Model Activity Task 2021 October
Model Activity Task Part –7| Class- 9| Math
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | অক্টোবর
নবম শ্রেণী| গ্ণিত | পার্ট –৭
Click here To Download The Pdf
Click here To Download The Pdf
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে বাংলা সাহিত্যে বিদেশি শব্দ ব্যবহারের যে সকল দৃষ্টান্ত লক্ষ করা যায় তা উল্লেখ করো।
উ:- প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলা সাহিত্যে বিদেশি শব্দের বিপুল ব্যবহারের কয়েকটি চমৎকার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন-
i.রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তাঁর সাহিত্যে সচ্ছন্দে ব্যবহার করে গেছেন ‘অব্ৰু’, ‘ইজ্জত’, ‘ইমান’ প্রভৃতি বিদেশি শব্দ।
ii.বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তিনিও তাঁর সাহিত্যের মধ্য দিয়ে বাংলা শব্দ ভান্ডারে ঢুকিয়ে দিয়ে গেছেন- ‘ইনকিলাব’, ‘শহীদ’ এই দুটি বিদেশি শব্দ।
iii. বিদ্যাসাগর স্বয়ং ছদ্মনামে যে সমস্ত সাহিত্য রচনা করেছিলেন সেখানেও তিনি চুটিয়ে আরবি-ফারসি বিদেশি শব্দের ব্যবহার করে গেছেন।
এছাড়াও, ‘আলালের ঘরে দুলাল’, ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ প্রভৃতি গ্রন্থে বিদেশি শব্দের বিপুল ব্যবহার বাংলা সাহিত্যে বিদেশি শব্দ ব্যবহারের দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
১.২ ‘পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নি কো’— উদ্ধৃতাংশে কোন কন্যার কথা বলা হয়েছে? পৃথিবীর কোনো পথ তাকে দেখেনি কেন?
উ:- উদ্ধৃতাংশটি বঙ্গ প্রকৃতির রূপমুগ্ধ কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
কন্যার পরিচয়– উদ্ধৃতাংশে কবি জীবনানন্দ দাশ কন্যা বলতে বুঝিয়েছেন বঙ্গ প্রকৃতির নীল সন্ধ্যাকে। সৌন্দর্যের বিচারে কবি বঙ্গ প্রকৃতির নীল সন্ধ্যার সৌন্দর্য কে কোনো কেশবতী কন্যা রূপে দেখেছেন।
কবি জীবনানন্দ দাশ দেখেছেন বঙ্গ প্রকৃতির বুকে আগত নীল সন্ধ্যা কোনো কেশবতী নারীর চুলের রঙ, সৌন্দর্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। নারীর চুলের স্পর্শ যেমন যেকোনো মানুষ অনুভব করতে পারে ঠিক তেমনি কবি বাংলার এই নীল সন্ধ্যার বিরল স্পর্শ অনুভব করে মুগ্ধ হন। কবি পৃথিবীর অনেক স্থান ঘুরেছেন, পৃথিবীর অনেক স্থানে তিনি সন্ধ্যা দেখেছেন কিন্তু বঙ্গ-প্রকৃতির সন্ধ্যার এই মোহিনী রূপ সৌন্দর্য তিনি আর কোথাও দেখেননি,উপভোগ করতে পাননি। তাই কবির দৃঢ় বিশ্বাস বঙ্গ প্রকৃতি ছাড়া, পৃথিবীর কোনো পথে এই কেশবতী কন্যা স্বরূপ নীল সন্ধ্যা কে দেখতে পাওয়া অসম্ভব।
১.৩…..তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন। – কাকে একথা লেখা হয়েছে? তাকে কেন প্রয়োজন?
উ:- উদ্ধৃতাংশটি স্বামী বিবেকানন্দ রচিত ‘চিঠি’ নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে।
আলোচ্য উক্তিটি স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর অন্যতম শিষ্যা কল্যাণীয়া মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতা কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
স্বামী বিবেকানন্দ জানিয়েছেন ভারতবর্ষের সমাজ, শিক্ষা, সভ্যতা সব স্তরে নারীরা চূড়ান্ত ভাবে বঞ্চিত। পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা পুরুষের সেবাদাসী ছাড়া আর কিছু নয়। এই পুরুষশাসিত সমাজের বুকে দাঁড়িয়ে নারীদের মুক্তি শিক্ষা এবং কল্যাণের জন্য একজন সিংহী-স্বরূপ নারীর প্রয়োজন। স্বামীজি মিস নোবেল এর মধ্যে নারীর সিংহী- স্বরূপ সমস্ত গুণ-পবিত্রতা, শিক্ষা, ঐকান্তিকতা সমস্তই দেখতে পেয়েছিলেন। তাই স্বামীজি ভারতবর্ষের নারী কল্যাণের জন্য পুরুষশাসিত সমাজে নারীর অধিকার ছিনিয়ে আনার জন্য মিস নোবেল এর মতই যোগ্য নারীর প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন
১.৪ ‘সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে –কে এমনটি করে থাকে? তার এমন করার কারণ কী?
উ:- উদ্ধৃতাংশটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত ‘আবহমান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
নিজের প্রাচীন জন্মভূমি অর্থাৎ গ্রামীণ বঙ্গ-প্রকৃতিকে ত্যাগ করে যে সমস্ত মানুষজন কর্মসূত্রে শহরে চলে যান সেই মানুষদের কথায় আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে।
কবি জানিয়েছেন, যে সমস্ত মানুষজন গ্রামীণ বঙ্গ-প্রকৃতির কোলে জন্মগ্রহণ করে কর্মসূত্রে শহরের চলে যায় তাদের মনে সুপ্ত পিপাসার মত লুকিয়ে থাকে গ্রামীণ বঙ্গ প্রকৃতিকে ফিরে পাওয়ার বাসনা। এই মানুষেরা গ্রামীণ বঙ্গ প্রকৃতিকে মনের মধ্যেই অনুভব করেন। শহরের বুকে গ্রামীণ ঘাসের সুগন্ধি উপাদান সেভাবে না পাওয়া গেলেও যারা একবার বঙ্গ-প্রকৃতিকে অনুভব করেছে, ভালোবেসেছে তারা মনে মনে ঘাসের গন্ধ অনুভব করে পরিতৃপ্ত হয়।
১.৫ ‘রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে কতকগুলি বনফুল তুলিয়া তাহার মালা গাঁথিল। —রাধারাণীর পরিচয় দাও। তার মালা গাঁথার উদ্দেশ্য কী?
উ:- উপরোক্ত উক্তিটি সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রাধারানী’ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
রাধারানীর পরিচয়– ‘রাধারানী’ পাঠ্যাংশ থেকে জানা যায় যে রাধারানী দশ-এগারো বছরের এক বালিকা তার বাড়ি শ্রীরামপুর। সে পিতৃহীনা। একদা ধনীর মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে চরম দরিদ্রগ্রস্থ।
রাধারানী দের জীবন ছিল চরম দরিদ্রতা ক্লিষ্ট। রাধারানীর মা কোনক্রমে কায়িক পরিশ্রম করে অন্নসংস্থান করতেন। কিন্তু হঠাৎ রাধারানীর মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আহার এবং মায়ের পথ্য সংস্থানের সমস্যা তৈরি হয়। রথের দিন রাধারানীর মায়ের অসুস্থতা বাড়ে। ওষুধ এবং খাবার কেনার একান্ত প্রয়োজনে নিরুপায় রাধারানী কয়েকটি বনফুল কুড়িয়ে এনে মালা গাঁথে। সেই মালা সে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাহেশের রথের মেলায় নিয়ে যায় যাতে দু-একটি পয়সা পেলে সে মায়ের পথ্যের এবং ন্যূনতম আহারের সংস্থান করতে পারে।
২. নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ ‘কেরোসিন’ উৎসগতভাবে কোন শ্রেণির শব্দ?
উ:- কেরোসিন শব্দটি ইংরেজি ভাষা থেকে গৃহীত হয়েছে।
অর্থাৎ উৎসগত দিক থেকে এটি একটি বিদেশি কৃতঋণ বা বিদেশি আগন্তুক শব্দ।
২.২ একটি মৌলিক শব্দের উদাহরণ দাও।
উ:- একটি মৌলিক শব্দের উদাহরণ হল- পা, হাত
২.৩ ‘নবগঠিত শব্দ’ বলতে কী বোঝ?
উ:- যে সমস্ত শব্দ একাধিক ভাষার শব্দের সংমিশ্রণে অর্থাৎ তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দের সাথে অপর কোন শব্দের সংযোগে কিংবা কোনো বিদেশী শব্দের অনুবাদের কারণে সৃষ্টি হয় সেই সমস্ত শব্দগুলিকে নবগঠিত শব্দ নবসৃষ্ট শব্দ বলে। যেমন- খানাতল্লাশি, ফুলমোজা
২.৪ পোর্তুগিজ ও হিন্দি ভাষার শব্দ যুক্ত করে তৈরি একটি মিশ্র শব্দের উদাহরণ দাও।
উ:- পর্তুগিজ এবং হিন্দি ভাষার শব্দ যোগে তৈরি একটি মিশ্র শব্দ হলো- পাউরুটি।
২.৫ Tear gas-এর বাংলায় অনূদিত শব্দটি কী?
উ:- ‘Tear Gas’-এর বাংলা অনুবাদ হল ‘কাঁদানে গ্যাস’।
Click Here To Download The Pdf
১। শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) ___ কলেরা ____ ও ___টাইফয়েড _____ জলবাহিত সংক্রামক ব্যাধি।
(খ) মিড-ডে মিলের রান্নার কাজে যুক্ত __মহিলাদের____ পরিবেশনের আগে ____সাবান _____ দিয়ে হাত ধুতে হবে।
(গ) ___ক্যান্সার ____ ও ___হৃদরোগ___ অসংক্রামক ব্যাধি।
২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
(ক) স্বাস্থ্যবিধান বলতে কী বোঝ?
উ:- স্বাস্থ্যবিধান হলো বিজ্ঞানসম্মত এমন একটি বিষয় যা জানলে শরীরকে সুস্থ, সুন্দর ও নীরোগ রাখা যায়। স্বাস্থ্যরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাকেই এক কথায় স্বাস্থ্যবিধান বলে।
(খ) স্বাস্থ্যবিধানের উদ্দেশ্যগুলি লেখো।
উ:- স্বাস্থ্য বিধান এর উদ্দেশ্য গুলি হল:
(গ) শিশুদের ক্ষেত্রে আয়োডিনের অভাব হলে কী কী উপসর্গ দেখা যায় তা লেখো।
উ:- শিশুদের ক্ষেত্রে আয়োডিনের অভাব হলে যে যে উপসর্গ দেখা যায় তা হলো –
i.পড়াশোনো ও অন্যান্য কাজে পিছিয়ে পড়া।
ii.কথা বলায় অসুবিধা, কথা বলতে না পারা।
iii. কানে শোনার দোষ, কানে শুনতে না পাওয়া।
iv.চোখে ট্যারাভাব।
v.গলগন্ড ।
vi.শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ না হওয়া।
৩। টীকা লেখো:
মিড–ডে মিল:
মিড-ডে মিল হলো ভারত সরকারের জাতীয় পুষ্টি সহায়তা প্রকল্প। বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তিকরণ, বিদ্যালয়ে ধরে রাখা ও তাদের উপস্থিতি বাড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলা এবং একই সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো। এই প্রকল্পে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে দুপুরে পুষ্টিকর আহারের ব্যবস্থা করা হয়।
নির্মল গ্রাম:
গ্রামের সার্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উন্নতির জন্য ভারত সরকার 2003 সালে নির্মল গ্রাম পুরস্কার চালু করেন। গ্রামে খোলা মাঠে মলত্যাগের অভ্যাস দূর করে সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। নির্মল গ্রামে প্রকাশ্যে মলত্যাগ নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য। প্রতিটি বাড়ি, বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিচ্ছন্ন শৌচাগার রাখতে হয়। এছাড়াও সমস্ত বর্জ্য পদার্থের স্বাস্থ্যসম্মত নিষ্কাশনের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। নির্মল গ্রামে বৃক্ষরোপন ও সবুজায়নের উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৪। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
(ক) স্বাস্থ্যবিধানের অভাবজনিত পাঁচটি রোগের নাম লেখো এবং ঐ রোগগুলি কী কী কারণে হয় তা লেখো।
উ:- স্বাস্থ্যবিধানের অভাবজনিত পাঁচটি রোগের নাম গুলি হলো –
(১) টাইফয়েড (২) ডায়ারিয়া (৩) ম্যালেরিয়া (৪) কলেরা (৫) ডেঙ্গু
i.টাইফয়েড:এটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়। দূষিত খাবার বা পানীয় জলের মাধ্যমে দেহে এই জীবাণু ছড়ায়।
ii.ডায়ারিয়া:এই রোগ দূষিত পানীয় জলের মাধ্যমে হয়। সঠিক ব্যাক্তিগত ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
iii.ম্যালেরিয়া: স্ত্রী এনোফিলিস মশার কামড়ে এই রোগ হয়।
iv.কলেরা:কলেরা রোগে আক্রান্ত রোগীর মল থেকে এই রোগ হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির মল, খাবার ও জলের সংস্পর্শে এসে খাবার ও জলকে দূষিত করে।
v.ডেঙ্গু:এডিস মশার কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। এডিস মশা পাত্রে জমা পরিষ্কার জলে জন্মায়। বর্ষাকালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে।
(খ) নীচের যোগাসনের ভঙ্গি শনাক্ত করে ফাঁকা ঘরে যোগাসনটির নাম লেখো এবং এই যোগাসনটির অনুশীলনের পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি ও উপকারিতা বর্ণনা করো।
উ:- উপরোক্ত যোগাসনটির নাম হলো পদহস্তাসন ।
যোগাসনটির অনুশীলনের পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি:
i.পা জোড়া অবস্থায় হাত শরীরের পাশে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
ii.হাতের চেটো নীচের দিকে করে শ্বাস নিতে নিতে দু-হাত মাথার উপর তুলতে হবে। হাত দুটো যেন কনুই সোজা অবস্থায় কানের সঙ্গে লেগে থাকে।
iii. দু-পায়ের হাটুকে সোজা রেখে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমরের উপরের অংশকে সামনের দিকে বাঁকিয়ে কপাল হাঁটুতে স্পর্শ করাতে হবে। হাত দুটো পায়ের দু-পাশে মাটি স্পর্শ করবে।
iv.এই অবস্থা কিছু সময় ধরে রাখার রাখার পর ধীরে ধীরে প্রারম্ভিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।
উপকারিতা:
i.মেরুদন্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।
ii.শরীরের পিছনের মাংসপেশির ব্যথা দূর করে।
iii. পেটের রোগ দূর করে।
Click Here To download The Pdf
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ আন্তঃভ্রান্তীয় অভিসরণ অঞ্চলে যে দুটি নিয়ত বায়ু মিলিত হয় তা হলো –
ক) দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু ও উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু
খ) উত্তর-পূর্ব মেরু বায়ু ও দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু
গ) উত্তর–পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ–পূর্ব আয়ন বায়ু
ঘ) উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু
১.২ বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হয় যে মেঘ থেকে সেটি হলো –
ক) সিরোকিউমুলাস
(খ) কিউমুলাস
(গ) স্ট্যাটাস
(ঘ) কিউমুলোনিম্বাস
১.৩ ঠিক ঝোড়াটি নির্বাচন করো –
ক) মেক্সিকো – ২৩ উত্তর অক্ষরেখার বিস্তৃতি
(খ) গ্রান্ড ক্যানিয়ন – কলোরাডো নদীর প্রথম পার্শ্বক্ষয়
গ) ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূল অঞ্চল— শীতকালীন বৃষ্টিপাত
ঘ) কানাডার কান্ঠ শিল্প – ক্রান্তীয় বনভূমির শক্ত কাঠের প্রাচুর্য
১.৪ জুন–জুলাই মাসে দক্ষিণ আমেরিকার যে দেশটিতে শীতকাল বিরাজ করে সেটি হলো–
ক) ভেনিজুয়েলা
(খ) গায়না
গ) উরুগুয়ে
ঘ) সুরিনাম
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
২.১ স্থানীয় বায়ু | ii) চিনুক |
২.২ বেশি উচ্চতার মেঘ | iv) সিরাস |
২.৩ দক্ষিণ আমেরিকার একটি হ্রদ | i) টিটিকাকা |
২.৪ পশুচারণভূমি | iii) এস্টেনশিয়া |
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ মেরু অঞ্চলে বায়ুর উচ্চচাপ সৃষ্টির দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উ:- 1.বরফাবৃত অঞ্চল: মেরু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বরফে ঢাকা থাকায় উষ্ণতা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। তাই এখানকার বাতাস ভীষণ শীতল ও ভারি ।
2.তীর্যক সূর্য রশ্মি: এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি তীর্যকভাবে পড়ায় তাপের অভাবে বাষ্পীভবনের পরিমাণ খুব কম হয়। ফলে অঞ্চলটি উচ্চচাপ যুক্ত অঞ্চলে পরিণত হয়।
৩.২ দক্ষিণ আমেরিকার নদীগুলির দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উ:- 1. আয়তন ও দৈর্ঘ্য:দক্ষিণ আমেরিকার নদীগুলি অধিকাংশ দৈর্ঘ্য এবং আয়তন বিশাল |
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ ‘প্রতীপ ঘূর্ণবাত ঘূর্ণবাতের বিপরীত অবস্থা’ – বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উ:- প্রতীপ ঘূর্ণবাত ঘূর্ণবাত এর বিপরীত অবস্থা এর কারণগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল-
1. শান্ত আবহাওয়া: ঘূর্ণবাতের আবহাওয়া অশান্ত থাকে। কিন্তু প্রতিভা ঘূর্ণবাতের রোদ্রজ্জল আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায।
2. বায়ুর গমন: ঘূর্ণবাতের বায়ু নিম্নমুখী হয় কিন্তু প্রতিপ ঘূর্ণবাতের বায়ু ঊর্ধ্বমুখী হয়।
3. ধ্বংসলীলা: ধন্যবাদ প্রচুর ধ্বংসলীলা চালালেও প্রতীপ ঘূর্ণবাত কোন ধ্বংস হয় না।
4.বায়ুর দিক পরিবর্তন: ঘূর্ণবাতের উত্তর গোলার্ধে বায়ু ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বায়ু ঘড়ির কাঁটার দিকে প্রবাহিত হলে ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত এর বিপরীতমুখী হয়।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৫.১ ‘হ্রদ অঞ্চল কৃষিকার্যে যথেষ্ট সমৃদ্ধ’ – ভৌগোলিক কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।
উ:-
হ্রদ অঞ্চল সমগ্র পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কৃষিসমৃদ্ধ অঞ্চল। এই অঞ্চলের কৃষির উন্নতির কারণগুলো হল—
i.সমতল জমি :হ্রদ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ সমতল জমি কৃষিজ ফসল উৎপাদনের জন্যে অত্যন্ত উপযোগী।
ii.পরিমিতি বৃষ্টিপাত ও উন্নতা:নাতিশীতোয় জলবায়ুর অন্তর্গত হ্রদ অঞ্চল পরিমিত বৃষ্টিপাত এবং উয়তার জন্যে কৃষিকাজে উন্নত।
iii. উর্বর মৃত্তিকা : এই অঞ্চলের উর্বর মৃত্তিকায় কৃষিজ ফসল উৎপাদন বেশি হয়।
iv.চাষযোগ্য জমির পরিমাণ বেশি:হ্রদ অঞ্চলে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ বেশি। ফলে বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়।
iv.উন্নত প্রযুক্তি ও উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি :এই অঞ্চলে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে ফসলের উৎপাদনের হার বেশি হয়।
v.জলসেচ :হ্রদগুলোর স্বাদু জল সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়। ফলে সেচের জলের অভাব হয় না।
vii. ঘনবসতি : অঞ্চলটি ঘনবসতিপূর্ণ। তাই শ্রমিকের যেমন অভাব হয় না; তেমনি কৃষিজ ফসলের প্রচুর চাহিদা আছে।
viii. শস্যাবর্তন : শস্যাবর্তন পদ্ধতিতে চাষের ফলে সারা-বছর ধরে ফসল উৎপন্ন হয়।
ix.সরকারি উন্নত নীতি :সরকার কৃষির উন্নতির জন্যে নীতি নির্ধারণ করেন।
Click Here To Download The Pdf
১. ‘ক‘ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ‘ স্তম্ভ মেলাওঃ
উ:-
‘ক‘ স্তম্ভ | ‘খ‘ স্তম্ভ |
১.১ আত্মীয় সভা | (খ) রামমোহন রায় |
১.২ জাতীয় মেলা | (ঘ)নবগোপাল মিত্র |
১.৩ সত্মশোধক সমাজ | (ক) জ্যোতিরাও ফুলে |
১.৪ আর্য সমাজ | (গ) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী |
২. শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ সাগরে কন্যাশিশু ভাসিয়ে দেওয়ার প্রথা নিষিদ্ধ করেন লর্ড ওয়েলেসলি |
২.২ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে বিধবা বিবাহ আন্দোলন শুরু হয় বীরেশলিঙ্গম পানতুলু _নেতৃত্বে।
২.৩ আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন _স্যার সৈয়দ আহমেদ খা___ |
২.৪ স্বামী বিবেকানন্দ _শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন।
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ বারাসাত বিদ্রোহ কী?
উ:- বারাসাত অঞ্চলের মির নিসার আলি (তিতুমির) ওয়াহাবি মতামতে অনুপ্রাণিত হন। তিতুমিরের নেতৃত্বেই নারকেলবেড়িয়া অঞ্চলে ওয়াহাবি আন্দোলন শুরু হয়। নদিয়া, ফরিদপুর প্রভৃতি অঞলেও ওয়াহাবি বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। তিতুমিরের আন্দোলন স্থানীয় জমিদার, নীলকর ও ব্রিটিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়।বিদ্রোহ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই তিতুমির ঘোষণা করেন কোম্পানি সরকারের শাসন শেষ হয়ে আসছে। বারাসাত অঞ্চলে একটি বাঁশের কেল্লা বানিয়ে নিজে বাদশাহ উপাধি নেন তিতু।একেই বারাসাত বিদ্রোহ বলে। অবশ্য নারকেলবেড়িয়া বা বারাসাত বিদ্রোহ দমন করার জন্য ব্রিটিশ-মধ্যে বাহিনী কামান দেগে বাঁশের কেল্লা ধ্বংস করে দেয় (১৮৩১ খ্রি:)।
৩.২ ‘নব্যবঙ্গ’ নামে কারা পরিচিত ছিলেন?
উ:- নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী: কলকাতার হিন্দু কলেজের শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও-র অনুগামী ছাত্রদের একসঙ্গে নব্যবঙ্গ বা ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী বলা হত। এদের ‘ডিরোজিয়ান’ বা ‘জিরোজিও পন্থী’-ও বলা হত। উনিশ শতকের বিশ, ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী নতুন চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেন।
৩.৩ মোপালা বিদ্রোহ কেন হয়েছিল?
উ:- মোপালা বিদ্রোহের কারণ দক্ষিণ ভারতের মালাবারের মোপালারা ছিলেন দরিদ্র কৃষক, কৃষি শ্রমিক, ছোটো ব্যবসায়ী ও জেলে। সেখানের গরিব কৃষকদের ওপর রাজস্বের বোঝা ও বিভিন্ন বেআইনি কর ব্রিটিশরা চাপিয়ে দিয়েছিল। জমিতে কৃষকদের অধিকারও অস্বীকার করা হয়। এইগুলি ছিল মোপালা বিদ্রোহের কারণ।
৪. চার–পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ সাঁওতাল বিদ্রোহের সমর্থনে ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ কেমন ভূমিকা পালন করেছিল?
উ:- সাঁওতাল বিদ্রোহের খবর কলকাতায় পৌঁছানোর পরে শিক্ষিত হিন্দু বাঙালিদের অনেকেই ঐ বিদ্রোহের বিরোধিতা করেন। এর অন্যতম ব্যতিক্রম ছিলেন হিন্দু প্যাট্রিয়ট সংবাদপত্রের সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। তিনি সত্য উদঘাটন কোরে বলেন সাওতালদের বিনা পারিশ্রমিকে জোর করে বেগার খাটানো হয়েছে। তাছাড়া অতিরিক্ত খাজনা দিতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে। হরিশচন্দ্র বলেন, যারা শান্তিপ্রিয় সাঁওতালদের উপর অত্যাচার করে তাদের বিদ্রোহ করতে বাধ্য করেছে, তাদেরই শাস্তি হওয়া উচিৎ। সাঁওতালদের শাস্তি প্রাপ্য নয়। সাঁওতালরা শুধু চায় নিজেদের জঙ্গল ও উপত্যকার মধ্যে স্বাধীনভাবে জীবন যাপনের অধিকার।
৪.২ ১৮৫৭–র বিদ্রোহের পর প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দুটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের উল্লেখ করো।
উ:-
ভাইসবয় পদের সৃষ্টি:মহাবিদ্রোহের পর ইংল্যান্ডে কোম্পানির ভারত প্রশাসন সংক্রান্ত বিষয়ে সংস্কার করা হয়। ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে পিটের ভারত আইন অনুসারে ‘বোর্ড অফ কন্ট্রোল’, ‘কোর্ট অফ ডাইরেক্টরস’, ‘সিক্রেট কমিটি’ লন্ডন থেকে ভারতীয় প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করত। এখন এই সংস্যাগুলি বাতিল করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট ইন্ডিয়া কাউন্সিল গঠিত হয়। এর সভাপতি হন ভারত সচিব (Secretary of the State for India)। তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার ভারত বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত একজন মন্ত্রী ছিলেন। তিনি তাঁর কাজের জন্য পার্লামেন্টের কাছে দায়ী থাকতেন। এ ছাড়া গভর্নর জেনারেল পদের নাম পরিবর্তন করে ভাইসরয় করা হয়। ভারতের প্রথম ভাইসরয় হন লর্ড ক্যানিং।
আইন পরিষদে ভারতীয়দের গ্রহণ:মহাবিদ্রোহের পর ভারতীয় প্রশাসনের সংস্কার সাধিত হয়। এ যাবৎ ভারতীয় প্রশাসনে ভারতীয়দের যোগদানের ব্যবস্থা ছিল না। মহাবিদ্রোহের পর ভারতীয় প্রশাসনে ভারতবাসীর মতামত গ্রহণের জন্য ভারতীয় পরিষদীয় আইন (Indian Council Act-1861) পাস হয়। এই আইন অনুসারে বড়োলাট বা ভাইসরয় এর আইন পরিষদের সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয় এবং সেখানে ভারতীয়দের নিযুক্তির ব্যবস্থা করা হয়। একইভাবে প্রদেশগুলিতেও (বাংলা, মাদ্রাজ ও বোম্বাই) ছোটোলাট বা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পরিষদে ভারতীয় সদস্য নিযুক্ত করা হয়।
Click Here To Download The Pdf
১. ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
১.১ আপেক্ষিক তাপের একক হলো–
(ক) ক্যালোরি g °C
(খ) ক্যালোরি / g °C
(গ) ক্যালোরি g / °C
(ঘ) ক্যালোরি °C/g
১.২ গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইডের তড়িৎবিশ্লেষণের সময়–
(ক) অ্যানোডে সোডিয়াম উৎপন্ন হয়।
(খ) অ্যানোডে বিজারণ ঘটে
(গ) ক্যাথোডে জারণ ঘটে
(ঘ) অ্যানোডে ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
১.৩ ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহন করে যে প্রাণী সেটি হলো–
(ক) অ্যানোফিলিস মশা
(খ) কিউলেক্স মশা
(গ) এডিস মশা
(ঘ) বেলেমাছি।
২. ঠিক বাক্যের পাশে টিক চিহ্ন আর ভুল বাক্যের পাশে ‘x’ চিহ্ন দাও:
২.১ অনুঘটক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না।
উ:- ঠিক।
২.২ সবুজ চায়ে ভিটামিন K পাওয়া যায়।।
উ:- ঠিক।
২.৩ অপরিশোধিত ময়লা জল সরাসরি মাছ চাষে ব্যবহার করা হয়।
উ:- ঠিক।
৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ তাপ সঞ্চালনের বিকিরণ পদ্ধতি বলতে কী বোঝায় তা ব্যাখ্যা করো।
উ:- যে প্রক্রিয়ায় তাপ মাধ্যম ছাড়াই বেশি উষ্ণ অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত কম উষ্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, তাকে বিকিরণ প্রণালী বলে।
উদাহরণ :- সূর্য থেকে তাপ বিকিরণ পদ্ধতিতে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়।
৩.2 CuSO4 + Fe= Cu+ FeSO4 বিক্রিয়াটির ক্ষেত্রে জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়া দুটির সমীকরণ লেখো।
উ:- জারনঃ Fe- 2e -> Fe2+
বিজারণঃ Cu2+ + 2e -> Cu
৩.৩ ডায়ারিয়া হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
উ:- ডায়ারিয়া হলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে—
(i) শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যেতে পারে।
(ii) শরীরের পাচক রস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
(iii) মলের সঙ্গে থেকে রক্ত বের হতে পারে।
(iv) শরীরের জলসাম্য, অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য এমনকি লবণের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩.৪ মেজর কার্প ও মাইনর কার্পের মধ্যে দুটো পার্থক্য উল্লেখ করো।
উ:-
বিষয় | মেজর কার্প | মাইনর কার্প |
আকার | আকারে বড়ো হয় | আকারে ছোট হয় |
ডিম্ পাড়ার ধরণ | সাধারণত বদ্ধ জলে ডিম্ পাড়ে না | সাধারণত বদ্ধ জলে ডিম্ পাড়ে |
৪. তিনটি–চারটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ তিনটি পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করো যা থেকে প্রাথমিকভাবে মনে করা যেতে পারে যে কোনো পরিবর্তন রাসায়নিক পরিবর্তন।
উ:- কোনো পরিবর্তন যে রাসায়নিক পরিবর্তন তা বোঝা যায় কয়েকটা পর্যবেক্ষণে।যেমন:
(i) রাসায়নিক পরিবর্তনে রঙ পরিবর্তন হয় অর্থাৎ রঙ্গিন থেকে বর্ণহীন অথবা বর্ণহীন থেকে রঙ্গিন।
(ii) তাপের উদ্ভব বা শোষণ হতে পারে।
(iii) বর্ণযুক্ত বা গন্ধযুক্ত গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে।
৪.২ “রাসায়নিক দমন পদ্ধতিতে ফসল–ধ্বংসকারী প্রাণীদের মৃত্যু খুব তাড়াতাড়ি হয়”— তাহলেও এই ধরনের প্রাণীদের মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে জৈবিক দমন পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয় কেন?
উ:- রাসায়নিক দমন পদ্ধতিতে ক্ষতিকারক প্রাণীদের মৃত্যু খুব তাড়াতাড়ি হলেও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন –
(i) অনেকসময় ক্ষতিকারক প্রাণীগুলো নির্দিষ্ট একটা রাসায়নিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
ii) রাসায়নিক পদার্থগুলো ফল বা সবজির মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করালে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
iii) রাসায়নিক পদার্থগুলো অনেকসময় উপকারী পতকাদের (মৌমাছি, প্রজাপতি) মেরে ফেলে।
এইসব কারণেই অনেকসময় ফসল ধ্বংসকারী জীবদের দমনে জৈবিক দমন পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়।
Click Here To Download The Pdf
The sea is a hungry dog,
Giant and grey.
He rolls on the beach all day
With his clashing teeth and shaggy jaws
Hour after hour he gnaws
The rumbling, tumbling stones,
And ‘bones, bones, bones!’
The giant sea-dog moans, licking his greasy paws.
A.Complete the following sentences:
(i) The sea appears to be like a hungry dog.
(i) The sea gnaws hour after hour.
(ii) Throughout the day the sea moans like a dog by licking his greasy paws.
(i) With whom has the sea been compared?
Ans: The sea has been compared to a hungry dog.
(ii) What does the sea do all day?
Ans: The sea rolls on the beach all day.
B.Do as directed:
(i) The coach said to the players, “Bravo! you have played well.” (Change into Indirect speech)
Ans: The coach appreciated the players that they had played well.
(ii) Every morning he has to go for a walk. (Underline the Infinitive used in the sentence)
Ans: Walk.
(iii) Nowadays supply of food grains is abundant. (Replace the underlined word with its antonym)
Ans: Nowadays supply of food grains is scarce.
(iv) This is the place where Rabindranath was born. (Underline the Main Clause and circle the Subordinate Clause)
Ans: where Rabindranath was born.
(v) The news that shocked me proved false. (Identify the type of clause used in the sentence)
Ans: Adjective clause.
Points: importance of physical exercise– various types of exercise– when it is done -health is wealth – conclusion
Ans:
The Usefulness of Regular Exercise
Health is wealth and Regular exercise like swimming, running, jogging, walking, dancing etc are good for health An unhealthy man can not enjoy life . Through practicing exercise our body gets more active than before. The organs become flexible In the age of toil and stress if we should practice ‘exercise’ we would have composure – a lot. It is beneficial for gaining concentration and accumulating self-energy. If the body is a temple, the exercises are worship we need to perform. So only regular exercise makes a man strong active and keeps him free from all diseases. The students need exercise much. Physical exercise refreshes their brain. It makes them cheerful.
Click Here To download The Pdf
Click here To download The Pdf
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ …তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও।’— কার প্রতি কবির এই আহ্বান? কার পাশে, কীভাবে এসে দাঁড়াতে হবে বলে কবি জানিয়েছেন?
উ:- সকল মানবজাতির প্রতি কবির এই আওহ্বান| অসহায়, নিপীড়িত, লাঞ্চিত মানুষের পাশে, অসহায়ের সহায় হয়ে, বন্ধুর মতো অথবা মনুষত্ব দিয়ে এসে দাঁড়াতে হবে বলে কবি জানিয়েছেন |
১.২ ‘রমেশ কহিল, তুমি অত্যন্ত হীন এবং নীচ।’ — কাকে রমেশ একথা বলেছে? তার একথা বলার কারণ কী?
উ:- রমাকে একথা বলেছে রমেশ |
গ্রামের একশো বিঘা জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এমত অবস্থায় গ্রামের জমিদার বেনি ঘোষাল এবং রমা তাদের পুকুরের মাছের ক্ষতির জন্য বাধ কেটে জমির জল বার করতে দিতে চাইছিল না। অথচ রমাকে রমেশ এত নিষ্ঠুর ও নীচ মনোবৃত্তির বলে কখনোই ভাবেনি। রমা এমনকি রমেশকে তার ভাগের ক্ষতি পূরণের দাম দিতেও বলে। তার এই আচরণ দেখেই রমেশ উদ্ধৃত মন্তব্যটি করে।
১.৩ ‘একটা স্ফুলিঙ্গ–হীন ভিজে বারুদের স্তূপ। — কাদের সম্পর্কে, কেন একথা বলা হয়েছে?
উ:- ছন্নছাড়া বেকার নিরাশ্রয় কয়েকজন কম বয়সী যুবকের কথা এখানে বলা হয়েছ।
কবি বলতে চেয়েছেন তাদের মধ্যে আগুনের স্ফুলিঙ্গ অর্থাৎ জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু সমাজ পরিস্থিতি এসে তাদের আশায় জল ঢেলে দিয়েছে । তাই তারা সমাজের উচ্ছিষ্টে পরিণত হয়েছে।
১.৪ ‘আমাদের দৃষ্টি হইতে দূরে গেল বটে, কিন্তু বিধাতার দৃষ্টির বাহিরে যায় নাই – কোন প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক এই মন্তব্যটি করেছেন? ‘বিধাতার দৃষ্টির বাহিরে যায় নাই – একথার তাৎপর্য কী?
উ:- এখানে একটি ক্ষুদ্র বীজের এর কথা বলা হয়েছে যেটি ভাঙ্গা ইট অথবা মাটির নিচে লুক্কায়িত ছিল। কেউ না দেখলেও প্রকৃতির দৃষ্টির বাইরে যায় না, কিছু দিন পর্যন্ত সেটি বীজের কঠিন আবরণে মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে, যথাসময়ে সেটি থেকে অঙ্কুর বের হয় ও বৃক্ষ শিশুর জন্ম হয়।
১.৫ ‘রৌদ্রে যেন ভিজে বেদনার গন্ধ লেগে আছে – কোন কবিতার অংশ? কবির মনে এমন অনুভূতি জেগেছে কেন?
উ:- উদ্ধৃত পঙ্কতিটি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি’ কবিতার অংশ।
কবি জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতি প্রেমিক কবি হলেও তাঁর এই কবিতায় এক প্রচ্ছন্ন দুঃখের ইঙ্গিত দিয়েছেন। দুপুরবেলায় সমস্ত প্রকৃতি নিস্তব্ধ থাকে, দেখে মনে হয় প্রকৃতি যেন শোক যাপন করছে। শঙ্খচিলের চিৎকার, জলসিড়ি পাশে নৌকার একাকী পড়ে থাকা, বুনো চালতার ছায়া সবকিছুই এই ইঙ্গিত বহন করে।
২. নির্দেশ অনুসারে নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ বাক্যের মধ্যে ক্রিয়াপদটি কীভাবে গঠিত হয়?
উ:- ধাতুর সঙ্গে ক্রিয়া বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যের ক্রিয়াপদ তৈরি হয়।
২.২ আপেক্ষিক ভাবের একটি উদাহরণ দাও।
উ:- যদি আকাশে মেঘ করে তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২.৩ নিত্যবৃত্ত অতীত বলতে কী বোঝ?
উ:- অতীতে প্রায়ই ঘটতো- এই অর্থে ক্রিয়ার যে কাল হয় তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত বলা হয়।
২.৪ নিত্য অতীত এবং ঘটমান অতীতের পার্থক্য কোথায়?
উ:- পূর্বে নিয়মিত কোন ঘটনা ঘটতো বোঝালে সেখানে নিত্য অতীত হয়।
পূর্বে কোন ঘটনা ঘটছিল বা চলছিল বোঝালে ঘটমান অতীত হয়ে থাকে।
২.৫ রূপ ও অর্থ অনুসারে ক্রিয়ার কালকে ক’টি ভাগে ভাগ করা যায়?
উ:- রুপ ও অর্থ অনুসারে ক্রিয়ার কালকে দু ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১.মৌলিক কাল বা সরল কাল এবং
২. যৌগিক কাল
Click Here To Download The Pdf
১। শূন্যস্থানটি পূরণ করো:
(ক)_ব্যায়াম দেহ ও মনের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে, যা স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
(খ) ব্যায়াম পেশির রোগ প্রতিকারের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
(গ) পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের দ্বারা _মেদাধিক্য _ দূর করা সম্ভব।
(ঘ) যখন তখন _ঘুমিয়ে _ পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
(ঙ) প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি প্রয়োজন তার থেকে ২০০০ ক্যালোরি কম খাবার গ্রহণ করতে চাইলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের__ পরামর্শ নিতে হবে।
২। নীচের ছবি দেখে ছবির নীচে ফাঁকা ঘরে ভঙ্গিটি শনাক্ত করে ভঙ্গিটির নাম লেখো এবং ভঙ্গিটি কোন ক্রীড়াক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত তার নাম লেখো।
উ:-
(ক) পূর্ণধনুরাসন – যোগাসন
(খ) আদেশ ‘তেজ চল’ – কুচকাওয়াজ
(গ) আক্রমণাত্মক কৌশল – কবাডি
(ঘ) এক হাতে কার্ট হুইল – জিমন্যাস্টিক্স
(ঙ) পিরামিড – সমবেত ক্রীড়া
(চ) খালি হাতে ব্যায়াম – ক্যালিসথেনিকস
৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
(ক) স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের প্রভাব বর্ণনা করো।
উ:- শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের প্রভাব :
i হূৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ii ফুসফুসের আয়তন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
iii. স্থূলকায় ব্যক্তির ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
iv ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
vরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সামাজিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবঃ
প্রতিদিন খেলাধুলার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয়। এছাড়া–
i নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
ii সহযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি পায়।
iii. পরস্পরকে ভালোবাসতে ও শ্রদ্ধা করতে শেখায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব:
i.উদ্বেগ ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে।
ii.যে-কোনো পরিবেশে ব্যক্তিকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।
iii. কাজের প্রতি মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পায়।
iii.মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ivআত্মবিশ্বাস ও আত্মসংযম বাড়াতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা :
i.ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় ও ডায়াবেটিস হলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
ii উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
iii. হাইপোকাইনেটিক্স বা কম পরিশ্রমজনিত রোগ, যেমন- মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ, মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক শক্তির হ্রাস, শরীরের ওজন বৃদ্ধি, ফ্যাট বৃদ্ধি ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
iv ব্যায়াম পেশির চোট প্রতিকারের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
(থ) মেদ ঝরাতে কী কী করতে হবে লেখো।
উ:-
i শিশুদের খিদে পেলে তবেই খেতে দিতে হবে তবে এককালীন বেশি করে না খাওয়া উচিত। প্রতিদিন চারবেলা খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। সকালে পেট ভরে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত তাহলে সেই ক্যালোরি সারাদিনে কাজ করবার সঙ্গে সঙ্গে ব্যায় হবে ফলে অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না। দুপুর, সন্ধে ও রাতে হাল্কা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। রাত্রে খাদ্য গ্রহণের পর অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটা উচিত।
ii অধিক পরিমাণ শাকসবজি খেতে হবে এবং স্নেহজাতীয় খাদ্য, মাছমাংস যথাসম্ভব কম বা প্রয়োজনমতো খেতে হতে।
iii. যখন তখন ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
iv প্রতিদিন ৪০-৬০ মিনিট ধরে ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করতে হবে।
v মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, রাস্তায় তৈরি খাবার ও অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে।
vi খেলাধুলা-ব্যায়াম-শরীরচর্চায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে।
Click Here To Download The Pdf