মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
দশম শ্রেনী
বাংলা (পার্ট -৪)
১ ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ তপনের লেখা যে গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল—
ক) রাজা ও রানি।
খ) অ্যাকসিডেন্ট
গ) প্রথম দিন
ঘ) স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
১.২ পাঠ্য ‘অসুখী একজন’ কবিতাটির অনুবাদক
ক) শঙ্খ ঘোষ
খ) নবারুণ ভট্টাচার্য
খ) উৎপলকুমার বসু
ঘ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
১.৩ ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে—
ক) মানসী
খ) চিত্রা
গ) পত্রপুট
ঘ) নৈবেদ্য ।
১.৪ ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’কথাটি বলতেন—
ক) ওয়াটারম্যান
খ) লর্ড কার্জন
গ) উইলিয়াম জোন্স
ঘ) উইলিয়াম হেস্টিংস
১.৫ যে কাব্যগ্রন্থটি শঙ্খ ঘোষের লেখা নয়—
ক) দিন ও রাত্রি
খ) দিনগুলি রাতগুলি
গ) পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ
ঘ) ধূম লেগেছে হৃৎ কমলে
২. কম–বেশি ২০টি শব্দের উত্তর লেখো :
২.১ কোন্ কথাটি শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল?
উঃ– তপনের ধারণা ছিল লেখকরা বোধ হয় অন্য জগতের মানুষ। তাই একজন লেখককে সামনে থেকে দেখা তার কাছে এক স্বপ্নপূরণের মত ছিল। সেকারণেই ছোটামেসো বই লেখেন আর সেই বই ছাপা হয় শুনে তপনের চোখ মার্বেলের মত হয়ে গিয়েছিল। একজন সত্যিকার লেখক’-কে যে এভাবে সামনে থেকে দেখা সম্ভব সেটাই তপনের কাছে অবিশ্বাস্য ছিল।
২.২ ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি পাবলো নেরুদার কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উঃ– অসুখী একজন কবিতাটি পাবলো নেরুদার ” Extravagaria কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত
২.৩ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক ছেলেবেলায় কার লেখা জ্যামিতি পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন?
উঃ–হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে, প্রাবন্ধিক ” ব্রহ্মমোহন মল্লিক ” জ্যামিতির বই পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
২.৪ ‘আফ্রিকা’ কবিতায় দিনের অন্তিমকাল কীভাবে ঘোষিত হয়েছিল?
উঃযখন ওপনিবেশিক লুণ্ঠনকারীরা এল আফ্রিকার আদিম অন্ধকার ভেদ করতে তখন্নঅশুভ ধ্বনিতে ঘোষিত হল দিনের অন্তিমকাল
২.৫ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি ‘পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ’ বলতে কী নির্দেশ করেছেন?
উঃ ‘হিমানী’ অর্থাৎ তুষারাবৃত কঠিন পথ অর্থাৎ সাধারন মানুষের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা কঠিন তুষারাবৃত।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম–বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
৩.১ ‘ওর হবে।‘—বক্তা কে? কেন তার এমন মনে হয়েছে?
উঃ–আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পে, উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন তপনের ছোট মেসো মশাই। গল্পের প্রধান চরিত্র তপন ছোট বয়স থেকেই সে গল্প লিখতে খুব ভালোবাসে, তপনের বয়সের ছেলেমেয়েরা যেসব গল্প লিখতে পারে, যেমন রাজা রানীর গল্প, খুন-জখমের গল্প প্রভৃতি কিন্তু তখন তাদের ব্যাতিক্রম , তপন লিখে ফেলল তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি, লেখক মেসোর এ ব্যাপারটি বড়ই ভালো লাগে, এবং তার পরই তিনি আলোচ্য উক্তিটি করে বসেন।
৩.২ ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কার মাথার উপর বছরগুলি কেন পর পর পাথরের মত নেমে এসেছিল?
উঃ– কবি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা সেই মেয়েটি মাথায় বছরগুলো পরপর পাথরের মতো নেমে এসেছিল, কারণ কবি তার প্রেমিকাকে জানাননি যে তিনি কখনোই আর ফিরে আসবেনা, কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকেনি, বৃষ্টিতে কবির পায়ের দাগ মুছে গেছে, এবং ঘাস জন্মেছে রাস্তায় ,কবির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির কাছে সময় কেটেছে বহু ধীরে, বিষন্ন বছরগুলো তাঁর কাছে পাথরের মতোই ভারী আর কষ্টকর।
৩.৩ ‘আমরা ভিখারি বারোমাস।–“আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবির এমন মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো।
উঃ–আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটিতে শঙ্খ ঘোষ , আমরা ভিখারি বারো মাস বলতে , কবি মানুষের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরেছেন, কবি বোঝাতে চেয়েছেন মানুষ নানা প্রতিকুলতা যুগ যন্ত্রণার ক্ষত , অসহয়তা নিয়ে বেঁচে আছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে যুগের বদল হলেও সাধারণ নিঃস্ব মানুষের রোজনামচা চিরকাল একি , তারা দুঃখের ভার বয়ে দীন দরিদ্রের মতোই কাটায় জীবন। তাই কবি এমন মন্তব্য করেছেন।
৩.৪ ‘উদ্ভ্রান্ত আদিম যুগের কথা ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কীভাবে উল্লিখিত হয়েছে?
উঃ– আদিম যুগে মহাবিশ্ব তথা আমাদের পৃথিবী ছিল অশান্ত, ধীরে ধীরে তা শান্ত হয়। সে সময়ে সব কটি মহাদেশ ছিল একই ভূখণ্ডের অন্তর্গত। এরপর বিভিন্ন মহাদেশ তাদের মূল ভূখন্ড থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং সশস্ত্র মহাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, এভাবে সৃষ্টির যুগে স্রষ্টা যখন বারবার নিজের সৃষ্টি ভেঙে-চুরে নিখুঁত করে গড়ার চেষ্টায় রত, তখন উত্তাল সমুদ্র প্রাচ্যদেশ থেকে আফ্রিকা মহাদেশের ভূখণ্ডকে আলাদা করে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
৩.৫ ‘আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস। সেই আপিসের চিত্র লেখক কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন?
উঃ– প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ জানিয়েছেন তিনি লেখালেখির অফিসে কাজ করেন, কিন্তু সেখানে কারো হাতে কলম নেই, সকলেই বসে থাকে কম্পিউটারের সামনে, কিবোর্ড দিয়ে প্রতিটি অক্ষর অনায়াসে লিখে ফেলেন, অফিসে কবি ছাড়া আর কেউই তেমন কলম ব্যবহার করেন না, কবির অফিসের প্রত্যেকেই লেখক কিন্তু তাদের হাতে কলম নেই।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ (কম–বেশি ১৫০ শব্দ) :
৪.১‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ও ঘটে?’—কোন্ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে? সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল, ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অনুসারণে বুঝিয়ে দাও।
উঃ– তপন একজন অল্পবয়স্ক কিশোর, লেখকরা যে সাধারণ পৃথিবীর মানুষ তা সে বিশ্বাস করত না। তার লেখক মেসোকে স্বচক্ষে দেখে তপনের ভ্রান্ত ধারণাটা যায়। তারপর সে নিজেও গল্প লেখার উৎসাহ পায়। তিন তলার সিঁড়ি ঘরে বসে সে একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলে। তপনের বয়সের ছেলেমেয়েরা যেসব গল্প লিখতে পারে, যেমন রাজা রানীর গল্প, খুন-জখমের গল্প প্রভৃতি কিন্তু তখন তাদের ব্যাতিক্রম , তপন লিখে ফেলল তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা। তপনের গল্প লেখার কথা জানতে পেরে তার ছোটোমাসি গল্পখানি একরকম জোর করেই তুলে দেয় ছোটোমেসোর হাতে। তিনি গল্পটির প্রশংসা করেন এবং সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তা ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর বাড়ির লোকজনের ঠাট্টা ও ইয়ার্কির মধ্যেই তপন তার লেখা গল্পটি ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়ার আশায়। দিন গুনতে থাকে। এদিকে দিন চলে যায়, তপনের লেখা গল্পটি প্রকাশিত হয় না। এ বিষয়ে সে যখন হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছে তখনই একদিন তার বাড়িতে ছোটোমাসি ও মেসোর আগমন হয় সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে। সেখানে সে নিজের চোখে দেখে, লেখকসূচিতে তার নাম প্রকাশিত হয়েছে—প্রথম দিন’ (গল্প), শ্রীতপন কুমার রায়। এই ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়।
৪.২ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা? কবিতায় এই আহ্বান ধ্ববিত হয়েছে কেন?
উঃ– আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি- কবিতাটি সমসাময়িক কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যসংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে।
‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় বর্তমান পৃথিবীর সাধারণ মানুষের বিপন্নতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা ও রাষ্ট্রনেতাদের স্বার্থ-সংঘাতের বলি হতে হচ্ছে সাধারণ নিরীহ মানুষকে। বিপন্ন মানুষকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে। অথচ আমাদের কোনোদিকেই যাওয়ার পথ নেই। আমাদের “ডান পাশে ধস” আর “বাঁয়ে গিরিখাত”।
যুদ্ধের অনিবার্য পরিণতিতে পৃথিবী জুড়ে মৃত্যু হচ্ছে মানুষের, মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের। এই পৃথিবীর কোথাও আমাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় নেই। ইতিহাস আমাদের কথা বলে না। ইতিহাসের পাতায় সাধারণ মানুষের কোনো অস্তিত্ব নেই। দরিদ্র, বিপন্ন মানুষকে দোরে দোরে ঘুরতে হয় সাহায্যের প্রত্যাশায়।
এমন এক বিপন্ন সময়েও আশাবাদী কবি হতাশার কথা বলেননি। মানুষকে তিনি ঘুরে দাঁড়াতে বলেছেন। সাধারণ মানুষের ঐক্যই পারে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে পৃথিবীতে শান্তির বাতাবরণ গড়ে তুলতে। তার জন্য প্রয়োজন মানুষের ঐক্য। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে হাতে হাত রেখে গড়ে তুলতে হবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের জোট। মানব সমাজকে সুস্থ ও সুন্দর করে গড়ে তোলার এটাই একমাত্র পথ।তাই কবি সবাইকে একত্রিত হয়ে মানব সভ্যতারেই চরম বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আহবান জানিয়েছেন।
৪.৩ দস্যুরা কীভাবে আফ্রিকার ইতিহাসে চিরচিহ্ন এঁকে দিয়ে গিয়েছিল, তা ‘আফ্রিকা’ কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।
উঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতার অন্তর্গত উদ্ধৃত অংশটিতে ‘তোমার’ বলতে আফ্রিকার কথা বলা হয়েছে ।
♦ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকার ওপর সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের অত্যাচার ও শোষণ-বঞ্নার কাহিনিকে বর্ণনা করেছেন । প্রাকৃতিকভাবে দুর্গম আফ্রিকা দীর্ঘসময় ইউরোপীয় শক্তিগুলির নজরের বাইরে ছিল । কিন্তু উনিশ শতকে ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে । এই শতকের শেষে প্রায় পুরো আফ্রিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উপনিবেশে পরিণত হয় । এইসব তথাকথিত সভ্য রাষ্ট্রশক্তি আফ্রিকার মানুষদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালাত । তাদের নির্লজ্জ লোভ যেন বর্বরতার রূপ ধরে আত্মপ্রকাশ করেছিল । ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল আফ্রিকার মানুষ । তাদের রক্ত আর চোখের জলে কর্দমাক্ত হয়েছিল আফ্রিকার মাটি । সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রনায়কদের কাঁটা-মারা জুতোর নীচে বীভৎস কাদার পিণ্ড যেন চিরকালের মতো অত্যাচারের চিহ্ন রেখে গিয়েছিল আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে ।
৪.৪ ‘জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।”—‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’রচনা অবলম্বনে ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করো।
উঃ– বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার ওরফে শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুযায়ী ‘ফাউন্টেন পেন’ বাংলায় ‘ঝরনা কলম’ নামে পরিচিত ।
♦ উক্ত নামটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া বলে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন ।
♦ তথাকথিত ‘ফাউন্টেন পেন’ -এর পূর্বনাম ছিল ‘রিজার্ভার পেন’ । একেই উন্নত করে ‘ফাউন্টেন পেন’ -এর রূপদান করা হয়েছিল । ‘ফাউন্টেন পেন’ -এর স্রষ্টা ছিলেন, লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান নামে জনৈক ব্যবসায়ী । তিনি একবার অন্য আরেক ব্যবসায়ীর সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা কালীন দোয়াতে রাখা কালি কাগজের উপর উল্টে পড়ে যায়, ফলে ওয়াটারম্যানকে কালি সংগ্রহের জন্য পুনরায় বাইরে যেতে হয় । কিন্তু ফিরে এসে তিনি শোনেন ইতিমধ্যে অন্য এক তৎপর ব্যবসায়ী চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে চলে গিয়েছেন । দোয়াতে রাখা কালির জন্য ঘটা এই দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে, এই উদ্দেশ্যে ওয়াটারম্যান ‘ফাউন্টেন পেন’ -এর আবিষ্কার করেছিলেন । এইভাবে লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান ফাউন্টেন পেন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ”কালির ফোয়ারা খুলে দিয়েছিলেন ।
৪.৫ ‘তারপর যুদ্ধ এল– কীসের মতো যুদ্ধ এল ? তার কী পরিণতি ঘটল?
উঃ– পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন কবিতায় কবি বিপ্লবের আহ্বানে ঘর ছেড়েছিলেন। যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়ে শহরে । আগুনের করাল গ্রাসে ধ্বংস হয় শিশু দেবতারা । শান্ত হলুদ দেবতারা তাঁদের মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে । কবির স্বপ্নের বাড়ি-ঘর সব চূর্ণ হয়ে যায়, পুড়ে যায় আগুনে । যেখানে শহর ছিল সেখানে চারদিকে ছড়িয়ে থাকে কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা, আর রক্তের একটা কালো দাগ ।
রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে দেশের শিশুদের ও সাধারণ মানুষদের মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে আগে । যুদ্ধের তাণ্ডবে বাড়ি-ঘর সব ধ্বংস হয়েছিল ।যুদ্ধের রোষানলে কবির প্রিয় বাড়ি, ঝুলন্ত বারান্দায় গোলাপি গাছ, করতলের মতো চওড়া পাতা, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ সবই ধ্বংস হয়েছিল । মন্দির থেকে দেবতাদের উলটে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং সেগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় । শহরের বুকে শুধু ছড়িয়ে থাকে কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির মতো মাথা । যুদ্ধ শুধু মানুষের প্রাণ নেয় না, মানুষের মনেও বিপর্যয় ঘটায় । যেন রক্তের একটা কালো দাগ মানুষের মনকে সম্পূর্ণ ভেঙে বিপর্যস্ত করে দেয় ।
৫. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :
৫.১ অনুসর্গ হলো একপ্রকার—
(ক) বিশেষ্য পদ
(খ) বিশেষণ পদ
(গ) সর্বনাম পদ
(ঘ) অব্যয় পদ
৫.২ ‘বিভক্ত কখনোই লুপ্ত হয় না—
(ক) কর্মকারকে
(খ) করণ কারকে
(গ) সম্বন্ধ পদে
(ঘ) কর্তৃকারকে
৫.৩ নির্দেশকের একটি উদাহরণ হলো—
(ক) হইতে
(খ) কর্তৃক
(গ) জন্য
(ঘ) গুলি
৬. বঙ্গানুবাদ করো :
Home is the first School where the Child learns his first lesson. He sees, hears and begins to learn at home. It is home that builds his Character. In a good home honest and healthy men are made.
উঃ– গৃহ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম বিদ্যালয় , যেখানে শিশুরা তাদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে। শিশু দেখে , শুনে এবং সেখানেই তাঁর প্রথম শিক্ষা শুরু করে। গৃহ হল এমন এক স্থান যেখানে শিশুদের চরিত্র গঠন হয়। উন্নতমানের পরিবার সৎ এবং সুস্থ মানুষ তৈরি করে।
Click Here To Download The Pdf
Are the answers apt and to the point to get full marks,Sir/Madam?
grammar part is apt but the language part will be determined by your school teacher.