Model Activity Task 2021 September
Model Activity Task Part – 6 | Class- 8 | Bengali
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | সেপ্টেম্বর
অষ্টম শ্রেণী |বাংলা | পার্ট –৬
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ ‘তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও‘ – কার পাশে দাঁড়ানোর এই আহ্বান?
উঃ- মানবিকবোধ সম্পন্ন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাড়াও’ কবিতায় মনুষ্যত্ব, বিবেকবোধ ইত্যাদি,গুণসম্পন্ন মানুষকে অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অবক্ষয়ী সমাজে জীবন-যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। সুতরাং, মানুষ হয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার-উৎপীড়ন না-চালিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে কবি আর্তি জানিয়েছেন।
১.২ ‘রমেশ অবাক হইয়া কহিল, ব্যাপার কী?’ – উত্তরে চাষিরা কী বলেছিল?
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশ থেকে জানা যায় যে গ্রামের চাষিদের একমাত্র ভরসা ছিল গাঁয়ের একশো বিঘা জমি। কিন্তু টানা বৃষ্টির ফলে সেই জমিতে জল জমে গ্যাছে। এই জল বার করে দেবার একমাত্র উপায় হল জমিদারির দক্ষিন দিকের বাঁধ কেটে ফেলা। কিন্তু এই বাঁধ লাগোয়া জমিদারির এক জলা আছে যা থেকে জমিদারদের আয় হয় এবং তাই বাঁধ কাটতে তারা চান না। এই গভীর বিপদ থেকে রক্ষা পেতেই তারা দয়ালু জমিদার রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়েছিল ।
১.৩ ‘একটি স্ফুলিঙ্গ–হীন ভিজে বারুদের স্তুপ।‘ – কাদের দেখে একথা মনে হয়?
উঃ’ছন্নছাড়া’ কবিতাটিতে স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তুপ।’ বলতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া একদল ছন্নছাড়া যুবকের কথা বলা হয়েছে যারা চোঙা প্যান্ট,চোখা জুতো, ও কড়া মেজাজে বিদ্যমান।ওরা আসলে সমাজের শিক্ষিত যুবকের দল যারা বেকারত্ব ও দারিদ্রতার স্বীকার তাই তাদের ভিতরে শিক্ষা থাকলেও নৈরাজ্যের স্বীকার হয়ে তা অকেজো হয়ে পড়েছে।
১.৪ ‘গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।‘ – লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উঃ লেখক জগদীশচন্দ্র বসু গাছকে নিবিড়ভাবে ভালোবেসে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিকগুলিকে পর্যবেক্ষণ করে এমন মন্তব্য করেছেন। কারন তাঁর মনে হয়েছে, গাছের বৈশিষ্ট্যগুলি মানুষের মধ্যেকার নানান স্বভাব বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। মানুষের মতো এদের জীবনেও অভাব-অনটন এবং দুঃখকষ্ট আছে। অভাবে পড়ে এরাও মানুষের মত চুরি-ডাকাতি করে। মানুষের মধ্যে যেমন সদগুণ আছে, এদের মধ্যেও সেই সগুণের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। এরাও একে অন্যকে সাহায্য করে।
১.৫ ‘তবু নেই, সে তো নেই, নেই রে‘ – কী না থাকার যন্ত্রণা পঙ্ক্তিটিতে মর্মরিত হয়ে উঠেছে?
উঃ বুদ্ধদেব বসুর লেখা ‘হাওয়ার গান কবিতায় হাওয়াদের বাড়ি নেই অর্থাৎ, আশ্রয় নেই। হাওয়াদের বাড়ি না-থাকায় তারা পৃথিবীর সর্বত্র জলে-স্থলে, পাহাড়ে, বনজঙ্গলে বাড়ির খোঁজ করে বেড়ায়। কখনও শহরের ঘন ভিড়ে, কখনও বা জনহীন প্রান্তরে সর্বত্রই তারা বাড়ির খোঁজ করে। তাদের এই কোনো স্থায়ী ঠিকানা বা আপন আশ্রয় না থাকার যন্ত্রণা পঙ্ক্তিটিতে মর্মরিত হয়ে উঠেছে
১.৬ ‘ছন্দহীন বুনো চালতার‘ – ‘বুনো চালতা‘কে ছন্দহীন বলা হয়েছে কেন?
উঃ কবি জীবনানন্দ দাশ পাড়াগাঁর দ্বিপ্রহরকে ভালোবাসেন। সেই নিঝুম দুপুরে জলসিড়ি নদীর পাশে বুনো চালতার শাখাগুলি নুয়ে পড়ে, জলে তাদের মুখ দেখা যায়। কিন্তু বাতাসহীন দুপুরে বুনো চালতার দালে কোন দোলন দেখা যায় না। প্রকৃতিতে যেন ভিজে বেদনার গল্প আকাশের নীচে কেঁদে কেঁদে ভেসে বেড়াচ্ছে। আর সেই বেদনাতেই বুনো চালতা ছন্দহিন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ ‘দাঁড়াও‘ কবিতার ভাববস্তু আলোচনা করো।
উঃ মানবিকবোধ সম্পন্ন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘দাঁড়াও’ কবিতাটির মধ্যে মানুষের মানবিকতার অবক্ষয়ের দিকটিকে তুলে ধরেছেন। মানুষ’ শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে ‘মান’ ও ‘হুশ’ এর অর্থ। কিন্তু যত মানুষ আধুনিকতার শিখরে উত্তীর্ণ হয়েছে, ততই মানবিকতার অবক্ষয় দেখা গিয়েছে। মানুষ হয়ে উঠেছে আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, সুযোগসন্ধানী ও ক্ষমতালাোভী। মনুষ্যত্ব, বিবেকবোধ ইত্যাদি যেগুলি মানুষের সদগুণ বলে বিবেচিত, সেইসমস্ত গুণসম্পন্ন মানুষকে তিনি অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সমস্ত মানুষের কথা কবি সর্বদা মনে করেন এবং যেভাবেই হোক, প্রতিটি মানুষ প্রতিটি মানুষের পাশে এসে যেন দাঁড়ায়,এটাই কবিতার ভাববস্তু।
২.২ ‘রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল।‘ – রমেশের বিস্ময়ের কারণ কী?
উঃ উদ্ধৃত উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
রমেশ রমার কাছে বাঁধ কাটার প্রস্তাব নিয়ে উপস্থিত হয় কারন জলায় রমারও অধিকার রয়েছে। তারা দুজনে মত দিলে বেণীর অমত হলেও বাঁধ কেটে তারা জল বার করে দিতে পারবে।রমেশ আশা করেছিল চাষিদের বাঁচাতে বাঁধ কাটায় নিশ্চয় রমার মত থাকবে। সে ভাবে, রমা রাজি হলে একা বেণীর আপত্তিতে কোন কাজ হবে না। কিন্তু রমাকে বিষয়টি জানাতেই সে প্রথমে মাছের বন্দোবস্তের কথা জিজ্ঞাসা করে। রমেশ তখন অত জলে মাছের বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয় এবং এই সামান্য ক্ষতিটুকুকে মেনে নিতে অনুরোধ জানালে রমা সোজাসুজি জানিয়ে দেয়, অতগুলো টাকা সে লোকসান করতে পারবে না। রমা তখন তাকে জানাল তার বাধ কাটায় মত নেই এবং রমেশের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল প্রমানিত হল। এই অপ্রত্যাশিত আশাভঙ্গে রমেশ হতবুদ্ধি হয়ে গেল।
২.৩ ‘আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি।‘ – কথক কোথা থেকে, কেন নেমে পড়েছিলেন?
উঃ একটি বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবক ফাঁকা ট্যাক্সি খুঁজছিল। এমন সময় কবি সহানুভূতিশীল দরদি মনের পরিচয় দিয়ে তাদের গাড়িতে লিফট দিতে চায়।গাড়ি পেয়ে যাওয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তারা ঘটনাস্থলে যায়। রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরির শরীরটিকে তারা পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় ট্যাক্সিতে।কিন্তু কবি তাদের মত মানবিক নন, তাই ভিখিরির দেহের রক্তের দাগ থেকে ভদ্রতা ও শালীনতাকে বাঁচানোর জন্য তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন।
২.৪ জীবনের ধর্ম ‘গাছের কথা‘ রচনায় কীভাবে ব্যক্ত হয়েছে?
উঃ‘গাছের কথা’ নামক রচনায় বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু গাছের জীবনধর্মের আলোচনা প্রসঙ্গে জীবনের স্বাভাবিক ও সাধারণ ধর্ম সম্পর্কে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। শুকনো ডাল আর জীবিত গাছের তুলনা করে তিনি বলেছেন— বিকাশ, বৃদ্ধি ও গতি হল জীবনের ধর্ম। শুকনো ডালের এই বৈশিষ্ট্য নেই।‘গতি’ বোঝাতে লেখক লতানো গাছের উদাহরণ দিয়েছেন। বিকাশ ও পরিণতি যে প্রাণের ধর্ম— তা বোঝাতে তিনি বীজ ও ডিমের কথা বলেছেন। উত্তাপ, জল ও মাটির সংস্পর্শে বীজ থেকে অঙ্কুরোদগম হয় এবং তা থেকে যথাসময়ে চারাগাছ বৃদ্ধি পেয়ে পরিণত হয়ে ওঠে। অনুরূপভাবে, মানব জীবনেও উপযুক্ত পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
২.৫ ‘কী করে বুঝব, আসলে কী করতে হবে?’ – উদ্ধৃতিটির আলোকে ‘বুকু‘ চরিত্রটির অসহায়তার স্বরূপ উদ্ঘাটন করো।
উঃ বুকুকে দুপুরবেলা তার মা একশোবার ধরে বুঝিয়েছে, সব সময় সত্য কথা বলতে হবে এবং কারও কাছে কোনো কিছু গোপন করা উচিত নয়। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী কোথায় কেমন আচরণ করা উচিত তিনি তার শিক্ষা দেননি। তাই অতিথিদের অসময়ে বাড়িতে আসা প্রসঙ্গে মা ও বাবা যে যে মন্তব্য গুলি করেছেন এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, সেগুলিকে সে অতিথিদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। কারণ, মা ঘরের ভিতরে অসন্তুষ্ট হলেও বাইরে অতিথিদের সামনে খুব আনন্দ করছিলেন। ছেনু মাসিদের সঙ্গে আসা ছেলেটি আলমারি ভেঙে বই বের করে ছড়ালে তাকেও বেশ কয়েকটি কথা শুনিয়ে দেয় বুকু। বাবা অফিস থেকে ফিরে অতিথিদের সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছেন, তাও বুকু সবাইকে জানিয়ে দেয়। বুকু বুঝতে পারেনি, বড়োরা যে আচরণ প্রতিদিন ছোটোদের শেখায় সেই আচরণ বাস্তব জীবনে ছোটোরা করে ফেললে বড়ওরা ক্ষেত্রবিশেষে তাদের শেখানো আচরণকেই ভুল বলতে শেখায়। ছোট্ট বুকু ভেবেছিল, মা হয়তো সত্য কথা বললে সন্তুষ্ট হবেন। উলটে যে তাকেই মার খেতে হতে পারে সে ভাবেনি। অর্থাৎ সরল, স্বাভাবিক ছয় বছরের শিশু বুকুর পক্ষে স্থানকাল-পাত্র বিবেচনা করে কথা বলার দক্ষতা গড়ে ওঠেনি বলেই সে অসহয়তার সম্মুখীন হয়েছে।
২.৬ ‘আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প‘ – গল্পটি বিবৃত করো।
উঃ গল্পটি হল, নাটোরে অনুষ্ঠিত প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে বাংলা ভাষার প্রচলন। লেখক-শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্যদের সঙ্গে গিয়েছিলেন নাটোরে। সে এক হৈ হৈ রৈ রৈ ব্যাপার। প্রথমে স্পেশাল ট্রেন ও পরে স্টিমারে করে পদ্মা পেরিয়ে নাটোর। এই সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি নাটোর-মহারাজ জগদিন্দ্রনাথ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় এক রাজকীয় আয়োজন। যেমন— খাওয়াদাওয়া, তেমনই অন্যান্য সব ব্যবস্থা। তারপর যথারীতি শুরু হয় গোলটেবিল বৈঠক এবং বক্তৃতা। ইংরেজিতে যেই বক্তৃতা শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে ‘বাংলা, বাংলা’ বলে অবনীন্দ্রনাথ ও তাঁর সঙ্গীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর কেউ আর ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে পারেননি। এমনকি ইংরেজি দুরস্ত লালমোহন ঘোষও শেষপর্যন্ত বাংলায় বলতে বাধ্য হন। এটি লেখকের মনে রাখার মতোই ঘটনা। এভাবেই কনফারেন্সে বাংলা ভাষা চালু হয়। এ সম্পর্কে লেখক জানান, সেই প্রথম আমরা পাবলিকলি বাংলা ভাষার জন্য লড়লুম।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ নির্দেশক বা বিবৃতিমূলক বাক্যের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ কোন কিছু সাধারণভাবে বর্ণনা করা হয় যে বাক্যে, তাকে বিবৃতিমূলক বাক্য বলে। যেমনঃ আজ দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
৩.২ শূন্যস্থান পূরণ করো :
আবেগসূচক বাক্য |
|
আনন্দ | আহা ! কী সুন্দর উপহার ! |
বিস্ময় | আহা! কী দদেখিলাম জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না! |
উচ্ছ্বাস | উফ! সমুদ্রের রূপ কি সুন্দর। |
ঘৃণা | ছিঃ কি কুৎসিত মূর্তি। |
৩.৩ উদাহরণ দাও :
ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য | চিতা বাঘ প্রচণ্ড জোরে দৌড়ায়। |
সাপেক্ষবাচক সর্বনাম | যারা প্রতিযোগিতায় নাম দিতে চাও তারা শিক্ষিকার কাছে নাম জমা দাও |
সর্বনামের বিশেষণ | তুমি খুব ভালো, আমি তত ভালো নই। |
আলংকারিক অব্যয় | তুমি কিন্তু কাজটা ভালো করলে না |
অসমাপিকা ক্রিয়া | ময়ূর পেখম তুলে নাচছে। |
৩.৪ ‘কাঁচা‘ ও ‘বসা‘ শব্দদুটিকে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করে বাক্য রচনা করো।
উঃকাঁচা
- কাঁচা বয়সে অনেকেই ভুল করে( কম বয়স)।
- তমাল ইংরাজীতে বড্ড কাঁচা(অদক্ষ)।
- আমি কখনই কাঁচা কাজ করি না(অপরিণত বুদ্ধি)।
- কাঁচা মালের অভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে(শিল্পের উপাদান)।
- কাঁচা সোনায় খাদ মিশিয়ে গহনা তৈরী করতে হয় (বিশুদ্ধ)।
বসা
- ছাত্রছাত্রীরা গাছের নীচে বসে আছে।( উপবেশন)
- বসে বসে খেলে কুবেরের ধন ফুরাতেও সময় লাগে না।( বিনা পরিশ্রমে )
- বটতলার মোড়ে স্বপ্নপ্রাপ্ত শিবলিঙ্গ বসিয়ে তপন শিম মন্দির বানানোর পরিকল্পনা করছে।( স্থাপন
- কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু শ্রমিক বসে রয়েছে। (কর্ম হীন )
- তার বলা কথাগুলি আমার মনে বসে গিয়েছে। ( দাগ কাটা )
৪. বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে – নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো।
তারিখ: ১২-০৭-২০২১
সম্পাদক
যুগান্তর পত্রিকা
ধারাকান্দী, গৌরীপুর-২২৭০, কলকাতা
বিষয়: নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবেদন
মহাশয়,
বাংলা একটি নদীপ্রধান এলাকা। নদী যেমন আমাদের জল, পলি দিয়ে সমৃদ্ধ করে ঠিক তেমনি প্রচণ্ড বন্যায় নদীর নিকটবর্তী এলাকাগুলি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়। প্রতি বছর মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও হুগলির খানাকুল বন্যার প্রকোপে জলমগ্ন হয়। কিন্তু তাই নয় বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে, গৃহহীন ও সম্পদহীন হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কৃষক।
এই প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। নদীর তীরবর্তী এলাকায় যেখানে পাড় সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা আছে সেখানে বাধ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারী ও এলাকার মানুষের উদ্যোগে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে এবং ক্ষয়প্রবণ অঞ্ছল থেকে বসতি সরিয়ে আনতে হবে।
নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় জনগুরুত্বপূর্ণ পত্রটি প্রকাশ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।
বিনীত-
হুমায়ূন কবির মাসুম
গৌরীপুর
Click here To Download The Pdf