Monday, June 16, 2025
Home Blog Page 3

How The Little Kite Learned To Fly|Class 6|Translation| Activity Solved

0

How The Little Kite Learned To Fly

Translations:

“I never can do it”, the little kite said,

“আমি কখনই এটা করতে পারব না”, ছোট্ট ঘুড়িটি বলল,

As he looked at the other things high over his head.

যখন সে তার মাথার উপরদিকের জিনিসগুলোর দিকে তাকায়

“I know I should fall if I tried to fly.”

আমি জানি যদি আমি উড়তে চেষ্টা করি তাহলে আমি পড়ে যাবো।

“Try”, said the big kite,” only try!

“চেষ্টা করো” বড়ো ঘুড়িটি বলল, শুধু চেষ্টা করো।

Or I fear you never will learn at all.”

আমি ভীত যে নাহলে তুমি আর শিখতে পারবেনা।

But the little kite said: “I’m afraid I’ll fall.”

কিন্তু ছোট্ট ঘুড়িটি বলল: “আমার ভয় লাগছে আমি পড়ে যাবো।”

The big kite nodded: “Ah, well, goodbye;”

বড় ঘুড়ি মাথা নাড়ল: “আহ, আচ্ছা, বিদায়;”

I am off.” And he rose toward their tranquil sky.

আমি চলে যাচ্ছি। এবং সে শান্ত আকাশের দিকে উঠলো।

Then the little kite’s paper stirred at the sight.

তখন ছোট্ট ঘুড়ির কাগজটা তা দেখেই আলোড়ন ওঠে।

And trembling he shook himself free for flight

এবং কাঁপতে কাঁপতে সে উড়ে যাওয়ার জন্য মুক্ত হয়ে গেল

First whirling and frightened, then braver grown,

প্রথমে ঘূর্ণায়মান এবং ভীত, তারপর সাহসী হয়ে উঠল,

Up, up he rose through the air alone,

উপরে,উপরে সে বাতাসে একা উড়ে গেলো।

Till the big kite looking down could see

নিচের দিকে তাকিয়ে থাকা বড় ঘুড়িটা পর্যন্ত দেখতে পেল

The little one rising steadily.

ছোটটা ক্রমশই উঠে যাচ্ছে।

Then how the little kite thrilled with pride,

তারপর দেখ গর্বিত শিহরিত হল ছোট্ট ঘুড়ি,

As he sailed with the big kite side by side!

সে বড় ঘুড়ির পাশাপাশি উড়তে থাকল!

While far below he could see the ground,

অনেক নীচে সে মাটি দেখতে পাচ্ছিল,

And only the birds and clouds were there.

এবং সেখানে কেবল পাখি এবং মেঘ ছিল।

“Oh, how happy I am,” the little kite cried.

“ওহ, আমি কত খুশি,” ছোট্ট ঘুড়িটি কেঁদে উঠল।

“And all because I was brave and tried.”

“এবং সব কারণ আমি সাহসী এবং চেষ্টা করেছি।”

 Activity 1

Tick (√) the correct alternative:

(a) The little kite thought it could not (i) run (ii) fly (iii) swim

(b) The big kite told the small kite to (i) try (ii) know (iii) think

(c) While flying the little kite was filled with (i) pity (ii) pride (iii) pain

(d) The boys looked like small (i) dots (ii) patches (iii) spots

Activity 2

Complete the following sentences with information from the text:

(a) The big kite towards the Tranquil sky.

(b) The little kite’s paper Stirred at the sight.

(c) The little kite smiled the big kite as he became brave.

(d) The little kite and the big kite rested high in the quite air

Activity 3

Answer the following question:

What made the little kite’s paper stir at the sight of the tranquil sky?

Answer – The frightened little kite wanted to fly like the big kite, so it was stirred with excitement and fear at the sight of the tranquil sky.

Activity 4

Fill in the following chart with information from the text:

Cause Effect
(a) He would  fall The kite was afraid to fly.
(b) The little kite grew braver. He rose through the air alone.
(c) He sailed with the big kite side by side. The little kite was thrilled with pride.
(d) The boys were far below the little kite. The boys looked like small spots.

 

Click Here To Download The PDF

Land Of The Pharaohs|Class 6|Translation| Activity Solved

0

Land Of The Pharaohs

The Translation of the Text.

Cairo, Egypt.

কায়রোমিশর.

Ishan:So, finally we are in Cairo.

সুতরাং, অবশেষে আমরা কায়রোতে আছি।

Mother:We are going to Giza, Ishan; to see the three great pyramids.

আমরা গিজা যাচ্ছি, ইশান; তিনটি মহান পিরামিড দেখতে.

Ishan:What’s a pyramid, Ma?

পিরামিড কি, মা?

Mother:A pyramid is a huge, triangular, monument. The burial ground of the Pharaohs.

পিরামিড একটি বিশাল, ত্রিভুজাকার, স্মৃতিস্তম্ভ। ফ্যারাওদের কবরস্থান।

Ishan:And who is a Pharaoh?

ফ্যারাও কে?

Mother:A Pharaoh is an Egyptian King. The Pharaohs lived around five thousand years ago.

ফারাও একজন মিশরীয় রাজা। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ফারাওরা বেঁচে ছিল।

Ishan:We are going to see so many interesting things. I wish father had come with us.

আমরা অনেক আকর্ষণীয় জিনিস দেখতে যাচ্ছি. বাবা যদি আমাদের সাথে আসতেন।

Mother:The prize I won at the singing competition entitled only two for a sponsored tour of Egypt. Your father wanted you and me to come.

মিশরের একটি স্পনসর সফরের জন্য শুধুমাত্র দুটি টিকিট আমি গানের প্রতিযোগিতায় জিতেছি। তোমার বাবা চেয়েছিলেন তুমি আর আমি আসি।

Ishan:What’s that, Ma?

এটা কি, মা?

Mother:That’s the Sphinx, Ishan. It’s a rock statue with a human head and a lion’s body.

সেই স্ফিংস, ইশান। এটি একটি পাথরের মূর্তি যার একটি মানুষের মাথা এবং সিংহের শরীর রয়েছে।

The Sphinx represents intelligence and strength. It guards the pyramids.

স্ফিংস বুদ্ধি এবং শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি পিরামিড রক্ষা করে।

Mother:It’s going to be quite a long walk in the sun. Wait here. I will go and fetch a couple of sandwiches and water from the car.

রোদে বেশ লম্বা হাঁটা হবে। এখানে অপেক্ষা কর. আমি গিয়ে গাড়ি থেকে কয়েকটা স্যান্ডউইচ আর পানি নিয়ে আসব।

Sphinx: Ishan!

ইশান!

Ishan:Ma, the Sphinx is talking to me!

মা, স্ফিংস আমার সাথে কথা বলছে!

Sphinx:Ishan, Ishan

ইশান, ইশান

Ishan’s mother was already gone.

ইশানের মা আগেই চলে গেছে।

Ishan:How do you know my name?

তুমি আমার নাম জানলে কি করে?

Sphinx:I know many things. I know you are Ishan from Raiganj. You study in Class VI. Do you want to know the history of this place?

আমি অনেক কিছু জানি। আমি জানি তুমি রায়গঞ্জের ঈশান। তুমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ো। তুমি কি এই জায়গার ইতিহাস জানতে চাও?

Ishan:I don’t like studying history. I can’t remember dry facts.

আমি ইতিহাস পড়তে পছন্দ করি না। আমি শুকনো ঘটনা মনে করতে পারি না।

Sphinx:I will show you something you will never forget. Close your eyes and open them again.

আমি তোমাকে এমন কিছু দেখাবো যা তুমি কখনো ভুলবে না। তোমার চোখ বন্ধ কর এবং আবার খোলো।

Sphinx:Ishan, Egypt is the gift of the river Nile. You are now standing by the Nile. Now close your eyes and open them again.

ইশান, মিশর নীল নদের দান। তুমি এখন নীল নদের ধারে দাঁড়িয়ে আছ। এবার চোখ বন্ধ কর আবার খোলো।

Sphinx:Around five thousand years ago a great civilisation flourished in Egypt, mainly led by the Pharaohs. The kings were wise…

প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিশরে একটি মহান সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল, প্রধানত ফারাওদের নেতৃত্বে। রাজারা জ্ঞানী ছিলেন

…and the soldiers were brave.

এবং সৈন্যরা সাহসী ছিল।

Sphinx:Ancient Egypt was also a land of prosperity and festivals.

প্রাচীন মিশরও ছিল সমৃদ্ধি উৎসবের দেশ।

Ishan:O Sphinx, tell me about the pyramids.

হে স্ফিংস, পিরামিড সম্পর্কে বল।

Sphinx:The pyramids were funerary edifices of the pharaohs. Pharaoh Khufu’s pyramid is the biggest pyramid.

পিরামিডগুলো ছিল ফারাওদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া স্থাপনা। ফারাও খুফুর পিরামিড সবচেয়ে বড় পিরামিড।

Before the burial, the bodies of royal persons had to go through mummification.

দাফনের আগে, রাজকীয় ব্যক্তিদের মৃতদেহ মমিকরণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল।

The Egyptian priests found a way to preserve the dead bodies. Spices, chemicals and oils were used by them. That is how they made…

মিশরীয় পুরোহিতরা মৃতদেহ সংরক্ষণের একটি উপায় খুঁজে পান। মশলা, রাসায়নিক এবং তেল তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এভাবেই তারা তৈরি করেছে

Look, that’s queen Nefertiti; perhaps the most beautiful queen of Egypt.

দেখো, ওটা রাণী নেফারতিতি; সম্ভবত মিশরের সবচেয়ে সুন্দরী রানী।

He is king Tutenkhamun who died in his teens. His body is preserved as a mummy. 

তিনি হলেন রাজা তুতেনখামুন যিনি কিশোর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। তার মৃতদেহ মমি হিসেবে সংরক্ষিত আছে।

That’s Howard Carter who discovered Tutenkhamun’s tomb in 1922.

ইনি হাওয়ার্ড কার্টার যিনি ১৯২২ সালে তুতেনখামুনের সমাধি আবিষ্কার করেছিলেন।

Tutenkhamun

তুতেনখামুন

Mother:I see you have not moved from the spot since I left you.

আমি তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে দেখছি তুমি জায়গা থেকে নড় নি।

Mother:We are going to see a lot of amazing things yet, the pyramid of Pharaoh Khufu and the tomb of Tutenkhamun.

আমরা এখনও অনেক আশ্চর্যজনক জিনিস দেখতে যাচ্ছি, ফারাও খুফুর পিরামিড এবং তুতেনখামুনের সমাধি।

Ishan:Ma, Khufu’s pyramid is the largest in Egypt and Tutenkhamun was a teen emperor!

মা, খুফুর পিরামিড মিশরের সবচেয়ে বড় এবং তুতেনখামুন একজন কিশোর সম্রাট ছিলেন!

Mother:I’m immensely surprised that Pharaohs and Egyptian history is so well known to you, Ishan! Are you beginning to like history?

আমি অত্যন্ত বিস্মিত যে ফারাও এবং মিশরীয় ইতিহাস তোমার কাছে এত সুপরিচিত, ইশান! তুমি কি ইতিহাস পছন্দ করতে শুরু করেছ?

Ishan:Yes.

হ্যাঁ

Thank you, Sphinx!

Activity 1

Tick () the correct alternative:

(A) Ishan and his mother  visited (Giza/Luxor/ Alexandria) to see the pyramids.

 (b) A pyramid is a huge (rectangular/ cylindrical/ triangular) monument.

 (c) River (Nile/Bhagirathi/ Volga) flows through Egypt.

 (d) The teen emperor of Egypt was (Khufu/Cephran/ Tutenkhamun).

Activity 2

Complete the followings sentences with information from the text:

(a) The Pharaohs lived in Egypt.

(b) Sphinx is a rock statue with a human head and a lion’s body.

(c) Ishan’s mother went to fetch a couple of sandwiches and water from the car.

(d)The Egyptian priests preserved the dead bodies by using Spices, chemicals and oils.

Activity 4

Fill in the chart with information from the text :

Who

What

When

The Sphinx

Took Ishan back to ancient Egypt

Ishan’s mother left to get some water and sandwiches.

Ishan

Saw the river Nile

he closed his eyes and then opened them again.

Royal Persons

Had to go through mummification

Before burial

Howard carter

Dug Tutenkhamun’s tomb

1992

Activity 5

Answer the following question in complete sentences :

(a) Why was Ishan’s father not able to accompany him to Egypt?

Answer: Ishan’s mother won a prize at a singing competition. It sponsored the tour to Cairo for two persons only. So, Ishan’s father wanted Ishan to go there with his mother.

(b) What does the Sphinx represent?

Answer: The sphinx represents intelligence and strength.

(c) What is the biggest pyramid of Egypt?

Answer: Pharaoh Khufu’s pyramid is the biggest pyramid of Egypt.

(d) Why was Ishan’s mother surprised when she returned to her son?

Answer: Ishan’s mother was surprised to see that Ishan did not move from the spot where she left him.

Activity 6 (a)

Fill in the blanks with suitable verbs:

(i) The girl is playing alone.

(ii) A carpenter and a blacksmith work in our street.

(iii) The king was very powerful.

(iv) The sisters and brothers are running in the field.

Click Here To Download  The PDF

 

 

The Shop That Never Was| Class 6| Activity Solved

0

The Shop That Never Was

Activity 1

Rearrange the following sentences in the correct order and put the numbers in the given boxes. One is done for you:

(1) The shopman brought out a glass ball from his hair.  4

(2) It was a small shop, not so well-lit.  2

(3) Gip wanted to take the glass ball.  3

(4) Gip dragged his father to the magic shop. 1

(5) Gip and his father were surprised.  6

(6) There were different kinds of magic mirrors in the shop.  5

Activity 2

Fill in the blanks using words from the Help-Box:

Gip was keen to enter the magic shop. The shop had many crystal balls. Gip’s father wanted to buy some tricks for his son. The shopman performed an unexpected action.

[Help-Box: scratched, keen, unexpected, tricks, crystal]

Activity 3

Answer The Following Question:

Why did Gip find shopman’s palm blank?

Answer – The shopman  was a magician and he vanished the ball from his hand.So Gip found the shopman’s palm blank.

Activity 4

Write ‘T’ for true and ‘F’ for false statements in the given boxes. Give supporting statements for each of your answers:

(a) The shopman drew out a business card from his hair.

Answer: False – He drew a business card from his cheek.

(b) Gip found the magic box in his pocket.

Answer: True – “It’s in your pocket,” he said.

(c) The toy sword was a magic item.

Answer: True – “A Magic Toy Sword—this is a unique one!

(d) The narrator found his full name on the magic box.

Answer: False – Gip’s full name and address on the paper.

Activity 5

Answer the following questions:

(a) Why was Gip surprised?

Answer – Gip was surprised because he discovered the magic box in his pocket.

(b) Why did the narrator fail to find out the cost of the magic items?

Answer – The narrator failed to find out the cost of the magic items because the shopman was not paying attention to him.

(c) What items did the shopman show to Gip?

Answer – The shopman showed a magic toy sword, magic train, clock, and a box of soldiers to Gip.

(d) What was the cause of the narrator’s amazement?

Answer – The narrator was amazed cause the shopman waved the magic box in air and wrapped it in a brown paper with Gip’s full name and address on the paper.

 Activity 6

Fill in the chart with information from the text:

Cause

Effect

(a) The narrator thought that his son would be frightened The narrator tried to prevent the shopman.
(b) Gip’s father jumped at the shopman He fell into utter darkness.
(c) The narrator wanted to go away from that place. the narrator called for a cab.
(d) The magic shop was disappeared. Gip’s father went up and down Regent Street looking for the magic shop.

Activity 7

Answer the following questions in complete sentences:

(a) What did the shopman do with the drum?

Answer – The shopman asked Gip to stand on a stool and then put the drum over him.

(b) Why did the narrator think that his son would be frightened?

Answer – The narrator thought that his son would be frightened because the shopman put a big drum over the boy.

(c) Where did the narrator again find his son?

Answer – The narrator found his son again a yard away from him on Regent Street.

(d) What was the mental state of the narrator?

Answer – The narrator was at a loss for a second.

Click here To Download  The Pdf

ষষ্ঠ শ্রেণী| ইতিহাস| তৃতীয় অধ্যায়| প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Class 6|History| Third Chapter

2

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা

(তৃতীয় অধ্যায়)

ষষ্ঠ শ্রেণী

দু-এককথায় উত্তর দাও :-

১ আদিম মানুষ কীভাবে সভ্য হয়ে উঠেছে?

উঃ নিজের বুদ্ধি আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে আদিম মানুষ সভ্য হয়ে উঠেছে।

২ কবে থেকে মানুষ জোট বাঁধতে শুরু করেছিল

উঃ. পাথরের যুগ থেকে মানুষ জোট বাঁধতে শুরু করেছিল

৩ কীভাবে শুরু হয় জমির জন্য লড়াই

উঃ. স্থায়ী বসতবাড়ি ও চাষের জন্য জমির চাহিদা বাড়ে ফলে শুরু হয় জমির জন্য লড়াই।

৪ বর্ণ বা লিপির প্রয়োজন হয়েছিল কেন?

উঃ. মানুষের লেখার জন্য বর্ণ বা লিপির প্রয়োজন হয়েছিল।

৫ সভ্যতার সব থেকে বড় মাপকাঠি কি?

উঃ লিপির ব্যবহার সভ্যতার সব থেকে বড় মাপ কাঠি।

৬ কবে ভারতীয় উপমহাদেশে নগর সভ্যতা গড়ে উঠল?

উঃ খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দে।

৭সভ্যতা গড়ে ওঠার একটি শর্ত লেখো।

উত্তর :- সভ্যতা গড়ে উঠতে গেলে সেখানে শহর বা গ্রাম গড়ে উঠতে হবে।

৮ মানুষের নানা ভাগ তৈরি হল কীভাবে?

উঃ নানা কাজের বিচারে মানুষের নানা ভাগ তৈরী হল।

৯ প্রাচীন ভারতের দুটি সভ্যতার নাম লেখো।

উঃ মেহেরগড় সভ্যতা ও হরপ্পা সভ্যতা।

১০ শাসক গোষ্ঠী কারা?

উঃ যারা গোটা সমাজকে শাসন করত তাদের বলা হয় শাসক গোষ্ঠী।

১১ আদিম গোষ্ঠীসমাজে পুঁতি বানানোর কারিগরকে কাদের ওপর নির্ভর করতে হত?

উঃ. আদিম গোষ্ঠীসমাজে পুঁতি বানানোর কারিগরকে ব্রোঞ্জের কারিগর এবং কুমোরের ওপরে নির্ভর করতে হত

১২ তামাপাথরের যুগ কাকে বলে?

উঃ নতুন পাথরের যুগের শেষে মানুষ তামা ও পাথর দুটিই ব্যবহার করত, তাই সেই যুগকে তামা- পাথরের যুগ বলা হয়।

১৩. ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতার নাম কী ?

উত্তর :- মেহেরগড় সভ্যতা।

১৪মেহেরগড় সভ্যতায় কোন্ দুই ধাতুর ব্যবহার হত এবং কোন্ ধাতুর ব্যবহার হত না?

উঃ. মেহেরগড় সভ্যতায় তামা ও কাঁসার ব্যবহার হত এবং লোহার ব্যবহার হত না

১৫ কোথায় মেহেরগড় সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেছে?

উঃ পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বোলান গিরিপথ থেকে খানিকটা দূরে মেহেরগড় সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেছে।

১৬ কবে মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়েছিল ?

উত্তর :- ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে।

১৭. মেহেরগড় সভ্যতা কে আবিষ্কার করেছিলেন?

উঃ জাঁ ফ্রাসোয়া জারিজ

১৮ জাঁ ফ্রাসোয়া জারিজ কে?

উঃ জঁ ফ্রাসোয়া জারিজ ছিলেন একজন ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক যিনি মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন।

১৯ মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বের সময়কাল লেখ।

উঃমেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বের সময়কাল, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ পর্যন্ত।

২০ উপমহাদেশে সবথেকে পুরোনো শস্য মজুত রাখার বাড়ি পাওয়া গেছে কোথায়?

উঃ মেহেরগড়ে।

২১ পৃথিবীতে সবথেকে পুরোনো কার্পাস চাষের নমুনা কোথায় পাওয়া গেছে?

উঃ পৃথিবীতে সবথেকে পুরোনো কার্পাস চাষের নমুনা পাওয়া গেছে মেহেরগড়ে।

২২ পুরোনো পর্যায়ে মেহেরগড়ের কয়েকটি গৃহপালিত পশুর নাম লেখো।

উঃ পুরোনো পর্যায়ে মেহেরগড়ের কয়েকটি গৃহপালিত পশুর নাম হল ছাগল, ভেড়া, কুঁজওয়ালা ষড়।

২৩ ভারতীয় উপমহাদেশের বাড়িগুলিতে প্রথম রোদে পোড়ানো ইটের ব্যবহার কোথায় দেখা যায়?

উঃ মেহেরগড় সভ্যতায়।

২৪ মেহেরগড় সভ্যতা ছিল মূলত কি জাতীয় সভ্যতা?

উঃমেহেরগড় সভ্যতা প্রধানত কৃষি নির্ভর সভ্যতা।

২৫ মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বের সময়কাল লেখ।

উঃ মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বের সময়কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ পর্যন্ত।

২৬ এই পর্যায়ে কীভেবে মাটির পাত্র তৈরি হত?

উঃ মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্যায়ে মাটির পাত্রগুলি হাতে তৈরী করা হত।

২৭. মেহেরগড় সভ্যতার কোন্ পর্বে কুমোরের চাকার ব্যবহার শুরু হয়েছিল?

উত্তর :- দ্বিতীয় পর্বে।

২৮ মেহেরগড় সভ্যতার গয়নাগুলি কি দিয়ে তৈরী করা হত?

উঃনানা রকম পাথর ও শাঁখ দিয়ে মেহেরগড় সভ্যতার গয়নাগুলি তৈরী করা হত।

২৯ মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্বের সময়কাল লেখ।

উঃ মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্বের সময়কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩৮০০ অব্দ পর্যন্ত।

৩০. মেহেরগড় সভ্যতায় মৃতদেহকে কোন রঙের কাপড় জড়িয়ে সমাধি দেওয়া হত?

উত্তর :- লাল রঙের।

৩১. মেহেরগড় সভ্যতা কোন্ নদীকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল?

উত্তর :- বালুচিস্তান প্রদেশের ঝোব নদীকে।

৩২হরপ্পা সভ্যতার হরপ্পা কেন্দ্রটি কবে আবিষ্কৃত হয়?

উত্তর :- ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে।

৩৩ কে হরপ্পা সভ্যতায় খোঁড়াখুড়ি শুরু করেছিলেন?

উঃ দয়ারাম সাহানি।

৩৪. হরপ্পা সভ্যতার মহেনজোদাড়ো কেন্দ্রটি কবে আবিষ্কৃত হয়?

উত্তর :- ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে।

৩৫কে মহেনজোদাড়ো আবিষ্কার করেন?

উঃ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়।

৩৬. ‘আলেকজান্ডার কানিংহাম নাম কোন সভ্যতার আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে?

উত্তর :- হরপ্পা সভ্যতা।

৩৭. একটি তামাব্রোঞ্জ যুগের ভারতীয় সভ্যতার নাম লেখো।

উত্তর :- হরপ্পা সভ্যতা।

৩৮. ‘আলেকজান্ডার কানিংহাম কে ছিল?

উত্তর :- ব্রিটিশ ভারতের প্রত্নতত্ত বিভাগের প্রধান।

৩৯ কে হরপ্পা মহেঞ্জোদাড়ো সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেন?

উঃ জন মার্শাল।

৪০. কবে হরপ্পা সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল বলে মনে করা হয়?

উত্তর :- আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।

৪১ হরপ্পা সভ্যতাকে প্রায় ইতিহাস যুগের সভ্যতা বলা হয় কেন?

উঃ হরপ্পা সভ্যতার লোকেরা লিখতে জানলেও সেই লেখা আজও পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয় নি । তাই একে প্রায় ইতিহাস যুগের সভ্যতা বলা হয়।

৪২উত্তর দিকে হরপ্পা সভ্যতা কতদূর পর্যন্ত গড়িয়ে পড়েছিল?

উঃ জম্মুর মান্ডা এই সভ্যতার উত্তর সীমা।

৪৩ হরপ্পা সভ্যতার পশ্চিম সীমা কি?

উঃপাকিস্তানের বালুচিস্তান

৪৪ হরপ্পা সভ্যতার পুর্ব সীমা কি?

উঃ পূর্বে আলমগীর পর্যন্ত

৪৫. দক্ষিণ দিকে হরপ্পা সভ্যতা কতদূর পর্যন্ত গড়িয়ে পড়েছিল?

উত্তর :- গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চল পর্যন্ত।

৪৬. কতটা অঞ্চল জুড়ে হরপ্পা সভ্যতা বিস্তার লাভ করেছিল?

উত্তর :- প্রায় ৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।

৪৭. হরপ্পা সভ্যতা কোন ধরনের সভ্যতা ?

উত্তর :- নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা।

৪৮. হরপ্পা সভ্যতার প্রতিটি বাড়িতে টি করে রান্নাঘর থাকত?

উত্তর :- একটি করে ।

৪৯. কে প্রথম হরপ্পা উপত্যকায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পান?

উত্তর :- চার্লস ম্যাসন।

৫০. হরপ্পা কোথায় অবস্থিত?

উত্তর :- পাঞ্জাবের মন্টেগোমারি জেলায় (বর্তমানে পাকিস্তান)।

৫১. ‘হরপ্পাকথাটির মানে কী?

উত্তর :- পশুপাখির খাবার।

৫২. মহেনজোদারো কোথায় অবস্থিত?

উত্তর :- সিন্ধুপ্রদেশের লারকানা জেলায় (বর্তমানে পাকিস্তানে)।

৫৩.  “সিটাডেলকথাটির মানে কী?

উত্তর :- উঁচু এলাকা।

৫৪হরপ্পা সভ্যতায় কোন কেন্দ্রে  কোন  সিটাডেল ছিল না

উঃ চানহুদারোতে।

৫৫. হরপ্পা সভ্যতায় পাঁচিল দিয়ে ঘেরা উঁচু কক্ষগুলিকে কী বলা হত?

উত্তর :- সিটাডেল।

৫৬ সিটাডেলটি নগরের কোন অঞ্চলে থাকতো?

উঃ নগরের উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিকে।

৫৭ নগরের নীচু বসতি এলাকা কোথায় থাকত?

উঃ নগরের পূর্ব বা দক্ষিণ পূর্ব অংশে।

৫৮হরপ্পায় কোন কোন স্থানে ফটক ছিল?

উঃ নগরের উত্তর ও পশ্চিম দিকে দুটি ঢোকা ও বেরোনোর ফটক ছিল।

৫৯. সিন্ধুর অধিবাসীরা কোন্ ধাতুর ব্যবহার জানত না?

উত্তর :- লোহার।

৬০. হরপ্পা সভ্যতার কোথায় স্নানাগার আবিষ্কার করা হয়েছে?

উত্তর :- মহেনজোদারো-তে।

৬১. মহেনজোদারোর স্নানাগারটি কারা ব্যবহার করতেন?

উত্তর :- নগরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

৬২হরপ্পায় শস্য রাখার বাড়িটি কেমন  ছিল?

উঃ হরপ্পায় শস্য রাখার বাড়িটির ভেতরে ছিল দুই সারিতে ভাগ করা মোট বারোটা তাক।

৬৩. কোন গাছকে সিন্ধুবাসীরা দেবতারূপে পুজো করত?

উত্তর :- অশ্বত্থ।

৬৪. হরপ্পা সভ্যতার বড়ো শস্যাগার কোথায় ছিল?

উত্তর :- হরপ্পা ও মহেনজোদারো-তে।

৬৫. ঢোলাবিরা বিখ্যাত কেন?

উত্তর :- হরপ্পা সভ্যতার একটি কেন্দ্র।

৬৬. হরপ্পার প্রধান প্রশাসক কে ছিলেন বলে অনুমান করা হয়?

উত্তর :- একজন পুরোহিত-রাজা।

৬৭. মেসোপটেমিয়ায় কতকগুলি হরপ্পার সিলমোহর পাওয়া গেছে ?

উত্তর :- ২৩টি।

৬৮. মহেনজোদারোর স্নানাগারটির আয়তন উল্লেখ করো।

উত্তর :- ১৮০ফুট x ১০৮ ফুট ।

৬৯. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন্ ধাতুর ব্যবহার জানত না ?

উত্তর :- লোহার।

৭০. হরপ্পা সভ্যতার রাস্তাঘটিগুলির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর :- পাকা, চওড়া ও সোজা।

৭১. হরপ্পা সভ্যতার কোন কেন্দ্রে ধানের চিহ্ন পাওয়া গেছে?

উত্তর :- গুজরাটের রংপুর ও লোথালে।

৭২. হরপ্পা সভ্যতার কোথায় লাঙলের ফলার দাগ পাওয়া গেছে ?

উত্তর :- রাজস্থানের কালিবঙ্গানে।

৭৩. হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা কোন পশুর ব্যবহার জানত না?

উত্তর :- ঘোড়ার।

৭৪. সিন্ধুর অধিবাসীরা কোন কোন ধাতুর ব্যবহার জানত?

উত্তর :- তামা, কাঁসা, ব্রোঞ্জের।

৭৫. হরপ্পা সভ্যতায় কীসের তৈরি চিরুনি আবিষ্কৃত হয়েছে?

উত্তর :- হাতির দাঁতের।

৭৬. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা কোন্ ফসলের চাষ জানত না?

উত্তর :- ধান (রংপুর ও লোথাল ছাড়া)।

৭৭. হরপ্পার সিলমোহরগুলি থেকে কোন্ কোন্ বিষয় সম্পর্কে জানা যায়?

উত্তর :- অর্থনীতি, ব্যাবসা ও ধর্ম।

৭৮. ‘লোথালশব্দের অর্থ কী?

উত্তর :- গুজরাটি ভাষায় মৃতের স্থান।

৭৯. কৃষিকাজ আদিম মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন এনেছিল ?

উত্তর :- স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শিখিয়েছিল।

৮০. হরপ্পা সভ্যতার সমসাময়িক দুটি সভ্যতার নাম বল 

উত্তর :- মিশরীয় ও সুমেরীয় 

৮১. হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে জলপথে কোন্ সভ্যতার বাণিজ্য চলত ?

উত্তর :- মেসোপটেমিয়ার।

৮২. হরপ্পা সভ্যতার একটি সামুদ্রিক বন্দরের নাম করো।

উত্তর :- লোথাল।

৮৩. পশু পরিবেষ্টিত যোগী মূর্তিটি কোন্ দেবতার বলে মনে করা হয়?

উত্তর :- শিবের আদিরূপ বলে মনে করা হয়।

৮৪. নতুন পাথরের যুগের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর :- নতুন পাথরের যুগে মানুষ কৃষিকাজ করতে শিখেছিল।

৮৫. ‘লোথালকোথায় অবস্থিত?

উত্তর :- ভোগাবোর নদীর তীরে।

৮৬. কবে মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্যে ভাটা পড়েছিল ?

উত্তর :- আনুমানিক ১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের পর থেকে।

৮৭. হরপ্পা নগরী কোন্ নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল?

উত্তর :- রাভি নদী।

৮৮. হরপ্পা সভ্যতার লিপিতে কতকগুলি চিহ্ন ব্যবহার করা হত ?

উত্তর :- প্রায় ৩৭৫ থেকে ৪০০টি।

৮৯. সিন্ধুবাসীদের মাটির পাত্রগুলি কী রঙের হত?

উত্তর :- লাল ও কালো।

৯০. কোন ভাষার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার ভাষার মিল চালু করা যায় ?

উত্তর :- দ্রাবিড় ভাষার।

৯১. সিন্ধু লিপির পাঠোদ্ধার করা যায়নি কেন?

উত্তর :- সিন্ধু লিপির বর্ণমালা ছিল না এবং তা ছিল সাংকেতিক।

৯২. আধুনিক সাইনবোর্ডের মতো জিনিস হরপ্পা সভ্যতার কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে?

উত্তর :- ঢোলাবিরায়।

৯৩. সিন্ধুলিপি পাঠোদ্ধার সম্ভব হলে কী সুবিধা হতে পারে?

উত্তর :- ভারতীয় উপমহাদেশের এবং হরপ্পা সভ্যতার অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে।

৯৪. আজ থেকে কত বছর আগে হরপ্পা সভ্যতা গড়ে উঠেছিল?

উত্তর :- প্রায় পাঁচ হাজার।

৯৫. কার নেতৃত্বে হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল?

উত্তর :- জন মার্শাল-এর নেতৃত্বে।

৯৬. হরপ্পা সভ্যতার কোথায় বোতাম আকারের সিলমোহর পাওয়া গেছে?

উত্তর :- লোথালে।

৯৭. মহেনজোদারোর সিলমোহরে যোগীর মূর্তিটি কোন দেবতার বলে কল্পনা করা হয়?

উত্তর :- পশুপতি শিবের।

৯৮. সিন্ধুলিপির একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর :- সিন্ধুলিপি ডানদিক থেকে বামদিকে লেখা হত।

৯৯. মহেনজোদারো কথাটির মানে কী ?

উত্তর :- মৃতের স্তূপ।

১০০ হরপ্পা সভ্যতায় মৃতদেহের মাথা কোন দিক করে শুইয়ে রাখা হত?

উঃউত্তরদিক করে

২ নম্বরের প্রশ্নঃ

১ আদিম মানুষ কীভাবে সভ্য হল?

উত্তর:- পুরোনো পাথরের যুগের শেষদিক থেকে কৃষিকাজ, স্থায়ী বসতবাড়ি এবং পশুপালনের ফলে বদলে যায় মানুষের জীবনযাপনের নানা দিক। মানুষ নিজের প্রয়োজনে বুদ্ধি আর পরিশ্রমের জোরে এই বদল ঘটায়। এইভাবেই আদিম মানুষ সভ্য হয়ে ওঠে।

২ আদিম মানুষের যুগ থেকে ইতিহাস এসে পড়ল সভ্যতার যুগেবিশ্লেষণ কর। 

উত্তর:–আদিম মানুষ যেদিন থেকে জোট বেঁধে বাস করতে শুরু করে, সেদিন থেকেই সভ্যতার সূচনা হয়। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সমাজ। কৃষি, পশুপালন ও বাণিজ্য—এমনই বিভিন্ন ধরনের জীবিকার সাহায্যে মানুষ উপার্জন করা শুরু করে। উন্নত হয় মানুষের জীবনযাত্রা। এরপর ক্রমে তারা লিখতে শেখে, গড়ে ওঠে গ্রাম ও নগর। এভাবেই তৈরি হয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি এবং আদিম মানুষ হয়ে ওঠে সভ্যতারই অগ্রদূত।

৩ কীভাবে চালু হয় নিয়ম বা নিয়মের শাসন?

উত্তর:–আদিম মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার কারণে জোট বেঁধে বাস করতে থাকে। ধীরে ধীরে তারা নিজেরাই নিজেদের নিয়মকানুন ঠিক করে। তবে আদিম মানুষের মধ্যে বিবাদ বাঁধলেও তারা নিজেরাই তা মিটিয়ে নিত। ঠিক হয় সবাই নিয়ম মেনে চলবে। এভাবেই চালু হয় নিয়ম বা নিয়মের শাসন।

৪ সভ্যতার নানা দিক গুলি কি কি?

উঃ সভ্যতার নানা দিক গুলি হল স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শিখে উন্নত গ্রাম ও নগর জীবন শুরু করা। উন্নত শাসন কাঠামো গড়ে তোলা ও লিপির ব্যবহার শেখা সভ্যতার পরিচয়।শিল্প ও স্থাপত্যের নমুনা সভ্যতার একটি বড় দিক।সভ্যতা বলতে জীবনযাপনের উন্নতি বোঝানো হয়।

৫মেহেরগড় সভ্যতার তিনটি পর্ব উল্লেখ কর।

উত্তর:–

মেহেরগড় সভ্যতার তিনটি পর্ব ছিল, যথা— 

[1] প্রথম পর্ব, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ পর্যন্ত।

[2] দ্বিতীয় পর্ব, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ পর্যন্ত। 

[3] তৃতীয় পর্ব, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩৮০০ অব্দ পর্যন্ত

৬ মেহেরগড় সভ্যতার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর:– মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল— 

i)মেহেরগড় সভ্যতা ছিল একটি গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক সভ্যতা। 

ii)তামা ও পাথর দুটিরই ব্যবহার হত মেহেরগড় সভ্যতায়। তাই এই সভ্যতাকে তামা-পাথরের সভ্যতা বলা হয়। 

iii)মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর সমাধিক্ষেত্র।

৭ মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বের পরিচয় দাও।

উত্তর:– মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্বে মেহেরগড়বাসী গম ও যব ফলাতে জানত।গৃহপালিত পশু ছিল ছাগল, ভেড়া ও কুঁজওয়ালা ষাঁড়।মেহেরগড়ে পাথরের জাঁতা বা শস্য পেষার যন্ত্র মিলেছে। জানা গেছে এই সভ্যতার প্রথম পর্বে মেহেরগড়বাসী পাথরের ছুরি ও পশুর হাড়ের যন্ত্রপাতি বানাতে পারত। মাটির বাড়িগুলিতে রোদে পোড়ানো ইটের ব্যবহার দেখা যায়। এই বাড়িগুলিতে একাধিক ঘর থাকত। 

৮ মেহেরগড়ে বাড়িঘরগুলি কেমন ছিল

উত্তর:–মেহেরগড়ে বাড়িঘর গুলি রোদে পোড়ানো ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। বাড়িগুলিতে একাধিক ঘর ছিল। শস্য মজুত রাখার বাড়িগুলি ছিল সাধারণ বাড়ির থেকে অনেক বড়।

৯মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্যায়টি সংক্ষেপে লেখ।
অথবা, মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর:– মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বে কৃষিকাজের ক্ষেত্রে গম ও যবের পাশাপাশি কার্পাস চাষেরও প্রমাণ মিলেছে। কাস্তের ব্যবহার করা হত।এই পর্বের প্রথম দিকে মাটির পাত্রগুলি হাতে করে তৈরি করা হত। দ্বিতীয় পর্বের একেবারে শেষের দিকে কুমোরের চাকার ব্যবহার শুরু হলে তাতে মাটির পাত্র তৈরি হতে থাকে। এই পর্বে মেহেরগড়বাসী বিভিন্ন রকম পাথর ও শাঁখ দিয়ে গয়না তৈরি করতে শিখেছিল।

১০মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্বের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তর:– কৃষিক্ষেত্রে এই পর্বে মেহেরগড়বাসী নানারকম গম এবং যব চাষ করত। কুমোরের চাকায় মাটির পাত্র তৈরির কৌশল বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।তৃতীয় পর্বে বসতি হিসেবে মেহেরগড় সভ্যতার আয়তন বাড়ে। তামার ব্যবহার শুরু হয়েছিল। পাথরের তৈরি জিনিসপত্রও এসময়ে ব্যবহার করা হত। শেষ পর্বে সিলমোহরের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।

১১ মেহেরগড় সভ্যতার মাটির পাত্রগুলির বর্ণণা দাও।

উঃ মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্যায়ে কুমোরের চাকা ব্যবহার করে মাটির পাত্র তৈরি করা হত।তৈরি পাত্রগুলি চুল্লিতে পোড়ানো হত এবং তারপর, তাতে নানারকম নকশা ও ছবি আঁকা হত। একরঙা, দুইরঙা ও বহুরঙা মাটির হদিসও পাওয়া গেছে। 

১২ মেহেরগড় সভ্যতায় সমাধি কীভাবে দেওয়া হত লেখ।

উত্তর:–মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর সমাধিক্ষেত্র। সমাধিতে মৃতদেহ সোজাসুজি বা কাত করে শুইয়ে দেওয়া হত। মৃতের সঙ্গে দেওয়া হত শাঁখ বা পাথরের গয়না, কুড়ল প্রভৃতি। সমাধিতে নানা গৃহপালিত পশুও দেওয়া হত। মৃতদেহকে লাল কাপড়ে জড়িয়ে লাল রং মাখিয়ে সমাধিস্থ করা হত। 

১৩হরপ্পা সভ্যতা অনেকগুলি কেন্দ্র নিয়ে গড়ে উঠেছিল। এগুলির মধ্যে অন্তত চারটি স্থানের নাম লেখো।

উঃ হরপ্পা সভ্যতার কয়েকটি কেন্দ্র হল- লোথাল , কালিবঙ্গান, ঢোলাবিরা,চানহুদারো।

১৪ সিটাডেল কীঅথবা, টীকা লেখো: সিটাডেল।  

উত্তর:–হরপ্পার নগরগুলির বসতি এলাকা দুভাগে বিভক্ত ছিল। একটি ছিল উঁচু ঢিবি এলাকা অপরটি ছিল নীচু এলাকা। নগরের উঁচু এলাকাগুলিকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা সিটাডেল নাম দিয়েছেন।এগুলি সাধারণত নগরের উত্তর বা উত্তর-পশ্চিমদিকে অবস্থিত ছিল। সিটাডেলগুলিতে নগরের প্রধান বা বিশিষ্ট ব্যক্তিরই বসবাস করত। এই এলাকা উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকত।

১৫ হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা কেমন ছিল

উত্তর:–হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা — হরপ্পার নগরগুলিতে বসতি অঞল দুভাগে বিভক্ত ছিল। শহরের উঁচু এলাকা বা সিটাডেল অবস্থিত ছিল নগরের উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকে। নীচু বসতি এলাকাটি অবস্থিত ছিল পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব অংশে। সিটাডেলগুলিতে নগরের প্রধান বা বিশিষ্ট ব্যক্তিরই বসবাস করত। শহরের নীচু অংশে ছিল মানুষের আসল বসতি।

১৬ হরপ্পা সভ্যতার ঘরবাড়ি  কেমন ছিল

উঃ হরপ্পা সভ্যতায় ঘরবাড়িগুলি ছিল পোড়া ইটের তৈরি। হরপ্পা সভ্যতায় যেমন দোতলা তিনতলা বড়ো বাড়ি ছিল, তেমনই মাঝারি ও খুব ছোটো বাড়িও ছিল। বসত বাড়িগুলিতে বেশকিছু ঘর থাকলেও সেগুলিতে রান্নাঘর থাকত একটি করে, যা থেকে অনুমান করা হয় যে সেই সময়ে যৌথ পরিবারের অস্তিত্ব ছিল। 

১৭ হরপ্পা সভ্যতার রাস্তাঘাট  কেমন ছিল

উঃ মহেনজোদারো ও হরপ্পার চওড়া, পাকা রাস্তাগুলি সাধারণত উত্তর-দক্ষিণ দিকে প্রসারিত ছিল। তুলনায় কম চওড়া রাস্তা ও সরু গলিগুলি ছিল পূর্ব-পশ্চিমে প্রসারিত। রাস্তাগুলির দুধারে বাঁধানো ফুটপাথও ছিল।

১৮হরপ্পা সভ্যতার পয়ঃপ্রণালী কেমন ছিল

উঃমহেনজোদারোর নীচু এলাকায় প্রায় ২০০০ বাড়ির জন্য অন্তত ২৭ টি কুয়ো ছিল। তবে হরপ্পায় এত সংখ্যক কুয়ো না থাকলেও প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার ছিল। ঢাকা নর্দমার সাহায্যে সুপরিকল্পিত জলনিকাশি ব্যবস্থা ছিল হরপ্পায়। প্রতিটি বাড়ি থেকে ছোটো নালার জল গিয়ে মিশত বড় নর্দমাগুলিতে। 

১৯হরপ্পা সভয়তার সাধারণ মানুষের জীবিকা কি ছিল?

উঃ হরপ্পা সভ্যতায় বাণিজ্যের উন্নতির জন্য বণিকদের অনেক মর্যাদা ছিল। এছাড়া বিভিন্ন কারিগড় ছিলেন। তবে সমাজে মজুর ও শ্রমিকদের অবস্থা বেস খারাপ ছিল। তবে গ্রামীণ এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল কৃষিকাজ।

২০হরপ্পা সভ্যতায় কি কি ফসল চাষ হত?

উঃ হরপ্পা সভ্যতার মানুষ গম, যব, জোয়ার, বাজরা , নানারকম ডাল, সরষে ও ধান চাষ করত। তবে সব জায়গায় ধানের চাষ হত না।তবে তুলো ,তিল প্রভৃতি ফসলের চাষ হত।

২১হরপ্পার মানুষের পশুপালন সম্পর্কে যা জান লেখো

উঃ হরপ্পার মানুষ গৃহ পালিত পশুর ব্যবহার জানত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ষাঁড়, ভেড়া ও ছাগলের মতো গবাদি পশু। উটের ব্যবহার ও হরপ্পার লোকেরা জানত। ঘোড়ার ব্যবহার হরপ্পার মানুষেরা জানত। এছাড়া ঘুরে বেড়ানো পশুপালক গোষ্ঠী ছিল যারা ঘুরে ঘুরে পশু পালন করত।

২২ হরপ্পার মানুষদের পোশাক পরিচ্ছদ কেমন ছিল?

উঃ হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রাপ্ত মূর্তিগুলি থেকে এই সভ্যতার অধিবাসীদের পোষাক-পরিচ্ছদ ও অলংকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। নারী ও পুরুষের পোষাকে বিশেষ কোনো পার্থক্য ছিল না, উভয়েই ওপরের অংশটা শালের মতো এবং নিচের অংশটা ধুতির মত দেখতে পোষাক পরিধান করতো। পোষাক তৈরীর জন্য সুতি ও পশম ব্যবহার। এই সভ্যতায় নারী-পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন রকমের আংটি, গলার হার, কঙ্কন ইত্যাদি অলংকার ব্যবহার করত। অলংকার নির্মাণে সোনা, রুপোসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও বিভিন্ন দামি পাথর ব্যবহার করা হতো।

২৩ হরপ্পা সভ্যতার পাথর ও ধাতুর কারিগরি শিল্প সম্পর্কে যা জান লেখো

উঃ হরপ্পার কারিগরি শিল্পে পাথর ও ধাতু দুইয়েরই ব্যবহার হত। হরপ্পাবাসী লোহার ব্যবহার জানত না, তাই তারা কারিগরি শিল্পে তামা, কাসা ও ব্রোঞ্জ ধাতু ব্যবহার করত। এই সভ্যতায় তামা ও কাঁসার তৈরি ছুরি, কুঠার, বাটালি এবং মাটি ও ধাতুর তৈরি বাসনপত্র পাওয়া গেছে। জানা গেছে এই সভ্যতায় পাথরের ছুরি তৈরির কারখানা ছিল। 

২৪ হরপ্পা সভ্যতার মাটির পাত্রের বর্ণণা দাও।

উঃহরপ্পা সভ্যতায় নানা ধরনের মাটির পাত্র তৈরি হত। প্রতিদিনের ব্যবহার উপযোগী পাত্রই বেশি তৈরি করা হত এবং মাটির পাত্রগুলি পোড়ানোর ফলে সেগুলির রং হত লালচে। কিছু। মাটির পাত্রের গায়ে চকচকে পালিশ বা উজ্জ্বল কালো রঙের নকশা আঁকা হত। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই ধরনের পাত্রগুলিকে ‘লালকালো মাটির পাত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন।

২৫ হরপ্পার কাপড় বুনন শিল্প কেমন ছিল?

 উঃমহেনজোদারোতে পুরোনো কাপড় তৈরির নিদর্শন মিলেছে। পাশাপাশি এই সভ্যতায় কাপড়ে সুতোর কাজ করা শিল্পেরও চল ছিল, যার প্রমাণ মেলে মহেনজোদারোয় প্রাপ্ত এক পুরুষ মূর্তির গায়ের পোশাক থেকে। 

২৬ হরপ্পা সভ্যতার গয়না শিল্পের বর্ণণা দাও।

উঃ হরপ্পা সভ্যতার কারিগরি শিল্পের অন্যতম নমুনা অনেক রকম মালার দানা।  হরপ্পা সভ্যতায় সোনা, তামা, শাঁখ, দামি-কমদামি পাথর, হাতির দাঁত প্রভৃতির দ্বারা মালার দানা তৈরি করা হত। নীলচে লাপিস লাজুলি পাথরও গয়না বানাতে লাগত।

২৭হরপ্পা সভ্যতার শিল্প , ভাস্কর্য্য সম্পর্কে যা জান লেখ।

উঃহরপ্পা সভ্যতায় পাথর, ধাতুর ও পোড়ামাটির ভাস্কর্যের নজির পাওয়া যায়। একটি ব্রোঞ্জের তৈরী নারিমূর্তি পাওয়া গেছে মহেঞ্জোদাড়ো থেকে। ব্রোঞ্জের তৈরি কয়েকটি পশু- মূর্তি হরপ্পা সভ্যতায় পাওয়া গিয়েছে। নারী মূর্তি, পশু ও পাখির মূর্তিও পাওয়া গিয়েছে যা পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি।

২৮ হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে হরপ্পা সভ্যতার ভূমিকা আলোচনা কর।
অথবা, হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ। 

উত্তর:– হরপ্পা সভ্যতার ২৩টি সিলমোহর মিলেছে মেসোপটেমিয়ায়।বোঝা যায় যে হরপ্পা ও মেসোপটেমিয়া উভয় সভ্যতার মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন ছিল। হরপ্পা সভ্যতার যুগে পারস্য উপসাগরীয় এলাকার সমুদ্র বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আসলে নদীর স্রোত ও হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে নৌকার সাহায্যে নদীপথ ধরে বাণিজ্য চলত।  বিদেশ থেকে হরপ্পা সভ্যতায় আমদানি করা হত সোনা, রুপা, তামা, দামি পাথর হাতির দাঁতের তৈরি চিরুনি প্রভৃতি। আর হরপ্পা থেকে রপ্তানি করা হত বার্লি, ময়দা, তেল ও পশমজাত দ্রব্য প্রভৃতি। 

২৯ হরপ্পা সভ্যতা ধ্বংসের প্রধান প্রধান কারণগুলি লেখ।

 [1] বন্যা : মহেনজোদারো নগরে বিরাট পাঁচিলের গায়ে কাদার চিহ্ন মিলেছে। মনে করা হয় বন্যার ফলেই সম্ভবত এই কাদা জমেছিল। হরপ্পা নদের এই বন্যায় মহেনজোদারোর ক্ষতি হয়েছিল। 

[2] বৃষ্টিপাত কমে যাওয়াঃ  এশিয়া মহাদেশের অনেক জায়গাতেই বৃষ্টিপাত কমতে থাকে (খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ অব্দ নাগাদ থেকে), ফলে এই সভ্যতার সমগ্র অঞ্চল জুড়ে শুষ্ক জলবায়ু দেখা যায়। শুষ্ক জলবায়ুর কারণে কৃষিকাজ সমস্যার মুখে পড়ে। তা ছাড়া বাড়ি তৈরির ইট পোড়ানোর জন্য চুল্লির জ্বালানিরূপে কাঠ ব্যবহার করা হত। গাছ কেটেই এই কাঠের জোগান দেওয়া হত। ব্যাপকভাবে গাছ কেটে নেওয়ার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। 

[3] বাণিজ্যে ভাটা: মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে হরপ্পার বাণিজ্যে ভাটা পড়েছিল (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ অব্দের পর থেকে)। এর ফলে হরপ্পার অর্থনীতি সমস্যায় পড়ে। 

[4] নগর শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা : ধীরে ধীরে হরপ্পার নগর শাসনব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এইসব সমস্যাগুলি থেকে মুক্ত হতে না পারায় হরপ্পা সভ্যতা শেষ পর্যায়ে পৌঁছোয় ও ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়।

৩০ হরপ্পা সভ্যতার লিপি কী ?

উত্তর:–হরপ্পাবাসীরা লিখতে পারত। কিন্তু সেই লিপি আজ অবধি পড়া সম্ভব হয়নি। শুধু লিপি দেখে এই সভ্যতা সম্বন্ধে খানিকটা অনুমান করা গেছে। লিপিগুলিতে ৩৭৫ থেকে ৪০০টির মত চিহ্ন আছে। হরপ্পার লিপিগুলি লেখা হত ডানদিক থেকে বামদিকে। অনেকের অনুমান দ্রাবিড় ভাষার সঙ্গে হরপ্পার ভাষার মিল ছিল।পাত্র, সিলমোহর, তামার ফলকসহ নানা জিনিসের ওপরেই হরপ্পার লিপির খোঁজ পাওয়া গেছে। এই লিপিগুলি ঠিকমত ও সম্পূর্ণ পড়া গেলে ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক অজানা কথা জানা যাবে।

৩১ টীকা লেখঃ হরপ্পার সিলমোহর

উঃ হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সিলমোহর ব্যবহার করত। ভারতের বাইরে সুসা ও মেসোপটেমিয়াতেও হরপ্পার সিলমোহর আবিষ্কৃত হয়েছে। এই সিলমোহরগুলি তামা, ব্রোঞ্জ ও পোড়ামাটি ব্যবহার করা হতো।বেশির ভাগ সিলমোহরে একশিং ওলা একটি কল্পিত প্রাণীর ছবি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া শিং ওলা মানুষ, ষাঁড়, গাছ ও জ্যামিতিক নকশা খোদাই করা শিলমোহর পাওয়া গেছে।

৩২ হরপ্পা সভ্যতার ধর্ম সম্পর্কে যা জান লেখো।

উঃ প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, হরপ্পায় প্রাপ্ত পোড়ামাটির নারীমুর্তিগুলিকে হরপ্পা বা সিন্ধুর অধিবাসীরা মাতৃজ্ঞানে পূজা করত। হরপ্পা সভ্যতার মহেনজোদারোতে প্রাপ্ত এক সিলমোহরে এক যোগীমুর্তি ও তার পাশে গন্ডার, বাঘ, হাতি ও ষাঁড় দেখে মনে করা হয়, যে তারা আদি পশুপতি শিবের পূজা করত।হরপ্পায় পাওয়া সিলমোহরে ষাঁড়ের ছাপ দেখে মনে করা হয় যে, তারা ষাঁড়ের পূজা করত। তা ছাড়া সিলমোহর ও মাটির পাত্রে অশ্বথ গাছ ও পাতার ছবি দেখে মনে করা হয় যে, তারা এই গাছকে দেবতা হিসেবে পূজো করত।

৩৩ হরপ্পা সভ্যতায় নারীর অবস্থান কেমন ছিল?

উঃহরপ্পা সভ্যতার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক। এই সভ্যতার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রাপ্ত অর্ধনগ্ন নারীমূর্তিগুলি দেখে ঐতিহাসিকরা অনুমান করেন যে এই সভ্যতায় নারীরা যথেষ্ট স্বাধীনতা ভোগ করতো এবং দেবী মূর্তিপূজার প্রচলন থেকে অনুমান করা হয় এই সভ্যতায় নারীদের বিশেষ সম্মান ছিল।

Click Here To Download  The PDF

রাধারাণী|নবম শ্রেণী| প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Radharani| Class 9| Question-Answer solved

2

রাধারাণী

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়

. রাধারাণী কোথায় গিয়েছিল?

উত্তর: রাধারাণী মাহেশে রথের মেলায় গিয়েছিল।

বিধবা হাইকোর্টে  হারিল |” এখানে কোন মামলার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে রাধারাণীর মায়ের যে মামলা হয়েছিল এখানে সেই মামলায় কথাই বলা হয়েছে | 

.হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে রাধারাণীদের কী অবস্থা হয়েছিল?

উত্তর: হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে ডিক্রি জারি করে রাধারাণীদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।

. হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীদের দিন কীভাবে কাটত?

উত্তর: হাইকোর্টে হেরে গিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে রাধারাণীর মা কুটিরে থাকেন এবং দৈহিক পরিশ্রমে কোনোরকমে তাদের দিন কাটে।

. “সুতরাং আর আহার চলে না”-এই না চলার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?

উত্তর: রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে খাবার জোগাড়ের অবস্থা আর থাকে না।

. ‘রাধারাণীগল্পে কোন্ মাসের উল্লেখ আছে?

উত্তর: রাধারাণী’ গল্পে শ্রাবণ মাসের উল্লেখ আছে।

, রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য কী করেছিল?

উত্তর: মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল।

, রাধারাণী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন?

উত্তর: রাধারাণী বনফুলের মালা বিক্রি করে মার পথ্য সংগ্রহ করবে বলে মাহেশের রথের মেলায় গিয়েছিল।

, “রথের হাট শীঘ্র ভাঙিয়া গেল|–কেন?

উত্তর:রথের হাট প্রবল বৃষ্টির কারণে শীঘ্রই ভেঙে গিয়েছিল।

১০, “মালা কেহ কিনিল না” —মালা না কেনার কারণ কী ছিল?

উত্তর: রথের দড়ির টান অর্ধেক হতে না হতেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে গেলে মালা কেনার লোক থাকে না।

১১. “এক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিল।‘—কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: অন্ধকারে বাড়ি ফেরার সময় কোনো একজন রাধারাণীর ঘাড়ের উপরে পড়ায় রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে।।

১২, “রাধারাণী রোদন বন্ধ করিয়া বলিল…”-রাধারাণী কী বলেছিল?

উত্তর: রাধারাণী কান্না বন্ধ করে বলেছিল সে দুঃখী লোকের মেয়ে এবং তার মা ছাড়া কেউই নেই।

১৩, “রাধারাণী বড়ো বালিকা।‘–কীভাবে এই ধারণা হয়েছিল?

উত্তর: পথিক প্রথমে রাধারাণীর গলার আওয়াজে এবং পরে তার হাতের ছোঁয়ায় বুঝতে পারেন রাধারাণী খুবই ছোটো একটি মেয়ে।

১৪, রাধারাণীকে বয়স জিজ্ঞাসা করলে সে কত বলেছিল?

উত্তর: রাধারাণী প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল যে, তার বয়স দশ-এগারো বছর।

১৫, “এক্ষণেও বালিকার হৃদয়মধ্যে লুক্কায়িত আছে।”—কী লুক্কায়িত আছে?

উত্তর:: যে বনফুলের মালা রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল তা-ই রাধারাণীর বুকের মধ্যে লুকানো ছিল।

১৬. “আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম”—পথিক চরিত্রটি মালার সন্ধান করছিল কেন?

উত্তর: পথিক চরিত্রটি তার গৃহদেবতাকে পরানোর জন্য মালার সন্ধান করছিল।

১৭ যে বড়ো বড়ো ঠেকচে |’—কীসের সম্পর্কে কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: রাধারাণীকে মালার দাম হিসেবে পথিক চার পয়সা দিলে তা অন্ধকারে তার কাছে অনেক বড়ো মনে হয়।

১৮তুমি ভুলে টাকা দাও নাই তো?”—কেন বক্তা কথা বলেছে?

উত্তর: মালার দাম হিসেবে দেওয়া পয়সার আকৃতি এবং অন্ধকারেও তার ঔজ্জ্বল্য দেখে বকা রাধারাণী প্রশ্নোপ্ত মন্তব্যটি করে।

১৯ ‘…তখন ফিরাইয়া দিব।”—কখন ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: ঘরের আলোয় ভালোভাবে দেখে পথিকের দেওয়া মুদ্রাটি টাকা হলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

২০তারপর প্রদীপ জ্বালিয়ো।‘—তারপরবলতে বক্তা কীসের পর প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন?

উত্তর: রাধারাণী’ রচনাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে বক্তা ‘তারপর’ বলতে ঘরে গিয়ে রাধারাণীর ভেজা কাপড় ছাড়ার পর বুঝিয়েছেন।

২১আমি ভিজা কাপড়ে সর্বদা থাকি।”—কেন বক্তা সর্বদা ভিজে কাপড়ে থাকে?

উত্তর: বক্তা রাধারাণীর মাত্র দুটি কাপড় থাকায় সে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকে |

২২আমার ব্যামো হয় না। কোন প্রসঙ্গে কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: মাত্র দুটি কাপড় থাকায় রাধারাণীকে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকতে হয়, এই প্রসঙ্গেই এ কথাটি বলা হয়েছে |

২৩আগুন জ্বলিতে কাজে কাজেই একটু বিলম্ব হইল।”—এই বিলম্ব হওয়ার কারণ কী?

উত্তর: ঘরে তেল না থাকায় চালের খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাতে গিয়ে রাধারাণীর বিলম্ব হয়।

২৪আলো জ্বলিয়া রাধারাণী দেখিল।”—কী দেখল?

উত্তর: আলো জ্বেলে রাধারাণী দেখেছিল পথিক যা পয়সা বলে দিয়েছিল, তা আসলে টাকা।

২৫. তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া তল্লাশ করিয়া দেখিল যে…” রাধারাণী কী দেখেছিল?

উত্তর: রাধারাণী দেখেছিল যে তাকে যে ব্যক্তি টাকা দিয়েছিলেন তিনি আর দরজার বাইরে নেই, চলে গেছেন।

২৬. “বড়ো শোরগোল উপস্থিত করিল।”—এই শোরগোলের কারণ কী?

উত্তর: রাধারাণীদের কুটিরের দরজার ঝাপ ঠেলে ‘কাপুড়ে মিনসে’ পদ্মলোচনের আসার ফলে এই শোরগোল হয়েছিল।

২৭. “…তিনিই বুঝি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন।’- কার কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর: বনফুলের মালার দাম হিসেবে রাধারাণীকে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিলেন যিনি সেই পথিকের কথা এখানে বলা হয়েছে।

২৮. পদ্মলোচনকে পথিক কী বলেছিল?

উত্তর: পদ্মলোচনকে পথিক দুটি কাপড়ের দাম নগদে মিটিয়ে দিয়ে সেগুলি তিনি রাধারাণীকে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন।

২৯. রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলোচনের পরিচয় কবে থেকে?

উত্তর: রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলোচনের পরিচয় রাধারাণীর বাবার আমল থেকে |

৩০. … প্রসন্ন মনে দোকানে ফিরিয়া গেলেন।”—এই প্রসন্নতার কারণ কী?

উত্তর: পদ্মলোচন রুক্মিণীকুমারের কাছ থেকে চার টাকার কাপড়ের দাম আট টাকা সাড়ে চোদ্দো মানা আদায় করে প্রসন্ন হয়েছিল।

৩১. রাধারাণী প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে কী করেছিল?

উত্তর: রাধারাণী বাজারে গিয়ে প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে মায়ের পথ্য তৈরির জিনিসপত্র ও প্রদীপের তেল কিনেছিল।

৩২) লোকটি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে রাধারাণীৱ কাছ থেকে কী কথা জেনেছিল?

উত্তর : লোকটি জেনে নিল যে, রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য বনফুলের মালা গেঁথে রথের হাটে বেচতে গিয়েছিল, কিন্তু মালা বেচা হয়নি।

নম্বরের প্রশ্নের উত্তর

কিন্তু আর আহারের সংস্থান রহিল না।” – এই সংস্থান না থাকার কারণ আলোচনা কর।

অথবা, রাধারাণীর মার দৈন্যদশার কারণ কী?

উত্তর: একজন জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে মামলায় রাধারাণীর বিধবা মা হাইকোর্টে হেরে যায়। জ্ঞাতি ডিক্রি জারি করে তাদের পিতৃপুরুষের ভিটে থেকে উচ্ছেদ করে দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তির দখল নেয়। খরচ এবং পাওনা শোধ করতে বাকি সব অর্থ চলে যায়। গয়না ইত্যাদি বিক্রি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করলেও সেখানেও তারা হেরে যায়।এভাবেই খাবার জোগাড়ের অবস্থা তাদের আর থাকে না।

)“রাধারাণীর বিবাহ দিতে পারিল না!’রাধারাণীর বিবাহ দিতে না পারার কারণ আলোচনা কর।

উত্তর: সম্পত্তির অধিকার নিয়ে এক জ্ঞাতির সঙ্গে মামলায় হেরে যাওয়ায় রাধারাণীর বিধবা মার প্রায় দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি হাতছাড়া হয়। নগদ টাকা যেটুকু ছিল তা পাওনা শোধ ইত্যাদিতে ব্যয় হয়ে যায়। গয়নাগাটি বিক্রি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করায় তারা আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যায়। এই দারিদ্র্যের কারণেই দৈহিক পরিশ্রম করে কোনো রকমে বেঁচে থাকা রাধারাণীর মার পক্ষে রাধারাণীর বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

)“অগত্যা রাধারাণী কাদিতে কাঁদিতে ফিরিল।”—রাধারাণীর কেঁদে কেঁদে ফেরার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: রাধারাণী বুনোফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় গিয়েছিল, তা বিক্রি করে মার পথ্য সংগ্রহ করতে। কিন্তু রথ অর্ধেক টানা হওয়ার পরেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যায়। রাধারাণী তবুও মেলায় ভিড় আরও জমবে এবং তার মালাও বিক্রি হবে এই আশায় বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে। কিন্তু রাত হওয়ার পরেও বৃষ্টি না থামায় তার আশা ভেঙে যায়। মালা বিক্রি না হওয়ায় রাধারাণী অন্ধকারে কাদতে কাদতে বাড়ির পথ ধরল।

)“কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল।কার কণ্ঠস্বর শুনে কেন রাধারাণীর রোদন বন্ধ হয়েছিল?

উত্তর: রাধারাণী’ গল্পাংশের উল্লিখিত অংশে পথিকের গলার আওয়াজ শুনে রাধারাণীর কান্না বন্ধ হয়েছিল।

* রথের মেলায় বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ার কারণে মালা বিক্রি না হওয়ায় রাধারাণী যখন কাঁদছে, অন্ধকারে কেউ তার ঘাড়ের উপরে এসে পড়ে। ভয়ে রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে। তখন সেই অপরিচিত ব্যক্তি প্রশ্ন তার পরিচয় জানতে চান, চেনা লোক না হলেও গলার আওয়াজেরাধারাণী দয়ালু মানুষের উপস্থিতিই যেন বুঝতে পেরেছিল। তাই তার কান্না বন্ধ হয়েছিল।

) “তুমি দাঁড়াও, আমি আলো জ্বালি”—এই আলো জ্বালার কারণ আলোচনা করো

উত্তর: প্রবল বৃষ্টিতে রথের মেলা ভেঙে যাওয়ায় রাধারাণীর মালা বিক্রি হয়নি। এর ফলে রাধারাণী কাঁদতে কাঁদতে অন্ধকার পথে ফেরার সময় এক পথিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে রাধারাণীর মালাটি চার পয়সা দিয়ে কিনে নেয়। কিন্তু রাধারাণীর সন্দেহ হয় যে তাকে দেওয়া মুদ্রাগুলি বড়ো এবং চকচক করছে| পথিক ‘ডবল পয়সা’, ‘নূতন কলের পয়সা’ ইত্যাদি বললেও নির্লোভ রাধারাণী বাড়িতে গিয়ে তা আলোয় পরীক্ষা করে নেওয়ার কথা জানায়।

)“মা! এখন কী হবে?— কথা বলার কারণ কী?

উত্তর:রাধারাণী’ গল্পাংশে মালার দাম হিসেবে পথিক রাধারাণীকে চার পয়সা দেওয়ার পরেও রাধারাণীর সন্দেহ হয় পথিক পয়সার বদলে টাকা দিয়েছে।পথিক অস্বীকার করলেও রাধারাণী বাড়িতে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে সেটি দেখার কথা বলে এবং পথিককে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে। রাধারাণী চকমকি ঠুকে আগুন জ্বেলে দেখে তার অনুমান ঠিক। পথিক তাকে টাকাই দিয়েছে| কিন্তু বাইরে এসে দেখে যে পথিক চলে গিয়েছে | এই অবস্থাতে রাধারাণী অসহায় হয়ে মায়ের কাছে জানতে চায় যে সেই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত।

)“নোটখানি তাহারা ভাঙাইল না৷”—নোটখানি কারা কেন ভাঙাল না?

উত্তর: রাধারাণী’ গল্পাংশে রাধারাণী আর তার মা পথিকের ফেলে যাওয়া নোটটি ভাঙাল না|

রাধারাণী এবং তার মা পথিক রুক্মিণীকুমার রায়ের ফেলে যাওয়া নোটটি ভাঙায়নি তার কারণ এর আগে মালার দাম হিসেবে তিনি যে টাকা দিয়েছিলেন তাতেই তাদের প্রয়োজন মিটে গিয়েছিল। নোটটি তাদের প্রয়োজন ছিল না। তাই তারা নোটটি তুলে রাখল। কেননা তারা দরিদ্র হলেও লোভী ছিল না।

নম্বরের প্রশ্নঃ

 

) সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রাধারাণীকাহিনি অবলম্বনে রুক্মিণীকুমার রায় বাধাৱানীৱ মায়ের চরিত্র আলোচনা কর।

উত্তর : সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ রাধারাণী’ কাহিনিতে রাধারাণী বাদে আরো দুটি চরিত্র উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়ে অবস্থান করছে। প্রথমটি রুক্মিণীকুমার রায়, দ্বিতীয়টি রাধারাণীর বিধবা মা।

রুক্কিাণীকুমার রায়  এই অপরিচিত মানুষটির সাহায্য-সহযোগিতা, মমত্ব, দয়া, দানশীলতা ইত্যাদি গুণ কাহিনিতে প্রকাশিত হয়েছে।অন্ধকারে পথ হাঁটতে গিয়ে অনিচ্ছায় ও ভুলক্রমে বালিকা রাধারাণীর ঘাড়ের ওপর পড়েন। রাধারাণীর কান্না শুনে তাঁর চমক ভাঙে। তিনি যখন রাধারানীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন তখন একটি অসহায় বালিকাকে তার বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেন, শুধু তাই নয়, কাদা রাস্তায় বালিকা যাতে পা পিছলে আছাড় না খায় সেজন্য বালিকাকে তাঁর হাত ধরতে বলেছেন। বালিকার অবিক্রিত মালা চার পয়সার বিনিময়ে কিনে নিলেও দিয়েছেন টাকা। তিনি দাতা, দানশীলতা তাঁর চারিত্রিক গুণ। এই গুণের আরও পরিচয় হলো রাধারাণীর জন্য শাড়ি কিনে পাঠানো, নিজের নাম স্বাক্ষরিত নোট ফেলে যাওয়া।

রাধারাণীর বিধবা মা তেজস্বিনী ও সংগ্রামী মহিলা। জ্ঞাতি লোকটির সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে মোকদ্দমা লড়েছেন। হেরে গেছেন, সর্বস্ব গিয়ে নিঃস্ব হয়ে কুটিরবাসী হয়েছেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি। নিজের গহনা বিক্রি করে প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করেছেন। আহার সংগ্রহের জন্য তাঁকে কঠোর শ্রম করতে হচ্ছে। তাতেও তিনি মনের দিক থেকে ভেঙে পড়েননি। যখন তিনি বুঝতে পেরেছেন যে একজন অপরিচিত ব্যক্তি তাদের দান করেছেন তখন মেয়েকে সৎ পরামর্শই দিয়েছেন, সে দাতা, আমাদের দুঃখ শুনিয়া দান করিয়াছে—আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি।তিনি নির্লোভ ছিলেন, তাই নোট কুড়িয়ে পেয়ে তিনি তা যত্ন করে রেখে দিয়েছেন, বিলাসিতা করেন নি।

) ‘তাহাৱা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহেউৎস প্রসঙ্গ নির্দেশ করে উদ্ধৃতিৱ তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও?

উত্তর : উৎস ও প্রসঙ্গ : আলোচ্য উদ্ধৃতিটি সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘রাধারাণী’ কাহিনি থেকে গৃহীত। মাকে পথ্য দেওয়ার জন্য স্থানটা পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে রাধারাণী ঝাট দিতে গিয়ে একখানি কাগজ পায়। তার মা দেখেন যে সেটি কাগজ নয় একখানা নোট। নোটের ওপর রাধারাণীর নাম লেখা । দাতা রাধারাণীকে নোটখানা দিয়েছেন। নোটের ওপর দাতারও নাম লেখা। দাতার খোঁজ না পেয়ে তারা নোটটি না ভাঙিয়ে তুলে রাখে। এই প্রসঙ্গে লেখকের উধৃত মন্তব্য।

তাৎপর্য : রাধারাণীরা এখন প্রকৃতই গরিব। তাদের এক জ্ঞাতি হাইকোর্টের ডিক্রির জোরে রাধারাণীদের সর্বস্ব দখল করেছে। সব হারিয়ে তার বিধবা মা তাকে নিয়ে কুটিরবাসিনী। ঘরে প্রদীপ জ্বালার তেলটুকু নেই। দেশলাই নেই। চকমকি ঠুকে আলো জ্বালতে হয়। রাধারাণীর পরবার একটিমাত্র শাড়ি আছে। সেটি ভিজিয়ে ফেললে সেই ভিজে কাপড় শরীরেই শুকায়। এমন গরিব হয়েও টাকার নোট পেয়ে তা ভাঙিয়ে আত্মসাৎ করে না। নোটের স্বাক্ষরকারীর খোঁজ না পেয়ে তা ভাঙানো অনুচিত বলে তাদের মনে হয়েছে। রুক্মিনীকুমারের দেওয়া টাকাতে তাদের আহারের প্রয়োজন মিটে যাওয়ায় তারা আর নোট ভেঙ্গে বিলাসিতা করার কথা ভাবতেও পারে না।তাই তাদের নির্লোভী বলা হয়েছে।

) সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা রাধারাণীকাহিনি অবলম্বনে রাধারাণী চরিত্র আলোচনা কর।

উত্তরঃসাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘রাধারাণী’ কাহিনির প্রধান চরিত্র রাধারাণী। রাধারাণী এগারো বছর বয়সের বালিকা। তার বিধবা মায়ের একমাত্র কন্যাসন্তান। সে অত্যন্ত বাস্তববাদী। সে নিজমুখে রুক্মিণীকুমারকে পরিচয় দিয়েছে ‘আমি দুঃখীলোকের মেয়ে বলে। প্রকৃতপক্ষে সে ধনী ও সুখী পরিবারের মেয়ে ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব কুটিরবাসী হয়েছে। তাই বুদ্ধিমতী বালিকা রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে একা রথের মেলায় গেছে মালা বিক্রি করে সেই পয়সায় মায়ের পথ্যের ব্যবস্থা করতে। বালিকার এই উপস্থিত বুদ্ধি, সাহস ও মায়ের প্রতি মমত্বের তুলনা হয় না।

রাধারাণী অপরিচিত মানুষটির কাছে কোনো কথা গোপন করেনি। তার সত্যবাদিতা ও সারল্য প্রশংসনীয়। সে সৎ মনোভাবের বালিকা। ফুলের মালার ন্যায্য মূল্যই সে চায়। সেজন্য পয়সা না টাকা তা নিয়ে তার সংশয় মেটানোর জন্য লোকটিকে নানাভাবে প্রশ্ন করেছে। এমনকি আলো জ্বেলে টাকা দেখার পরে টাকা ফেরত দিতে গিয়ে সে যখন দেখে লোকটি চলে গেছে তখন টাকা ফেরত দিতে না পারায় সে সংশয় অনুভব করে। মালা বিক্রি করে সেই মূল্যে বাবদ দানের টাকা খরচ করেছে, কিন্তু ঘরে পড়ে থাকা নোটে মালিকের নাম লেখা থাকা স্বত্তেও তা সে খরচ করতে পারে না। সে আসলে লোভী নয়।তার মায়ের এসব শিক্ষা ও পরামর্শ রাধারাণীর জীবনে পরম সম্পদ।


)“আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি।”—বক্তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট গল্পাংশ অবলম্বনে আলোচনা কর।

উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ রাধারাণী’ গল্পাংশে রাধারাণীর মা এই উক্তিটি করেছেন | রাধারাণীর পরিবার একসময় খুবই সম্পন্ন ছিল। কিন্তু রাধারাণীর বাবার মৃত্যুর পরে এক জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি সম্পর্কিত বিবাদে জড়িয়ে গিয়ে, হাইকোর্টে হেরে মামলার খরচ ও ওয়াশিলাত অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ দিতে, প্রিভি কাউন্সিলে আবেদন করতে রাধারাণীর মা নিঃস্ব হয়ে যান। রাধারাণীর মা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দিন কাটাতে থাকেন। মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়। উপোস করে দিন কাটানো শুরু হয়। অসুস্থ মায়ের পথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গেলেও বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ায় তার মালা বিক্রি হয় না। ফেরার পথে এক পথিক সব শুনে চার পয়সায় মালাটি কিনে নেয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে পথিককে বাইরে দাড়াতে বলে সে আগুন জ্বালিয়ে যখন দেখে তাকে পয়সার বদলে টাকা দেওয়া হয়েছে, তখন বাইরে বেরিয়ে সে পথিককে খুঁজে পায় না | বিভ্রান্ত হয়ে রাধারাণী তার মায়ের কাছে পরামর্শ চাইলে মা বলেন যে, দাতা অর্থ দিয়েছেন এবং দরিদ্র বলেই তাদের তা গ্রহণ করে খরচ করা ছাড়া অন্য উপায় নেই |

()’রাধারাণীরচনাংশ অবলম্বনে সেকালের সমাজজীবনের পরিচয় দাও। |

উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ রাধারাণী’ রচনাংশটি কোনো সামাজিক সমস্যা ও সংকটকে অবলম্বন করে রচিত না হলেও কাহিনির প্রেক্ষাপটে সমাজ উঁকি দিয়েছে বারেবারেই রাধারাণীর মার নিঃস্ব হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ কিংবা মামলা-মোকদ্দমা তখন যথেষ্টই ছিল|রথের মেলা উপলক্ষ্যে লোকের ভিড় গ্রামবাংলারই জীবন্ত ছবি | দারিদ্র্য কত কষ্টকর হতে পারে তার পরিচয় পাওয়া যায় যখন রাধারাণীদের খাবার জোটে না, কিংবা রাধারাণী জানায় তার দুটি ভিন্ন কাপড় নেই—ভিজে কাপড়ে থাকতেই সে অভ্যস্ত। কাপড়ের ব্যবসায়ী পদ্মলোচন সাহা অসৎ ব্যাবসাবৃত্তির প্রতীক হয়ে থাকে, যে চার টাকার কাপড় আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনায় বিক্রি করে। মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার যে চল ছিল তা বোঝা যায় যখন রাধারাণী সম্পর্কে লেখক বলেন—“রাধারাণী বড়োঘরের মেয়ে, একটু অক্ষরপরিচয় ছিল।”রাধারাণী এবং তার মায়ের রুক্মিণীকুমার রায়ের রেখে যাওয়া নোট তুলে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় পদ্মলোচনের মতো অসৎ চরিত্রের বিপরীতে সৎ এবং আদর্শবাদী মানুষও তখন সমাজে যথেষ্ট ছিল।

Click Here To Download  The Pdf

হিমালয় দর্শন| নবম শ্রেণী| প্রশ্ন-উত্তর সমাধান | Himalay Darshan| Class 9| Question-Answer Solved

5

হিমালয় দর্শন

বেগম রোকেয়া

হিমালয় দর্শন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

হিমালয় দর্শন’-এর রচয়িতা কে?

উঃ বেগম রোকেয়া

হিমালয় দর্শনরচনাটির প্রকৃত নাম কি?

উঃ কূপমণ্ডুকের হিমালয় দর্শন’

নিম্ন উপত্যকায়নির্মল শ্বেত কুঞ্ঝাটিকা দেখে লেখিকার কি মনে হচ্ছিল?

উঃ নদী

গাড়িগুলি এঁকেবেঁকে চলার সময় একটি বিশেষ ধরনের শব্দ করে। শব্দটি হল – 

উঃ কটাটটা

আমি পূর্বে দেখি নাই।‘—লেখিকা পূর্বে কী দেখেননি

উঃ বড়ো বড়ো ঘাস 

একটি বড়ো ঝরনার কাছে ট্রেন থেমেছিল কেন?

উঃ জল পরিবর্তনের জন্য 

কারসিয়ং স্টেশনের উচ্চতা কত?

উঃ ৪,৮৬৪ ফুট 

৮ ৱেল পথে যাওয়ার সময় জলপ্রপাত বা ঝরনা দেখে লেখিকার কী মনে হল?

উত্তর : লেখিকার মনে হল জলপ্রপাত ও ঝরনার সৌন্দর্য বর্ণনার অতীত, তা ছাড়া ভীমবেগে প্রবাহিত জলধারা পাষাণ হৃদয় বিদীর্ণ করছে।

৯ কীভাবে লেখিকার মনোৱথ পূর্ণ হল?

উত্তর : রেলগাড়ি একটি বড় ঝরনার কাছে ইঞ্জিনে জল নেওয়ার জন্য থেমে যাওয়ায় লেখিকার ঝরনা দেখার মনোরথ পূর্ণ হয়।

১০ লেখিকাৱা বাসায় হাজির হয়েও গৃহসুখ অনুভব করতে পারলেন না কেন?

উত্তর : গৃহসুখ অনুভব করতে পারলেন না, কারণ ভ্রমক্রমে তাঁদের ট্রাংকগুলি দার্জিলিং-এ -এর ঠিকানায় চলে যায়।

১১ আসবাবপত্র ফিরে আসায় গৃহসুখে থেকে লেখিকাৱ কী উপলব্দি হল

উত্তর : গৃহসুখে থেকে লেখিকার এই উপলব্ধি হল যে, আশ্রয় পেলেই গৃহসুখ আসে না, সেজন্য প্রয়োজনীয় আসবাব সরঞ্জামও চাই।

১২ প্রাকৃতিক শোভা কীসের জন্য শতগুণ বৃদ্ধি পয়েছে ?

উত্তর : সবুজ চা-বাগানগুলির জন্য পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৩ কাকে ধৱণীৱ সীমান্তের মত দেখায়?

উত্তর : দূর থেকে সারিবদ্ধ চা-বাগানের মধ্য দিয়ে মানুষের চলার সরু পথগুলিকে ধরণীর সীমান্তের মত দেখায়।

১৪হিমালয় দর্শনৱচনাংশে লেখিকা কীসেৱ সৌন্দর্যকে বর্ণনাতীত বলেছেন?

উত্তর : লেখিকা হিমালয়ান রেলপথ ধরে কারসিয়াং যাওয়ার সময় কতকগুলি জলপ্রপাত দেখেছিলেন, সেগুলির সৌন্দর্যকে বর্ণনাতীত বলেছেন।

১৫কেবল ভূতত্ত্ব গ্রন্থে পাঠ করিয়াছিলামভূতত্ত্ব গ্রন্থে লেখিকা কী পাঠ করেছিলেন?

উত্তর : কেবল ভূতত্ত্ব গ্রন্থে লেখিকা বেগম রোকেয়া পাঠ করেছিলেন যে, কারবনিফেরাস যুগে বড়ো বড়ো ঢেকিগাছ ছিল।

১৬মেঘখণ্ডকে তাড়াইয়া লইয়া চলিল। মেঘখণ্ডকে কে তাড়িয়ে নিয়ে চলল?

উত্তর; বাতাস ও মেঘের লুকোচুরি খেলায় উলটো দিক থেকে বয়ে আসা বাতাস মেঘখণ্ডকে তাড়িয়ে নিয়ে চলল।

১৭ কাৱসিয়াং লেখিকার কী দেখে আনন্দ হল?

উত্তর : কারসিয়াং-এ কারবনিফেরাস যুগের ঢেঁকিগাছ দেখে লেখিকা বেগম রোকেয়ার ভারী আনন্দ হল।

১৮ কাদেৱ কী তামাশা দেখে লেখিকা সময় অতিবাহিত করেন?

উত্তর : অস্তগামী সূর্যের সোনা রোদ মেখে সুকুমার মেঘগুলি বায়ু ভরে ইতস্তত ছোটাছুটি করে, সেই তামাশা দেখে লেখিকা সময় কাটান।

১৯ হিমালয়ান রেলগাড়ি আকৃতিতে, উচ্চতায় গাততে কেমন?

উত্তর : হিমালয়ান রেলগাড়ি আকারে ছোটো খেলনা গাড়ির মত, উচ্চতা খুব নীচু, গতি কম, অনায়াসে ওঠা-নামা সম্ভব।

২০বেশ সুন্দর দেখায়এখানে লেখিকা কোন্ দৃশ্যের কথা বলেছেন?

উত্তর : হিমালয়ান রেলগাড়ির ছোটো গাড়িগুলি খেলনার মত বেশ সুন্দর, লেখিকা বেগম রোকেয়া সেই দৃশ্যের কথা বলেছেন।

২১সহসা নদী বলিয়া ভ্রম জন্মে।নদী বলে কাকে ভ্ৰম জন্মায়?

উত্তর : নীচে উপত্যকায় নির্মল শ্বেত কুয়াশা দেখে লেখিকা বেগম রোকেয়ার ভ্ৰম জন্মায়।

২২একথা সহসা বিশ্বাস হয় কি?” কোন্ কথা বিশ্বাস কৱাৱ কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর : রেলপথ থেকে দৃশ্যমান জলপ্রপাতের মধ্যে কোন একটি বিশালকায় জাহ্নবীর উৎস, এ কথা বিশ্বাস করার কথা বলা হয়েছে।

২৩ পার্বত্য অঞলে নির্ভয়ে বেড়াতে পাৱাৱ কথা লেখিকা কেন বলেছেন?

উত্তর : পার্বত্য অঞলে লেখিকা বেগম রোকেয়া নির্ভয়ে বেড়াতে পারার কথা বলেছেন, কারণ কারসিয়াং- এর বনে বাঘ নেই।

২৪ কাৱসিয়াংএর ভুটিয়া মেয়েৱা জোককে ভয় পায় না কেন?

উত্তর ; ভয় পায় না, কারণ জোঁক ক্ষতি করে না, রক্ত শোষণের কাজ শেষ হলে চলে যায়।

২৫ভুটিয়া মেয়েদের পোশাক কেমন?

উত্তর ;  পোশাক হল পরনে সাত গজ কাপড়ের ঘাঘরা, কোমরে টুকরো কাপড় জড়ানো, গায়ে জ্যাকেট, মাথা ঢাকা বিলিতি শালে।

২৬ ভুটিয়ারা  নিজেদেৱ কী বলে পরিচয় দেয় আর পাহাড়ের নীচের মানুষদেৱ কী বলে?

উত্তর : ভুটিয়ানিরা নিজেদের পাহাড়নি’ বলে পরিচয় দেয় আর পাহাড়ের নীচের মানুষজনকে বলে ‘নীচেকা আদমি’।

২৭ ভুটানি মেয়েরা কীৱকম স্বভাবের মেয়ে?

উত্তর : ভুটানি মেয়েরা শ্রমশীলা, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী স্বভাবের।

২৮ ভুটানি মেয়েরা কী কাৱণে সদগুণরাজি হাৱাচ্ছে ?

উত্তর : ভুটানি মেয়েরা ‘নীচেকা আদমি’-দের সঙ্গে মেলামেশার ফলে ক্রমশ তাদের সদ গুনরাজি হারাচ্ছে।

২৯ ভুটানি রমণীরা কীভাবে নীচেকা আদমিদেৱ কাছ থকে অসৎ বিষয় শিখছে ?

উত্তর : ভুটানি রমণীরা নীচেকা আদমি’-দের কাছ থেকে শিখছে বাজারের পয়সা চুরি করা ও দুধে জল মেশানো।

৩০ বড় ঝরনাৱ কল্লোল গীতি শুনে ঈশ্বৱভক্তিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে লেখিকা কী বলতে চাইলেন

উত্তর : লেখিকা বলতে চাইলেন যে, প্রবহমান নির্ঝরের মত প্রাণটাও ঈশ্বরের পদপ্রান্তে কেন লুটিয়ে পড়ে না।

৩১ পাহাড়ে এসে লেখিকা কী মনে করছেন?

উত্তর : পাহাড়ে এসে লেখিকা নিজেকে সুখী ও ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ মনে করছেন।

৩ নম্বরের প্রশ্ন- উত্তর

১। বেগম রোকেয়ার অনুসরণে শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়াং যাত্রাপথের বর্ণনা দাও।

উঃ বেগম রোকেয়ার রচিত ‘ হিমালয় দর্শন’ লেখ্য থেকে জানতে পারি যে তিনি দার্জিলিং চলেছেন। এখানে তিনি শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়াং যাত্রাপথের অপরূপ বর্ননা দিয়েছেন। লেখিকা হিমালয়ান রেলওয়ের টয়ট্রেনে চড়ে পাহারে উঠছেন। পাহাড়ের আঁকিবুঁকি রাস্তা চিরে , মেঘের মধ্যে দিয়ে ‘কটাটটা’ শব্দ করতে করতে রেলগাড়ি এগিয়ে চলেছে। পথের দুই ধারের মনোরম দৃশ্য লেখিকার মন ছুয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ের চুড়ো, নীচে নেমে যাওয়া উপত্যকার পাশাপাশি চারিপাশের লতা, ঘাসপাতা ইত্যাদিও লেখিকার মনোরম লাগছে। এসবের মধ্যে বিশেষ ভাবে লেখিকার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে পাহাড়ি ঝর্ণা বা জলপ্রপাত। যান্ত্রিক কারণে ট্রেন একটি জলপ্রপাতের সামনে থামলে লেখিকা মন ভরে তার শোভা পর্যবেক্ষণ করেন। এভাবেই তিনি পাহাড়ের মায়াবী রাজ্যের মধ্যে দিয়ে নিজের গন্তুব্যস্থলে পৌঁছান।

২। বাসায় পৌঁছানোর বেগম রকেয়া কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বুঝিয়ে বলো।

বা

 কাৱসিয়াংএর বাসায় লেখিকা কিছু সময়েরজন্য গৃহসুখ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন কেন এবং ব্যাপারে তাঁর অভিজ্ঞতাই বা কী?

উঃকারসিয়াং রেলস্টেশনে নেমে লেখিকা বেগম রোকেয়া কিছুটা দূরে বাসায় পৌঁছেছিলেন। ভুল করে তাঁদের আসবাবপত্রের ট্রাংক দার্জিলিং-এর ঠিকানায় চলে যাওয়ায় তাঁরা কিছু সময় গৃহসুখ থেকে বঞ্চিত হন। অবশ্য সন্ধ্যার গাড়িতে ট্রাংকগুলি ফিরে আসে। তখন সেগুলি যথারীতি বাসায় পৌঁছায়। লেখিকা তারপর গৃহসুখ অনুভব করতে পারেন। লেখিকার মনে হয়, তাঁরা দার্জিলিং যাওয়ার আগে তাঁদের জিনিসপত্র দার্জিলিং-এর বায়ু সেবন করে নিজেদের চরিতার্থ করে। এই ঘটনা থেকে লেখিকার অভিজ্ঞতা হল যে, কেবল বাস করার আশ্রয় পেলেই বাস করা সুখের হয় । প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আসবাব সরঞ্জাম থাকলে তবেই গৃহে সুখপ্রাপ্তি পূর্ণতা পায় ।

৩। ইহাদেৱ এই তামাশা দেখিতেই আমার সময় অতিবাহিত হয়।–“ইহাদেৱবলতে কী? তাদেৱ তামাশাৱ বর্ণনা দাও।
উত্তর: ‘ইহাদের’ বলতে বায়ুভরে ইতস্তত ছুটে বেড়ানো মেঘেদের কথা বলা হয়েছে।

কারসিয়াং-এর বাতাস যেমন পরিষ্কার তেমনি হালকা। বাতাস আর মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখতে চমৎকার লাগে। মেঘ একদিকে থাকে আর বাতাস থাকে তার উলটো দিকে। যেই বাতাস ধেয়ে এল, অমনি মেঘখণ্ড তাড়া খেয়ে চলতে লাগল। প্রতিদিন বেলা শেষে ওই পার্বত্যদেশে অপূর্ব দৃশ্যের ছবি তৈরি হয়। অস্তগামী সূর্য বাতাস আর মেঘ নিয়ে অতি মনোহর সৌন্দর্যের রাজ্য গড়ে তোলে। অস্তমান সূর্য পশ্চিম আকাশের গায়ে পাহাড়ে যেন তরল সোনা ঢেলে দেয়। মেঘগুলি গায়ে সেই সোনা রং মেখে এখানে-ওখানে ছোটাছুটি করতে থাকে। লেখিকার মনে হয় এ যেন বিচিত্র তামাশা। মেঘ  ও বাতাসের ওই বিচিত্র তামাশা দেখে লেখিকা সময় অতিবাহিত করেন।

৪।পাহাড়নিএবংনিচেকা আদমিকারা? তাদের সম্পর্কে লেখিকা যা বলেছেন তা বুঝিয়ে বল?

উঃ লেখিকা বেগম রোকেয়া পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় ভুটিয়া মহিলাদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। এই ভুটিয়া সম্প্রদায়ের মহিলারা নিজেদের ‘পাহাড়নি’ ও সমতল থেকে আসা মানুষদের ‘নীচেকা আদমি’ বলেন।

            লেখিকাদের ভুটিয়া চাকরাণীর নাম ছিল ভালু। তাকে পর্যবেক্ষণ করে লেখিকা ‘পাহাড়নি’-দের সম্পর্কে যা উপলব্ধি করেছেন তা হল- তারা অত্যন্ত সাহসী, পরিশ্রমী ও সৎ। তারা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিশ্রম করতে পারে এবং বেঁচে থাকার জন্য তারা পুরুষদের উপর নির্ভরশীল নয়। তবে সমতলের মানুষদের সঙ্গদোষে তারা তাদের সদগুণগুলি হারিয়ে ফেলছে। অল্প চুরি, অসততা ও মিথ্যে কথা বলা সিখে ফেলছে তারা।

৫।এসব কথা মুখে উচ্চারণের প্রয়োজন হয় না।কোন কথার কথা বলা হয়েছে? তা মুখে উচ্চারণের প্রয়োজন হয় না কেন?

উঃ লেখিকা পাহাড়, ঝর্ণা, শ্যামল প্রকৃতির রূপে বিভোর হয়ে যান এবং সেই সময় তার স্রষ্টার কথা মনে পড়ে। তার মনে হয় যে মহা শিল্পী এত চমৎকার চিত্র অঙ্কন করতে পারেন তার নৈপুণ্য কল্পনাতীত। তিনি ভাবেন যে আমাদের চোখে এই হিমালয় কি বিপুল ও বিশাল , কিন্তু মহাবিশ্বের সৃস্তিকর্তার কাছে তা এক কণা বালির তুল্য। তাই যার সৃষ্টি এত সুন্দর তার উপাসনা করার সময় মন প্রাণ আপনিই আবেগে বিগলিত হয়ে যায়। তাই প্রকৃতির কাছে এলে, প্রকৃতির রূপ উপলব্ধি করলে মন আপনা থেকেই ঈশ্বরের জয়ধ্বনি করে, আলাদা করে কোন প্রার্থনা বাক্য উচ্চারণের প্রয়োজন হয় না।

৬। হিমালয় দর্শনের বেরিয়ে বেগম রোকিয়া যে স্থানীয় জনজীবনের পরিচয় পেয়েছিলেন তার বর্ণনা দাও।

উঃ লেখিকা হিমালয় দর্শণে এসে  সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গস্পর্শে এসেছিলেন। লেখিকাদের ভুটিয়া চাকরাণীর নাম ছিল ভালু।  তারা সাত গজ লম্বা কাপড় ঘাঘরার মতো করে পরে, কোমরে একখণ্ড কাপড় জড়ানো থাকে, গায়ে জ্যাকেট এবং বিলাতি শাল দ্বারা মাথা ঢাকে। তারা অত্যন্ত সাহসী ও পরিশ্রমী। পিঠে দুই এক মন বোঝা নিয়ে অনায়াসে বন্ধুর পাহাড়ি পথ বেয়ে ওঠে। তারা উদরান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী নয়; সমভাবে উপার্জন করে । বরং অধিকাংশ স্ত্রীলোকদিগকেই পাথর বয় যা পুরুষদের তুলনায় বেশি।ভুটিয়ানিরা ‘পাহাড়নি’ বলে নিজেদের  পরিচয় দেয়।স্বভাবত তারা শ্রমশিলা, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী । .

এখন সে সাধও পূর্ণ হইল।’—কী সাধ কীভাবে পূর্ণ হল?

উঃ লেখিকার সাধ হল হিমালয় দর্শনের সাধ। তিনি বঙ্গোপসাগর দেখেছেন। তাতে তাঁর সাগর দেখার সাধ পূর্ণ হয়েছে। তবে অপূর্ণ থেকেছে পাহাড় দেখার সাধ। সৌভাগ্যবশত হিমালয় দর্শনের সুযোগ এসে যায়। লেখিকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যথাসময়ে শিলিগুড়ি স্টেশনে এসে যান। হিমালয়ান রেলগাড়ি চড়ে রওনা হওয়ায় তাঁর পাহাড় দেখার অপূর্ণ সাধ পূর্ণ হওয়ার পথে এগিয়ে চলে। কারসিয়াং-এর বাসায় অবস্থানকালে সেই সাধ পূরণের কথা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন।

. ‘প্রাণটাও কেন নিঝৱেৱ ন্যায় বহিয়া গিয়া পরমেশ্বৱেৱ চৱণপ্রান্তে লুটাইয়া পড়ে না? –উদ্ধৃতিৱ প্রসঙ্গ নির্দেশসহ তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

: কারসিয়াং-এ লেখিকা বেগম রোকেয়ার বাসা থেকে মাইলখানেক দূরে একটা বড়োসড়ো ঝরনা ছিল। বাসা থেকে ওই ঝরনার দুধের মত সাদা দেখাত।  স্রোতের কলগীতি দিনরাত্তির লেখিকার কানে আসত। ওই কল্লোল গীত শুনে ঈশ্বরের প্রতি লেখিকার ভক্তির আবেগ ও উচ্ছ্বাস দু-তিন গুণ বেগে প্রবাহিত হত।তার মনে প্রশ্ন জাগত ওই নিঝরের প্রবাহিত জলধারার মত প্রাণ কেন ধাবিত হয়ে ঈশ্বরের চরণপ্রান্তে লুটিয়ে পড়ছে না। এখানে বেগবান জলধারার সঙ্গে প্রাণের এবং ভূমিতলে পতিত জলধারার সঙ্গে ঈশ্বরের চরণে লুটিয়ে পড়া প্রাণের তুলনা করা হয়েছে।

বড় প্রশ্ন

 লেখিকা বেগম রোকেয়াৱ লেখাহিমালয় দর্শনরচনাৱ ভ্রমণবৃত্তান্ত অনুসৱণে পাহাড়ের  প্রকৃতির বর্ণনা কর।

উত্তর: সুখ্যাত লেখিকা বেগম রোকেয়ার ‘হিমালয় দর্শন’ রচনায় পাহাড়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। লেখিকাদের শিলিগুড়ি রেলস্টেশন থেকে কারসিয়াং পর্যন্ত হিমালয়ান  রেলগাড়িতে ভ্রমণবৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘পথের দুই ধারে মনোরম দৃশ্য—কোথাও অতি উচ্চ চূড়া, কোথাও নিবিড় অরণ্য’  পার্বত্য অঞ্চলে অরণ্য প্রকৃতির বিশেষ ভূমিকা আছে।ভ্রমণযাত্রী লেখিকার চোখে ‘তরু, লতা, ঘাস, পাতা, সকলই মনোহর। নিবিড় শ্যামল বন যেন ধরিত্রীর কেশপাশ, আর তার মাঝ দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ যেন আঁকাবাঁকা সিঁথি।

কারসিয়াং-এ থাকার এ সময় প্রকৃতির সঙ্গে লেখিকার সরাসরি পরিচয় হয়। বাতাস আর মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখতে চমৎকার লাগে। অস্তগামী সূর্য বাতাস আর মেঘ নিয়ে অতি মনোহর সৌন্দর্যের রাজ্য গড়ে তোলে। অস্তমান সূর্য পশ্চিম আকাশের গায়ে পাহাড়ে যেন তরল সোনা ঢেলে দেয়। মেঘগুলি গায়ে সেই সোনা রং মেখে এখানে-ওখানে ছোটাছুটি করতে থাকে। ২০/২৫ ফুট উঁচু ঢেঁকি গাছ দেখে তাঁর ভারী আনন্দ হয়। কারসিয়াংএর কোনো কোনো জায়গায় খুব ঘন বন দেখেন। বনে বেড়ানো ছিল বেশ নির্ভয়। কারণ ওই বনে বাঘ নেই। লেখিকা পাহাড়, ঝর্ণা, শ্যামল প্রকৃতির রূপে এতটাই বিভোর হয়ে যান যে তার স্রষ্টার কথা মনে পড়ে। তার মনে হয় যে মহা শিল্পী এত চমৎকার চিত্র অঙ্কন করতে পারেন তার নৈপুণ্য কল্পনাতীত।

Click Here To Download  The Pdf

পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি|অষ্টম শ্রেণী| প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Paragar Du Pohor Valobasi| Question Answer solved

0

পাড়াগাঁর দুপহর ভালোবাসি

জীবনানন্দ দাশ

. জীবনানন্দ দাশের লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখ।

উঃ জীবনানন্দ দাশের লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম হল— ‘রূপসী বাংলা’ ও ‘বনলতা সেন।

. তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী ?

উঃ তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম হল ‘ঝরাপালক।

নীচের প্রশ্নগুলির একটি/দুটি বাক্যে উত্তর দাও :

.দুপ্রহরশব্দের অর্থ কী ?

উঃ ‘দু-পহর’ শব্দের অর্থ ‘দ্বি-প্রহর’ অর্থাৎ, দুপুরবেলা। 

.কেবল প্রান্তর জানে তাহা”—‘প্রান্তরকী জানে ?

উঃ দুপুরের রৌদ্রে কবির মনে কোন গল্প বা কী কাহিনি অথবা কী স্বপ্ন ঘর বেঁধেছে, তা কেবল প্রান্তর জানে।

.তাহাদের কাছে যেন জনমে নয়যেন ঢের যুগ ধরে কথা শিখিয়াছে হৃদয়”—কাদের কথা এখানে বলা হয়েছে ?

উঃ  এখানে প্রান্তর আর প্রান্তরের শঙ্খচিলের কথা বলা হয়েছে। 

.জলসিড়িটির পাশে ঘাসে …”—কী দেখা যায় ?

উঃ জলসিড়িটির পাশে ঘাসে বুনো চালতার নুয়ে পড়া ডালগুলি দেখা যায়।

.জলে তার মুখখানা দেখা যায়…”—জলে কার মুখ দেখা যায় ?

উঃ জলে নুয়ে পড়া বুনো চালতা গাছের মুখখানা দেখা যায়।

. ডিঙিও ভাসিছে কার জলে …”—ডিঙিটি কেমন

উঃ ডিঙিটি জীর্ণ এবং ফোঁপরা অর্থাৎ, ভাঙাচোরা।

. ডিঙিটি কোথায় বাঁধা রয়েছে ?

উঃ ডিঙিটি হিজল গাছে বাঁধা রয়েছে।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখ :

. পাড়াগাঁয়ের দ্বিপ্রহরকে কবি ভালোবাসেন কেন ?

উঃ পাড়াগাঁয়ের দ্বি-প্রহরকে কবি ভালোবাসেন কারণ, সেখানকার দুপুরবেলার রৌদ্রে যেন স্বপ্নের গন্ধ লেগে থাকে। সেই স্বপ্নের আবেশে কবির মনে নানা গল্প, ও কল্পনা বাসা বাঁধে, সে কথা কেউ বলতে না পারলেও তা শুধু বলতে পারে মাঠ এবং মাঠের শঙ্খচিল । দুপুরে জলসিড়ি নদীর পাশে বুনো চালতার শাখাগুলি নুয়ে পড়ে, জলে তাদের মুখ দেখা যায়। জলে মালিকহীন ডিঙি নৌকাকে ভাসতে দেখা যায়। পাড়াগাঁর দুপুরবেলা অপরূপ রূপে ও বিষন্নতায় কবিমনে স্বপ্নাবেশ সৃষ্টি হয়। তাই সব মিলিয়ে পাড়াগাঁয়ের দুপুরবেলার প্রকৃতিকে কবি খুব ভালোবাসেন।

.স্বপ্নে যেবেদনা আছে”—কবির স্বপ্নে কেন বেদনার অনুভূতি ?

উঃ  উদ্ধৃতাংশটি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

     কবির স্বপ্নে বেদনার উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। দ্বি-প্রহরে পাড়াগাঁর প্রখর রৌদ্র কবির মনে এক স্বপ্নের আবেশ সৃষ্টি করে। কবির স্বপ্নে ভেসে ওঠে গ্রামের এক করুণ রূপচিত্র। রৌদ্রের তাপে শুকিয়ে যাওয়া পাতা, রৌদ্রে ক্লান্ত শালিক পাখির করুণ কণ্ঠস্বর এবং নকশা আঁকা পাড়যুক্ত শাড়ি পরিহিত মেয়েটি প্রখর রৌদ্রে গাছের পাতার হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো ক্লান্তভাবে ধীরে ধীরে সরে যায়। জলসিড়ি নদীতে বুনো চালতা গাছের ডাল যেন নুয়ে পড়ে। এ ধরনের প্রতিটি চিত্রের মধ্যে একটা বিষণ্ণতা এবং বেদনাবোধ লক্ষ করা যায়। এক একাকীত্ব ও নিঃসঙ্গ দুপুরে কবি যেন নিজের সঙ্গেই একাত্ব হয়ে যান।

. প্রকৃতির কেমন ছবি কবিতাটিতে ফুটে উঠেছে তা আলোচনা কর।

উঃ আলোচ্য কবিতাটিতে বিষন্ন তথা বেদনাময় প্রকৃতির ছবি ফুটে উঠেছে। গ্রাম্য দুপুরে কড়া রৌদ্রের প্রভাবে গাছের পাতা শুকিয়ে গেছে, শালিক পাখির স্বর ক্লান্ত, ভাঙা মঠ এবং জলসিড়ি নদীর পাশে ছন্দহীন বুনো চালতা গাছ নুয়ে পড়েছে। মালিকহীন নৌকা ভাসছে জলে, তার মালিক হয়ত বা আর কোনোদিন আসবে না। সে তার জীর্ণ, শীর্ণ, ফোঁপরা নৌকাটিকে হিজল গাছে বেঁধে রেখে গিয়েছে। দুপুরের এই বিষন্ন প্রকৃতির ছবিই কবিতাটিতে ফুটে উঠেছে।

.কেঁদে কেঁদে ভাসিতেছে আকাশের তলে”—কবির এমন মনে হওয়ার কারণ কী বলে  তোমার মনে হয় ?

উঃ উদ্ধৃতাংশটি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

    পাড়াগাঁয়ের দ্বিপ্রহরে প্রকৃতির যে রূপচিত্র কবির স্বপ্নের চোখে ধরা পড়েছে, তা এক বেদনাময় বিষন্ন প্রকৃতির চিত্র। যদিও সেই বিষন্ন প্রকৃতির চিত্রকে কবি ভালোবাসেন। গ্রাম্য দুপুরে কড়া রৌদ্রের প্রভাবে গাছের পাতা শুকিয়ে গেছে, শালিক পাখির স্বর ক্লান্ত, ভাঙা মঠ এবং জলসিড়ি নদীর পাশে ছন্দহীন বুনো চালতা গাছ নুয়ে পড়েছে। মালিকহীন নৌকা ভাসছে জলে, তার মালিক হয়ত বা আর কোনোদিন আসবে না। দুপুরের রৌদ্রে যেন বেদনার এ রকমই গন্ধ মিশে আছে। তাই, আকাশের নীচে সেই বিষন্ন প্রকৃতি যেন কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্ছে।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

. পাড়াগাঁর দুপহর ভালোবাসিশীর্ষক কবিতাটিরূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা ? ‘পাড়াগাঁর দুপহর ভালোবাসিকবিতায় কবি  জীবনানন্দের কবিমানসিকতার পরিচয় কীভাবে ধরা দিয়েছে, তা বুঝিয়ে দাও।  

উঃ ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’-শীর্ষক কবিতাটি ‘রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

     পাড়াগাঁর দু-প্রহর ভালোবাসি’ কবিতাটিতে কবি জীবনানন্দের সহানুভূতিশীল ও প্রকৃতিপ্রীতিসুলভ মানসিকতা, বিস্ময় এবং প্রকৃতির প্রতি রূপমুগ্ধতার পরিচয় ধরা পড়েছে। পাড়াগাঁয়ের রৌদ্রতপ্ত পরিবেশ কবির মনে স্বপ্নের আবেশ সৃষ্টি করে। কবি বিষন্ন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেন। সাধারণত এই নির্জনতা বিষন্নতার প্রতিমূর্তি হলেও কবি এই প্রকৃতির বুকেই স্বপ্নে হারিয়ে যান । ক্লান্ত শালিক, বিবর্ন হলুদ পাতা, নুয়ে পড়া বুনো চালতার ডালের জন্য কবি বেদনা অনুভব করেন। জলসিড়ি নদীতে জীর্ণ-ফোঁপরা একটি নৌকাকে হিজল গাছে বেঁধে রেখেছে কেউ। কোথাও সেই নৌকার মালিকের দেখা নেই। মালিকহীন নৌকাটি ভাসছে নদীর জলে। দুপুরের রৌদ্রে যেন বেদনার এ রকমই গন্ধ মিশে আছে। তাই, আকাশের নীচে সেই বিষন্ন প্রকৃতি যেন কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্ছে। কবি তাদের দুঃখে সমব্যথী হন। কবির সেই সহানুভূতিই কবিতাটিতে প্রকাশিত হয়েছে। ।

. কবিতাটির গঠনপ্রকৌশল আলোচনা কর।

উঃ  জীবনানন্দ দাশের কবিতার গঠন কৌশলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল— গদ্যধর্মী শব্দের ব্যবহার। অতি পরিচিত গ্রাম্য, দেশজ শব্দ নিয়ে তিনি কবিতার চরণ সাজিয়েছেন। কবিতাটি চিত্রকল্পেও অনবদ্য। যেমন— “নকশাপেড়ে শাড়িখানা মেয়েটির রৌদ্রের ভিতর/হলুদ পাতার মত সরে যায়” কিংবা “জলসিড়িটির পাশে আসে/শাখাগুলো নুয়ে আছে বহুদিন ছন্দহীন বুনো চালতার”। কবিতা-পাঠকালে জলসিড়ি নদীর ছবি-সহ বিষন্ন প্রকৃতির অন্যান্য ছবিও মনের মধ্যে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। এছাড়াও কবিতাটির গঠন-কৌশলের আরও একটি দিক হল, কবিতার মধ্যে সিনেখিসিয়া বা ইন্দ্রিয় বিপর্যয়। অর্থাৎ, এক ইন্দ্রিয়ের অনুভূতি অপর ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভূত হওয়া। যেমন- “রৌদ্রে যে গন্ধ লেগে আছে স্বপনের” কিংবা “রৌদ্রে যেন ভিজে বেদনার গন্ধ লেগে আছে”।

.রৌদ্রে যেন ভিজে বেদনার গন্ধ লেগে আছেকবিতায় কীভাবে এই অপরূপ বিষণ্ণতার স্পর্শ এসে লেগেছে, তা যথাযথ পঙক্তি উদ্ধৃত করে আলোচনা কর।   

উঃ ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি’ কবিতায় প্রকৃতির অপরূপ বিষন্নতার স্পর্শ এসে লেগেছে। “শুষ্ক পাতা-শালিকের স্বর,/ভাঙা মঠ-নকশাপেড়ে শাড়িখানা মেয়েটির রৌদ্রের ভিতর/হলুদ পাতার মত সরে যায়,”—এই ধরনের পঙক্তিগুলিতে বিষন্ন প্রকৃতির স্পর্শ ভীষণভাবে লেগেছে। রৌদ্রের তাপে গাছের পাতা শুকিয়ে গিয়েছে এবং শালিক পাখির কণ্ঠস্বর ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া, রৌদ্রের প্রখরতায় গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার মত নকশা পাড়যুক্ত শাড়ি পরিহিত মেয়েটিও হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। “ডিঙিও ভাসিছে কার জলে,/ মালিক কোথাও নাই, কোনোদিন এই দিকে আসিবে না আর,/ঝাঁঝরা-ফোঁপরা, আহা, ডিঙিটিরে বেঁধে রেখে গিয়েছে হিজলে:” উপরোক্ত পঙক্তিগুলির মধ্যে প্রকৃতির বিষন্নতার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

) নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার কর : পাড়াগাঁ, দুপহর, স্বপন, জনম, ভিজে।

পাড়াগ্রাম > পাড়াগাঁ (নাসিক্যীভবন)

দ্বিপ্রহর > দু-পহর (ব্যঞ্জনলোপ)।

স্বপ্ন > স্বপন (স্বরভক্তি)

জন্ম > জনম (স্বরভক্তি)।

ভিজিয়া > ভিইজ্যা > ভিজে (অভিশ্রুতি বা স্বরসংগতি)।

নীচের শব্দগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ: শঙ্খচিল, নকশাপেড়ে, ছন্দহীন।

শঙ্খচিল = শঙ্খ (সাদা) রঙের চিল। (মধ্যপদললোপী কর্মধারয় সমাস)

নকশাপেড়ে = নকশা আঁকা পাড় বিশিষ্ট। (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস) 

ছন্দহীন = ছন্দ দ্বারা হীন। (করণ তৎপুরুষ সমাস)

নীচের বাক্যগুলিতে ক্রিয়ার কাল নির্দেশ কর :

. পাড়াগাঁর দুপহর ভালোবাসি

সাধারণ বর্তমান কাল। 

. রৌদ্রে যেন গন্ধ লেগে আছে স্বপনের

সাধারণ বর্তমান কাল।

.৩। শাখাগুলো নুয়ে আছে বহুদিন ছন্দহীন বুনো চালতার

সাধারণ বর্তমান কাল। 

. ডিঙিও ভাসিছে কার জলে,-

ঘটমান বর্তমান কাল। 

.৫। কোনোদিন এইদিকে আসিব না আর,-

সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল।

Click Here  The PDF

চিঠি| নবম শ্রেণী| প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Chithi| Class 9| Question-Answer solved|

8

চিঠি

স্বামী বিবেকানন্দ

১ নম্বরের প্রশ্ন-উত্তর

১ ’ একখানা চিঠি কাল পেয়েছিএখানে স্বামী বিবেকানন্দ কার চিঠি পাওয়ার কথা বলেছেন?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ মি ই টি স্টার্ডির কাছ থেকে চিঠি পেয়েছিলেন।

কল্যাণীয়া মিস নোবেলবলে সম্বোধন করে স্বামী বিবেকানন্দ যাকে চিঠি লিখেছেন তার সম্পূর্ণ নাম কী?

উত্তর: কল্যাণীয়া মিস নোবেল বলে যাকে সম্বোধন করা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল৷

. কোথা থেকে স্বামীজি মিস নোবে্লকে পাঠ্য চিঠিটি লিখেছিলেন?

উত্তর: ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে আলমোড়া অঞ্চল থেকে স্বামী বিবেকনন্দ মিস নোবেলকে চিঠি লিখেছিলেন।

সর্বোপরি তোমার ধমনীতে প্রবাহিতরক্ত”- এখানে কোন রক্তের কথা বলা হয়েছে?

উঃ এখানে মিস নোবেলের ধমনীতে কেল্টিক জাতির রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে বলা হয়েছে।

স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।”—স্টাডি কে?

উত্তর: মি. ই টি স্টার্ডি ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের একজন ইংরেজ ভক্ত, যিনি স্বামীজিকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারে সহায়তা করেন |

তিনি আমেরিকায় আমার বিশেষ উপকারী বন্ধু ছিলেনএখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ এখানে মিসেস বুলের কথা বলেছেন।

“… তা তুমি ধারণা করতে পারবে না।‘—কী ধারণা করতে না পারার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: স্বামীজি মিস নোবেলকে ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব প্রভৃতির ব্যাপকতা সম্পর্কে ধারণা করতে না পারার কথা বলেছেন।

৮ ‘কর্মে ঝাঁপ দেবার পুর্বে বিশেষ ভাবে চিন্তা কর’কাকে চিন্তা করার কথা বলা হয়েছে?

উঃ এখানে স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে বিশেষ করে কর্মের প্রতিকূল দিকগুলির কথা চিন্তা করে দেখতে বলা হয়েছে।

“… এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে …”— বিশ্বাসটি কী?

উত্তর: স্বামীজির দৃঢ়বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবেলের এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।

১০. ভারতের নারীসমাজের উন্নতির জন্য কেমন ব্যক্তির প্রয়োজন?

উত্তর: ভারতের নারীসমাজের উন্নতির জন্য একজন প্রকৃত সিংহীর মতো তেজস্বিনী নারীর প্রয়োজন।

১১. “… তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন।”— মিস নোবেলের মধ্যে কোন্ গুণাবলি লক্ষ করে স্বামীজি কথা বলেছেন?

উত্তর: মিস নোবেলের শিক্ষা, ঐকান্তিকতা, পবিত্রতা, অসীম ভালোবাসা,দৃঢ়তা ইত্যাদি গুণ লক্ষ করে স্বামীজি এ কথা বলেছেন।

১২. “কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।”— কোন্ কাজে বিঘ্ন আছে?

উত্তর: ভারতবর্ষের, বিশেষত ভারতের নারীসমাজের সার্বিক উন্নয়নের কাজে প্রচুর বিঘ্ন আছে।

১৩, “কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।”—বিঘ্নগুলি কী কী?

উত্তর: ভারতবর্ষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব, জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি দেশের উন্নতির কাজে বিঘ্ন হয়ে দাড়াতে পারে।

১৪সরাসরি তোমাকে লেখা ভালোএখানে তোমাকে বলতে স্বামীজী কাকে বুঝিয়েছেন?

উঃএখানে স্বামীজী মিস নোবেলের কথা বলেছেন।

১৫. মিস নোবেল এদেশে এলে নিজেকে কীভাবে দেখতে পাবেন?

উত্তর: মিস নোবেল এদেশে এলে নিজেকে অসংখ্য অর্ধ-উলঙ্গ নরনারীতে পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখতে পাবেন।

১৬. শ্বেতাঙ্গরা ভারতীয়দের প্রতি কীরূপ মনোভাব পোষণ করে?

উত্তর: শ্বেতাঙ্গরা ভারতীয়দের প্রতি অত্যন্ত ঘৃণার মনোভাব পোষণ করে৷

১৭ মিসেস বুলের বয়স কত?

উঃ মিসেস বুলের বয়স প্রায় পঞ্চাশ বছর।

১৮, ‘চিঠিগদ্যাংশে স্বামীজি ভারতবর্ষের জলবায়ু কেমন বলে বর্ণনা করেছেন?

উত্তর: ভারতবর্ষের জলবায়ু অত্যন্ত গ্রীষ্মপ্রধান। এদেশের শীত ইউরোপের গ্রীষ্মের মতো আর দক্ষিণাঞ্চলে সর্বদাই আগুনের হলকা প্রবাহিত হয়।

১৯, “.. তবু আমার যেটুকু প্রভাব আছে …”—সেই প্রভাব দিয়ে বক্তা কী করবেন বলেছেন?

উত্তর: বক্তার যেটুকু প্রভাব আছে, তা দিয়ে তিনি ভারতীয়দের উন্নতির কাজে মিস নোবেলকে সাহায্য করবেন বলেছেন।

২০. কর্মে ঝাপ দেওয়ার পরে সাফল্যের পাশাপাশি আর কী কী ঘটার সম্ভাবনা থাকতে পারে?

উত্তর: মানবসেবার কর্মে ঝাপ দেওয়ার পর সে কাজে বিফল হওয়ার এবং কর্মে বিরক্তি আসার সম্ভাবনা-থাকতে পারে।

২১, “মরদ কি বাত হাতি কা দাত”—প্রবাদটির অর্থ লেখো।

উত্তর: হাতির দাঁত যেমন একবার বেরোলে আর ভিতরে যায় না তেমনি যথার্থ পুরুষের প্রতিশ্রুতির কখনও নড়চড় হয় না।

২২.এই ধারণা ছেলেবেলা থেকেই তার মাথায় ঢুকেছে …” –কার মাথায় কোন্ ধারণা ঢুকেছে?

উত্তর: মিস মুলারের বদ্ধমূল ধারণা যে তিনি আজন্ম নেত্রী এবং টাকা দিয়ে গোটা পৃথিবীকেই ওলট-পালট করা যায়।

২৩. “তিনি আজন্ম নেত্রী!”কার সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ কথা বলেছেন?

উত্তর: মিস মুলার সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ এ কথা বলেছেন যে, তিনি নিজেকে আজন্ম নেত্রী বলে মনে করেন।

২৪. “তার বর্তমান সংকল্প এই যে”—কোন্ সংকল্পের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: এখানে মিসেস মুলারের কলকাতা তার নিজের এবং ইউরোপ থেকে আসা বন্ধুদের জন্য বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

২৫, স্বামী বিবেকানন্দ মিসেস সেভিয়ারকে কোন্ অভিধায় ভূষিত করেছেন?

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ মিসেস সেভিয়ারকে ‘নারীকুলের রত্নবিশেষ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

২৬. ‘…তার সবই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।“—কার সবই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

উত্তর: যে ব্যক্তি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন অর্থাৎ স্বনির্ভর হতে পারেন, তার সবই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।

২৭, সেভিয়ার দম্পতি কেমন মানুষ?

উত্তর: সেভিয়ার দম্পতি ভারতবর্ষের মানুষকে ঘৃণা করেন না এবং ভারতীয়দের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে তারা এদেশে আসেননি।

২৮, “আমেরিকার সংবাদে জানলাম যে…” – বক্তা কী জানলেন?

উত্তর: বক্তা স্বামীজি জেনেছেন যে তার দুই বন্ধু মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুল এই শরৎকালেই ভারতভ্রমণে আসছেন।

২৯. ‘সেই পারিফ্যাশনের পোশাকবলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: পারি ফ্যাশনের পোশাক বলতে ফ্রান্সের প্যারিস শহরের ফ্যাশন অনুযায়ী তৈরি পোশাককে বোঝানো হয়েছে। 

৩০, “… আমার পরামর্শ এই যে…”- স্বামীজি মিস নোবেলকে কী পরামর্শ দিয়েছেন?

উত্তর: স্বামীজি পরামর্শ দিয়েছেন, মিস নোবেল যেন মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে এদেশে আসেন।

৩১. মি. স্টাডির লেখা চিঠিটি কেমন ছিল?

উত্তর: মি. স্টার্ডির লেখা চিঠিটি ছিল বড়ো শুষ্ক, প্রাণহীন এবং হতাশাপূর্ণ।

৩২. মি. স্টাডি হতাশ হয়েছিলেন কেন?

উত্তর: লন্ডনের কাজ পন্ড হওয়ায় মি. স্টাডি হতাশ হয়েছেন বলে তার চিঠিতে সেই হতাশা ফুটে উঠেছে।

৩৩, ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম কী?

উত্তর: ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল।

৩৫, মিস নোবেলের লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর: মিস নোবেলের লেখা একটি বই The Master as I saw him.

৩৬, নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়কে কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উত্তর: ভারতীয় আদর্শে স্ত্রীশিক্ষা প্রচলনের উদ্দেশ্যে মিস নোবেল (ভগিনী নিবেদিতা) নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন।

৩৭ ধীরামাতা কে?

উঃ স্বামীজীর শিষ্যা মিসেস সারা বুলকে তিনি অনেক চিঠিতে ধীরামাতা নামে সম্বোধন করেছেন।

৩৮. মিসেস সেভিয়ারের শ্রেষ্ঠ কীর্তি কী? [রায়গঞ্জ করােনেশন হাই স্কুল

উত্তর: মিসেস সেভিয়ারের শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল স্বামীজির ইচ্ছায় বেদান্ত প্রচারের উদ্দেশ্যে ‘মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রম প্রতিষ্ঠা করা।

৩৯, মিস মুলারের সম্পূর্ণ নাম কী?

উত্তর: মিস মুলারের সম্পূর্ণ নাম মিস হেনরিয়েটা মুলার।


3
নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

১ কোন বিশেষ প্রয়োজনে স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে এই চিঠিটি লিখেছিলেন?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দের ইংরেজ ভক্ত মিস্টার স্টার্ডির চিঠি পড়ে  তিনি জানতে পেরেছেন, মিস নোবেল ভারতে এসে ভারতবাসীর সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে আগ্রহী। তাই স্বামীজী এই চিঠির মাধ্যমে তাকে সব দিক বিবেচনা করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। তবে তিনি তার মনের আবেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে তার মতো নারীর খুব প্রয়োজন ভারতবর্ষকে উদ্ধার করার জন্য।তার ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা নিয়েও তিনি আলোচনা করেছেন।

২ একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন।”—কে কাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন? বক্তা তাকে প্রকৃত সিংহীবলেছেন কেন?

 উত্তর: ‘চিঠি’ রচনার উল্লিখিত অংশে স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে ‘প্রকৃত সিংহী’ বলেছেন।

* বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে এক ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসেবে দেখেছেন। তার মধ্যে রয়েছে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা। নোবেল শিক্ষা, ঐকান্তিকতা, পবিত্রতা,অসীম ভালোবাসা, দৃঢ়তাসম্পন্ন এক ব্যক্তিত্বময়ী নারী এবং তার ধমনিতে প্রবাহিত রক্তের জন্য তিনি অনন্যা। তাই বিবেকানন্দ ভেবেছেন, তাকে এদেশের প্রয়োজন। এইসবগুণের কারণেই তিনি সিংহীর সমকক্ষ হয়ে উঠেছেন।


.“কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।”—কোন্ কোন্ বিয়ের কথা বলা হয়েছে লেখ।

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে যেসব বিঘ্নের কথা বলেছেন, তারমধ্যে প্রথমেই উল্লেখ্য এদেশের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব। মানুষের দারিদ্র্য একটা প্রধান বাধা! জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতা তাদের আলাদা করে রেখেছে | ভয় অথবা ঘৃণা—যে কারণেই হোক, তারা শ্বেতাঙ্গদের এড়িয়ে চলে| তাই মিস নোবেলকে তারা সন্দেহ করবে। আবার ভারতীয়দের সাহায্য করতে চাইলে শ্বেতাঙ্গরা তাকে সন্দেহের চোখে দেখবে। এ ছাড়া গ্রীষ্মপ্রধান জলবায়ুতে বাস করা তার মতো শীতপ্রধান দেশের মানুষের পক্ষে কষ্টকর। শহরের বাইরে সুখস্বাচ্ছন্দ্যের অভাবও মিস নোবেল বোধ করবেন।

৪ মরদ কী বাত, হাতি কী দাঁত’ – কথাটি কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?

উঃ এই প্রবাদটি স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে লেখা তার চিঠিতে তার চরিত্রের কাঠিন্য বোঝাতে ব্যবহার করেছেন।  এই প্রবাদটির অর্থ হল হাতির দাঁত একবার গজালে যেমন আর ভেতরে প্রবেশ করে না, তেমনি পুরুষ বা মরদ একবার কোনো কথা দিলে তা থেকে আর পিছপা হন না। স্বামী বিবেকানন্দ তার চিঠিতে প্রথমেই বলেছেন যে তিনি মিস নোবেলকে সর্বদাই সাহায্য করবেন। কিন্তু ভারতে এসে নানা প্রতিকূলতার সামনে পড়ে যদি তিনি বিরক্ত হন ও এই কাজে অসফল হন তা স্বত্ত্বেও স্বামীজী তার পাশে থাকবেন ও তাকে পূর্ববত স্নেহ করবেন। কারন তিনি কথা দিয়েছেন ও তার কথায় কোনো নড়চড় নেই।

.তোমাকে একটু সাবধান করা দরকার…”~-কাকে, কেন সাবধান করা দরকার? কী বিষয়ে সাবধান করা দরকার?

উত্তর: মিস নোবেল ভারতবর্ষে এসে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় স্বামী বিবেকানন্দ তাকে কিছু বিষয়ে সাবধান করা দরকার বলে মনে করেছেন। এর কারণ হল, ভারতে এসে যে বৃহৎ ও মহৎ কর্মযজ্ঞে মিস নোবেল নামতে চলেছেন, তাতে তাকে অবশ্যই স্বনির্ভর হতে হবে। মিস মুলারের মত কোনো ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে মার্গারেটের জনসেবার কাজটি বিঘ্নিত হবে। প্রধানত এ বিষয়েই স্বামীজি মিস নোবেলকে সাবধান করেছিলেন।

.“তার সঙ্গে বনিয়ে চলা অসম্ভব।‘—কার সম্পর্কে কেন মন্তব্য করা হয়েছে?

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে উদ্দেশ্য করে মিস্ মুলার সম্পর্কে মন্তব্যটি করেছেন। মিস মুলার, বিবেকানন্দের মতে, তার নিজের ভাবে চমৎকার মহিলা| কিন্তু ছেলেবেলা থেকেই নিজেকে নেত্রী ভাবা এবং নিজের ক্ষমতায় অতিরিক্ত বিশ্বাস তাকে বিচ্ছিন্ন করে তুলেছে | তার মতে টাকার বিনিময়ে যে কোনো অসম্ভব কাজ করা সম্ভব।বিবেকানন্দের মনে হয়েছে যে মিস নোবেল অল্পদিনেই বুঝে নিতে পারবেন যে, মিস মুলারের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় কারণ মেজাজ রুক্ষ, চিত্ত অস্থির।

.“তার বর্তমান সংকল্প এই যে..”—তার বলতে কাকে বোঝানও হয়েছে? তার বর্তমান সংকল্প কী লেখ।

উত্তর: ‘চিঠি’ রচনার উল্লিখিত অংশে ‘তার’ বলতে মিস মুলারের কথা বলা হয়েছে।

  • মিস মুলার, স্বামী বিবেকানন্দের একজন ভক্ত,যিনি নিজেকে ‘আজন্ম নেত্রী’ বলে মনে করতেন। তিনি সংকল্প করেছিলেন যে, কলকাতায় একটি বাড়ি ভাড়া নেবেন। এই বাড়িটিতে তিনি, মিস নোবেল আর ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে যেসব বন্ধুদের আসার সম্ভাবনা আছে তারা থাকবেন বলে মিস মুলার ভেবেছিলেন।

.যারা এদেশীয়দের ঘৃণা করেন না;”—“যাঁরা কারা? তাদের সম্পর্কে যা জান লেখ।

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ তার ‘চিঠি রচনার উল্লিখিত অংশে ‘যারা’ বলতে সেভিয়ার দম্পতির কথা বলেছেন |

            মিস নোবেলের ভারতে আসার আগে বিবেকানন্দ অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে তাকে এদেশে আগত ইউরোপীয় বা অন্য বিদেশি যারা ভারতের জন্য কাজে উদ্যোগী তাদের সম্পর্কেও ধারণা দিতে চেয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন মিসেস সেভিয়ার এবং তার স্বামী ক্যাপটেন জে এইচ সেভিয়ার বেদান্ত প্রচারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং স্বামীজির ইচ্ছাতেই তারা ‘মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ইউরোপীয় হওয়া সত্ত্বেও এদেশের মানুষদের প্রতি তাদের কোনো ঘৃণার ভাব ছিল না| এদেশের মানুষদের ওপরে প্রভুত্ব করার কোনো চেষ্টাও তারা করতেন না।

 নবম শ্রেণির বাংলা প্রবন্ধ  5 নং প্রশ্ন উত্তর

. স্বামী বিবেকানন্দ লিখিত পাঠ্য চিঠির বিষয়বস্তু আলোচনা কর।

উত্তর: লন্ডনে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে মিস নোবেলের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। স্বামীজির বক্তৃতায় তিনি অনুপ্রাণিত হন। পরবর্তীকালে ইংরেজ ভক্ত মি. স্টাডির চিঠি থেকে স্বামীজি জেনেছেন যে, মিস নোবেল ‘ভারতে এসে সবকিছু চাক্ষুষ দেখতে দৃঢ়সংকল্প’ | মিস মুলারের কাছ থেকে তিনি স্বামীজির কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু ভারতের সামগ্রিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি ইউরোপ-আমেরিকার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কুসংস্কার, অস্পৃশ্যতা, জাতিভেদ, ইংরেজ প্রভুর দাসত্ব আর প্রবল দারিদ্র্য প্রভৃতি এখানকার মানুষদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। এদেশের আবহাওয়াও উষ্ণপ্রধান। এসব জেনেও যদি মিস নোবেল ভারতের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে চান, তাহলে সেখানে তার সামনে এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে বিশেষ করে ভারতীয় নারীসমাজ তার দ্বারা অসীম উপকৃত হতে পারে। তার মত শিক্ষিতা, একনিষ্ঠ, পবিত্র, প্রেমময়ী, দৃঢ়চেতা এবং সুপ্রাচীন কেলটিক সভ্যতাজাত উন্নত চরিত্রের নারীকে এদেশের প্রয়োজন। এদেশে এসে স্বনির্ভর হয়ে তাকে কাজ করতে হবে। তার পাশে স্বামীজি আমরণ থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এইসব, তথ্য ও মতামত জানিয়ে মিস নোবেলকে স্বামীজি সরাসরি চিঠি লিখেছেন।

এ ছাড়া কয়েকজন ইউরোপীয় ব্যক্তির চরিত্র বিশ্লেষণ ও কর্মপদ্ধতি এই চিঠিতে আলোচনা করেছেন লেখক| তাদের কাছ থেকে তিনি কীভাবে সাহায্য পেতে পারেন ও কীভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে তা নিয়েও তিনি সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন মিস নোবেল কাজে অপারগ হলেও তিনি তাকে সমর্থন করবেন। চিঠিটিতে একজন শিষ্যার প্রতি গুরুর অকৃত্রিম স্নেহ প্রকাশিত হয়েছে।

২ চিঠি রচনা অবলম্বনে স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশভাবনার পরিচয় দেয়।

উঃস্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন প্রকৃত ভারতপ্রেমী। তিনি আমরণ তার কাজের মাধ্যমে দেশের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের জন্য চেষ্টা করেছেন। আলোচ্য চিঠিটি স্বামীজি তার শিষ্যা মিস নোবেলকে লিখেছেন ও তার বিষয়বস্তুও সম্পূর্ণ আলাদা। চিঠির মূল উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও চিঠির মাধ্যমে ভারতবাসীদের প্রতি তার মনোভাব স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে।

 স্বামীজি বিশেষ করে ভারতের পিছিয়ে পড়া নারী সমাজকে নিয়ে তিনি বিশেষভাবে চিন্তিত। তার মতে ভারতের নারী সমাজের উন্নতির জন্য একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন।শিক্ষা, ঐকান্তিকতা, পবিত্রতা,অসীম ভালোবাসা, দৃঢ়তা দিয়ে নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নোবেলকে আহ্বান জানিয়েছেন। আবার ভারতের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব, মানুষের দারিদ্র্য জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। এই ভাবে ভালো খারাপ মিশিয়ে তিনি তার স্বদেশকে সম্পূর্ণ্রুপে গ্রহণ করেছেন। নোবেলের কাছে তিনি ভারতের গ্লানি প্রকাশ করে তার প্রতিকারের ব্যাপারে যে কতটা আগ্রহী তা ব্যক্ত করেছেন।এভাবে দুঃস্থ দেশের প্রতি তার গভীর মমতা প্রকাশ পেয়েছে।

Click Here To Download The Pdf

আকাশে সাতটি তারা |নবম শ্রেণী| প্রশ্ন-উত্তর সমাধান | Akashe Satti Tara| Class 9| Question- Answer Solved

6

আকাশে সাতটি তারা

জীবনানন্দ দাশ

আকাশে সাতটি তারা কবিতার ছোট প্রশ্ন উত্তর

আকাশের সাতটি তারা কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উঃ আকাশের সাতটি তারা কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের লেখা রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

২ বাংলার নীল সন্ধ্যা কেমন কবি তাকে কীরূপে কল্পনা করেছেন?

উ: বাংলার নীল সন্ধ্যা শান্ত অনুগত এবং কবি তাকে কেশবতী কন্যারূপে কল্পনা করেছেন।

কবি ঘাসে বসে থেকে আকাশে কী দেখেন?

উঃ কবি ঘাসে বসে থেকে আসন্ন সন্ধ্যার দৃশ্যপটে আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠতে দেখেন।

আকাশে সাতটি তারা বলতে কোন তারাদের কথা বলা হয়েছে?

উঃ আকাশে সাতটি তারা বলতে আকাশের সপ্তর্ষিমন্ডলের কথা বলা হয়েছে।

কবি কামরাঙালাল মেঘের গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উঃ কবি আকাশের লাল মেঘের  গঙ্গাসাগরে ডুবে যাওয়ার ঘটনাকে মৃত মনিয়া পাখির সাগরের জলে ডুবে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

আকাশে সাতটি তারা ওঠার সময় কবি কোথায় বসে  ?

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশ আকাশে সাতটি তারা উঠলে ঘাসের উপর বসে সন্ধ্যার রূপ দেখেন।

আকাশে সাতটি তারা কবিতায় সন্ধ্যার আকাশে কে এসেছে বলে কবির মনে হয়েছে?

উঃ ‘আকাশে সাতটি তারা কবিতায় বাংলার সন্ধ্যার আকাশে এক কেশবতী কন্যা এসেছে বলে কবি জীবনানন্দ দাশের মনে হয়েছে৷

কবিরচোখের পরে‘, ‘মুখেরপরে কী ভাসে?

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশের ‘চোখের পরে’, ‘মুখের পরে’ বাংলার নীল সন্ধ্যার চেহারায় আসা কেশবতী কন্যার চুল ভাসে।

কেশবতী কন্যার চুলের.চুমা কোথায় ঝরে?

উঃ কেশবতী কন্যার চুলের চুমা হিজলে-কাঠালে-জামে অবিরত ঝরে পড়ে। 

১০ কবি বাংলার সন্ধ্যা সম্পর্কে কী কী বিশেষণ ব্যবহার করেছেন?

উঃ কবি বাংলার সন্ধ্যা সম্পর্কে শান্ত, অনুগত ও নীল এই তিনটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন।

১২ পৃথিবীর কোন পথ কাকে দেখেনি বলে কবির মনে হয়?

উঃ  পৃথিবীর কোন পথ বাংলার সন্ধ্যারুপী কেশবতী কন্যাকে দেখেনি বলে কবির মনে হয়।

১৩অজস্র চুলের চুমাবলতে কবি কি বুঝিয়েছেন?

উঃ প্রকৃতির বুকে অন্ধকারের নিবিড়তাকে বোঝাতে তিনি ‘অজস্র চুলের চুমা’ কথাটি ব্যবহার করেছেন।

১৪ রূপসী চুলের বিন্যাস থেকে কী ঝৱে?

উঃ রূপসী কেশবতী কন্যার অপূর্ব চুলের বিন্যাস থেকে ঝরে এত স্নিগ্ধ গন্ধ।

১৫আমি পাই টেৱ’-কবি কী টের পান?

উঃ প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ দাশ টের পান সন্ধ্যায় যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠে। .

১৬ এরই মাঝে বাংলার প্রাণ ;-বাংলার প্রাণ কীসের মধ্যে আছে?

উঃ বাংলার প্রাণ আছে নরম ধান, কলমি, হাঁসের পালক, পুকুরের জল, মাছ, কিশোরীর চালধোয়া ভিজে হাত, শীতের কামড়, পায়ে-দলা মুথাঘাস ও বটের ফলের গন্ধে।

১৭ কবি কী টের পান?

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশ টের পান সমাগত সন্ধ্যায় তাঁর পল্লি প্রকৃতিতে লুকিয়ে থাকা বাংলার প্রাণশক্তি।

১৮ কলমি কী ?

উঃ পুকুরের ধারে বা কোন জলাশয়ের ধারে জন্মায় এমন এক ধরনের শাক যা বাঙালির খাদ্যতালিকায় স্থান পায় ।

১৯আকাশে সাতটি তারাকবিতায় কবি কোন মাছ দুটিৱ উল্লেখ করেছেন?

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিত চাঁদা ও সরপুঁটি এই দুটি মাছের কথা উল্লেখ করেছেন।

২০ সন্ধ্যার সঙ্গে কবি কিসের ঘ্রাণ পান?

উঃ সন্ধ্যার আগমণের সঙ্গে কবি নরম ধান, কলমি, শর, পুকুরের জল, চাঁদা ও সরপুঁটি মাছের আঁশটে গন্ধ,পায়ে দলিত মুথা ঘাস ইত্যাদির ঘ্রাণ অনুভব করেন।

২১ কিশোরীর হাত ভিজে কেনো?

উঃ কিশোরী সন্ধ্যাবেলায় চাল দিচ্ছিল, তাই তার হাট ভিজে।

২২ কবি কখন বাংলার প্রাণকে খুঁজে পান?

উঃ আকাশে যখন সাতটি তারা ফুটে ওঠে তখন কবি বাংলার প্রাণকে খুঁজে পান।

২৩ আকাশে সাতটি তাৱা কবিতায় বটফল ব্যথিত কেন?

উঃ লাল লাল বটফল গাছের তলায় পড়ে থাকে, নিতান্ত অবহেলায়—এই ফল কেউ আদর করে তুলে নেয় না। তাই সে ব্যথিত।

২৪আকাশে সাতটি তারাকবিতায় কাদেৱ মৃদু ঘ্রাণের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ পুকুরের জল থেকে ভেসে আসছে চাঁদা ও সরপুঁটি মাছের মৃদু ঘ্রাণ।

নম্বরের প্রশ্নঃ

কামরাঙ্গা লাল মেঘ যেন মৃত মনিয়ার মতো গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে’-  পঙক্তিটির মধ্যে দিয়ে কবি কি বোঝাতে চেয়েছেন?

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় সন্ধ্যার আগমনের আগে বাংলার আকাশে সূর্যাস্তের আলোয় রাঙা মেঘের ছবি এঁকেছো। সূর্যের লাল আভায় মেঘগুলি যেন পাকা কামরাঙার মতো লাল হয়ে উঠেছে। মেঘের এই লাল রং খুবই ক্ষণস্থায়ী। লাল রং মুছে গেলে মেঘকে মনে হয় মৃত মুনিয়ার মতো ম্লান, বিবর্ণ। গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে তা অবলুপ্ত হয়। কামরাঙার রঙের সঙ্গে, মৃত মুনিয়ার সঙ্গে মেঘের তুলনা করা হয়েছে।

আসিয়াছে শান্ত অনুগত বাংলার নীল সন্ধ্যা——বাংলাৱ সন্ধ্যাকে শান্ত, অনুগত নীল বিশেষণে ভূষিত কৱাৱ কারণ কী

উঃআলোচ্য উদ্ধৃতিটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতা থেকে গৃহীত। বাংলার গ্রামে শহরের মতো কোলাহল নেই, দিনশেষে সেখানে সমস্ত কাজের বিশ্রাম ঘটে।তাই সন্ধ্যা শান্তভাবে দিনের বিরতির ঘোষনা নিয়ে আসে। পল্লী বাংলার সন্ধ্যায় সারি সারি গ্যাস লাইট জ্বলে ওঠে না,তাই এক চাকচিক্যহীন সন্ধ্যা প্রতিদিন নিয়ম করে নেমে আসে।তাই সন্ধ্যা অনুগত।সন্ধ্যার অন্ধকার ও দিনের আলো মিশে যে আবছায়া তৈরী করে তার সঙ্গে গাছপালার সবুজ আভা মিশে সন্ধ্যাকে নীল করে।

কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে;”—পঙক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উঃ উধৃত পঙক্তিটি কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।এই কবিতায় জীবনানন্দ তার একান্ত নিজস্ব ভঙিতে পল্লিবাংলার সন্ধ্যাকে বর্ণনা করেছেন। গ্রাম বাংলার সন্ধ্যাকে তিনি এক মানবী রূপে কল্পনা করেছেন। সূর্য ডুবে গেলে যখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসে, কবির মনে হয় যেন এক কেশবতী কন্যা এসেছে সন্ধ্যার আকাশে। তার ছড়িয়ে পড়া কালো চুলে ঘনিয়ে আসে রাতের অন্ধকার। কবির চোখে এভাবেই কাব্যিকরূপে ধরা দেয় পল্লিবাংলার সন্ধ্যা।

আমার চোখের পরে, আমার মুখের পরে চুল তার ভাসে’ – বক্তব্যটি ব্যাখ্যা কর।

উঃ সবে যখন সুর্য অস্ত গেছে,আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে সেই সময় কবি ঘাসের উপর বসে স্পর্শ, গন্ধ ও বর্ণ দিয়ে পল্লীবাংলার সন্ধ্যাকে অনুভব করে। তার মনে হয় যেন এক এলোকেশী মেয়ে দেখা দিয়েছে সন্ধ্যার আকাশে। তার ছড়িয়ে পরা কালো চুলের মতো ধীরে ধীরে অন্ধকার নামে।কবি তার চোখে মুখে সেই অন্ধকারের স্পর্শ অনুভব করেন।

পৃথিবীর কোনো পথ কন্যারে দেখেনি কোকবির বক্তব্য বিশ্লেষণ কর।

উঃ কবি বঙ্গভুমিকে পৃথিবীর সব থেকে রুপসী নারী রূপে গণ্য করেন। রূপসী বাংলার মতো সুর্য  পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তাই সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে সেখানে যে সন্ধ্যা নামে সে যেন কোনো এক কেশবতী কন্যার খোলার চুলের রাশি। তার চুল যেভাবে আকাশে ছড়িয়ে অন্ধকার ঘনিয়ে তোলে তা আর পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না। কবির কল্পনার সেই মানসী আসলে সন্ধ্যাকালীন বাংলার প্রকৃতি।

অজস্র চুলের চুমা হিজলে কাঁঠালে, জামে ঝরে অবিরত’ – অজস্র চুমা বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

উঃ কল্পনাপ্রবণ কবি জীবনানন্দ দাশের ‘আকাশের সাতটি তারা’ কবিতাটিতে পল্লীবাংলার সন্ধ্যা এক মানসী রূপে আবির্ভূত হয়েছে। সূর্যাস্তের পর সেই মানসী তার কালো চুল ছড়িয়ে দেয় বাংলার আকাশে। আকাশে ছড়িয়ে পড়া তার কালো চুল ধীরে ধীরে অন্ধকারের স্পর্শ নিয়ে আসে প্রকৃতির বুকে। হিজল, কাঁঠাল ও জাম গাছের পাতায় নেমে আসে সেই অন্ধকার যেন সেই রূপসীর চুলের চুম্বন।

.’এরই মাঝে বাংলার প্রাণ; —পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

উঃ উধৃত পঙক্তিটি জীবনানন্দ দাশের ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জীবনানন্দের কাছে শুধু এক ভূখণ্ড নয়, প্রাণময়ী মূর্তি। শব্দ-গন্ধ- বর্ণ-স্পর্শ দিয়ে কবি তাকে অনুভব করেন। আলোচ্য কবিতাটিতে তিনি বাংলার সন্ধ্যাকালীন প্রকৃতির এক অপূর্ব বর্ণনা দিয়েছেন। হিজল, কাঠাল, বট প্রভৃতি বৃক্ষ, ধান গাছ, কলমি শাক, মুথা ঘাস, পুকুর, মাছ, কিশোর- কিশোরী অর্থাৎ মানুষ—এই সব নিয়েই বাংলার পরিপূর্ণ প্রকৃতি৷ এই প্রকৃতির মধ্যেই কবি বাংলার জীবন্ত সত্তাকে উপলব্ধি করেছেন ।

.“লাল লাল বর্টের ফলের/ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা”—তাৎপর্যব্যাখ্যা কর।

উঃ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি পল্লিপ্রকৃতির মধ্যে বাংলার প্রাণ’-কে খুঁজে পেয়েছিলেন। গাছ থেকে খসে পড়া বট ফলের মধ্যে রয়েছে এক নীরব ক্লান্তি | বাংলার শান্ত নিস্তরঙ্গ প্রকৃতির মধ্যে থাকা বিষাদময়তাকেই যেন কবি এখানে প্রত্যক্ষ করেন৷ গাছ থেকে খসে পড়া বট ফলের মধ্যে রয়েছে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বেদনা।

রচনাধর্মী প্রশ্ন

১ আকাশে সাতটি তারা কবিতাটি নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উঃ বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ পরবর্তী বিখ্যাত কবি হলেন জীবনানন্দ দাশ। সৃষ্টিধর্মী সাহিত্যে নামকরণ বিষয় কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। আলোচ্য কবিতায় আকাশে সাতটি তারা  কবির চোখে ধরা পড়েছে। কবি সেই দৃশ্য দেখার জন্য মাটিতে ঘাসের উপর বসে পড়েছেন। রাঙা মেঘকে কবি মৃত মুনিয়ার মতো দেখেছেন । যা গঙ্গা সাগরে ডুবে গেছে, কেশবতী কন্যার ছায়া কবি সন্ধ্যার আকাশে লক্ষ করেছেন। তার নরম হাতের স্পর্শ কবি দেখেছেন চাল ধোয়া জল এর ঠান্ডাময় অবস্থার মধ্যে। বাংলার সন্ধ্যা প্রকৃতির মাঝে ও সন্ধ্যার আকাশের সাতটি তারার মাঝে কবি  প্রাণ খুঁজে পেয়েছেন। আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে। পাঠকের মনের পর্দাতেও যেন সাতটি তারার ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই নাম করন টি যথার্থ এবং সার্থক হয়েছে।

আমি পাই টেৱ’–‘আমিকে? বক্তার অনুভবটি বিশ্লেষণ কর। 

উঃ ‘আমি’ হলেন ‘রূপসী বাংলা’-র স্রষ্টা ও বাংলার প্রকৃতিপ্রেমিক কবি জীবনানন্দ দাশ।কবি জীবনানন্দ গ্রামবাংলার প্রকৃতি জগতে ঘনিয়ে আসা সন্ধ্যার অপরূপ দৃশ্য দেখে মোহিত। সন্ধ্যা আসছে শান্ত অনুগত কেশবতী কন্যার মতো। ধীরে ধীরে সন্ধ্যার অন্ধকার কেশবতী কন্যার এলো চুলের মতো  দৃশ্যমান সবকিছু ঢেকে ফেলছে। তার চুলের স্পর্শ চুমার মত অবিরত ঝরছে গাছ-গাছালির ওপর। তার চুলের বিন্যাস থেকে স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে পড়ছে। সে গন্ধ নরম ধানে ও কলমি লতার ঘ্রাণে। হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল আর চাঁদা-সরপুঁটির মৃদু গন্ধে। সে ঘ্রাণ কিশোরীর চালধোয়া ভিজে হাতে ও কিশোরের পায়ে-দলা মুথাঘাসে, বটের লাল লাল ফলের ব্যথিত গন্ধে। সান্ধ্য শোভার দৃশ্যে, ঘনায়মান অন্ধকারের স্পর্শ ও গন্ধের মাঝে নিহিত বাংলার সজীব প্রাণের অস্তিত্ব কবি অনুভব করেছেন। তিনি টের পেয়েছেন বাংলার প্রকৃতি জগতের রূপ, রস ও গন্ধের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকা বাংলার মানুষের সজীবতা। এটাই বাঙালি প্রাণের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য।

আকাশে সাতটি তারাকবিতায় প্রকাশিত কবি জীবনানন্দের বঙ্গপ্রকৃতিপ্রীতির পরিচয় দাও।

উঃ কবি জীবনানন্দ দাশের বঙ্গপ্রকৃতি-প্রীতির শ্রেষ্ঠ পরিচয় হল রূপময়ী বাংলার প্রকৃতি জগতের অপার সৌন্দর্য নিয়ে লেখা কাব্যগ্রন্থ ‘রূপসী বাংলা’। এই বইয়ের প্রতিটি কবিতার মধ্যে বঙ্গপ্রকৃতির নানা শোভা, নানা বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্য যেন হাজার ছবি হয়ে ফুটে আছে। আকাশে সাতটি তারা কবিতা সেগুলির মধ্যে একটি। বাংলার বুকে নেমে আসা সন্ধ্যার দৃশ্য কবি কেবল দু-চোখ ভরে দেখেননি। তাঁর দৃষ্টিতে ঘনায়মান সন্ধ্যা যেন কেশবতী কন্যা। সে রূপসীর এলো চুল কেবল কবির চোখ ও মুখের ওপর ভাসমান নয়, তার চুলের চুমা অবিরত ঝরে হিজলে, কাঁঠালে, জামে।সন্ধ্যার এই দৃশ্য বাংলা ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না বলে কবি মনে করেন। পৃথিবীর কোন পথ এ কন্যারে দেখে নি কো—’। হিজল কাঁঠাল জাম নিয়ে বাংলা প্রকৃতির যে গাছ-গাছালি তা বাংলার নিজস্ব প্রকৃতি জগৎ। ওই বঙ্গপ্রকৃতির আরও নিজস্ব অনুষঙ্গ হল নরম ধান, কলমি লতা, হাঁস, শর, পুকুরের জল, চাঁদা-সরপুঁটি, বটের লাল লাল ফল। ওইসব অনুষঙ্গের নিজস্ব ঘ্রাণ যেন রূপসী বঙ্গসন্ধ্যা কেশবতী কন্যার  চুলের বিন্যাস থেকে ঝরে পড়া স্নিগ্ধ গন্ধ।কবি জীবনানন্দ তাঁর গভীর ভালোবাসা ও মমত্ব দিয়ে বাংলার সমাগত সন্ধ্যার সৌন্দর্য বর্ণনার অবকাশে তাঁর বঙ্গপ্রকৃতির পরিচয়কে সার্থক করে রেখেছেন।

এৱই মাঝে বাংলার প্রাণ ;-কাৱ লেখা কোন্ কবিতা থেকে গৃহীত? প্রসঙ্গ নির্দেশ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। 

উত্তর:  আলোচ্য উদ্ধৃতিটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘আকাশে সাতটি তারা কবিতা থেকে গৃহীত।

 প্রসঙ্গ : প্রকৃতিভক্ত কবি জীবনানন্দ দাশ ঘাসের ওপর বসে বাংলার ঘনায়মান সন্ধ্যার শোভা দেখছেন। আকাশে এক-এক করে সাতটি তারা ফুটে উঠছে। সন্ধ্যা এসেছে ঘনায়মান অন্ধকার নিয়ে। সন্ধ্যার পরিব্যাপ্ত অন্ধকারকে কবি কেশবতী কন্যারূপে কল্পনা করেছেন। তাতে নির্জীব প্রকৃতি সচেতন ও সপ্রাণ মানবীরূপে কল্পিত হয়েছে। সন্ধ্যার অজস্র চুলের স্পর্শ ও ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে বাংলার প্রকৃতিতে। ওই আলোচনা প্রসঙ্গে কবি এসে গেছেন বাংলার প্রকৃতি জগতের নিজস্ব ঘ্রাণের কথায় এবং বাংলার প্রাণের সজীবতার কথায়।

তাৎপর্য : বঙ্গপ্রকৃতির প্রতিটি জিনিসের নিজ নিজ ঘ্রাণ আছে। মাঠের নরম ধান, কলমিলতা, হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা-সরপুঁটি মাছ, কিশোরীর চালধোয়া ভিজে হাত, শীতের নরম কামড়, কিশোরের পায়ে-দলা মুথাঘাস, বটের লাল লাল ফল—প্রত্যেক বস্তুর আছে নিজ নিজ গন্ধের বৈশিষ্ট্য। কোনোটির ঘ্রাণ কোমল, কোনোটির মৃদু, কোনোটির তীব্র, কোনোটির আবার কেমন যেন ব্যথিত। বাংলার প্রকৃতি জগতের এই যে বৈচিত্র্য, এরই মাঝে আছে বাংলার প্রাণের অস্তিত্ব তার সজীবতা। এইসব কিছু নিয়েই বাংলার প্রাণময় অস্তিত্বের জগৎ। 

Click Here  To Download  The Pdf

নোট বই| সপ্তম শ্রেণী|প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Noteboi| Class 7| Question- Answer Solved|

5

নোট বই

সুকুমার রায়

১ একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ

১. ১নোট বই কী ধরনের লেখাতে ভরা?

উঃ নোট বই ‘কিলবিল’ সব লেখাতে ভরা।

১.২ বক্তা কী করে নিজে নিজে নোট বইটি লিখলেন?

উঃ বক্তা অর্থাৎ বাচ্চা ছেলেটি যেখানে যা যা ভালো ভালো  কথা শোনে সেগুলি সে নোটবইতে চটপট লিখে রাখে।

২ চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট – এই শব্দগুলি কী ধরনের শব্দ? চটপট ও ছটফট এই দুটি শব্দ দিয়ে দুটি বাক্য লেখো।

উঃ চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট – এই শব্দগুলি হল ধনাত্মক শব্দ। এরকম আরো কিছু শব্দদৈত্ব হল- ঝপঝপ, শনশন, কটকট ইত্যাদি।

চটপটচটপট তৈরি হয়ে নিতে হবে যাতে ট্রেন ধরতে যেতে দেরি না হয়।

চটপটকাজগুলি চটপট করে সেরে ফেলতে হবে।

ছটফটছেলেটি মাথার যন্ত্রণায় ছটফট করছিল।

ছটফটশিশুটি বাইরে যাওয়ার জন্য ছটফট করছিল।

৩ নীচের বিশেশ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসাওঃ

বিশেষণ বিশেষ্য

ছোটো লন্ঠন

ঝাল     লঙ্কা

চটচটে আঠা

৪ একি অর্থযুক্ত আরেকটি শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখোঃ পা, উত্তর, অস্থিরতার ভাব, তীক্ষ্ণতা

পা- ঠ্যাং’

উত্তর- জবাব

অস্থিরতার ভাব – ছটফট

তীক্ষ্ণতা- ঝাঁজ

৫ শুণ্য স্থান পুরণ কর

বিশেষ্য            বিশেষণ

আঠা    আঠালো

মানস মানসিক

৬ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো

৬.১ “ ভালো কথা শুনি যেই চটপত লিখি তাই” বক্তা কোন কোন ভালো কথা নোটবইতে লিখে রেখেছেন?

উঃ বক্তা অর্থাৎ বাচ্চা ছেলেটি তার নোটবইয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ও তার উত্তর লিখেছিল। যেমন ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙ্গুলে আঠা লাগলে চটচট করে কেনো, কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে ইত্যাদি।

৬.২ “ কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা” – কাল থেকে কি খটকা লেগে আছে? এই খটকা কীভাবে দূর হবে?

উঃ ছেলেটির মনে সন্দেহ জেগেছিল যে ঝোলাগুড় কিসে দেওয়া হয়। সে জানতে ইচ্ছুক ছিল যে সাবান না পটকা কিসে ঝোলাগুড় ব্যবহার করা হয়।

 এই প্রশ্নের উত্তর সে মেজদাকে খুচিয়ে অর্থাৎ বিরক্ত করে জেনে নেবে তাহলেই তার মনের খটকা দূর হবে।

৬.৩ ‘বলবে কি তোমরা ও নোট বই পড় নি’ – নোটবই পড়লে আর কি কি জানা যাবে?

উঃ নোটবই পড়া থাকলে অনেক  অদ্ভুত ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে। যেমন আমাদের পেটে কেনো যন্ত্রণা হয়, জোয়ানের আরকে এত ঝাঁজ কেনো, তেজপাতায় কীসের তেজ আছে, লঙ্কা ঝাল কেনো, নাক ডাকে কেনো, অরণি কে ইত্যাদি।

৭ নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

৭.১ ভালো কথা শুনলে কবিতার লোকটি কি করে?

উঃ ভালো কোন কথা শুনলে লোকটি সঙ্গে সঙ্গে তার নোটবইতে লিখে রাখে।

৭.২ তার শোনা কয়েকটি ভালো কথার নমুনা কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

উঃ ছেলেটির শোনা কয়েকটি ভালো কথার কয়েকটি নমুনা হল- ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙ্গুলে আঠা লাগলে চটচট করে কেনো, কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে ইত্যাদি।

৭.৩ কিলবিল, ছটফট, কটকট, টনটন এগুলো কী ধরনের শব্দ?

উঃ কিলবিল, ছটফট, কটকট, টনটন এগুলো ধনাত্মক শব্দ।

৭.৪ ‘ মাথাঘামানো’ এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ কি?

উঃ ‘ মাথাঘামানো’ এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ হল বুদ্ধি খাটিয়ে চিন্তাভাবনা করা।

৭.৫ ভালো কোন প্রশ্ন মনে এলে বক্তা কার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তর জেনে নেয়?

উঃ ভালো কোন প্রশ্ন মনে এলে বক্তা মেজদার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তর জেনে নেয়।

৭.৬ মানুষের কাছে নোটবই থাকাকে কি তুমি জরুরি বলে মনে করো?

উঃ প্রত্যেকটি  মানুষের অবশ্যই নোটবই থাকা উচিত। কারণ তাতে মানুষ তার প্রয়োজনীয় ও জরুরি কথা লিখে রাখে । নানা অজানা তথ্য তাতে লিখে রাখলে জানের ভান্ডার বাড়বে।

৭.৭ তুমি যদি নোট বই কাছে রাখ তাতে কি ধরণের তথ্য লিখে রাখবে?

উঃ আমি যদি নোটবই কাছে রাখি তাহলে তাতে আমি আমার প্রয়োজনীয় কথা লিখে রাখব।

৭.৮ ‘জোয়ান শব্দটিকে দুটি অর্থে ব্যবহার করে আলাদা বাক্য লেখো।

উঃ জোয়ান ( হজমের মশলা)ঃ ভারী খাবারের পর জোয়ান খেয়ে নিলে হজমের সুবিধা হয়।

জোয়ান  ( যুবক) ঃ জোয়ান ছেলেটি কঠোর পরিশ্রমী, তাই সে সফলতা লাভ করবে।

৭.৯ আগাগোড়া এমন বিপরীতার্থক শব্দের সমাবেশে তৈরী পাচটি শব্দ লেখ।

উঃ ভালমন্দঃ সমাজে ভালোমন্দ মিলিয়ে মিশিয়ে নানা চরিত্রের মানুষের দেখা মেলে।

দিনরাতঃ পরীক্ষার আগে সে দিনরাত পড়াশুনা করছে।

লাভক্ষতিঃ ব্যাবসাতে লাভক্ষতি উভয়ই হতে পারে।

আয়ব্যায়ঃ তার আয়ব্যায়ের কোন হিসাব নেই।

ছোটবড়োঃ ছোটবড় সবাইকে সমান চোখে দেখা উচিত।

৭.১০ কবিতাতে কোন কোন পতঙ্গের উল্লেখ আছে?

উঃ কবিতাতে দুটি পতঙ্গের উল্লেখ আছে- ফড়িং ও আরশোলা।

৭.১১ কবিতায় উত্থাপিত কোন কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি জান?

উঃ কবিতায় উত্থাপিত অনেক প্রশ্নের উত্তর আমার জানা আছে, যেমন ফড়িঙের ছটা পা, আরশোলা নোংরা বাসি খাবার খায়, কাতুকুতু দিলে গোরুর অস্বস্তি হয় তাই সে ছটফট করে, যুদ্ধের সময় দামামা বা ঢাক বাজানো হয়।

৭.১২ কোন প্রশ্নগুলি পড়ে কবিতাটিকে তোমার কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে?

উঃ কবিতাটিতে অনেক প্রশ্ন খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে। যেমন গোরুকে কাতুকুতু দিলে গোরু কেনো ছটফট করে , ঝোলাগুড় সাবানে দেয় না পটকায়, তেজপাতায় তেজ কেনো, লঙ্কায় ঝাল কেনো, ফোড়া কেন টনটন করে ইত্যাদি।

৮ নীচের শব্দগুলির গদ্যরুপ লেখো

উঃ তায় – তাতে

মোর – আমার

তেজপাতে- তেজপাতায়

৯ নীচের সর্বনামগুলিকে বাক্যে ব্যবহার কর

আমিঃ আমি প্রতিঞ্জা করেছি যে আমি আমার সব দায়িত্ব পালন করব।

মোরঃ মোর প্রানে গান জেগেছে এই ঘন বর্ষার সন্ধ্যায়।

কেঃ দরজায় কে কড়া নাড়ছে?

কারঃ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত কার লেখা?

কাকেঃ রাম ও রহিমের মধ্যে তুমি কাকে বেশি পছন্দ কর?

তোমরাঃ তোমরা আমার সঙ্গে গান শুরু করো।

নিজেঃ রাম নিজে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।

১০ বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে আর বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে লেখো;

বিশেষ্য বিশেষণ
 মন মানসিক
চটচট চটচটে
জবাব জবাবি
পেট পেটুক

১১ নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুই অংশ সম্প্রসারন করে লেখ।

১১.১ ওরে রামা ছুটে আয় নিয়ে আয় লন্ঠন।

উঃ ওরে বোকা রামা  তাড়াতাড়ি ছুটে আয় নিয়ে আয় কাচের লন্ঠন।

১১.২ এই দেখো ভরা সব কিলবিল লেখাতে।

উঃ এই দেখো খাতাটা ভরা সব ছবি আর কিলবিল লেখাতে।

১১.৩ জবাবটা জেনে নেবো মেজদাকে খুঁচিয়ে।

উঃ কঠিন জবাবটা জেনে নেবো বুদ্ধিমান মেজদাকে খুঁচিয়ে।

১১.৪ ঝাল কেন লঙ্কায়?

উঃ অনেক ঝাল কেন লাল লঙ্কায়?

১১.৫ বলবে কি তোমরা ও নোটবই পড়নি।

উঃ ঘরে গিয়ে বলবে কি তোমরা ও ভালো ভালো নোটবই পড়ো নি।

১২ নিম্ন- রেখ অংশগুলির কারক- বিভক্তি নির্দেশ কর।

১২.১ কাল থেকে মনে মোর লেগে গেছে খটকা।

অধিকরণ কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ

১২.২ ওরে রামা ছুটে আয়।

সম্বোধন পদে ‘শুণ্য’ বিভক্তি।

১২.৩ পেট কেন কামড়ায় বলো দেখি পারো কে?

কতৃকারকে শূণ্য বিভক্তি

১২.৪ নিজে নিজে আগাগোড়া লিখে গেছি আমি এ।

কতৃকারকে শূণ্য বিভিক্তি

১২.৫ এই বেলা প্রশ্নটা লিখে রাখি গুছিয়ে।

অধিকরণ কারকে শুন্য বিভক্তি

 

error: Content is protected !!