Tuesday, June 17, 2025
Home Blog Page 28

Model Activity 2021 New| Class 8| Bengali (Part- 4)|মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই অষ্টম শ্রেণী বাংলা(Part-4)

0

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই

অষ্টম শ্রেণী

বাংলা(Part-4)

১ ঠিক উত্তরটি বেঁছে নিয়ে লেখো

১.১ ————- বিষয়ে পৃথিবীতে কোন জাতিই আরবদিগের তুল্য নহে।‘

ক)যুদ্ধবিগ্রহ    খ)দয়াপ্রদর্শন     গ)বৈরসাধন   ঘ)আতিথেয়তা

১.২’আমার কাছে কিরূপ আচরণ প্রত্যাশা কর?’ বক্তা হলেন—

ক)সেলুকস খ)সেকেন্দার       গ)পুরু         ঘ)চন্দ্রগুপ্ত

১.৩’পশ্চিমে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়।‘—টেনিদাকে একথা বলেছে—

ক) হাবুল সেন       খ) ক্যাবলা গ)প্যালা      ঘ)ভন্টা

১.৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেই জাহাজ থেকে তাঁর বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠি লিখেছিলেন সেটির নাম—

ক)ভার্সাই     খ)সীলোন  গ)মলটা       ঘ) টাইটানিক

২ খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নের উত্তর দাও

২.১’ মান্ধাতারই আমল থেকে/ চলে আসছে এমনি রকম’ – কোন প্রসঙ্গে কবি একথা বলেছেন?

উঃ উদ্ধৃত পঙ্কতিটি  কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বোঝাপড়া’ কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে।

          মানুষের ভাগ্য চিরদিন একইরকম থাকে না। প্রত্যেক মানুষই একে অপরকে কখোনো না কখোন ফাঁকি দেয়। তাই একজন মানুষ কিছুটা সুখ ভোগ করার পরেই আসে দুঃখ, তখন হয়তো অপর ব্যাক্তি সুখ ভোগের সৌভাগ্য লাভ করে। মানুষের উদ্ভবের আদিকাল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে । এই প্রসঙ্গেই কবি বলেছেন যে মান্ধাতার আমল থেকে সুখ দুঃখের আবর্তন ঘটে চলেছে।

২.২’ আমা অপেক্ষা আপনার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই’—বক্তার একথা বলার কারণ কি?

উঃ উদ্ধৃত উক্তিতির বক্তা হলেন আরব সেনাপতি। মুর সেনাপতি অজান্তেই তাঁর শ্ত্রু শিবিরে এসে আশ্রয় গ্রহন করেছিলেন। আরবদের অতুলনীয়  আতিথেয়তা উপভোগ করে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান এবং গল্প করতে করতে প্রকাশ পায় যে মুর সেনাপতি আরব সেনাপতির পিতার হত্যাকারী। তাই  প্রতিশোধপরায়ন আরবসেনাপতি বলেছিলেন যে এই বিপক্ষ শিবিরে তিনি মুর সেনাপতির সবথেকে বড় শত্রু।

২.৩ ‘অ্যান্টিগোনাস! তোমার এই ঔদ্ধত্যের জন্য তোমায় আমার সাম্রাজ্য থেকে নির্বাসিত করলাম।‘-আন্টিগোন্স কোন ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে?

উঃ আন্টিগোনস সেকেন্দারের সেনাবাহিনীর একজন সেনাধ্যক্ষ। কিন্তু তিনি বয়স ও সম্মানে বড় সেনাপতি সেলুকাসকে সম্রাট সেকেন্দারের সামনেই বিস্বাসঘাতক বলে অভিযুক্ত করেন এবং তরবারি বের করে তাঁর সঙ্গে সমরে নিযুক্ত হন। সম্রাটের বিচারের অপেক্ষা না করেই, নিজে সেনাপতিকে সম্রাটের সামনে আঘাত করে তিনি চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছিল।

২.৪ ‘ তোদের মত উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলোচনাও ঝকমারি !’—কোন কথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল?

উঃ টেনিদা , হাবুল , প্যালা ও ক্যাবলা পিকনিকের পরিকল্পনা করছিল। টেনিদা মুর্গ মুসল্লম, বিরিয়ানি, পোলাও, চাউ চাউ ইত্যাদি ভালো ভালো খাবারের নাম বললেও প্যালা হঠাৎ করেই আলুভাজা, শুক্ত, বাটিচচ্চড়ি ইত্যাদি খাবারের কথা উল্লেখ করে। এরপরেই ক্যাবলা টেনিদার বিরক্তি বাড়িয়ে বলে ওঠে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খেতেও বেশ লাগে। ভালো ভালো খাবারের মাঝে এইসব সাধারন খাবারের নাম শুনেই বিরক্ত হয়ে ও রেগে গিয়ে টেনিদা এই মন্তব্য করেছিল।

২.৫’কৌতুহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে’—চড়ুই পাখির চোখে কৌতুহল কেন?

উঃ কবি তারাপদ রায়ের ঘরে একটি চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছে। সে কৌতুহলী চোখে কবির ঘরের জানলা, দরজা, টেবিলের উপরে রাখা ফুলদানি, বই, খাতা ইত্যাদি দেখে। আসলে মানুষের ব্যবহার করা নানা জিনিষ সম্পর্কে তার বিশেষ কৌতূহল। এছাড়া এসব জিনিস দেখে সে মনে মনে হয়তো ভাবে কবি না থাকলে হয়তো এই সব অদ্ভুত জিনিসগুলি একদিন তার হয়ে যাবে।

৩ নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও

৩.১ ‘সবুজ জামা’ কবিতার ভাববস্তু আলোচনা কর।

উঃ আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘সবুজ জামা’ কবিতায় শান্তিকামী, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা মানুষের শাশ্বত চাওয়াকে রূপ দিয়েছেন। কবিতায় উপলদ্ধির বিষয় হল, তোতাইবাবুর চাওয়া একটি সবুজ জামা। এই সবুজই শেষপর্যন্ত জগৎ ও জীবনের রক্ষক, ধারক ও প্রতিপালক হয়ে ওঠে।

    ‘সবুজ’ শব্দটিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ‘সবুজ রং সজীবতা ও প্রাণসত্তার প্রতীক। গাছের ক্ষেত্রে সবুজ তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যে একাত্ম হয়ে থাকে। সেই গাছের সাপেক্ষে ‘কিন্তু ব্যবহার করে কথক যখন তোতাইবাবুকে ‘অ-আ-ক-খ শিখবি’ বলেন, তখন বুঝতে দেরি হয় না, শিশুর সহজাত বৈশিষ্ট্যকে এই জটিল পৃথিবীতে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। স্বার্থদুষ্ট সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সার্বিক সুস্থতা আনতে গাছের মত সবুজ, সতেজ ও মানবপ্রেমিক বন্ধু হতে হবে।

    অন্যদিকে কবিতার শেষাংশে কবি যখন বলেন “তবেই না তার ডালে প্রজাপতি বসবে”। তখন স্পষ্ট হয়ে ওঠে—প্রজাপতির আগমন প্রাকৃতিক এবং একই সঙ্গে সে বংশবিস্তারে সহযোগী একটি প্রজাতি পতঙ্গ। তার শারীরিক বর্ণগত বৈচিত্র্য মনকে প্রসারিত করে, উদার করে, সৌন্দর্যে ভরিয়ে দেয়। তোতাই-ও যদি সবুজ জামা পরে তবেই তার কোলের ওপর নেমে আসবে—“একটা, দুটো, তিনটে লাল-নীল ফুল। তার নিজের…”। এরকম স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলে শিশুর একদিন সুষম বিকাশ হবে। এই সত্যকেই কবি কবিতার মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন। 

৩.২ বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে লেখা চিঠিতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর লেখা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ সম্পর্কে কীরূপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন?

উঃমেঘনাদবধ  কাব্যের জনপ্রিয়তার কথা বলতে গিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত দেশি-বিদেশি একাধিক কবি ও কাব্যের কথা বলেছেন। বিদেশি কবি মিলটন, ভার্জিল ও তাসের প্রসঙ্গও সেক্ষেত্রে উঠে এসেছে। আর সেইসঙ্গে দেশি কবি কালিদাসের প্রসঙ্গও এনেছেন। মিলটন ও তাঁর কাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’-এর প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন—মিলটনের সঙ্গে তুলনায় তাঁর কাব্য উৎকৃষ্টতর নয়, কারণ মিলটনের কাব্য স্বর্গীয়। তবে ভার্জিল, তাসো কিংবা কালিদাসের সমতুল্য হওয়া অসম্ভব নয়। তিনি এও শুনেছেন যে, অনেক হিন্দু মহিলা বইটি পড়ে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন। তাই বন্ধু গৌরদাস বসাকের স্ত্রীও যাতে বইটি পড়তে পারেন,  সে ব্যাপারে ব্যবস্থা করার পরামর্শও তিনি বন্ধুকে দিয়েছেন। যদিও মধুসূদন দত্ত তাঁর বন্ধুর উদ্দেশ্যে বলেছেন, হাজার-হাজার জয়ধ্বনির থেকেও তার বন্ধুর  অভিমত তাঁর কাছে অনেক নির্ভরযোগ্য

৩৩ ‘পরবাসী’ কবিতায় শেষ চারটি পঙক্তিতে কবির প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করার তাৎপর্যয় বিশ্লেষণ কর।

উঃ বিষ্ণু দে-র ‘পরবাসী’ কবিতাটির শেষ স্তবকের চারটি বাক্যে কবি চারটি জিজ্ঞাসা চিহ্ন ব্যবহার করেছেন, যা কবিতাটিকে বিশেষ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।

বিরামচিহ্নের ব্যবহার ভাষার একক বাক্যের স্বরূপকে নির্দেশ করে। আবার এর মাধ্যমে কবি কাব্যালংকার, বিশেষ করে, শ্লেষ অলংকারের প্রয়োগ করেন। ‘পরবাসী’ কবিতার শেষ স্তবকে সেই কাব্যালংকারের বিশিষ্ট প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। কবি যেন তির্যক, তীক্ষ্ণ প্রশ্নের কশাঘাতে মানুষের, বিশেষত ব্যাবসাজীবী, মানুষের বিবেককে জাগিয়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন। সভ্যতার আগ্রাসনে পৃথিবীর নদী, পাহাড়, গাছ লুপ্ত হচ্ছে। বনবাসী প্রাণীরা হারিয়ে যেতে বসেছে। নিজের দেশেই মানুষ উদ্বাস্তুর মত ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হয়েছে। তারা স্থায়ী স্বাভাবিক, চিরপ্রত্যাশিত নিজস্ব বাসস্থান গড়ে তুলতে পারে না। কবি এখানেই প্রকৃতির স্বাভাবিকতাকে পেতে আগ্রহী। শেষ স্তবকে কবির একাধিক প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে আমরা তাঁর বন্যপ্রাণ, বণ্যপ্রাণী তথা প্রকৃতি প্রেমের পরিচয় পাই।

৩.৪ ‘—কিন্তু এই রাতটির কথা ভালোভাবেই আমার মনে আছে।‘—‘পথচলতি’ রচনাংশে অনুসরণে লেখকের সেই রাতের অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।

উঃ  ‘পথচলতি’ গদ্যাংশ থেকে আমরা জানতে পারি, দু-চারটি ফারসি বলতে পারার ক্ষমতা লেখককে কাবুলিওয়ালাদের দখল নেওয়া কামরায় ওঠবার সাহস দিয়েছিল। এই কাবুলিওয়ালারা খাস কাবুলির মত ফারসি জানে না। তাই লেখকেরও সুবিধা হল। হিন্দি আর বাংলায় আলাপ হল। একজন সম্পর্কে জানা গেল, সে বরিশালের পটুয়াখালিতে শীতবস্ত্র, হিং বিক্রি আর চাষিদের টাকা ধার দেওয়ার কাজ করে। অন্যজন  লেখককে তাদের হিসাবনিকাশ করার জন্য কেরানি বা ম্যানেজারের মর্যাদা দিল।

এবার পশতু ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি খুশ-হাল খাঁ খট্টকের গজল প্রসঙ্গ এল। একজন তাঁকে সেই গজল গেয়ে শোনাল। এল আদম খাঁ’ ও দুরখানির কিসসা প্রসঙ্গ। জনৈক উৎসাহী পাঠান তার কর্কশ-গুরুগম্ভীর কণ্ঠে সেই কিসসার কিছুটা গান ও কিছুটা পাঠ করে শোনাল। এভাবেই পশতু-সাহিত্য গোষ্ঠী বা সম্মেলন শেষ হল।
এই সময় রোজা চলছিল। তাই শোবার তোড়জোড় শুরুর আগেই সবাই সান্ধ্য আহার সেরে নিল। সে রাত্রে লেখক বেশ ভালই ঘুমিয়েছিলেন। সেই ক্ষণিকের সহযাত্রী, ভিন্ন জাতির কতকগুলির বন্ধনে আন্তরিক সাহচর্য পাওয়ায় সেই রাতের কথা লেখকের বেশ মনে আছে।

৪  নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও

৪.১ দল বিশ্লেষণ করে দল চিহ্নিত করো

ইস্টিশান= ইস + টি+ শান ( ইস ও শান রুদ্ধদল , টি মুক্তদল )

বাগুইআটি= বা +গুই+ আ + টি ( বা, গুই, আ, টি চারটি মুক্তদল)

দর্শনমাত্র= দর + শন + মাত+ র (দর, শন, মাত, তিনটি রুদ্ধদল র একটি মুক্তদল )

ক্ষিপ্রহস্ত= ক্ষিপ+ র+ হস+ ত ( ক্ষিপ, , হস, ত তিনটি   রুদ্ধদল র একটি মুক্তদল )

অদ্ভুতরকম= অদ+ ভূত+ র+ কম ( অদ, ভূত, কম তিনটি   রুদ্ধদল র একটি মুক্তদল )

৪.২ উদাহরণ দাও

মধ্যস্বরাগম= কর্ম > করম

স্বরভক্তি= ভক্তি>ভকতি

অন্তঃ স্থ শ্রুতি=দু’এক > দুয়েক

অন্ত্যস্বরলোপ অনোন্য স্বরসংগতি= যদু>যোদো

যার কর্ম তার সাজে, অন্য লোকে লাঠি বাজে।

( যে যোগ্য সেই সফল্ভাবে কাজ করতে পারে)

–নবীন ডাক্তার ব্ল্যাড ডোনেশন ক্যাম্পের কাজগুলি সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করলেও পরেশ শুধু চিৎকার চেচামচি জুড়েছিল। একেই বলে যার কর্ম তার সাজে অন্য লোকে লাঠি বাজে।

নুন আনতে পান্তা ফুরায়।

( দারিদ্রের অসহ অবস্থা)

–লকডাউনে বহু শ্রমিকের কাজ চলে যাওয়ায় তাদের পরিবারের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা।

গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।

(অতি ঘনিষ্ঠ জনের গুনের কদর হয় না)

পাড়ার অনুষ্ঠানে অর্থ খরচা করে গায়িকা ডাকা হলেও পাড়ার মেয়ে ললিতা সুন্দর গান গাওয়া স্বত্তেও তাকে আমন্ত্রন জানানো হয় নি। একেই বলে গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।

মারি তো গণ্ডার , লুটি তো ভাণ্ডার

( বড়ো কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করা)

–এলাকার জলের সমস্যা দূর করার জন্য প্রায় ১০ বিঘা জায়গার উপর শীতলখোলা জলাধার প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। এ যেন মারি তো গণ্ডার , লুটি তো ভাণ্ডার।

একহাতে তালি বাজে না।

(দু পক্ষের দোষ থেকেই বিবাদ হয়)

–অপরাধীদের মনস্তত্ত্ব বিচার করলে দেখা যায় বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দুপক্ষের দোষ ছিল, একহাতে তালি বাজে না।

Click here To Download  The PDF

Model Activity 2021 New |Class 7| Sastho|মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই সপ্তম শ্রেণী স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা

2

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই

সপ্তম শ্রেণী

স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা

প্রথম অধ্যায়ঃ শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো

ক) ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

১) ১৯২১      ২)১৯১১         ৩)১৯২০

খ) অ্যাথলেটিকস শব্দটি কথা থেকে এসেছে?

১)ইথানল     ২)এথেন্স     ৩) অ্যাথলন

গ)মোহনবাগান ক্লাব কত সালে সাহেবদের হারিয়ে শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল?

১) ১৮১১      ২)১৯১১        ৩)১৯১৬

২. শুন্যস্থান পূরণ কর

ক) খেলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি

খ) গ্রিক শব্দ জিমনস থেকে জিম্নাস্টিক কথাটি এসেছে।

গ) জৈনধর্ম অহিংসার  মুর্ত প্রতীক হিসাবে বিদ্যমান।

ঘ) এন সি সি র  হাল্কা নীল রং নৌসেনা বাহিনীর প্রতীক।

৩. দু- এক কোথায় উত্তর দাও

ক) খেলা কী?

উঃ খেলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি যা সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ প্রদান করে। খেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল প্রকৃতিগতভাবে প্রতিযোগিতাবর্জিত এবং কার্যগতভাবে শিশুর সার্বিক বিকাশের পরিপূরক।

খ) প্রত্যক্ষ বিনোদন কাকে বলে?

উঃ প্রত্যক্ষ বিনোদন হল যখন কোন ব্যক্তি নিজে কোন কাজ যেমন খেলাধুলা, অভিনয়, অঙ্কন,আবৃত্তি ইত্যাদি কাজে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ও সহজাত তৃপ্তিলাভ করে তাকে প্রত্যক্ষ বিনোদন বলে।

গ) সৃজনশীল বিনোদনের একটি উদাহরণ দাও।

উঃ সৃজনশীল বিনোদনের একটি উদাহরণ হল- ছবি আঁকা

৪। কয়েকটি বাক্যে প্রশ্নের উত্তর দাও।

ক)শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো

উঃ শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি হল-

১) নিয়মিত বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে শারীরশিক্ষায় অংশগ্রহণ করা

২) নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে দৈ্নন্দিন জীবনযাত্রা পরিচালিত করা।

৩) শরীর ও মনের কঠোরতা বৃদ্ধি করা।

৫) সুস্থ ও নীরোগ দেহ অর্জন করা।

৫। প্রকল্প

ক) তুমি সারাবছর কোনদিন, কখন, কত সময় এবং কি ধরণের শারীরশিক্ষা সূচীতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছ এবং তোমার কি লাভ হয়েছে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো

উঃ

দিন

কখন

সময়

শারীরশিক্ষা

সপ্তাহে ৫ দিন

সকাল ৬টা

৩০ মিনিট

হাঁটা ও ফ্রি হ্যান্ড

সপ্তাহে ৫ দিন

বিকাল ৬ টা

১৫ মিনিট

যোগ ব্যায়াম

৫ ই- ২৬ শে জানুয়ারী

সকাল ৮ টা

৩০ মিনিট

ড্রিল

 ১ – ১৫ই আগস্ট

সকাল ১০ টা

৩০ মিনিট

সাধারণ পিটি

          এই শারীর শিক্ষা সূচীতে অংশগ্রহণের ফলে আমি শারীরিকভাবে চনমনে অনুভব করি। শরীর সুস্থ ও নিরোগ হয়েছে। হাঁটা ও যোগব্যায়ামের  ফলে পড়াশুনায় মনঃসংযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নিয়মিত শরীর চর্চায় আত্মবিস্বাস বেড়ে গিয়েছে। নিয়মশৃংখলা মেনে দৈনন্দিন জীবন পালন করতে পারছি।

খ) করোনা ভাইরাস বিষয়ক একটি স্বাস্থ্য সচেতনতা পোস্টার তৈরি করো।

Click Here  To Download The PDF

Class 7| Model Activity Task 2021 July| Geography (Part-4)|মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই সপ্তম শ্রেণী ভুগোল (Part-4)

0

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই

সপ্তম শ্রেণী

ভুগোল (Part-4)

১ বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো

১.১ সূর্যের উত্তরায়নের সময়কাল—

ক) ২১ শে জুন থেকে ২২ শে সেপ্টেম্বর

খ) ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২১ শে মার্চ

গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন

ঘ) ২১ শে মার্চ থেকে ২৩ শে সেপ্টেম্বর

১.২ কোনো মানচিত্রে সমচাপরেখাগুলি খুব কাছাকাছি অবস্থান করলে সেখানে—

ক) বায়ুর চাপ বেশি হয়

খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়

গ) বায়ুর চাপ কম হয়

ঘ) বায়ুর চাপের পার্থক্য কম হয়

১.৩ টোকিও-ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলে উন্নতির অন্যতম প্রধান কারন হল—

ক) খনিজ ও শক্তি সম্পদের সহজলভ্যতা

খ) স্বল্প জনঘনত্ব

গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম

ঘ) সমুদ্র থেকে দুরবর্তী স্থানে অবস্থান

২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শুন্যস্থান পুরন করো

২.১ নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অক্ষরেখার পরিধি ক্রমশ কমতে থাকে।

২.২ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে বায়ুর চাপ বৃদ্ধি পায়।

২.৩ এশিয়া মহাদেশের একটি উত্তরবাহিনী নদী হল ওব নদী

৩ সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও

৩.১ কোন তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় ও কেন ?

উঃ২১ শে জুন তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় ।

            ২১ শে জুন পৃথিবী নিজের কক্ষপথে এমন একটা জায়গায় আসে যে উত্তর গোলার্ধে কর্কট রেখার ( ২৩ ১/২ উত্তর অক্ষরেখা) উপর লম্বভাবে সূর্যরশ্মি পড়ে। এই দিন উত্তর গোলার্ধে দিন সব থেকে বড় আর দক্ষিণ গোলার্ধে সবথেকে ছোট হয়। সুমেরুবৃত্তে ২৪ ঘণ্টাই সূর্যকে দেখা যায় আর কুমেরু বৃত্তে ২৪ ঘণ্টাই অন্ধকার থাকে। তাই ২১শে জুলাই দিনটিকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয়।

৩.২ মেরু অঞ্ছল ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য কীভাবে দুই অঞ্চলের বায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রন করে তা ব্যাখা কর

উঃ বায়ুর উষ্ণতার পরিবর্তন হলে বায়ুর আয়তন ও ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। উষ্ণ বায়ু হালকা হয়ে প্রসারিত হয় এবং ওপরে উঠে যায়। বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় অর্থাৎ নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অনুর সংখ্যাও কমে যায় অর্থাৎ বায়ুর চাপও কমে যায়। তাই উষ্ণ নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়। আবার বায়ু শীতল হলে সংকুচিত হয় এবং বায়ুর ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই বায়ুর চাপ বেড়ে যায়। এ কারনেই শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি হয়।

৪ এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় ও উষ্ণ মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদের চরিত্রকে কীভবে প্রভাবিত করে তা আলোচনা করো।

উঃ এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছরে সূর্যের রস্মি লম্বভাবে পড়ে ফলে সারা বছরই গড় উষ্ণতা থাকে ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া প্রতিদিনই বিকালে পরিচলন বৃষ্টি হয় ও বার্ষিক বৃষ্টির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ সেমি। উষ্ণতা বেশি ও বেশি বৃষ্টিপাতের  জন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে চিরহরিৎ উদ্ভিদের ঘন বনভূমি দেখা যায়। শীতকালেও এই উদ্ভিদের পাতা ঝরে না। এই বৃষ্টি অরন্যের গাছগুলি হল – মেহগনি, সেগুন, আব্লুশ, রবার, কোকো, সিঙ্কোনা, আয়রন উড, রোজ উড

            এশিয়ার উষ্ণ মরু অঞ্চলে সারাবছরই উষ্ণতা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণও খুব কম। তাই এই মরুভুমি অঞ্চলে সাধারণত কাটাজাতীয় গাছ জন্মায়, যেমন- বাবলা, ফণীমনসা, খেজুর ইত্যাদি। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে গাছগুলির কাণ্ড ও পাতা মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় গাছের জল বেরিয়ে না যায় এবং গাছগুলির শিকড় অনেকদূর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে।

Click Here To Download  The PDF

 

Model Activity Task 2021 July| Class 7| Science| পরিবেশ ও বিজ্ঞান(Part-4)

0

 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই

সপ্তম শ্রেণী

পরিবেশ ও বিজ্ঞান(Part-4)

১ ঠিক বাক্যের পাশে ঠিক আর ভুল বাক্যের পাশে ভুল লেখো

১.১ কোনো বস্তুকে তাপ দিলে তার উষ্ণতার পরিবর্তন হবেই। (ঠিক)

১.২ ভিটামিন D এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়। ( ভুল)

১.৩ কঠিন সোডিয়াম ক্লোরাইডের মধ্যে অণুর কোনো অস্তিত্ব নেই। ( ভুল)

২ সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও

২.১ সমীকরণটি ব্যালেন্স করে লেখো : P4 + 5 O2 à P4 O10

২.২ মানবদেহে আয়োডিনের একটি কাজ উল্লেখ করো

উঃ আয়োডিন মানব শরীরে গয়টার বা গলগণ্ড রোগ হতে দেয় না।

২.৩ আম দিয়ে তৈরি একটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উদাহরণ দাও

উঃ আমের জ্যাম

৩ একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও

৩.১ কিউপ্রিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের টুকরো যোগ করলে কী ধরণের বিক্রিয়া হবে? বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখো ।

উঃ কিউপ্রিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের টুকরো যোগ করলে লালচে বাদামি রঙের তামা থিতিয়ে পড়বে।

Zn+CuCl2àZnCl2 + Cu

এটি একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। এখানে জিঙ্ক মৌল অবস্থা থেকে ক্লোরাইড যৌগ উৎপন্ন করেছে।

৩.২ কী কী উপায়ে ফিল্টার যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করা যায়?

উঃ বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করার পদ্ধতিগুলি হল-

ক) জল ফুটিয়ে নেওয়া- জলের উৎস থেকে পাওয়া জল অন্তত ২০ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিতে হবে।

খ) হ্যালোজেন ট্যাবলেট- খুব তাড়াতাড়ি জলকে জীবাণুমুক্ত করেতে হলে তাতে হ্যালোজেন ট্যাবলেট মেশাতে হয়।

৪ তিন চারটি বাক্যে উত্তর দাও

৪.১ যে উষ্ণতায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের পাঠ সমান হবে তা নির্ণয় কর।

উঃ আমরা জানি,

C= 5/9( F – 32)

ধরি , X ডিগ্রি উষ্ণতায় উভয় স্কেলের পাঠ সমান হবে

X= 5/9(X-32)

Or,9x = 5x – 160

Or, 9x-5x = – 160

Or, 4x= -160

Or, X = -160/4

Or, x = -40

-40 ডিগ্রি উষ্ণতায় উভয় স্কেলের পাঠ সমান হবে।

৪.২ কোয়াশিওরকর রোগ কেন হয় এবং এই রোগে কি কি লক্ষণ দেখা যায়?

উঃ খাদ্যে উপযুক্ত পরিমান প্রোটিনের অভাব ঘটলে 1-4 বছর বয়স্ক শিশুদের যে অপুষ্টিজনিত রোগ দেখা যায় তা হল কোয়ারশিওরকর রোগ।

এই রোগের লক্ষণগুলি হল-

ক) শিশুর চামড়া গাঢ় বর্ণের হয়ে যায়।

খ) হাত-পা গুলি সরু সরু হলেও পেট খুব ফুলে যায়।

গ) চোখগুলি দেখে মনে হয় তা ঠিকরে বেরিয়ে আসছে।

Click Here To Download  The PDF

 

 

Model Activity Task 2021| Class 7| History ( Part -4)

0

মডেল আক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই

সপ্তম শ্রেণী

ইতিহাস ( Part-4)

১ ক-স্তম্ভের সাথে খ- স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো

ক-স্তম্ভ

খ স্তম্ভ

হর্ষচরিত

বাণভট্ট

গৌড়বহো

বাকপতিরাজ

কিতাব- অল- হিন্দ

অল বিরুণী

২ বেমানান শব্দটির নিচে দাগ দাও

(ক) বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র

(খ) বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড়

(গ) হলায়ুধ, জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর

৩ সংক্ষেপে (৩০-৫০ টি শব্দের মধ্যে ) উত্তর দাও

(ক) পাল ও সেন যুগে কেমন ভাবে কর আদায় করা হত?

উঃ পাল ও সেন যুগের রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক- ষষ্ঠাংশ ভাগ কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন । তারা নিজেদের ভোগের জন্য ফুল, ফল, কাঠও প্রজাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতেন। বণিকরাও তাদের ব্যাবসা- বাণিজ্যের জন্য রাজাকে কর দিত। এই তিন কর ছাড়াও নানারকমের অতিরিক্ত কর ছিল। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রজারা রাজাকে কর দিত। সমগ্র গ্রামের উপরেও কর দিতে হত গ্রামবাসীদের। এছাড়া হাট ও খেয়াঘাটের উপরেও কর চাপানো হত।

(খ) সেন রাজারা কি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন?

উঃ হ্যাঁ, সেন রাজারা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । সেন রাজা লক্ষনসেনের আমলের বিখ্যাত কবি ছিলেন জয়দেব। এছাড়া ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতিধর এবং শরণ নামে আরো চারজন কবি ছিলেন। এমনকি রাজা বল্লালসেন ও রাজ লক্ষনসেন দুজনেই স্মৃতিশাস্ত্র লিখেছিলেন। তাছাড়া লক্ষনসেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে ব্রাহ্মণসর্বজ্ঞ নামে একটা বই লিখেছিলেন।

৪ নিজের ভাষায় লেখো

বখতিয়ার খলজি বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল ?

উঃ আনুমানিক ১২০৪ খ্রিস্টাব্দের শেষে বা ১২০৫ খ্রিস্টাব্দের প্রথমদিকে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি বাংলার নদিয়া দখল করেছিলেন। সেই থেকে বাংলার তুর্কি শাসন শুরু হয়েছিল। এরপরে বাংলাতে যে পরিবর্তনগুলি ঘটে সেগুলি হল-

i)বখতিয়ার নদিয়া ছেড়ে লক্ষণাবতী অধিকার করে রাজধানী স্থাপন করেন। এই শহরকে সমকালীন ঐতিহাসিকরা লখণৌতি বলে উল্লেখ করেছেন।

ii)বখতিয়ার খলজি নিজের নতুন রাজ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। এইসব শাসনকর্তারা ছিলেন তার সেনাপতি।

iii)বখতিয়ার খলজি লখণৌতিতে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং সুফি সাধকদের আস্তানা তৈরি করে দেন।

iv)বখতিয়ার খলজি লখণৌতি রাজ্যের সীমানা উত্তরে দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর শহর , দক্ষিণে পদ্মা নদী, পূর্বে তিস্তা ও করতোয়া নদী পর্যন্ত তার রাজত্বের সীমা বাড়িয়ে নিয়ে ছিল।

Click Here To Download  The PDF

Model Activity Task 2021 July| Class 7| English( Part 4)

0

Model Activity Task 2021 July

Class VII

English

Activity 1

Answer the following questions

(i)How old is the earth?

Ans: The earth is millions and millions of years old.

(ii) Describe the earth before man existed?

Ans: Before man existed on earth there were only animals roaming around.

(iii)Why was there no life on earth?

Ans: Once the earth was too hot for any living being to live on it.

Activity 2

Select the correct homophone from the brackets and fill in the blanks.

(i)Akbar, the great Mughal emperor reigned for forty-nine years. (reined/reigned)

(ii)Anamika loves to have curd .( curd/card)

(iii) Sania is too weak to move out of doors. (week/weak)

(iv) Do you like to watch the TV serials? (cereals/serials)

(v) The maid of our neighbourhood has made  this beautiful vase. ( made/maid)

Activity 3

Write a paragraph (in about 70 words) about your best friend. You may use thee following points.

 

Points: Name of your best friend—why is he/she your best friend—his/her likes/dislikes—how do you help each other—conclusion

I am Barsha and my best friend is Bubly. We live in same colony and always play together. When we were very young, we used to sit under the banyan tree and share our toys. We like to play, draw and share our secrets. I am very shy, but she is very bold and she supports me always. That quality of hers attracts me. I really love to spend time with her.

Click here To Download  The PDF

New Model Activity|Class 7| 2021 July| bengali(Part- 4)

0

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ ( জুলাই)

সপ্তম শ্রেণী

বাংলা

১ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো

১.১ ‘পাগলা গনেশ ‘ গল্পে পাগলা গনেশের বয়েস

(ক) একশো বছর            খ) দেড়শ বছর

(গ) একশো পঁচাত্তর বছর ঘ) দুশো বছর

১.২ কোকনদ হল-

ক) শ্বেত পদ্ম                  খ) রক্ত পদ্ম

গ) নীল পদ্ম                     ঘ) হলুদ পদ্ম

১.৩ ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল “ কবিতাটির লেখক-

ক) আশরফ সিদ্দিকী                খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

গ)মদনমোহন তর্কালঙ্কার     ঘ) যোগীন্দ্রনাথ সরকার

১.৪ শ্রদ্ধেয় রামানন্দ চট্টপাধ্যায়ের সঙ্গে রামকিঙ্কর বেইজের পরিচয় হয়-

ক)মেদিনীপুরে                খ) বীরভূমে

গ) বাঁকুড়ায়                   ঘ) কলকাতায়

১.৫ খোকনের বাড়ির সামনেই ছিল একটি

ক)বটগাছ             খ) ইউক্যালিপ্টাস গাছ

গ) নারকেল গাছ   ঘ) বকুল গাছ

২ খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নের উত্তর দাও

২.১ তা আপনার কবিতা শুনছেই বা কে আর পড়ছেই বা কে?’- একথা উত্তরে শ্রোতা কী বলেছিলেন?

উঃ এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা অর্থাৎ পাগলা গনেশ বলেছিলেন যে, আকাশ, বাতাস ও প্রকৃতি তার কবিতা শুনছে। আর তার ভাসিয়ে দেওয়া কবিতার পাতা যদি কেউ আর তাদের পড়তে ইচ্ছা হয় তবে তারা পড়বে ।

২.২ ‘My Native Land, Good Night’

-উদ্ধৃতিটি কার রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে?

উঃ উদ্দৃতিটি বায়রনের লেখা রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘ বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতাতে কবি  মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই পংতিটি ব্যবহার করেছেন।

২.৩ একুশের কবিতাতে কোন কোন গানের সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে?

উঃ কবি আশরফ সিদ্দিকীর লেখা একুশের কবিতাতে জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি এবং গুনগুন করে গাওয়া ছড়ার ছন্দের সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে।

২.৪ ‘ অতো বড় একজন শিল্পীর কাছে শিক্ষালাভ করেছি, আমার সৌভাগ্য’

–কার স্মৃতি চারণায় কথক একথা বলেছেন?

উঃ উদ্ধৃতিটির বক্তা রামকিঙ্কর বেইজ শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়ের কলাভবনের আচার্য নন্দলাল বসুর তত্ত্বাবধানে ছবি আঁকা শিখেছিলেন । তার স্মৃতি চারণায় কথক একথা বলেছেন

২.৫ খোকন অবাক হয়ে গেল’- কোন কথ শুনে খোকন অবাক হয়ে গেল?

উঃখোকনের বাবার বন্ধু একজন বিখ্যাত চিত্রকর।তিনি খোকনের আঁকা ছবি দেখে তাকে প্রশ্ন করেছিলেন যে তার নিজের আঁকা ছবি কোথায় কারন সে সবই চারপাশ থেকে নকল করে এঁকেছে। এই কথা শুনেই খোকন অবাক হয়েছিল।

৩ নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও

৩.১ জীবন হবে পদ্যময়

–জীবন কিভাবে পদ্যময় হয়ে উঠবে বলে কবি মনে করেন?

উঃ পঙ্কতিটি কবি অজিত দত্তের লেখা ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। জ্যোৎস্না রাতে, ঝিঁঝিঁর ডাকে, নদীর স্রোতে, যন্ত্রের গতিতে, জাহাজ, নৌকা , ট্রেনের চলার তালে তালে ছন্দ লুকিয়ে আছে। কেউ যদি মন্দ কোথায় কান না দিয়ে, সব ঝগড়া বিবাদ ভুলে মন আর কান দিয়ে সব ছন্দ শোনে তাহলে পৃথিবীকে সে নতুনভাবে চিনবে। ফলে তার মনে ছন্দের যে আলোড়ন হবে তাতেই সে সহজেই কবিতা লিখতে পারবে।

৩.২ ‘অমর করিয়া বর দেহ দাসে, সুবরদে।‘

—‘সুবরদে’ শব্দের অর্থ কী? তার কাছে কবি অমরতার প্রত্যাশী কেন?

উঃ পঙ্কতিটি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তর লেখা ‘ বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে সুবরদে কথাটির অর্থ হল যিনি শুভ বর প্রদান করেন অর্থাৎ বরদাত্রী।

          এখানে বরদাত্রী বঙ্গভুমির কাছে কবি অমর হওয়ার বর চেয়েছেন। কারন কবি জানেন নশ্বর মানুষ তখনি অমর হতে পারে যখন সে তার কীর্তির জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে স্থান পায়।তাই কবি বঙ্গ মাতার কাছে প্রার্থনা করেছেন যাতে তার রচনা ভাণ্ডার বাংলা ভাষায় উচ্চ আসন লাভ করে এবং তিনি মানুষের মনে চিরকাল অমর হয়ে রন।

৩.৩ ‘সে তো আমার পরম পুলক’

—আঁকা লেখা কবিতায় কবি কখন পুলকিত হন?

উঃ কবি মৃদুল দাসগুপ্ত যখন ছবি আঁকেন তখন শালিক পাখি, চড়াই, মাছরাঙা প্রজাপতি ও ইঁদুরের দল অবাক হয়ে জায়।আবার সন্ধ্যেবেলা কবি যখন কবিতা লেখেন তখন জোনাকিরা বকুল গাছে আলপনা আঁকে, তারার দল মালা গাথে।এভাবে প্রকৃতি ও তার সঙ্গীরা  কবির আঁকা ও ছড়া লেখার সময় সঙ্গদান করে। প্রকৃতির প্রেরণাই কবির কাছে পরম পুলকের।

৩.৪ ‘ কুতুব মিনারের কথা’ রচনাংশ অনুসরণে কুতুবমিনারের নির্মাণ শৈলীর বিশিষ্টতা আলোচনা কর।

উঃ সৈয়দ মুজতফা আলির লেখা ‘ কুতুব মিনারের কথা’ পাঠ্যাংশে লেখক কুতুব মিনারের অদ্ভুত কারুকার্য ও গঠনশৈলীর কথা বিস্তারে আলোচনা করেছেন। কুতুব পাঁচতলার মিনার। প্রথম তলাতে বাঁশি ও কোণের নকশা রয়েছে। দ্বিতীয় তলাতে শুধু বাঁশি ও তৃতীয় তলাতে কোণের নকশা কাটা। এছাড়া মিনারের চারপাশে সারি সারি লতা পাতা ও ফুলের মালা চক্রের নকশা রয়েছে। নকশা গুলি হিন্দু রীতির । আবার মিনারের গায়ে আঁকা আরবী লেখা সাধারণত মুসলমানদের ভাষা হলেও সেগুলি হিন্দু শিল্পীরাই এঁকেছেন। এই মিনারটির সৃষ্টি কার্যে  হিন্দু মুসলমান মিলে অদ্ভুত সাফল্য দেখিয়েছিল।

৪ নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও

৪.১ খাঁটি দেশই শব্দ বলতে কি বোঝ?

উঃআর্যরা ভারতে আসার আগে যে সব প্রাগার্য মানুষেরা ভারতে ছিলেন তাদের ভাষার কিছু শব্দ এখনও রয়ে গেছে। উৎপত্তির দিক থেকে এগুলি যাতে অস্ট্রিক ,দ্রাবিড় বা মঙ্গোলয়েড। তবে এরাই বাংলা শব্দভাণ্ডারের সবচেয়ে প্রাচীন শব্দ। এদেরই খাঁটি দেশি শব্দ বলে। যেমনঃ তেঁতুল, চিংড়ি, মাঠ

৪.২ তদ্ভব শব্দ কিভাবে গড়ে ওঠে?

উঃকিছু কিছু সংস্কৃত শব্দ দীর্ঘ সময় ধরে ভাষাগত বিবর্তনের পথে প্রাকৃত , অপভ্রংশ ইত্যাদি স্তরের মধ্যে দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে তদ্ভব শব্দের রুপ ধারণ করেছে। এভাবেই তদ্ভব শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান নিয়েছে।

৪.৩ অর্ধ -তৎসম বা ভগ্ন- তৎসমের দুটি উদাহরণ দাও।

উঃ কৃষ্ণ > কেষ্ট

       বিষ্ণু > বিষ্টু

৪.৪ ‘ বাঙালি পদবীর ইংরেজি ধরনের উচ্চারনে হ্রস্বস্বর চিহ্ন হবে” –উদাহরণ দাও।

উঃ গাঙ্গুলি ( গাঙ্গুলী নয়)

      ব্যানার্জি ( ব্যানার্জী নয় )

৫ পত্র রচনা কর

৫.১ তোমাদের অঞ্ছলে একটি পাঠাগার স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে একটি আবেদন পত্র লেখো

মাননীয়,

ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক

১০৪ নং ব্লক

কলকাতা

          বিষয়ঃ একটি পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন

মহাশয়,

          আমরা আপনার ব্লকের অন্তর্গত সন্তোষপুরের বাসিন্দা। আমাদের এলাকায় বেশ কিছু কৃতি ছাত্রছাত্রী ও আগ্রহী পাঠক থাকলেও কোনো পাঠাগার নেই। ছাত্রছাত্রীরা পাঠ্যপুস্তক ছাড়া আর কোন বিষয়ে জ্ঞান আহোরণের সুযোগ পায় না। পাঠকরা তাদের মনের আঁশ মেটানোর সুযোগ পায় না। এছাড়া দরিদ্র ছাত্রছাত্রীরা বিনামুল্যে সহায়িকা বই একমাত্র পাঠাগার থেকেই পেতে পারে। এলাকায় পাঠাগার না থাকায় ছাত্রবৃন্দ অবহেলায়, অলসতায় সময় কাটায়।

          তাই এই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে সবিশেষ অনুরোধ জানাই। পাঠাগারটি প্রস্তুত হলে এলাকার মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ উপকার হবে।

কলকাতা                                                     ধন্যবাদান্তে

১৪ ই জুলাই ২০২১                                       ১০৪ নং ব্লকের অধিবাসীবৃন্দ

৫.২ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশের আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি চিঠি লেখো

মাননীয়,

প্রধান শিক্ষক মহাশয়

মর্ডান হাই স্কুল

যাদবপুর, কলকাতা

          বিষয়ঃ         বিদ্যালয়ের বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশের জন্য আবেদন

শ্রদ্ধেয় মহাশয়,

          আমি শান্তনু পাল, আপনার বিদ্যলয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র। বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রদের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই যে আমরা বিদ্যালয়ের বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। প্রত্যেক ছাত্রই তাদের আঁকা ও লেখা ছাপার কালিতে দেখতে চায়। এই পত্রিকা যেমন ছাত্রদের প্রতিভা প্রকাশে উৎসাহ দেবে তেমনি বিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য কীর্তিও সবাই জানতে পারবে। এ বিষয়ে অভিভাবকরাও যথেষ্ট উৎসাহী।

          তাই আমাদের বিণীত আবেদন এই যে আপনি ও স্কুল কমিটির সদস্যরা বিষয়টি বিবেচনা করে পত্রিকা প্রকাশের ব্যবস্থা করুন। এই অনুরোধ গৃহিত হলে আমরা ছাত্রবৃন্দ বাধিত থাকব।

কলকাতা                                                                        ইতি

১৪ ই জুলাই ২০২১                                       আপানার একান্ত অনুগত ছাত্রবৃন্দ

Click Here To Download  The PDF

হাওয়ার গান। প্রশ্ন-উত্তর।Class 8| Howar Gaan| Solved

1

হাওয়ার গান

                               বুদ্ধদেব বসু

প্রশ্ন উত্তর

https://youtu.be/D_xEoby0aPo

হাতে কলমে

. বুদ্ধদেব বসু রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।

উঃ  বুদ্ধদেব বসু রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম ‘বন্দীর বন্দনা’ ও ‘কঙ্কাবতী। 

. তিনি কোন পত্রিকা সম্পাদনা করতেন ?

উঃ বুদ্ধদেব বসু কল্লোল পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।

নীচের প্রশ্নগুলির একটি/দুটি বাক্যে উত্তর দাও

. দুর্বার ইচ্ছায় হাওয়া কী কী ছুঁয়ে গেছে

উঃ দুর্বার ইচ্ছায় হাওয়া পৃথিবীর সমস্ত জল ও তীরকে ছুঁয়ে গিয়েছে। 

. তার কথা হাওয়া কোথায় শুধায় ?

উঃ তার কথা হাওয়া জলে, স্থলে, তীরে তীরে পাহাড়ে, বন্দরে, নগরের ভিড়ে, অরণ্যে, প্রান্তরে, পার্কের বেঞে, ঝরাপাতায়, দেয়ালে, শার্সিতে, চিমনির নিস্বনে এবং কাননের ক্রন্দনে শুধায়। 

. মাস্তুলে দীপ জ্বলে কেন

উঃ জাহাজ যেহেতু অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে চলাচল করে, তাই অন্যদের কাছে তার উপস্থিতির কথা জানাতে মাস্তুলে দীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়। 

. পার্কের বেঞ্চিতে আর শার্সিতে কাদের উপস্থিতির চিহ্ন রয়েছে ?

উঃ পার্কের বেঞ্চিতে ঝরা পাতার এবং শার্সিতে দেয়ালের পঞ্জরের উপস্থিতির চিহ্ন রয়েছে।

. নিশ্বাস কেমন করে বয়ে গেছে

উঃ নিশ্বাস সমস্ত দিন- রাতের  বুক-চাপা কান্নায় উত্তাল হয়ে অস্থিরভাবে বয়ে গিয়েছে।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখ

. হাওয়ার চোখে ঘরের যে ছবি পাওয়া যায়, কবিতা অনুসরণে লেখ।

উঃ কবি বুদ্ধদেব বসুর ‘হাওয়ার গান’ কবিতায়  হাওয়াকে এক জীবন্ত স্বত্ত্বা দিয়েছেন। সে যখন ঘরে উঁকি মারে তখন এক একটি সুন্দর মনোরম ছবি দেখতে  পায়। সেখানে দোলনায় একটি সুন্দর শিশু ঘুমিয়ে আছে। কার্পেটের উপর আবছা অন্ধকারে এক কুকুর ঘুমিয়ে রয়েছে। সাধারন জীবনের নরম স্বপ্ন যেন মোমের স্নিগ্ধ আলো হয়ে সুখি গৃহকোণটিকে ঘিরে রেখেছে।

. সমুদ্রের জাহাজের চলার বর্ণনা দাও।

উঃ সমুদ্রে চলাচল করা যাত্রীবাহী জাহাজের মাস্তুল থেকে রাতে দীপ জ্বালানো হয় যাতে অন্ধকারে অপর জাহাজ এসে তাতে ধাক্কা না দেয়। জাহাজের যাত্রীরা অবসর সময় কাটানোর জন্য সিনেমা হলে ছায়াছবি দেখতে থাকে, কেউ বা জাহাজে নাচ ও গানের আসরে মত্ত হয়। অবশেষে রাত বাড়লে যাত্রীরা নিদ্রামগ্ন হয়। জাহাজ তার নির্জন ডেক নিয়ে হাওয়ায় ভেসে রাতের সমুদ্রে সামনের দিকে এগিয়ে চলে ।

. পৃথিবীর কোন্ কোন্ অংশে হাওয়া ঘুরে বেড়ায় লেখ।

উঃ পৃথিবীর সমস্ত জলাশয়, সমুদ্র তীর,  গম্ভীর পাহাড়, অসংখ্য বন্দর, শহরের জনবহুল অঞল, বনজঙ্গল, খোলা মাঠ বা তেপান্তর সর্বত্রই হাওয়ারা ঘুড়ে বেড়ায়। তারা পার্কের বেঞ্চিতে শুকনো পাতা উড়িয়ে জালনার শার্সি কাঁপিয়ে, কখনো বা চিমনিতে হাহাকার তুলে অথবা বাগানের কেঁদে কেঁদে ঘুরে বেড়ায়। হাওয়া মিষ্টি শিশুকে দোলনায় দোল দিয়ে, ঘুমন্ত কুকুরের পাশ দিয়ে জাহাজের মাস্তুলে , নির্জন ডেকে , সমুদ্রে গর্জন তুলে ঘুরে বেড়ায় ।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর বিশদে লেখো

. হাওয়াদের কী নেই ? হাওয়ারা কোথায়, কীভাবে তার খোঁজ করে

উঃ বুদ্ধদেব বসুর লেখা ‘হাওয়ার গান কবিতায় হাওয়াদের কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই অর্থাৎ, তাদের কোন বাড়ি নেই।

      হাওয়াদের বাড়ি না-থাকায় তারা পৃথিবীর সমস্ত জলাশয়, সমুদ্র তীর,  গম্ভীর পাহাড়, অসংখ্য বন্দর, শহরের জনবহুল অঞল, বনজঙ্গল, খোলা মাঠ বা তেপান্তর সর্বত্রই ঘুরে বেড়ায়। তারা পার্কের বেঞ্চিতে শুকনো পাতা উড়িয়ে জালনার শার্সি কাঁপিয়ে, কখনো বা চিমনিতে হাহাকার তুলে অথবা বাগানে কেঁদে কেঁদে তাদের স্থায়ী ঠিকানা খুঁজে বেড়ায়।হাওয়া মিষ্টি শিশুকে দোলনায় দোল দিয়ে, ঘুমন্ত কুকুরের পাশ দিয়ে বয়ে, জাহাজের মাস্তুলে , নির্জন ডেকে , সমুদ্রে গর্জন তুলে ঘরের সন্ধানে মত্ত হয়। তারা চিরকাল বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায় আর বাড়ির খোঁজ করে। 

.. “চিরকাল উত্তাল তাই রে”-কে চিরকাল উত্তাল ? কেন সে চিরকাল উত্তাল হয়ে রইল

উঃ বুদ্ধদেব বসুর ‘হাওয়ার গান’ কবিতায় প্রশ্নোক্ত উক্তিটি নেওয়া হয়েছে। এখানে হাওয়ারা চিরকাল উত্তাল সেকথা বলা হয়েছে।

          হাওয়াদের কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই অর্থাৎ, তাদের কোন বাড়ি নেই। পৃথিবীর আদিকাল থেকে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ দিনের শেষে থিতু হবার ও শান্তিতে নিদ্রা যাবার মতো কোন নিশ্চিন্ত আশ্রয় তাদের নেই। এই বিশ্বের কোণায় কোণায় তাদের আনাগোনা, কিন্তু এত সন্ধানের পরেও তারা স্থির হওয়ার মতো কোন স্থান খুঁজে পাই নি এবং চিরকাল তাদের এই ভাবেই ঘুরে মরতে হবে। এই হতাশাতেই হাওয়া উত্তাল হয়ে সর্বত্র গর্জন করে ঘুরে বেড়ায়।

. কবিতাটির নামহাওয়ার গানদেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী যুক্তি কবির মনে এসেছিল বলে  তোমার মনে হয়

উঃ  কবি বুদ্ধদেব বসু কবিতাটির নাম রেখেছেন ‘হাওয়ার গান’। কোনো সাহিত্যখন্ডের নাম তার বিষয়বস্তু বা অন্তরনিহিত ভাবকে নির্দেশ করে ।এই নামকরণ করার পিছনে যে-সমস্ত যুক্তি কবির মনে এসেছিল সেগুলি হল-

প্রথমত : কবিতাতে হওয়াদের এক জীবন্ত স্বত্ত্বায় কল্পনা করা হয়েছে যারা “আমাদের” বলে নিজের পরিচয় দিয়েছে। তারা সমস্ত পৃথিবী ঘুরে নিজেদের বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছে, আর তাদের হাহাকার যেন কোনো বিলাপের সুর।

দ্বিতীয়ত : হাওয়ারা পার্কের বেঞ্চিতে শুকনো পাতা উড়িয়ে জালনার শার্সি কাঁপিয়ে, কখনো বা চিমনিতে হাহাকার তুলে অথবা বাগানের কেঁদে কেঁদে ঘুরে বেড়ায়। তাদের শনশন শব্দ, গর্জন আসলে গানের সুরের মতোই ধ্বনিত হয়েছে।

তৃতীয়ত : হাওয়াদের যে বাড়ি নেই, সেই কথাটিকে তারা কবিতার মধ্যে দু-বার বলেছে, গানের সঞ্চারীর মতো করে। তাদের বেদনাতুর হৃদয়ের কান্নাই আসলে হাওয়ার গান।

৫নীচের পঙক্তিগুলির মধ্যে ক্রিয়াকে চিহ্নিত কর এবং অন্যান্য শব্দগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক দেখাও

. ঘরে ঘরে জ্বলে যায় স্বপ্নের মৃদু মোম

 জ্বলে যায় = ক্রিয়াপদ। ‘ঘরে ঘরে’ শব্দদ্বয়ের সঙ্গে তার ‘অধিকরণ কারকগত’ সম্পর্ক এবং মৃদু মোম’ শব্দদ্বয়ের সঙ্গে তার ‘কর্মকারকগত সম্পর্ক। 

. আঁধারে জাহাজ চলে।

 চলে = ক্রিয়াপদ। ‘আঁধারে’ শব্দটির সঙ্গে ‘অধিকরণ কারকগত সম্পর্ক এবং ‘জাহাজ’ শব্দটির সঙ্গে ‘কর্তৃকারকগত সম্পর্ক।

. শার্সিতে কেঁপেওঠা দেয়ালের পঞ্জর। 

 কেঁপে ওঠা = ক্রিয়াপদ। ‘শার্সিতে’ শব্দটির সঙ্গে ‘অধিকরণ কারকগত’ সম্পর্ক। ‘পঞ্জর’ শব্দটির সঙ্গে কর্তৃকারকগত সম্পর্ক। 

. অকূল অন্ধকারে ফেটে পড়ে গর্জন।  

 ফেটে পড়ে = ক্রিয়াপদ। ‘অকূল অন্ধকারে’ শব্দদ্বয়ের সঙ্গে ক্রিয়ার ‘অধিকরণ কারকগত সম্পর্ক। ‘গর্জন’ শব্দটির সঙ্গে ক্রিয়ার ‘কর্তৃকারকগত সম্পর্ক।

বন্দর, বন্দর নগরের ঘন ভিড়‘—পঙক্তিটির প্রথমে একই শব্দ দুবার ব্যবহার করা হয়েছে। এই রকম আরও চারটি পঙক্তি উদ্ধৃত কর। কবিতার ক্ষেত্রে এই ধরনের শব্দ ব্যবহারের কৌশল অবলম্বনের কারণ কী

উঃ  কবিতার মধ্যে একই শব্দ দুবার ব্যবহৃত হয়েছে এমন চারটি পঙক্তি হল—–

 ১. ছুঁয়ে গেছি বার-বার দুর্বার ইচ্ছায়। 

২. ঘরে ঘরে জ্বলে যায় স্বপ্নের মৃদু মোম।

৩. কেঁদে কেঁদে মরি শুধু ভাইরে। 

৪. খুঁজে খুঁজে ঘুরে ফিরি বাইরে।

কবিতার একই শব্দ পর পর দু-বার ব্যবহার করে কবিতার পঙক্তিকে শ্রুতিমধুর করা যায়, দুটি আলাদা অর্থ বোঝানো যায়। অনেক সময় একই শব্দ দুবার বসিয়ে অলংকার সৃষ্টি করা যায় ।

ধ্বনি পরিবর্তনের দিক থেকে শূন্য অংশগুলি পূর্ণ করো :

চন্দ্র   > চন্ন > চাঁদ 

রাত্রি > রাত্তির

পঞ্জর > পাঁজর

হাওয়ার গান কবিতায় ব্যবহৃত পাঁচটি ইংরেজি শব্দ লেখো। এই শব্দগুলির বদলে দেশি/বাংলা শব্দ ব্যবহার করে পঙক্তিগুলি আবার লেখো। 

উঃ ‘হাওয়ার গান কবিতায় ব্যবহৃত পাঁচটি ইংরেজি শব্দ হল পার্ক; চিমনি; কার্পেট; সিনেমা; ডেক। 

পার্ক = (উদ্যান)—উদ্যানের বেঞ্চিতে ঝরা পাতা ঝর্ঝর। 

চিমনি = (ধু নালি)—ধূম্র নালির নিস্বনে, কাননের ক্রন্দনে। 

কার্পেট = (গালিচা)-আবছায়া গালিচা কুকুরের তন্দ্রায়।

সিনেমা = (চলচ্চিত্র)—যাত্রীরা চলচ্চিত্রে কেউ নাচে, গান গায়। 

ডেক = (জাহাজের পাটাতন)—অবশেষে থামে সব, জাহাজের পাটাতন হয় নির্জন।

Click Here To Download  The Pdf

ছন্নছাড়া| প্রশ্ন-উত্তরের সমাধান | Chonnochara | Class 8| Solved answer

1

ছন্নছাড়া 

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

সমস্ত প্রশ্ন-উত্তরের সমাধান

https://youtu.be/dpoiFRhEQCA

বিষয়সংক্ষেপ

কবিতার কথক একটি জরুরি কাজে ট্যাক্সি করে যাচ্ছিলেন। সামনে গলির মোড়ে একটি কঙ্কালসার গাছকে দেখে তিনি ভেবেছিলেন, এটি গাছের প্রেতচ্ছায়া। কারণ, তাতে কোনো পাতা বা সবুজের চিহ্নমাত্র ছিল না। আসলে গাছটি ছিল মৃতপ্রায় সমাজের প্রতীক, যে সমাজের মানবিকতা মরে গেছে। রাস্তার মোড়ে কতকগুলি ছন্নছাড়া বেকার যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ড্রাইভার সেদিক দিয়ে যেতে চাইলেন না। কারণ, তারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে। তারা নৈরাজ্যের বাসিন্দা।এই অস্থির ও বেকারত্বের যুগে  তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের কোন উপকরণ নেই। কিন্তু শর্টকাট হবে বলে কথক সেদিক দিয়ে ড্রাইভারকে জোর করে নিয়ে গেলেন এবং  সহানুভুতির বশবর্তী হয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তাদের ট্যাক্সি লাগবে কিনা। সঙ্গে সঙ্গে তারা আনন্দে চিৎকার করে উঠল এবং গাড়িতে উঠে সামনের ভিড় দেখিয়ে কথককে  বলল,সেই দিকে গাড়ি নিয়ে রওনা হতে । ভিড়টা কোনো জলসা বা চিত্র তারকার অভ্যর্থনার জন্য নয়। একটি সহায়-সম্বলহীন ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়েছে। তারা তাকে পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তুলতে তুলতে খুশির সঙ্গে চেঁচিয়ে বলল—“প্রাণ আছে, প্রাণ আছে”। এই চিৎকার যেন ঘোষনা ক্ষয়িষ্ণু সমাজের এখনও বেঁচে ওঠার আশা আছে। সব হারানো পরোপকারী ছন্নছাড়া ছেলে গুলিই মানবিকতার গান গেয়ে সমাজকে বাঁচিয়ে তুলছে । কথক  সেই ভিখিরির রক্তের দাগ থেকে নিজের শালীনতা ও ভদ্রতাকে রক্ষা করার জন্য গাড়ি থেকে নেমে গেলেন। ফিরে আসার সময় লক্ষ করলেন, মৃতপ্রায় গাছটিতে আবার হাজার হাজার সোনালি পাতা গজিয়েছে। শীতল ছায়া বিস্তার করছে গাছটি। কবি অবিশ্বাস্য চোখে দেখলেন সেই দৃশ্য।

হাতে কলমে

. অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখ।

উঃ  অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম হল—‘বেদে’ এবং ‘সারেঙ।

. তিনি কোন্ পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন ? 

উঃ তিনি কল্লোল পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর একটি বাক্যে লেখ :

. কবি প্রথমে গাছটিকে কেমন অবস্থায় দেখেছিলেন ? 

উঃ কবি প্রথমে গাছটিকে শূন্যের দিকে এলোমেলো ভাবে কতকগুলি শুকনো কাঠির কঙ্কাল ওঠা, লতা পাতাহীন , রুক্ষ, রুষ্ট, ছালবাকলশুণ্য সবুজের চিহ্নবিহীন  গাছের প্রেতচ্ছায়া রূপে দেখেছিলেন।

.ড্রাইভার বললে, ওদিকে যাব না। ওদিকে না যেতে চাওয়ার কারণ কী ? 

উঃ ওদিক দিয়ে গেলেই রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া কতকগুলি বেকার ছন্নছাড়া ছেলে গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে। তাই ডাইভার ওদিক দিয়ে যেতে চায়নি।

. তাই এখন পথে এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।সড়কের মাঝখানে, পথে এসে দাঁড়ানোর কারণ কী ?

উঃ বেকার যুবকদের আড্ডা দেওয়ার জন্য কলেজ, ক্রিকেটের ময়দান, বাস বা ট্রেন এমনকি অফিস-আদালতেও কোনো স্থান নেই,এমনকি  মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে ফালতু রকটি লোপাট হয়ে যাওয়ায় তারা পথে এসে দাঁড়িয়েছে।

. আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব, কবিরওখান দিয়েই যেতে চাওয়ার কারণ কী

উঃ কবির ‘খান’ দিয়ে যাওয়ার কারণ হল—ওখান দিয়ে গেলে তাঁর শর্টকাট হয়।

.ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড়’  ওখানে কীসের ভিড় ?

উঃ এক বেওয়ারিশ ভিখারি গাড়ি চাপা পড়ায় ওখানে মানুষের ভিড় জমেছে।

. কে সে লোক ? –‘লোক’-টির পরিচয় দাও। 

উঃ লোকটি হল সহায়সম্বলহীন এক বেওয়ারিশ ভিখিরি। সে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে।

.৭। চেঁচিয়ে উঠল সমস্বরে…’—কী বলে তারা সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠল ? 

উঃ  দুর্ঘটনাগ্রস্ত ভিখিরিটিকে ট্যাক্সিতে তোলার সময় ছেলে গুলি বুঝতে পারে যে সে জীবিত, তাই তারা  দেহে প্রাণ আছে, প্রাণ আছে বলে সমস্বরে চিৎকার করে উঠেছিল।

.আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি‘—কবি তাড়াতাড়ি নেমে পড়লেন কেন

উঃ কবি ভিখিরির দেহের রক্তের দাগ থেকে তথাকথিত  ভদ্রতা ও শালীনতাকে বাঁচানোর জন্য তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন।

.ফিরে আসতেই দেখি…’ ফেরার পথে কবি কী দেখতে পেলেন ? 

উঃ  ফেরার পথে কবি দেখলেন, গলির মোড়ে শুকনো প্রেতরুপ গাছটি সোনালি কচি পাতায়, গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলে, ফুলের সুবাসে-গন্ধে আর রং-বেরঙের পাখিতে ভরে গিয়েছে।

.১০অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম’ –কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘোর কেন

উঃ আপাত প্রাণহীন, শুষ্ক, নীরস, রুক্ষ গাছের মধ্যে হঠাত লুকোন অন্তহীন সজীব প্রাণের প্রকাশ দেখে কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘোর লেগে যায়।

নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও

., ওই পথ দিয়ে/জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।কবির যাত্রাপথের অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও। 

উঃ কবি তাঁর এক বিশেষ প্রয়োজনে ট্যাক্সি করে যাচ্ছিলেন। যাবার পথে গলির মোড়ে তিনি দেখেন একটি মৃত  গাছ শূন্যের দিকে এলোমেলো ভাবে কতকগুলি শুকনো কাঠির কঙ্কাল নিয়ে , লতা পাতাহীন , রুক্ষ, রুষ্ট, ছালবাকলশুণ্য সবুজের চিহ্নবিহীন  গাছের প্রেতচ্ছায়া রূপে  দাড়িয়ে আছে । কিছুদূরে কয়েকজন ছন্নছাড়া বেকার যুবক দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিল ।তাদের  দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, গাড়ির চালক সে দিক দিয়ে যেতে চাইলেন না। কারণ, তাদের সামনে গেলেই তারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে। কিন্তু ওদিক দিয়ে গেলে কবির শর্টকাট হয় বলে, তিনি ড্রাইভারকে জোর করে নিয়ে গেলেন। তাদের সামনে হাজির হতেই জিজ্ঞাসা করলেন, তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না। সঙ্গে সঙ্গে তারা আনন্দের সঙ্গে চিৎকার করে বলে উঠে কবিকে নিয়ে হাজির হয় এক মানুষের জটলার কাছে । সেখানে গাড়ি চাপা পড়া এক অসহায় বেওয়ারিশ ভিখিরি পড়ে ছিলো তারা সেই রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরিটিকে পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সিতে তুলতে তুলতে সমস্বরে চেঁচিয়ে বলে ওঠে “প্রাণ আছে, প্রাণ আছে”। কবি রক্তের দাগ থেকে নিজের তথাকথিত ভদ্রতা ও শালীনতাকে রক্ষা করতে গিয়ে কবি গাড়ি থেকে নেমে গেলেন।

. গলির মোড়ে একটা গাছ দাঁড়িয়ে গাছ না গাছের প্রেতচ্ছায়া— —একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে বলেও কেন পরের পঙক্তিতে তাকেগাছের প্রেতচ্ছায়াবলা হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।

উঃ গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাছটিকে দেখে কবির প্রথমে গাছ বলে মনে হলেও পরবর্তীকালে তাঁর মনে হয়েছে, সেটি গাছের প্রেতচ্ছায়া। কারণ, এদিকে-ওদিকে বাঁকানো কতকগুলি শুষ্ক কাঠির কঙ্কালের মতো তার ডালপালা  শূন্যের দিকে তোলা ছিল। সেগুলি এতটাই রুক্ষ-রিক্ত-জীর্ণ যে, তার শরীরের কোথাও কোন লতাপাতা, ছাল-বাকলের চিহ্ন নেই। নেই কোথাও এক বিন্দু সবুজের প্রতিশ্রুতি বা আভাস এবং সামান্যতম রসের সম্ভাবনা। তাই গাছটিকে কবি ‘গাছের প্রেতচ্ছায়া’ বলেছেন ।

. ওই পথ দিয়ে/জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।এভাবে কবিতায় উত্তমপুরুষের রীতি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, অন্তত পাঁচটি পঙক্তি উদ্ধৃত করে বুঝিয়ে দাও।

উঃ আলোচ্য কবিতাটিতে বেশ কয়েকটি উত্তম পুরুষের রীতি ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন- (১) “ওই পথ দিয়ে জরুরী কাজে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে”, (২) “জিজ্ঞেস করলুম, তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে?” (৩) “ওখান দিয়েই আমার শর্টকাট”, (৪) “ফিরে আসতেই দেখি”, (৫) “অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম”—উল্লিখিত প্রতিটি চরণেই উত্তম পুরুষের রীতি ব্যবহার করা হয়েছে ।

.কারা ওরা ?’—কবিতা অনুসরণে ওদের পরিচয় দাও।

উঃ আলোচ্য কবিতাটিতে ওরা বলতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া একদল ছন্নছাড়া যুবকের কথা বলা হয়েছে। ওরা আসলে সমাজের শিক্ষিত যুবকের দল যারা বেকারত্ব ও দারিদ্রতার স্বীকার। ওরা হচ্ছে, এক বিরাট নৈরাজ্যের অধিবাসী। ওদের বাস্তুভিটে রীতি-নীতি, আইন-কানুন, বিনয়-ভদ্রতা, শ্লীলতা-শালীনতা কিছুই নেই। ওদের জন্য কলেজে সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, কারখানায় কাজ নেই, ট্রামে-বাসে বসার জায়গা নেই, হাসপাতালে শয্যা নেই। এমনকি তাদের জন্য খেলার মাঠে স্থান নেই, অনুসরণ করার মতো যোগ্য নেতা নেই, কর্মে প্রেরণা সৃষ্টিকারী ভালোবাসাও নেই। আপনজনের সম্ভাষণে সহানুভূতি নেই। ওরা একদল ছন্নছাড়া, বেকার যুবক।

.ঘেঁষবেন না ওদের কাছে। এই সাবধানবাণী কে উচ্চারণ করেছেন ? ‘ওদেরবলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে ? ওদের কাছে নাঘেঁষার পরামর্শ দেওয়া হল কেন ?

উঃ উদ্ধৃত  সাবধান বাণীটি উচ্চারণ করেছেন গাড়ির অর্থাৎ, ট্যাক্সির চালক।

    ‘ওদের’ বলতে তথাকথিত একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের বোঝানো হয়েছে।

      ‘ছন্নছাড়া কবিতার ‘ওরা সমাজের নৈরাজ্যের মানুষ। ড্রাইভারের মতে  ওদের বাস্তুভিটে রীতি-নীতি, আইন-কানুন, বিনয়-ভদ্রতা, শ্লীলতা-শালীনতা কিছুই নেই। ওরা কেবল অকারণ সময় নষ্ট করে অন্যের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তাই ওদিক দিয়ে গেলে অহেতুক তারা লিফট চাইতে পারে, আর তাতে সেই চাওয়াকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাতে তাদের অকারণ দেরি হবার সম্ভাবনা থাকে। সেকারণেই বক্তা ওদের কাছে না-ঘেঁষার পরামর্শ দিয়েছেন।

.৬। তাই এখন এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের জীবনের এমন পরিণতির কারণ কবিতায় কীভাবে ধরা পড়েছে তা নির্দেশ করো। 

উঃ এখানে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া চোঙা প্যান্ট পরিহিত  রুক্ষ মেজাজ ও ভাগ্যপিড়ীত একদল ছন্ন ছাড়া বেকার যুবকদের কথা বলা হয়েছে।

     তাদের জীবনে এমন পরিস্থিতির কারণ হল সমাজে সৃষ্টি হওয়া অরাজকতা ও বেকারত্ব যা শিক্ষিত যুবকদের বেকারত্বের অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে । ওদের জন্য কলেজে সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, কারখানায় কাজ নেই, ট্রামেবাসে বসার জায়গা নেই। এক কথায় ভদ্রসমাজের কোন সুযোগ-সুবিধাই নেই। টাকা ও ক্ষমতার অভাবে মেলায় বা খেলায় টিকিট নেই, হাসপাতালে শয্যা নেই, খেলার জন্য মাঠ নেই, উদ্দীপিত করার মতো  যোগ্য নেতা নেই। ওদের প্রতি কারও কোনো সহানুভূতি নেই। তাই, এক মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে অপ্রয়োজনীয় রোয়াক ছিল তাদের আড্ডা দেওয়ার জায়গা। তাও চলে যাওয়ায় তারা অবশেষে সড়কের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে।

.জিজ্ঞেস করলুম, তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে ? প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার কোন অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে ? তাঁর এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়ার পর কীরূপ পরিস্থিতি তৈরি হল ?

উঃ  আলোচ্য প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার সহানুভূতিশীল দরদি মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে। বেকার, ছন্নছাড়া যুবকদের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশের জন্যই তিনি প্রস্তাবটি করেছিলেন।

 » প্রশ্নকর্তা প্রশ্নটি করা মাত্রই সেই ছন্নছাড়া বেকার যুবকগুলি একসঙ্গে উৎসাহে চিৎকার করে ওঠে “পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি” বলে। সঙ্গে সঙ্গে তিন তিনটি যুবক উঠে পড়ে ট্যাক্সিতে। সামনের ভিড় দেখিয়ে একজন বলে, ভিড়টি কোনো জলসা চিত্রতারকার জন্য নয়। একটি গাড়ি এক বেওয়ারিশ ভিখিরিকে চাপা দিয়ে চলে গিয়েছে। তাদের কয়েকজন গাড়িটিকে ধাওয়া করেছে আর তারা ফাঁকা ট্যাক্সি খুঁজছিল। ভিড়ের কাছে যাওয়াতে রাস্তার মাঝখানে রক্তে-মাংসে দলা পাকানো ভিখিরির শরীরটিকে তারা পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় ট্যাক্সিতে। ট্যাক্সিতে তোলার সময় তারা বুঝতে পারে যে ভিখিরিটি এখনও বেঁচে আছে, তখন তারা উল্লাসে চেঁচিয়ে উঠে তার বেঁচে থাকার দাবিকে সমর্থন জানায় ও ট্যাক্সিকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যেতে বলে।

.৮। প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে। এই দুর্মর আশাবাদেরতপ্ত শঙ্খধ্বনিকবিতায় কীভাবে বিঘোষিত হয়েছে তা আলোচনা করো। 

উঃ একটি বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবক ফাঁকা ট্যাক্সি খুঁজছিল এবং সেটি পেয়ে যাওয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তারা ঘটনাস্থলে যায়। রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরির শরীরটিকে তারা পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় ট্যাক্সিতে। শরীরটি তোলার সময়ই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে চেঁচিয়ে ওঠে—শরীরটিতে এখনও প্রাণ আছে বুঝতে পেরে। এইভাবেই শহরের ইট-কাঠ পাথরে পরিবেষ্টিত দয়া-মায়াহীন পরিবেশের মধ্যে থেকে একটি মায়া-মমতাপূর্ণ বিশ্বাসের জয় শঙ্খধ্বনি ধ্বনিত হয়ে উঠে—“প্রাণ আছে, প্রাণ আছে” কথাগুলির মাধ্যমে। কারণ, প্রাণ থাকলেই মর্যাদা থাকে এবং সমস্ত বাধা প্রতিবন্ধকতার বাইরেও থাকে অস্তিত্বের অধিকার। এখানে মৃতপ্রায় ভিখারি যেন মরতে বসা সমাজের রুপক, কিন্তু এই সর্বহারা ছন্নছাড়া যুবকদের মানবিকতার ছোঁয়ায় তাতে প্রান ফিরে এসেছে।

. কবিতায় নিজের ভব্যতা শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটির ছন্নছাড়া‘-দের প্রতি যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা বুঝিয়ে দাও।

উঃ কবিতায় নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটি হলেন কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত ।

             কবি গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একদল বেকার ছেলেদের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশের উদ্দ্যেশে তাদের কাছে গিয়ে কবি জিজ্ঞাসা করেন তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না। কবি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন তাদের দুর্দশাকে। যদিও পরবর্তীকালে তাদের পরোপকারী সুলভ মানসিকতা দেখে তিনি তফাতে সরে গিয়েছেন কারন তাদের মতো সবটুকু দিয়ে নিজের ভদ্রতা বিসর্জন দেবার মতো ক্ষমতা তার ছিল না । তবু এই কর্কশ-নীরস ইট-কাঠপাথর পরিবেষ্টিত পরিবেশের মধ্যেও তার এই আচরণ আসলে  ‘ছন্নছাড়া’ বলে পরিচিতদের প্রতি কবির আন্তরিক সহানুভূতিপূর্ণ অনুভূতির প্রকাশ ।

.১০ কবিতায়গাছটি কীভাবে প্রাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা আলোচনা কর।

উঃ আলোচ্য কবিতায় গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাছকে দেখে কবির মনে হয়েছিল, সেটি গাছের প্রেতচ্ছায়া। কারণ, আঁকা-বাঁকা শুকনো কতকগুলি কাঠির কঙ্কালের মতো গাছটির ডাল-পালাগুলি শূন্যে তোলা ছিল। আহত ভিখারি যেভাবে রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে পড়েছিল তাতে তার শরীরে প্রাণের উপস্থিতি নিয়ে সংশয় ছিল। তা ছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া ছন্নছাড়া যুবকদের দেখেও বোঝার উপায় ছিল না তাদের মধ্যেও দয়া-মায়া এবং পরোপকারী সুলভ মন লুকিয়ে আছে। অর্থাৎ গাছটি যেন এই মৃতপ্রায় সমাজের প্রতীক। পরে দেখা গেল সেই বেকার যুবকদল কোনো প্রত্যাশা না রেখে, সমজের অবহেলিত দলাপাকানো ভিখারিকে নিয়ে হাসপাতালের ছুটেছিল। তাদের এই মানবিক কাজ যেন এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজে প্রান ফিরিয়ে আনল। তাই কবি যখন ফিরছেন, তখন তিনি দেখতে পান—গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কঙ্কালসার গাছটির মধ্যেও কচি-কচি পাতার চিহ্ন দেখা দিয়েছে। প্রানের লক্ষন ফুটে উঠেছে তাতে ।এভাবেই গাছটি প্রাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে কবিতায় ।

.১১এক ক্ষয়হীন আশা। এক মৃত্যুহীন মর্যাদা।‘—প্রাণকে কবির এমন অভিধায় অভিহিত করার সংগত কারণ নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করো। 

উঃ ‘ছন্নছাড়া কবিতায় কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রাণকে’ দুটি বিশেষণে বিশেষায়িত করেছেন। প্রথমত, এক ক্ষয়হীন আশা’—যে আশা বা আকাঙ্ক্ষার কখনও ক্ষয় হয়। বা সমাপ্তি হয় না। দ্বিতীয়ত, এক মৃত্যুহীন মর্যাদা’ অর্থাৎ, যে মর্যাদা অমর । আপাত দৃষ্টিতে রাস্তায় চাপা পড়া বেওয়ারিশ ভিখিরি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া ছন্নছাড়া যুবকের দল এদের দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে সমাজ এখনও বেঁচে আছে। কিন্তু যখন বেকার যুবকদল কোনো প্রত্যাশা না রেখে, সমজের অবহেলিত দলাপাকানো ভিখারিকে নিয়ে হাসপাতালের ছুটেছিল তখন  তাদের এই মানবিক কাজ যেন এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজে প্রান ফিরিয়ে আনল। অর্থাৎ সমাজের বেঁচে ওঠার আশার কোন ক্ষয় নেই, আর প্রাণ থাকলেই মর্যাদা থাকে এবং সমস্ত বাধা প্রতিবন্ধকতার বাইরেও থাকে অস্তিত্বের অধিকার।

8 নীচের প্রতিটি শব্দের দল বিভাজন করে দেখাও : এলোমেলো, ছন্নছাড়া, নৈরাজ্যে, বাসিন্দে, শালীনতা, আত্মীয়তা, শঙ্খধ্বনি, পত্রপুঞ্জে।

এলোমেলো = এ -লো – মে – লো (মুক্তদল—এ, লো, মে, লো (৪টি), রুদ্ধদল—শূন্য]।

ছন্নছাড়া = ছন্ – ন – ছা – ড়া (মুক্তদল-ন, ছা, ড়া (৩টি), রুদ্ধদল-ছন্ (১টি)] ।

নৈরাজ্যে = নৈ – রাজ্ –  জে [মুকদল — নৈ, জে (২ টি), রুদ্ধদল -রাজ্ (১টি)]।

বাসিন্দে = বা – সিন্ – দে [মুক্তদল-বা, দে (২ টি), রুদ্ধদল-সিন (১টি)]।

শালীনতা = শা- লী – ন – তা [মুক্তদল– শা, লী, ন, তা (৪টি), রুদ্ধদল—শূন্য] ।

আত্মীয়তা = আত্ – তী – য় – তা (মুক্তদল—তী, য়, তা (৩টি), রুদ্ধদল—আত (১টি)] ।

শঙ্খধ্বনি = শঙ্ – খ- ধ্ব – নি (মুক্তদল—খ, ধ্ব, নি (৩টি), রুদ্ধদল—শঙ্ (১টি)]।

পত্রপুঞ্জে = পত্ -ত্র -পুন্-  জে (মুক্তদল -ত্র  , জে (২ টি), রুদ্ধদল – পত, পুন্ (২ টি)]।

নীচের প্রতিটি শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্ণয় কর: বর্তমান, ভদ্রতা, সম্ভাষণ, গতি, ভিখিরি, ভব্যতা, রুষ্ট, জিজ্ঞেস, পিছে।

বর্তমান =বৃৎ + শানচ  (মান)।

ভদ্রতা  =ভদ্র + তা।

সম্ভাষণ = সম্ – ভাস্ + অনট।

গতি =গম্+ক্তি।

ভিখিরি = ভিখ + আরি (ইরি)।

 ভব্যতা = ভূ + য (র্তৃ)+ তা।

রুষ্ট = রুষ্ + ত (র্তৃ )।

জিজ্ঞেস = জ্ঞা-সন্ + এ + অ ।

পিছে = পিছ্  + এ ।

নীচের শব্দগুলিতে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন্ কোন্ নিয়ম কাজ করেছে তা দেখাও : জুতো, বাসিন্দে, ক্ষেত, চোখ, কদ্দুর , ভিখিরি।

জুতো = জুতা > জুতো (স্বরসংগতি)।

 বাসিন্দে = বাসিন্দা > বাসিন্দে (স্বরসংগতি)।

ক্ষেত = ক্ষেত্র > ক্ষেত (ধ্বনিলোপ)।

চোখ = চক্ষু > চোখ (সমীভবন)।

কদ্দুর =কত দূর >কদ্দুর (পরাগত সমীভবন)।

ভিখিরি =  ভিখারি > ভিখিরি (স্বরসংগতি)।

নিম্নলিখিত পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো : প্রেতচ্ছায়া, ছালবাকল, ক্ষুধাহরণ, সোল্লাসে, স্নেহার্দ, শঙ্খধ্বনি।

প্রেতচ্ছায়া = প্রেতের ছায়া। (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)

ছাল-বাকল = ছাল ও বাকল। (সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস)

ক্ষুধাহরণ = ক্ষুধাকে হরণ। (কর্ম তৎপুরুষ সমাস)

সোল্লাসে = উল্লাসের সহিত বর্তমান। (সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস)

স্নেহার্দ = স্নেহ দ্বারা আর্দ্র। (করণ তৎপুরুষ সমাস)

শঙ্খধ্বনি = শঙ্খের ধ্বনি। (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)

কোন শব্দে কী উপসর্গ আছে আলাদা করে দেখাও : প্রতিশ্রুতি, বেওয়ারিশ, অনুসরণ, প্রচ্ছন্ন, অভ্যর্থনা, অধিকার।

প্রতিশ্রুতি = প্রতি-উপসর্গ।

বেওয়ারিশ = বে-উপসর্গ (বিদেশি উপসর্গ)।

অনুসরণ = অনু-উপসর্গ।

প্রচ্ছন্ন প্র-উপসর্গ।

অভ্যর্থনা = অভি-উপসর্গ।

অধিকার = অধি-উপসর্গ।

নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো

৯.১ ওই পথ দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে। (জটিল বাক্যে) 

–ওই যে পথ সেখান দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।

৯.২ দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। (যৌগিক বাক্যে) 

–দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার যুবক রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এবং আড্ডা দিচ্ছে।

৯.৩ কারা ওরা ? (প্রশ্ন পরিহার করো) 

–ওদের পরিচয় জানতে চাইছি।

৯.৪ ঘেষবেন না ওদের কাছে। (ইতিবাচক বাক্য)

–ওদের কাছে ঘেঁষা থেকে বিরত থাকুন।

৯.৫ একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্থূপ। (না-সূচক বাক্যে)

–একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্কুপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

৯.৬ জিজ্ঞেস করলুম, তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে ? (পরোক্ষ উক্তিতে) 

— তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না জিজ্ঞাসা করা হল।

৯.৭। আমরা খালি ট্যাক্সি খুঁজছি।(জটিল বাক্যে)  

–আমরা এমন ট্যাক্সি খুঁজছি যা খালি।

৯.৮ দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠেছে ফুল। (ক্রিয়ার কাল নির্দেশ কর)  

–পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

Click Here  To Download The PDF

Model Activity Task | Class 8 | Science Part -3

0

Model Activity Task | Class 8 | Science Part -3

পরিবেশ বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পর্ব 3

নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর লেখ :

. তড়িতের প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে সমীকরণসহ এমন উদাহরণ দাও।

: সালফিউরিক অ্যাসিড মেশানো চল তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। এই অ্যাসিড মেশানো জলের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ ঘাটালে জলের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়।জল বিশ্লিষ্ট হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট দুটি আলাদা গ্যাস হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এ পরিণত হয়। এই ধরনের বিক্রিয়া কে বলা হয় ইলেকট্রোলাইসিস বা তড়িৎ বিশ্লেষণ।

বিক্রিয়ার সমীকরণ: 2H2O -> 2H2+O2

. অনুঘটক বলতে কী বোঝায় উপযুক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমীকরণসহ ব্যাখ্যা করো।

উ: যেসব রাসায়নিক পদার্থ বিক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার বেগ বাড়ায় কিংবা কমায় কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে নিজের সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকে, সেই সমস্ত রাসায়নিক পদার্থকে অনুঘটক বা ক্যাটালিস্ট বলা হয়।

যেমন ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড হলো এক প্রকারের ধনাত্মক অনুঘটক। অক্সিজেন প্রস্তুতিতে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড ব্যবহার করলে সহজে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।পটাশিয়াম ক্লোরেট কে সাধারনত 600 থেকে 650 ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ণতায় উত্তপ্ত করলে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। কিন্তু পটাশিয়াম ক্লোরেট এর সঙ্গে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড মিশ্রিত করে মাত্র 200 থেকে 250 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় উত্তপ্ত করলে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড বিক্রিয়ার বেগ বৃদ্ধি করে।

. রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটককে সূক্ষ্ম চূর্ণ অথবা সর তারজালির আকারে রাখা হয় কেন তা ব্যাখ্যা করো

উ: কারণ গুড়ো করলে অনুঘটক এর ক্ষেত্রফল বাড়ে। কঠিনের উপরিতলে যত বেশি সংখাক অণু, পরমাণু বা আয়ন বিক্রিয়ার সুযোগ পায় বিক্রিয়া ঘটে তত তাড়াতাড়ি। অনুঘটকের কাজও ঘটে তাড়াতাড়ি। তাই রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটক ব্যবহার করলে তা সুক্ষ্ম গুঁড় বা সরু তারজলি আকারে রাখা হয়।

. মানবদেহে উৎসেচকের গুরুত্ব উল্লেখ কর।
উ: মানবদেহে উৎসেচক এর গুরুত্ব অপরিসীম।খাদ্যনালীতে শর্করা জাতীয় খাদ্যের পরিপাক করে অ্যামাইলেজ ও লাইপেজ নামক দুই উৎসেচক।
আবার হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কে সাধারন তাপমাত্রায় ভেঙে দেয় ক্যাটালেজ নামক উৎসেচক।
কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি উৎপন্ন করতে লাগে সাইটোক্রোম অক্সিডেজ উৎসেচক।
এছাড়াও মানুষের লালারসে থাকা বিভিন্ন উৎসেচক বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান কে ভাঙতে সাহায্য করে।

মানুষের পাচন ক্রিয়া অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন উৎসেচক:

উৎসেচকের নাম

উৎস

সাবস্ট্রেট এর নাম

অ্যামাইলেজ

অগ্নাশয়

শ্বেতসার

টায়ালিন

লালাগ্রন্থি

সেদ্ধ শ্বেতসার

ল্যাকটোজ

আন্ত্রিক গ্রন্থি

ল্যাকটোজ শর্করা

ট্রিপসিন

অগ্নাশয়

পেপটোন

রেনিন

পাক গ্রন্থি

দুগ্ধ প্রোটিন

লাইপেজ

পাট গ্রন্থি

ফ্যাট

মল্টেজ

লালাগ্রন্থি

মলটোজ

. খাবার সোডা টারটারিক অ্যাসিডের কেলাস মেশালে কোন বিক্রিয়া হয় না, কিন্তু জল দিলেই দ্রুত বিক্রিয়া ঘটে।ব্যাখ্যা করো।

উ: খাবার সোডা ও টারটারিক এসিডের কেলাস মেশালেই বিক্রিয়া শুরু হয় না কারণ তাদের অনু বা আমরা পরস্পর মেশার সুযোগ পায় না। জলীয় মাধ্যমে খাবার সোডা ও টারটারিক এসিডের আয়ন কে মুক্ত করে দেয়। তখন খুব সহজেই তাদের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। বিক্রিয়াটি কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় বুদবুদ  সহ বের হতে থাকে।

Click here  To Download The Pdf

error: Content is protected !!