Model Activity Task 2021 Compilation(Final)
Class 7| Geography | Part- 8
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১
সপ্তম শ্রেণী | ভূগোল | পার্ট – ৮|
৫০ Marks
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ সূর্যের উত্তরায়নের সময়কাল –
ক) ২১ শে জুন থেকে ২২ শে ডিসেম্বর
খ) ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২১ শে মার্চ
গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন
ঘ) ২১ শে মার্চ থেকে ২৩ শে সেপ্টেম্বর
১.২ কোনো মানচিত্রে সমচাপরেখাগুলি খুব কাছাকাছি অবস্থান করলে সেখানে –
ক) বায়ুর চাপ বেশি হয়
খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়
গ) বায়ুর চাপ কম হয়
ঘ) বায়ুর চাপের পার্থক্য কম হয়
১.৩ টোকিও – ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলের উন্নতির অন্যতম প্রধান কারণ হলাে –
ক) খনিজ ও শক্তি সম্পদের সহজলভ্যতা
খ) স্বল্প জনঘনত্ব
গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম
ঘ) সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানে অবস্থান
১.৪ ভূভাগ ভাজ খেয়ে উপরের দিকে উঠে যে পর্বত সৃষ্টি করে তার উদাহরণ হলো
ক) সাতপুরা
খ) ভোজ
গ) কিলিমাঞ্জারো
ঘ) হিমালয়
১.৫ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো
ক) নদীর উচ্চপ্রবাহ – ভূমির ঢাল কম
খ) নদীর উচ্চপ্রবাহ – নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়
গ) নদীর নিম্নপ্রবাহ – ভূমির ঢাল বেশি
ঘ) নদীর নিম্নপ্রবাহ – নদীর প্রধান কাজ বহন
১.৬ আফ্রিকা মহাদেশের মাঝ বরাবর পূর্ব–পশ্চিমে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখাটি হলাে
ক) কর্কটক্রান্তি রেখা
খ) মকরক্রান্তি রেখা
গ) মূলমধ্যরেখা
ঘ) বিষুবরেখা
১.৭ পৃথিবীর ছাদ’ যে মালভূমিকে বলা হয় সেটি হলো—
ক) ছছাটোনাগপুর মালভূমি
খ) মালব মালভূমি
গ) পামীর মালভূমি
ঘ) লাদাখ মালভূমি
১.৮ নদীর উচ্চ প্রবাহে ‘I’ আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ হলাে—
ক) ভূমির ঢাল কম থাকা
খ) উপনদীর সংখ্যা বেশি থাকা
গ) নদীর নিম্নক্ষয়ের ক্ষমতা বেশি হওয়া
ঘ) নদীর পাশ্বক্ষয়ের ক্ষমতা বেশি হওয়া
১.৯ যে রূপান্তরিত শিলা বিভিন্ন সৌধ নির্মাণে কাজে লাগে তা হলাে—
ক) চুনাপাথর
খ) কাদাপাথর
গ) ব্যাসল্ট
ঘ) মার্বেল
২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অক্ষরেখার পরিধি ক্রমশ _____কমতে______ থাকে।
২.২ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে বায়ুর চাপ_____বৃদ্ধি ______ পায়।
২.৩ এশিয়া মহাদেশের একটি উত্তরবাহিনী নদী হলো _____লেনা______ ।
৩. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখো:
৩.১ ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির একটি উদাহরণ হলো ছোটনাগপুর মালভূমি।
উ:- ঠিক
৩.২ শীতল ও শুষ্ক জলবায়ুতে মাটি সৃষ্টি হতে বেশি সময় লাগে।
উ:- ঠিক
৩.৩ জুলাই মাসে উত্তর আফ্রিকায় যখন গ্রীষ্মকাল, দক্ষিণ আফ্রিকায় তখন শীতকাল।
উ:- ঠিক
৪. স্তম্ভ মেলাও:
উ:-
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
৪.১ ফুজিয়ামা | iii) আগ্নেয় পর্বত |
৪.২ গ্রানাইট | i) আগ্নেয় শিলা |
৪.৩ মিয়েন্ডার | ii) নদীর মধ্যপ্রবাহ |
৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৫.১ কোন তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় ও কেন?
উ:- 21 শে জুন তারিখটিকে কর্কটসংক্রান্তি বলা হয় । কারণ নিজের পরিক্রমণ গতিতে 21 শে জুন তারিখে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে । ওইদিন সূর্যকিরণ কর্কটক্রান্তিরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে বলে, 21 শে জুন তারিখটিতে উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড়ো এবং রাত সবচেয়ে ছোটো হয় । আর দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয় । 21 শে জুন সূর্য উত্তরায়ণের শেষ সীমা কর্কটক্রান্তিরেখার উপর পৌঁছায় বলে 21 শে জুন দিনটিকে কর্কটসংক্রান্তি বলা হয় ।
৫.২ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার একটি করে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উ:- অক্ষরেখাগুলো পূর্ণবৃত্ত আর দ্রাঘিমারেখাগুলি অর্ধবৃত্ত ।
৫.৩ সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কীভাবে আমাদের দেশের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে?
উ:- ভারতের উত্তর দিকে প্রাচীরের মতো সুউচ্চ হিমালয় পর্বত অবস্থান করছে । এই পর্বত থাকায় দক্ষিণ পশ্চিম – মৌসুমি বায়ু এখানে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উত্তর – পূর্ব ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় , অপরদিকে শীতকালে উত্তরের শীতল সাইবেরীয় বাতাস ভারতে প্রবেশ করতে বাধা পায় । ফলে ভারতে শীতের প্রকোপ কম হয় ।
৫.৪ ভূমির ঢাল ও উচ্চতার ভিত্তিতে মালভূমি ও সমভূমির পার্থক্য নিরূপণ করো।
উ:-
ভিত্তি | মালভূমি | সমভূমি |
ভূমির ঢাল | চারপাশে খাড়া ঢালযুক্ত হয়ে থাকে l | উপরিভাগ সমতল বা ঢেউ খেলানো হয়ে থাকে l |
উচ্চতা | গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ মিটারের বেশি উচু বেশি l | গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ মিটারের কম উঁচু l |
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ মেরু অঞ্চল ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর উষ্মতার তারতম্য কীভাবে দুই অঞ্চলের বায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে তা ব্যাখ্যা করো।
উ:- বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার সঙ্গে বায়ুচাপ ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয় অর্থাৎ বায়ুর উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর চাপ কমে এবং উষ্ণতা কমলে বায়ুচাপ বাড়ে । বায়ু উষ্ণ হলে হাল্কা ও প্রসারিত হয়, ফলে তার চাপ কমে যায় । এই কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছর প্রখর সূর্যের তাপে বায়ু উষ্ণ ও হাল্কা হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি করেছে । অপরদিকে, মেরু অঞ্চলে সূর্যতাপের অভাবে তীব্র শীতলতার কারণে বায়ু শীতল ও সংকুচিত হয়ে উচ্চচাপের সৃষ্টি করেছে ।
৬.২ মাটির দানার আকারের উপর ভিত্তি করে মাটির শ্রেণিবিভাগ করাে। প্রতিটি শ্রেণির একটি করে বৈশিষ্ট্য লেখো।
উ:- মাটির দানার আকারের উপর ভিত্তি করে মাটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
বেলে মাটি : মাটির দানার আকার মোটা
এটেল মাটি : মাটির দানার আকার সূক্ষ্ম
দোয়াঁশ মাটি : মাটির দানার আকার মাঝারি
৬.৩ নীলনদের উপর কী উদ্দেশ্যে আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল?
উ: নীলনদের ওপর বহুমুখী নদী পরিকল্পনা করে আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পরিকল্পনাগুলি হল –
i)পর্যটন, ii)জলসেচ, iii)বন্যা নিয়ন্ত্রণ, iv) জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, v)জলপরিবহন , vi)মাছ চাষ ইত্যাদি।
আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ এর ফলে বন্যার নিয়ন্ত্রণ আরও ভাল হয়ে যায়, সেচের জন্য পানি সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে এটিকে মিশরের পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য বাঁধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৭.১ এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় ও উয়ু মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদের চরিত্রকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা আলোচনা করো।
উ:- নিরক্ষীয় জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ ; এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষরেখার কাছাকাছি 10 ° উত্তর অক্ষরেখা থেকে 10 ° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায় । এই জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অধিক উষ্ণতা (বার্ষিক গড় উষ্ণতা 25°-30 ° সে.) ও অধিক বৃষ্টিপাত (বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 200-300 সেমি) । এই অধিক উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সবুজ পাতাযুক্ত শক্ত কাঠের চিরহরিৎ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে । মেহগনি , রোজউড , আয়রন উড , সেগুন , আবলুস , রবার , কোকো , সিঙ্কোনা প্রভৃতি এই অরণ্যের প্রধান উদ্ভিদ ।
উষ্ণ মরু জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ : এশিয়া মহাদেশের আরবের মরুভূমি , ভারত ও পাকিস্তানের থর মরুভূমি , ইরাক , ইরান , কুয়েত প্রভৃতি দেশগুলোতে উষ্ণ মরু জলবায়ু দেখা যায় । অধিক উষ্ণতা (35 ° সে.) ও অতি অল্প বৃষ্টিপাত (10-25 সেমি) এই জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য । যার প্রভাব এখানকার স্বাভাবিক উদ্ভিদের উপরও স্পষ্ট । বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য এখানকার গাছগুলোর কান্ড ও পাতা মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় গাছে জল বেরিয়ে না যায় । অধিকাংশ গাছই কাঁটা জাতীয় হয়ে থাকে । যেমন : ক্যাকটাস , বাবলা , ফনিমনসা , খেজুর প্রভৃতি ।
৭.২ আফ্রিকা মহাদেশের নিরক্ষীয় অঞ্চল ও ভূমধ্যসাগর সন্নিহিত অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কীভাবে জলবায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ নিরক্ষীয় চিরসবুজ গাছের অরণ্য: নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে সারাবছর গরম (২৭°সে.), এবং বৃষ্টির পরিমাণ ২০০-২৫০ সেমি.। সরাসরি সূর্যকিরণ আর সারা বছর বৃষ্টিতে এখানে শক্ত কাঠের ঘন জঙ্গল সৃষ্টি হয়েছে। মেহগনি, রোজউড, এবনি এই ঘন জঙ্গলের প্রধান গাছ। পাতা ঝরানোর নির্দিষ্ট ঋতু না থাকায় গাছগুলো সারাবছর সবুজ দেখায়। তাই এর নাম চিরসবুজ গাছের অরণ্য।
ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদ: আফ্রিকার একেবারে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়। এই জলবায়ু অঞলে শীতকালে বৃষ্টি হয়। সারা বছরে ৫০-১০০ সেমি. বৃষ্টি হয়।গরমকাল বৃষ্টিহীন থাকে। পাতায় নরম মোমের আস্তরণ দেখা যায়। জলপাই, ওক, আখরোট, ডুমুর, কর্ক গাছগুলো এখানে জন্মায়। গরমকালে জলের সন্ধানে গাছের মূলগুলো অনেক গভীরে চলে যায়। কমলালেবু, আঙুর এইসব ফলের বাগান খুব চোখে পড়ে।
৭.৩ ‘মানুষের নানাবিধ ক্রিয়াকলাপ নদীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে’- বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উ: মানুষের জীবনের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক এত নিবিড় হলেও, মানুষের কিছু কিছু কাজ নদীর স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করেছে।
- i) কৃষি ব্যবস্থার প্রসার, শিল্পায়ন, নগরায়ন, ইতাদি নানাভাবে নদীকে প্রভাবিত করছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর পাড়ে কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করলে সাময়িক সুফল পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত তা আরও ভয়াবহ বন্যারই কারণ হয়ে উঠছে! একদিকে কৃষিজমি থেকে ধুয়ে আসা পলিতে নদী ক্রমশ ভরাট হচ্ছে। অন্য দিকে সেচের জলের জোগান দিতে নদী ক্রমশ শুকিযে যাচ্ছে।
- ii) শহর, শিল্পাঞ্চলের বর্জ্য জল নদীতে অবাধে মিশে গযে নদীর জল ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে।
Click Here To Download The Pdf
Tanks plz NXT year 8 class answer give all student s