Sunday, December 14, 2025
Home Blog Page 11

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| Health & Physical Science | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ সপ্তম শ্রেণী | স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা | পার্ট – ৮|

1

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 7| Health & Physical Science | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

সপ্তম শ্রেণী | স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা | পার্ট – ৮|

৫০ Marks

() সঠিক উত্তরটিকে বেছে নিয়ে (√) চিহ্ন দাওঃ 

() ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়

(i) ১৯২১

(ii) ১৯১১

(iii) ১৯২০ 

() অ্যাথলেটিক্স শব্দটি কোথা থেকে এসেছে

(i) ইথানল

(ii) এথেন্স

(iii) অ্যাথলন 

() মোহনবাগান ক্লাব কত সালে সাহেবদের হারিয়ে শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল

(i) ১৮১১

(ii) ১৯১১

(iii) ১৯১৬

 () মেদাধিক্যের কারণ কী

(i) শরীরচর্চার অনভ্যাস

(ii) হরমােনের সমস্যা

(iii) ফাস্টফুড খাওয়া

(iv) সব কয়টি 

 () সাধারণত পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের দেহের ওজনের কত শতাংশ মেদ থাকে

(i) ১০%

(ii) ১৫

(iii) ২%

(iv) ২৫%

 () মেদবৃদ্ধি রুখতে কী করতে হবে

(i) শরীরচর্চা

(ii) পরিমিত খাওয়া

(iii) সঠিক জীবনশৈলী

(iv) সব কয়টি 

 () খাদ্য থেকে প্রাপ্ত দেহের চাহিদার অতিরিক্ত ক্যালোরি দেহের কি বৃদ্ধি ঘটাতে পারে

(i) হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

(ii) মেদাধিক্য ঘটায় 

(iii) স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে

(iv) হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে

 () একজন স্বাভাবিক ওজনের শিক্ষার্থীর দেহভর সূচকটি কত

(i) ১৮ কিলোগ্রাম/মিটার

(ii) ১৮.২৪. কিলোগ্রাম/মিটার 

(iii) ৩০ এর বেশি কিলঅগ্রাম/মিটার

 () যদি কোন শিক্ষার্থীর দেহের ওজন তার স্বাভাবিক ওজন যা হওয়া উচিত তার কম হয় তাহলে কী সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে

(i) মধুমেহ

(ii) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় 

(iii) মেদাধিক্য

 (১০) কোনটি দেহভর সূচকের সূত্র

উত্তর: (i) 

) শূন্যস্থান পূরণ কর

(১) খেলা মানুষের ____সহজাত______ প্রবৃত্তি ।

(২) গ্রিক শব্দ ____ জিমনস ______ থেকে জিমনাস্টিকস কথাটি এসেছে।

(৩) জৈনধর্ম ___অহিংসার _______ মূর্ত প্রতীক হিসাবে বিদ্যমান।

(৪) এন. সি. সি.-র ______হালকা নীল ________  রং নৌসেনা বাহিনীর প্রতীক।

(৫) ___ব্যায়াম _______ দেহ ও মনের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে, যা স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

(৬) ব্যায়াম পেশির _____চোট_____ প্রতিকারের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।

(৭) পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের দ্বারা ____মেদবাহুল্য______ দূর করা সম্ভব।
(৮) যখন তখন ____ঘুমিয়ে______ পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
(৯) প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি প্রয়োজন তার থেকে ২০০০ ক্যালোরি কম খাবার গ্রহণ করতে চাইলে অবশ্যই __বিশেষজ্ঞের ________ পরামর্শ নিতে হবে।

() সঠিক বক্তব্যটির পাশে সত্য এবং ভুল বক্তব্যটির পাশে মিথ্যা লেখ এবং ভুল থাকলে সংশোধন কর। 

() বিদ্যালয়ের মিডডে মিলের আহার একটি পুষ্টিবর্ধক কর্মসূচি। 

উত্তর: সত্য 

() মেদ ঝরাতে ফাস্টফুড বর্জন করতে হবে। 

উত্তর: সত্য 

() ব্যায়াম করলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। 

উত্তর: সত্য 

() প্রাণায়াম করলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

উত্তর: সত্য 

() খেলাধুলো করলে শিশুর শারীরিক মানসিক বিকাশ ঘটে। 

উত্তর: সত্য 

 () নীচের ছবি দেখে ছবির নীচে ফাঁকা ঘরে ভঙ্গিটি শনাক্ত করে ভঙ্গিটির নাম লেখ এবং ভঙ্গিটি কোন ক্রীড়াক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত তার নাম লেখ।

2.PNG

উত্তরঃ–  ) উষ্ট্র আসন  )ধনুরাআসন

() নীচের যোগাসনের ভঙ্গিগুলি শনাক্ত করে, ছবির পাশের ফাঁকা ঘরে যোগাসনটির নাম লেখো। 

Capture.PNG

(ক) উত্তর:  উত্তর: ছবিতে যে ভঙ্গিটি দেখানো হয়েছে সেটি হলো ‘পুর্ণধানুরাসন। ছবিতে দেখানো ভঙ্গিটি একক ক্রীড়া ‘যোগাসন’ এর সঙ্গে যুক্ত।

(খ) উত্তর: ছবিতে যে ভঙ্গিটি দেখানো হয়েছে সেটি হলো ‘আদেশ তেজ চল। এই ভঙ্গিটি ‘কুচকাওয়াজ’ এর সঙ্গে যুক্ত।

(গ) উত্তর: ছবিতে দেখানো ভঙ্গিটি হলো কবাডি খেলার ‘আক্রমনাত্মক কৌশল দৌড়ে গোড়ালি স্পর্শ করা। এই ভঙ্গিটি ‘দলগত ক্রীড়ার’  সঙ্গে যুক্ত কবাডির একটি কৌশল।

(ঘ) উত্তর: ছবিতে দেখানো ভঙ্গিটি হলো এক হাতে কার্ট হুইল। এই ভঙ্গিটি ‘জিমনাস্টিক’ এর সঙ্গে যুক্ত।

(ঙ) উত্তর: ছবিতে দেখানো ভঙ্গিটি পিরামিডের । এই ভঙ্গিটি  ‘সমবেত ক্রীড়ার’  সঙ্গে যুক্ত।

(চ)উত্তর: ছবিতে দেখানো ভঙ্গিটি হল ‘খালি হাতে ব্যায়াম করা। এই ভঙ্গিটি  ‘ক্যালিস্থেনিকস’  এর সঙ্গে যুক্ত।

() নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

() স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের প্রভাব বর্ণনা কর। 

উত্তর: স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়াম এর প্রভাবগুলি নিম্নলিখিত:

শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের প্রভাব

১. হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

২.ফুসফুসের আয়তন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

৩.স্থূলকায় ব্যক্তির ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে ।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।

সামাজিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

প্রতিদিন খেলাধুলার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয় এছাড়া-

১. নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধের  বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।

২. সহযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি পায় ।

৩. পরস্পরকে ভালোবাসতে ও শ্রদ্ধা করতে শেখায় ।

মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব :

১. উদ্বেতা হতাশা কমাতে সাহায্য করে ।

২. যে – কোন পরিবেশে ব্যক্তিকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে ।

৩. কাজের প্রতি মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পায় ।

৪. মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে ।

৫. আত্মবিশ্বাস ও আত্মসংযম বাড়াতে সাহায্য করে ।

৬. মনের দূষণ প্রতিরোধ করে খেলাধুলা ।

() মেদ ঝরাতে কী কী করতে হবে লেখ।

উত্তর: মেদ ঝরাতে যে বিষয়গুলি আমাদের করণীয় সেগুলি হল –

(১) শিশুদের খিদে পেলে তবেই খেতে দিতে হবে তবে এককালীন বেশি করে না খাওয়া উচিত। প্রতিদিন চারবেলা খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। সকালে পেট ভরে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত তাহলে সেই ক্যালােরি সারাদিনে কাজ করবার সঙ্গে সঙ্গে ব্যায় হবে ফলে অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না। দুপুর, সন্ধে ও রাতে হাল্কা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। রাত্রে খাদ্য গ্রহণের পর অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটা উচিত।

(২) অধিক পরিমাণ শাকসবজি খেতে হবে এবং স্নেহজাতীয় খাদ্য, মাছমাংস যথাসম্ভব কম বা প্রয়োজনমত খেতে হবে।

(৩) যখন তখন ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

(৪) প্রতিদিন ৪০-৬০ মিনিট ধরে ঘাম-ঝরানো ব্যায়াম করতে হবে।

(৫) মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, রাস্তায় তৈরি খাবার ও অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে।

(৬) খেলাধুলা-ব্যায়াম-শরীরচর্চায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে।।

() দুএক কথায় উত্তর দাও :

() খেলা কী

উত্তর: খেলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি যা সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপ এর

মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ প্রদান করে। শিশুদের দেহ ও মনের বিকাশ ঘটাতে ‘খেলা’ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

() প্রত্যক্ষ বিনোদন কাকে বলে

উত্তর: যে কোন ক্রীড়ায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে যে বিনোদন লাভ করা হয়, তাকে প্রত্যক্ষ বিনোদন বলে,

() সৃজনশীল বিনোদনের একটি উদাহরণ দাও। 

উত্তর: কবিতা লেখা, গান লেখা, ছবি আঁকা ইত্যাদি হল সৃজনশীল বিনোদন।

() শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি লেখ।

উত্তর: শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্যসমূহ হল :

(ক) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি।

(খ) সহযোগিতা ও সহানুভূতির উন্নতি।

 Click here To Download The pdf

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| Geography | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ সপ্তম শ্রেণী | ভূগোল | পার্ট – ৮|

1

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 7| Geography | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

সপ্তম শ্রেণী | ভূগোল | পার্ট – ৮|

৫০ Marks

. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো

. সূর্যের উত্তরায়নের সময়কাল

ক) ২১ শে জুন থেকে ২২ শে ডিসেম্বর

খ) ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২১ শে মার্চ

) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন

ঘ) ২১ শে মার্চ থেকে ২৩ শে সেপ্টেম্বর

. কোনো মানচিত্রে সমচাপরেখাগুলি খুব কাছাকাছি অবস্থান করলে সেখানে

ক) বায়ুর চাপ বেশি হয়

) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয় 

গ) বায়ুর চাপ কম হয়

ঘ) বায়ুর চাপের পার্থক্য কম হয়

. টোকিওইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলের উন্নতির অন্যতম প্রধান কারণ হলাে

ক) খনিজ ও শক্তি সম্পদের সহজলভ্যতা

খ) স্বল্প জনঘনত্ব

) উন্নত প্রযুক্তি দক্ষ শ্রম

ঘ) সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থান

. ভূভাগ ভাজ খেয়ে উপরের দিকে উঠে যে পর্বত সৃষ্টি করে তার উদাহরণ হলো

ক) সাতপুরা

খ) ভোজ

গ) কিলিমাঞ্জারো

) হিমালয়

. ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো

ক) নদীর উচ্চপ্রবাহ – ভূমির ঢাল কম

) নদীর উচ্চপ্রবাহনদীর প্রধান কাজ ক্ষয় 

গ) নদীর নিম্নপ্রবাহ – ভূমির ঢাল বেশি

ঘ) নদীর নিম্নপ্রবাহ – নদীর প্রধান কাজ বহন

. আফ্রিকা মহাদেশের মাঝ বরাবর পূর্বপশ্চিমে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখাটি হলাে 

ক) কর্কটক্রান্তি রেখা

খ) মকরক্রান্তি রেখা

গ) মূলমধ্যরেখা

) বিষুবরেখা

. পৃথিবীর ছাদযে মালভূমিকে বলা হয় সেটি হলো

ক) ছছাটোনাগপুর মালভূমি

খ) মালব মালভূমি

) পামীর মালভূমি 

ঘ) লাদাখ মালভূমি

. নদীর উচ্চ প্রবাহে ‘I’ আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ হলাে

ক) ভূমির ঢাল কম থাকা

খ) উপনদীর সংখ্যা বেশি থাকা

) নদীর নিম্নক্ষয়ের ক্ষমতা বেশি হওয়া

ঘ) নদীর পাশ্বক্ষয়ের ক্ষমতা বেশি হওয়া

. যে রূপান্তরিত শিলা বিভিন্ন সৌধ নির্মাণে কাজে লাগে তা হলাে

ক) চুনাপাথর

খ) কাদাপাথর

গ) ব্যাসল্ট

) মার্বেল

. শূন্যস্থান পূরণ করো

. নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অক্ষরেখার পরিধি ক্রমশ _____কমতে______ থাকে। 

. বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে বায়ুর চাপ_____বৃদ্ধি ______ পায়। 

. এশিয়া মহাদেশের একটি উত্তরবাহিনী নদী হলো _____লেনা______

. বাক্যটি সত্য হলেঠিকএবং অসত্য হলেভুললেখো

. ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির একটি উদাহরণ হলো ছোটনাগপুর মালভূমি। 

উ:-  ঠিক

. শীতল শুষ্ক জলবায়ুতে মাটি সৃষ্টি হতে বেশি সময় লাগে।

উ:-  ঠিক

. জুলাই মাসে উত্তর আফ্রিকায় যখন গ্রীষ্মকাল, দক্ষিণ আফ্রিকায় তখন শীতকাল। 

উ:-  ঠিক

. স্তম্ভ মেলাও:

:-

স্তম্ভ স্তম্ভ
৪.১ ফুজিয়ামা iii) আগ্নেয় পর্বত
৪.২ গ্রানাইট i) আগ্নেয় শিলা
৪.৩ মিয়েন্ডার ii) নদীর মধ্যপ্রবাহ

 

. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও

. কোন তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় কেন

:-  21 শে জুন তারিখটিকে কর্কটসংক্রান্তি বলা হয় । কারণ নিজের পরিক্রমণ গতিতে 21 শে জুন তারিখে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে । ওইদিন সূর্যকিরণ কর্কটক্রান্তিরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে বলে, 21 শে জুন তারিখটিতে উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড়ো এবং রাত সবচেয়ে ছোটো হয় । আর দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয় । 21 শে জুন সূর্য উত্তরায়ণের শেষ সীমা কর্কটক্রান্তিরেখার উপর পৌঁছায় বলে 21 শে জুন দিনটিকে কর্কটসংক্রান্তি বলা হয় ।

. অক্ষরেখা দ্রাঘিমারেখার একটি করে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 

:-  অক্ষরেখাগুলো পূর্ণবৃত্ত আর দ্রাঘিমারেখাগুলি অর্ধবৃত্ত ।

. সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কীভাবে আমাদের দেশের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে

:-  ভারতের উত্তর দিকে প্রাচীরের মতো সুউচ্চ হিমালয় পর্বত অবস্থান করছে । এই পর্বত থাকায় দক্ষিণ পশ্চিম – মৌসুমি বায়ু এখানে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উত্তর – পূর্ব ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় , অপরদিকে শীতকালে উত্তরের শীতল সাইবেরীয় বাতাস ভারতে প্রবেশ করতে বাধা পায় । ফলে ভারতে শীতের প্রকোপ কম হয় ।

. ভূমির ঢাল উচ্চতার ভিত্তিতে মালভূমি সমভূমির পার্থক্য নিরূপণ করো।

:-

ভিত্তি মালভূমি সমভূমি
ভূমির ঢাল চারপাশে খাড়া ঢালযুক্ত হয়ে থাকে l উপরিভাগ সমতল বা ঢেউ খেলানো হয়ে থাকে l
উচ্চতা গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ মিটারের বেশি উচু বেশি l গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ মিটারের কম উঁচু l

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও

. মেরু অঞ্চল নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর উষ্মতার তারতম্য কীভাবে দুই অঞ্চলের বায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে তা ব্যাখ্যা করো।

:-  বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার সঙ্গে বায়ুচাপ ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয় অর্থাৎ বায়ুর উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর চাপ কমে এবং উষ্ণতা কমলে বায়ুচাপ বাড়ে । বায়ু উষ্ণ হলে হাল্কা ও প্রসারিত হয়, ফলে তার চাপ কমে যায় । এই কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছর প্রখর সূর্যের তাপে বায়ু উষ্ণ ও হাল্কা হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি করেছে । অপরদিকে, মেরু অঞ্চলে সূর্যতাপের অভাবে তীব্র শীতলতার কারণে বায়ু শীতল ও সংকুচিত হয়ে উচ্চচাপের সৃষ্টি করেছে ।

. মাটির দানার আকারের উপর ভিত্তি করে মাটির শ্রেণিবিভাগ করাে। প্রতিটি শ্রেণির একটি করে বৈশিষ্ট্য লেখো। 

:-  মাটির দানার আকারের উপর ভিত্তি করে মাটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :

বেলে মাটি : মাটির দানার আকার মোটা

এটেল মাটি : মাটির দানার আকার সূক্ষ্ম

দোয়াঁশ মাটি : মাটির দানার আকার মাঝারি

. নীলনদের উপর কী উদ্দেশ্যে আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল

উ:  নীলনদের ওপর বহুমুখী নদী পরিকল্পনা করে আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পরিকল্পনাগুলি হল –

i)পর্যটন, ii)জলসেচ, iii)বন্যা নিয়ন্ত্রণ,  iv) জলবিদ্যুৎ উৎপাদন,  v)জলপরিবহন , vi)মাছ চাষ ইত্যাদি।

আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ এর ফলে বন্যার নিয়ন্ত্রণ আরও ভাল হয়ে যায়, সেচের জন্য পানি সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে এটিকে মিশরের পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য বাঁধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

. এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় উয়ু মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদের চরিত্রকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা আলোচনা করো। 

:- নিরক্ষীয় জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদ ; এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষরেখার কাছাকাছি 10 ° উত্তর অক্ষরেখা থেকে 10 ° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায় । এই জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অধিক উষ্ণতা (বার্ষিক গড় উষ্ণতা 25°-30 ° সে.) ও অধিক বৃষ্টিপাত (বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 200-300 সেমি) । এই অধিক উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সবুজ পাতাযুক্ত শক্ত কাঠের চিরহরিৎ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে । মেহগনি , রোজউড , আয়রন উড , সেগুন , আবলুস , রবার , কোকো , সিঙ্কোনা প্রভৃতি এই অরণ্যের প্রধান উদ্ভিদ ।

উষ্ণ মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদ : এশিয়া মহাদেশের আরবের মরুভূমি , ভারত ও পাকিস্তানের থর মরুভূমি , ইরাক , ইরান , কুয়েত প্রভৃতি দেশগুলোতে উষ্ণ মরু জলবায়ু দেখা যায় । অধিক উষ্ণতা (35 ° সে.) ও অতি অল্প বৃষ্টিপাত (10-25 সেমি) এই জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য । যার প্রভাব এখানকার স্বাভাবিক উদ্ভিদের উপরও স্পষ্ট । বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য এখানকার গাছগুলোর কান্ড ও পাতা মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় গাছে জল বেরিয়ে না যায় । অধিকাংশ গাছই কাঁটা জাতীয় হয়ে থাকে । যেমন : ক্যাকটাস , বাবলা , ফনিমনসা , খেজুর প্রভৃতি ।

. আফ্রিকা মহাদেশের নিরক্ষীয় অঞ্চল ভূমধ্যসাগর সন্নিহিত অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কীভাবে জলবায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তা ব্যাখ্যা করো। 

উত্তরঃ  নিরক্ষীয় চিরসবুজ গাছের অরণ্য: নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে সারাবছর গরম (২৭°সে.), এবং বৃষ্টির পরিমাণ ২০০-২৫০ সেমি.। সরাসরি সূর্যকিরণ আর সারা বছর বৃষ্টিতে এখানে শক্ত কাঠের ঘন জঙ্গল সৃষ্টি হয়েছে। মেহগনি, রোজউড, এবনি এই ঘন জঙ্গলের প্রধান গাছ। পাতা ঝরানোর নির্দিষ্ট ঋতু না থাকায় গাছগুলো সারাবছর সবুজ দেখায়। তাই এর নাম চিরসবুজ গাছের অরণ্য।

ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদ: আফ্রিকার একেবারে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়। এই জলবায়ু অঞলে শীতকালে বৃষ্টি হয়। সারা বছরে ৫০-১০০ সেমি. বৃষ্টি হয়।গরমকাল বৃষ্টিহীন থাকে। পাতায় নরম মোমের আস্তরণ দেখা যায়। জলপাই, ওক, আখরোট, ডুমুর, কর্ক গাছগুলো এখানে জন্মায়। গরমকালে জলের সন্ধানে গাছের মূলগুলো অনেক গভীরে চলে যায়। কমলালেবু, আঙুর এইসব ফলের বাগান খুব চোখে পড়ে।

.মানুষের নানাবিধ ক্রিয়াকলাপ নদীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে’- বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

উ: মানুষের জীবনের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক এত নিবিড় হলেও, মানুষের কিছু কিছু কাজ নদীর স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করেছে।

  1. i) কৃষি ব্যবস্থার প্রসার, শিল্পায়ন, নগরায়ন, ইতাদি নানাভাবে নদীকে প্রভাবিত করছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর পাড়ে কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করলে সাময়িক সুফল পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত তা আরও ভয়াবহ বন্যারই কারণ হয়ে উঠছে! একদিকে কৃষিজমি থেকে ধুয়ে আসা পলিতে নদী ক্রমশ ভরাট হচ্ছে। অন্য দিকে সেচের জলের জোগান দিতে নদী ক্রমশ শুকিযে যাচ্ছে।
  2. ii) শহর, শিল্পাঞ্চলের বর্জ্য জল নদীতে অবাধে মিশে গযে নদীর জল ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে।

 Click Here To Download The Pdf

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| History | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ সপ্তম শ্রেণী | ইতিহাস | পার্ট – ৮|

0

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 7| History | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

সপ্তম শ্রেণী | ইতিহাস | পার্ট – ৮|

৫০ Marks

১. ‘স্তম্ভের সাথেস্তম্ভ মেলাও :

:-

স্তম্ভ স্তম্ভ
১.১ খলিফার অনুমোদন (গ) ইলতুৎমিশ
১.২ সিজদা ও পাইবস (ক) গিয়াসউদ্দিন বলবন
১.৩ বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ঘ) আলাউদ্দিন খলজি
১.৪ আমুক্তমাল্যদ (খ)কৃষ্ণদেব রায়

. বেমানান শব্দটির নিচে দাগ দাও :

. বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র 

. বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড় 

. হলায়ুধ, জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর 

. প্রতাপাদিত্য, কেদার রায়, ইশা খান, বৈরম খান 

. শূন্যস্থান পূরণ করো

. বন্দেগানইচিহলগানির সদস্য ছিলেন সুলতান ___গিয়াসউদ্দিন বলবন ________

. বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন _____সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ ______ 

. পোর্তুগিজ পর্যটক ___পেজ________ বিজয়নগর পরিভ্রমন করেন। 

. বিজয়নগর পরাজিত হয়েছিল  ____১৫৬৫ খ্রি: তালিকোটার _______ যুদ্ধে। 

.. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :

.দাগহুলিয়াব্যবস্থা চালু রাখেন শেরশাহ। 

:- সত্য 

. ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে হলদিঘাটির যুদ্ধে আকবর রানা প্রতাপকে পরাজিত করেছিলেন। 

:- সত্য 

. মনসবদারি জায়গিরদারি ব্যবস্থা বংশানুক্রমিক ছিল।

:- মিথ্যা 

. রাজিয়া তার মুদ্রায় নিজেকেসুলতানবলে দাবি করেছেন। 

:- সত্য 

. দুইতিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

.দীন ইলাহিকী?

উঃ- আকবরের প্রশাসনিক আদর্শ তৈমুরীয়,পারসিক ও ভারতীয় রাজতন্ত্রের সংমিশ্রন ছিল। এই আদর্শে বাদশাহ ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী শাসন করবেন এবং প্রজাদের প্রতি তার পিতৃসুলভ ভালোবাসা থাকবে।কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি তার পক্ষপাত থাকবে না। সকলের প্রতি সহনশীলতা ও সকলের জন্য শান্তির এই পথকেই বলা হয় সুলহ- ই – কুল।এই আদর্শের ভিত্তিতে আকবর সকল ধর্মের সারবস্তুর সমন্বয় করে একটি ব্যক্তিগত ধর্মমত গড়ে তুলেছিলেন, একেই দীন-ই-ইলাহি বলা হয়।

.মনসব কী

:- আকবর সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করেন। সেটি ছিল তার মনসবদারি ব্যাবস্থা। আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হতো মনসব।

. চারপাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

. পালসেন যুগে কেমন ভাবে কর আদায় করা হত

:- ভূমিকাপাল ও সেনযুগে রাজারা বিভিন্ন ধরনের কর সংগ্রহ করতেন।

কৃষি কর :রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ (১/৬ ভাগ)। কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন। তাঁরা নিজেদের ভোগের জন্য ফুল, ফল, কাঠ ও প্রসাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতেন।

বাণিজ্য কর :বণিকরা তাদের ব্যাবসাবাণিজ্য করার জন্য বাসাকে কর দিত।

অন্যান্য করএছাড়াও প্রজারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজাকে কর দিত। সমগ্র গ্রামের উপবেও কর দিতে হতো গ্রামবাসীদের। হাট ও খেয়াঘাটের , উপবে কর চাপানো হতো৷

. সেন রাজারা কি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন

উঃ হ্যাঁ, সেন রাজারা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । সেন রাজা লক্ষনসেনের আমলের বিখ্যাত কবি ছিলেন জয়দেব। এছাড়া ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতিধর এবং শরণ নামে আরো চারজন কবি ছিলেন। এমনকি রাজা বল্লালসেন ও রাজ লক্ষনসেন দুজনেই স্মৃতিশাস্ত্র লিখেছিলেন। তাছাড়া লক্ষনসেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে ব্রাহ্মণসর্বজ্ঞ নামে একটা বই লিখেছিলেন।

. ইকতা ব্যবস্থা কী

উত্তরঃ ইকতা ব্যবস্থা: সুলতানরা ক্রমাগত রাজ্য জয় করায় সাম্রাজ্যের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় সুলতানরা যে সব রাজ্য জয় করতেন, সেই রাজ্যগুলির দায়িত্ব এক একজন সামরিক নেতার উপর দেওয়া হত। এই রাজ্যগুলিকে এক একটি প্রদেশের মতো ধরে নেওয়া হত, এগুলিকে বলা হত ইকতা। ইকতার দায়িত্বে যিনি থাকতেন তাকে বলা হত ইকতাদার বা মুক্-তি বা ওয়ালি।

. খলজি বিপ্লব বলতে কী বোঝ?

:- ১২৯০ খ্রিঃ হিন্দুস্থানি মুসলিমদের নেতা ও সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি জালালউদ্দিন খলজি বলবনের বংশধর অসুস্থ কায়কোবাদ ও শিশু কায়ুমার্সকে হত্যা করে দিল্লির সুলতান হন| এই ঘটনাকে বলা হয় “খলজি বিপ্লব’| এর ফলে দিল্লিতে তুর্কি অভিজাতদের ক্ষমতা চলে যায়| তার বদলে খলজি তুর্কি ও হিন্দুস্তানিদের ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছিল।

.দাক্ষিণাত্য ক্ষতবলতে কী বোঝো?

উঃ-খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে ঔরংজেব ভেবেছিলেন যে দক্ষিণী রাজ্যগুলিকে জয় করতে পারলে সেখান থেকে অনেক রাজস্ব আদায় করা যাবে। বাদশাহ ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি ও মারাঠা নেতা শিবাজিকে দমন করার জন্য রাজধানী ছেড়ে প্রায় ২৫ বছর দক্ষিণ ভারতে কাটিয়েছিলেন। কিন্তু বাদশাহ যা ভেবেছিলেন তা হল না।দীর্ঘ রক্ত ও অর্থক্ষয়ী যুদ্ধের পরেও মারাঠা রাজ শিবাজিকে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নিতে হয়েছিল।এর ফলে মোগলদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হল, একেই দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলে । ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মোঘল সাম্রাজ্যের পতনে এই ‘দাক্ষিণাত্য ক্ষত’ অনেকাংশেই দায়ী ছিল।

. আটদশটি বাক্যে উত্তর দাও

. বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল

উঃ আনুমানিক ১২০৪ খ্রিস্টাব্দের শেষে বা ১২০৫ খ্রিস্টাব্দের প্রথমদিকে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি বাংলার নদিয়া দখল করেছিলেন। সেই থেকে বাংলার তুর্কি শাসন শুরু হয়েছিল। এরপরে বাংলাতে যে পরিবর্তনগুলি ঘটে সেগুলি হল-

i)বখতিয়ার নদিয়া ছেড়ে লক্ষণাবতী অধিকার করে রাজধানী স্থাপন করেন। এই শহরকে সমকালীন ঐতিহাসিকরা লখণৌতি বলে উল্লেখ করেছেন।

ii)বখতিয়ার খলজি নিজের নতুন রাজ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। এইসব শাসনকর্তারা ছিলেন তার সেনাপতি।

iii)বখতিয়ার খলজি লখণৌতিতে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং সুফি সাধকদের আস্তানা তৈরি করে দেন।

iv)বখতিয়ার খলজি লখণৌতি রাজ্যের সীমানা উত্তরে দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর শহর , দক্ষিণে পদ্মা নদী, পূর্বে তিস্তা ও করতোয়া নদী পর্যন্ত তার রাজত্বের সীমা বাড়িয়ে নিয়ে ছিল।

. কৃয়দেব রায়কে কেন বিজয়নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়

:- উত্তরঃ কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিজয়নগরের রাজ্যের বিখ্যাত শাসক। তার রাজত্বকালে বিজয়নগরের গৌরব সবথেকে বেড়েছিল। সে সময়ে সাম্রাজ্যের সীমা বেড়েছিল। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার হয়েছিল। এছাড়াও শিল্প-সাহিত্য, সংগীত এবং দর্শনশাস্ত্রের উন্নতি তার সময় লক্ষ্য করা যায়। কৃষ্ণদেব রায় নিজেও একজন সাহিত্যিক ছিলেন। তেলেগু ভাষায় লেখা আমুক্তমাল্যদ গ্রন্থে তিনি রাজার কর্তব্যের কথা লিখেছেন। বিজয়নগরের রাজাদের মধ্যে তিনি সর্বাপেক্ষা পন্ডিত এবং সর্বোত্তম একজন মহান শাসক এবং সুবিচারক সাহসী সর্বগুনম্বিত ছিলেন, একথা বলেছিলেন পর্তুগিজ পর্যটক পেজ। এই সমস্ত কারণগুলোর জন্যই কৃষ্ণদেব রায়কে বিজয় নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়।

. শেরশাহের যেকোনো দুটি প্রশাসনিক সংস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

শের শাহের প্রশাসনিক সংস্কার

.ভূমিরাজস্ব : ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শের শাহ অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ ব্যবস্থা চালু করেন। শের শাহ কৃষককে কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার এবং তাকে কত রাজস্ব দিতে হবে তা লিখে যে দলিল দিতেন, তাকে পাট্টা বলা হত। পাট্টাপ্রাপ্ত কৃষকরা রাজস্ব দেওয়ার কথা স্বীকার বা কবুল করে সরকারকে যে দলিল সই করে দিত, তাকে কবুলিয়ত বলা হত।

.যোগাযোগ ব্যবস্থা : যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুদীর্ঘ ও প্রশস্ত রাজপথ নির্মাণ শের শাহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তিনি পূর্ববঙ্গের সোনারগাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত ১৪০০ মাইল দীর্ঘ পথ নির্মাণ করেন, যা সড়ক-ই আজমস’ বা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা জি টি রোড নামে পরিচিত। তিনি আগ্রা থেকে বুরহানপুর ও আগ্রা থেকে যোধপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করেন। তিনি পথিক ও বণিকদের সুবিধার জন্য রাস্তার ধারে ধারে অনেক সরাইখানা নির্মাণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম ঘোড়ার পিঠে ডাক আদানপ্রদানের ব্যবস্থা করেন।

 Click Here To Download The Pdf

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| Science| Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ সপ্তম শ্রেণী | পরিবেশ ও বিজ্ঞান | পার্ট – ৮|

0

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 7| Science| Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

সপ্তম শ্রেণী | পরিবেশ ও বিজ্ঞান | পার্ট|

৫০ Marks

. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো :

. অপ্রভ বস্তুটি হলো

(ক) মোমবাতির শিখা

(খ) সূর্য

() চাঁদ

(ঘ) জোনাকি

. যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয় সেটি হলো

(ক) কয়লা

(খ) পেট্রোল

(গ) ডিজেল

() গোবর গ্যাস

. উদ্ভিদের মূলের ডগার টুপির মতো অংশের ঠিক ওপরের জায়গা যেখানে কোনো রোঁয়া থাকে না সেটি হলো

(ক) মূলত্র অঞ্চল

(খ) বর্ধনশীল অঞ্চল

(গ) স্থায়ী অঞ্চল

() মূলরোম অঞ্চল 

. যেক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হলো

(ক) দেয়াল

(খ) কাগজ

(গ) কাপড়

() আয়না

. যেটি পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস নয় সেটি হল

(ক) সূর্য

(খ) বায়ুপ্রবাহ

() জীবাশ্ম জ্বালানি 

(ঘ) জৈব গ্যাস

. রূপান্তরিত অর্ধবায়বীয় কাণ্ড দেখা যায় যে উদ্ভিদে সেটি হলাে

(ক) আলু

() কচুরিপানা 

(গ) বেল

(ঘ) কুমড়ো

. শূন্যস্থান পূরণ করো :

. ইস্ত্রিতে তড়িৎপ্রবাহের ____তাপীয়________ ফলাফলের প্রয়োগ করা হয়। 

. আমের আঁটি ____বীজকে________ ঢেকে রাখে।

. এঁচোড় হলো ____যৌগিক________ ফলের একটি উদাহরণ। 

. ঠিক বাক্যের পাশেআর ভুল বাক্যের পাশে ‘X’ চিহ্ন দাও

. কোনা বস্তুকে তাপ দিলে তার উষ্ণতার পরিবর্তন হবেই। 

:- X

. ভিটামিন D-এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়।

:- X

. কঠিন সোডিয়াম ক্লোরাইডের মধ্যে অণুর কোনো অস্তিত্ব নেই। 

:-

. কোনো দণ্ডচুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য তার চৌম্বক দৈর্ঘ্যের চেয়ে সামান্য কম হয়। 

:-

. কাণ্ডের যে অংশ থেকে শাখা বেরোয় তাকে পর্বমধ্য বলে।

:- X

. তেঁতুল পাতা হলো একক পত্রের একটি উদাহরণ।

:- X

. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

. সমীকরণটি ব্যালান্স করে লেখো

:- https://lh4.googleusercontent.com/7sW4p3hJgtSvpHeOuQ9mw_u1ohTa-aICRH5-r3iy_CW-Sr0FxPrtSGypS0URTLLNYRn42-y9Ob3Hb_2Ki776AnkN8vfytEEw7auvEPIU4hjCRT9zorbUr67rxZAwODv7-8PeOQW1=s1600

. মানবদেহে আয়োডিনের একটি কাজ উল্লেখ করো।

:- আয়োডিন থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে । মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে ।

. আম দিয়ে তৈরি একটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উদাহরণ দাও। 

:- আম দিয়ে তৈরি এমন একটি প্রক্রিয়াজাত খাবার হলো আমসত্ত্ব ।

. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :

. কিউপ্রিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের টুকরো যোগ করলে কী ধরনের বিক্রিয়া হবে? বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখো। 

:-  কিউপ্রিক ক্লোরাইড দ্রবণে দস্তা বা জিংক যোগ করলে , দস্তা কিউপ্রিক ক্লোরাইড এর মধ্যেকার কপারকে প্রতিস্থাপিত করবে । লালচে বাদামী রং – এর তামা ( কপার ) শেষ পর্যন্ত এই বিক্রিয়ায় থিতিয়ে পড়বে ।

4.png

কিউপ্রিক ক্লোরাইড এর জলীয় দ্রবণে জিঙ্ক এক টুকরো যোগ করলে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া হবে ।

. কী কী উপায়ে ফিল্টার যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করা যায়

:-  ফিল্টার যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করা যায় বিভিন্ন ভাবে । যেমন :

জলকে ফুটিয়ে : জলকে বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো অনেকক্ষণ ধরে উচ্চ তাপমাত্রায় জল ফোটানো । এটি করলে জলের ভিতর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মারা যায় ও জলের অশুদ্ধি দূর হয় ।

পাতন পদ্ধতিতে : পতন হলো জল পরিশোধনের আর একটি কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি । একটি বদ্ধ পাত্রে জল কেমন ভাবে ফোটানো হয় নির্গত বিশুদ্ধ করার বিশুদ্ধ পানীয় জলীয় বাষ্পকে পুনরায় জলে পরিণত করাই হল পাতন । এতে জলের অশুদ্ধি দূর হয় ও পাতিত জল পাওয়া যায় ।

. পৃথিবী যে নিজেই একটা চুম্বক তার পক্ষে কী প্রমাণ আছে

:-  একটা লোহার দন্ডকে বহুদিন ধরে পৃথিবীর উত্তর দক্ষিণ দিক বরাবর রেখে দিলে দেখা যায় ওই দন্ডের মধ্যে ক্ষীণ চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে । দন্ড তার উত্তরমুখী প্রান্তে উত্তর মেরু আর দক্ষিণমুখী প্রান্তে দক্ষিণ মেরু সৃষ্টি হয় ।

আবার কোন চুম্বক এ অবাধে ঝুলে থাকতে দিলে তা উত্তর দক্ষিণ মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে । এই ভাবেই প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী নিজে একটা বিরাট চুম্বক ।

. কী কী উপায়ে উদ্ভিদে স্বপরাগযোগ ঘটতে পারে

:-  তিনটি উপায়ে স্বপরাগযোগ ঘটতে পারে –

(i)একটি ফুলের থেকে পরাগরেণু সেই ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় ।

(ii)একটি ফুলের থেকে পরাগরেণু সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় ।

(iii)একই ফুলের থেকে পরাগরেণু ওই ধরনের অন্য গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় ।

. চালু লাইনের কাজ করার সময় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কীসের ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করা উচিতলোহার চেয়ার না কাঠের টুল? কেন

:- চালু লাইনে কাজ করার সময় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাঠের টুল এর উপর দাঁড়িয়ে কাজ করা উচিত।

কারণ, কাঠ হল তড়িতের কুপরিবাহী। তাই কাঠের টুল এর উপর দাঁড়িয়ে | মিস্ত্রি কাজ করা অবস্থায় ভুলে পরিবাহিতার হাত পড়ে গেলেও তড়িৎ শরীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। অর্থাৎ সক লাগবেনা ৷

. উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজ কী কী

:- উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজ গুলি হল:

১) জল ও খনিজ লবণ শোষণ: উদ্ভিদের মূলের মূলরোম অঞ্চলের উপস্থিত রোমগুলোর সাহায্যে উদ্ভিদ মাটি থেকে জল ও খনিজ পদার্থ শোষণ করে।

২) মাটি কে আঁকড়ে ধরে রাখা: মূল এর স্থায়ী অঞ্চল মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে।

. হাতে স্পিরিট বা ইথার ঢাললে ঠান্ডা লাগে কেন?

:- হাতে বা গায়ে স্পিরিট লাগলে ঠান্ডা বোধ হয়। স্পিরিট উদবায়ী তরল বলে দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়। এই বাম্পায়নের জন্য স্পিরিট প্রয়োজনীয় লীন তাপ হাত বা গা থেকে গ্রহণ করে। ফলে হাত বা গা- এর স্পিরিট- লাগা অংশটুকু ঠান্ডা হয়ে যায়।

. তিনচারটি বাক্যে উত্তর দাও :

. যে উয়তায় সেলসিয়াস ফারেনহাইট স্কেলের পাঠ সমান হবে তা নির্ণয় করো। 

:- ধরি x°C = x°F অর্থাৎ x উষ্ণতায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের পাঠ সমান।

 

অর্থাৎ,1.png2.png

বা,

-40° উষ্ণতায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের পাঠ সমান হবে।

. কোয়াশিওরকর রোগ কেন হয় এবং এই রোগে কী কী লক্ষণ দেখা যায়

:- কোয়াশিয়রকর রোগ এর লক্ষণ

১) শিশুর গায়ের চামড়া গাঢ় বর্ণের হয়ে যায়।

২) শিশুর পেট ফুলে যায়।

৩) দেহ এত অপুষ্টিতে ভোগে যে, দেখে মনে হয় চোখগুলো যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসছে।

৪) হাত ও পা সরু হয়ে যায়।

. একটি চিহ্নিত চিত্রের সাহায্যে ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মির গতিপথ কেমন হবে তা দেখাও। 

:- 

3.jpg

. সাপ কীভাবেজেকবসনস অর্গান’- এর সাহায্যে তার চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে জানতে পারে?

:- বিভিন্ন প্রাণীর দেহ থেকে নানান উদ্বায়ী যৌগের অণু বাতাসের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সাপের জিভে সেইসব যৌগের অনুরা আটকে যায়। তারপর সাপ মুখের ভিতর জিভটা ঢুকিয়ে নিয়ে উপরের তালুতে ঠেকায়। সেখানে থাকে একটি বিশেষ অঙ্গ জেকবসনস অরগ্যান। সাপ যখন জীবিত সেখানে ঢোকায় তখন সেই গন্ধের অণুগুলো মস্তিষ্কে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। সেই থেকে সাপ চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে জানতে পারে।

. সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড়ো করা হলে প্রতিকৃতির কী পরিবর্তন হবে? ব্যাখ্যা করো। 

:- সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড় করা হলে প্রতিকৃতিও অস্পষ্ট হবে।

ব্যাখ্যা: সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড় করা হলে তা অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্রের সমষ্টির মতো আচরণ করবে। এতে গঠিত অসংখ্য প্রতিকৃতি মিলে মিশে যাবে। এর ফলে একটি অস্পষ্ট প্রতিকৃতি সৃষ্টি হবে।

. সমুদ্রের মাছ কীভাবে নিজের দেহে জলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে ব্যাখ্যা করো।

:- নিম্নলিখিত পদ্ধতির মাধ্যমে সমুদ্রের মাছ নিজের দেহে জলের পরিমান স্বাভাবিক রাখে:

(i)সমুদ্রের মাছ ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করে। ফলে তাদের দেহ থেকে খুব কম পরিমাণ জল বেরিয়ে যায়।

(ii)সমুদ্রের মাছ ফুলকার মাধ্যমে দেহের অতিরিক্ত আয়ন ত্যাগ করে।

 Click Here To Download The Pdf

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| English| Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ সপ্তম শ্রেণী | ইংরাজী | পার্ট – ৮|

0

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 7| English| Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

সপ্তম শ্রেণী | ইংরাজী | পার্ট|

৫০ Marks

SECTION A: READING COMPREHENSION

  1. Read the following passage and answer the questions given below: 

We would find a hammer for him, and then he would have lost sight of the mark he had made on the wall, where the nail was to go in. Each of us had to get up on the chair beside him, and see if we could find it. We would each discover it in a new place, and he would call us all fools. 

Trying to reach a point three inches beyond what was possible for him to reach, the string would slip, and down he would slide on to the piano. 

Rearrange the following sentences

i.Each of us would discover a new place. 

Ans: 4

ii.The hammer was found. 

Ans: 1

iii. He fell on to the piano. 

Ans: 5

iv.Everyone has to get up on the chair beside him. 

Ans: 3

v.Uncle Podger would lose sight of the mark. 

Ans: 2

  1. Answer the following questions:

(a) Why was it necessary for each of them to get up on the chair beside him? 

Ans: It was necessary for each of them to get up on the chair beside him to find the mark that uncle podger had made on the wall

(b) Why did Uncle consider each of them to be fools? 

Ans: Uncle considered each of them to be fools because they would discover the mark in different places.

(c) How did Uncle Podger fall on the piano? 

Ans: Traying to reach a point three inches beyond what was possible for him to reach, the string slipped and uncle podger fell on the piano.

  1. Read the passage carefully and answer the questions that follow: 

You know of course that our earth is very, very old millions and millions of years old. And for a long long time there were no men or women living in it, before the men came there were only animals, and before the animals there was a time when no kind of life existed on the earth. It is difficult to imagine this world of ours which is so full today of all kinds of animals and men, to be without them. But scientists and those who have studied and thought a great a deal about these matters tell us that there was a time when the earth was too hot for any living being to live on it. 

Answer the following questions in complete sentences: 

(i) How old is the earth? 

Ans: The Earth millions and millions of years old.

(ii) Describe the earth before man existed. 

Ans: Before the men came there were only animals, and before the animals there was a time when no kind of life existed on the earth.

(iii) Why was there no life on earth? 

Ans: there was a time when the earth was too hot for any living being to live on it.

SECTION B: GRAMMAR AND VOCABULARY

  1. Underline the nominal compounds in the following sentences: 

(a) Since it is raining, you should wear the raincoat. 

(b) Do you know how to use the washing machine

(c) Never waste drinking water. 

(d) There is not a single oil pump in our area. 

  1. Select the correct homophone from the brackets and fill in the blanks:

 (a) Akbar, the great Mughal emperor, reigned for forty-nine years. (reined/reigned) 

 (b) Anamika loves to have curd (curd/card) 

(c) Sania is too weak to move out of doors. (week/weak) 

(d) Do you like to watch the TV serials (cereals/serials) 

  1. Do as directed:

(i) The cheetah is the fastest animal. (Use Positive degree of the adjective) 

Ans: No other animal is as fast as the cheetah.

(ii) Very few queens were as powerful as Elizabeth I. (Use Superlative degree) 

Ans: Elizabeth was one of the most powerful queens.

(iii) No other girl of our school is so pretty as Tania. (Use Comparative degree) 

Ans: Tania is prettier than any other girl of our school.

(iv) His application was rejected. (Replace the underlined word with its antonym) 

Ans: His application was accepted.

(v) Don’t eat the rotten apples. (Identify the participial adjective) 

Ans: Don’t eat the rotten apples.

  1. Match column A with column B:
A B
(i) Philatelist One who collects stamps
(ii) Atheist One who does not believe in the existence of God
(iii) Sculptor An artist who makes sculptors
(iv) Apiary A place where bees are kept
(v) Pessimist  One who has the negative outlook in life
(vi) Inevitable Certain to happen

 

C: WRITING

  1. Suppose your cousin has never been to your village. Write a letter (in about 70 words) to him/her describing your village and inviting him/her to visit your village. 

 

Ajaypally

Durgapur

Pincode: 732101

My dear brother,

I am very happy that I got your letter yesterday, I am going to write something about our village to lure you to come visit here. I am sure you will enjoy very much if you come. Our village is small but very charming. Our village is not as crowded town in which you live. You will have here fresh vegetables and pure milk in enough quantity. But the thing you will enjoy most in our village is beautiful natural scenery. There is a small river close to our village. The river flows with its own sweet will. It adds to the beauty of our village. I am sure you will be charmed with the calm and quiet atmosphere here.

 I once again ask you to come. Do please come and stay with us for a few days and enjoy. No more today.

With much love,

 Affectionately yours,

Barsha

To,

Rabin Das

C/O Prabin Das

1 No B.B Road Kolkata

  1. Write the summary of the given passage:

Ans:The constable pushed the passenger out with his luggage. He refused to change the compartment and sat in the waiting room only with his handbag. The railway authorities had taken the charge of his luggage.

Click Here To Download The Pdf

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| Math| Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ সপ্তম শ্রেণী | গণিত | পার্ট – ৮|

1

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 7| Math| Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

সপ্তম শ্রেণী | গণিত | পার্ট – ৮|

৫০ Marks

Click Here To Download The Pdf

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| Bengali | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ সপ্তম শ্রেণী | বাংলা| পার্ট – ৮|

1

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 7| Bengali | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

সপ্তম শ্রেণী | বাংলা| পার্ট – ৮|

৫০ Marks

. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

.পাগলা গণেশগল্পে গণেশের বয়স 

(ক) একশো বছর

(খ) দেড়শো বছর 

(গ) একশো পঁচাত্তর বছর 

() দুশো বছর 

. কোকনদহলো

(ক) শ্বেতপদ্ম

() রক্তপদ্ম 

(গ) নীলপদ্ম

(ঘ) হলুদ পদ্ম 

.পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’ – কবিতাটির রচয়িতা

(ক) আশরাফ সিদ্দিকী 

(খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

() মদনমোহন তর্কালঙ্কার 

(ঘ) যোগীন্দ্রনাথ সরকার 

. শ্রদ্ধেয় রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রামকিঙ্কর বেইজের পরিচয় হয় 

(ক) মেদিনীপুরে

(খ) বীরভূমে 

() বাঁকুড়ায়

(ঘ) কলকাতায় 

. খোকনের বাড়ির সামনেই ছিল একটি 

(ক) বটগাছ।

() ইউক্যালিপটাস গাছ 

(গ) নারকেল গাছ 

(ঘ) বকুল গাছ 

. খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

.তা আপনার কবিতা শুনছেই বা কে আর পড়ছেই বা কে?’ – একথার উত্তরে শ্রোত কী বলেছিলেন

:- উপরে উল্লেখিত লাইনটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা পাগলা গনেশ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নে উল্লেখিত প্রশ্নটি পাগলা গণেশ কে করা হয়েছিল। 

 এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা অর্থাৎ পাগলা গনেশ বলেছিলেন যে, আকাশ, বাতাস ও প্রকৃতি তার কবিতা শুনছে। আর তার ভাসিয়ে দেওয়া কবিতার পাতা যদি কেউ আর তাদের পড়তে ইচ্ছা হয় তবে তারা পড়বে

. My Native Land, Good night!”

উদ্ধৃতিটি কার রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে

:- উদ্ধৃতিটি লাইনটি মাইকেল মধুসূদন রচিত বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

My Native Land, Good night!’ – উক্তিটি বায়রনের লেখা।

. একুশের কবিতায় কোন্ কোন্ গানের সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে

:- আশরাফ সিদ্দিকীর একুশের কবিতা নামক কবিতায় “পাখি সব করে রব” মাতৃভূমি বাংলাদেশ ভাটিয়ালি, জারী সারী এমনকি ছোটবেলায় মায়ের মুখে শোনার নানান গানের কলি প্রভৃতি সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে।

.অত বড়ো একজন শিল্পীর কাছে শিক্ষালাভ করেছি, আমার সৌভাগ্য।কার স্মৃতিচারণায় কথক একথা বলেছেন

:- প্রশ্ন উল্লেখিত লাইনটি রামকিঙ্কর বেইজ রচিত আত্মকথা প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।

উদ্ধৃতিটির বক্তা রামকিঙ্কর বেইজ শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়ের কলাভবনের আচার্য নন্দলাল বসুর তত্ত্বাবধানে ছবি আঁকা শিখেছিলেন । তার স্মৃতি চারণায় কথক একথা বলেছেন

.খোকন অবাক হয়ে গেল।কোন্ কথা শুনে খোকন  অবাক হলো ?

:- লাইনটি বনফুল রচিত খোকনের প্রথম ছবি গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।

খোকনের বাবার বন্ধু একজন বিখ্যাত চিত্রকর।তিনি খোকনের আঁকা ছবি দেখে তাকে প্রশ্ন করেছিলেন যে তার নিজের আঁকা ছবি কোথায় কারন সে সবই চারপাশ থেকে নকল করে এঁকেছে। এই কথা শুনেই খোকন অবাক হয়েছিল।

.আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন।‘ – কোন্কথার অবতারণালে বক্তারঠাট্টামনে হয়েছে?

উঃ বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী অসীমাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি লেক শ্রেভারের জল শুকিয়ে ফেলে মেঘ তৈরি করবেন, সেই মেঘ থেকে যদি বৃষ্টি হয় তবে তার ফলে হয়তো সাইবেরিয়াই এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমবে। তার এই অবাস্তব কথা শুনে অসীমার মনে হয়েছিল তিনি বুঝি ঠাট্টা করছেন।

. জেমস এইচ, কাজিন্‌স কে ছিলেন?

উঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময় অর্থাৎ ১৯১৯ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  দক্ষিণ ভারত পরিক্রমা বেরিয়েছিলেন। সেখানে “থিয়সফিক্যাল কলেজ” এর অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ছিলেন জেমস এইচ, কাজিনস।

. ছবি আমি পরেও দেখেছি।‘ – কোন্‌ দৃশ্যবর্ণনা প্রসঙ্গে একথা এসেছে?

উঃলেখক রামকুমার চট্টপাধ্যায় এক স্বদেশী সভায় প্রথমবার দেখেছিলেন মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল গান গাইছেন । এখানে এই দৃশ্যপটের কথা বলা হয়েছে, কবি নজ্রুলের এই একই ভঙ্গিতে গান গাওয়ার চিত্র লেখক  পরেও দেখেছেন।

.তাদের রাজত্ব হের অক্ষুণ্ণ কেমন‘ – কাদের রাজস্ব কেন অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন?

উঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কামিনী রায় প্রণীত স্মৃতিচিহ্ন নামাঙ্কিত কবিতায় কবি ব্যক্ত করেছেন যে, যারা মহান কার্য দ্বারা মানব সমাজের কল্যান করেছেন, সমাজ ও সংস্কৃতিকে তাদের অমর সৃষ্টি দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন তারা যুগের সীমানা পেরিয়েও মানুষের মনে অমর হয়ে রয়েছেন। তাই কালস্রোতেও তাদের সাম্রাজ্য অক্ষুন্ন রয়েছে।

.১০নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া।‘ – কিষাণপাড়াকেঅমরবলা হয়েছে কেন?

উঃ উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত “চিরদিনের’ কবিতা থেকে। কৃষকেরা নিরন্তর কাজ করে চলে।দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণপাড়ায় মানুষ আবার কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিরবে তারা নিজ নিজ পেশায় কাজ করে চলে। দুর্ভিক্ষের হতাশা বা বিপন্নতা এখানে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। তাই কিষাণপাড়াকে কবি অমর বলেছেন।

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

.জীবন হবে পদ্যময়

জীবন কীভাবে পদ্যময় হয়ে উঠবে বলে কবি মনে করেন

উ:- পঙ্কতিটি কবি অজিত দত্তের লেখা ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। জ্যোৎস্না রাতে, ঝিঁঝিঁর ডাকে, নদীর স্রোতে, যন্ত্রের গতিতে, জাহাজ, নৌকা , ট্রেনের চলার তালে তালে ছন্দ লুকিয়ে আছে। কেউ যদি মন্দ কোথায় কান না দিয়ে, সব ঝগড়া বিবাদ ভুলে মন আর কান দিয়ে সব ছন্দ শোনে তাহলে পৃথিবীকে সে নতুনভাবে চিনবে। ফলে তার মনে ছন্দের যে আলোড়ন হবে তাতেই সে সহজেই কবিতা লিখতে পারবে।
৩.২ ‘কুতুব মিনারের কথা’ রচনাংশ অনুসরণে কুতুব মিনারের নির্মাণ শৈলীর বিশিষ্টতা আলোচনা করো। | 
উঃ সৈয়দ মুজতফা আলির লেখা ‘ কুতুব মিনারের কথা’ পাঠ্যাংশে লেখক কুতুব মিনারের অদ্ভুত কারুকার্য ও গঠনশৈলীর কথা বিস্তারে আলোচনা করেছেন। কুতুব পাঁচতলার মিনার। প্রথম তলাতে বাঁশি ও কোণের নকশা রয়েছে। দ্বিতীয় তলাতে শুধু বাঁশি ও তৃতীয় তলাতে কোণের নকশা কাটা। এছাড়া মিনারের চারপাশে সারি সারি লতা পাতা ও ফুলের মালা চক্রের নকশা রয়েছে। নকশা গুলি হিন্দু রীতির । আবার মিনারের গায়ে আঁকা আরবী লেখা সাধারণত মুসলমানদের ভাষা হলেও সেগুলি হিন্দু শিল্পীরাই এঁকেছেন। এই মিনারটির সৃষ্টি কার্যে  হিন্দু মুসলমান মিলে অদ্ভুত সাফল্য দেখিয়েছিল।

 . নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :

৪.১ খাঁটি দেশই শব্দ বলতে কি বোঝ?
উঃআর্যরা ভারতে আসার আগে যে সব প্রাগার্য মানুষেরা ভারতে ছিলেন তাদের ভাষার কিছু শব্দ এখনও রয়ে গেছে। উৎপত্তির দিক থেকে এগুলি যাতে অস্ট্রিক ,দ্রাবিড় বা মঙ্গোলয়েড। তবে এরাই বাংলা শব্দভাণ্ডারের সবচেয়ে প্রাচীন শব্দ। এদেরই খাঁটি দেশি শব্দ বলে। যেমনঃ তেঁতুল, চিংড়ি, মাঠ
৪.২ তদ্ভব শব্দ কিভাবে গড়ে ওঠে?
উঃকিছু কিছু সংস্কৃত শব্দ দীর্ঘ সময় ধরে ভাষাগত বিবর্তনের পথে প্রাকৃত , অপভ্রংশ ইত্যাদি স্তরের মধ্যে দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে তদ্ভব শব্দের রুপ ধারণ করেছে। এভাবেই তদ্ভব শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান নিয়েছে।
৪.৩ অর্ধ -তৎসম বা ভগ্ন- তৎসমের দুটি উদাহরণ দাও।
উঃ কৃষ্ণ > কেষ্ট
       বিষ্ণু > বিষ্টু
৪.৪ ‘ বাঙালি পদবীর ইংরেজি ধরনের উচ্চারনে হ্রস্বস্বর চিহ্ন হবে” –উদাহরণ দাও।
উঃ গাঙ্গুলি ( গাঙ্গুলী নয়)
      ব্যানার্জি ( ব্যানার্জী নয় )

 . তদ্ভব অর্ধ তৎসম শব্দের পার্থক্য একটি উদাহরণ সহ বুজয়ে দাও।

উঃ তদ্ভব শব্দ হল যা বিবর্তনের মাধ্যমে সংস্কৃত থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। যেমনঃ ভক্ত > ভত্ত> ভাত

সংস্কৃত ভাষা থেকে যে শব্দগুলি সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে কিন্তু শব্দগুলির যথাযথ রূপ রক্ষা পায়নি, বিকৃত হয়ে গেছে, তাদের অর্ধতৎসম শব্দ বলে। যেমন: নিমন্ত্রণ শব্দটি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসে ‘নেমন্তন্ন’ হয়ে গেছে। 

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

., , এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে > হয়। প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও। 

:- ঋণ, বর্ণ, স্মরণ, বরণ, তৃণ, শীর্ণ ঘৃণা ইত্যাদি ।

.পিতৃ মাতৃ শব্দের সঙ্গে স্বস্ শব্দের যোগ হলে স্বসৃ শব্দের প্রথম স্ হয় উদাহরণ দাও। 

:- মাতুঃষ্বাসা বা মাতৃষ্বাসা [ মাতুঃ + স্বস্, মাতৃ + স্বস্ ] – এর বাংলা অর্থ হলো – মায়েরভগিনি, মাসি ।

পিতৃস্বাসা( পিতৃ + স্বস্)- এর বাংলা অর্থ হলো- বাবার ভাই- কাকু, জেঠু ।

. ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়োগে একটি বাক্য রচনা করো। 

:-  বাগানে টকটকে  লাল জবা ফুল ফুটেছে। এখানে টকটকে  হল ভাবপ্রকাশ ধন্যাত্মক শব্দ।

. শূন্যস্থান পূরণ করো : ___________ > তিত > তেতো।

:- তিক্ত > তিত > তেতো ।

. বানান সংশোধন করো : পূরষ্কার। 

:- পূরষ্কার > পুরস্কার ।

. পত্র রচনা করো :

তোমাদের অঞ্চলে একটি পাঠাগার স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে একটি আবেদনপত্র লেখো।

:- 

মাননীয়,
ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক
১০৪ নং ব্লক
কলকাতা
          বিষয়ঃ একটি পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন
মহাশয়,
          আমরা আপনার ব্লকের অন্তর্গত সন্তোষপুরের বাসিন্দা। আমাদের এলাকায় বেশ কিছু কৃতি ছাত্রছাত্রী ও আগ্রহী পাঠক থাকলেও কোনো পাঠাগার নেই। ছাত্রছাত্রীরা পাঠ্যপুস্তক ছাড়া আর কোন বিষয়ে জ্ঞান আহোরণের সুযোগ পায় না। পাঠকরা তাদের মনের আঁশ মেটানোর সুযোগ পায় না। এছাড়া দরিদ্র ছাত্রছাত্রীরা বিনামুল্যে সহায়িকা বই একমাত্র পাঠাগার থেকেই পেতে পারে। এলাকায় পাঠাগার না থাকায় ছাত্রবৃন্দ অবহেলায়, অলসতায় সময় কাটায়।
          তাই এই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে সবিশেষ অনুরোধ জানাই। পাঠাগারটি প্রস্তুত হলে এলাকার মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ উপকার হবে।
কলকাতা                                                     ধন্যবাদান্তে
১৪ ই জুলাই ২০২১                                       ১০৪ নং ব্লকের অধিবাসীবৃন্দ
 Click Here To Download The Pdf

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 6| Health & Physical Education | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ ষষ্ঠ শ্রেণী | স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা| পার্ট – ৮|

0

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 6| Health & Physical Education | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

ষষ্ঠ শ্রেণী | স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা| পার্ট – ৮|

৫০ Marks

() বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে (√) চিহ্ন দাও (যেকোন ১৪টি প্রশ্নের উত্তর দাও) :

) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার কোন রংটি নীচের দিকে থাকে

(i) সাদা 

(ii) সবুজ (√)

(iii) গেরুয়া 

() জাতীয় পতাকার সাদা রং কীসের প্রতীক

(i) ত্যাগ 

(ii) আনন্দ

(iii) শান্তি পবিত্রতা (√)

(3) প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়

(i) ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে (√)

(ii) ডাক্তারের দেখার পর

(iii) রোগ থেকে সেরে ওঠার পর 

() কখনস্পিন্টব্যবহার করা হয়

(i) রক্তপাত বন্ধ করতে

(ii) জ্বর কমাবার জন্য 

(iii) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে (√)

() সুঅভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রধানত কী গুণাবলি থাকা দরকার

(i) স্কুলের শাসন

(ii) রাোগভোগ 

(iii) দৃঢ় মানসিক প্রত্যয় (√)

(iv) অভিভাবকের শাসন 

() একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন কতটা পরিমাণ জল পান করতে হবে

(i) ১ লিটার

(ii) . লিটার (√)

(iii) ৩ – ৫ লিটার

(iv) ৪ – ৫ লিটার 

() স্বাস্থ্য কী

(i) কেবলমাত্র শারীরিক সুস্থতা

(ii) কেবলমাত্র মানসিক সুস্থতা 

(iii) কেবলমাত্র সামাজিক সুস্থতা

(iv) পরিপূর্ণ জীবনের উপযোগী শারীরিক, মানসিক সামাজিক সুস্থতার সমন্বয় (√)

() মাস্ক ব্যবহারের সুফল কী?

(i) শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগ সংক্রামিত হতে পারে না। 

(ii) রোগীর দেহ থেকে রোগ ছড়ায় না

(iii) শ্বাসপ্রশ্বাস ড্রপলেটের মাধ্যমে রোগ ছড়ায় না (√)

(iv) করোনায় আক্রান্ত রোগী পুনরায় রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারে

() করোনা _________ রোগ

(i) ভাইরাস দ্বারা সংক্রামক রোগ (√)

(ii) অসংক্রামক রোগ 

(iii) বংশগত রোগ 

(iv) মশাবাহিত রোগ 

(১০) দীর্ঘক্ষণ শরীর চর্চার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সত্ত্বেও কি মাস্ক ব্যবহার করা উচিত

(i) হ্যা

(ii) না (√)

(iii) অনিশ্চিত 

(১১) কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রাতকানা রোগ হতে পারে?

(i) ভিটামিন A (√)

(ii) ভিটামিন C 

(iii) কোনোটিই নয়

(১২) পরোপকার সমাজসেবামূলক কাজ করা

(i) সুঅভ্যাস (√)

(ii) কু-অভ্যাস

(iii) কোনোটিই নয়

(১৩) খাবার থালাবাসন মাজার জন্য কোন ধরনের জল ব্যবহার করা উচিত?

(i) দূষিত জল 

(ii) বিশুদ্ধ জল (√)

(iii) দূষিত বা বিশুদ্ধ জল

১৪) মানবদেহে জলের প্রয়োজন হয় কেন?

(i) রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করতে

(ii) পরিপাক ও দেহ গঠনে সাহায্য করতে 

(iii) দেহকোশে জলের সমতা বজায় রাখতে

(iv) সবকয়টি ক্ষেত্রে (√)

() উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো

() ভারতের জাতীয় পতাকার সাদা রঙের অংশটির মাঝে_ নীল রঙের ২৪ টি কাটাবিশিষ্ট চক্র বসানো থাকে।

() জাতীয় শোকপ্রকাশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকার দিনেও জাতীয় পতাকা প্রথমে উঁচুতে তুলে তারপর দণ্ডের অর্ধেক পর্যন্ত নামাতে হবে। 

() আহত ব্যক্তির শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত কৃত্রিম _উপায়ে শ্বাস_প্রশ্বাস__ চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

() বিদ্যালয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে কিছু প্রয়োজনীয়  ওষুধ বা জীবাণুনাশ থাকা আবশ্যক। 

() স্বাস্থ্য অমূল্য ____সম্পদ______

() মধুমেহ _____অসংক্রামক _____ ব্যাধি। 

() বিশুদ্ধ বায়ু বর্ণ ____গন্ধ______ হীন হবে।

() _____আন্ত্রিক_____ একপ্রকার সংক্রামক রোগ। 

() রোগ ____সংক্রামিত ______ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়। 

(১০) অসংক্রামক রোগ জিনগতভাবে _____পূর্বপুরুষ_____ থেকে আসতে পারে। 

(১১) মানুষ যখন কোনো কিছু শেখে তা বারবার পুনরাবৃত্তি করে বা করার চেষ্টা করে, একেই বলে ____অভ্যাস _____ 

 

() সারণির মধ্যে সমতাবিধান করো ?

উঃ– 

বাঁদিকের সঙ্গে ডানদিকের অংশ মেলাও
(ক) সবুজ রং ( iii ) (i) ক্ষতস্থান আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে।
(খ) অচৈতন্য ব্যক্তি ( ii ) (ii) দ্রুত জ্ঞান ফেরাতে হবে।
(গ) অশোকচক্র ( vi ) (iii) অবাধ অগ্রগতির প্রতীক
(ঘ) ত্রিবর্ণরঞ্জিত ( vii ) (iv) তরল জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। 
(ঙ) স্বল্প রক্তপাত হচ্ছে ( i ) (v) দ্রুত স্থানান্তরকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
(চ) প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রোগীকে ( v ) (vi) সুজলা-সুফলা সমৃদ্ধ ভূমি ও তারুণ্যের প্রতীক
(vii) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা।

 

() নীচের ফঁকা ছকটি পূরণ করো :

উঃ– 

ইন্দ্রিয়ের যত্ন ইন্দ্রিয়ের যত্নের নিয়ম গুলির বর্ণনা
কি করবে কি করবে না
চোখ (১) পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করব এবং নরম রুমাল বা তোয়ালে দিয়ে চোখ মুছবো।(২) ভিটামিন A এবং বেশি পরিমাণে শাক-সবজি খাব। (৩) চোখের যেকোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেব। (১) হাতের আঙুলের সাহায্যে চোখ চুলকাব না।(২) কম বা খুব বেশি আলোয় পড়াশোনা করব না।
ত্বক (১) নিয়মিত ঠান্ডা ও নিরাপদ জলে স্নান করব।(২) প্রতিদিন স্নানের সময় জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করব।(৩) উপযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর  পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করব।(৪) ভিটামিন D এবং ভিটামিন E যুক্ত খাদ্য ও শাকসবজি গ্রহণ করব। (১) খুব বেশি সময় ধরে স্নান করব না বা জলে বেশি সময় থাকব না।(২) অপরিষ্কার পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করব না
দাঁত (১) প্রতিবার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করব। নরম ব্রাশ ও উপযুক্ত দাঁতের মাজন ব্যবহার করব।(২) ভিটামিন A, C ও D যুক্ত খাদ্য উপযুক্ত পরিমাণে গ্রহণ করব।(৩) দাঁতে কোনো সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেব। (১) খুব বেশি সময় ধরে স্নান করব না বা জলে বেশি সময় থাকব না।(২) অপরিষ্কার পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করব না

 

() নীচের যোগাসনের ভঙ্গিগুলি শনাক্ত করে ছবির নীচে কঁকা ঘরে যোগাসনটির নাম লেখো।

:- 

() নিজের মতো করে লেখো :

() সুঅভ্যাস গঠনের নিয়মগুলি লেখো। 

:-  ১. সু-অভ্যাস গঠন করতে হলে দৃঢ় মানসিক প্রত্যয় দরকার। প্রতিদিন যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গঠন করতে চাও, তবে যতই ঘুম পাক ভোরে উঠতেই হবে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে শুতে হবে।

২. সু-অভ্যাস গঠনের জন্য যেন সদুদ্দেশ্য থাকে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, তুমি বন্ধুদের সঙ্গে লড়াই করার উদ্দেশ্য নিয়ে যদি নিয়মিত ব্যায়াম করো, তবে তা সু-অভ্যাস বলে গণ্য হবে না।

৩. সু-অভ্যাস গঠন করতে হলে শারীরিক ও মানসিক তৎপরতা দরকার। সময় নষ্ট না করে সাথে সাথে দ্রুততার সঙ্গে কাজে নেমে পড়তে হবে।

৪. সু-অভ্যাস গঠন করতে হলে কাজটা বারবার বা নিয়মিত করতে হবে। একদিন করে বসে থাকলে, সেটি অভ্যাস হবে না। ব্যায়াম বা শরীরচর্চার অভ্যাস করতে হলে, তা নিয়মিত বা রোজ অনুশীলন করতে হবে।

() অসংক্রামক রোগের কারণগুলি তালিকাভুক্ত করো। 

:-  অসংক্রামক রোগের কারণ :

ক) জিনগতভাবে পূর্বপুরুষ থেকে আসতে পারে।

খ) অসংযমী জীবনযাপন করলে।

গ) অপুষ্টিজনিত কারণে (অতিপুষ্টি ও ঊনপুষ্টি দুটি কারণেই)।

ঘ) ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাবে।

ঙ) যথোপযুক্ত ব্যায়াম বা শারীরিক সঞ্চালনের অভাবে (এগুলিকে বলা হয় গতিহীনতাজনিত রোগ, বা হাইপোকাইনেটিক ডিজিস)।

চ) অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে।

() নভেল করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধে আমাদের কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে?

:-  নভেল করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধে আমাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলি গ্রহণ করতে হবে –

(ক)  অ্যালকোহল আছে এমন হ্যান্ডবার /  সাবান এবং জল দিয়ে বার বার হাত ধোওয়ার অভ্যাস করতে হবে। 

(খ) সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে যে কোন ব্যক্তির থেকে ৬ ফুট দূরে দাড়াতে হবে।

(গ) হাঁচি কিংবা কাশির সময় নিজের জামার হাতার ওপরের অংশ দিয়ে বা রুমাল অথবা টিস্যু দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে। ব্যবহার করা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে টিস্যু ঢাকনা দেওয়া ময়লা ফেলার পাত্রে ফেলে দিতে হবে। 

(ঘ) অনেক লোক উপস্থিত আছে এমন স্থান বর্জন করতে হবে। 

(ঙ) যদি অসুস্থতা বোধ হয় (জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি) তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে মাস্ক কিংবা কাপড় দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

 Click here To Download The Pdf

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 6| Geography | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ ষষ্ঠ শ্রেণী | ভূগোল | পার্ট – ৮|

0

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 6| Geography | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

ষষ্ঠ শ্রেণী | ভূগোল | পার্ট – ৮|

৫০ Marks

. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো

. ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো — 

ক) গ্রহ – নিজস্ব আলো আছে

খ) গ্রহাণু – গ্রহের তুলনায় আয়তনে বড় 

) উপগ্রহনক্ষত্রের আলোয় আলোকিত 

ঘ) উল্কা – লেজবিশিষ্ট উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক 

 . নিরক্ষরেখার সমান্তরালে উত্তর গোলার্ধে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা হলো – 

ক) মকরক্রান্তি রেখা

) কর্কটক্রান্তি রেখা 

গ) মূলমধ্য রেখা

ঘ) কুমেরুবৃত্ত রেখা 

 . নীচের যে রাজ্যটির ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বিস্তৃত সেটি হল – 

ক) অরুণাচল প্রদেশ

খ) মহারাষ্ট্র 

গ) হিমাচল প্রদেশ

) পশ্চিমবঙ্গ 

 . সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবকূলকে রক্ষাকারী ওজোন স্তর আছে – 

ক) ট্রপোস্ফিয়ারে

) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে 

গ) আয়নোস্ফিয়ারে

ঘ) এক্সোস্ফিয়ারে 

 . আন্টার্কটিকার একটি স্বাভাবিক উদ্ভিদ হলো – 

ক) পাইন

খ) শাল 

) মস

ঘ) সেগুন 

 . ভারতের মরু অঞ্চলের মাটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো – 

) মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি

খ) মাটিতে লোহার পরিমাণ বেশি 

গ) মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম

ঘ) মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি 

. উত্তর আমেরিকা ইউরোপের মাঝে অবস্থিত মহাসাগরটি হলো – 

ক) প্রশান্ত মহাসাগর

) আটলান্টিক মহাসাগর 

গ) ভারত মহাসাগর

ঘ) সুমেরু মহাসাগর

. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রকৃতি

) উষ্ণআর্দ্র

খ) শীতল-আর্দ্র

গ) শীতল-শুষ্ক 

ঘ) উষ্ণ-শুষ্ক

. ভারতের একটি পশ্চিমবাহিনী নদী হল

ক) কাবেরী

খ) গোদাবরী

) নর্মদা

ঘ) মহানদী

. শূন্যস্থান পূরণ করো :

. সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলের জলবায়ু  সমভাবাপন্ন  প্রকৃতির হয়। 

 . নির্দিষ্ট ঋতুতে যে গাছের পাতা ঝরে পড়ে তাকে পর্ণমোচী  উদ্ভিদ বলে। 

 . সাধারণত শীতকালে শীতল অঞ্চল থেকে যে পাখিরা আমাদের দেশে উড়ে আসে তারা পরিযায়ী পাখি নামে পরিচিত। 

 . বাক্যটি সত্য হলেঠিকএবং অসত্য হলেভুললেখো :

. গোলাকার পৃথিবী দ্রুত গতিতে আবর্তন করায় এটি মাঝ বরাবর স্ফীত।। 

:- ‘ঠিক

 . ° ১৮০° দ্রাঘিমারেখা প্রকৃতপক্ষে একটিই রেখা। 

:- ‘ভুল

. সূর্যের দৈনিক আপাত গতির মূল কারণ পৃথিবীর আবর্তন।

:- ‘ঠিক

. স্তম্ভ মেলাও :

স্তম্ভ স্তম্ভ
৪.১ আর্দ্রতা ii) হাইগ্রোমিটার
৪.২ ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ iii) গডউইন অস্টিন
৪.৩ অখণ্ড স্থলভাগ i) প্যানজিয়া

 . সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

. তারার রঙের সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্ক লেখো। 

:- তারার রঙের সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্ক : 

( i ) যে সমস্ত তারাদের উষ্ণতা কম তাদের রং লাল হয় । 

( ii ) একটু মাঝারি উষ্ণতার তারাদের রং হলুদ হয় ।

(iii) প্রচণ্ড উষ্ণতার নক্ষত্রদের রং হয় উজ্জ্বল সাদা ও নীল।

. দিগন্তরেখা কাকে বলে

:- দিগন্তরেখা : সমুদ্র কিংবা বিশাল প্রান্তরের ধারে দাঁড়িয়ে দূরে তাকালে মনে হয় – জলরাশি বা ভূমি এবং আকাশ যেন একটি বৃত্তরেখায় মিশে গিয়েছে । এই কাল্পনিক রেখাকে দিগন্তরেখা বা Horizon বলে ।

 . বারিমণ্ডল কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে

:- পৃথিবী সৃষ্টির বহু কোটি বছর পর পৃথিবীর বাইরের আবরণ শীতল হয়ে এলে প্রচুর জলীয়বাষ্প সৃষ্টি হয়। এই জলীয়বাষ্প উপরে উঠে ঠান্ডা হয়ে বৃষ্টির আকারে অবিশ্রান্তভাবে ঝরতে থাকে পৃথিবীতে। শত শত বছর ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পৃথিবীর নিচু জায়গা গুলো জলে ভরাট হয়ে সাগর – মহাসাগর হ্রদ তৈরি করে।এভাবেই বিশাল জলভান্ডার বা বারিমন্ডলের সৃষ্টি হয়েছে । 

. বিকিরণ পদ্ধতিতে কীভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয়

:- সূর্যরশ্মির ২০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ মাত্র পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় । বায়ুমণ্ডল সরাসরি সূর্যরশ্মি দ্বারা উত্তপ্ত হয় না। ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে সূর্যরশ্মি মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় বিভিন্ন গ্যাস, জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণা দ্বারা শোষিত হয়, তারাই বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে তোলে ।

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

. পৃথিবীর কাল্পনিক অক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণে হেলে অবস্থান করছে তার একটি চিহ্নিত চিত্র আঁকো। 

. পলিমাটির তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

:- পলিমাটির তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো- 

( i ) পলিমাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকে । 

( ii ) এই মাটিতে ধান, পাট, গম প্রভৃতি ফসল অত্যন্ত ভালো হয় কারণ এই মাটি খুব উর্বর । 

( iii ) পলিমাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি ।

. বিশ্ব উয়ায়নের কারণে পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

:- বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ এভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে —- 

( i ) বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বরফ গলে যাচ্ছে ফলে আয়তন কমছে মহাদেশটির । 

( ii ) এই মহাদেশে থাকা প্রাণীগুলি যেমন পেঙ্গুইন , তুষার ভালুক , সিল এদের জীবন বিপন্ন – হচ্ছে । 

( iii ) বরফ ও প্রাণী হ্রাস পাওয়ায় শীতল মহাদেশটির প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে ।

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

. হিমালয়ের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত তিনটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেণির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। 

:- হিমালয়ের উত্তর থেকে দক্ষিনে বিস্তৃত তিনটি পর্বতশ্রেণী হল- ( i ) হিমাদ্রি হিমালয়

( ii ) হিমাচল হিমালয় ( iii ) শিবালিক হিমালয় ।

 ( i ) হিমাদ্রি হিমালয় : হিমাদ্রি হিমালয়ের গড় উচ্চতা প্রায় 6000 মিটারের বেশি।এই হিমালয়ের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শৃঙ্গ হল — মাউন্ট এভারেস্ট , কাঞ্চনজঙ্ঘা , মাকালু প্রভৃতি । 

( ii ) হিমাচল হিমালয় : হিমাদ্রি হিমালয়ের দক্ষিণ দিকে হিমাচল হিমালয় অবস্থিত । এই অংশের গড় উচ্চতা প্রায় 3000 মিটারের বেশি । কেদারনাথ , বদ্রিনাথ বিখ্যাত পর্বতশৃঙ্গ গুলি এই হিমালয়ের , অংশ । 

 ( iii ) শিবালিক হিমালয় : হিমাচল হিমালয়ের দক্ষিণ দিকে শিবালিক হিমালয় অবস্থিত।এই দুই হিমালয়ের মাঝের উপত্যকাগুলিকে ‘ দুন ‘ বলে । এই হিমালয়ের গড় উচ্চতা প্রায় 1500 মিটার ।

 . বায়ুচাপ বায়ুপ্রবাহ কোনো অঞ্চলের আবহাওয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তা ব্যাখ্যা করো। 

:- কোন অঞ্চলের আবহাওয়া কে বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ বিভিন্নভাবেই নিয়ন্ত্রণ করে । যেমন –

বাঁয়ুর চাপ : নিম্নচাপ বলয়ে উত্তপ্ত বায়ু উচ্চচাপের বলয়ের দিকে প্রবাহিত হওয়ায় উচ্চচাপ যুক্ত অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এর ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে ।

 বায়ুপ্রবাহ : কোন স্থানের উপর দিয়ে যদি জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রবাহিত হয় তাহলে সেখানে বৃষ্টিপাত ঘটতে দেখা যায় । অপরদিকে শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হলে বৃষ্টিপাত হয় না । এভাবেই বায়ুর চাপ ও বায়ুপ্রবাহ আবহাওয়া কে নিয়ন্ত্রণ করে ।

 . অরণ্য সংরক্ষণ করা কেন প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো?

:- অরণ্য সংরক্ষণ করা বিশেষভাবে প্রয়োজন , কারণ — 

 ( i ) গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় এবং বাতাস থেকে কার্বন – ডাই – অক্সাইড শোষণ করে । তাই নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার জন্যই আমাদের অরণ্য সংরক্ষণ করা উচিত । 

( ii ) অরণ্য বৃষ্টিপাত ঘটায় ও খরা নিয়ন্ত্রণ করে । 

 ( iii ) অরণ্য থেকে মধু , মোম , জ্বালানি , গদ , আঠা , বিভিন্ন ঔষধি গাছ পাওয়া যায় যা মানুষের জীবন বাঁচাতে ও জীবিকা অর্জনে সাহায্য করে । 

 ( iv ) অরণ্য প্রকৃতি ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে ।

 

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 6| History | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ ষষ্ঠ শ্রেণী | ইতিহাস | পার্ট – ৮|

0

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 6| History | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

ষষ্ঠ শ্রেণী | ইতিহাস | পার্ট – ৮|

৫০ Marks

. সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :

. এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে  পূর্ব আফ্রিকাতে _____ (এশিয়াতে/ পূর্ব আফ্রিকাতে /আমেরিকাতে)

. মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন ____জাঁ ফ্রঁসোয়া জারিজ ________ (জাঁ ফ্রঁসোয়া জারিজ/চার্লস ম্যাসন/দয়ারাম সাহানি)

. হরপ্পা সভ্যতা ____প্রাকইতিহাস________ যুগের সভ্যতা (প্রাকইতিহাস / প্রায়ইতিহাস / ঐতিহাসিক)

. স্তম্ভের সাথে স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

:-  

স্তম্ভ স্তম্ভ
বন্দর – নগর লোথাল
বৃহৎ স্নানাগার মহেনজোদাড়ো
উঁচু এলাকা সিটাডেল

. বেমানান শব্দটি খুঁজে লেখো :

. সংহিতা, মহাকাব্য, আরণ্যক, উপনিষদ

. ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, ব্রাক্ষ্মণ

. বিদথ, সভা, সমিতি, রত্নিন

. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :

. দক্ষিণ ভারতের একমাত্র মহাজনপদ ছিল অস্মক।

উ:- সত্য

. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে বৌদ্ধ হয়ে যান।

উ:- মিথ্যা

. বিনয়পিটক গৌতম বুদ্ধের মূল কয়েকটি উপদেশের আলোচনা।

উ:- মিথ্যা

. দুতিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

. মেহেরগড় সভ্যতায় কোন কোন কৃষি পণ্য উৎপাদিত হত?

:- মেহেরগড় সভ্যতায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য গুলি দুটি পর্যায়ে উৎপাদিত হত। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া যায় গম ও যব জাতীয় শস্য। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে গম ও জবের পাশাপাশি পাওয়া যায় কার্পাস চাষের নিদর্শন। মেহেরগড় সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীন কার্পাস উৎপাদন কেন্দ্র।

. উপমহাদেশের পুরোনো গুহাবসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে এরকম কয়েকটি স্থানের নাম লেখো।

:- ভারতীয় উপমহাদেশে পুরোনো গুহা বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে হুন্সগী, ভীমবেটকা ,বাগোর প্রভৃতি স্থানে।

. বেদের আরেক নাম শ্রুতি কেন?

:- বেদ প্রথমদিকে লিখিত আকারে ছিল না। ঈশ্বরের বাণী মুনিঋষিরা মনে রাখতেন এবং তাদের কাছ থেকে শিষ্যরা শুনে শুনে মুখস্ত করতো। শুনে শুনে মনে রাখা হতো তাই বেদের আর এক নাম হলো শ্রুতি।

. জনপদ কী?

:- প্রাচীন ভারতে গ্রামের থেকে বড় অঞ্চল কে জন বলা হত। সেই জনকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল রাজ্য। আবার বলা হয় জনগন যেখানে পা বা পদ রাখত অর্থাৎ বাস করত তাকে বলা হয় জনপদ। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ কোনো স্থানে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে শুরু করলে তাকে জনপদ বলে।

. চারপাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

. মেগালিথ কী?

:- মেগালিথ হলো বড়ো পাথরের সমাধি। প্রাচীন ভারতে লোহার ব্যবহারের সঙ্গে এই সমাধির সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। বিভিন্ন অঞ্চলের জনগোষ্ঠী বড়ো বড়ো পাথর দিয়ে পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের সমাধি চিহ্নিত করত। কাশ্মীরের বুরজাহোম, রাজস্থানের ভরতপুর, ইনামগাঁও বিখ্যাত মেগালিথ কেন্দ্র।

. জাতকের গল্পের মূল বিষয়বস্তু কী?

উঃ তিপিটকের মধ্যে জাতক নামে কিছু গল্প রয়েছে।এই গল্পের বিষয়বস্তু হল, মনে করা হত গৌতম বুদ্ধ আগেও পৃথিবীতে জন্মেছিলেন এবং সেই এক এক জন্মের কথা জাতকের এক একটি গল্পে রয়েছে। প্রতিটি গল্পের মধ্যেই রয়েছে কিছু উপদেশ। পালি ভাষায় রচিত এই গল্পগুলির আসল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করা।

. টীকা লেখো : অর্থশাস্ত্র

:-   অর্থশাস্ত্র: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে রচিত কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি অর্থনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক গ্রন্থ কেউ কেউ মনে করেন।কেউ মনে করেন, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মন্ত্রী চাণক্যই অর্থশাস্ত্রের রচয়িতা কৌটিল্য। মোট পনেরোটি ভাগে বিভক্ত এই গ্রন্থটির ছয় হাজার শ্লোক থেকে মৌর্য যুগের রাজ্যশাসন পদ্ধতি,রাজস্বনীতি, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন,রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয়ে জানা যায়। অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি এককথায় সমকালের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার দর্পণ ।

. মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর কেন নিয়োগ করতেন?

উ:- মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর নিয়োগ করতেন কারণ এই গুপ্তচররা সম্রাটকে সমস্ত কিছু সম্পর্কে অবহিত করেছিল, এমনকি সেই রাজ্যের  আইন শৃঙ্খলা যাতে যথাযথ এবং সুষ্ঠুভাবে বজায় থাকে তা নিয়ন্ত্রন করতে সহায়তা করেছিল। গুপ্তচরদের এলোমেলোভাবে বাছাই করা হয়নি, পরিবর্তে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছিল।

. টীকা লেখো : হর্ষচরিত

:-   হর্ষচরিত: বানভট্ট হর্ষবর্ধনকে নিয়ে হর্ষচরিত কাব্য লেখেন। এটি আদতে একটি প্রশস্তি কাব্য। অর্থাৎ এই কাব্যে হর্ষের কেবল গুনোগান করা হয়েছে। পাশাপাশি পুষ্যভৃতি দের রাজত্ব ও তার ইতিহাস আলোচনা করেছেন বানভট্ট। হর্ষবর্ধনের গুনোগান করতে গিয়ে তার রাজা শশাঙ্ককে অনেকভাবে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। হর্ষচরিত আসলে হর্ষবর্ধনের আংশিক জীবনী। তবে শুধু গুন ও গান এর জন্য এটিকে নিরপেক্ষ বলে মেনে নেওয়া মুশকিল।

. আটদশটি বাক্যে উত্তর দাও :

. তুমি কি মনে করো, আগুনের ব্যবহার মানুষের ইতিহাসে জরুরি একটি পরিবর্তন?

:- মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে কয়েকটি যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল আগুনের আবিষ্কার ও তার ব্যবহার। এই আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবনশৈলি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। আগুন আবিষ্কার খোলা আকাশের নিচে গুহাবাসী মানুষের শীতে যেমন উষ্ণতা দিয়েছিল ঠিক তেমনি রক্ষা করেছিল হিংস্র বন্য পশুর হাত থেকে। খাদ্যাভ্যাসে কাঁচা মাংসের স্থানে তারা খেতে থাকল পোড়ানো মাংস। ফলে শারীরিক গঠনের ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিবর্তন এসেছিল।যেমন তাদের চোয়াল ধীরে ধীরে সরু হয়ে গেল এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটল।

. বৈদিক যুগের ব্যবসা বাণিজ্য কেমন ছিল?

উঃ আদি বৈদিক যুগে ব্যাবসাবানিজ্যের বিশেষ চলন ছিল না। সরাসরি সমুদ্র-বানিজ্যের কথা ঋকবেদে নেই। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে ব্যাবসাবানিজ্যের কথা বেশি পাওয়া যায়। তবে সমুদ্র বানিজ্য আই আমলেও ছিল কিনা নিশ্চিত জানা যায় না। বৈদিক যুগে জিনিসপত্র বিনিময় করা হত তবে মুদ্রার ব্যাবহার ছিল বলে মনে হয় না। যদিও নিষ্ক শতমান এগুলি হয়তো মুদ্রার মতো ব্যাবহার হতো।

. নব্যধর্ম আন্দোলন কেন গড়ে উঠেছিল?

উঃখ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে বিভিন্ন কারণে নব্যধর্ম আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। যেমনঃ

ধর্মীয় কারণ: প্রাচীন বৈদিক ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্ম জটিল, ব্যয়বহুল, দুর্বোধ্য ক্রিয়াকর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান , পুরোহিত শ্রেণিনির্ভর হয়ে ওঠে।  

অর্থনৈতিক কারণ:- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ সতকে পূর্ব ভারতে অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটে। এর মূলে ছিল লোহা দিয়ে তৈরি কৃষি সরঞ্জাম ও গো-সম্পদ। এ সময় বৈদিক ব্রাত্মণ্য ধর্মে পশুবলি দেওয়ার জন্য গোরু ছিল অন্যতম উপাদান। যজ্ঞ, পশুবলি ও যুদ্ধের ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নানা ক্ষতি হয়। তাছাড়া ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্ম অনুযায়ী সমুদ্রযাত্রা ও সুদে টাকা নেওয়া অপরাধ ফলে ব্যবসায়ীরা অসন্তুষ্ট হয়।

সামাজিক কারণ:  সমাজে ব্রাত্মণদের স্থান ছিল সর্বোচ্চ। তারা সমাজের সমস্তরকম সুযোগসুবিধা গ্রহণ করলেও কোনো প্রকার কর প্রদান করতেন না। ক্ষত্রিয়দের হাতে অর্থ থাকলেও সামাজিক মর্যাদা ছিল না। ক্ষত্রিয়রা এই সামাজিক মর্যাদা আদায়ের জন্য নব্যধর্ম আন্দোলনকে স্বাগত জানায়।

 Click Here To Download The Pdf

error: Content is protected !!