Friday, April 26, 2024
HomeClassesClass 9Model Activity Task 2021 October Model Activity Task Part –7| Class- 9|...

Model Activity Task 2021 October Model Activity Task Part –7| Class- 9| Bengali মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | অক্টোবর নবম শ্রেণী| বাংলা | পার্ট -৭

Model Activity Task 2021 October

Model Activity Task Part –7| Class- 9| Bengali

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | অক্টোবর

নবম শ্রেণী| বাংলা | পার্ট

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

. নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে বাংলা সাহিত্যে বিদেশি শব্দ ব্যবহারের যে সকল দৃষ্টান্ত লক্ষ করা যায় তা উল্লেখ করো।

:-  প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে  প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলা সাহিত্যে বিদেশি শব্দের বিপুল ব্যবহারের কয়েকটি চমৎকার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন-

i.রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তাঁর সাহিত্যে সচ্ছন্দে ব্যবহার করে গেছেন ‘অব্ৰু’, ‘ইজ্জত’, ‘ইমান’ প্রভৃতি বিদেশি শব্দ।

ii.বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তিনিও তাঁর সাহিত্যের মধ্য দিয়ে বাংলা শব্দ ভান্ডারে ঢুকিয়ে দিয়ে গেছেন- ‘ইনকিলাব’, ‘শহীদ’ এই দুটি বিদেশি শব্দ।

 iii. বিদ্যাসাগর স্বয়ং ছদ্মনামে যে সমস্ত সাহিত্য রচনা করেছিলেন সেখানেও তিনি চুটিয়ে আরবি-ফারসি বিদেশি শব্দের ব্যবহার করে গেছেন।

     এছাড়াও, ‘আলালের ঘরে দুলাল’, ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ প্রভৃতি গ্রন্থে বিদেশি শব্দের বিপুল ব্যবহার বাংলা সাহিত্যে বিদেশি শব্দ ব্যবহারের দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। 

 . পৃথিবীর কোনো পথ কন্যারে দেখে নি কো’— উদ্ধৃতাংশে কোন কন্যার কথা বলা হয়েছে? পৃথিবীর কোনো পথ  তাকে দেখেনি কেন?

:-  উদ্ধৃতাংশটি বঙ্গ প্রকৃতির রূপমুগ্ধ কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
কন্যার পরিচয় উদ্ধৃতাংশে কবি জীবনানন্দ দাশ কন্যা বলতে বুঝিয়েছেন বঙ্গ প্রকৃতির নীল সন্ধ্যাকে। সৌন্দর্যের বিচারে কবি বঙ্গ প্রকৃতির নীল সন্ধ্যার সৌন্দর্য কে কোনো কেশবতী কন্যা রূপে দেখেছেন।

কবি জীবনানন্দ দাশ দেখেছেন বঙ্গ প্রকৃতির বুকে আগত নীল সন্ধ্যা কোনো কেশবতী নারীর চুলের রঙ, সৌন্দর্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। নারীর চুলের স্পর্শ যেমন যেকোনো মানুষ অনুভব করতে পারে ঠিক তেমনি কবি বাংলার এই নীল সন্ধ্যার বিরল স্পর্শ অনুভব করে মুগ্ধ হন। কবি পৃথিবীর অনেক স্থান ঘুরেছেন, পৃথিবীর অনেক স্থানে তিনি সন্ধ্যা দেখেছেন কিন্তু বঙ্গ-প্রকৃতির  সন্ধ্যার এই মোহিনী রূপ সৌন্দর্য তিনি আর কোথাও দেখেননি,উপভোগ করতে পাননি। তাই কবির দৃঢ় বিশ্বাস বঙ্গ প্রকৃতি ছাড়া, পৃথিবীর কোনো পথে এই কেশবতী কন্যা স্বরূপ নীল সন্ধ্যা কে দেখতে পাওয়া অসম্ভব।

 ...তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন। কাকে একথা লেখা হয়েছে? তাকে কেন প্রয়োজন?

:-  উদ্ধৃতাংশটি স্বামী বিবেকানন্দ রচিত ‘চিঠি’ নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে।

আলোচ্য উক্তিটি স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর অন্যতম শিষ্যা কল্যাণীয়া মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতা কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।

            স্বামী বিবেকানন্দ জানিয়েছেন ভারতবর্ষের সমাজ, শিক্ষা, সভ্যতা সব স্তরে নারীরা চূড়ান্ত ভাবে বঞ্চিত। পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা পুরুষের সেবাদাসী ছাড়া আর কিছু নয়। এই পুরুষশাসিত সমাজের বুকে দাঁড়িয়ে নারীদের মুক্তি শিক্ষা এবং কল্যাণের জন্য একজন সিংহী-স্বরূপ নারীর প্রয়োজন। স্বামীজি মিস নোবেল এর মধ্যে নারীর সিংহী- স্বরূপ সমস্ত গুণ-পবিত্রতা, শিক্ষা, ঐকান্তিকতা সমস্তই দেখতে পেয়েছিলেন। তাই স্বামীজি ভারতবর্ষের নারী কল্যাণের জন্য পুরুষশাসিত সমাজে নারীর অধিকার ছিনিয়ে আনার জন্য মিস নোবেল এর মতই যোগ্য নারীর প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন

 . সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখেকে এমনটি করে থাকে? তার এমন করার কারণ কী?

:-  উদ্ধৃতাংশটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত ‘আবহমান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

 নিজের প্রাচীন জন্মভূমি অর্থাৎ গ্রামীণ বঙ্গ-প্রকৃতিকে ত্যাগ করে যে সমস্ত মানুষজন কর্মসূত্রে শহরে চলে যান সেই মানুষদের কথায় আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে।
       কবি জানিয়েছেন, যে সমস্ত মানুষজন গ্রামীণ বঙ্গ-প্রকৃতির কোলে জন্মগ্রহণ করে কর্মসূত্রে শহরের চলে যায় তাদের মনে সুপ্ত পিপাসার মত লুকিয়ে থাকে গ্রামীণ বঙ্গ প্রকৃতিকে ফিরে পাওয়ার বাসনা। এই মানুষেরা গ্রামীণ বঙ্গ প্রকৃতিকে মনের মধ্যেই অনুভব করেন। শহরের বুকে গ্রামীণ ঘাসের সুগন্ধি উপাদান সেভাবে না পাওয়া গেলেও যারা একবার বঙ্গ-প্রকৃতিকে অনুভব করেছে, ভালোবেসেছে তারা মনে মনে ঘাসের গন্ধ অনুভব করে পরিতৃপ্ত হয়।

 . রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে কতকগুলি বনফুল তুলিয়া তাহার মালা গাঁথিল। রাধারাণীর পরিচয় দাও। তার মালা গাঁথার উদ্দেশ্য কী?

:-  উপরোক্ত উক্তিটি সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রাধারানী’ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।

রাধারানীর পরিচয় ‘রাধারানী’ পাঠ্যাংশ থেকে জানা যায় যে রাধারানী দশ-এগারো বছরের এক বালিকা তার বাড়ি শ্রীরামপুর। সে পিতৃহীনা। একদা ধনীর মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে চরম দরিদ্রগ্রস্থ।

রাধারানী দের জীবন ছিল চরম দরিদ্রতা ক্লিষ্ট। রাধারানীর মা কোনক্রমে কায়িক পরিশ্রম করে অন্নসংস্থান করতেন। কিন্তু হঠাৎ রাধারানীর মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আহার এবং মায়ের পথ্য সংস্থানের সমস্যা তৈরি হয়। রথের দিন রাধারানীর মায়ের অসুস্থতা বাড়ে। ওষুধ এবং খাবার কেনার একান্ত প্রয়োজনে নিরুপায় রাধারানী কয়েকটি বনফুল কুড়িয়ে এনে মালা গাঁথে। সেই মালা সে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাহেশের রথের মেলায় নিয়ে যায় যাতে দু-একটি পয়সা পেলে সে মায়ের পথ্যের এবং ন্যূনতম আহারের সংস্থান করতে পারে।

 . নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

. কেরোসিন উৎসগতভাবে কোন শ্রেণির শব্দ?

:-  কেরোসিন শব্দটি ইংরেজি ভাষা থেকে গৃহীত হয়েছে।
অর্থাৎ উৎসগত দিক থেকে এটি একটি বিদেশি কৃতঋণ বা বিদেশি আগন্তুক শব্দ।

 . একটি মৌলিক শব্দের উদাহরণ দাও।

:-  একটি মৌলিক শব্দের উদাহরণ হল- পা, হাত

 . নবগঠিত শব্দ বলতে কী বোঝ?

:-  যে সমস্ত শব্দ একাধিক ভাষার শব্দের সংমিশ্রণে অর্থাৎ তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দের সাথে অপর কোন শব্দের সংযোগে কিংবা কোনো বিদেশী শব্দের অনুবাদের কারণে সৃষ্টি হয় সেই সমস্ত শব্দগুলিকে নবগঠিত শব্দ নবসৃষ্ট শব্দ বলে। যেমন- খানাতল্লাশি, ফুলমোজা

 . পোর্তুগিজ হিন্দি ভাষার শব্দ যুক্ত করে তৈরি একটি মিশ্র শব্দের উদাহরণ দাও।

:-  পর্তুগিজ এবং হিন্দি ভাষার শব্দ যোগে তৈরি একটি মিশ্র শব্দ হলো- পাউরুটি।

 . Tear gas-এর বাংলায় অনূদিত শব্দটি কী?

:-  ‘Tear Gas’-এর বাংলা অনুবাদ হল ‘কাঁদানে গ্যাস’।

Click Here To Download The Pdf

RELATED POSTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!