Home Classes Class 7 সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়)| Class 7 |History| 2nd Chapter| Question-Answer Solved

সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়)| Class 7 |History| 2nd Chapter| Question-Answer Solved

0
281

সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস

(দ্বিতীয় অধ্যায়)

ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা

ক) শূন্যস্থান পূরণ করো

১ বঙ্গ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋকবেদের ঐতেরেয় আরণ্যক-

২ মহাভারতে বঙ্গ, পুণ্ড্র, শুঙ্গ ও তাম্রলিপ্তকে আলাদা রাজ্য বলা হয়েছে।

৩ কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে বঙ্গের উল্লেখ রয়েছে।

৪ কালিদাসের রঘুবংশম কাব্যে বঙ্গ ও শুঙ্গ নাম দুটি পাওয়া যায়।

৫ ঐতিহাসিক মিনহাজ-ই-সিরাজের লেখাতে বঙ্গ রাজ্যের কথা আছে।

৬ ঐতিহাসিক আবুল ফজল তার আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে বঙ্গ অঞ্চলকে সুবা বাংলা বলেছেন।

৭ ইউরোপীয় ভ্রমনকারীরা বাংলার নাম দিয়েছিল বেঙ্গালা

৮প্রাচীন ভারতের সীমানা তৈরী হয়েছিল প্রধানত তিনটি নদী দিয়ে।

পুন্ড্রবর্ধন ছিল প্রাচীন বাংলা অঞ্চলগুলির মধ্যে বৃহত্তম।

১০ ভাগীরথী ও করতোয়া নদীর মধ্যের এলাকা বরেন্দ্র নামে পরিচিত।

১১ শশাঙ্কের রাজধানী ছিল গৌড়

১২প্রাচীন সমতট ছিল মেঘনা নদীর পূর্ব দিকের এলাকা।

১৩ শশাঙ্ক ছিলেন এক গুপ্ত সম্রাটের মহাসামন্ত।

১৪ শশাঙ্ক ৬০৬’০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৩৭’৩৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত গৌড়ের স্বাধীন শাসক ছিলেন।

১৫ রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধবিহারের কাছেই ছিল গৌড়ের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ

১৬ চিনা ভাষায় রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধবিহারের নাম লো-টো-মো- চিহ

১৭ কর্ণসুবর্ণ স্থানীয় ভাবে রাজা কর্ণের প্রাসাদ নামে পরিচিত।

১৮ কর্ণসুবর্ণে বৌদ্ধশৈব  উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করত।

১৯ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর ভাস্করবর্মা রাজা হয়েছিল।

২০ কবি বাকপতিরাজ গৌড়বধ কাব্যটি লিখেছেন।

২১ বাকপতি রাজ ছিলেন কনৌজের শাসক যশোবর্মনের রাজকবি।

২২ শশাঙ্ক ছিলেন শিবের উপাসক।

২৩ শশাঙ্কের শাসন ব্যবস্থাকে বলা হত গৌড়তন্ত্র

২৪ শশাঙ্কের আমলে সোনার মুদ্রা প্রচলিত ছিল।

২৫ পাল রাজাদের আদি নিবাস ছিল বরেন্দ্র অঞ্চলে।

২৬ পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল

২৭ পালশাসনে কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়েছিল।

২৮ কৈবর্ত বিদ্রোহের তিনজন নেতা হলেন দিব্য রুদোক ও ভীম।

২৯ দিব্য ছিলে পালরাষ্ট্রের কর্মচারী।

৩০ কৈবর্ত বিদ্রোহের কথা জানা যায় রামচরিত কাব্য থেকে।

৩১ সেন রাজাদের আদি বাসস্থান ছিল ভারতের কর্ণাট অঞ্চলে।

৩২ বল্লাল সেন পাল রাজা গোবিন্দ পালকে পরাস্ত্র করেছিলেন।

৩৩ রাজা লক্ষণ সেনের রাজধানী ছিল পূর্ববঙ্গের বিক্রমপুরে।

৩৪ গুর্জর-প্রতিহার রাজস্থানগুজরাটের বৃহৎ অঞ্চলে শাসণ করে।

৩৫ রাজা ভোজ ছিলেন গুর্জর-প্রতিহারের শক্তিশালী রাজা।

৩৬ কাবেরী ও তার শাখা নদীকে ঘিরে চোল রাজ্য গড়ে উঠেছিল।

৩৭ বিজয়ালয় চোল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

৩৮ থাঞ্জাভুর বা তাঞ্জোর ছিল চোল রাজ্যের রাজধানী।

৩৯ চোল রাজ প্রথম রাজেন্দ্র গঙ্গাইকোন্ডচোল উপাধি নেন।

৪০ মক্কা ও মদিনা ছিল আরব উপদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ শহর।

৪১ আরবের যাযাবর মানুষদের বলা হয় বেদুইন।

৪২ খেজুর ও উটের দুধ ছিল আরবদের অন্যতম খাদ্য।

৪৩ হজরত মহম্মদ মুসলিম ধর্ম প্রচলন করেছিলেন।

৪৪ খলিফা শব্দের অর্থ হল উত্তরাধিকারী বা প্রতিনিধি।

৪৫ খলিফার অধীনে থাকা অঞ্চলের নাম খিলাফত।

৪৬ ইসলামের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ হল কোরান।

৪৭ অল বিরুণী ছিলেন দর্শণ ও গ্ণিতে পণ্ডিত।

৪৮ অল বিরুণীর লেখা কিতাব-অল-হিন্দ থেকে সেকালের ভারতের অনেক কথা যানা যায়।

৪৯ কবি ফিরদৌসী শাহনামা কাব্য লিখেছিলেন।

৫০ বখতিয়ার খিলজি লক্ষণাবতী অধিকার করায় তার নাম হয় লখণৌতী।

৫১ সুলতানী যুগের একজন ঐতিহাসিক ছিলেন মিনহাজ-ই-সিরাজ

৫২ সেন্ রাজা লক্ষণ সেনের আমলে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে।

৫৩ সকলোত্তরপথনাথ উপাধি ছিল হর্ষবর্ধণের।

৫৪ তুর্কিরা নদীয়া দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করেছিল।

৫৫ বরেন্দ্র অঞ্চলে রামাবতী নগরে রামপালের রাজধানী স্থাপিত হয়।

খ) উত্তর দাও

১ বাংলাদেশের পূর্ব নাম কি?

উঃ পূর্ব পাকিস্তান।

২ কবে বাংলা ভাগ হয়েছিল?

উঃ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে

৩ প্রাচীন বাংলা কি কি অঞ্চল দিয়ে তৈরি?

উঃ পুন্ড্রবর্ধণ, বরেন্দ্র, বঙ্গ, বঙ্গাল, রাঢ়, সুন্ম, গৌড়, সমতট ও হরিকেল।

৪ পুন্ড্রবর্ধন কোন অঞ্চল জুড়ে ছিল?

উঃ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহি,পাবনা এবং সিলেতবা শ্রীহট্ট জুড়ে।

৫ বরেন্দ্র কোন অঞ্চল জুড়ে ছিল?

উঃ ভাগীরথী ও করতোয়া নদীর মধ্যের এলাকা নিয়ে।

৬ কোন এলাকাকে বঙ্গ বলা হত?

উঃ প্রাচীনকালে পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মাঝে ত্রিভুজের মতো দেখতে ব-দ্বীপ এলাকাকে বলা হয় বঙ্গ।

৭ বঙ্গাল কোন অঞ্চলে ছিল?

উঃ বঙ্গাল অঞ্চল বলতে বঙ্গের দক্ষিণ সীমানাবর্তী বঙ্গোপ্সাগরের উপকূল্ বোঝাত।

৮ বজ্রভূমি ও সুন্মভূমি কাকে বলে?

উঃজৈন্দের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে উত্তর রাঢ়কে বলা হত বজ্রভূমি এবং দক্ষিণ রাঢ়কে বলা হত সুন্মভূমি।

৯ উত্তর রাঢ় কোন অঞ্চল জুড়ে ছিল?

উঃ আজকের মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিম ভাগ,বীরভুম জেলা, সাঁওতাল পরগণার একাংশ,এবং বর্ধমান জেলায় ছিল উত্তর রাঢ় অঞ্চল।

১০ দক্ষিণ রাঢ় কোন অঞ্চল জুড়ে ছিল?

উঃ আজকের হাওড়া, হুগলী ও বর্ধমান জেলার বাকি অংশ ও অজয় নদীর মাঝের বাকি এলাকাকে বলা হত।

১১ গৌড় কোন অঞ্চল জুড়ে ছিল?

উঃ মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমান জেলার ্পশ্চিম অংশ নিয়ে তৈরী হয়েছিল সেকালের গৌড়।

১২কোন অঞ্চলকে সমতট বলা হত?

উঃ মেঘনা নদীর পূর্ব দিকের এলাকা অর্থাৎ বর্তমান বাংলা দেশের কুমিল্লা, নোয়াখালি অঞ্চলকে সমতট বলে।

১৩ কোন অঞ্চলে হরিকেল অবস্থিত ছিল?

উঃ সমতটের দক্ষিন-পূর্ব দিকে আজকের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল অঞ্চল প্রাচীন যুগে হরিকেল নামে পরিচিত ছিল।

১৪ বাংলার উল্লেখযোগ্য প্রথম রাজা কে ছিলেন?

উঃশশাঙ্ক

১৫ শশাঙ্ক কতদূর পর্যন্ত তার রাজ্য বিস্তার করেছিল?

উঃ শশাঙ্ক উত্তর-পশ্চিম বারাণসী পর্যন্ত এবং সমগ্র গৌড় দেশ, মগধ, বুদ্ধগয়া এবং ওড়িশার এক অংশ তার নিজের অধিকারে এনেছিলেন।

১৬ গৌড়ের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ কোথায় ছিল?

উঃ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার চিরূটি রেলস্টশনের কাছে রাজবাড়ি ডাঙ্গায় প্রাচীন রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এর কাছেই ছিল সেকালের কর্ণসুবর্ণ।

১৭ কোন পর্যটক কর্ণসুবর্ণে এসেছিলেন?

উঃ চিনা পর্যটক সুয়ান জাং তাম্রলিপ্ত বা তমলুক থেকে কর্ণসুবর্ণে এসেছিলেন।

১৮ কর্ণসুবর্ণর সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল?

উঃ কর্ণসুবর্ণ ছিল জনবহুল এবং এখানকার মানুষ ছিল সমৃদ্ধ।কৃষিকাজ ছিল প্রধান জীবীকা তবে বাণিজ্যও করত।

১৯ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর কারা কর্ণসুবর্ণে রাজত্ব করেছিলেন?

উঃ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর কর্ণসুবর্ণ অল্প সময়ের জন্য ভাস্করবর্মার হাতে চলে যায়। তারপর কিছুকাল এটি জয়নাগের রাজধানী ছিল।

২০ গৌড়বধ বা গৌড়বহো কাব্য কে কবে কী উদ্দেশ্যে লেখেন?

উঃ কনৌজের শাসক যশোবর্মা বা যশোবর্মণের রাজকবি বাকপতিরাজ ৭২৫-৭৩০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ গৌড়বহ কাব্য রচনা করেছিলেন।

            যশোবর্ধন মগধের রাজাকে পরাজিত করার পর কবি এই কাব্য রচনা করেছিলেন।

২১ শশাঙ্ক কাকে পরাজিত করেছিলেন?

উঃ স্থানীশ্বরের পূষ্যভূতি বংশের শাসক হর্ষবর্ধনকে পরাজিত করেছিলেন।

২২ কোন কোন বইয়ে শশাঙ্ককে বৌদ্ধ-বিদ্বেষী বলা হয়েছে?

উঃ আর্যমঞ্জ শ্রীমূলকল্প নামক বৌদ্ধ গ্রন্থে এবং সুয়ান জাং এর ভ্রমণ বিবরণীতে  এবং হর্ষবর্ধনের সভাকবি বানভট্টের রচনা হর্ষচরিতে শশাঙ্ককে নিন্দা করা হয়েছে।

২৩ গৌড়তন্ত্র কী? বর্ণনা কর।

উঃ শশাঙ্কের শাসণকালে গৌড়ে যে শাসণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল তাকে গৌড় তন্ত্র বলে।

            কর্মচারী ও আমলারা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার পরিচালনা করত।

২৪  শশাঙ্কের আমলের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে লেখ।

উঃ শশাঙ্কের আমলে যে সোনার মুদ্রা প্রচলিত ছিল তার মান পড়ে গিয়েছিল এবং নকল সোনার মুদ্রা দেখা যেত। অর্থাৎ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই যুগে মন্দা দেখা দিয়েছিল। তবে অর্থনীতি কৃষি নির্ভর হয়ে পড়ে। সমাজ গ্রামকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে, মহত্তর ও স্থানীয় প্রধান্দের গুরুত্ব বাড়তে থাকে।

২৫ শশাঙ্কের আমলে বঙ্গে কী ধর্ম প্রচলিত ছিল?

উঃ শশাঙ্কের আমলে বঙ্গ ও সমতটের শাসকরা প্রায় সকলেই ছিল ব্রাক্ষ্মন্য ধর্মের অনুরাগী। বিষ্ণু, কৃষ্ণ ও শিব পূজার প্রথা প্রচলিত ছিল।

২৬ মাৎস্যন্যায় কাকে বলে? বাংলায় মাৎস্যন্যায়ের যুগ কবে ছিল?

উঃ মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বোঝানো হয়। পুকুরের বড় মাছ যেমন ছোটো মাছকে খেয়ে ফেলে, অরাজকতার সময়ে তেমনি শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের উপর অত্যাচার করে।

            শশাঙ্কের মৃত্যুর পড়ে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগ থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত একশো বছর বাংলার বিশৃঙ্খল সময়কে মাৎস্যন্যায়ের যুগ বলে।

২৭ কোথায় পালযুগের বৌদ্ধবিহার আবিস্কৃত হয়েছে?

উঃমালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকে জগজ্জীবনপুরে।

২৮ পাল রাজাদের আদি নিবাস কোথায় ছিল? কে পাল বংশ প্রতিষ্ঠা করেন?

উঃ পাল রাজাদের আদি নিবাস ছিল বরেন্দ্র অঞ্চলে।

            ৭৫০-৭৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ গোপাল পাল বংশের প্রতিষ্ঠা করেন।

২৯ কোন পাল রাজা ত্রিশক্তি সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন?

উঃ গোপালের উত্তরাধীকারী ধর্মপাল উত্তর ভারতে কনৌজকে কেন্দ্র করে যে ত্রিশক্তি সংগ্রাম চলছিল তাতে অংশগ্রহণ করেন।

৩০ দেব পালের আমলে পাল রাজত্ব কতদূর ছড়িয়ে পড়েছিল?

উঃ দেব পালের আমলে পাল রাজত্ব হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে বিন্ধ্যপর্বত পর্যন্ত ও উত্তরপশ্চিমে কম্বোজ দেশ থেকে পুর্বে প্রাগজ্যোতিষপুর পর্যন্ত পাল সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল।

৩১ কে পাল শাসনে পুর্ব গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল?

উঃ প্রথম মহীপাল।

৩২ কোন পাল রাজার আমলে কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়েছিল?

উঃ দ্বিতীয় মহীপাল।

৩৩ কে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্বার করেছিলেন?

উঃ রামপাল।

৩৪ কবে কৈবর্ত বিদ্রোহ ঘটেছিল? এই বিদ্রোহের কথা কোন বই থেকে জানা যায়?

উঃ পাল শাসনে একাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় কৈবর্ত বিদ্রোহ ঘটেছিল।

            সন্ধ্যাকর নন্দীর রচিত রামচরিত কাব্য থেকে কৈবর্ত বিদ্রোহের কথা জানা যায়।

৩৫ কৈবর্ত কারা ছিল? কৈবর্ত বিদ্রোহের তিন জন নেতার নাম লেখ।

উঃ কৈবর্তরা ছিল সম্ভবত নৌকার মাঝি বা জেলে।

            এই বিদ্রোহের তিনজন নেতা হল দিব্য, রুদোক ও ভীম।

৩৬ কার মৃত্যুর পরে পাল রাজত্ব শেষ হয়ে যায়?

উঃ রামপাল।

৩৭ সেন রাজাদের আদি নিবাস কোথায় ছিল? কীভাবে তারা বাংলায় শাসন কায়েম করেছিল?

উঃ সেন রাজাদের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাট অঞ্চলে অর্থাৎ মহীশূর ও তার আসেপাশের এলাকা।

            পাল রাজত্বের শেষ দিকে কৈবর্ত বিদ্রোহের ফলে পাল রাজারা দূর্বল হয়ে পড়ে, সেই সুযোগে সামন্ত সেন ও তার ছেলে হেমন্ত সেন রাঢ় অঞ্চলে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৩৮ বল্লাল সেন কেমন আচার আচরণের প্রচলন করেছিলেন?

উঃ বল্লাল সেন সমাজ সংস্কার করে রক্ষণশীল, গোঁড়া, ব্রাক্ষণ আচার আচরণের প্রচলন করেন।

৩৯ সেন শাসণের অবসান ঘটেছিল কেন?

উঃ ১২০৪ বা ১২০৫ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি আক্রমণ ঘটলে বাংলায় সেন শাসণের অবসান ঘটে।

৪০ খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতকের  আঞ্চলিক রাজ্যগুলি কেমন ভাবে গড়ে উঠেছিল?

উঃ  খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতকের  আঞ্চলিক রাজ্যগুলি গড়ে তোলার পিছনে সামন্ত, মহাসামন্ত ও জমিদার এবং শক্তিশালী যোদ্বা নেতারা ছিলেন। রাজাদের দুর্বলতায় কখনো তারা স্বাধীনতা ঘোষণা করত। তাছাড়া শক্তিশালী নেতারা নিজেদের স্বাধীণ রাজ্যও গঠন করেছিল।

৪১ গুর্জর প্রতিহাররা কোন অঞ্চল শাসণ করতেন? তাদের শ্রেষ্ঠ রাজা কে?

উঃ গুর্জর প্রতিহাররা রাজস্থান ও গুজরাটের বড় অঞ্চল শাসণ করতেন,।

            এদের মধ্যে রাজা ভোজ খুব ক্ষমতাবান ছিলেন। তিনি কনৌজ দখল করে তার রাজধানী বানিয়েছিলেন।

৪২ ত্রিশক্তি সংগ্রাম কী? এর ফলাফল কি?

উঃ কণৌজ  নদীভিত্তিক বাণীজ্য ও খণিজ সম্পদের কারণে আরথিক দিক দিয়ে লোভনীয় ছিল।কণৌজ শেষ পর্যন্ত কে দখলে রাখতে পারবে এই নিয়ে পাল, গুর্জর প্রতিহার ও রাষ্ট্রকূট বংশের মধ্যে টানা লড়াই চলেছিল। একেই ত্রিশক্তি সংগ্রাম বলে।

            প্রায় দুশো বছর ধরে চলা যুদ্ব কলহে তিনটি বংশেরই শক্তি শেষ হয়ে যায়।

৪৩ রাষ্ট্রকূট কারা ছিল? তারা কীভাবে খমতায় আসে?

উঃ রাষ্ট্রকূট যোদ্বারা কর্ণাটকের চালুক্য শক্তির অধীন ছিল।

            অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি এক রাষ্ট্রকূট নেতা দন্ডিদূর্গ চালুক্য শাসককে পরাজিত করে স্বাধীণ রাজা হয়ে বসেন।

৪৪ রাজপুত কাদের বলে? তারা নিজেদের কি মনে করত?

উঃ মনে করা হয় খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতকে হুন্দের আক্রমণের পড়ে বেশ কিছু মধ্য এশীয় উপজাতির মানুষ উত্তরপশ্চিম ভারতে এসে বসবাস করতে থাকে। স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের বিয়ে হয়। এদের বংশধরদের রাজপুত বলা হয়।

            তবে রাজপুতরা নিজেদের স্থানীয় ক্ষত্রীয় মনে করত। তারা নিজেদের চন্দ্র, সূর্য বা অগ্নিদেবতার সন্তান বলে মনে করত।

৪৫ কোথায় চোল রাজ্য গড়ে উঠেছিল?

উঃ কাবেরী ও তার শাখা নদীর ব-দ্বীপকে ঘিরে চোল রাজ্য গড়ে উঠেছিল।

৪৬  কে চোল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে?

উঃ বিজয়ালয় ( ৮৪৬-৮৭১ খ্রি) রাজা মুট্টাবাইয়াকে সরিয়ে চোল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

৪৭ চোলদের রাজধানী কথায় ছিল?

উঃ থাঞ্জাভুর বা তাঞ্জোর নামে এক নতুন নগরী তৈরী হয় যা চলদের রাজধানী ছিল।

৪৮  কে কেন গঙ্গাইকোন্ডচোল উপাধি গ্রহণ করেন?

উঃ প্রথম রাজেন্দ্র বাংলার পাল বংশের বিরুদ্বে এক অভিযানে গঙ্গার তীরে পাল রাজাকে হারিয়ে গঙ্গাইকোন্ডচোল উপাধি নেন।

৪৯ চোলদের সঙ্গে দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক রাখা সম্ভব হয়েছিল কেন?

উঃ প্রথম রাজরাজ ও রাজেন্দ্র চোল দুজনে দক্ষ নৌবাহিনী তৈরী করেছিলেন। তার ফলে দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক রাখা সম্ভব হয়েছিল।

৫০ আরব উপদ্বীপ কোথায় অবস্থিত?

উঃভারতের পশ্চিমে আরব সাগর পেরিয়ে এশিয়া মহাদেশের পশ্চিম্ ভাগে আরব উপদ্বীপ যার অধিকাংশি মরূভূমি বা শুকনো ঘাস জমি অঞ্চল। এর প্সহচিমে লোহিত সাগর, দক্ষিণে আরব সাগর এবং পূর্ব দিকে পারস্য উপসাগর।

৫১ আরব উপদ্বীপের স্থানীয় শহর দুটির নাম কি? এখানকার স্থানীয় মানুষ সম্পর্কে যা জান লেখ।

উঃ মক্কা ও মদিনা আরব উপদ্বীপের দুটি শহর।

            এখানকার যাযাবর মানুষদের বেদুইন বলা হত। তারা উট পালন করত। খেজুর এবং উটের দুধ ছিল এদের অন্যতম খাদ্য। এরা নিজেদের আরব বলে পরিচয় দিত।

৫২ আরব উপজাতির প্রধান জিবিকা কি ছিল?

উঃ ব্যবসা।

৫৩ কে, কবে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন?

উঃ খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী অর্থাৎ ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে হজরত মহম্মদ ঘোষনা করেন যে আল্লাহ তাকে দূত হিসাবে মনোনীত করেছেন এবং তার বাণী ইসলাম ধর্ম নামে পরিচিত।

৫৪ হিজরত কাকে বলে? কবে থেকে হিজরী সাল গণনা শুরু হয়?

উঃ ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ও তার অনুগামীরা মদিনা শহরে চলে আসেন। মক্কা থেকে মদিনায় এই চলে যাওয়াকে আরবী ভাষায় হিজরত বলা হয়।

            ঐ সময় থেকেই হিজরি নামেই ইসলামীয় সাল গণনা শুরু হয়।

৫৫ ইসলামের ধর্মগ্রন্থ ও তীর্থস্থানের নাম লেখ।

উঃ ইসলামের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থের নাম হল কোরাণ

            কাবা শরীফ ইসলামের পবিত্র তীর্থস্থান।

৫৬ খলিফা কাদের বলে? প্রথম খলিফার নাম কি?

উঃ ‘খলিফা’ আরবি শব্দের অর্থ হল প্রতিনিধি। মহম্মদের পরে তার প্রধান চার সঙ্গীরা একে একে মুসলমানদের নেতা নির্বাচিত হন। এদের খলিফা বলা হত।

            প্রথম খলিফা ছিলেন আবু বকর।

৫৭ খিলাফৎ কাকে বলে?

উঃ যে সব অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলি হল দার- উল- ইসলাম। খলিফা পুরো দার-উল- ইসলামের নেতা। তার অধিকারের অঞ্চলের নাম খিলাফৎ।

৫৮ আরবি মুসলমানেরা কবে  কার নেতৃত্বে সিন্ধু প্রদেশ অভিযান করেন?

উঃ আরবি মুসলমানেরা ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মহম্মদ বিন কাশেমের  নেতৃত্বে সিন্ধু প্রদেশ অভিযান করেন।

৫৯ গজনির সুলতান কতবার ভারত আক্রমণ করেন? তার প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?

উঃ আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত গজনির সুলতান মাহমুদ প্রায় সতেরোবার উত্তর ভারত আক্রমণ করে।

            তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় মন্দিরগুলি থেকে ধনসম্পদ লুঠ করে খোরশান ও মধ্য এশিয়ায় তার সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে তা ব্যয় করা।

৬০ সুলতান মাহমুদ ভারত লুঠ করা সম্পদ কীভাবে ব্যবহার করেছিলেন?

উঃ সুলতান মাহমুদ ভারত লুঠ করা সম্পদ নিজের রাজ্যের ভালো কাজে ব্যয় করেছিলেন। তার রাজধানী গজনী ও অন্যান্য শহরকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। মাহমুদ সেখানে প্রাসাদ, মসজিদ, গ্রন্থাগার, বাগিচা, জলাধার, খাল এবং আমু নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করেন যেখানে শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।

৬১। মাহমুদের আমলের দুজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ও তাদের অবদানের কথা লেখ।

উঃ মাহমুদের আমলের দুজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন অল বিরুণী ও কবি ফিরদৌসী।

            অল বিরুণী ছিলেন দর্শণে পন্ডিত, ভারতে তিনি পর্যটক হিসাবে আসেন। তার লেখা কিতাব-অল- হিন্দ থেকে সে সময়ের ভারতের ইতিহাস জানা যায়।কবি ফিরদৌসী শাহানামা কাব্য লিখেছিলেন।

৬২ মহম্মদ ঘুরী কবে ভারতে আসেন? তার উদ্দেশ্য কী ছিল?

উঃ ১১৯২ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্বে মহম্মদ ঘুরি রাজপুত রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানকে হারিয়ে ভারতে আসেন।

            তিনি ভারতকে শাসন করেতে চেয়েছিলেন।

৬২ কে কবে বাংলায় তুর্কি শাসন শুরু করেছিল?

উঃ আনুমানিক ১২০৪ খ্রিস্টাব্দের শেষ বা ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ারউদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খিলজি বাংলার নদীয়া দখল করেছিলেন এবং বাংলায় তুর্কি শাসন শুরু করেছিলেন।

৬৩ তবকাত- ই- নাসিরি বইটি কার লেখা? এটি থেকে কি জানা যায়?

উঃ তবকাত ই হিন্দ ঐতিহাসিক মিনহাজ-ই- সিরাজের লেখা।

            বইটি থেকে জানা যায় যে বখতিয়ার খিলজি ও তার তুর্কি বাহিনী ঘোড়া ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে বাংলায় ঢুকেছিলেন।

৬৪ লখনৌতি সম্পর্কে যা জান লেখ।

উঃবখতিয়ার খিলজি লক্ষণাবতী অধিকার করে নিজের রাজধানী স্থাপন করেন। তাই এই শহরকে লখনৌতি বলা হত।

৬৫ শশাঙ্কের সঙ্গে বৌদ্বদের সম্পর্ক কেমন ছিল?

উঃ শশাঙ্ককে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে ও সুয়ান জাং- এর ভ্রমণ বিবরণীতে বৌদ্ববিদ্বেষী বলা হয়েছে। বলা হয় তিনি বৌদ্ব ভিক্ষুদের হত্যা করেছিলেন এবং বৌদ্বদের পবিত্র স্মারক ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু শশাঙ্কের মৃত্যুর কয়েক বছর পড়ে সুয়ান জাং কর্ণসুবর্ণের রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ববিহারের সমৃদ্বি দেখেছিলেন। শশাঙ্ক নির্বিচারে বৌদ্ববিদ্বেষী হলে তা সম্ভব ছিলও না।

Click Here To Download  The PDF

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!