Saturday, October 12, 2024
HomeModel ActivityClass 10Model Activity Task 2021 September Model Activity Task Part – 6 |...

Model Activity Task 2021 September Model Activity Task Part – 6 | Class- 10 | Bengali ( 1st Language) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | সেপ্টেম্বর দশম শ্রেণী| বাংলা ( প্রথম ভাষা )| পার্ট -৬

Model Activity Task 2021 September

Model Activity Task Part – 6 | Class- 10 |

Bengali ( 1st Language)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | সেপ্টেম্বর

দশম শ্রেণী| বাংলা ( প্রথম ভাষা )| পার্ট -৬

১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় দাওঃ

.জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা?”  –  জগদীশবাবু কে? কাণ্ডটি কী

উ:  বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত “বহুরূপী” গল্পের অন্যতম পার্শ্বচরিত্র হলেন জগদীশবাবু – তিনি ধর্মপ্রাণ ও সমৃদ্ধশালী ব্যক্তি হলেও কৃপণ ছিলেন।

জগদীশবাবুর বাড়িতে এক হিমালয়সী সন্ন্যাসী এসে সাতদিন ছিলেন। বাড়িতে আগত সেই ‘উঁচুদরের’ সন্ন্যাসী কাউকে নিজের পদধুলি সংগ্রহ করতে দিতেন না। কিন্তু ধর্মপ্রাণ জগদীশবাবু সন্ন্যাসীকে সোনার বোল দেওয়া খড়ম পরিয়ে সুকৌশলে ‘দুর্লভ’ সেই পদধূলি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় একশো টাকা প্রণামিও দিয়েছিলেন। প্রদত্ত অংশে জগদীশবাবুর এই ‘কান্ড’টির কথা বলা হয়েছে।

. খুবই গরিব মানুষ হরিদা। হরিদার পরিচয় দাও। তাঁর দারিদ্র্যের ছবিবহুরূপীগল্পে কীভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে

উ:  বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত “বহুরূপী” গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন হরিদা – তিনি বহুরূপী বৃত্তি অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করতেন।

 হরিদা একজন অতি সামান্য দরিদ্র বহুরূপী । ঘড়ির কাটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবিকার জন্য গতবাধা কোন কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই গোটা গল্প জুড়েই আমরা তার দরিদ্রতার একাধিক নিদর্শন দেখতে পাই। শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরের একটি ছোট্ট ঘরই তার সম্বল। বাড়িতে আগত বন্ধুদের চা খাওয়ানোর মত সামর্থ্য তার নেই। বহুরূপী সেজে তিনি যেটুকু বকশিশ পান তা দিয়ে তার সব সময় অন্নের সংস্থান হয়না। অনেক সময় তাই তার ভাতের হাড়িতে ভাতের বদলে শুধু জল ফোটে।

.কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজবক্তা কাকেমাতঃসম্বোধন করেছেনতিনি এই প্রশ্নের কী উত্তর দিয়েছেন

উ:  ইন্দ্রজিতের প্রশ্নের উত্তরে নিজের আগমনের কারণ হিসাবে ছদ্দবেশীনী দেবী লক্ষ্মী তাঁকে কিছু দুঃসংবাদ জানিয়েছিলেন। তাকে উত্তেজিত করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য তিনি বলেন যে মায়া বলে রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করে, ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহু হত্যা করেছেন। তিনি আরো জানান  পুত্র শোকে শোকাগ্রস্ত রাবণ পুত্র হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

. মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি! বক্তা কে? কোন্ মায়া তার বোধের অগম্য

উ: মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত “অভিষেক” কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটির বক্তা হলেন রাণনন্দন ইন্দ্রজিৎ বা মেঘনাদ। 

নিশাযুদ্ধে ইন্দ্রজিৎ তাঁর তীক্ষ্ণ শর বর্ষণ করে রামচন্দ্রের দেহ খন্ড খন্ড করেছিলেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, রামচন্দ্র সম্পূর্ণরূপে নিহত হয়েছেন। কিন্তু সেই রামচন্দ্রপুনর্জীবন লাভ করে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুকে হত্যা করেছেন। একজন ‘ছার নর’ বা তুচ্ছ মানুষ কোন মায়া বলে মৃত্যুর পরেও পুনর্জীবন লাভ করতে পারে – তা ইন্দ্রজিতের বোধের অগম্য।

.” ..ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা” – কার প্রতি এরূপ মন্তব্য? বা কোন পরিস্থিতিতে মন্তব্যটি করেছেন?

উ: বিশিষ্ট নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের “সিরাজদ্দৌলা” নাটকে বাংলা তরুণ নবাব সিরাজ আশ্রিত কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে উদ্দেশ্য করে প্রদত্ত মন্তব্যটি করেছেন।

 সিরাজ ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করে কলকাতা জয় করেন এবং ইংরেজদের সঙ্গে আলিনগরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। কিন্তু ইংরেজরা আলিনগরের সব শর্ত রক্ষা করার পরিবর্তে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে থাকেন। এমতাবস্থায় অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের একটি পত্র সিরাজের হস্তগত হয়। সেই পত্রের মাধ্যমে সিরাজ জানতে পারেন যে, ওয়াটসের নেতৃত্নে তার বিরুদ্ধে ইংরেজ কোম্পানি সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে যুদ্ধের ছক কষছে। সর্বোপরি, নবাবের রাজসভায় আশ্রিত ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটন্সও এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। কাজেই ইংরেজ কোম্পানির এই বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষুব্ধ নবাব প্রকাশ্য রাজসভায় ওয়াটসকে বলতে বাধ্য হয়েছেন যে “ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা”।

. মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, এর অঙ্গসঞ্চালনে ভূমিকম্প।উধৃতিটির আলোকে ঘসেটি বেগমের চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

উঃ বিশিষ্ট নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত ঐতিহাসিক সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশের ঘসেটি বেগম একজন হৃদয়হীনা প্রতিহিংসাপরায়ণ নারী চরিত্র।

সিরাজ বিরোধী চক্রান্তের মধ্যমণি ছিলেন ঘসেটি বেগম। তিনি সিরাজের দুঃখ-যন্ত্রণায় বেদনার্থ নন বরং উল্লসিত। বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার যাবতীয় প্রয়াসের বিরুদ্ধে তিনি গর্বিত বিদ্রোহিনী।পালিত পুত্রকে সিংহাসনে বসিয়ে ক্ষমতা দখল করার যে স্বপ্ন ঘসেটি দেখেছিল, শওকতজঙকে হত্যা করে সিরাজের সিংহাসন আরোহণে তা চূর্ণ- বিচূর্ণ হয়ে যায়। নবাব ঘসেটিকে নিজ দরবারে নজর বন্দি করে রাখেন। ঘসেটির হৃদয়ে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে প্রতিহিংসার দাবানল। কুটচক্রী এই নারীর প্রধান অস্ত্র হল তার ভৎর্সনা এবং অভিশাপ। তার হৃদয়ে মায়া-মমতার বিন্দুমাত্র প্রকাশ নেই। ক্ষমতার লোভ আর প্রতিহিংসা তাকে করে তুলেছিল হৃদয়হীনা।এক কথায় বলতে গেলে, তিরস্কার আর অভিসম্পাতে মুখরা এই স্বার্থপর ঘসেটি বেগম ছিলেন সিরাজের ঘর শত্রু বিভীষণ”।

.আলো তার ভরবে এবার ঘর! – কোন্ আলোয় ঘর ভরে উঠবে?

উ: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইন্সলাম রচিত “প্রলয়োল্লাস” কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

কালবৈশাখীর দাপটে গোটা আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছে দিগম্বরের জটার মত নিকষ কালো মেঘ। কিন্তু সেই জটার ফাঁকেই দেখা যাচ্ছে একফালি চাঁদের আলো – যা পরাধীনতার নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যেও নবযুগ বা স্বাধীনতার ইঙ্গিতবাহী। অর্থাৎ, আলোচ্য অংশতে কৰি দিগম্বরের মাথায় থাকা শিশু চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় ঘর ভোরে ওঠার কথা বলেছেন।

. ‘…আসছে ভয়ংকর।ভয়ংকরের আগমনপরিস্থিতিটিপ্রলয়োল্লাসকবিতা অনুসরণে আলোচনা কর।

উ: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “প্রলয়োল্লাঙ্গ” কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

চৈত্রের শেষে কালবৈশাখী সমস্ত জীর্ণ পাতা ঝরিয়ে ধুলো উড়িয়ে যে ধ্বংসলীলায় মাতোয়ারা হয়ে যায় – সেটাইতো নৱষ্টির পূর্বাভাস। ঠিক তেমনই পরাধীন ভারতবর্ষের বুকে স্বাধীনতার লক্ষ্যে যে আন্দোলনের উদ্দাম কালবৈশাখী ঝড় উঠেছে, তা যেন প্রলয় নেশায় নৃত্য পাগল। সে যেন মহাকালের ভন্ড রূপ ধারণ করে সিন্ধুপারের ব্রিটিশরাজের সিংহদ্বারের আগল ভাঙছে। ধ্বংসের মধ্য দিয়ে নৰ সুষ্টির প্রতিশ্রুতি নিয়ে অর্থাৎ সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পরাধীনতাকে সরিয়ে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যেই, ভয়ঙ্কর রূপে তার সদর্প আগমন।

.অপূর্ব কহিল, বেলা হয়ে গেল, আমি এখন তবে চললুম কাকাবাবু।বেলা কীভাবে গড়িয়ে গেল?

উ:  অমরকথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “পথের দাবী” গদ্যাংশ থেকে প্রদত্ত অংশ হয়েছে।

অপূর্ব গত রাতে তার ঘরে ঘটে যাওয়া চুরির খবর জানাতে পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিল।থানায় ঢুকেই অপূর্ব দেখে যে জনা ছয়েক বাঙালির খানাতল্লাশি হচ্ছে। তারপর বিশিষ্ট বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে গিরিশ মহাপাত্র নামে এক অদ্ভুত বেশভুষার অধিকারী গাঁজাখোর ব্যক্তিকে বড়বাবুর সামনে হাজির করা হয়। এরপর গিরিশকে বড়বাবুর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় এবং গিরীশের পকেট ও ট্যাক তল্লাশির সময় একটি গাঁজার কল্কে পাওয়া যায়। যদিও গিরিশ ক্রমাগত গাঁজা সেবনের কথা অস্বীকার করে চলে। দীর্ঘক্ষন ধরে গিরিশকে নিয়ে পুলিশ কর্তাদের নানাবিধ জিজ্ঞাসাবাদ ও বক্রোক্তি শুনতে শুনতেই অপূর্বর বেলা গড়িয়ে গিয়েছিল।

.১০কৈ ঘটনা তো আমাকে বলেন নি?” – বক্তা কাকে একথা বলেছেন? কোন্ ঘটনার কথা বক্তা আগে শোনেননি?

উ: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “পথের দাবী” গদ্যাংশ থেকে প্রদত্ত অংশটির বক্তা রামদাস তার সহকর্মী বন্ধু অপূর্বর উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন।

একবার কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক বিনা দোষে অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে, অপূর্ব ইউরোপীয় না হওয়ার কারনে স্টেশনমাস্টার অভিযোগ শোনার আগেই তাকে কুকুরের মত তাড়িয়ে দেন।-অপূর্বর এই নিগ্রহের কথা’ রামদাস আগে শোনেননি।

. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর : (প্রতিটির মান)

ভোজ্যবস্তু, পোশাকপরিচ্ছদ, সন্ধ্যাহ্নিক, সৃজনবেদন, প্রলয়োল্লাস, রথঘর্ঘর, জয়ধ্বনি, সিংহদ্বার, শিশুচাদ, প্রলয়নেশা।

উ: ভোজ্যবস্তু = ভোজ্যের বস্তু – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস ভোজনের উপযুক্ত বস্তুমধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস

পোশাকপরিচ্ছদ = পোশাক ও পরিচ্ছদদ্বন্দ্ব সমাস

সন্ধ্যাহ্নিক = সন্ধ্যায় পালনীয় আহ্নিকমধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস

সৃজনবেদন = সৃজনের নিমিত্ত বেদননিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস

প্রলয়োল্লাস = প্রলয়ের নিমিত্ত উল্লাসনিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস

রথঘর্ঘর = রথের ঘর্ঘরসম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

জয়ধ্বনি = জয় সূচক ধ্বনিমধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস

সিংহদ্বার = সিংহ চিহ্নিত দ্বারমধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস

শিশুচাঁদ = শিশু যে চাঁদ (উপমান কর্মধারয় সমাস)

প্রলয়নেশা = প্রলয়ের নেশাসম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাসপ্রলয় সৃষ্টি করে যে নেশাউপপদ তৎপুরুষ সমাস

. কমবেশি ১৫০ শব্দে প্রতিবেদন রচনা কর :

লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের। 

উ: লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল

নিজস্ব সংবাদদাতা,১৭ই আগস্টলর্ডন্সলর্ডম টেস্টে ঐতিহাসিক জয় ভারতীয় দলের। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পঞ্চম দিন ব্যাটেবলে দাপট দেখাল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। প্রথমে চাপের মুহূর্তে ৮৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে ২৯৮ রানে পৌছে দেয় মহম্মদ শামিও জসপ্রীত বুমরা। অর্ধশতরান করেন মহম্মদ শামি। ইংল্যন্ডের ২৭ রানের লিড দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭২ রানের টার্গেট দেয় টিম ইন্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই লাগাতার ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে। জো রুট ও জয়বাটলার কিছুটা লড়াই করলেও শেষরক্ষা হয়নি। ১২০ রানে শেষ হয় ইংল্যন্ডের ইনিংস৷ ১৬১ রানে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া ।

Click Here To Download  The Pdf

RELATED POSTS

20 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!