- আলোচ্য অংশটি কবি অজিত দত্তের লেখা ‘সাদা মেঘ কালো পাহাড়’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত   ‘নোঙর’ কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

     কবি বিরামহীন দাঁড় টেনে নৌকাটিকে উদ্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান। দূর দেশে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ব্যাকুল কবির মন অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে অজানা লোকে পৌঁছতে চাই। তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দাড় টেনে  চলেছেন।

৩প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো

৩.১চন্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান।‘ – চন্ডীর পরিচয় দাও। তিনি হনুমানকে কী আদেশ দিয়েছেন?

উ:- ‘কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি’ শীর্ষক কাব্যাংশটি শেষ কয়েক ছত্র মা চণ্ডীর আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। মা চন্ডী আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গদেশের সমস্ত দেবালয় এবং বাসগৃহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। মা চন্ডী আদেশে কলিঙ্গের সমস্ত নদ-নদী গুলির ফুলে-ফেঁপে উত্তাল হয়ে ওঠে এবং তাদের প্রবল ঢেউ এর ধাক্কায় সব বাড়ি ঘর ভেঙে যায়। মনে হয় বাড়ি ঘর গুলি যেন ঢেউ এর মাথায় উঠে টলমল করে ভাসছে।

৩.২কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এলতা বললাম।‘ – বক্তা কে? আংটি প্রসঙ্গে সে কী বলেছে?

উ:- কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশে জীবনের আংটি পাওয়ার পেক্ষাপটে এক দীর্ঘ কাহিনী রয়েছে। দুর্বাশার অভিশাপে শকুন্তলাকে ভুলে যাওয়া রাজা দুষ্মন্ত যে আংটি দেখে শকুন্তলাকে চিনতে পারত তা সে হারিয়ে ফেলে। সেই আংটি এক রুইমাছ গিলে ফেলে এবং একজন জেলে সেই আংটি খুঁজে পায়। সেই আংটি সে যখন বিক্রি করতে যায় তখন রাজার রক্ষীরা তাকে চুরির অপরাধে ধরে আনে। নিজেকে নিরাপরাধ প্রমান করতেই সে আংটি পাওয়ার বৃত্তান্ত ব্যাখা করেছিল।

৩.৩ মহম্মদ শা কোন্গল্পের চরিত্র তাঁর প্রকৃতি কেমন?

উ:-লিও তলস্তয়ের লেখা ইলিয়াস নামক গল্পের অন্যতম একটি প্রধান চরিত্র হলো মোহাম্মদ শা। ইলিয়াস গল্পের ইলিয়াসের একজন প্রতিবেশী ছিলেন মোহাম্মদ শা। যখন ইলিয়াস দরিদ্র হয়ে পড়ে তখন বৃদ্ধ- বৃদ্ধার প্রতি করুনা করে তিনি তাদের নিজের কাছে আশ্রয় দেন এবং ক্ষমতা অনুসারে কাজ করতে বলেন। তিনি নিজে বড়োলোক না হয়েও ইলিয়াসকে আশ্রয় দান করেছিলেন। তাই বলা যায় তিনি অত্যন্ত দয়ালু ও ভালো মনের মানুষ, তাঁর হৃদয় করুণায় পূর্ণ।

৩.৪স্বর্গের দরজাতেও ঠিক এই কথাই লেখা রয়েছে‘ – কোন্কথা? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?

উ:-উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম ‘গল্প’ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কথকের অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের বলা উক্তি অর্থাৎ স্বর্গের দরজায় লেখা রয়েছে যে অঙ্ক পারে না তাঁর স্বর্গে প্রবেশ নিষেধ, সেই কথা বলা হয়েছে।

            গল্পের কথক তাঁর ছেলেবেলার কথা গল্পাকারে লেখার সময় তাঁর স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের কথা মনে পড়ে গেছিল। তিনি অঙ্কে ভীষণ পণ্ডিত ছিলেন এবং কোন ছাত্র যে পুরুষ্ মানুষ হয়েও অঙ্ক পারবে না এটা বিশ্বাস করতে পারতেন না। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন যে কেউ যদি অঙ্ক না পারে তবে তাঁর স্বর্গে প্রবেশের পথ ও বন্ধ। তাই অঙ্ক প্রেমী মাস্টারমশাই এই উক্তি করেছিলেন।

৩.৫আমার বাণিজ্যতরী বাঁধা পড়ে আছেকোন্বাণিজ্যতরী? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন?

উ:-উদ্ধৃত পঙ্কতিটি অজিত দত্তের লেখা ‘ নোঙর’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কবির সাহিত্য আর কল্পনার ভাণ্ডারে পুর্ণ সৃষ্টি সম্ভারকে বাণিজ্য তরী বলা হয়েছে।

            আমাদের জীবন জীবিকার জালে আটকে পরেছে,জীবনের নানা দায়িত্ব, কর্তব্যের টান যেন ভাঁটার টানের মতো অমোঘ।কিন্তু স্বপ্ন কল্পনা সাহিত্য ভরা-তরী নিয়ে কবি পাড়ি দিতে চান সাত সমুদ্র পাড়ে। দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে দিতে চান তাঁর সৃষ্টিকে। তাই এখানে বাণিজ্য তৈরীর প্রসঙ্গ এসেছে। এই তরী অসংখ্য বন্ধনে বাঁধা পড়ে আছে যা তরীকে নোঙরের মত অচল করে দিচ্ছে।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লিজের ভাষায় লেখো (কমবেশি 150 শব্দ) :

৪.১নিরবধি সাতদিন বৃষ্টি নিরন্তর।‘ – এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গবাসীর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল তা আলোচনা করো।

উ:- চন্ডীমঙ্গলের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত অভয়ামঙ্গল থেকে নেয়া কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটিতে কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কলিঙ্গদেশে অবিরাম সাতদিনের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলে ঘোর তান্ডব। সমগ্র দেশ জলে প্লাবিত হয় শস্য ক্ষেতের বিপুল ক্ষতি হয়। বৃষ্টিতে প্রজাদের ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গেই অসংখ্য শিল পরতে থাকে। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় শিলার আঘাতে ঘরের চাল ভেঙে যায়। দেবী চণ্ডীর আদেশে পবন পুত্র বীর হনুমান ঝড় উঠিয়ে কলিঙ্গদেশে ধ্বংসলীলা চালান। তার দাপটে মঠ, অট্টালিকা সব ভেঙে খান খান হয়ে যায়। দেবীর আদেশের নদনদী কলিঙ্গদেশের দিকে ধেয়ে আসে। বিরাট বিরাট ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর মাটিতে পড়ে যায়। জলে-স্থলে একাকার হয়ে গিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সাপ আশ্রয় হারিয়ে ফেলে ভেসে বেড়ায়। কলিঙ্গদেশের স্থলভূমি জলে পূর্ণ হয়। প্রজারা শঙ্কিত হয়ে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ঋষি জৈমিনি স্মরণ করতে থাকে। ঘন কালো মেঘের আড়ালে সূর্য মুখ লুকায়। সাতদিনের অবিরাম বৃষ্টি তে শংকিত ও বিপদগ্রস্ত কলিঙ্গদেশের প্রজাদের দুর্দশার চরমে ওঠে।

৪.২সেই আংটি মহারাজের কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে।‘ – মন্তব্যটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করে আংটিটি দেখে মহারাজের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তা বুঝিয়ে দাও।

উ:-কালিদাসের ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নামক রচনায় ধীবর একটি রুই মাছকে টুকরো করে কাটার সময় সেটির পেটের ভিতর থেকে একটি আংটি পায়। মণিখচিত এবং রাজার নাম খোদাই করা এই আংটি দেখে নগর রক্ষায় নিযুক্ত রাজার শ্যালক এবং রক্ষীরা তাকে চোর সাব্যস্ত করেন। ধীবরের ব্যাখ্যা তারা শুনতে চান না। রাজার শ্যালক রাজাকে সমস্ত ঘটনা জানাতে রাজা প্রাসাদে যায়। কিন্তু দেখা যায় ধীবরের সব কথাই সত্য। রাজা আংটিকে স্বচক্ষে দেখেন। দুর্বাসা মুনির কথা মত এই স্মৃতিচিহ্ন দেখেই তার শকুন্তলার কথা মনে পড়ে যায়। আংটিটি দেখে স্বভাবত গম্ভীর প্রকৃতির রাজা মুহূর্তের মধ্যে বিভোর ভাবে চেয়ে থাকেন। রাজার শ্যালক রাজার আসল অনুভুতির কথা না জানলেও রাজার ব্যবহার দেখে তিনি অনুমান করেন যে আংটিটি দেখে রাজার কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে। শুধু তাই নয় তার মনে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয় তার ফলে তিনি ধীবরকে আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসাবে দেন। আংটিটি রাজার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার রাজার এই আচরণ থেকে সহজেই অনুমান করা যায়। আংটিটি মূল্য নয় তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি এক্ষেত্রে রাজাকে অনুভূতিপ্রবণ করে তুলেছিল।

৪.৩ইলিয়াসগল্প অনুসরণে ইলিয়াস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

উ:- লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস নাম গল্পটির নাম চরিত্রই কাহিনীর প্রধান চরিত্র। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলি কোন উন্মোচনের মাধ্যমে এই কাহিনীটি পরিণতি লাভ করেছে।

ইলিয়াস ছিল উপদেশের বসবাসকারী বাসকির জনগোষ্ঠীর ভুক্ত এক ব্যক্তি। তার দুই পুত্র এবং এক কন্যা ছিল। স্ত্রীর নাম ছিল শাম শেমাগি। জীবনের প্রাথমিক পর্যায় আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও পরবর্তীকালে অক্লান্ত পরিশ্রমে এসে বিত্তশালী হয়ে ওঠে। আবার জীবনের শেষ পর্যায়ে ভাগ্যের বিরম্বনায় সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ভাড়াটে মজুরের জীবন কাটাতে শুরু করে।

সু ব্যবস্থাপক ইলিয়াস ব্যবস্থাপনার গুনে এক সামান্য বাসকির থেকে হয়ে ওঠে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী।৩৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মের প্রতি নিষ্ঠা থেকেই ইলিয়াসের ২০০ ঘোড়া ২০০ গরু মোষ ভেড়া এবং বহু ভাড়াটে মুজুরের মালিক এ পরিণত হয়। এমনকি শেষ জীবনে সর্বহারা হয়ে ভাড়াটে হুজুরের মত কাজ করার সময় ও কঠোর পরিশ্রম করে মনিবকে তুষ্ঠ রাখত সে।

প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইলিয়াসের বাড়িতে দূর-দূরান্ত থেকে অতিথিরা আসতে শুরু করেন। সকলকে স্বাগত জানিয়ে চা শরবত মাংস দিয়ে অতীতের যথাযথ আপ্যায়ন করেন ইলিয়াস। তার অতিথিপরায়নতা এর কথা স্মরণ করেই প্রতিবেশী মহাম্মদ শাহ তাকে সেই জীবনে আশ্রয় দিয়েছিল।

ইলিয়াস চারিত্রিক দিক থেকে অত্যন্ত কঠোর ছিল বলেই ছোট পুত্রর ঝগড়াটে স্ত্রী তার আদেশ অমান্য করায় তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু সেই বিতাড়িত পুত্রকেই একটি বাড়ি এবং গৃহপালিত পশু দান করে সে তার কর্তব্য পরায়ন পরিচয় দিয়েছেন।

জীবনের অন্তিম পর্যায়ে সমস্ত সম্পত্তি ও সঞ্চয় হারিয়ে সর্বহারা হয়েও ইলিয়াস যেভাবে প্রকৃত সত্য উপলব্ধির কথা বলেছে, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ ও শিক্ষানিয়।

৪.৪আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে।‘ – বক্তা কে? কেন তাঁর এমনটি মনে হয়েছে?

উ:-  নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ ছোটগল্পে উক্তিটির প্রবক্তা হলেন কথক সুকুমারের স্কুলের অঙ্কের মাস্টার মশাই। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন তার ছাত্রদের কাছে মূর্তিমান বিভীষিকা। অঙ্কে তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল প্রশ্নাতীত। যেকোন জটিল অংক একবার মাত্র দেখে সব সমাধান করে ফেলতে পারতেন। ছাত্ররা অংক না পারলে তিনি ভয়ানক রেগে তাদের প্রহার করতে। ছাত্ররা তাকে যমের মত ভয় পেতে এবং তার ও অংকের হাত থেকে রেহাই পাবার দিন গুনতো। তাই এক অংকে দুর্বল ছাত্র সুকুমার পরবর্তীকালে লেখক হয়ে একটি বাল্যস্মৃতি তে মাস্টারমশাই সম্পর্কে  সমালোচনা করে তিনি বলেছেন যে এইভাবে জোর করে ভয় দেখিয়ে মেরে ছাত্র দের কোন বিষয় শেখানো যায় না। সে দিক থেকে বিচার করলে মাস্টারমশাইয়ের শিক্ষা পদ্ধতিতে ভুল ছিল। ঘটনাক্রমে মাস্টারমশাই সুকুমারের এই লেখাটি পড়ে ছিলেন। খুব আশ্চর্যজনক ভাবে অতো রাগি মানুষ তাঁর প্রাক্তন ছাত্রের যাবতীয় সমালোচনাকে তিনি সন্তানের অধিকার বলে গ্রহণ করেছিলেন। এত বছর পরে একজন ছাত্র ও তার কথা মনে করে পত্রিকায় গল্প লিখেছে এটাই সরলমতি মানুষটির কাছে প্রবল আনন্দ ও গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছিল। ছাপার অক্ষরে নিজের নামটি দেখেই তার মনে হয়েছিল যে ছাত্র তাকে অমর করে দিয়েছে। ছাত্রটি সত্যিই তাকে আঘাত করতে পারে এটা তার কল্পনাতেও ছিল না। আসলে মাস্টারমশাই মানুষটি ছিলেন ছাত্রদরদি এবং সৃজনশীল। ছাত্রদের জোর করে অঙ্ক শেখানোর পেছনে তার সেই ছাত্র দের মঙ্গল কামনা এবং স্নেহ কাজ করতো।

৪.৫নোঙর গিয়েছে পরে তটের কিনারে।‘ – উদ্ধৃতিটির আলোকে ।নোঙরকবিতায় কবির আক্ষেপ কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তা নির্দেশ করো।

উ:- কবি অজিত দত্ত রচিত নোঙ্গর কবিতার হলো জীবনের বিভিন্ন বন্ধন এবং স্থিতিশীলতার প্রতীক।

কবি নৌকা নিয়ে যেতে চান সুদূর সাত সাগরের পাড়ে। বন্ধু নয় বাস্তব জীবন থেকে অনেক দূরে কল্পনা লোকে পাড়ি দিতে চান কবি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সওদাগরদের মত কবি ভাসিয়ে দিতে চান তার সৃষ্টি সম্পর্কে পূর্ণ নৌকা। রোজকার কর্মময়, সহস্র বন্ধন্পূর্ণ জীবন থেকে ছুটি নিয়ে কবির কল্পনা প্রবণ মন অজানা অচেনা দেশে পাড়ি দিতে চায়। কবির ইচ্ছা সাত সমুদ্র পাড়ি দেবার। বাস্তব জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত, কর্মময় জীবনের একঘেয়েমি, সংসারের মায়া বন্দর অতিক্রম করে কবি নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়তে চান কোন সব পেয়েছির দেশের সন্ধানে। কিন্তু চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে থেকে যায় বিস্তর ব্যবধান। কবির ভাবুক মন মানতে চায় না। উদার উন্মুক্ত প্রকৃতির ডাকে মন চাইলেও কবি সাড়া দিতে পারেনা। কর্মময় সাংসারিক জীবনের বন্ধন থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে। স্রোতের গতি কবির বন্ধনকে বিদ্রূপ করে কিন্তু কবি নিরুপায় অসহায়। কবি বিরামহীন দাঁড় টেনে নৌকাটিকে উদ্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান। দূর দেশে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ব্যাকুল কবির মন অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে অজানা লোকে পৌঁছতে চাই। তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দাড় টেনে  চলেছেন।

নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :

(ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)

৫.১ শ্লোক > শোলোকএক্ষেত্রে ঘটেছে

(ক) আদিস্বরলোপ

(খ) আদিস্বরগম

() মধ্যস্বরাগম

(ঘ) মধ্যব্যঞ্জনাগম।

৫.২অ্যাহলো একটি

(ক) সংবৃত স্বরধ্বনি

(খ) বিবৃত স্বরধ্বনি

() অর্ধবিবৃত স্বরধ্বনি

(ঘ) অর্ধসংবৃত

৫.৩ বিদেশী উপসর্গযোগে উৎপন্ন একটি শব্দ হলো

() আমজনতা

(খ) প্রতিদ্বন্ধ্বী

(গ) অনশন

(ঘ) দুর্জয় ।

৫.৪ মৌলিক সাধিত  ধাতুর একটি পার্থক্য লেখো

উ:-  মৌলিক ও সাধিত ধাতুর মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হল – মৌলিক শব্দ বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয় যেমন পিতা, তবে সাধিত শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় যেমন পিতা ও মাতা।

৫.৫ ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি উদাহরণ দাও।

উ:-  চল্ (গমন করা) + ই (নীচ) = চালি

৫.৬ অনুসর্গের অন্য দুটি নাম উল্লেখ করো।

উ:-   (১) কর্মপ্রবচনীয়, (২) পরসর্গ

. ভাবসম্প্রসারণ করো :

ধর্মের নামে মহ এসে যারে ধরে

অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।

উ:-  মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু যখন ধর্ম যখন প্রকৃত শিক্ষার গন্ডিকে অতিক্রম করে, মানুষের মধ্যে মোহ সৃষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে। গোঁড়া ধর্ম অনুসরণকারী  কোনো প্রশ্ন না করেই ধর্মের অনুশাসন মেনে নেয় এবং তাঁর সংস্পর্শে থাকা সকলকে প্রভাবিত করে। তখন তাঁর তথাকথিত ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য, অপরকে শুধু তাড়না করে, কেউ প্রশ্ন করলে সদুত্তরের বদলে জোটে দুর্বার প্রতিরোধ।ধর্মের অন্ধকার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে সচেতন হতে হবে। জাতি ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারো জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয়। তাই ধর্মকে ধর্ম হিসেবে নেওয়া উচিত তাকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া কখনই উচিত নয়। আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করার জন্য ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না।

Click Here To Download  The Pdf

Model Activity 2021|Health & Physical Education| Class 6 | Part 4| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ষষ্ঠ শ্রেণী স্বাস্থ্য এবং শারীরশিক্ষা(Part-4)

0

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

ষষ্ঠ শ্রেণী

স্বাস্থ্য এবং শারীরশিক্ষা(Part-4)

 

প্রথম অধ্যায় : দেশাত্মবোধ

দ্বিতীয় অধ্যায় : প্রাথমিক চিকিৎসা

 .বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বার কবে (√)চিহ্ন দাও :

() ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার কোন্ রংটি নীচের দিকে থাকে?

(১) সাদা

() সবুজ

(৩) গেরুয়া

() জাতীয় পতাকার সাদা রং কীসের প্রতীক?

(১) ত্যাগ

(২) আনন্দ

() শান্তি পবিত্রতা

() প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।

() ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে

(২) ডাক্তারের দেখার পর

(৩) রোগ থেকে সেরে ওঠার পর

() কখনটিব্যবহার করা হয়? –

(১) রক্তপাত

(২) জ্বর কমাবার জন্য

(৩) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে

 ২। উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো:

(ক) ভারতের জাতীয় পতাকার সাদা রঙের অংশটির মাঝে  নীল রঙের  ২৪টি কাঁটাবিশিষ্ট চক্র বসানো থাকে।

(খ) জাতীয় শোকপ্রকাশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকার দিনেও জাতীয় পতাকা প্রথমে উঁচুতে তুলে তারপর দন্ডের  অর্ধেক পর্যন্ত নামাতে হবে৷

(গ) আহত ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷

(ঘ) বিদ্যালয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে কিছু প্রয়োজনীয়, ওষুধ থাকা আবশ্যক।

৩। সারণির মধ্যে সমতাবিধান করোঃ

বাঁদিক ডানদিক।
(ক) অশোকচক্র। (iii) অবাধ অগ্রগতির প্রতীক।
(খ) ত্রিবর্ণরঞ্জিত (vii) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা
(গ) সবুজ রং (vi) সুজলা-সুফলা সমৃদ্ধ ভূমি ও তারুণ্যের প্রতীক
(ঘ) অচৈতন্য ব্যক্তি (ii) দ্রুত জ্ঞান ফেরাতে হবে৷
(ঙ)  রক্তপাত। (i) ক্ষতস্থান আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে৷
(চ) প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রোগীকে (v) দ্রুত স্থানান্তরকরণের ব্যবস্থা করতে হবে৷

 

 ৪। কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও

 () জাতীয় পতাকার আদর্শ ব্যবহারবিধিব ছবিসহ একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।

উঃ- বিশ্বের প্রত্যেক স্বাধীন দেশের নাগরিকরা শিষ্টাচারসম্মত নিয়মশৃঙ্খলা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে থাকে। জাতীয় পতাকাকে সম্মান দেখাবার প্রকৃত পন্থা হলো এর ব্যবহারপ্ৰণালী শেখা এবং তা পালন করা৷ জাতীয় পতাকা দেশের মর্যাদার প্রতীক। পতাকাকে উত্তোলন করা, অবনমন করা, অভিবাদন করা এবং অর্ধাবনমন করার অনুষ্ঠানগুলো প্রত্যেকের এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ভারত সরকার এই কারণে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের কিছু নিয়ম আইন করে বেঁধে দিয়েছেন। নিয়মগুলি হলো-

জাতীয় পতাকার ব্যবহারবিধিঃ

i.যেখানেই এই পতাকাটি উত্তোলন করা হবে, সেখানেই একে যথেষ্ট মর্যাদার সঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে স্থাপন করতে হবে। মঞ্চের ডানদিকে জাতীয় পতাকা থাকবে। জাতীয় পতাকার ডানদিকে অন্য কোনো পতাকা থাকবে না। জাতীয় পতাকার বাঁদিকে অন্যান্য পতাকা থাকবে। যে সমস্ত দর্শক মঞ্চের দিকে মুখ করে দাঁড়িযে আছেন তাঁদের বাম দিকে অর্থাৎ মঞ্চের ডানদিকে জাতীয় পতাকা থাকবে। জাতীয় পতাকার উচ্চতা অন্যান্য পতাকার থেকে বেশি হবে। জাতীয় পতাকা প্রথমে উত্তোলন করতে হবে৷

ii.যখন পতাকাটি সরকারি ভবনে উত্তোলন করা হবে, তখন রবিবার এবং ছুটির দিনসমেত সপ্তাহের সকল দিনেই সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়বে।

iii. জাতীয় পতাকা সবসময় দ্রুতগতিতে দৃপ্তভঙ্গিতে উত্তোলন করা বা ওঠানো উচিত৷

  1. ধীরে ধীরে সৌজন্যের সঙ্গে অবনমন করা বা নামানো উচিত। এই সময় যদি বিউগল বাজানো হয় তাহলে সেই বাজনার সময়েই পতাকা ওঠাতে ও নামাতে হবে। পতাকার গেরুয়া রঙের দিক সবসময় উপরে থাকবে৷
  2. জাতীয় পতাকা বহন করবার সময় সোজা করে নিতে হবে। কোনো মিছিলে নিতে হলে মিছিলের সর্বাগ্রে উঁচু করে যোগ্য ব্যক্তিকে ডান কাঁধে পতাকা বহন করতে হবে৷
  3. যদি একই লাইনে অন্য পতাকার সঙ্গে জাতীয় পতাকা ওঠনো হয় তবে অন্য সব পতাকার থেকে জাতীয় পতাকা সবার উপরে থাকবে৷

vii. সাধারণত জাতীয় পতাকা যেসব গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে উড্ডীন রাখা হয় সেখানে জাতীয় শোক প্রকাশ করতে, কিংবা কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান দেখানোর সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। তবে অর্ধনমিত থাকার দিনেও জাতীয় পতাকা প্রথমে উঁচুতে তুলে তারপর দণ্ডের অর্ধেক পর্যন্ত নামানো হয়। যদিও জাতীয় দিবসগুলিতে অর্ধনমিত করার শর্তগুলি মানা হয় না৷

viii বিশেষ বিশেষ জাতীয় দিনে, যেমন প্রজাতন্ত্র দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে, জাতীয় পতাকা সর্বসাধারণ ব্যবহার করতে পারে৷

ix স্কুল-কলেজে, খেলার মাঠে, ক্যাম্পে অথবা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা। উত্তোলন, পতাকার প্রতি শপথগ্রহণ এবং পতাকাকে স্যালুট করা এসব নিখুঁতভাবে করা হয়৷

 

() তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতা থেকে বাঁচতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়ে একটি পোস্টার তৈরি করো৷

(১) তাপপ্রবাহের সময় রাস্তায় বেরোনো এড়িয়ে চলতে হবে৷

(২) রোদে স্কুলে/বাড়িতে যেতে হলে, শ্রেণিকক্ষের বাইরে বেরোলে ছাতা, টুপি, মুখে রুমাল/ ওড়না, হাত-পা ঢাকা হালকা সুতির পোশাক পরতে হবে৷

(৩) যতটা সম্ভব সুতির হালকা ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরতে হবে৷

(৪) রোদে বেরোনোর আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেয়ে বেরোতে হবে। ঘরের বাইরে বেরোলে সবসময় নিরাপদ পানীয় জল সঙ্গে রাখতে হবে৷

(৫) কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর ও. আর. এস. বা নুন-চিনি মিশ্রিত নিরাপদ পানীয় জল বা ফলের রস পান করতে হবে৷

(৬) একটানা অনেকক্ষণ রোদে না হেঁটে প্রতি আধ ঘন্টা অন্তর কিছুক্ষণ গাছের ছায়ায় বা বিশ্রামালযে বিশ্রাম নিতে হবে বা তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে৷

(৭) বাড়ির খাবার বা মিড-ডে মিলের খাবারে প্রতিদিন অতিরিক্ত তেলমশলা ছাড়া সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। রসালো ফল ও ওই ঋতুর যে যে ফল পাওয়া যায় তা খেতে হবে৷

(8) বাড়িতে বা স্কুলের রান্না করা খাবারে যাতে পচন না ঘটে  তার জন্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। খালি পেটে রোদে বাড়ির বাইরে বেরোনো বিপদজনক।

(৯) বাড়ির বাইরে বেরোলে ঘাম মুছে ফেলার রুমাল রাখতে হবে। বাড়িতে তৈরি লস্যি, ষোল, ফলের রস খেতে হবে৷

(১০) রোদে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে জল, বরফ ও ঠান্ডা বাতাসের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে হবে। রোগী জ্ঞান হারালে কৃত্রিম শ্বাসপ্রক্রিয়া চালু করতে হবে এবং দ্রুত স্থানীয় চিকিৎসালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে৷

Click Here To Download  The PDF

CLASS 6 MODEL ACTIVITY TASK|GEOGRAPHY| NEW PART 4| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক| ষষ্ঠ শ্রেণী| ভূগোল| পার্ট -৪

0

CLASS 6 MODEL ACTIVITY TASK GEOGRAPHY NEW PART 4

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
ষষ্ঠ শ্রেণী

ভূগোল পার্ট

 

বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখঃ

.ঠিক জোড়টি নির্বাচন কর৷

ক) গ্রহ – নিজস্ব আলো আছে

খ) গ্রহাণু – গ্রহের তুলনায় আয়তনে বড়

উপগ্রহ – নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত

ঘ) উস্কা – লেজবিশিষ্ট উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক

. নিরক্ষরেখার সমান্তরালে উত্তর গোলার্ধে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা হলো –

ক) মকরক্রান্তি রেখা

কর্কটক্রান্তি রেখা

গ) মূলমধ্য রেখা

ঘ) কুমেরুবৃত্ত রেখা

. নীচের যে রাজ্যটির ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বিস্তৃত সেটি হলো –

ক) অরুণাচল প্রদেশ

খ) মহারাষ্ট্র

গ) হিমাচল প্রদেশ

পশ্চিমবঙ্গ

.বাক্যটি সত্য হলেঠিকএবং অসত্য হলেভুললেখো:

. গোলাকার পৃথিবী দ্রুত গতিতে আবর্তন করায় এটি মাঝ বরাবর স্ফীত।

উঃ- ভুল।

.     ১৮০° দ্রাঘিমারেখা প্রকৃতপক্ষে একটিই রেখা।

উঃ- ঠিক

. সূর্যের দৈনিক আপাত গতির মূল কারণ পৃথিবীর আবর্তন।

উঃ- ঠিক

..তারার রঙের সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্ক লেখো।

উঃ যেসব তারার রং লালচে তাদের উষ্ণতা কম হয়। হলুদ বর্নের তারার উষ্ণতা মাঝারি হয়। যেসব তারার রং নীল তারা উষ্ণ ও উজ্জ্বল হয়। যে সব তারার রং সাদা তারা উষ্ণ ও খুব বড়ো হয়।

. পৃথিবীর কাল্পনিক অক্ষ মেরুরেখা  নিরক্ষরেখার সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণে হেলে অবস্থান করছে তা এঁকে দেখাও।

উঃ

.হিমালয়ের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত তিনটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উঃ- হিমালয়ের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত তিনটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনি হল-

ক)হিমাদ্রি হিমালয়

খ)হিমাচল হিমালয়

গ)শিবালিক হিমালয়

) হিমাদ্রি হিমালয়ঃ এই অঞ্চলের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি।| এখানে পর্বত শৃঙ্গ গুলো সারাবছর বরফে আবৃত থাকে৷ এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট।

)হিমাচল হিমালয়ঃ হিমাচল হিমাদ্রি হিমালয়ের দক্ষিণে বিস্তৃত। এই অংশে অবস্থিত মৌশরী,মানালি ও দার্জিলিং।

শিবালিক হিমালয়ঃ শিবালিক হিমাচল পর্বতের দক্ষিণে অবস্থিত। শিবালিক ও হিমাচল এর মাঝের সংকীর্ণ অংশ দুন নামে পরিচিত।

Click Here To Download  The PDF

CLASS 6 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY| NEW PART 4| JULY  -2021(NEW) |মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক |ষষ্ঠ শ্রেণী |ইতিহাস পার্ট -৪

0

CLASS 6 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY NEW PART 4 JULY  -2021(NEW)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 

ষষ্ঠ শ্রেণী

   ইতিহাস পার্ট

সঠিকশব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরন করোঃ

(ক) এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে।

i)এশিয়াতে

ii)পূর্ব আফ্রিকাতে

iii)আমেরিকাতে।

(খ) মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন

i)জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ

ii)চার্লস ম্যাসন

iii)দয়ারাম সাহানী

গ) হরপ্পা সভ্যতা যুগের সভ্যতা

i)প্রাক-ইতিহাস।

ii)প্রায়ইতিহাস

iii)ঐতিহাসিক। |

  1. – স্তম্ভেরসাথে স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো

 

ক স্তভ খ স্তম্ভ
বন্দর-নগর লোথাল।
বৃহৎস্নানাগার মহেনজোদাড়ো
উঁচু এলাকা সিটাডেল।
  1. একটিবা দুটি বাক্যে লেখো

(ক) মেহেরগড় সভ্যতায় কোন কোন কৃষি পন্য উৎপাদিত হত?

উঃ- এখান বিভিন্ন কৃষি পন্য চাষ হত তার মধ্যে অন্যতম হল গম,যব,বার্লি,তিল,

তিসি ইত্যাদি

(খ) উপমহাদেশের পুরোনো গুহাবসতির প্রমান পাওয়া গেছে এরকম কয়েকটি 

স্থানের নাম লেখো।

উঃ- উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি গুহাবসতি পাওয়া গেছে। ভীমবেটকা(মধ্যপ্রদেশ) এছাড়াও মেহেরগড়, কালিবাঙ্গান, রাখিগিরি ইত্যাদি।

  1. নিজেরভাষায় লেখো (3-4টি বাক্যে):

তুমি কি মনে করো, আগুনের ব্যবহার মানুষের ইতিহাসে জরুরি একটি পরিবর্তন?

উঃ- মানব সভ্যতার দ্রুত অগ্রগতির অন্যতম কারন হল আগুনের ব্যবহার। এই 

আগুন ব্যবহার করেই আদিম যুগের মানব সমাজ জঙ্গল সাফাই, পোড়ামাটির 

ব্যবহার, পোড়া মাংস এবং বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার শেখে। এছাড়া হরপ্পা

 সভ্যতায় যে পোড়া মাঠির নিদর্শন গুলি পাওয়া যায় সেগুলি থেকে বুঝতে পারি 

ইতিহাসের অগ্রগতির জন্য এটা একটি অন্যতম পরিবর্তন।

Click Here To Download  The Pdf 

CLASS 6 MODEL ACTIVITY TASK ENGLISH NEW PART 4 JULY  -2021(NEW)

0

CLASS 6 MODEL ACTIVITY TASK

ENGLISH NEW PART 4

JULY  -2021(NEW)

He caught hold of a little net and dipped it into the water. He brought the little doll out. But she slipped out and fell on to the table banging her head. She began to cry. Up came a policeman doll and said fiercely, “What are you doing, catching the doll and making her bump her head like that?” “I was saving her from drowning!” said Tuffy

 ACTIVITY: 1

Fill in the chart with information from the given passage:

Cause

 

Effect

 

(i) Tuffy wanted to save the little doll from drowning

 

Tuffy dipped the net into the water.

 

(ii) The little doll fell on to the table.

 

She began to cry

 

(iii)Tuffy caught hold of the little doll and made her head bump

 

The policeman doll talked fiercely.

 

ACTIVITY: 2

Classify the underlined words of the given sentences in the correct columns. One is done for you:

(i)Sugar is sweet.

(ii) This is my book.

(iii) You should carry an umbrella while going out.

(iv) My mother has long hair.

(v) Give me a glass of water

 

 

Countable noun

 

Uncountable noun
i) Book

 

a) Sugar

 

ii) Umbrella

 

b) Hair

 

iii) Glass

 

c) Water

 

 

ACTIVITY: 3

Make sentences with the following words:

i)Despair:

Ans: The student is suffering from despair after failing the test.

(ii) Sturdy:

Ans: The pole is sturdy enough to bear the load of heavy trucks.

iii)Mystified:

Ans: The old magician lady’s tricks are mystified.

(iv) Rescue:

Ans: The soldiers rescued people from Uttarakhand destruction.

v) Exciting:

Ans: The football was very exciting.

Click Here To Download  The PDF

error: Content is protected !!