এতোয়া মুন্ডার কাহিনী
মহাশ্বেতা দেবী
১ ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখো
১.১ গ্রামটির আদি নাম ছিল ( শালগড়/ হাতিঘর/ হাতি বাড়ি/ শালগেড়িয়া)
উঃ গ্রামটির আদি নাম ছিলূ শালগেড়িয়া ।
১.২ মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের ( আদি পুরুষ/ ভগবান/ জমিদার/ মাস্টার)
উঃ মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের জমিদার ।
১.৩ ‘এতোয়া’ শব্দের অর্থ ( রবিবার/ সোমবার/ বুধ বার/ ছুটির দিন)
উঃ ‘এতোয়া’ শব্দের অর্থ রবিবার ।
১.৪ শূরবীর ছিলেন একজন (সর্দার/ আদিবাসী রাজা/ বনজীবী/ যাত্রাশিল্পী)
উঃ শূরবীর ছিলেন একজন আদিবাসী রাজা ।
১.৫ ডুলং , সুবর্ণরেখা নামগুলি (পাহাড়ের/ ঝর্ণা / নদীর/ গাছের)
উঃ ডুলং , সুবর্ণরেখা নামগুলিূ নদীর ।
২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ কর
২.১ আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের ।
২.২ এতোয়ার দাদু বলে এক সময় এটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।
২.৩ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
২.৪ তবে জঙ্গল তো মা।
২.৫ প্রাইমারী স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
৩ অর্থ লেখো
গর্জন | গম্ভীর চিৎকার বা আওয়াজ |
বাগাল | রাখাল |
গুঞ্জন | গুন গুন শব্দ |
দুলন্ত | দুলছে এমন |
গোড়া | শুরুর অংশ , মুলদেশ |
৪ বিপরীতার্থক শব্দগুলি লেখো
পূর্বপুরুষ- উত্তরপুরুষ
আদি – অন্ত
কচি- বুড়ো
শুকনো – ভেজা
বিশ্বাস – অবিশ্বাস
৫ সমার্থক শব্দ লেখো
জল- পানি , বারি , নীর , জীবন।
নদী- তটিনী, তরঙ্গিনী, স্রোতস্বিনী
সমুদ্দুর- সাগর, সমুদ্র, অর্ণব, জলধি
জঙ্গল- অরণ্য, বন , কানন
উলগুলান- বিদ্রোহ, বিপ্লব, বিক্ষোভ
৬ ক্রিয়াগুলির নীচে দাগ দাও
৬.১ সাবু আর শাল গাছের পাচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।
৬.২ এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে?
৬.৩ ছোটনাগপুর ছাড়লাম ।
৬.৪ জঙ্গল নষ্ট করি নাই।
৬.৫ যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?
৭ দুটি বাক্যে ভেঙ্গে লেখো
৭.১ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
উঃ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল। সে নাতিটার দিকে তাকায়।
৭.২ হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখবার গোলা।
উঃ হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। ওটা এখন ধান রাখবার গোলা।
৭.৩ আমাদের কালে সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা।
উঃ আমাদের কালে সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হত। তবে পাঠশালায় পৌছানো যেত।
৭.৪ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল,আকাশ সকলকে ডেকে বলে, সে কি ভীষণ যুদ্ধ।
উঃ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল,আকাশ সকলকে ডাকে। তারপর বলে সে কি ভীষণ যুদ্ধ।
৭.৫ ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।
উঃ ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়। তারা বয়ে যায়।
৮ বাক্য রচনা কর।
পাঁচিল– দুটি কাক পাঁচিলের উপর বসে কা কা রবে ঝগড়া করছে।
চাঁদ– পূর্ণিমা রাতে চাঁদকে গোল রুপার থালার মতো লাগে।
দেশ– বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ।
মানুষ– মানুষ একে অপরের সাহায্য ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না।
জঙ্গল– গভীর জঙ্গলে নানা জীব জন্তু বাস করে।
৯ কোনটি কোন ধরণের বাক্য লেখ
৯.১ স্রোত কি জোরালো !
উঃ বিস্ময়বোধক বাক্য।
৯.২ কচি ছেলে, কিছুই জানে না।
উঃ বর্ণনামূলক বাক্য।
৯.৩ সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর ।
উঃ বর্ণনামূলক বাক্য।
৯.৪ নামটা বদলে গেল কেন গো?
উঃ প্রশ্ন বোধক বাক্য।
৯.৫ কী যুদ্ধ! কী যুদ্ধ!
উঃ উঃ বিস্ময়বোধক বাক্য।
১০ কোনটি কোন শব্দ বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো
বিশেষ্য | বিশেষণ | সর্বনাম | অব্যয় | ক্রিয়া |
শিকার, লড়াই | মস্ত, বুড়ো , ভীষণ,ছোট্ট , ঝাঁকড়া , ধারালো, সরু | আমাদের, তুই , সে | ও | চরায়, রাখে, ওঠে |
১১ নিম্নলিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে দুটি বাক্যকে জুড়ে একটি বাক্য লেখ
১১.১ কী গল্পই বললে আজ দাদু। সবাই শুনছিল গো।
উঃ দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো।
১১.২ এতোয়া রে ! ছেলে তুই বড্ড ভালো ।
উঃ এতোয়া তুই বড্ড ভালো ছেলে রে!
১১.৩ তুই বড্ড বকিস এতোয়া। তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হত না।
উঃ এতোয়া তুই বড্ড বকিস ,তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হত না।
১১.৪ বাবুরা এল । আমাদের সব নিয়ে নিল।
উঃ বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।
১১.৫ আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।
উঃ আদিবাসী আসছে তাই মানুষ বাড়ছে।
১২ এলোমেলো বর্ণ সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি কর
দি সী আ বা – আদিবাসী
ব খা রে র্ণ সু – সুবর্ণরেখা
গা ং ড়া র দ- দরংগাড়া
টি ড়া পো মা- পোড়ামাটি
ষ পু দি রু আ – আদিপুরুষ
১৩ এলোমেলো শব্দ সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি কর
১৩.১ ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো ।
উঃ ওর কাজ ছাগল গোরু চরানো।
১৩.২ তির শন শন তারা তখন ছোড়ে।
উঃতখন তারা তির ছোড়ে শনশন।
১৩.৩ আগে হাজার চাঁদ হাজার।
উঃ হাজার হাজার চাঁদ আগে।
১৩.৪ ছিল পাথরের হাতিশালাটা আর।
উঃ আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।
১৩.৫ সপ্তাহে হাট প্রতি বসে তো গ্রামে।
উঃ গ্রামে তো প্রতি সপ্তাহে হাট বসে।
১৪.১ লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন?
উঃ লেখালেখি ছাড়াও মহাশ্বেতা দেবী অধ্যাপনা করেছেন, সাংবাদিকতা করেছেন, বাংলা- বিহার- উড়িষ্যার আদিবাসী মানুষের সঙ্গে থেকেছেন ও সমাজসেবা করেছেন।
১৪.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখ
উঃ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম ‘এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয়’
১৪.৩ ছোটদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উঃ ছোটদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম হল ‘বাঘাশিকারী’
১৫ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ
১৫.১” সেও এক ভীষণ যুদ্ধ” কোন যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উঃ এখানে বিরসা মুন্ডা ও ইংরেজেদের যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। বৃদ্ধ মঙ্গল সর্দার তাঁর নাতি এতোয়ার সঙ্গে আদিবাসিদের বিষয়ে আলোচনা করার সময় এই যুদ্ধের কথা বলেছেন।
১৫.২ গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?
উঃ সাঁওতালদের সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেক মহাজন ও জমিদার তাদের কাছ থেকে সব কেড়ে নিয়েছিল। এই ভাবেই শালগেরিয়া নামে আদিবাসী গ্রামে জমিদার মোতিবাবুর পূর্ব পুরুষরা বসতি গড়ে তোলে। তাদের পাথরের তৈরী ত্রিশটা ঘর ওলা হাতিশালা ছিল। তাই গ্রামের নাম হয়েছিল হাতিঘর।
১৫.৩ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত?
উঃ ভজন ভুক্তা একজন অন্ধ ভিখারি যে হাটে গল্প শুনিয়ে অর্থ উপার্জন করে। সে এতোয়াকে এক আদিবাসী শূরবীর রাজার কথা বলে। তাকে মনের মতো ডাকতে পারলে নাকি সে ডুলং নদী থেকে উঠে আসবে ও অরনয়কে রক্ষা করবে। এছাড়াও সে এতোয়াকে স্কুলে যাওয়ার কথাও বলে।
১৫.৪ হাতিঘরে কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখ।
উঃ হাতিঘরে যেতে হলে হাওড়া থেকে খড়গপুর যেতে হবে। তারপর বাসে চেপে গুপ্তমনির মন্দিরের সামনে নামতে হবে। সেখান থেকে সাত আট মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে হাঁটলে ছোট নদী ও ছোট ছোট আদিবাসী গ্রাম পড়বে। সেগুলি পেরিয়ে মস্ত গ্রাম রোহিনী ও সেই গ্রাম পেরোলে দক্ষিণ দিকে ডুলং নদী। তারপর যেখানে আকাশ ছোঁয়া শাল ও অর্জুন গাছ রয়েছে সেখানে রয়েছে হাতিঘর গ্রাম।
১৫.৫ এতোয়াটি নামটি কেনো হয়েছিল?
উঃ আদিবাসীরা অনেকেই জন্মবারের সঙ্গে মিলিয়ে সন্তানদের নাম রাখে। এতোয়া রবিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিল। তাই তাঁর ঠাকুর্দা মঙ্গল মুন্ডা জন্মবারের সঙ্গে তার নাম মিলিয়ে রেখেছিল এতোয়া মুন্ডা।
১৫.৬ এতোয়ার রোজকার কাজের বর্নণা দাও।
উঃ এতোয়া মোতিবাবুর বাড়িতে রাখালের কাজ করত, তাই সে রোজ গোরু, মোষ ও ছাগল চড়াত। পুরোনো আমবাগানে গোরু চরাতে চরাতে সে টোকো আম ও শুকনো কাঠ কুড়াতো। মাটি খুড়ে মেটে আলু বের করত ও মজা পুকুরের পাড় থেকে শাক তুলে তার বস্তায় রাখতো। সুবর্ণরেখা নদীর মাঝে চরে গিয়ে বাঁশে বোনা জাল দিয়ে মাছ ধরত।
১৫.৭’এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু’ বক্তা কে? আগে কি ছিল?
উঃ ঊদ্ধৃতাংশের বক্তা গ্রামের অন্ধ ভিখারি ভজন ভুক্তা।
তাঁর আমলে গ্রামে কোনো পাঠশালা ছিল না। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চার মাইল হেটে পাঠশালায় যেতে হত।
১৬ বাঁদিকের শব্দের সঙ্গে মিল আছে এমন ডান দিকের শব্দ খোজঃ
হাতি | শুঁড় |
চাল | ধান্ |
গ্রাম | পল্লী |
চাঁদ | জ্যোৎস্না |
পাতা | গাছ |
Click here To Download The Pdf
All ok
🤐🤧👺👹🧠🤢🤮🤮🤮🤮🤮🤧🤮🤮🤧🤧🤧🤧🤧🤧👺👺👺
Ok