Model Activity Task 2021 Compilation(Final)
Class 6| History | Part- 8
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১
ষষ্ঠ শ্রেণী | ইতিহাস | পার্ট – ৮|
৫০ Marks
১. সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
১.১ এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে পূর্ব আফ্রিকাতে _____ (এশিয়াতে/ পূর্ব আফ্রিকাতে /আমেরিকাতে)।
১.২ মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন ____জাঁ ফ্রঁসোয়া জারিজ ________ (জাঁ ফ্রঁসোয়া জারিজ/চার্লস ম্যাসন/দয়ারাম সাহানি)।
১.৩ হরপ্পা সভ্যতা ____প্রাক–ইতিহাস________ যুগের সভ্যতা (প্রাক–ইতিহাস / প্রায়–ইতিহাস / ঐতিহাসিক)।
২. ক – স্তম্ভের সাথে খ – স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
উ:-
ক – স্তম্ভ | খ – স্তম্ভ |
বন্দর – নগর | লোথাল |
বৃহৎ স্নানাগার | মহেনজোদাড়ো |
উঁচু এলাকা | সিটাডেল |
৩. বেমানান শব্দটি খুঁজে লেখো :
৩.১ সংহিতা, মহাকাব্য, আরণ্যক, উপনিষদ
৩.২ ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, ব্রাক্ষ্মণ
৩.৩ বিদথ, সভা, সমিতি, রত্নিন
৪. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :
৪.১ দক্ষিণ ভারতের একমাত্র মহাজনপদ ছিল অস্মক।
উ:- সত্য
৪.২ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে বৌদ্ধ হয়ে যান।
উ:- মিথ্যা
৪.৩ বিনয়পিটক গৌতম বুদ্ধের মূল কয়েকটি উপদেশের আলোচনা।
উ:- মিথ্যা
৫. দু–তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৫.১ মেহেরগড় সভ্যতায় কোন কোন কৃষি পণ্য উৎপাদিত হত?
উ:- মেহেরগড় সভ্যতায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য গুলি দুটি পর্যায়ে উৎপাদিত হত। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া যায় গম ও যব জাতীয় শস্য। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে গম ও জবের পাশাপাশি পাওয়া যায় কার্পাস চাষের নিদর্শন। মেহেরগড় সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীন কার্পাস উৎপাদন কেন্দ্র।
৫.২ উপমহাদেশের পুরোনো গুহা–বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে এরকম কয়েকটি স্থানের নাম লেখো।
উ:- ভারতীয় উপমহাদেশে পুরোনো গুহা বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে হুন্সগী, ভীমবেটকা ,বাগোর প্রভৃতি স্থানে।
৫.৩ বেদের আরেক নাম শ্রুতি কেন?
উ:- বেদ প্রথমদিকে লিখিত আকারে ছিল না। ঈশ্বরের বাণী মুনিঋষিরা মনে রাখতেন এবং তাদের কাছ থেকে শিষ্যরা শুনে শুনে মুখস্ত করতো। শুনে শুনে মনে রাখা হতো তাই বেদের আর এক নাম হলো শ্রুতি।
৫.৪ জনপদ কী?
উ:- প্রাচীন ভারতে গ্রামের থেকে বড় অঞ্চল কে জন বলা হত। সেই জনকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল রাজ্য। আবার বলা হয় জনগন যেখানে পা বা পদ রাখত অর্থাৎ বাস করত তাকে বলা হয় জনপদ। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ কোনো স্থানে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে শুরু করলে তাকে জনপদ বলে।
৬. চার–পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :
৬.১ মেগালিথ কী?
উ:- মেগালিথ হলো বড়ো পাথরের সমাধি। প্রাচীন ভারতে লোহার ব্যবহারের সঙ্গে এই সমাধির সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়। বিভিন্ন অঞ্চলের জনগোষ্ঠী বড়ো বড়ো পাথর দিয়ে পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের সমাধি চিহ্নিত করত। কাশ্মীরের বুরজাহোম, রাজস্থানের ভরতপুর, ইনামগাঁও বিখ্যাত মেগালিথ কেন্দ্র।
৬.২ জাতকের গল্পের মূল বিষয়বস্তু কী?
উঃ তিপিটকের মধ্যে জাতক নামে কিছু গল্প রয়েছে।এই গল্পের বিষয়বস্তু হল, মনে করা হত গৌতম বুদ্ধ আগেও পৃথিবীতে জন্মেছিলেন এবং সেই এক এক জন্মের কথা জাতকের এক একটি গল্পে রয়েছে। প্রতিটি গল্পের মধ্যেই রয়েছে কিছু উপদেশ। পালি ভাষায় রচিত এই গল্পগুলির আসল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করা।
৬.৩ টীকা লেখো : অর্থশাস্ত্র
উ:- অর্থশাস্ত্র: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে রচিত কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থটি অর্থনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক গ্রন্থ কেউ কেউ মনে করেন।কেউ মনে করেন, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মন্ত্রী চাণক্যই অর্থশাস্ত্রের রচয়িতা কৌটিল্য। মোট পনেরোটি ভাগে বিভক্ত এই গ্রন্থটির ছয় হাজার শ্লোক থেকে মৌর্য যুগের রাজ্যশাসন পদ্ধতি,রাজস্বনীতি, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন,রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয়ে জানা যায়। অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি এককথায় সমকালের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার দর্পণ ।
৬.৪ মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর কেন নিয়োগ করতেন?
উ:- মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর নিয়োগ করতেন কারণ এই গুপ্তচররা সম্রাটকে সমস্ত কিছু সম্পর্কে অবহিত করেছিল, এমনকি সেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা যাতে যথাযথ এবং সুষ্ঠুভাবে বজায় থাকে তা নিয়ন্ত্রন করতে সহায়তা করেছিল। গুপ্তচরদের এলোমেলোভাবে বাছাই করা হয়নি, পরিবর্তে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছিল।
৬.৫ টীকা লেখো : হর্ষচরিত
উ:- হর্ষচরিত: বানভট্ট হর্ষবর্ধনকে নিয়ে হর্ষচরিত কাব্য লেখেন। এটি আদতে একটি প্রশস্তি কাব্য। অর্থাৎ এই কাব্যে হর্ষের কেবল গুনোগান করা হয়েছে। পাশাপাশি পুষ্যভৃতি দের রাজত্ব ও তার ইতিহাস আলোচনা করেছেন বানভট্ট। হর্ষবর্ধনের গুনোগান করতে গিয়ে তার রাজা শশাঙ্ককে অনেকভাবে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। হর্ষচরিত আসলে হর্ষবর্ধনের আংশিক জীবনী। তবে শুধু গুন ও গান এর জন্য এটিকে নিরপেক্ষ বলে মেনে নেওয়া মুশকিল।
৭. আট–দশটি বাক্যে উত্তর দাও :
৭.১ তুমি কি মনে করো, আগুনের ব্যবহার মানুষের ইতিহাসে জরুরি একটি পরিবর্তন?
উ:- মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে কয়েকটি যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল আগুনের আবিষ্কার ও তার ব্যবহার। এই আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবনশৈলি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। আগুন আবিষ্কার খোলা আকাশের নিচে গুহাবাসী মানুষের শীতে যেমন উষ্ণতা দিয়েছিল ঠিক তেমনি রক্ষা করেছিল হিংস্র বন্য পশুর হাত থেকে। খাদ্যাভ্যাসে কাঁচা মাংসের স্থানে তারা খেতে থাকল পোড়ানো মাংস। ফলে শারীরিক গঠনের ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিবর্তন এসেছিল।যেমন তাদের চোয়াল ধীরে ধীরে সরু হয়ে গেল এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটল।
৭.২ বৈদিক যুগের ব্যবসা বাণিজ্য কেমন ছিল?
উঃ আদি বৈদিক যুগে ব্যাবসাবানিজ্যের বিশেষ চলন ছিল না। সরাসরি সমুদ্র-বানিজ্যের কথা ঋকবেদে নেই। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে ব্যাবসাবানিজ্যের কথা বেশি পাওয়া যায়। তবে সমুদ্র বানিজ্য আই আমলেও ছিল কিনা নিশ্চিত জানা যায় না। বৈদিক যুগে জিনিসপত্র বিনিময় করা হত তবে মুদ্রার ব্যাবহার ছিল বলে মনে হয় না। যদিও নিষ্ক শতমান এগুলি হয়তো মুদ্রার মতো ব্যাবহার হতো।
৭.৩ নব্যধর্ম আন্দোলন কেন গড়ে উঠেছিল?
উঃখ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে বিভিন্ন কারণে নব্যধর্ম আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। যেমনঃ
ধর্মীয় কারণ:– প্রাচীন বৈদিক ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্ম জটিল, ব্যয়বহুল, দুর্বোধ্য ক্রিয়াকর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান , পুরোহিত শ্রেণিনির্ভর হয়ে ওঠে।
অর্থনৈতিক কারণ:- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ সতকে পূর্ব ভারতে অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটে। এর মূলে ছিল লোহা দিয়ে তৈরি কৃষি সরঞ্জাম ও গো-সম্পদ। এ সময় বৈদিক ব্রাত্মণ্য ধর্মে পশুবলি দেওয়ার জন্য গোরু ছিল অন্যতম উপাদান। যজ্ঞ, পশুবলি ও যুদ্ধের ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নানা ক্ষতি হয়। তাছাড়া ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্ম অনুযায়ী সমুদ্রযাত্রা ও সুদে টাকা নেওয়া অপরাধ ফলে ব্যবসায়ীরা অসন্তুষ্ট হয়।
সামাজিক কারণ:– সমাজে ব্রাত্মণদের স্থান ছিল সর্বোচ্চ। তারা সমাজের সমস্তরকম সুযোগসুবিধা গ্রহণ করলেও কোনো প্রকার কর প্রদান করতেন না। ক্ষত্রিয়দের হাতে অর্থ থাকলেও সামাজিক মর্যাদা ছিল না। ক্ষত্রিয়রা এই সামাজিক মর্যাদা আদায়ের জন্য নব্যধর্ম আন্দোলনকে স্বাগত জানায়।
Click Here To Download The Pdf