Monday, June 16, 2025
Home Blog Page 2

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়|খ্রীষ্টপূর্ব  ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ| Class 6 History| 5th Chapter|

0

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়|

খ্রীষ্টপূর্ব  ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ

অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর সমাধান
১ সঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর
১.১ মহাজনপদ্গুলি  গড়ে উঠেছিল খ্রিস্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতকে
১.২ গৌতম বুদ্ধ জন্মে ছিলেন শাক্য বংশে
১.৩ পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈন তীর্থঙ্কর
১.৪ আর্য সত্য বৌদ্ধ ধর্মের অংশ
২ ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মেলাওঃ
ক স্তম্ভ
খ স্তম্ভ
মগধের রাজধানী
রাজগৃহ
মহাকাশ্যপ
প্রথম বৌদ্ধ সঙ্গীতী
দ্বাদশ অঙ্গ
জৈন ধর্ম
হীন-যান মহাযান
বৌদ্ধ ধর্ম
৩.১ মগধ ও বৃজ্জি মহাজনপদ দুটির মধ্যে কি কি পার্থক্য তোমার চোখে পড়ে?
উঃ
মগধ জনপদ
বৃজি জনপদ
মগধ একটি রাজতান্ত্রিক মহাজন পদ
বৃজি একটি  অরাজতান্ত্রিক মহাজন পদ
একজন রাজার অধীনে থাকার কারনে এখানে শাসন ব্যবস্থা ও পরিবেশ খুবই শান্ত ও মনোরম ছিল
বৃজিতে কয়েকটি উপজাতির হাতে শাসন ক্ষমতা ভাগ করা ছিল
৩.২ কী কারনে মগধ শেষ পর্যন্ত বাকি জনপদ্গুলির থেকে শক্তিশালী হল? সেই কারণ গুলির মধ্যে কোনটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ?
উঃ ষোলোটি মহাজনপদের মধ্যে মগধ সব থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যা হল-
১ মগধ ছিল পাহাড় ও নদী দিয়ে ঘেরা একটি রাজ্য যার ফলে বাইরের শত্রুরা সহজে এই রাজ্য আক্রমন করতে সক্ষম ছিল না।
২ এই রাজ্যে প্রচুর লোহা ও তামার খনি ছিল ফলে মগধের রাজাদের অস্ত্র শস্ত্রের  কোন অভাব হত না।
৩ মগধের ঘন বনে প্রচুর হাতি পাওয়া যেত যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত।
৪ গঙ্গা নদীর পলিমাটি মগধের ভুমিকে উর্বর করে তুলেছিল, ফলে মগধ কৃষি কাজে যথেষ্ট উন্নত ছিল।
৫ জল পথে ও স্থলপথে মগধের বাণিজ্য চলত।
            আমার মতে পাহাড় ও নদী বেষ্টিত হওয়ার কারনেই মগধ বাইরের আক্রমণের থেকে সুরক্ষিত ছিল, তাই মগধ সকলের থেকে উন্নত হয়ে উঠেছিল।
 ৩.৩ সমাজের কোন  কোন  অংশের মানুষ নব্য ধর্ম আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন? কেন করেছিলেন?
উঃ সমাজে প্রচলিত সাধারণ্নিয়ম কানুনের থেকে মানুষের বিশ্বাস ক্রমশ উঠে যেতে থাকে।সমাজের লোকজন আর গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে চাইছিলেন না। ধর্মের নামে যাগযজ্ঞ ও আড়ম্বড় অনুষ্ঠান বেড়ে গেছিল। ব্রামণ ধর্মে সুদ নেওয়া নিষেধ ছিল। তাই বণিকরা তা ত্যাগ করতে চায়, ক্ষত্রিয়রা নিজেদের ব্রামণদের থেকে শক্তিশালী বলে দাবি করতে থাকে। এই ভাবে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ ব্রামণ্য ধর্মের পরিবর্তে নতুন ধর্মের খোঁজ করতে থাকে।
৩৪ জৈন ধর্মে ও বৌদ্ধ ধর্মে কি কি মিল ও অমিল তোমার চোখে পড়ে?
উঃ জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের মিল গুলি হলঃ
উভয় ধর্ম উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল।
উভয় ধর্মই বেদ মান্য করে।
উভয় ধর্ম কথ্য সহজ সরল ভাষার মধ্যে দিয়ে নিজেদের ধর্ম প্রচার করতে সফল হয়েছিল।
দুটি ধর্মেই রাজার অনুকূল্যতা লাভ করেছিল।
উভয় ধর্ম অহিংসতায় বিশ্বাসী ছিল।
উভয় ধর্মই ব্রামন্য ধর্মের আচার অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল।
জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের  অমিল গুলি হলঃ
জৈন ধর্ম
বৌদ্ধ ধর্ম
জৈন ধর্ম শুধু মাত্র ভারতবর্ষের মধ্যেই তার বিস্তার লাভ করেছিল।
বৌদ্ধ ধর্ম শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয় আশেপাশের দেশগুলির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
জৈন ধর্মে দিগাম্বর ও শ্বেতাম্বর নামে দুটি ভাগ ছিল।
বৌদ্ধ ধর্মে হীনযান ও মহাযান নামে দুটি ভাগ ছিল।
জৈন ধর্মে সংঘের কোন স্থান ছিল না।
বৌদ্ধ ধর্মে সংঘের স্থান ছিল।
অতিরিক্ত প্রশ্ন-উত্তরঃ
দু-এককথায় উত্তর দাও :-
১. জৈন ও বৌদ্ধদের আগে ব্রাক্ষ্মণদের ও ব্রাত্মণ্য ধর্মের বিরোধিতা করেছিলেন কারা?
উত্তর :- চার্বাক ও আজীবিক গোষ্ঠী।
 ২. কত খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধদেবের মৃত্যু হয়?
উত্তর :- ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
 ৩. বজ্জিদের রাজধানীর নাম কী ছিল?
উত্তর :- বৈশালী।
 ৪. জনপদগুলির মধ্যে লড়াই-ঝগড়া কীসের ক্ষতি করেছিল?
উত্তর :- বাণিজ্যের।
 ৫. জনপদ কথার অর্থ কী?
উত্তর :- জনগণ যেখানে পদ বা পা রেখেছে।
৬. মল্লদের রাজ্য দুটির নাম কী ?
উত্তর :- পাবা ও কুশিনারা।
৭. আজীবিক গোষ্ঠী কে তৈরি করেছিলেন?
উত্তর :- মংখলিপুত্র গোসাল।
৮. বৌদ্ধরা হীনযান ও মহাযানে বিভক্ত হওয়ার আগেও দু-ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সেই ভাগগুলি কী কী?
উত্তর :- থেরবাদী ও মহাসাংঘিক।
 ৯. মহাবীরের কত বছর আগে পার্শ্বনাথ জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :- প্রায় আটশো বছর আগে।
১০. শেষ জৈন তীর্থংকরের নাম কী ?
উত্তর :- মহাবীর।
 ১১. পার্শ্বনাথ কে ছিলেন?
উত্তর :- ২৩-তম তীর্থংকর।
১২. কোন মৌর্যসম্রাট শেষ জীবনেজৈন ধর্মগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর :- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
 ১৩. ধর্মপ্রচারের পূর্বে মহাবীর কী করেছিলেন?
উত্তর :- কঠোর তপস্যা।
১৪. ভারতীয় উপমহাদেশে কবে মহাজনপদের সৃষ্টি হয়েছিল?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে।
১৫. ভারতে কটি মহাজনপদের অস্তিত্বের কথা জানা যায়?
উত্তর :- ১৬টি।
১৬. মগধ শক্তিশালী জনপদে পরিণত হওয়ার একটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর :- মগধের ভৌগোলিক অবস্থান।
১৭. কোন পথে মগধের বাণিজ্য চলত?
উত্তর :- জল ও স্থলপথে।
১৮. বেশিরভাগ মহাজনপদগুলি ভারতের কোন দিকে অবস্থিত ছিল?
উত্তর :- উত্তর দিকে।
 ১৯. ষোড়শ মহাজনপদ কমে কোন চারটি মহাজনপদ অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল ?
উত্তর :- অবন্তি, বৎস, কোশল, মগধ ।
২০. সাধারণ মানুষ কোন ধর্মের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ?
উত্তর :- বৈদিক ধর্ম।
২১. মহাজনপদগুলির কথা কী থেকে জানা যায়?
উত্তর :- বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্য থেকে।
 ২২. জন কী?
উত্তর :- গ্রামের থেকে বড়ো অঞ্চল।
 ২৩. মহাবীর কোথায় দেহত্যাগ করেন ?
উত্তর :- পাবা নগরে।
 ২৪. “জিন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :- রিপুজয়ী বা জিতেন্দ্রিয়।
 ২৫. জনপদগুলি কীভাবে পরিচিত হত ?
উত্তর :- শাসক বংশের নামে।
২৬. জনপদগুলি কীসে পরিণত হয় ?
উত্তর :- মহাজনপদে।
২৭. ত্রিপিটকের গল্পগুলিকে কী বলা হয়?
উত্তর :- জাতক।
২৮. সেরিবান ও সেরিবা গল্পটি কোন্ জাতক থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর :- সেরিবানিজ-জাতক থেকে।
 ২৯.মগধ বলতে এখনকার কোন অঞ্চলকে বোঝায়?
উত্তর :- গয়া ও পাটনা জেলা।
৩০. বুদ্ধদেব কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :- কপিলাবস্তুতে।
৩১. মানুষ বৈদিক ধর্মের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার একটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর :- জাতিভেদপ্রথার জন্য।
৩২. বুদ্ধদেব কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তর :- শাক্য বংশে।
৩৩. কত খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধদেবের জন্ম হয় ?
উত্তর :- ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
৩৪. গৌতম বুদ্ধ কোথায় দেহত্যাগ করেন?
উত্তর :- কুশিনগরে।
৩৫. কল্পসূত্র’ কার রচনা?
উত্তর :- জৈন শ্ৰমণ ভদ্রবাহুর।
৩৬. কার তত্ত্বাবধানে ত্রিপিটক রচিত হয়?
উত্তর :- বুদ্ধের অন্যতম শিষ্য মহাকাশ্যপের।
৩৭. চতুর্যামে ক-টি মূলনীতি ?
উত্তর :- চারটি।
৩৮. উত্তর ভারতে জৈনদের নেতা কে ছিলেন?
উত্তর :- স্থুলভদ্র।
৩৯. সিদ্ধার্থের নাম বুদ্ধ হয় কেন?
উত্তর :- বোধিলাভ করার জন্য।
৪০. জৈনরা কীসের ওপর জোর দিতেন?
উত্তর :- ত্রিরত্নের ওপর।
৪১. যে-গাছের নীচে বুদ্ধ তপস্যা করেছিলেন, সেই গাছকে কী বলা হয় ?
উত্তর :- বোধিবৃক্ষ।
৪২. বুদ্ধ কোথায় মারা যান ?
উত্তর :- কুশিনগরে।
৪৩. বৌদ্ধদের দুটি গাোষ্ঠীর নাম কী ?
উত্তর :- হীনযান ও মহাযান।
৪৪. সিদ্ধার্থ কোন গাছের নীচে বসে তপস্যা করেছিলেন?
উত্তর :- পিপুল গাছের নীচে।
৪৫. সিদ্ধার্থ কত বছর তপস্যা করেন ?
উত্তর :- প্রায় ছ-বছর।
৪৬. সুদ নেওয়া কোন্ ধর্মে নিন্দার বিষয় ছিল?
উত্তর :- ব্রাত্মণ্য ধর্মে।
৪৭. প্রাকৃত ভাষা ও সাহিত্য কীভাবে উন্নত হয়েছিল ?
উত্তর :- জৈন ধর্মের হাত ধরে।
৪৮. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতিতে কে সভাপতিত্ব করেন?
উত্তর :- মহাকাশ্যপ।
৪৯. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি কোথায় হয়েছিল?
উত্তর :- পাটলিপুত্রে।
৫০. মহাবীর কোন বংশের সন্তান ছিলেন?
উত্তর :- লিচ্ছবি বংশের।
৫১. কত বছর বয়সে সিদ্ধার্থ সংসার ত্যাগ করেন?
উত্তর :-  মাত্র উনিশ বছর বয়সে।
৫২. ত্রিপিটক কী ?
উত্তর :- বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান গ্রন্থ।
৫৩. জৈনদের দুটি সম্প্রদায় কী ?
উত্তর :- শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর।
৫৪. ত্রিপিটককে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
উত্তর :- তিন ভাগে।
৫৫. চতুর্যাম মেনে চলার নির্দেশ কে দিয়েছিলেন?
উত্তর :- পার্শ্বনাথ।
৫৬. মগধ জনপদে মোট কতকগুলি রাজবংশ শাসন করেছিল?
উত্তর :- তিনটি রাজবংশ।
৫৭. বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক কে?
উত্তর :- গৌতম বুদ্ধ।
 ৫৮. তথাগত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :- যিনি সত্যের সন্ধান পেয়েছেন।
 ৫৯. জৈন ধর্মের মোট কতজন তীর্থংকর ছিল?
উত্তর :- চব্বিশ জন।
৬০. ‘বুদ্ধ’ কথার অর্থ কী?
উত্তর :- জ্ঞানী।
৬১. জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থংকরের নাম কী ?
উত্তর :- ঋষভনাথ বা আদিনাথ।
৬২. কোশল রাজ্যে গৌতম বুদ্ধ কত বছর ছিলেন?
উত্তর :- ২১ বছর।
৬২. জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর :- দ্বাদশ অঙ্গ।
৬৩. পঞ্চমহাব্রত কে প্রবর্তন করেন ?
উত্তর :- মহাবীর।
৬৪. অধিকাংশ মহাজনপদে কী ধরনের শাসন ছিল?
উত্তর :- রাজতান্ত্রিক শাসন।
৬৫. শাক্য সিংহ কে ছিলেন?
উত্তর :- বুদ্ধদেব।
৬৬. বুদ্ধের পূর্ব জীবনের কাহিনি সংবলিত গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর :- জাতক।
 ৬৭. ত্রিপিটক কোন্ ভাষায় লেখা?
উত্তর :- পালি ভাষায়।
৬৭. ধর্মচক্র প্রবর্তন কী ?
উত্তর :- বুদ্ধদেবের প্রথম ধর্মপ্রচারের ঘটনা ধর্মচক্র প্রবর্তন নামে পরিচিত।
 ৬৮. মহাভিনিষ্ক্রমণ কী?
উত্তর :- বুদ্ধের গৃহত্যাগের ঘটনা মহাভিনিষ্ক্রমণ নামে পরিচিত।
 ৬৯. দক্ষিণ ভারতে কোন মহাজনপদ অবস্থিত ছিল?
উত্তর :- অস্মক।
৭০. শেষ পর্যন্ত কোন মহাজনপদ শক্তিশালী হয়ে ওঠে?
উত্তর :- মগধ।
৭১. বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান লক্ষ্য কী?
উত্তর :- নির্বাণলাভ করা।
 ৭২. সিদ্ধার্থের পূর্ব নাম কী ছিল?
উত্তর :- গৌতম।
৭৩. মহাবীর কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :- লিচ্ছবি বংশে।
 ৭৪. বুদ্ধদেব যেখানে সিদ্ধিলাভ করেন তার নাম কী?
উত্তর :- বুদ্ধগয়া (গাছটি বোধিবৃক্ষ নামে পরিচিত)।
৭৫. গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :- কপিলাবস্তুর লুম্বিনী উদ্যানে।
৭৬. মহাপরিনির্বাণ কী?
উত্তর :- বুদ্ধের দেহত্যাগকে মহাপরিনির্বাণ বলে
২ নম্বরের প্রশ্ন
. কীভাবে মহাজনপদের সৃষ্টি হয়েছিল ?
উত্তর :- ব্যাবসাবাণিজ্যের বিকাশ, উদ্যমী শাসকদের ক্রিয়াকলাপ প্রভৃতি কারণে জনপদগুলিতে লোকবসতি বাড়তে থাকে। আয়তন ও ক্ষমতার দিক থেকে বৃদ্ধি পেয়ে জনপদগুলি মহাজনপদে পরিণত হয়।
 . ষোড়শ মহাজনপদ কাকে বলে ?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে কাবুল থেকে গোদাবরী নদীর তীর পর্যন্ত ১৬টি যে-বড়ো বড়ো রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল, তাদেরকে একত্রে ষোড়শ মহাজনপদ বলে।
 . বৈদিক যুগের রাজাদের তুলনায় ষোড়শ মহাজনপদের রাজাদের মধ্যে পার্থক্য কী ছিল ?
উত্তর :- বৈদিক যুগের রাজাদের তুলনায় ষোড়শ মহাজনপদের রাজাদের মধ্যে পার্থক্যগুলি নিম্নলিখিত
() বৈদিক যুগের রাজাদের তুলনায় ষোড়শ মহাজনপদের রাজাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি অনেক বেশি ছিল।
() ষোড়শ মহাজনপদের রাজাদের সম্পদ তুলনামূলকভাবে বৈদিক যুগের রাজাদের থেকে অনেক বেশি ছিল।
 . জনপদ শব্দটি কীভাবে এসেছিল ?
উত্তর :- প্রাচীন ভারতে জনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ছোটো ছোটো রাজ্য। এই জন শব্দ থেকেই এসেছিল জনপদ।
 . কোন্ সময় থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে জনপদের কথা জানা যায় ?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের গোড়ার দিকে ভারতীয় উপমহাদেশে জনপদের কথা জানা যায়।
 . জনপদগুলি আস্তে আস্তে কীসে পরিণত হয় ?
উত্তর :- জনপদগুলি আস্তে আস্তে মহাজনপদে পরিণত হয়।
 . মহাজনপদ কাকে বলা হয় ?
উত্তর :- জনপদের থেকে আয়তন ও ক্ষমতায় বড়ো ভূখণ্ডই হল মহাজনপদ।
 . যেচারটি মহাজনপদ শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল সেগুলি কী কী?
উত্তর :- চারটি শক্তিশালী মহাজনপদ হল অবন্তী, বৎস, কোশল ও মগধ।
 . মূলত মহাজনপদগুলি কোথায় গড়ে উঠেছিল ?
উত্তর :- গঙ্গা-যমুনার উপত্যকাকে ভিত্তি করেই বেশিরভাগ মহাজনপদ গড়ে উঠেছিল।
 ১০. গঙ্গা উপত্যকায় মহাজনপদগুলি গড়ে উঠেছিল কেন ?
উত্তর :- কারণ গঙ্গা উপত্যকা ছিল সমতল, জনবহুল ও সমৃদ্ধশালী।
১১. অধিকাংশ মহাজনপদে কী ধরনের শাসন ছিল ? সেগুলিকে কী বলা হত ?
উত্তর :- অধিকাংশ মহাজনপদে ছিল রাজার শাসন বা রাজতান্ত্রিক শাসন।
সেই মহাজনপদগুলিকে বলা হত রাজতান্ত্রিক রাজ্য।
 ১২. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগে কোন্ অঞ্চলকে মগধ বোঝাত ?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগে দক্ষিণ বিহারের সামান্য এলাকাকে বলা হত মগধ।
 ১৩. গণরাজ্য কী ?
উত্তর :- কতকগুলি মহাজনপদ ছিল অরাজতান্ত্রিক। সেখানে কোনো রাজতন্ত্র ছিল না। সেগুলিকে বলা হত গণরাজ্য।
 ১৪. গণরাজ্যগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল ?
উত্তর :- সাধারণভাবে গণরাজ্যগুলিতে এক-একটি উপজাতি বাস করত। তারা নিজের নিজের রাজ্যে অরাজতান্ত্রিক শাসন বজায় রেখেছিল।
 ১৫. বজ্জি রাজ্যের অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর :- বজ্জি রাজ্য ছিল একটি শক্তিশালী রাজ্য। এই মহাজনপদটি ছিল মগধের কাছেই। এই জনপদের শাসনক্ষমতা ছিল কয়েকটি গোষ্ঠীর হাতে।
 ১৬. বজ্জিদের একজোট থাকার জন্য গৌতম বুদ্ধ কী করেছিলেন ?
উত্তর :- বজ্জিদের একজোট থাকার জন্য গৌতম বুদ্ধ কয়েকটি নিয়ম পালনের কথা বলেছিলেন। যা থেকে মনে হয় বজ্জিদের লিখিত আইন ছিল।
 ১৭. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায় কেন?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন আসে। বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করে। অন্যদিকে লোহার লাঙলের ব্যবহার বেড়ে যায়। ফলে ফসলের উৎপাদনও বেড়ে যায়।
 ১৮. কৃষকরা পশুবলির বিরোধী ছিল কেন ?
উত্তর :- চাষের জন্য গবাদি পশুর প্রয়োজন ছিল। তাই কৃষকরা যজ্ঞের জন্য পশুবলির বিরোধী ছিল।
 ১৯. সমাজের বিভিন্ন মানুষ ব্রাত্মণদের বিরোধিতা করেছিল কেন ?
উত্তর :- ব্রাক্ষ্মণদের তৈরি ধর্মীয় বিধিনিষেধে সাধারণ মানুষ ক্ষেপে গিয়েছিল। লোহার ব্যবহার ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। ফলে তারা ব্রাত্মণদের বিরোধিতা করতে শুরু করেছিল।
 ২০. নব্যধর্মের প্রভাবে কী পরিবর্তন এসেছিল ?
উত্তর :- নব্যধর্মগুলি ব্রাত্মণ্য ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল। সহজ-সরল জীবনযাপনের ওপর জোর দিয়েছিল।
 ২১. জৈন ধর্মে তীর্থংকর বলতে কী বোঝো?
উত্তর :- জৈন ধর্মের প্রধান প্রচারককে বলা হত তীর্থংকর। এই ধর্মে মোট চব্বিশজন তীর্থংকর ছিলেন। এঁদের মধ্যে শেষ দুজন হলেন পার্শ্বনাথ ও বর্ধমান মহাবীর।
 ২২. জৈন ধর্ম কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে ?
উত্তর :- প্রথম দিকে জৈন ধর্ম মগধ, বিদেহ, কোশল ও রাজ্যে প্রচলিত ছিল। সে আমলে জৈনদের প্রভাব বাড়তে থাকে। এমনকি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও জৈন ধর্ম এহণ করেন। পরে ওড়িশা থেকে মথুরা পর্যন্ত জৈন ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে।
 ২৩. বুদ্ধ কে ছিলেন ?
উত্তর :- বুদ্ধ ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক। তার প্রথম নাম ছিল সিদ্ধার্থ। নেপালের তরাই অঞ্চলের কপিলাবস্তুর শাক্যবংশে সিদ্ধার্থের জন্ম হয়। তিনিও ক্ষত্রিয় বংশের মানুষ ছিলেন।
২৪. দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বুদ্ধ কী বলেছিলেন ?/ অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী?
উত্তর :- দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বুদ্ধ আটটি উপায়ের কথা বলেছিলেন, সেই আটটি উপায়কে একত্রে বলা হয় অষ্টাঙ্গিক মার্গ।
২৫. বৌদ্ধ ধর্মসংগীতিগুলিতে কী হত ?
উত্তর :- বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে ধর্মসংগীতিগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।ধর্মসংগীতি অনেকটা ধর্মসম্মেলনের মতো ছিল। এই সংগীতিতে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা মিলিত হতেন। এগুলিতে বৌদ্ধ ধর্মের নানা বিষয় আলোচনা হত।
 ২৬. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতিতে কী হয়েছিল ?
উত্তর :- তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতিতে বৌদ্ধ সংঘের নিয়মগুলি কঠোর ভাবে মানার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। এতে সংঘের মধ্যে ভাঙন আটকানোরও চেষ্টা করা হয়।
 ২৭. মহাযান কাদের বলা হয় ?
উত্তর :- বৌদ্ধদের মধ্যে যারা মূর্তিপুজো করতেন, তাঁদের বলা হত মহাযান।
 ২৮. কোন বৌদ্ধ সংগীতিতে হীনযান মহাযানরা চুড়ান্ত ভাবে আলাদা হয়ে যায় ?
উত্তর :- চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতিতে হীনযান ও মহাযানরা চূড়ান্ত ভাবে আলাদা হয়ে যায়।
 ২৯. বিনয়পিটকের বিষয়বস্তু কী ?
উত্তর :- বিনয়পিটকে বৌদ্ধ সংঘের ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আচারআচরণের নিয়মাবলি লেখা আছে।
 ৩০. বৌদ্ধ ধর্মে ত্রিরত্ন কী ?
উত্তর :- বৌদ্ধ ধর্মে গৌতম বুদ্ধ প্রধান ব্যক্তি। তাঁর প্রচারিত ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম, আর বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের দায়িত্ব বৌদ্ধ সংঘের, তাইবুদ্ধ, ধম্মও সংঘ-এইতিনটি হল বৌদ্ধ ধর্মের ত্রিরত্ন।
 ৩১. মধ্যপন্থা কী?
উত্তর :- বুদ্ধের কঠোর তপস্যা নির্বাণ বা মুক্তিলাভের উপায় নয়, আবার চূড়ান্ত ভোগবিলাসেও মুক্তি পাওয়া যায় না, বুদ্ধ তাই মধ্যপন্থা পালনের কথা বলেছেন।
 ৩২. মহাবীর বুদ্ধ ধর্মপ্রচারের জন্য নগরগুলিতে যেতেন কেন ?
উত্তর :- নগরে নানা রকমের মানুষকে একত্রে পাওয়া যেত। তা ছাড়া ব্রাত্মণ্য ধর্মে নগরে যাওয়া বা থাকা পাপ বলে মনে করা হত। তাই ব্রাত্মণ্য ধর্মের বিরোধিতায় বুদ্ধ ও মহাবীর ধর্মপ্রচারের জন্য নগরগুলিতে যেতেন।
 ৩৩. জাতকের গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল ?
উত্তর :- ত্রিপিটকের মধ্যে জাতক নামে কিছু গল্প আছে। এগুলি তাঁর পূর্বজন্মের কাহিনি বলে বৌদ্ধরা মনে করেন। এগুলি পালি ভাষায় বলা ও লেখা হত। কেবল মানুষ নয়, পশুপাখিরাও জাতকের চরিত্রে স্থান পেয়েছে। এগুলি থেকে সেকালের সমাজের নানা কথা জানা যায়
 ৩৪. মগধের উত্থানের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর :- মগধের উত্থানের দুটি কারণ হল—
() মগধের ভৌগোলিক অবস্থান একে প্রাকৃতিক সুরক্ষা ও সম্পদ দিয়েছিল ।
() মগধের উদ্যমী রাজাদের কৃতিত্বে মগধ শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হয়েছিল।
 ৩৫. রাজতান্ত্রিক রাজ্য প্রজাতান্ত্রিক রাজ্যের মধ্যে তুমি কাকে বেশি পছন্দ করবে এবং কেন করবে ?
উত্তর :- অবশ্যই প্রজাতান্ত্রিক রাজ্যকে। কারণ— () প্রজাতন্ত্রে জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
() রাজার স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম থাকে।
 ৩৬. নব্যধর্ম কী সত্যিই নতুন ধর্ম ছিল ?
উত্তর :- অনেকের মতে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম সম্পূর্ণ নতুন ধর্মমত ছিল না। কারণ বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের মূল সূত্রগুলি বেদের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল।
 ৩৭. নব্যধর্মের কোন্ আদর্শগুলি জনগণের কাছে আকর্ষণীয় ছিল ?
উত্তর :- ধর্মাচরণের সহজ, সরল পথা, ব্রাত্মণ্যদের প্রভাব না থাকা, যাগযজ্ঞ, পশুবলিপ্রথা না থাকা, জাতিভেদ প্রথা প্রভৃতি না থাকায় মানুষ নব্যধর্মের আদর্শগুলি গ্রহণ করেছিল।
 ৩৮. বর্ধমান পরবর্তীতে মহাবীর নামে পরিচিত হল, কেন ?
উত্তর :- বর্ধমান একটানা ১২ বছর কঠোর তপস্যা করে সর্বজ্ঞানী হন। তাই তাকে মহাবীর বলা হয়।
৩৯. চতুর্যামএর সঙ্গে মহাবীর কোন নীতিটি যোগ করেছিলেন ?
উত্তর :- চতুর্যামের সঙ্গে মহাবীর ব্রম্মচর্য বা জিতেন্দ্রিয়তা নীতি যোগ করেছিলেন। এইটি যোগ করায় পঞ্চমহাব্রত-এর উদ্ভব হয়।
অতিরিক্ত বড় প্রশ্নঃ
১ গণ রাজ্যগুলির পক্ষে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল কেন?
উঃ রাজতান্ত্রিক মহাজনপদ্গুলির সঙ্গে লড়াইয়ের ফলে  গনতান্ত্রিক মহাজনপদ্গুলি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যুদ্ধের জন্য অনেক সৈন্যের দরকার হত। সৈন্যদের জন্য অনেক খরচার দরকার হত। সেই খরচের অর্থ জোগাড় করা হত প্রজাদের উপর কর বসিয়ে। গণরাজ্যগুলিতে সেই বাড়তি কর জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। তাছাড়া সেগুলির মধ্যে গোষ্ঠী বিবাদ পাকিয়ে ওঠে। তাই গণরাজ্য গুলির পক্ষে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা মুস্কিল হয়ে ওঠে।
২ জৈন ধর্ম কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছিল?
উঃ গোড়ার দিকে জৈন্ ধর্ম মগধ, বিদেহ, কোশল ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। মৌর্য যুগে জৈনদের প্রভাব বাড়তে থাকে। জানা যায় যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে জৈন হয়ে যান। পড়ে ওড়িশা থেকে মথুরা পর্যন্ত জৈন ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে ।
৩ দ্বাদশ অঙ্গ কি?
উঃ জৈন ধর্মের মুল উপদেশকে বারোটি ভাগে সাজানো হয়েছিল। সেই উপদেশগুলির এক একটি ভাগকে একেকটি অঙ্গ বলা হয়। এই বারোটি উপদেশকে আক সঙ্গে দ্বাদশ অঙ্গ বলে।
৪ ধর্ম চক্র প্রবর্তন কাকে বলে?
উঃ গৌতম বুদ্ধ জ্ঞান বা বোধি লাভ করার পরে বারাণসীর কাছে সারনাথে যান।সেখানে পাচজন সঙ্গীর মধ্যে তার উপদেশ প্রচার করেন। এই পাঁচজন তার প্রথম শিষ্য হয়েছিলেন। তাদের কাছে তিনি মানুষের জীবনের দুঃখের কারণগুলি ব্যাখা করেন। এই ঘটনাকেই ধর্ম চক্র প্রবর্তন বলে।
৫ টীকা লেখঃ ত্রিপিটক।
উঃ বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান গ্রন্থ হল তিপিটক বা ত্রিপিটক। সুত্তপিটক, বিনয়পিটক ও অভিধম্মপিটক এই তিনটি পিটক নিয়ে তিপিটক। সুত্ত পিটক হল গৌতম বুদ্ধ ও তার প্রধান শিষ্যদের উপদেশগুলির সংকলন। বিনয় পিটকে বৌদ্ধ সংঘ ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আচার আচরণের নিয়মগুলি আছে। অভিধম্ম পিটক গৌতম বুদ্ধের মূল কটি উপদেশের আলোচনা। এগুলি সবই পালি ভাষায় লেখা।
Click Here To Download  The Pdf

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস সমাধান|ভারতীয় ইতিহাসের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা( দ্বিতীয় পর্যায়)| চতুর্থ অধ্যায়|

2

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস সমাধান

ভারতীয় ইতিহাসের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা( দ্বিতীয় পর্যায়)

চতুর্থ অধ্যায়

অনুশীলনীর সমাধান

 

১। সঠিক শব্দটি বেঁচে নিয়ে শূন্য স্থান পূরণ করো:-

(ক) আদি-বৈদিক যুগের ইতিহাস জানার প্রধান উপাদান __________ ।

    (i) জেন্দাবেস্তা        (ii) মহাকাব্য             (iii) ঋকবেদ 

 (খ) মেগালিথ বলা হয় ____________ কে।

    (i) পাথরের গাড়ি         (ii) পাথরের সমাধি         (iii) পাথরের খেলনা

 (গ) ঋকবেদে রাজা ছিলেন __________ ।

    (i) গোষ্ঠির প্রধান         (ii) রাজ্যের প্রধান         (iii) সমাজের প্রধান

(ঘ) বৈদিক সমাজে পরিবারের প্রধান ছিলেন ___________ ।

    (i) রাজা                     (ii) বিশপতি                     (iii) বাবা 

২। বেমানান শব্দটি খুঁজে লেখো:-

(ক) ঋকবেদ / মহাকাব্য / সামবেদ / অথর্ববেদ

 (খ) ব্রাহ্মণ / ক্ষত্রিয় / শূদ্র / নৃপতি 

 (গ) ইন্যামগাঁও / হস্তিনাপুর / কৌশাম্বী / শ্রাবস্তী

 (ঘ) ঊষা / অদিতি / পৃথিবী / দূর্গা

৩। নিজের ভাষায় ভেবে লেখো ( তিন / চার লাইন ):

() বেদ শুনে শুনে মনে রাখতে হতো। এর কারণ কি বলে তোমার মনে হয় ?

উত্তরঃ – প্রাচীন কালে বেদ শুনে শুনে মনে রাখতে হত  বলে বেদকে শ্রুতি বলা হত।  এই সময় মানুষ লিখতে জানত না। এছাড়া বেদের সূক্তগুলি গুরু বা একজন ভালো শিক্ষার্থী যেভাবে আবৃত্তি করতেন বাকিরা তা শুনে রেখে সেটাই নিখুঁত ভাবে উচ্চারণের চেষ্টা করত অর্থাৎ মন্ত্রের উচ্চারণের ওপর জোর দেওয়া হত। সেই সময় মানুষ লিখার পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারেনি বলেই বেদকে শুনে শুনে মনে রাখতে হত। 

() বৈদিক সমাজ চারটি ভাগে কেন ভাগ হয়েছিল বলে তোমার মনে হয় ?

উত্তরঃ – প্রথম দিকে বৈদিক সমাজে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। পরবর্তী বৈদিক যুগে কোটি বর্ণের উল্লেখ পাওয়া যায়।  প্রথমে চারটি বর্ণকে জন্মভিত্তিক করে পেশা নির্ধারিত হতে শুরু করে। ব্রাহ্মণরা পূজা, যজ্ঞ ও বেদ পাঠের কাজ করতেন। যুদ্ধ করা সম্পদ লুঠ করা ছিল ক্ষত্রিয়দের কাজ , কারিগরি, কৃষি, বাণিজ্য ছিল বৈষ্যদের কাজ। এই তিন বর্ণের সেবা করা ছিল শূদ্রদের কাজ। যুদ্ধবন্দি দাসেরা ছিল শূদ্র। তাই সমাজকে চার্ ভাগে ভাগ করা হয়। 

() বৈদিক যুগে গুরু শিষ্যের সম্পর্ক কেমন ছিল বলে মনে হয় ?

উত্তরঃ – বৈদিক যুগে গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ক ছিল খুবই সুন্দর ও মধুর। ছাত্র শিক্ষা নেওয়ার জন্য গুরুর কাছে আবেদন করত। উপযুক্ত মনে করলেই উপনয়নের পর গুরুর কাছ থেকে ছাত্ররা শিক্ষা লাভ করত। পড়াশুনার সাথে সাথে নানা কাজকর্ম শিখত। ছাত্রদের খাওয়া থাকার দায়িত্ব ছিল  গুরুর ওপর।বেদপাঠ করানোর মধ্যে দিয়ে শিক্ষাদান করা হত। গুরুর হাতে কলমে ছাত্রদের অনেক কিছুই শেখাতেন।  সাধারণত বারো বছর ধরে শিক্ষাদান চলত। গুরুগৃহ ছেড়ে যাবার আগে ছাত্ররা সাধ্যমতো গুরুদক্ষিণা দিত।  

() আদি বৈদিক  পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীর অবস্থান কি  হয়েছিল ? বদল হয়ে থাকলে কেন তা হয়েছিল বলে মনে হয় ?

উত্তরঃ – আদি বৈদিক যুগ থেকে পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীর অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। আদি বৈদিক সমাজে অনেক নারী শিক্ষা লাভ করতেন। এমনকি সমিতির বৈঠকেও কিছু নারী যোগ দিতেন বলে জানা যায়।  যুদ্ধেও তারা অংশ নিতেন। ঋকবেদে কোথাও বাল্যবিবাহের কথা নেই। সতীদাহ প্রথার কথাও  সেখানে পাওয়া যায় না।  যজ্ঞেও নারীরা অংশ নিতে পারতেন। পরবর্তী বৈদিকজ সমাজে নারীদের অবস্থা খারাপ হয়েছিল। মেয়ে জন্মালে পরিবারের সবাই দুঃখ পেত্। ছোট বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রথা শুরু হয়েছিল। যুদ্ধে বা সমিতির কাজে মেয়েদের আর যোগ দিতে দেখা যেত না।  

অতিরিক্ত ছোট প্রশ্ন

. জেন্দ অবস্তায় কাকে শ্রেষ্ঠ দেবতা বলা হয়েছে।

উত্তর :- অহুরকে।

. কোন্ শব্দের সঙ্গে roaming শব্দের মিল খুঁজে পাওয়া যায়?

উত্তর :- রাম শব্দের সঙ্গে।

. ইতিহাসের দিক থেকে রামায়ণ প্রকৃতপক্ষে কী?

উত্তর :- আর্যদের সঙ্গে অনার্যদের যুদ্ধের কাহিনি।

 . ভারতে বৈদিক সভ্যতার জন্মদাতা কারা ?

উত্তর :- আর্যরা।

. ইন্দোইউরোপীয় কী?

উত্তর :- একটি ভাষা-পরিবার।

. রামরাবণের যুদ্ধ নিয়ে যেমহাকাব্য রচিত হয়েছে, তার নাম কী?

উত্তর :- রামায়ণ।

. শব্দের ব্যবহার থেকে তারা কোন্ এলাকার মানুষ ছিল বলে মনে হয়?

উত্তর :- তৃণভূমি এলাকার।

. বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম কী ছিল?

উত্তর :- গোরু ছিল প্রধান মাধ্যম।

. ‘আর্যকি জাতি ?

উত্তর :- না, আর্য কোনো জাতিবাচক শব্দ নয়। ।

১০. সমস্ত বৈদিক সাহিত্য ভাগে বিভক্ত ?

উত্তর :- চার ভাগে বিভক্ত।

১১. আদি বৈদিক যুগের বসতি কোথায় ছিল?

উত্তর :- নদীর কাছাকাছি এলাকাতে।

১২. বৈদিক যুগে ঘোড়া কী ছিল?

উত্তর :- অন্যতম পালিত পশু।

১৩. মহাকাব্য কোন্ সাহিত্যের অংশ?

উত্তর :- পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যের।

১৪. ইন্দোইউরোপীয় ভাষা কী?

উত্তর :- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের এক নির্ভরযোগ্য সদস্য।

১৫. ভারতের দুটি মহাকাব্যের নাম কী?

উত্তর :- রামায়ণ ও মহাভারত।

১৬. রামায়ণে রাবণকে দসু বলা হয়েছে কেন?

উত্তর :- অনার্য রাবণ যুদ্ধে হেরে গিয়েছিল, সেই কারণে দস্যু বা রাক্ষস বলা হয়েছে।

১৭. রামায়ণে ভারতের কোন দিকে বসতির বিস্তারের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে ?

উত্তর :- দক্ষিণ দিকে।

১৮. অত্রঞ্চিখেরায় কী পাওয়া গেছে?

উত্তর :- মাটির বাসন ও লোহা ব্যবহারের প্রমাণ।

১৯. ইন্দোআর্য ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্যগ্রন্থ কোনটি?

উত্তর :- ঋগবেদ। 

২০. সুদাস কোন্ গোষ্ঠীর রাজা ছিলেন?

উত্তর :- ভরত গোষ্ঠীর।

২১. দেবতারা কাকে প্রথম রাজা নির্বাচন করেন?

উত্তর :- ইন্দ্রকে।

২২. রাজারা যেসব যজ্ঞ পালন করতেন, তার যেকোন একটির উল্লেখ করো।

উত্তর :- বাজপেয় যজ্ঞ।

২৩. ইন্দোআর্য কারা?

উত্তর :- ভারতে বসতি স্থাপন করা আর্যরা।

২৪. ইংরেজিতে roaming শব্দটির মানে কী?

উত্তর :- ঘোরা।

২৫. আদিবৈদিক সমাজে কোন্ শিল্পের চল কম ছিল?

উত্তর :- কারিগরি শিল্পের।

২৬. ঋগবেদে কোন্ ধাতুর উল্লেখ নেই?

উত্তর :- লোহার।

২৭. কারা মূলত শূদ্র ছিল?

উত্তর :- যুদ্ধবন্দি দাসরা।

২৮. ভারতীয় উপমহাদেশে কোন্ ভাষাগোষ্ঠী ছড়িয়ে পড়েছিল?

উত্তর :- ইন্দো-ইরানীয় ভাষা।

২৯. ঋগবেদ জেন্দ অবেস্তায় কোন্ ভাষার প্রভাব দেখা যায়?

উত্তর :- এর ইন্দো-ইরানীয় ভাষার।

৩০. আর্যসভ্যতা বা বৈদিক সভ্যতার কথা কীসের থেকে জানা যায়?

উত্তর :- বেদ থেকে।

৩১. কয়েকটি ভাষা পরিবারের নাম লেখো।

উত্তর :- ইন্দো-ইউরোপীয়, দ্রাবিড়, অস্ট্রিক, ভোট চিনীয়।

৩২. জাতিভেদপ্রথা কঠোর হওয়ার ক্ষেত্রে কীসের জরুরি ভূমিকা ছিল?

উত্তর :- গোত্রের।

৩৩. বৈদিক যুগে সভা সমিতিতে কোন্ খেলা হত?

উত্তর :- পাশাখেলা।

৩৪. যজ্ঞে কোন্ কোন্ পশু বলি দেওয়া হত ?

উত্তর :- গোরু ও ঘোড়া।

৩৫. কোন্ দেবতার উদ্দেশ্যে গায়ত্রী মন্ত্র রচিত হয়েছিল?

উত্তর :- সূর্যদেবতা সবিতৃ-র উদ্দেশ্যে।

 ৩৬. কোন সময় থেকে উপনয়ন শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয়?

উত্তর :- পরবর্তী বৈদিক যুগ থেকে।

 ৩৭. বৈদিক যুগে জীবনযাপনের তৃতীয় পর্যায়কে কী ?

উত্তর :- বাণপ্রথা।

৩৮. ঋগবেদে জমি দখলের কথা বিশেষ নেই কেন?

উত্তর :- জমি তখন সম্পদ হয়ে ওঠেনি।

৩৯. মহর্ষি আয়োদধৌম্য কে ছিলেন?

উত্তর :- একজন আদর্শ গুরু।

৪০. গোপতি কথার অর্থ কী?

উত্তর :- গবাদি পশুর প্রভু।

৪১. বৈদিক সাহিত্যেঅসুরকীভাবে পরিচিত?

উত্তর :- অসুর খারাপ বলে পরিচিত।

৪২. বৈদিক যুগেশাসনের কাজে সাহায্য করতেন তাদের কী বলা হত ?

উত্তর :- রত্নিন।

৪৩. দ্রোণাচার্যের কথা কোন্ গ্রন্থ থেকে জানা যায়?

উত্তর :- মহাভারত থেকে।

৪৪. ঋগবেদের বর্ণাশ্রম আর কী নামে পরিচিত ছিল?

উত্তর :- চতুবর্ণ প্রথা।

৪৫. সমাবর্তনে ছাত্রদের কী বলা হত ?

উত্তর :- স্নাতক।

৪৬. পরবর্তীবৈদিক যুগে কোন পেশার কথা জানা যায়?

উত্তর :- কুমোর, কামার, রাখাল, চিকিৎসক প্রভৃতি।

 ৪৭. বৈদিক যুগের একটি সমাধি ক্ষেত্রের নাম লেখো।

উত্তর :- মেগালিথ।

৪৮. ইনামগাঁও কোন্ রাজ্যে অবস্থিত?

উত্তর :- মহারাষ্ট্রে।

৪৯. বৈদিক যুগে ছাত্রদের থাকাখাওয়ার দায়িত্ব কে নিত?

উত্তর :- গুরু বা আচার্যদেব।

৫০. ‘গানের কথা সংহিতার, কোন্ ভাগে আছে?

উত্তর :- সামবেদে।

 ৫১. বৈদিক যুগের একটি জনপ্রিয় খেলার নাম করো।

উত্তর :- পাশাখেলা।

অতিরিক্ত বড় প্রশ্ন

 প্রশ্নঃইন্দোইউরোপীয় ভাষার পরিবার বলতে কি বোঝো ?

উত্তরঃ – মানুষের পরিবারের মতো ভাষারও পরিবার রয়েছে। সেই একই পরিবারের ভাষাগুলির মধ্যে বেশ কিছু মিল থাকে। তেমনই একটা ভাষা পরিবার হলো ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার। ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইউরোপের অনেক ভাষাই এই ভাষা পরিবারের সদস্য। এদেরকে তাই একসঙ্গে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার বলা হয়। 

প্রশ্নঃইন্দোআর্য ভাষা গোষ্ঠী কাকে বলা হত ? ঋকবেদ জেন্দআবেস্তায় ইন্দোইরানীয় ভাষার কি প্রভাব লক্ষ করা যায় লেখ ?

উত্তরঃ – ইন্দো-ইরানীয় ভাষা গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ তৈরী হওয়া ঐ গোষ্ঠীর একটি শাখা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে পৌঁছেছিল। এদেরই ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠী বলা হয়। ঋকবেদ ও জেন্দ-আবেস্তায় ইন্দো-ইরানীয় ভাষার প্রভাব লক্ষ করা যায়। এই দুটি সাহিত্যের ভাষায় ও বর্ণনায় বেশ কিছু মিল দেখা যায়। এর থেকে ইন্দো-ইরানীয় ভাষার অস্তিস্ত্ব জানা যায়।  তবে মিলের পাশাপাশি ওই দুই রচনায় বেশ কিছু অমিলও দেখা যায়। যেমন – ঋকবেদে যারা দেব , তারা সম্মানিত ব্যক্তি। কিন্তু আবেস্তায় যারা দয়েব (দেব), তাদের ঘ্রৃনা করা হতো। আবার আবেস্তার শ্রেষ্ঠ দেবতা অহুর।  অথচ বৈদিক সাহিত্যে অসুর (অহুর) খারাপ বলে পরিচিত। 

প্রশ্নঃঋকবেদের ভূগোল থেকে আদি বৈদিক সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থা সম্পর্কে কি জানা যায় ?

উত্তরঃ – ঋকবেদের ভূগোল থেকে আদি বৈদিক সভ্যতা কতটা ছড়িয়েছিল তা বোঝা যায়। আজকের আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের সঙ্গে আদি বৈদিক যুগের মানুষের পরিচয় ছিল। সিন্ধু ও তার পূর্ব দিকের উপনদীগুলি দিয়ে ঘেরা অঞ্চল ছিল আদি বৈদিক মানুষের বাসস্থান। ঐ  অঞ্চলটিকে বলা হতো সপ্তসিন্ধু অঞ্চল। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যের বর্ণনায় ঐ ভূগোল আস্তে আস্তে বদলে গিয়েছিল। গঙ্গা-যমুনা দোয়াব এলাকার উল্লেখ পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে অনেক বেশি।  বোঝা যায়, বৈদিক-বসতি পাঞ্জাব থেকে পূর্ব দিকে হরিয়ানাতে সরে গিয়েছিল। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে পূর্ব ভারতকে নিচু নজরে দেখা হয়েছে।তার থেকে মনে হয় পরবর্তী বৈদিক সভ্যতার পূর্ব শিমা ছিল উত্তর বিহারের মিথিলা। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যের মূল ভৌগোলিক অঞ্চল ছিল সিন্ধু ও গঙ্গার মাঝের এলাকা।  তাছাড়া গঙ্গা উপত্যকার উত্তর ভাগ ও গঙ্গা-যমুনা দোয়াবও তার ভেতরে পড়ত। 

প্রশ্নঃঋকবেদে কর্মভেদে রাজা শব্দের যে নানান ব্যবহার রয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখ ?

উত্তরঃ – ঋকবেদে রাজা শব্দের নানান রকম ব্যবহার রয়েছে। রাজা কথার আক্ষরিক অর্থ নেতা। নেতা যে ধরণের দায়িত্ব সামলাতেন তার ভিত্তিতেই ঠিক হতো তাঁর নাম। (ক) রাজাকে বিশপতি অর্থাৎ বিশ বা গোষ্ঠীর প্রধান বলা হয়েছে। (খ) কখনও বা রাজা গোপতি বা গবাদি পশুর প্রভু বলে পরিচিত হত। (গ) পরবর্তী বৈদিক যুগে রাজা শাসকে পরিণত হলে তিনি হতেন ভূপতি বা মহীপতি। ভুপতি হলেন ভূ  অর্থাৎ জমির পতি বা মালিক। আর মহীপতি হলেন পৃথিবীর রাজা। রাজ্যের প্রজার বা জনগণের প্রধান হিসাবে রাজার উপাধি হলো নৃপতি বা নরপতি। অর্থাৎ যিনি নৃ বা নর অর্থাৎ মানুষের রক্ষাকারী। এইভাবেই গোষ্ঠীর নেতা হয়ে উঠলেন রাজা। আর জনগণ পরিণত হলো তাঁর অনুগত প্রজায়। 

প্রশ্নঃঋক বৈদিক যুগে প্রজাদের কাছ থেকে কিভাবে কর আদায় করা হত ?

উত্তরঃ – গোষ্ঠীজীবনে প্রধম দিকে জমির উপর নেতার কোনো অধিকার ছিল না। কিন্তু নেতৃত্ব চালানোর জন্য তাঁর ধনসম্পদের দরকার ছিল। তা সম্ভবত কৃষি থেকেই পেতেন শাসকরা। ঋক্বেদের যুগে শাসকরা কর নিতেন। তবে জোর করে করের বোঝা প্রজাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হতো না।  প্রজারা নিরাপদে থাকার জন্য স্বেচ্ছায় এক ধরণের কর রাজাকে দিতেন। ঋকবেদে এই করই বলি নাম পরিচিত। তবে পরবর্তী বৈদিক যুগে দলপতি সম্ভবত জোর করে বলি কর আদায় করতেন। অর্থাৎ পরবর্তী বৈদিক যুগে কর হয়ে উঠেছিল বাধ্যতামূলক। যুদ্ধে যাঁরা হেরে যেত তাঁদের থেকেও রাজারা জোর করে কর আদায় করতেন। 

প্রশ্নঃটিকা লেখো : মহাকাব্য, দশ রাজার যুদ্ধ , সত্যকামের কথা , চতুরাশ্রম , মেগালিথ 

উত্তরঃ – (ক) মহাকাব্য:-> পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যের আরেকটি অংশ হলো মহাকাব্য। মহাকাব্য কথার মানে মহৎ বা মহান কাব্য বা কবিতা।  কোনো বিশেষ ঘটনা, দেবতা বা বড়ো রাজবংশের শাসককে কেন্দ্র করে মহাকাব্য লেখা হত। তার সঙ্গে থাকত ভূগোল, গ্রহ-নক্ষত্র ও গ্রাম-নগরের কথা।  সমাজজীবনের নানা দিক, রাজনীতি, যুদ্ধ, উৎসবের কোথাও মহাকাব্যের  মধ্যে মিশে থাকত। সাতটি বা অন্তত আটটি সর্গ বা ভাগে ভাগ করা হত মহাকাব্য। কবির, মূল ঘটনার বা কাব্যের প্রধান চরিত্রের নামে মহাকাব্যের নাম দেওয়া হত। প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে সবথেকে জনপ্রিয় মহাকাব্য ছিল রামায়ণ ও মহাভারত। 

() দশ রাজার যুদ্ধ :-> যুদ্ধের কথা ঋকবেদে অনেক আছে। তার মধ্যে বিখ্যাত হলো দশ রাজার যুদ্ধ। ভরত গোষ্ঠীর রাজা ছিলেন সুদাস। তার সঙ্গে অন্যান্য দশটি গোষ্ঠীর রাজাদের যুদ্ধ হয়েছিল। সুদাস দশ রাজার জোটকে হারিয়ে দিয়েছিলেন।  এর ফলে ভারত গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ক্ষমতা বেড়েছিল। নদীর ওপর একটি বাঁধ ভেঙে দিয়েছিলেন সুদাস।  হয়তো নদীর জলের উপর অধিকার বজায় রাখার জন্যই এমনটা করা হয়েছিল।  এই যুদ্ধের সঙ্গে পরবর্তীকালে মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের কিছুটা মিল রয়েছে। 

() সত্যকামের কথা :-> সত্যকাম তার বাবার পরিচয় জানত না। পড়াশুনার জন্য গুরুর কাছে গেলে গুরু তার গোত্র জানতে চান।  সত্যকাম তার মা জবালাকে নিজের গোত্র জানতে চাইলো। জবালা বললেন, আমি তা জানি না। কেউ জিজ্ঞাসা করলে তুমি বলবে যে তুমি সত্যকাম জাবাল। সত্যকাম গুরু গৌতমের কাছে গিয়ে বলল, আমি আমার গোত্র জানি না।  আমার মা বললেন আমার নাম সত্যকাম জাবাল। গৌতম  ,তুমি সত্য কথা  বলেছো। তাই আমি তোমাকে শিক্ষাদান করবো। 

() চতুরাশ্রম :-> বৌদিক যুগে জীবযাপনের চারটি ভাগ বা পর্যায় ছিল। তা হলো – ব্রহ্মচর্য , গার্হস্থ্য , বানপ্রস্থ  ও সন্ন্যাস। ছাত্রাবস্থায় গুরুগৃহে থেকে শিক্ষালাভ করা ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রম। শিক্ষালাভের পর বিয়ে করে সংসার জীবন যাপনকে বলা হতো গার্হস্থাশ্রম। বানপ্রস্থাশ্রম বলা হতো সংসার জীবন ছেড়ে দূরে বোনে কুটির বানিয়ে ধর্মচর্চা করাকে।  সবকিছু ভুলে ঈশ্বরচিন্তায় শেষ জীবন কাটানোকে বলা হট সন্ন্যাস আশ্রম। এই চারটি পর্যায়কে একসঙ্গে চতুরাশ্রম বলা হতো। শূদ্রদের এই জীবনযাপনের অধিকার ছিল না। 

() মেগালিথ :-> মেগালিথ হলো বড়ো পাথরের সমাধি। প্রাচীন ভারতে লোহার ব্যবহারের সঙ্গে এই সমাধির সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। বিভিন্ন অঞ্চলের জনগোষ্ঠী বড়ো বড়ো পাথর দিয়ে পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের সমাধি চিহ্নিত করত। বোরো পাহাড় দিয়ে চিহ্নিত এই সমাধিগুলির নানা রকমের দেখতে পাওয়া যায়। কোথাও আকাশের দিকে তাকিয়ে ,কোথাও বৃত্তাকারে সাজানো , কোথাও অনেকগুলো পাথর ঢাকা দেওয়া , কোথাও পাহাড় কেটে বানানো গুহার ভেতর সমাধি। এইসব সমাধিগুলো থেকে মানুষের কঙ্কাল ও তাদের ব্যবহারের জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। কাশ্মীরের বুর্জাহম , রাজস্থানের ভরতপুর , ইনামগাঁও বিখ্যাত মেগালিথ কেন্দ্র।

Click Here To Download  The Pdf

এক ভূতুড়ে কান্ড |ষষ্ঠ শ্রেণী| প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Ek Vuture Kando|Class 6| Question-Answer Solved

1

এক ভূতুড়ে কান্ড

শিবরাম চক্রবর্তী

. শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম কী?

উত্তর। শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম চঞ্চল। 

. তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর। তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ এবং ‘হাসির টেক্কা’। 

২। নীচের বাক্যগুলি কী ধরনের (সরল/ যৌগিক/জটিল) তা নির্দেশ করে।

. ভূত বলে কিছু আছে?

উত্তর। সরলবাক্য।

. যেখানে সন্ধে সেইখানেই সাইকেলের টায়ার ফাসে।

উত্তর। জটিল বাক্য।

. একটা পরস্মৈপদী সাইকেল হাতে পেয়ে হুডুর দিকে পাড়ি জমিয়েছিলাম, কিন্তু মাইল খানেক না যেতে যেতেই তার একটা টায়ার ফেসে গেল।

উত্তর। যৌগিক বাক্য

. আমার টর্চবাতিটা জ্বালিয়ে নিয়ে প্রাণপণে ঘােরাতে লাগলাম।

উত্তর। সরলবাক্য।

. যেখানটায় ড্রাইভার, থাকবার কথা সেখানে কেউ নেই।

উত্তর। জটিলবাক্য।

. নীচের বাক্যগুলিতে কী কী অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে লেখো

. সাইকেল ঘাড়ে করে যেতে হলেই হয়েছে।

উত্তরঃ- করে। 

. কয়েক মিনিট বাদে সেখান থেকে নামলাম।

উত্তরঃ- থেকে। 

. তার চেয়ে বাঘের পেটের মধ্যে দিয়ে স্বর্গে যাওয়া ঢের শর্টকাট।

উত্তরঃ- চেয়ে, দিয়ে। 

. আপনা থেকেই আমার মুখ দিয়েই বেরিয়ে গেল।

উত্তরঃ- থেকেই, দিয়েই। 

. নীচের বাক্যগুলিকে কর্তাখণ্ড ক্রিয়াখণ্ডে ভাগ করো :

৪.১ আসতে আসতে গাড়িটা আমার সামনে এসে পড়ল।

৪.২ দরজার হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে ঢুকে পড়লাম ভিতরে।

৪.৩ চিরদিনই আমি আশাবাদী।

৪.৪ এগিয়ে এস বললেন ভদ্রলোক।

উত্তর।       কর্তাখণ্ড                                                  ক্রিয়াখণ্ড

৪.১ আসতে আসতে গাড়িটা                              আমার  সামনে এসে পড়ল। 

৪.২ দরজার হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে                                  ঢুকে পড়লাম ভিতরে।

৪.৩ চিরদিনই আমি                                              আশাবাদী।

৪.8 ভদ্রলোক                                                         এগিয়ে এসে বললেন। 


. নীচের বাক্যগুলির মধ্যে থেকে সন্ধিবদ্ধ শব্দ বেছে নিয়ে সন্ধিবিচ্ছেদ করো।

. কিন্তু গাড়িটার থামবার কোনো লক্ষণ নেই।

উত্তর। কিন্তু – কিম্ + তু 

. আমার পাশ কাটিয়ে যাবার দুর্লক্ষণ দেখে আমি মরিয়া হয়ে উঠলাম। 

উত্তর। দুর্লক্ষণ = দ + লক্ষণ।

. শেষ পর্যন্ত আস্তে আস্তে আসছিল গাড়িটা।
উত্তর। পর্যন্ত = পরি + অন্ত। 

. কাল সকালে উদ্ধার করা যাবে।
উত্তর। উদ্ধার = উৎ + হার।

.নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
.সাইবেল ঘাড়ে করে যেতে হলেই হয়েছে!’ লেখকের গন্তব্য কোথায়? সাইকেল ঘাড়ে করে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে কেন

উত্তর। লেখক শিবরাম চক্রবর্তীর গন্তব্যস্থল ছিল রাঁচির হুড্রু জলপ্রপাত।
মাইল সাতেক পথ অতিক্রম করার পর লেখকের সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যায়।পথটা ছিল জন মানবহীন আর আশেপাশের অঞ্চল জঙ্গলাকীর্ণ ছিল। আরও পাঁচ মাইল গেলে তবে একটি গ্রামের দেখা মিলবে। কিন্তু এতটা পথ তিনি কীভাবে ফিরবেন সেটা বুঝতে পারছিলেন না। ফলে সাইকেল ঘাড়ে করে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে। 

.যেখান বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে হয়‘—প্রবাদটির মর্মার্থ কী? একই ভাব বোঝাতে তুমি আরেকটি প্রবাদ উল্লেখ করো।
উত্তর। যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে হয়’—এই প্রবাদটির মর্মার্থ যেখানে বিপদ আসার ভয় সেখানেই বিপদ এসে যায়।
এরকম আরেকটি প্রবাদ হল—’এগুলো সর্বনাশ পিছলে নির্বংশ।’

.চিরদিনই আমি আশাবাদীএই আশাবাদের গুণে লেখক কীভাবে পুরস্কৃত হলেন?
উত্তরঃ- লেখক চিরকালই আশাবাদী , তিনি মনে করেন তার জীবনে বিপদ এলে তা থেকে মুক্ত হওয়ার একটি পথ তিনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন।

              রাঁচি যাওয়ার পথে লেখকের সাইকেলের টায়ার ফেসে যায়। তিনি অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেও কোনো যানবাহন পেলেন না এবং একটি লরি তাকে অবজ্ঞা করে ফেলে চলে গেল। কিন্তু তবু  সেই জঙ্গলে ঘেরা ফাঁকা রাস্তায় তিনি আশায় বুক বেঁধে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে আশার আলো দেখলেন। একটি বেবি অস্টিন গাড়ি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছিল। সেই গাড়িতে চেপে তিনি রাঁচির কাছাকাছি পৌছালেন। এভাবেই তার আশাবাদের গুনে তিনি  পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
: অনর্থক কেবল টচটাকে আর নিজেকে টর্চার করা‘—কোন্ ঘটনা প্রসঙ্গে উদ্ধৃতিটির অবতারণা? আর টিচারশব্দের প্রয়োগে যে শব্দ নিয়ে খেলা তৈরি হয়েছে, গল্প থেকে খুঁজে এমন কয়েকটি উদাহরণ দাও। তুমি নিজে জাতীয় কয়েকটি বাক্য লেখো। 

উত্তর। একবার রাঁচির রাস্তায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যাওয়ায় লেখক খুব বিপদে পড়েন। তখন তিনি ফেরার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় রইলেন। কিন্তু কোনো গাড়ির দেখা পেলেন না। এমন সময় একটা লরি এলেও সে লেখকের টর্চের সংকেতবে উপেক্ষা করে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে লেখক উদ্ধৃতিটির অবতারণা করেছেন। 

উদাহরণগুলি হল—(১) রাজপথ না হলেও সেটা বেশ দরাজ পথ। (২) অঘটনগুলো ঘটবে না। (৩) এসপার ওসপার যা হোক। (৪) কিন্তু পেরে লাভ। লাভ তো ডিমের। (৫) হুশ হুশ করে ট্রেনটা চলে যাবার পর আমার হুঁশ হল।

. গল্প অনুসরণে সেই নির্জন বনপথে লেখকের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা নিজের ভাষায় বর্ণনা 

উত্তর। লেখক রাচী থেকে ফেরার পথে তার সাইকেলের টায়ার ফেসে যাওয়ায় তিনি জঙ্গলে ঘেরা নির্জন পথে আটকে পড়েন। অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর একটা লরির দেখা মিললেও তা থামে না, কিন্তু কিছুক্ষন পর একটি বেবি অস্টিন গাড়ি খুব ধীর গতিতে আসতে দেখা যায়। লেখক গাড়িটিকে টর্চের ঈশারা করলেও তা না থামলে লেখক জোর করে গাড়িতে উঠে পড়েন। কিন্তু চরম আতঙ্কে তিনি দেখেন যে গাড়িতে কোনও চালক নেই। এভাবেই লেখক বনের মধ্যে এক ভুতুড়ে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন।

. বাঘের দৃষ্টিভঙ্গি ওরকম উদার হতে পারে না।‘- কোন্উদার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে? লেখকের কাছে সেইদৃষ্টিভঙ্গিকতটা উদারতা নিয়ে এসেছিল, তা বুঝিয়ে দাও। 

উত্তর। এখানে বেবি অস্টিন গাড়িটির উদার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে। লেখক রাঁচির রাস্তায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যাওয়ার জন্য অন্য গাড়ির অপেক্ষায় অনেকক্ষণ ধরেছিলেন। সেই জঙ্গলে সম্প্রতী বাঘের উপদ্রব দেখা দিয়েছিল। তাই দূর থেকে আলো দেখা গেলে বাঘের চোখ বলে ভুল হলেও অবশেষে একটি বেবি অস্টিন গাড়ি ধীর গতিতে ওই রাস্তার ওপর দিয়ে এল। লেখক ওই গাড়িতে উঠে পাড়ে রাঁচির কাছে ফিরতে পারবেন এই ভেবেই ওই গাড়ীর আলো অর্থাৎ দৃস্টিকে তার উদার মনে হয়েছিল। 

.এই হয়ত সশরীরে রাঁচি ফেরার শেষ সুযোগ’-কোন্ সুযোগের কথা বলা হয়েছে? লেখক কীভাবে সেই সুযোগকে কাজে লাগালেন। 

উত্তর। লেখক রাঁচি ফেরার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু কোনো যানবাহন পেলেন না। অবশেষে একটি বেবি অস্টিন গাড়ি ধীর গতিতে আসছিল। ওই ধীরগতিসম্পন্ন বেবি অস্টিন গাড়িতে চেপে রাঁচি পৌঁছানোর সুযোগের কথা বলা হয়েছে। 

 লেখক  তার টর্চ ঘুরিয়ে ও হাঁক ডাক করেও গাড়িটি থামাতে পারলেন না। ধীর গতিতে চলা বেবি অস্টিনটি চলে গেলে লেখককে হেটে ফিরতে হবে। এই কথা ভেবে তিনি মরিয়া হয়ে কারো অনুমতির অপেক্ষা না করেই দরজার হাতল ঘুরিয়ে লাফিয়ে গাড়িটিতে উঠে পরেছিলেন।

.আমি হাঁ করে তাকিয়ে থাকলাম‘- লেখক কেন তাঁর কথা অসমাপ্ত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন। 

উত্তর। জঙ্গলের রাস্তায় আটকে পড়া লেখক ধীর গতির বেবি অস্টিন গাড়ি পেয়ে জোর করে তাতে   উঠে পড়লেন। গাড়িতে উঠে নিজের গন্তব্যস্থলের কথা বলতে গিয়ে বিস্ময়ে ভয়ে হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি দেখলেন ড্রাইভারের সিটে কেউ নেই। ইঞ্জিন বিকল অথচ গাড়িটি ধীরে ধীরে ঠিকপথে চলছিল। এই অদ্ভুতুরে কান্ড দেখে লেখক তাঁর কথা অসমাপ্ত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন। 

.বেড্রাইভার গাড়ি যেমন চলছিল তেমনি চলতে লাগল‘—’বেড্রাইভার গাড়িগাড়ি চলার প্রকৃত কারণটি কীভাবে গল্পে উন্মোচিত হল?
উত্তর। লেখক রাঁচির রাস্তায় বেবি অস্টিন গাড়িতে উঠে দেখলেন গাড়িতে কোনো ড্রাইভার নেই। কিন্তু হেঁটে ফেরার আলস্যে তিনি গাড়িতে চেপে বসে থাকলেন। ঘণ্টা দুয়েক গাড়িটা চলার পর লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে যখন প্রায় রেল লাইনের সামনে এসে পড়েছে তখনও যখন গাড়ি থামল না, দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় লেখক গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন। এমন সময় চশমা পরা একজন লোক মোটরের পেছন থেকে এসে লেখককে বললেন ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় তিনি আটমাইল দূর থেকে গাড়িটা ঠেলতে ঠেলতে আসছেন। লেখককে তিনি গাড়ি ঠেলার জন্য অনুরোধ করলেন।  এইভাবেই ‘বে-ড্রাইভার গাড়ি চলার প্রকৃত কারণ উন্মোচিত হল।

.এবারও আমার আলস্য জয়ী হলো শেষটায়।‘—গল্প অনুসরণে লেখকের উৎকণ্ঠা, আলস্য কর্মতৎপরতার দৃষ্টান্ত দাও। 

উত্তর। জঙ্গলের রাস্তায় আটকে পড়া লেখক ধীর গতির বেবি অস্টিন গাড়ি পেয়ে জোর করে তাতে   উঠে পড়লেন। গাড়িতে উঠে নিজের গন্তব্যস্থলের কথা বলতে গিয়ে বিস্ময়ে ভয়ে হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি দেখলেন ড্রাইভারের সিটে কেউ নেই। ইঞ্জিন বিকল অথচ গাড়িটি ধীরে ধীরে ঠিকপথে চলছিল। কিন্তু এই ভুতুড়ে গাড়ি থেকে নেমে যাবার পরিবর্তে তিনি দু ঘণ্টা যাবত সেই গাড়িতেই বসে রইলেন কারন বাকি পথ হেটে যেতে তার আলস্য বোধ হচ্ছিল। কিন্তু রেল ক্রসিঙ্গের কাছে এসেও যখন গাড়ি থামার কোনো লক্ষণ দেখা গেলো না তখন তিনি উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠল। তবে তার কর্মতৎপরতার জন্য তিনি তৎক্ষণাৎ সেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলেন।

. শেষ পর্যন্ত লেখক সেইবেবি অস্টিনথেকে বেরিয়ে এসেছিলেন কেন? এরপর তিনি কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন?
উত্তর। ভূতুড়ে গাড়ি করে লেখক যখন শেষ পর্যন্ত স্টেশনের কাছে লেভেল ক্রসিং পেরুলেন  কিন্তু তখন গাড়ি থামার কোনো লক্ষণ দেখা গেল না। তখন রেললাইনের কাছে গাড়ির ইন্জিনের শব্দ শুনে নিজের প্রাণ বাঁচাতে তিনি বেবি অস্টিন গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর গাড়ির পিছন থেকে চশমা পরা এক ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। যিনি গাড়িটাকে আটমাইল দুর থেকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে আসছিলেন। তিনি লেখককে অনুরোধ করলেন হাত লাগিয়ে গাড়িটাকে ঠেলার জন্য যাতে তিনি গাড়িটাকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন। এরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন লেখক।

Click Here  To Download The PDF

মরশুমের দিনে |ষষ্ঠ শ্রেণী| প্রশ্ন উত্তর সমাধান| Morshumer Dine | Class 6| Answer Solved

0

মরশুমের দিনে

সুভাষ মুখোপাধ্যায়

. সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম কী ?

উত্তর। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম ‘পদাতিক’।

, তার লেখা একটি গদ্যের বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর। তার লেখা একটি গদ্যের বইয়ের নাম ‘কাচা-পাকা’।

. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

. ধান শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?

উত্তর। ধান শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ধান্য থেকে এসেছে।

. অগ্রহায়ণ বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর। অগ্রহায়ণ কথার অর্থ হল বছরের শুরু।

. এদেশের সমস্ত পালাপার্বণ, আনন্দউৎসবএসবের মূলে কী রয়েছে?

উত্তর। এদেশের সমস্ত পালাপার্বণ, আনন্দ-উৎসব এসবের মূলে আছে চাষবাস।

. বসুধারা ব্রত কোন্ ঋতুতে হয়?

উত্তর। বসুধারা ব্ৰত এদেশে গ্রীষ্ম ঋতুতে হয়।

. মেঘকে নামাবার জন্য মেয়েরা দল বেঁধে ছড়া করে তাকে কী কী নামে ডাকে?

উত্তর। মেঘকে নামাবার জন্য মেয়েরা দল বেঁধে ছড়া করে কালো মেঘা, ফুলতোলা মেঘা, ধুলোট মেঘা, আড়িয়া মেঘা, হাড়িয়া মেঘা, কুড়িয়া মেঘা ইত্যাদি নাম ডাকে।

৩. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত কর :

মফসসল, বৎসর, খর, ব্রত, বিস্তর, পর্বত, ঝড়।

উত্তর।

বিশেষ্য               বিশেষণ 

মফসল                 মফসলীয়

বৎসর                 বাৎসরিক

বিস্তারিত             বিস্তার

খরতা                 খর   

ঝড়               ঝোড়ো। 

পর্বত              পার্বত্য।

ব্রত                ব্রতী

. নীচের বাক্যগুলি গঠনগতভাবে কোটি কী ধরনের লেখ (সরল/যৌগিক/জটিল) :

. গ্রামের যাত্রীরা নেমে নেমে যাবে মাঝরাস্তায়।

উত্তর। সরল বাক্য।

. সেখানে ঘাসের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না, হঠাৎ চোখে পড়বে সেখানে যেন কে সবুজ জাজিম পেতে রেখেছে।

উত্তর। জটিল বাক্য।

৪.৩ আয় বৃষ্টি ঝেপে, ধান দেব মেপে।

উত্তর। সরল বাক্য।

. খড় কিংবা টিনের চাল।

উত্তর। জটিল বাক্য।

. নীচের বাক্যগুলি থেকে শব্দ বিভক্তি এবং অনুসর্গ খুঁজে নিয়ে লেখ :

. কেউ এসেছিল দোকানের জন্য মাল তুলতে।

উত্তর। দোকানের জন্য—অনুসর্গ—“জন্য।

. বৃষ্টির ঝমঝম শব্দে অন্য সমস্ত আওয়াজ ডুবে যায়।

উত্তর। শব্দবিভক্তি-শব্দে-‘এ’ বিভক্তি।

. সন্ধে নাগাদ উলু দিয়ে ব্রত শেষ হয়।

উত্তর। শব্দবিভক্তি-সন্ধে না ‘এ’। অনুসর্গ-‘দিয়ে।

. ছেলেরা হই হই করে ছোটে আমবাগানে।

উত্তর। শব্দ বিভক্তি—আমবাগানে-‘এ’।

. পাঠ থেকে নিম্নলিখিত শব্দগুলির সমার্থক শব্দ খুঁজে লেখে

অম্বর, ধরা, মৃত্তিকা, প্রান্তর, তটিনী।

উত্তর। অম্বর—আকাশ। ধরা—পৃথিবী। মৃত্তিকা—মাটি। প্রান্তর—মাঠ, জমি, খেত। তটিনী—নদী।

. নীচের সমোচ্চারিত/প্রায়সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লেখো :

ধোয়াপরিষ্কার করা। 

ধোঁয়াবাম্প/ধূম। 

বাধাবন্ধন

বাধাবিপদ

জলেপানিতে

জ্বলেজ্বালা করে।

গায়েশরীরে।

গাঁয়েগ্রামে।

ঝরেবিচ্যুত হয়ে।

ঝড়েপ্রবলবেগে প্রবাহিত বায়ুতে

৮. শব্দ বানানটিতে | চিহ্ন দাও :

উত্তর। ৮.১ মুহুর্ত/মূহূর্ত/মুহূর্ত।

৮.২ অগ্রহায়ন/অগ্রহায়ন/অগ্রহায়ণ/

৮.৩ বিলক্ষণ/বিলক্ষন/বিলখন

৮.৪ মরিচিকা/মরীচিকা/মরীটীকা।

৯. বেলা, ডাল, সারা, চালএই শব্দগুলিকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি করে বাক্য লেখো।

উত্তর। বেলা—(সৈকত)সমুদ্র বেলায় ঝিনুক কুড়াতে ভালো লাগে।

বেলা—(সময়)শীতকালে সকালবেলা ঘাসে শিশির জমে থাকে।

ডাল-(দানাশস্য বিশেষ)- ডাল চাল মিশিয়ে খিচুড়ি তৈরী হয়।

ডাল—(গাছের শাখা)গাছের উঁচু ডালে একটি পাখি বসে আছে।

সারা—(সমস্ত)সে সারাদিন ধরে কাজ করে,তার পরিশ্রম সফল হোক।

সারা—(সম্পন্ন করা)তোমার কাজ সারা হলে আমরা খেলতে যাব।

চাল-(বাড়ির ছাউনি)টিনের চাল রোদ পড়লে ঝকঝক করে।

চাল-(দানা শস্য) —বাজারে বিভিন্ন ধরনের চাল পাওয়া যায়।

১০. টীকা লেখ : মরীচিকা, বসুধারা, ব্ৰত, মেঘরানির কুলো, ভাদুলি।

উত্তর। মরীচিকা :মরীচিকা হচ্ছে একটি আলোকীয় অলীক ঘটনা। মরুভূমিতে সূর্যের প্রচণ্ড তাপে বালি খুব তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত হয়। এখন এই উত্তপ্ত মরুভূমিতে দূরে কোনো গাছ থেকে আলোকরশ্মি পথিকের চোখে আসার সময় গাছের উল্টা বিম্ব দেখতে পায়। ফলে পথিকের চোখে মনে হবে আলোর প্রতিফলন হয়েছে। তার কাছে মনে হবে সামনে কোনো জলাশয় আছে এবং তাতে প্রতিফলন ঘটেছে। পথিকের কাছে এই জলাশয় দেখার ঘটনাই মরীচিকা।

বসুধারা ব্রত : গরমে যখন নদী, খাল-বিল, শুকিয়ে যায়, চারিদিকে জলের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। মানুষ যখন, ছায়া খোঁজে, নদীর জল শুকিয়ে যায় তখন আকাশের কাছে জল চেয়ে বসুধারা ব্রত পালন করা হয়।

মেঘরানির কুলো : বৃষ্টির অভাব দেখা দিলে ‘মেঘরানির কুলো’ নামাবার প্রথা আছে। কুলো, জল ঘট নিয়ে চাষি ঘরের অল্পবয়সি মেয়েরা দলে দলে পাড়ায় বেরিয়ে পড়ে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে গান গায়। গান গেয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে তারা চাল, তেল, সিঁদুর পায়, কখনও দু চারটে পয়সা আর পান সুপারি পায়। দল বেঁধে তারা মেঘকে নানা নামে ডেকে তাকে তোয়াজ করে জল নামানোর জন্য।

ভাদুলি :র্ষার শেষাশেষি মেয়েরা করে ভাদুলি ব্রত। মাটিতে আঁকে আল্পনা ; সাতসমুদ্র। তেরো নদী, নদীর চড়া, কাটার পূর্বত, বন, তেল, বাঘ, মোষ, কাক, বক, তালগাছে বাবুইয়ের বাসা।-এ ব্রত সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন এদেশে সওদাগররা সাতডিঙা ভাসিয়ে সমুদ্রে বাণিজ্যে যেত। ব্রতের ছড়ায় আজও সে ছবি ধরা আছে।

১১, নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১১. বাস ডিপোয় অপেক্ষামান যাত্রীদের ছবি কীভাবে পাঠাংশে ধরা পড়েছে?

উত্তর। বাস-ডিপোয় বাস দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীরা বাসের ভিতরে নিজের নিজের জায়গায় হাতের জিনিস রেখে অনেকেই বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে। চায়ের দোকানে বসে থাকা ড্রাইভারের দিকে নজর রেখে যাত্রীর দল কাছে পিঠে ঘুরতে থাকে।তারা গরমের সময় হাওয়া খায় ও শীতের সময় রোদ পোহায়।

১১, গ্রামের সঙ্গে শহরের যে এখনও নাড়ির টান’–এই নাড়ির টানের প্রসঙ্গ রচনাংশে কীভাবে এসেছে?

উত্তর। মাঠে ফসল উঠলে গ্রামের লোকেদের হাতে পয়সা আসে। তারা তকন নানা কাজে শহরে যায়। বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে, মামলার খোঁজ নিতে, পুজো দিতে,জিনিস কিনতে ও সিনেমা দেখতে তারা শহরে আসে ও বেশ কিছু অর্থ খরচ করে। এই ভাবেই গ্রামের লোকেদের হাত ধরে শহরের উকিল মোক্তার, ঘটক, ডাক্তারদের রোজগার হয়। বোঝা যায়যে গ্রামের সঙ্গে শহরের এক নাড়ীর যোগ রয়েছে।

১১. ধানের সবচেয়ে বড় বন্ধু বৃষ্টিবৃষ্টির সময়ে ধানখেতের ছবিটি কেমন? অন্য যে যে সময়ে ধান চাষ হয়ে থাকে, তা লেখ।

উত্তর। বৃষ্টি পড়লে ধানগাছের আনন্দের সীমা থাকে না। গাছগুলো বৃষ্টির জল পেয়ে বাড়তে থাকে। ধানখেত সবুজ বর্ণ ধারণ করে। সবুজ ধানগাছগুলি হাওয়ায় দুলতে থাকে, মাথা নুয়ে পড়ে। ধানগাছের সবুজ বর্ণ দেখে কৃষকের হৃদয় আনন্দে ভরে ওঠে।

বর্ষাকাল ছাড়াও গ্রীষ্মে আউশ ধান এবং শীতে বোরো ধানের চাষ হয়ে থাকে।

১১.৪ আগে বছর আরম্ভ হতে অগ্রহায়ণে’–এর সম্ভাব্য কারণ কী?

উত্তর। আগে বছর আরম্ভ হত অগ্রহায়ণে।কারন অগ্র মানে প্রথম  হায়ণ মানে বছর। অগ্রহায়ণ মানে বছরের গোড়া। হায়ণ কথাটার আর এক মানে ফসল। মানুষ বছরের শুরুতে সৌভাগ্য কামনা করত বলে বছর অগ্রহায়ণ মাসে শুরু হত।

১১. এদেশের যত পালাপার্বণ, উৎসবআনন্দ, সবকিছুরই মূলে রয়েছে চাষবাস।বাংলার উৎসবখাদ্যসংস্কৃতির সঙ্গে চাষবাস কতটা জড়িত বলে তুমি মনে কর ?

উত্তর। বাংলা কৃষিপ্রধান দেশ। অধিকাংশ বাঙালি পরিবার কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। কৃষিজাত ফসল বিক্রি করে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনে। তাদের জীবিকানির্বাহ মূলত কৃষিজ ফসল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। তাই চাষের সঙ্গে তাদের উৎসব ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। ফসল কাটার উৎসব, ফসল বোনার উৎসব, বৃষ্টিকে আহ্বান জানানোর উৎসব তাই গ্রামে গঞ্জে নানা রূপে পালিত হয়।

১১. শহর ছাড়লেই দুপাশে দেখা যাবে’—শহরের চিত্রটি কেমন? তা ছাড়িয়ে গেলে কোন দৃশ্য দেখা যাবে?

উত্তর। শহর গ্রাম অপেক্ষা অনেক উন্নত জায়গা। সেখানে বড়ো-বড়ো বাড়ি, অফিস-আদালত, কোর্ট-কাছারি, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, বড়ো বড়ো পাকা রাস্তা থাকে। নানারকম যানবাহন চলাচল করে। শহর ছাড়লেই দু-পাশে দেখা যাবে মাথার ওপর নীল আকাশ। বাস রাস্তার দুধারে বট, পাকুড়, শাল,সেগুনের গাছ। তার ডালে দৃষ্টি মাঝে মাঝে আটকে যাবে। কালো কুচকুচে বাঁকানো রাস্তা! মাঝে মাঝে বাঁক নিয়ে সোজা সামনে চলে গেছে।

১১. এই রাস্তার ওপরই এক ভারি মজার দৃশ্য দেখা যায়’—মজার দৃশ্যটি কেমন, তা নিজের ভাষায় লেখ৷

উত্তর। গরমকালে চারিদিকে যখন প্রচণ্ড দাবদাহে রাস্তা তেঁতে ওঠে। রাস্তার ওপর দিয়ে  বাস চলার সময় দূরে তাকিয়ে মনে হয় যেন জল চিকচিক করছে। আর সেই জল উলটো হয়ে পড়েছে দু-পাশের গাছের ছায়া বা সামনের গাড়ির ছায়া। কাছে এগিয়ে গেলে কোথাও জল বা গাছের ছায়া দেখা যাবে না। তা ঠিক মরুভূমির মরীচিকার মত যা ধরাছোঁয়ার বাইরে।।

১১.১০ ধান কাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য’—এই দৃশ্যে কোন্ ঋতুর ছবি ফুটে উঠেছে? সেই ঋতু সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যে একটি অনুচ্ছেদ রচনা কর।

উত্তর। এই দৃশ্যে গ্রীষ্ম ঋতুর ছবি ফুটে উঠেছে।

Click Here To Download  The Pdf

 

আর্শীবাদ| ষষ্ঠ শ্রেণী | প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Asirbad| Class 6| Question-Answer Solved

2

আর্শীবাদ

দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

 

. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত?
উত্তর। রূপকথা, উপকথা এবং লোককথার গল্প দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত।

. তিনি শিশুসাহিত্যের কোন্ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন?
উত্তর। তিনি বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে ভুবনেশ্বরী পদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

. বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয়?
উত্তর। বন্যা হলে প্রকৃতির চারিদিকে জলে ডুবে যায়।

. পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?
উত্তর। বন্যার সময় পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছিল।

. বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন?
উত্তর। বৃষ্টির সময় বাতাস ও জলের প্রবল ঝাপটায় গাছের পাতারা নিজেদের সামলাতে না পেরে কাঁপছিল।

২৪ পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল?

উত্তর। নিজেকে বাঁচাবার জন্য পিঁপড়ে ঘাসের পাতার শিরা আঁকড়ে ধরে ঝুলে থাকল।
. পিঁপড়ে কখনবাপ। বাঁচলেমবলে উঠল

উত্তর। বৃষ্টি একটু কমলে ঘাসের পাতা সোজা হয়ে দাঁড়ালে তখন পিঁপড়েবাপ বাঁচলেমবলে উঠল।
. জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল

উত্তর। খলখল শব্দ করে জল হেসে উঠেছিল।
. বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের।কেন এমন হল? 

উত্তর। পিঁপড়ে যখন বৃষ্টির কাছ থেকে শুনল যে শরৎকাল এলে ঘাস থেকেই কাশফুল ফোটে তখন পিঁপড়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে করল এবং তার বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল। 

.শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে পরুক।“—কে এমনটি কামনা করেছিল?
উত্তর। শরতের আকাশে মেঘ কেটে গেলে সূর্য কামনা করেছিল যেন শরতের আশীর্বাদ সকলের উপর ঝরে পড়ে। 


৩। নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখো :

. বর্ষা খুব নেমেছে।
(
অসমাপিকা ক্রিয়া)
. ভাই, জোরে আঁকড়ে ধরো।
(
অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
. এক টোক জল খেয়ে পিঁপড়ে আর কিছু বলতে পারলে না 

              (অসমাপিকা ক্রিয়া)                (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
. বৃষ্টির ফোঁটার ঘায়ে পাতাটা বোধ হয় এলিয়ে পড়বে জলে।
(
সমাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
. শিউরে পাতা বললেভাই। তেমন কথা বোলো না।
(
সমাপিকা ক্রিয়া)

8. সকর্মক অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করো : 

. সারা দিনরাত খাটি। (অকর্মক ক্রিয়া)
. আমরা যাই, আসি, দেখি। (অকর্মক ক্রিয়া)
. ঘাসের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। (অকর্মক ক্রিয়া

. জল কী করে পার হব(সকর্মক ক্রিয়া)
. পৃথিবী তোমার হবে। (সকর্মক ক্রিয়া


. সন্ধি বিচ্ছেদ করোনিশ্বাস, বৃষ্টি, নিশ্চয়, আশীর্বাদ।
উত্তর। নিশ্বাস নিঃ + শ্বাস। 

বৃষ্টিবৃষ্ + তি। 

নিশ্চয়নিঃ + চয়। 

আশীর্বাদআশিঃ + বাদ।

. নীচের শব্দগুলি থেকে উপসর্গ পৃথক করো এবং তা দিয়ে দুটি নতুন শব্দ তৈরি করো :
বিদেশ, দুর্ভাগ্য, অনাবৃষ্টি, সুদিন, নির্ভয়। 

বিদেশ = বি + দেশ =

বি= বি + কার = বিকারবি=বি + চার = বিচার

দুর্ভাগ্য =  দুঃভাগ্য  

 দুঃ=  দুঃ+ আচার= দুরাচার,  দুঃ + শাসন = দুঃশাসন 

অনাবৃষ্টি =অনা + বৃষ্টি

অনা= অনা +আচার = অনাচার, অন্য + আবশ্য = অনাবশ্যক

সুদিন = সুদিন = সু + দিন

 সু = সু + বিচার = সুবিচার, সু + সময় =সুসময়
নির্ভয় =নিঃ + ভয়

 নিঃ= নিঃ + আকার = নিরাকার, নিঃ + বিচার নির্বিচার 


. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখো :
অপ্রিয়, শরীর, শরৎ, মুখ, ফুল

বিশেষ্য

বিশেষণ

আশ্রয়

আশ্রিত

শরৎ

শারদীয়

ফুল

ফুলের

শরীর

শারীরিক

মুখ

মৌখিক


. চোখ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনা করো

উত্তর। চোখচক্ষুচোখ দিয়ে আমরা সবকিছু দেখতে পাই।
চোখনজরে রাখা শিশুটিকে  চোখে চোখে রেখো, ও খুব দুরন্ত।


. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য বিধের অংশ ভাগ করে দেখাও :
উত্তরঃ 

উদ্দেশ্য 

বিধেয়

.

আমরা

সাঁতার জানি।

.

বর্ষাতেও পিঁপড়ের মুখ

শুকিয়ে গেল।

.

আমরা  ( উহ্য)

শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে।

.

জল

খলখল করে হেসে উঠল।

.

পৃথিবী

সবারই হোক। 


১০, নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :

১০.১ আমরা সাঁতার জানি। আমরা হাঁটতে জানি। (এবং দিয়ে দুটি বাক্যকে যুক্ত করো)

উঃ আমরা সাঁতার এবং হাঁটা দুটোই জানি।

১০.২ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো, ফুলটুল ফোটাও। ( দুটি বাক্যে ভেঙ্গে লেখো)

উঃতোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো। তোমরা ফুলটুল ফোটাও।

১০, বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও বান ডেকেছে।( যখন, তখন দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)

উঃযখন বর্ষা খুব নেমেছে তখন নীচেও বান ডেকেছে।

১০, আমরা নড়তেও পারিনে কিন্তু কোনোরকমে শুড়টুড় বাড়াই।( কিন্তু অব্যয় দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)

উঃআমরা নড়তেও পারিনে। কোনোরকমে শুড়টুড় বাড়াই।

১০. এক ঢোক জল খেল এবং পিপড়ে কিছু বলতে পারলে না।( এবং অব্যয়টি তুলে বাক্য দুটিকে যুক্ত করে লেখ)

উঃএক ঢোক জল খেয়ে পিপড়ে কিছু বলতে পারলে না।

 

১১. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :

১১. পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখ।

উত্তর। আমাদের পাঠ্যাংশে বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর প্রসঙ্গ আছে।

বর্ষা ঋতুর উদাহরণবর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। জলে দেশ থই থই করছে।

শরৎ ঋতুর উদাহরণ : শরতে চেয়ে দেখি, তারাই কাশবন হয়ে হাসছে।

১১. পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে?

উত্তর। পাতা গাছের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। সূর্যের আলোকে ধরে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি হয় গাছের পাতায়। এছাড়া গাছের পাতার সাহায্যে গাছ প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস নেয় ও ছাড়ে।

১১. পিপড়েৰ বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্যে লেখ

উত্তর। পিপড়ের বাসস্থান মাটির নীচে গর্তের মধ্যে। তার বাসায় সে সারাদিন ধরে সংগ্রহ করে আনা খাদ্য সংগ্রহ করে রাখে। তার মনে হয় মাটির উপরের পৃথিবীটা সবার আর মাটির নীচের কুঠূরি হল তার বাসস্থান।

১১. বৃষ্টি পাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে?

উত্তর। বৃষ্টির  কাছে পাতা হল বন্ধু। তাই বৃষ্টি পাতাকে তার সবুজ বন্ধু বলে ডেকেছে।

১১. সবার কথা শুনে পিপড়ে কী ভাবল ?

উত্তর। পিঁপড়ে ভাবত সে বুঝি কেবল মাটির নীচের গর্তেই আশ্রয় নেবে, আর গাছেরা মাটির উপর ফুল ফল ফলাবে। কিন্তু সবার কথা শুনে সে বুঝল পৃথিবীতে সবার সমান অধিকার। মাটির উপরে ঘুরে বেড়াতে পারবে সে, পৃথিবীটা তার নিজের ও।

১১. প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে ?

উত্তর। বর্ষাকালের শেষে আসে শরত। তখন সুর্যের আলোয় বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া মাটি শুকিয়ে যায়। নতুন জল পেয়ে ঘাসেরা কাশফুল ফোটায়। পিঁপড়ে নির্ভাবনায় মাটিতে ঘুরে বেড়ায়। এভাবেই শরৎকালে প্রকৃতির আশীর্বাদ সবার উপরে ঝরে পড়ে।

 

১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ :

১২.১। বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখ

উত্তর। বর্ষা ঋতু হল বৃষ্টির কালরে।সারাদিন ও রাত মাঝে মাঝেই বৃষ্টি পড়তে থাকে। গাছপালা জল পেয়ে সবুজ হয়ে ওঠে। রাস্তাঘাটে কাদা জমে।টগর, জুই কদম ফুলে ভরে যায় ফুলগাছ গুলি। পুকুরপাড়ে ব্যাঙ্গেরা ডাকাডাকি করতে থাকে। শুকনো পুকুরগুলি জলে ভরে ওঠে,প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে।

১২.২। পিপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন ?

উত্তর। বর্ষার ফলে সারা দেশ জলে ভরে গিয়েছিল। ফলে মাটির নীচে থাকা পিপড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সে ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।

১২.৩। পাতা কেন পিপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল?

উত্তর। বর্ষার ফলে জলের স্রোত বইছিল। তাই পাতা বন্ধু পিপড়েকে জোর করে তার শরীরকে কামড়ে ধরতে বলেছিল যাতে সে স্রোতের তোড়ে ভেসে না যায়।

১২. পাতা কী বলে পিপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল? কাজে আসে না কোনোটাই‘—এখানে তার কোন কাজে না আসার আসার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর। পিপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে পাতা পিপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল।কিন্তু প্রয়োজনের সময় পিপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানোও কোনো কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানো সবসময় কাজে আসে না।

১২.৫।তাই আজ বেঁচে গেলাম”—বত্তারআজ বেঁচে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর। উদ্ধৃতাংশটি ‘আশীর্বাদ’ গল্পটি থেকে নেওয়া আর এখানে বক্তা হল পিঁপড়ে। সেদিনের বর্ষায় সারা পৃথিবী জলে ভরে গিয়েছিল। তখন পিপড়ে জলের তোড়ে যাতে ভেসে না যায় তাই গাছের পাতা কামড়ে ধরে ছিল। কিন্তু তাও সে এক ঢোক জল খেয়ে ফেলে। অবশেষে বৃষ্টি ধরে এলে সে সম্পুর্ণ রক্ষা পায়। তাই উপকারী ঘাসের পাতার জন্যই সে বেঁচে গিয়েছিল।

১২.৬। পিপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদ লেখ।

উত্তর। প্রকৃতিতে বর্ষা নেমেছে। দেশে বন্যা হবার ফলে সারা দেশে জল থই থই করছে। নিরাশ্রয় পিপড়ে প্রাণ বাঁচাবার তাগিদে একটি ঘাসের  পাতাকে অবলম্বন করেছে। হাওয়ার দোলায় দুর্বল ঘাসের পাতা কাপছে। পিপড়ে ঘাসের শিরাটাকে জোরে কামড়ে ধরে আত্মরক্ষার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সে পিঁপড়েকে জানায় যে পিপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণ নেই ।কিন্তু প্রয়োজনের সময় পিপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানোও কোনো কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানো সবসময় কাজে আসে না।

আবার ঘাস তো চলাফেরা করতে অক্ষম। তাই সে নড়েচড়ে বা ঝুলে বাঁচতে পারে না। বর্ষার অবসানে জল নেমে গেলে পিঁপড়ে তার জীবন রক্ষা করার জন্য পাতাকে ধন্যবাদ জানায়। পাতা যেহেতু স্থির, সে চলাফেরা করতে পারে না। তাই তাকে রৌদ্রে পুড়ে শুকিয়ে ধুলোয় পরিণত হতে হয়। আবার বর্ষাকালে বৃষ্টির জল পেলে তারা নতুন জীবন লাভ করে। কোনো কিছুতেই তার কোনো ভয় নেই।

১২.৭। পিপড়ের সঙ্গে গাছের কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ তৈরি কর। শ্রেণিকক্ষে অভিনয়ের আয়োজন কর।

উত্তর। শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্য নিয়ে নিজেরা কর।

১২.৮।মাটি সবারই’—পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন্ সত্য ফুটে উঠেছে?

উত্তর। পাতা মনে করে পৃথিবীর মাটিতে সকলের সম অধিকার। মাটিতেই আমাদের জন্ম এবং মাটির উপর নির্ভর করেই আমরা জীবনধারণ করে থাকি। মাটিতে গর্ত করে পিঁপড়ের মতো নানা প্রানী বসবাস করে। মাটি হল প্রকৃতির সার্বজনীন দান। প্রকৃতির সম্পদে সকলের

১২. মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন্ কথা শুনতে পেয়েছিল? তা শুনে বৃষ্টি পিপড়েকে কী বলল?

উত্তর। বৃষ্টি মেঘের আড়ালে অবস্থান করে পাতা পিপড়ের কথাবার্তা মন দিয়ে শুনছিল। পিঁপড়ে ও ঘাস নিজের নিজের দুঃখের কথা আলোচনা করছিল। পিঁপড়ের মনে হয় সে হাঁটতে, দৌড়াতে ও জিমনাস্টিক জানলেও বিপদের সময় কিছুই কাজে আসে না। কিন্তু ঘাস চলতেও পারে না। তাই সে বন্যায় ডোবে, রোদে শুকিয়ে যায়। তবে আবার বৃষ্টির জল পেলে সে জীবন লাভ করে। তাই সে ভয় পায় না।

উভয়ের কথাবার্তা শোনার পর বৃষ্টি পিপড়েকে ঘাসের মতো নির্ভীক হতে বলেছিল।

১২.১০। শরৎ ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে বিষয়ে একটা অনুচ্ছেদ রচনা কর।

উত্তর। তোমার রচনা বই দেখে শরৎকালের রচনাটি লেখ।

১২.১১। পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতা কে কীভাবে পিপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিলতা আলোচনা কর।

উত্তর। ঘাসের পাতা এবং বৃষ্টির জল প্রকৃতপক্ষে পিঁপড়ের বন্ধু ছিল। তাই তারা তাদের মত করে পিপড়ের মনে সাহস জোগান দিয়েছিল। পাতা পিপড়েকে বলেছিল বাঁচার তাগিদে তাকে শক্ত করে কামড়ে ধরতে।

বৃষ্টির জল পিপড়েকে সবসময় সাহস দিয়েছিল এই বলে যে সে যেন কোন অবস্থাতেই বিপদ পড়লে ভয় না পায়। কারণ ভয় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

 

 Click Here To Download The Pdf

ফাঁকি|ষষ্ঠ শ্রেণী। প্রশ্ন-উত্তর সমাধান। | Faki|Class 6| Question-Answer Solved

1

ফাঁকি

রাজকিশোর পট্টনায়ক

১১ রাজকিশোর পট্টনায়ক কোন্ ভাষার লেখক?

উত্তর। রাজকিশোর পট্টনায়ক ওড়িয়া ভাষার লেখক।

. তার লেখা দুটি গল্পের বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর। তার লেখা দুটি গল্পের বই হল ‘তুঠ পাথর’ এবং ‘ভড়াঘর’।

, সন্ধিবিচ্ছেদ কর ; সন্দেহ, আষ্টেক, প্রত্যেক, সম্পূর্ণ, নিরপরাধ, দুর্বল।

উত্তর। সন্দেহ-সম্ + দেহ,

আষ্টেক—আষ্ট + এক,

প্রত্যেক—প্রতি + এক,

সম্পূর্ণ—সম্ + পূর্ণ,

নিরপরাধ—নিঃ + অপরাধ,

দুর্বল—দুঃ + বল।

, প্রতিশব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্যরচনা কর :

বাড়ি, ছেলে, রাস্তা, পাথর, গাছ, বন্ধু, নদী।

উত্তর। বাড়িগৃহ—রমেশ বাবুর বসত গৃহ অজয় নদীর তীরে অবস্থিত।

ছেলেপুত্র-পুত্র ও কন্যা সন্তানের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা উচিত নয়।

রাস্তাসড়ক—শীতকালে সড়কের পাশে থাকা গাছগুলির পাতা ধুলোয় ঢেকে গেছে।

পাথরপ্রস্তর–আদিম মানুষ প্রস্তরের হাতিয়ার ব্যবহার করত।

গাছবৃক্ষ-বৃক্ষ আমাদের নানা উপকার করে।

বন্ধুমিত্র—তার বিবাহে পাত্র মিত্র সকলকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছে।

নদীতটিনী—বর্ষায় তটিনী ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

. নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা অসমাপিকা ক্রিয়া বেছে নিয়ে লেখো :

উত্তর। ৪.১ এটুকু জমি খালি রাখা যাক।

(সমাপিকা ক্রিয়া),

৪.২ আগে গাছ লাগাব

(সমাপিকা ক্রিয়া)

৪.৩ কোদল লাগবে। বাইরের কোদল এসে ঘরে ঢুকবে

(সমাপিকা ক্রিয়া), (সমাপিকা ক্রিয়া)

৪.৪ মায়ে পোয়ে ঘরের ভিতরে চলে গেল বিশেষ আলোচনার জন্য।

(অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)

৪.৫ সকালে গোপাল আর গোপালের মা উঠে প্রথমেই গেল আমগাছ দেখতে, গাছ নেতিয়ে পড়েনি তো।

(অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)

৫। সকর্মক অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত কর :

৫.১ বাবা আমগাছ নিয়ে পাচিলের কাছে লাগাচ্ছেন

(সকর্মক ক্রিয়া)

৫.২ খুব হয়েছে মা আর ছেলের একই রকম বুদ্ধি।

(অকর্মক ক্রিয়া)

৫,৩ আপন চেষ্টাতেই গাছটি বেড়েছে

(অকর্মক ক্রিয়া)

৫,৪ জল দেওয়া হল

(সকর্মক ক্রিয়া)

. গল্প থেকে বেছে নিয়ে পাঁচটি অনুসর্গ লেখ। সেই অনুসর্গগুলি যোগে স্বাধীন বাক্যরচনা কর

দিয়ে, থেকে, হতে, সঙ্গে, জন্য।

উত্তর

দিয়ে – সে নিজের হাত দিয়ে প্রসাদ বিতরণ করল।

থেকে—মা ছাদ থেকে শুকনো জামা তুলে আনলেন।

হতে—সেখান হতে সে ট্রেনে যাত্রা করবে।

সঙ্গে— অসৎ ব্যক্তির সঙ্গে মিশতে নেই।

জন্য— তাড়াতাড়ি বাড়ি না ফিরলে মা আমার জন্য চিন্তা করবেন।

. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত কর :

জাহাজ, গাছ, পোষ, ঝড়, পশ্চিম।

উত্তর|

বিশেষ্যবিশেষণ

জাহাজ-জাহাজী

ঝড়-ঝোড়ো

গাছ-গেছো।

পশ্চিম-পশ্চিমা

পোষ-পোষা

. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো :

. কটক কোন নদীর তীরে অবস্থিত? ওড়িশার আরও একটি নদীর নাম লেখ।

উত্তর। ওড়িশার কটক শহর মহানদীর তীরে অবস্থিত। ওড়িশার অপর একটি নদী হল মহানন্দা।

. গোপালের বাবা প্রথমে কেন বাগানে ফুলগাছ লাগাতে চাননি?

উত্তর। গোপালের কেনা জমি মাটি বেলে এবং তা ফুলগাছ লাগানোর পক্ষে অনুপযুক্ত। এছাড়াও সেখানে জল দেবার অসুবিধা থাকায় গোপালের বাবা প্রথমে বাগানে ফুলগাছ লাগাতে চাননি।

. আমগাছে কেন ঠেকো দিতে হয়েছিল ?

উত্তর। যুদ্ধের সময় বোমার হাত থেকে বাঁচার জন্য ট্রেঞ্চ খোঁড়া হয়েছিল আমগাছটির গোড়া পর্যন্ত। গোঁড়া আলগা হয়ে যাওয়ার ফলে গাছটি দুর্বল হয়ে পরেছিল ও পূর্ব দিকে  ঝুকে পড়ে। সেজন্যই আমগাছে ঠেকো দিতে হয়েছিল।

. গাছটিকে উইয়ে খেয়ে ফেলল কীভাবে?

উত্তর। পিপড়ে মারার জন্য গাছের গোড়ায় গোপাল ওষুধ প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু গাছের গোড়ায় পিপড়ে ছিল না , ছিল উইপোকা।পিঁপড়ে না থাকার  ফলে উইপোকা গাছটিকে খেয়ে ফেলেছিল।

. গল্প অনুসারে কটকের খবরের কাগজে আমগাছটিকে নিয়ে কী সংবাদ বেরিয়েছিল?

উত্তর। কটক শহরে প্রচারিত সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে অর্ধরাত্রে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির ফলে শহরের মধ্যে পুরী ঘাটে আমগাছ উপড়ে পড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আমগাছটির মত্যু সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

.একটু জমি খালি রাখা যাকপ্রস্তাবটি কে দিয়েছিলেন? কেন তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন?

উত্তর। রাজকিশোর পট্টনায়কের লেখা ‘ফাঁকি’ গল্প থেকে  আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন গোপালের বাবা।

 আটশো টাকা গুন্ঠ দরে জমি কিনে বাড়ি বানাবার সময় তিনি কিছু ফাঁকা জায়গা রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি খালি জায়গায় কিছু গাছপালা লাগাবার ইচ্ছা করেছিলেন।

. গোপাল মুখ তুলে সন্ধিগ্ধভাবে বাবার মুখের দিকে তাকাল”—তার এই সন্দেহের কারণ কী?

উত্তর। গোপালের বাবা জানিয়েছিলেন যে তিনি বিরিবাটির বাগানে ল্যাংড়া আমের কলম করা একটি গাছ লাগিয়েছিলেন। সেই গাছটি কেমন ধরনের কলম, তা ভালো ভাবে নতুন জায়গায় সতেজভাবে হবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে গোপাল তার বাবার মুখের দিকে তাকিয়েছিল।

. তুই করবি বাগান!”—বাবা কেন এমন মন্তব্য করেন?

উত্তর। বাগান করার জন্য তার পিছনে পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয়। গোপালের বাবা তার পুত্রের আলস্যের ব্যাপারে সব কিছু জানেন। তাই বাগান করার প্রস্তাবে বাবা কিছুটা বিস্মিত হন। সে কোনোদিন নিজের হাতে জল তুলে স্নান পর্যন্ত করেনি তাই সেই বেলে মাটি যুক্ত অঞ্চলে ফুল গাছ লাগিয়ে রোজ তার পরিচর্চা করে গোপাল বাগান তৈরী করবে এই প্রসঙ্গেই তার বাবা এমন মন্তব্য করেন।

. গাছটাকে আর দুহাত ভিতরে লাগালে কত ভালো হত।”—কোন্ গাছ? কেন বক্তার এমন মনে হয়েছে?

উত্তর। এখানে গোপালের বাবার লাগানো কলমের আমগাছের কথা বলা হয়েছে।

এখানে বক্তা গোপালের এমন মনে হবার অনেকগুলি কারণ আছে। গাছ যখন বড়ো হবে তখন তার ডালপালা বাড়ির পাঁচিল অতিক্রম করে বাইরে চলে যাবে। তখন বাইরের ডালে হওয়া আম পাড়ার ছেলেরা সব পেড়ে নেবে। ফলে বাইরের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া হবার সম্ভাবনা বাড়বে। তাই তার মনে হয়েছে গাছটিকে আর একটু ভিতরের দিকে লাগালে ভালো হত।

. আমগাছটি কীভাবে গোপালবাবুর বাড়ির নিশানা হয়ে উঠেছিল?

উত্তর। গোপালা বাবু যে অঞ্চলে থাকতেন সেখানে রুক্ষ পরিবেশের জন্য অধিক আমগাছ ছিল না। তাই এলাকার একক আমগাছটি গোপালবাবুর বাড়ির চেনার একটা নিশানা হয়ে উঠেছিল। যখন গোপালবাবুকে কেউ তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করত তখন তিনি তাদের বলতেন কাঠজোড়ি নদীর ধারে, পুরীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পশ্চিমে পাঁচিলের মধ্যে আমগাছ থাকা বাড়িটাই তার বাড়ি।

. গাছটি কীভাবে তাদের সাহায্য করেছিল বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর। গোপালবাবুর বাড়ির পাহারাদার রূপে আমগাছটি পরিচিত ছিল। যে তার সবুজ পাতার মাধ্যমে গ্রীষ্মের দাবদাহকে প্রতিরোধ করত। কাঠজোড়ি নদীর দিক থেকে ধেয়ে আসার বালির ঝাপটা যে তার দেহ দিয়ে প্রতিরোধ করত। গোপালের সমবয়সী বন্ধুরা সেই আমগাছতলায় বিশ্রাম নিত এবং গাছটির প্রশংসা করত। বিয়েবাড়ি, পুজো এবং অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় আমপাতা বা ডাল ছিড়ে নেওয়ার অত্যাচার সে চুপচাপ সহ্য করত।

. আমগাছটিকে ঘিরে বাড়ির সকলের অনুভূতির প্রকাশ গল্পে কীভাবে লক্ষ করা যায় ?

উত্তর। গোপালবাবুদের বাড়ির আমগাছটিকে বাড়ীর এক সন্তানের মতই বেড়ে উঠেছিল। কেউ পাতার জন্য এলে কচিপাতা ভাঙতে নিষেধ করতেন। সকলেরই ভাবনা কবে আমগাছে আম হবে। আমগাছে যখন মুকুল এল তখন সকলের চিন্তা যদি কুয়াশার জন্য সব মুকুল ঝরে যায়। পরবর্তীকালে যখন আম ফলল তখন সকলে রোজ গুণে দেখে কতগুলি আম হয়েছে। দুপুরবেলা পালা করে পাহারা দিয়ে সকলে ছেলেদের থেকে আমগুলিকে রক্ষা করে। এমনিভাবে আমগাছটি বাড়ির প্রতিটি মানুষের আপনজন হয়ে উঠেছিল এবং সকলেই আমগাছটির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখত।

. সেই দিন থেকে গাছ হেলে পড়েছে পুরদিকে”—কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে? গাছটি হেলে পড়ার কারণ কী?

উত্তর। আলোচ্য অংশে যুদ্ধের দিনের কথা বলা হয়েছে।

বোমার হাত থেকে বাচতে সরকার থেকে ট্রেঞ্চ কাটা হয় যা আমগাছটির গোড়া পর্যন্ত কাটা হয়েছিল। এঁর ফলে গাছের গোঁড়া আলগা হয়ে যাওয়ায় গাছটি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই গাছটি পূর্বদিকে হেলে পড়েছিল।

. ঠিক বন্ধুর মতই গাছ সব কথা লুকিয়ে রেখেছে।”—গাছটি কীভাবে  গোপালের বন্ধু হয়ে উঠেছিল?

উত্তর। আমগাছটি পাতা ফল ও ছায়া দিয়ে অনেক উপকার করত,তাই সামান্য যত্নের বদলে সে গোপালের বন্দধু হয়ে উঠেছিল।

সময়ের ব্যবধানে আমগাছটি রাস্তার উপর অনেকটা ঝুঁকে পড়েছিল। পথচলতি মানুষজন আমগাছটির ওই অবস্থায় অসুবিধায় পড়ত। তাদের মাথায় আমগাছের ডালপালা লাগত। বৃষ্টি হবার পর পাতার জলে মানুষজনের শরীর ভিজে যেত। তাই গোপালের মা বার বার মানা করা স্বত্বেও সে আমগাছের কটি ছোট ডাল কেটে ফেলে। গাছ কিন্তু এই কথা কারও কাছে প্রকাশ করেনি বরং বন্দধুর মতই সেই ডাল কাটার চিহ্ন সে তার পাতার আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল।

.১০ বিভিন্ন ঋতুতে আমগাছটির যে ছবি গল্পে ফুটে উঠেছে তা আলোচনা কর।

উত্তর। গ্রীষ্মকালে আমগাছটি গরম বাতাস এবং নদীর দিক থেকে আসা বালির ঝড়কে প্রতিরোধ করে। ক্লান্ত পথিকে ছায়া দিয়ে তাদের ক্লান্তি দূর করে। বর্ষার সময় গাছের পাতা বৃষ্টির জলে ভিজে যায় তখন বেনে বউ এসে গাছে বাসা বাধে। গাছের ফল সবুজ রঙ্গের আর কাটলে গেরি মাটির রঙ্গ দেখা যায়। বসন্ত কালে ঝড় থেকে সামলে উঠে গাছ মুকুলে ভরে ওঠে। পাখি আর কাঠ বিড়ালী তার ডালে ডালে খেলে আর বাসা বাধে।

.১১ গাছটি কীভাবে পরিবারের সকলকে ফাকি দিয়ে চলে গেল ?

উত্তর। আষাঢ় মাসের প্রবল ঝড় একদিন নিরীহ আমগাছটিকে শিকড় সহ উপড়ে দিল। গোড়ায় ট্রেঞ্চ খোড়ার ফলে গাছ দূর্বল হয়ে পূর্ব দিকে ঝুকে পড়েছিল। উইপোকার দল তার গোড়ার একটা দিককে খেয়ে পেলেছিল। ফলে নানা দিক থেকেই সে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।রাতের অন্ধকারে কারও ক্ষতিসাধন না করে আমগাছ অজস্র মানুষের স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে ফাকি দিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হল। বাড়ীর লোক তাদের একজন নির্বাক কিন্তু উপকারী সদস্যকে হারাল।

Click Here To Download The Pdf

পিঁপড়ে|ষষ্ঠ শ্রেণী। প্রশ্ন-উত্তর সমাধান। Pipre| Class 6| Question-Answer Solved

1

পিঁপড়ে

অমিয় চক্রবর্তী

 

. অমিয় চক্রবর্তী কোথায় অধ্যাপনা করতেন?
উত্তর। অমিয় চক্রবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যু পলজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন। 

. তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর। তার দুটি কবিতার বইয়ের নাম হল ‘পুষ্পিত ইমেজ’ ও ‘ঘরে ফেরার দিন।

. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
. কবির কী দেখে কেমন যেন চেনা লাগেমনে হয়েছে?
উত্তর। ক্ষুদ্র জীব পিঁপড়ের আনাগোনা দেখে কবির ‘কেমন যেন চেনা লাগে’ মনে হয়েছে।

. কেমন যেন চেনা লাগেকথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর। কবি মানুষের ব্যস্ত চলাফেরার সঙ্গে পিঁপড়ের গতিবিধির মিল খুঁজে পেয়েছেন , তাই কবির তাদের চলাফেরা চেনা চেনা লাগে।

. কবি কাউকে দুঃখ দিতে চাননি কেন?
উত্তর। পৃথিবীতে সব প্রানী ও উদ্ভিদের প্রয়োজন আছে।তাই কবি চান না কেউ অকারণে ক্ষতি গ্রস্ত হোক।কবির ইচ্ছা ছোটে পিঁপড়ে ধুলোর রেণু মেখে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখুক। তাই তিনি তাকে স্থানচ্যুত করে দুঃখ দিতে চাননি।

.কোন অতলে ডাকুককে কাকে এই ডাক দেয়

উত্তর। গাছের নীচে কোমল হাওয়া বইতে থাকে। সে ছোটো পিঁপড়কে এই ডাক দেয়।

. কবি আজ প্রাণের কোন পরিচয় পেয়েছেন?
উত্তর। পিঁপড়ে ক্রমাগত সচল, একমাত্র মৃত্যু তার ছন্দবদ্ধ জীবনে গতি আটকায়। তাই কবি বুঝতে পেরেছেন চলমানতাই জীবন আর থেমে থাকাই মৃত্যু। এই কবিতার কবি আমাদের প্রাণের চলমানতাকে বুঝিয়েছেন। 

.দু দিনের ঘরবলতে কী বোঝ

উত্তর। পৃথিবীতে সকল প্রানীর জীবন ক্ষণস্থায়ী। আমরা পৃথিবীতে এসে আমাদের জীবন কাটিয়ে আবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পরি। তাই কবি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বকে বোঝাতে ‘দু দিনের ঘর’ কথাটি ব্যবহার করেছেন।

. প্রার্থনা, নির্দেশ, অনুরোধ বোঝাতে বাংলায় ক্রিয়ার শেষে উকযোগ হয়। (যেমন এই কবিতায় থাক্‌উক = থাকুক) কবিতা থেকে এমন আরও পাঁচটি শব্দ খুঁজে বের করো।
উত্তর। ঘুরুক, দেখুক, রাখুক, মাখুক, ডাকুক।

. নীচের সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থপার্থক্য দেখিয়ে প্রত্যেকটি ব্যবহার করে পৃথক পৃথক বাক্যরচনা করো।
উত্তর। ভরে ভরতি করে—মা আমাকে বাটি ভরে পায়েস খেতে দিলেন।

ভোরেখুব সকালে—ভোরের বেলা হাঁটা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো।

ঘরে বাড়িতে- বৃষ্টির হাত থেকে বাচতে আমরা ঘরের ভেতর প্রবেশ করলাম।

ঘোরেভ্রমণ করে—সে দেশ-বিদেশে ঘোরে।

ছুঁয়েস্পর্শ করে—বড়োদের চরণ ছুঁয়ে আমরা প্রণাম করে আমরা আশীর্বাদ গ্রহণ করি। 

চুঁয়ে— ভেদ—মিষ্টির হাড়ির গা থেকে রস চুয়ে পড়ছে।

আনলনিয়ে এল— মা আমার জন্য পূজোর জামা কিনে আনল।

অনলঅগ্নি— যজ্ঞের অনলে ঘি আহুতি দেওয়া হচ্ছে।

মধুরমিষ্ট–বসন্ত কালের মধুর বাতাস মন আনচান করে দেয়।

মেদুরকোমল—  শীতের মেদুর রোদে পিঠে খেতে ভারী মজা।

. পাশের শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নীচের ছকটি পূরণ করো

শব্দঝুড়িমাটি, পিপীলিকা, যারা, ধুলা।
উত্তর। পিপীলিকা > পিঁপড়ে 

মৃত্তিকা > মাটি

ধুলো > ধূলা 

যাহারা > যারা

. কবিতা থেকে সর্বনামগুলি খুঁজে বের করে আলাদা আলাদা বাক্যে ব্যবহার করো।
উত্তর। সর্বনামগুলি হল-তার, ওকে, , কাউকে, ওই যারা।

তারতার কথা শুনে আমরা অবাক হয়ে গেলাম।

ওকেওকে প্রশ্ন করে কোনো উত্তর পাওয়া যাবে না। 

ওরআমি ওর সাথে দেখা করতে চাই। 

কাউকেএকথা কাউকে বলবে না। 

ওইআমি মাঠের ধারে ওই বাড়িতে থাকি।

যারাযারা পিকনিকে যেতে চাও তারা আমার কাছে নাম জমা দাও।

. নীচের স্তপ্তদুটি মেলাও
উত্তর। বি + স্মরণ = বিস্মরণ।

প্রতি +দিন=প্রতিদিন।

অ + চেনা অচেনা।

কু + কথা = কুকথা

সু + মধুর = সুমধুর।
. কবিতা থেকে সমাপিকা অসমাপিকা ক্রিয়াগুলি খুঁজে নীচের খোপে যথাস্থানে বসাও :

উত্তর।

সমাপিকা ক্রিয়া অসমাপিকা ক্রিয়া
ঘুরুক, দেখুক, থাকুক, রাখুক, মাখুক,ডাকুক, ঘিরেছে,লাগে, আনল,আছি। চলায়, ছুঁয়ে, ভরে, করে, দিতে

নিতে চলে। 

. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখ :

উত্তর। মাটির বুকে সবাই এই দুদিনের ঘরে আছি। তার স্মরণে সবাইকে আজ আদর ঘিরেছে।

১০ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১০. পিঁপড়ের ভাষাহীন চলাচলের মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি কেমন

উত্তর। পিঁপড়ে ভাষাহীনভাবে চলাফেরা করে। সেই চলাফেরার মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি  অনেকটা মানুষের ব্যস্ত চলাফেরার মধ্যে পড়ে।

১০.মাটির বুকে যারাই আছি এই দুদিনের ঘরে“—’এই দুদিনের ঘরেবলতে কী বোঝ? কে সবাইকে কীভাবে এই দুদিনের ঘরে আদরে ঘিরে রাখে?

উত্তর। পৃথিবীতে সব প্রাণীকেই জন্মগ্রহণ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের পর এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। এই দুদিনের ঘর’ কথার মাধ্যমে কবি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বকে বুঝিয়েছেন। আমাদের এই দুদিনের ঘরে’ পিঁপড়ে সকলকে ভালোবাসার বাঁধনে আদর করে ঘিরে রাখে।

১০.. এই কবিতায় কবির কীরূপ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা বুঝিয়ে দাও। 

উত্তর। এই পৃথিবীতে আমরা বিশ্বপিতার অংশবিশেষ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। যে জীব যত ছোটোই হোক না কেন এই পৃথিবীতে সকলের সমান অধিকার আছে। সকলে মিলে পারস্পরিক ভালোবাসার বাঁধনে আনন্দের মাধ্যমে বেঁচে থাকাই কান্য। তাই কবিতার মূল সুরই হল সকলকে আপন করে নিয়ে সুখে ও শান্তিতে দিন অতিবাহিত করা।

১০. বিভিন্ন রকমের পিঁপড়ে এবং তাদের বাসস্থান, খাদ্যাভ্যাস জীবনপ্রণালী সম্বন্ধে তোমার পর্যবেক্ষণগুলি একটি খাতায় লেখো। প্রয়োজনে ছবিও আঁকতে পারো।

উত্তর। পিঁপড়ে আমাদের পরিচিত প্রাণী। সাধারণত আমরা তিনধরনের পিঁপড়ে দেখতে পাই আমাদের চারপাশে।

  বাসস্থান খাদ্যাভ্যাস জীবনযাত্রা
১. কালো পিঁপড়ে মাটির নীচে,গাছের কোটরে,দেয়ালের ফাটলে গৃহস্থের বাড়ির খাবারদাবার, চিনি মিষ্টি। বিষাক্ত নয়, কম কামড়ায়, দলবেঁধে থাকে, নিজেদের কাজেই ব্যস্ত থাকে। ক্ষতি করে না সঞ্চয়ী।
২. লাল পিঁপড়ে মাটি মিষ্টি জাতীয় যে-কোনো দ্রব্য খায়। ১বিষাক্ত, কামড় দিলে জ্বালা করে। দলবেঁধে খাদ্য সংগ্রহ করে। গন্ধের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখে।
৩. ডেঙো পিঁপড়ে মাটির নীচে গর্ত মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য এবং মানুষের যে-কোনো খাদ্য মৃত জীবজন্তু। একত্রে থাকে, শিকার ধরে। আকারে বড়ো এবং কালো রঙের খাদ্য জোগাড় করে গর্তে জমা করে।

১০. একটি লাল পিঁপড়ে একটি কালো পিঁপড়ের মধ্যে কাল্পনিক একটি কথোপকথন রচনা করো।

উত্তর। নিজে করো ।

Click Here To Download  The PDF

মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র |ষষ্ঠ শ্রেণী |প্রশ্ন-উত্তর সমাধান|Matir Ghorer Deyalchitro| Class 6| Question-Answer solved

0

মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র

তপন কর 

. লেখক তপন করের লেখা একটি বই এর নাম লেখ।

উত্তর। চিত্রশিল্পী তপন করের লেখা একটি বই এর নাম ছবি আঁকতে শেখা।

. পাঠ্যরচনাংশটি কোন্ বিষয়ে লেখা ?

উত্তর। আমাদের পাঠ্যরচনাটির বিষয়বস্তু হল মাটির ঘরের দেয়ালে ছবি আঁকা।

২. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখ :

২.১ দেয়ালচিত্র এঁকে থাকেন সাধারণত গ্রামের (পুরুষেরা/মেয়েরা/বালকেরা)।

২.২ মূলত (বৃত্তাকার/সরলরৈখিক/জ্যামিতিক) আকার আশ্রিত বর্ণসমা বেশেই রচিত হয় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রণ।

২.৩ সাধারণত মাটি থেকে (ছফুট/চারফুট/আটফুট) পর্যন্ত উচ্চতায় চিত্ৰণটি বিস্তৃত হয়।

২.৪ (শালুকটিকে/পদ্মটিকে/ গোলাপটিকে) মানভূম দেয়ালচিত্রের প্রতীক বলা হয়।

. পাঠ থেকে একই অর্থের শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো : ছবি, জোগাড়, পঙ্কজ, পুষ্প, মাটি।

উত্তর। ছবি—চিত্র, জোগাড়—সংগ্রহ, পঙ্কজ—শতদল/পদ্ম, পুষ্পফুল, মাটি—মৃত্তিকা।

৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করাে :

ভৌগোলিক, নির্বাচন, অঞল, রচনা, অলংকার, জ্যামিতি।

বিশেষ্য   বিশেষণ      
ভূগোল ভৌগোলিক
রচনা রচিত
নির্বাচন নির্বাচিত
অলংকার অলংকৃত
অঞ্চল আঞ্চলিক
জ্যামিতি জ্যামিতিক

 

. তোমাদের এই পাঠ্যাংশ থেকে দুটি জটিল বাক্য লেখো যারা যুক্ত আছে যেমনতেমন, দিয়ে। ছাড়া, যদিতবে, যখনতখন, যেসে, যেখানেসেখানে, যেদিনসেদিন ইত্যাদি ব্যবহার করে একটি করে জটিল বাক্য লেখো।

উত্তর। যেমনতেমন(১) সেই চিত্রণের বিষয়বস্তু যেমন নিজেরা নির্বাচন করেন, তেমনি তার উপাদানও নিজেরাই সংগ্রহ করেন।

(২) এতে যেমন দেখা যায় চওড়া রঙিন ফিতের মতো সমান্তরাল রেখা তেমনি থাকে চতুষ্কোণ ও ত্রিভুজের ছড়াছড়ি।

  • *যদিতবেযদি তুমি আমার বাড়ি আসো তবে যাব।
  • *যখনতখনবিনা অনুমতিতে যখন-তখন অফিস ঘরে প্রবেশ করা অনুচিত।
  • *যেসেআনন্দবাবু যে সে তো নন, তিনি গ্রামের প্রধান।
  • *যেখানেসেখানেযেখানে সেখানে ময়লা ফেললে রোগ ছড়ায়।
  • *যেদিনসেদিনযেদিন আমার হাসপাতাল থেকে ছুটি হল, সেদিন আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

৬, নীচের বাক্যগুলি জুড়ে একটি বাক্যে পরিণত করে :

, এই মাটির রং ঈষৎ হরিদ্রাভ। এই মাটির রং ঈষৎ সাদাটে।

উত্তর। এই মাটির রং ঈষৎ হরিদ্রাভ এবং ঈযৎ সাদাটে।

. দূর থেকে দৃশ্য হিসাবে মানানসই হওয়া চাই। এইভাবেই দেয়ালগুলি নির্বাচন করা হয়।

উত্তর। দেয়ালগুলি নির্বাচন করার সময় দূর থেকে দৃশ্য হিসাবে মানানসই হবার বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়।

. ঘরের চতুষ্পর্শ ঘিরে থাকে একটি বেদি। তার রং কালো।

উত্তর। ঘরের চতুষ্পর্শ ঘিরে থাকা বেদিটি কালো রং এর হয়।

. বাংলার কৃষিজীবী সমাজের কিছু প্রাচীন উৎসব আছে। এগুলি হল গোবন্দনা, কড়াখুঁটা, গোরুখুটা প্রভৃতি।

উত্তর। বাংলার কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসবগুলির মধ্যে গোবন্দনা, কঁড়াখুঁটা, গোরুখুটা ইত্যাদি অন্যতম।

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

. তোমার জানা কোন্ অঞ্চলের লোকসমাজে দেয়ালে ছবি আঁকার চল আছে?

উত্তর। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর জেলায় এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে লোকসমাজের দেয়ালে ছবি আঁকার চল আছে।

. মানভূম জেলা সংলগ্ন আর কোন্ কোন্ জেলায় দেয়াল চিত্রণ হয়ে থাকে?

উত্তর। মানভূম জেলা সংলগ্ন বর্ধমান জেলার পশ্চিমাংশে, বীরভূম জেলায় এবং বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরের কিছু অঞ্চলে দেয়াল চিত্রণের চল আছে।

. মানভূম জেলায় কোন্ কোন্ আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস?

উত্তর। মানভূম জেলায় মূলত সাঁওতাল, হো, ভূমিজ, মুন্ডা, ওঁরাও, খেড়িয়ৎ শবর, কোল ইত্যাদি আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস আছে।

. মাটির দেয়াল চিত্রগুলি সাধারণত কোন্ কোন্ উৎসবে আঁকা হয় ?

উত্তর। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা, কালীপূজা এবং দীপাবলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মাটির বাড়ির দেয়ালে চিত্রগুলি আঁকা হয়।

. দেয়াল চিত্র করার জন্য কী কী উপাদান ব্যবহৃত হয়?

উত্তর। দেয়াল চিত্রে রং ফুটিয়ে তোলার জন্য লালচে গেরুয়া মাটি এবং গিরিফল ব্যবহৃত হয়।

. কোন্ তিথিতে কৃষিজীবীরা কীভাবে তাদের গৃহসজ্জা করে তা লেখো।

উত্তর। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে বা কালীপূজার সময় কৃষিজীবীরা তাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তোলে। তারা তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করে লেপাপোছা করে। পরিষ্কার গৃহাঙ্গনে দরজা, উঠান, গোহাল, ধানের গোলা এবং মূল বাসগৃহকে বিচিত্র বর্ণের আল্পনার মাধ্যমে সাজিয়ে তোলে সুন্দর করে।

. কোন্ কোন্ জাতির দেয়াল চিত্রের সাধারণ লক্ষণ পদ্ম ?

উত্তর। ভূমিজ, কুর্মি বা অন্যান্য জাতির আদিবাসীরা দেয়াল চিত্রের সাধারণ লক্ষণ হিসাবে পদ্মকে ব্যবহার করে।

. দুধেমাটির ওপর কীভাবে চিত্রণ করা হয় ?

উত্তর। সাদা বেলেমাটিকে আমরা দুধেমাটি বলে থাকি। অত্যন্ত মসৃণভাবে লেপাপোছা করা দেয়ালে বেলেমাটির ভিজে প্রলেপ লাগানো হয়। তার উপর হাতের আঙুলের ডগা ব্যবহার করে দাগ টেনে চিত্রণ করা হয়ে থাকে।

. মোরগঝুঁটির চালচিত্রে আর কী কী নকশা থাকে?

উত্তর। মোরগঝুঁটির চালচিত্রকে মাঝখানে রেখে তার ধারে ধারে সার দিয়ে সূর্য, পদ্ম, ইস্কাবন, হরতন, সাধারণ লতাপাতা, পাখি, ময়ূর, ইত্যাদির নকশা আঁকা হয়, চালচিত্রটিকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য।

Click here  To Download The Pdf

হাট| ষষ্ঠ শ্রেণী| প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Hat|Class 6| Question-Answer Solved

0

হাট

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত

 

. কোন্ সাহিত্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল?

 উত্তর। কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত কল্লোল সাহিত্যগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

. তার রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো। 

উত্তর। ‘মরুমায়া’ এবং ‘মরুশিখা’ তার লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম।

. নীচের বাক্যগুলি থেকে এমন শব্দ খুঁজে বের করো যার প্রতিশব্দ কবিতার মধ্যে আছে। কবিতার সেই শব্দটি পাশে লেখো।
উত্তর।

. আঁধারসাঁঝে বনের মাঝে উল্লাসে প্রাণ ঢেলেছে। = সাঁজে—সন্ধ্যায়। 

. আলো আমার আলো, ওগো আলো ভুবন ভরা। = আলো-আলোক বর্ণ। 

. তুমি আমার সকালবেলার সুর। =সকালবেলা—প্রভাতবেলা।

. আমার ব্রাত পোহালো শারদপ্রাতে। =রাত–নিশা।

. দিনের বেলা বাঁশি তোমার বাজিয়েছিলে। = দিনের বেলা—দিবসেতে।

. সমোচ্চারিত বা প্রায়সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলোর অর্থ পার্থক্য দেখাও

দীপ, দ্বীপ, বাধা, বাঁধা, দর, দড়, নিত্য, নৃত্য, শাখ, শাঁখ।

উত্তর।

দীপপ্রদীপ

দ্বীপচারিদিকে জলবেষ্টিত ভূখণ্ড

বাধাবিপত্তি

বাঁধাবন্দি করা

দরদাম

দড়দক্ষ

নিত্যরোজ

নৃত্যনাচ

শাখডাল/শাখা
শাঁখশঙ্খ

. নীচের শব্দগুলি গদ্যে ব্যবহার করলে কেমন হবে লেখো

সহিয়া, সেথা, সহি, সবে, তবে, মুদিল।
উত্তর।

শব্দ গদ্যরূপ
সহিয়া সহন করে/ সহ্য করে
সেথা সেখানে
সহি সহ্য করি
সবে সবাই/সকলে
তবে তাহলে
মুদিল বুজল/ বন্ধ করল

. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :

. কতকগুলি গ্রামের পরে সাধারণত একটি হাট চোখে পড়ে?
উত্তর। সাধারণত দশ-বারোটা গ্রামের পর একটা হাট চোখে পড়ে।

. হাটে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে না কেন

উত্তর। দশ-বারোটা গ্রামের ফাঁকা মাঠের মাঝখানে হাট বসে। দিনের শেষে সন্ধ্যায় সকলে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যায়। তাই হাট নির্জনে একা পড়ে থাকে, সেখানে প্রদীপ জ্বলে না।

. কার ডাকে রাত্রি নেমে আসে?
উত্তর। হাটের মধ্যে একা কাকের ডাকে রাত নেমে আসে।

. ওপারের লোক কেন এপারেতে আসে?
উত্তর। বিক্রেতারা তাদের পণ্যসামগ্রী নিয়ে এপারে পসরা নামায়। সেই সামগ্রী কেনার জন্য ওপারের লোক এপারে আসে।

.হিসাব নাহিরেএল আর গেল কত ক্রেতা বিক্রেতা‘—কোনো হিসাব নেই কেন?

উত্তর। দিনেরবেলা হাট চলাকালীন অসংখ্য মানুষ তাদের জিনিসপত্র নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে, আর তাদের কাছ থেকে কেনার জন্য গ্রামের নানা মানুষেরা এসে জড় হয়। সেখানে মানুষের আনাগোনার হিসাব রাখার মতো লোক কেউ থাকে না। সেজন্যই কবি বলেছেন হাটে মানুষের আনাগোনার কোনো হিসাব নেই। 

. কবিতায় বর্ণিত হাটের চেহারাটি কেমন লেখো :

উত্তর। কবিতাতে আমরা হাটের তিনটি রূপ দেখতে পেয়েছি। হাট বসার আগে তা থাকে  জনশূন্য এবং ফাঁকা।তার মাথার উপরে থাকে উদার আকাশ এবং মুক্ত বাতাস সেখানে খেলা চলে।তবে বেলা বাড়তেই হাটে চেনা-অচেনা মানুষের ভিড় জমে ওঠে। নানা মানুষের কোলাহল, মাল কেনা ও দর কষাকষি করা, কেনাবেচার বাক্যালাপ, মাল পরখ করা ইত্যাদির আওয়াজে হাট গমগম ঠাকে।সন্ধ্যা নামার সময় হাট থেকে সবাই যে যার বাড়ি চলে যায়। একা হাট অন্ধকারে পড়ে থাকে। দোচালা বন্ধ হয়ে যায়। হাট অন্ধকারে ঢেকে যায়, সেখানে নির্জনতা বিরাজ করে। 

. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

. হাটের স্থান ছাড়িয়ে দূরের গ্রামের ছবি কীভাবে কবিতায় ফুটে উঠেছে?
উত্তর। ‘হাট’ কবিতায় কবি একটি হাটের সুন্দর বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। দশ-বারোখানি গ্রামের মাঝখানে একটি হাট দেখা যায়। গ্রামের লোকজন হাটের দিনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাবেচা করে এবং যে যার ঘরে ফিরে যায়। গ্রামের প্রতিটি গৃহকোণে সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপ জ্বলে ওঠে। গ্রামের লোকজন নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত থাকলেও হাট নির্জনে একা পড়ে থাকে চেনা-অচেনা মানুষের আগমনের প্রতীক্ষায়।

. প্রকৃতির ছবি কীরুপ অসীম মমতায় কবিতায় আঁকা হয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তর। কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত তার ‘হাট’ কবিতায় এক অন্যরকম প্রকৃতির বর্ণনা করেছেন যা আমাদের মুগ্ধ করে। সন্ধ্যার অন্ধকারে হাট যখন নির্জন হয়ে আসে তখন বকের পাখার আড়ালে সুর্য লুকিয়ে পড়ে। দূরের গ্রাম গুলিতে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে হাটের অন্ধকার আরও নিবিড় হয়ে ওঠে। একা কাক তার কালো ডানায় করে বয়ে আনে রাতের কালিমা। নদীর শীতল বাতাসে পাশের পাকুড় গাছের শাখা দুলে ওঠে।

.বাজে বায়ু আমি বিদ্রূপ বাঁশি‘—কবির এমন মনে হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?

 উত্তর। দিনের শেষে সন্ধ্যায় হাট ভেঙে যায়। সবাই যে যার মতো নিজ নিজ গৃহে ফিরে যায়। হাট নির্জনে একাই থাকে। রাতের অন্ধকারে হাটের দোচালা একলা পড়ে রয়। সেই দোচালার জীর্ণ বাঁশের মধ্যে দিয়ে বায়ু বয়ে যাবার সময় যেন কোন করুণ বাঁশির ধ্বনি বেজে ওঠে। গমগমে হাটের একাকীত্বকেই যেন ব্যঙ্গ করে ওঠে সেই বাঁশির সুর। সেই বাঁশি কাউকেই আর আহ্বান করে না।

. উদার আকাশে মুক্ত বাতাসে চিরকাল একই খেলাকোন প্রসঙ্গে কবি আলোচ্য পঙ্ক্তিটি লিখেছেন? তিনি এখানে কোন্খেলা কথা বলেছেন? ‘চিরকালচলে বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর। হাট কবিতায় কবি এই পৃথিবীকে একটি নাট্যমঞ্চ বলে কল্পনা করেছেন। হাটে অনেক মানুষের আনাগোনা, সবাই নিজের দরকার মেটাতে ভিড় জমায়। কারো ইচ্ছা পূরণ হয়, কেউ আবার ব্যর্থ হয়। কিন্তু চিরদিন এই একই ঘটনার পূনরাবৃত হয়। এভাবেই পৃথিবীতে আমরা জন্মাই আবার মৃত্যুবরণ করি। কবি এখানে খেলা বলতে মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন, মানুষের জন্মকে আসা এবং মৃত্যুকে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করে একথা বলা হয়েছে।
          চিরকাল চলার অর্থ হল জীবনের গতিময়তা যা নিরবচ্ছিন্নভাবে সর্বদা চলতে থাকে। পৃথিবী যখন সৃষ্টি হয় তখন থেকেই মানুষের জন্ম এবং মৃত্যু ঘটে চলেছে। এটি একটা চলমান ধারা যা সনাতন, বিরামহীন। কবি এই জন্মমৃত্যুর নিরবচ্ছিন্ন প্রবহমানতাকে চিরকাল চলার কথা বলেছেন।

Click Here To Download  The Pdf

The Magic Fishbone|Class 6| Activity and Translation

0

The Magic Fishbone

Translation:

There was once a king, and he had a Queen. They had several children. Alicia was the eldest, who looked after the other children. The King was, in his private profession, under the government. The Queen’s father had been a medical man out of town.

একদা একজন রাজা ছিলেন, তার একটি রাণী ছিল। তাদের কয়েকজন সন্তান ছিল। অ্যালিসিয়া ছিল সবচেয়ে বড়, সে অন্য শিশুদের দেখাশোনা করত। রাজা তার ব্যক্তিগত পেশায় সরকারের অধীনে ছিলেন। রানীর বাবা শহরের বাইরে একজন ডাক্তার ছিলেন।

One day, the king was going to the office when he stopped at the fishmonger’s shop. He needed to buy a pound and a half of salmon which the Queen had requested him to send home.

একদিন রাজা অফিসে যাওয়ার সময় মাছের দোকানে এসে থামলেন। তার দেড় পাউন্ড স্যামন কেনার দরকার ছিল যা রানী তাকে বাড়িতে পাঠানোর অনুরোধ করেছিলেন।

He had not proceeded far after finishing his shopping, when the fishmonger’s errand-boy came running after him.

সে তার কেনাকাটা শেষ করে বেশিদূর এগোতে পারেনি, যখন মাছ ব্যবসায়ীর কাজের ছেলেটি তার পিছু ছুটে এল।

He said, “Sir, you didn’t notice the old lady in our shop. “What old lady?” enquired the King. “I saw none.” Now, the King had not seen any old lady because she had been invisible to him, though visible to the fishmonger’s boy.

সে বলল, “স্যার, আপনি আমাদের দোকানে বৃদ্ধা মহিলাটিকে লক্ষ্য করেননি৷ “কোন বৃদ্ধা মহিলা?” রাজা জিজ্ঞাসা করলেন৷ “আমি কাউকে দেখিনি।” এখন, রাজা কোনো বৃদ্ধা মহিলাকে দেখেননি কারণ তিনি অদৃশ্য ছিলেন। যদিও মাছ ধরার ছেলের কাছে দৃশ্যমান।

Second Part Of The Magic Fish Bone Story

Just then, the old lady came trotting up! She was dressed in shot-silk of the richest quality.

ঠিক তখনই বৃদ্ধা ছুটে এলো! তিনি সবচেয়ে ধনী মানের শট-সিল্কের পোশাক পরেছিলেন।

“King Watkins the first, I believe?” “Watkins,” replied the King, “is my name.”

“আমার বিশ্বাস আপনি কিং ওয়াটকিনস প্রথম,?” “ওয়াটকিন্স,” রাজা উত্তর দিলেন, “আমার নাম।”

“Papa of the beautiful princess Alicia?” The old lady asked.

“সুন্দর রাজকুমারী অ্যালিসিয়ার বাবা?” বুড়ি জিজ্ঞেস করল।

“Yes,” King Watkins replied.

“হ্যাঁ,” রাজা ওয়াটকিন্স উত্তর দিলেন।

“You are going to the office?” said the old lady.

“আপনি অফিসে যাচ্ছেন?” বুড়ি বলল।

It instantly flashed upon the king that she must be a Fairy, or how could she know that?

রাজার তখনই মনে হল যে সে নিশ্চয়ই পরী, না হলে সে জানবে কিভাবে?

“You are right,” said the old lady, answering his thoughts, “I am the Good Fairy Grandmarina. Listen. When you return home to dinner, invite the princess Alicia to have some of the salmon you bought just now. When the beautiful princess finishes eating, you will find she will leave a fish-bone on her plate. Tell her to dry it, and to rub it, and to polish it till it shines like mother-of-pearl. Ask her to take care of it as a present from me.”

“তুমি ঠিকই বলেছ,” বুড়ি তার চিন্তার উত্তর দিয়ে বললো, “আমি একজন পরী গ্র্যান্ডমারিনা। শোনো। আপনি যখন রাত্রির খাবার খেতে বাড়ি ফিরবেন, তখন রাজকুমারী অ্যালিসিয়াকে আমন্ত্রণ জানান আপনার কেনা কিছু স্যামন খেতে। যখন সুন্দরী রাজকুমারী খাওয়া শেষ করবে, দেখবেন সে তার থালায় মাছের হাড় রেখে যাবে। তাকে সেটা শুকাতে বলুন, ঘষতে বলুন এবং পালিশ করতে বলুন যতক্ষণ না এটি মুক্তার মতো উজ্জ্বল হয়। তাকে এটির যত্ন নিতে বলুন আমার কাছ থেকে উপহার হিসাবে।”

“Is that all?” Asked the King.

“এটাই কি সব?” রাজা জিজ্ঞেস করলেন।

“Tell the princess Alicia, with my love, that the fish-bone is a magic present which can be used only once. It will bring her, only once, what she wishes for-provided she wishes for it at the right time. That is the message. Take care of it.”

“রাজকুমারী অ্যালিসিয়াকে, আমার ভালবাসার সাথে বলুন, মাছের হাড় একটি জাদু উপহার যা শুধুমাত্র একবার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একবারি তার ইচ্ছা পূরণ করবে – যদি সে সঠিক সময়ে এটি চায়। এটাই হল নির্দেশ। এটার যত্ন নিন।”

With those words, Grandmarina vanished. The King went on and on, till he came to his office. There he wrote and wrote and wrote, till it was time to go home again. Then he invited the princess Alicia, as the fairy had directed him, to take the salmon.

এই কথাগুলি বলে, গ্র্যান্ডমারিনা অদৃশ্য হয়ে গেল। রাজা চলতে থাকে, যতক্ষণ না তিনি তার অফিসে আসেন। সেখানে তিনি লিখেছেন এবং লিখেছেন এবং লিখেছেন, যতক্ষণ না আবার বাড়ি যাওয়ার সময় হয়েছিল। তারপরে তিনি রাজকুমারী অ্যালিসিয়াকে আমন্ত্রণ জানান, যেমন পরী তাকে নির্দেশ দিয়েছিল, সালমন নিতে।

And when she had enjoyed it very much, he saw the fish-bone on her plate and delivered the Fairy’s message. Princess Alicia took care to dry the bone, and to rub it, and to polish it till it shone like mother-of-pearl.

এবং যখন সে খুব উপভোগ করেছিল, তখন সে তার প্লেটে মাছের হাড় দেখল এবং পরীর নির্দেশ তাকে বললেন। প্রিন্সেস অ্যালিসিয়া যত্ন সহকারে হাড়টি শুকাল,ঘষল এবং পালিশ করল।

Third Part Of The Magic Fish Bone Story

Days went by. One morning, the King came into Alicia’s room. He was sighing heavily, and seemed low spirited. He sat down miserably, leaning his head upon his hand, and his elbow upon the kitchen table.

দিন যেতে লাগলো। একদিন সকালে রাজা এলিসিয়ার ঘরে এলেন। তিনি প্রচণ্ড দীর্ঘশ্বাস ফেলেলেন, এবং  মনে হল তিনি বেশ নীর্জিব। তিনি হতভম্ব হয়ে বসলেন, হাতের উপর মাথা রেখে রান্নাঘরের টেবিলে কনুই রাখলেন।

Alicia asked, “What is the matter, Papa?” “I am extremely poor, my child,” the King replied.

অ্যালিসিয়া জিজ্ঞেস করল, “কি ব্যাপার বাবা?” “আমি অত্যন্ত দরিদ্র, আমার সন্তান,” রাজা উত্তর দিলেন।

“Have you no money at all, Papa?” Alicia enquired.”

“তোমার কাছে টাকা নেই বাবা?” অ্যালিসিয়া জিজ্ঞাসা করল।”

“None, my child.”

“না, আমার সন্তান।”

“Is there no way left of getting any, Papa?”

“এর থেকে বাঁচার কি কোনো উপায় নেই, বাবা?”

“No way,” said the King.

“কোন উপায় নেই,” রাজা বললেন।

“I have tried very hard, and I have tried all ways.”

“আমি খুব চেষ্টা করেছি, এবং আমি সব রকম চেষ্টা করেছি।”

When she heard those last words, the princess Alicia began to put her hand into the pocket where she kept the magic fish-bone.

সেই শেষ কথাগুলো শুনে রাজকুমারী অ্যালিসিয়া সেই জাদু মাছের হাড়টা যেখানে রেখেছিলেন সেই পকেটে হাত দিতে লাগলেন।

“Papa,” said she, “when we have tried very hard, and tried all ways, we must have done our very best?”

“বাবা,” সে বলল, “যখন আমরা খুব চেষ্টা করেছি, এবং সব রকম চেষ্টা করেছি, আমরা অবশ্যই আমাদের সেরাটা দিয়েছি?”

“No doubt, Alicia.”

“কোন সন্দেহ নেই, অ্যালিসিয়া।”

“When we have done our very best, Papa, and that is not enough, then I think the right time must have come for asking help of others.” This was indeed the very secret connected with the magic fish-bone.

“যখন আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, বাবা, এবং এটি যথেষ্ট নয়, তখন আমি মনে করি অন্যদের সাহায্য চাওয়ার সঠিক সময় অবশ্যই এসেছে।” এটি সেই যাদু হাড় ব্যবহার করার গোপন নিয়ম ছিল।

So she took out from her pocket the magic fish-bone that had been dried and rubbed and polished till it shone like mother-of-pearl. She gave it a little kiss and wished it was salary day.

তাই সে তার পকেট থেকে জাদু মাছের হাড়টি বের করল যা শুকনো এবং ঘষে এবং পালিশ করা হয়েছিল যতক্ষণ না তা মুক্তার মতো জ্বলে উঠল। তিনি এটি একটি সামান্য চুম্বন দিয়ে এবং মনে মনে চাইল এটা যেন বেতনের দিন হয়।

And immediately the King’s salary came rattling down the chimney, and bounced into the middle of the floor. Immediately afterwards, the good fairy Grandmarina came riding in, in a carriage drawn by four peacocks, dressed in silver and gold.

এবং সঙ্গে সঙ্গে রাজার বেতন চিমনি থেকে ঝরে এসে মেঝের মাঝখানে চলে এল।এর পরপরই, ভাল পরী গ্র্যান্ডমারিনা রুপো এবং সোনার পোশাক পরা চারটি ময়ূরের টানা একটি গাড়িতে চড়ে এলেন।

“Alicia, my dear,” said the charming old fairy, “How do you do?’ The princess Alicia embraced her. Grandmarina turned to the King then. “I suppose you know the reason now why Alicia did not use the fish-bone sooner?”

“আলিসিয়া, আমার প্রিয়,” আকর্ষণীয় বৃদ্ধ পরী বলল, “তুমি কেমন আছ?’ রাজকুমারী অ্যালিসিয়া তাকে জড়িয়ে ধরল। গ্র্যান্ডমারিনা তখন রাজার দিকে ফিরে গেল। “আমি মনে করি আপনি এখন কারণটা জানেন কেন অ্যালিসিয়া জলদি মাছের হাড় ব্যবহার করেননি?”

“It only remains,” said Grandmarina in conclusion, “to make an end to the fish-bone.” So she took it from the hand of the princess Alicia, and it was instantly grabbed by the little snapping pug-dog next door!

গ্র্যান্ডমারিনা শেষে বলল, “এটি কেবল অবশিষ্ট থাকে, “মাছের হাড়ের গতি করতে হবে।” তাই তিনি রাজকুমারী অ্যালিসিয়ার হাত থেকে এটি নিয়ে নিলেন, এবং পাশের বাড়ির ছোট কুকুরটি তৎক্ষণাৎ এটিকে ধরে ফেলল!

Activity 1

Tick the correct answer:

(a) Alicia looked after

(i) the fishmonger

(ii) her brothers and sisters 

(iii) the old lady

(b) The queen’s father had been a

(i) medical man 

(ii) postman

(iii) tailor

(c) The king wanted to buy salmon weighing

(i) a pound

(ii) a pound and a half 

(iii) two pounds

(d) The old lady had been visible to

(i) the queen’s father

(ii) the king

(iii) the fishmonger’s boy 

Activity 2

Rearrange the following sentences in the correct order and put the numbers in the given boxes:

(1) The old lady had been invisible to the king. 6

(2) He bought salmon. 2

(3) The errand boy came running after him. 4

(4) The king stopped at the fishmonger’s shop. 1

(5) The errand boy asked if the king had seen the old lady. 5

(6) He left the shop. 3

Activity 3

Answer the following question:

“ The king was, in his private profession, under the government. “  is this king similar to the stories of the other kings that you have read so far?

Answer: No, this king is not similar to the stories of other kings that I have read so far.

Activity 4

Complete the following sentences with information from the text:

(a) The old dressed in the shot – silk of the richest quality.

(b) King Watkins was the father of the beautiful princess Alica.

(c) The fish bone was the magic present for the beautiful princess Alicia.

(d) Princess Alicia took care to dry the bone, to rub it, and to polish it.

Activity 5

Answer the following question in complete sentences :

(a) Why did the King think that the lady was a fairly?

Answer: The old lady called the king by his name and also asked if he was the father of princess Alicia, though she was unknown to the king. So the king thought that she might be a fairy.

(b) What was the message given by Grandmarina?

Answer: The message given by Grandmarina was that the king must invite princess Alica to eat salmon who would leave a fishbone on her plate.That fish bone can fulfill one wish of princess Alicia.

(c) When did Grandmarnia vanish ?

Answer: After telling her message that the fish-bone is a magic present that can be used only once,the grand marina vanished.

(d) What did the king do in his office?

Answer: In his office, the king wrote and wrote till it was time to go home again.

Activity 6

Write ‘T’ for true statements and ‘F’ for false statements in the given boxes. Give supporting statements for each of your answers:

(a) One morning Alicia found the king to be very happy.

Answer: False

Supporting Statement: He was sighing heavily and seemed low-spirited.

(b) Alicia had kept the magic fishbone in the drawer of her room.

Answer: False

Supporting Statement: Alicia began to put her hand into the pocket where she kept the magic fish-bone.

(c) The king’s problem was solved by the magic fish bone.

Answer: True

Supporting Statement: The King’s salary came rattling down the chimney and bounced into the middle of the floor.

(d) In the end Alicia handed over the fishbone to the old fairy.

Answer: True

Supporting Statement: So she took it from the hand of princess Alicia.

Activity 7

Answer the following question in complete sentences:

(a) Why was the king feeling miserable?

Answer: The King was feeling miserable because he became extremely poor and had no money at all.

 (b) What was to Alica the right moment for asking help from others ?

Answer: To Alica, the right moment for asking for help from others was when they had tried all means but failed.

 (c) Why did Grandmarina wish to make an of the fish bone?

Answer: Grandmarina wished to make an end of the fish-bone because the fishbone had been used to fulfill a wish.

Activity 10 (a)

Read the following passage and fill in the chart with information from the passage.

(1) Name of the fish Salmon
(2) Place where it is found Coast
(3) It migrates to Ocean
(4) Where it lays eggs Fresh water
(5) Time spent in fresh water Six months to three year
(6) Distance travelled by a salmon Hundreds of miles

Click Here  To Download  The Pdf

error: Content is protected !!