অসুখী একজন
দশম শ্রেণী|প্রশ্ন-উত্তর সমাধান
১ অসুখী একজন ‘ কবিতাটির কবি হলেন –
(A) মানেজ
(B) রোকে ডালটন
(C) লেওজেল রুগমা
(D) পাবলো নেরুদা
২ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটির তরজমা করেন –
(A) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(B) নবারুণ ভট্টাচার্য
(C) উৎপলকুমার বসু
(D) শুভাশিষ ঘোষ
৩ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটি অনুবাদকের কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ?
(A) এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়
(B) পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্ট
(C) বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে
(D) ফ্যাতাড়ুর কুম্ভীপাক
৪ পাবলো নেরুদা নোবেল পুরস্কার পান—
(A) স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে
(B) সোভিয়েত – স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে
(C) ইংরেজি – স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে
(D) জার্মান – স্প্যানিশ সাহিত্যের রূপকার হিসেবে
৫ পাবলো নেরুদা ছিলেন –
(A) চিলিয়ান কবি ও রাজনীতিবিদ
(B) ইউরোপিয়ান কবি ও রাজনীতিবিদ
(C) রাশিয়ান কবি ও ভাস্কর্য শিল্পী
(D) জার্মান কবি ও চিত্রকর
৬ অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল –
(A) দরজায়
(B) ছাদে
(C) বারান্দায়
(D) রাস্তায়
৭ পাবলো নেরুদার প্রকৃত নাম হল –
(A) নেফতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো
(B) রিকার্দো বাসওআলতো
(C) রেয়েন্স রিকার্দো নেকতালি বাসোয়ালতো
(D) পল ভেরলেইন নেরুদা
৮ ‘ সে জানত না ‘ –’সে ‘ হল –
(A) পরাজিত সৈনিক
(B) কবিতার কথক
(C) কবির ভালোবাসার জন
(D) কবির মা
৯ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় একটা কী চলে গেল বলতে কবি কোন্ জন্তুর উল্লেখ করেছেন ?
(A) মানুষ
(B) কুকুর
(C) হরিণ ।
(D) বিড়াল
১০ ‘ সে জানত না’— সে কী জানত না ?
(A) কথক ফিরে আসবে
(B) কথক আর কখনও ফিরে আসবে না
(C) কথক কখন আসবে
(D) কথক শীঘ্রই ফিরে আসবে
১১ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি ক – টি সপ্তাহ কেটে যাওয়ার উল্লেখ করেছেন ?
(A) একটি
(B) চারটি
(C) দুটি
(D) তিনটি
১২ ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কে হেঁটে চলে গেল ?
(A) গল্পের কথক
(B) একজন সৈনিক
(C) একটি কুকুর
(D) গির্জার এক নান
১৩ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি পরিত্যক্ত রাস্তায় কী জন্মানোর কথা বলেছেন ?
(A) ঘাস
(B) তরুলতা
(C) গাছ
(D) শস্য
১৪ ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় একটার – পর – একটা বছর কীভাবে নেমে এল বলে কবি মনে করেছেন ?
(A) পাথরের মতো
(B) জলের মতো
(C) ফুলের মতো
(D) গানের মতো
১৫ বৃষ্টি কী ধুয়ে দিয়েছিল ?
(A) রাস্তার ধুলো
(B) রক্তের দাগ
(C) কথকের পায়ের দাগ
(D) কাঠকয়লার দাগ
১৬ ‘ তারপর যুদ্ধ এল –
(A) রক্তের সমুদ্রের মতো । ‘
(B) আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
(C) পাহাড়ের আগুনের মতো
(D) রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
১৭ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শিশু আর বাড়িরা –
(A) খুন হল
(B) হারিয়ে গেল
(C) বেঁচে রইল
(D) জেগে রইল ।
১৮ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় সব ধ্বংস হলেও অপেক্ষমান সেই মেয়েটির কী হল না ?
(A) অসুখ হল না
(B) মৃত্যু হল না
(C) খুন হল না
(D) জ্বলে গেল না
১৯ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কীসে সমস্ত সমতল ধ্বংস হল ?
(A) ভূমিকম্পে
(B) ধসে
(C) আগুনে
(D) বন্যায়
২০ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় দেবতাদের চেহারা ছিল –
(A) শান্ত – হলুদ
(B) লাল – নীল
(C) অশান্ত – নীল
(D) ধীর – হলুদ
২১ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শান্ত – হলুদ দেবতারা কত বছর ধ্যানে ডুবে ছিল ?
(A) একশো
(B) দু – হাজার
(C) পাঁচশো
(D) হাজার
২২ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শান্ত – হলুদ দেবতারা কীভাবে মন্দির থেকে উলটে পড়ল ?
(A) টুকরো টুকরো হয়ে
(B) গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে
(C) অর্ধেক হয়ে
(D) ভেঙে ভেঙে
২৩ তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না । কারা স্বপ্ন দেখতে পারল না ?
(A) দেবতারা
(B) শয়তানরা
(C) মানুষেরা
(D) যক্ষরা
২৪ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কে মিষ্টি বাড়ির বারান্দার ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিল ?
(A) মেয়েটি
(B) বন্ধুটি
(C) কবি
(D) ভাইটি
২৫ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির ঝুলন্ত বিছানার ধারের গাছটি ছিল –
(A) গোলাপি
(B) নীল
(C) হলুদ
(D) সবুজ
২৬ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় ছড়ানো করতলের মতো পাতা ছিল—
(A) চিমনির
(B) মশারির
(C) বিছানার
(D) বসার ঘরের
২৭ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যে বাদ্যযন্ত্রটির উল্লেখ আছে সেটি হল-
(A) বীণা
(B) জলতরঙ্গ
(C) সেতার
(D) বাঁশি
২৮ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির সেই মিষ্টি বাড়ির জলতরঙ্গটি কোন্ সময়ের ?
(A) প্রাচীন কালের
(B) আধুনিক সময়ের
(C) বিংশ শতকের
(D) মধ্যযুগীয় সময়ের
২৯ ‘ সব _____ হয়ে গেল , জ্বলে গেল আগুনে । ‘
(A) চূর্ণ
(B) বিচূর্ণ
(C) শক্ত
(D) চুরমার
৩০ ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় যেখানে শহর ছিল সেখানে ছড়িয়ে রইল –
(A) কাঠকয়লা
(B) সাপ
(C) কয়লা
(D) আগুন
৩১ ‘ দোমড়ানো লোহা , মৃত মূর্তির বীভৎস / মাথা
(A) রুপোর
(B) সোনার
(C) মাটির
(D) পাথরের
৩২ ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শহর ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে রক্তের দাগের রং হয়েছিল—
(A) কালো
(B) হলুদ
(C) লাল
(D) সবুজ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১‘ আমি তাকে ছেড়ে দিলাম — ‘ আমি ’ কে ?
উত্তরঃ: নবারুণ ভট্টাচার্য অনূদিত পাবলো নেরুদা রচিত ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় ‘ আমি ‘ বলতে স্বয়ং কবি নিজেকে তথা কবিতার কথককে বুঝিয়েছেন ।
২ কবির অপেক্ষায় কে দাঁড়িয়েছিল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি যেদিন নিজ বাসভূমি ছেড়ে চলে যান , সেদিন তাঁর প্রিয় নারী দরজায় অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিল ।
৩ অসুখী একজন ’ কবিতায় কথক অপেক্ষারতাকে ছেড়ে কোথায় চলে গেলেন ?
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কথক দরজায় অপেক্ষারতা প্রিয়জনকে দাঁড় করিয়ে রেখে বৃহত্তর স্বার্থে দূর থেকে দূরে কোনো স্থানে চলে গেলেন ।
৪ ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কবির / কথকের চলে যাওয়া সত্ত্বেও সমাজজীবনের নিজের গতিতে চলার কী কী অনুষঙ্গ কবিতায় উল্লিখিত আছে ?
উত্তরঃ: নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কথকের চলে যাওয়া সত্ত্বেও সমাজজীবনের আপন গতিতে বয়ে চলার অনুষঙ্গগুলি হল — ‘ একটি কুকুর চলে গেল , হেঁটে গেল গির্জার এক নান ‘ ।
৫‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কবির পায়ের দাগ কীসে ধুয়ে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ: নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কবির পায়ের দাগ বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছিল । স্মৃতির মলিনতা অর্থে উপমাটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
৬“নেমে এল তার মাথার ওপর” কার মাথার ওপর কী নেমে আসার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কথকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা তার প্রিয়তমার মাথার ওপর পাথরের মতো ভারী একটার পর একটা বছর নেমে এল ।
৭‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি ‘ পাথরের মতো ” বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদা তাঁর ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কথকের জন্য তাঁর প্রেমিকার অন্তহীন অপেক্ষা আর দুঃসহ বেদনাকে পাথরের গুরুভারের সঙ্গে তুলনা করেছেন ।
৮‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় উল্লিখিত যুদ্ধে অপেক্ষাতুরা মেয়েটির কী হল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় উল্লিখিত ভয়াবহ যুদ্ধের বিধ্বংসী মত্ততা ে অতিক্রম করে শুধু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে রইল , সেই অপেক্ষাতুরা মেয়েটি ।
৯‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধে সমতলের কী অবস্থা হয়েছিল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক ছায়া সমস্ত সমতলে । আগুনের লেলিহান শিখার মতো ছড়িয়ে পড়ে সব কিছুকে জ্বালিয়ে – পুড়িয়ে ছারখার করল ।
১০অসুখী একজন কবিতায় কবি দেবতাদের চেহারার কী বর্ণনা দিয়েছেন ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি ‘ শান্ত – হলুদ ‘ দেবতাদের চেহারার ছবি এঁকেছেন ।
১১‘ অসুখী একজন কবিতায় দেবতারা হাজার বছর ধরে কী করছিল বলে উল্লেখ পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় শাস্ত – হলুদ দেবতারা হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে ছিল বলে কবি উল্লেখ করেছেন ।
১২‘ অসুখী একজন কবিতায় দেবতারা কোথা থেকে টুকরো টুকরো হয়ে উলটে পড়েছিল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধের অভিঘাতে হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে থাকা দেবতারা মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে উলটে পড়েছিল ।
১৩‘ তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।– ‘ তারা ‘ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ: ‘ তারা ‘ বলতে শান্ত – হলুদ দেবতাদের কথা বলা হয়েছে ।
১৪‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির বাড়িটি কেমন ছিল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির বাড়িটি ছিল মধুর স্মৃতি ও স্বপ্নবিজড়িত । অর্থাৎ বাড়িটি সম্পর্কে এখানে শৈশব – কৈশোরের আকর্ষণজনিত আবেগ ও আবেশ প্রকাশিত হয়েছে ।
১৫‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির ঝুলন্ত বিছানাটি কোথায় অবস্থিত ছিল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবির মধুর স্মৃতিবিজড়িত মিষ্টি বাড়িতে ঝুলন্ত বিছানাটি বারান্দায় অবস্থিত ছিল ।
১৬‘ অসুখী একজন কবিতায় যুদ্ধে কবির বাড়ির অবস্থা কী হয়েছিল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় , যুদ্ধে কবির স্বপ্ন ও স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ভেঙে , গুঁড়িয়ে , আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল ।
১৭‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় যেখানে শহর ছিল সেখানে যুদ্ধের ফলে কী কী ছড়িয়ে রইল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যেখানে শহর ছিল , সেখানে যুদ্ধের পর ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা আর পোড়া শুকনো রক্তের কালো দাগ ।
১৮ ‘ আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায় / – ‘ আর ’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী ?
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধ – দাঙ্গা – হিংসার আগুন পেরিয়ে কথকের প্রিয়তমার ভালোবাসা ও চিরন্তন অপেক্ষাকে বোঝাতেই শেষ পঙ্ক্তিতে ‘ আর ‘ শব্দটির ব্যবহার হয়েছে ।
১৯‘ রক্তের একটা কালো দাগ । কোথায় রক্তের একটা কালো দাগ দেখা গিয়েছিল ?
উত্তরঃ: যুদ্ধের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরে কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথার সঙ্গে রক্তের কালো দাগ দেখা গিয়েছিল ।
২০সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন – কেন এমন হয়েছিল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা অনুসারে আগ্নেয়পাহাড়ের মতো ভয়াবহ যুদ্ধ আসার ফলে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গিয়েছিল ।
২১‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটির অনুবাদক কে ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটির অনুবাদক নবারুণ ভট্টাচার্য ।
২২‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধের ছবিটি কীভাবে ফুটে উঠেছে ।
উত্তরঃ: কবি পাবলো নেরুদা ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধের ভয়াবহতাকে রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১‘ আমি তাকে ছেড়ে দিলাম’- কবি কাকে ছেড়ে দিলেন । তাকে তিনি কীভাবে রেখে এসেছিলেন ?
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা থেকে গৃহীত অংশে কথক তাঁর প্রিয় নারীকে অপেক্ষায় রেখে নিজ বাসভূমি ছেড়ে দূরে চলে গিয়েছিলেন ।
স্বদেশ ছেড়ে দূর থেকে দূরতর কোনো স্থানে চলে যাওয়ার সময় তিনি দরজায় তাঁর অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে যান কোনো এক প্রিয়জনকে । যদিও সে জানত না যে , কবি আর কখনও ফিরে আসবে না । এইভাবেই কবি এক চিরকালীন বিদায় মুহূর্তের ছবি এঁকেছেন ।
২‘ বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ / ঘাস জন্মালো রাস্তায়’— উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো ।
উত্তরঃ: উদ্ধৃতিটি পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতা থেকে গৃহীত । কথক তাঁর প্রিয়তমাকে অপেক্ষমান রেখে জীবন ও জীবিকার তাগিদে বহুদুরে পাড়ি দেন । থমকে যায় মেয়েটির জীবন কিন্তু সময় থেমে থাকে না । তাই কথকের চলে যাওয়াতে জীবনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয় না । সপ্তাহ – বছর কেটে যায় । প্রাকৃতিক নিয়মেই কথকের চলার পথের পদচিহ্ন মুছে যায় । তাতে ঘাস জন্মায় । কিন্তু কবির চলে যাওয়ার মুহূর্তটি তার প্রিয়তমার হৃদয়ে অন্তহীন অপেক্ষার মুহূর্ত হয়ে রয়ে যায় ।
৩“পাথরের মতো পর পর”, বছরগুলো বছরগুলোকে পাথরের মতো বলা হয়েছে কেন ?
উত্তরঃ: জীবন ও জীবিকার জন্য বাসভূমি ছেড়ে দূরে চলে যাওয়া তাঁর মানুষটি যে ফিরে আসবেন না এ কথা তার প্রেমিকার অজানা ছিল । কিন্তু জীবন এতে থেমে থাকেনি । বৃষ্টিতে কবির পায়ের দাগ মুছে তাতে ঘাস জন্মায় । নিরন্তর অপেক্ষা চলতেই থাকে । দীর্ঘ প্রতীক্ষারতা নারীর জীবনে তার প্রিয়তমের অনুপস্থিতির বছরগুলো যেন পাথরের বোঝা হয়ে তার মাথার ওপর নেমে আসে । এখানে ‘ পর পর ‘ বলতে বিচ্ছেদ বেদনার গভীরতা বোঝানো হয়েছে ।
৪ যুদ্ধকে ‘ রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড় ‘ বলা হয়েছে কেনো ?
উত্তরঃ: উদ্ধৃত প্রসঙ্গটি কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতা থেকে গৃহীত ।
কবিতায় যুদ্ধকে কবি আগ্নেয়পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করেছে । আগ্নেয়পাহাড় চারপাশে ছড়িয়ে দেয় জ্বলন্ত লাভা । আর সেই আগুনে ছাই হয় জীবনের যাবতীয় চিহ্ন । ঠিক তেমনই যুদ্ধের ফলে মানুষের মনে জমে থাকা হিংসা – দ্বেষ আর ঘৃণা লাভার মতো ছিটকে ওঠে । অপমৃত্যু ঘটে মানবতার । এই মৃত্যুময় ধ্বংসলীলার নারকীয় রূপটিকে ফুটিয়ে তুলতেই কবি যুদ্ধকে , রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড় ‘ বলেছেন ।
৫“সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না ।“ কোন মেয়েটির কেন মৃত্যু হল না ?
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতার কথকের জন্য অপেক্ষারতা যে মেয়েটির উল্লেখ পাওয়া যায় , তার কথা বলা হয়েছে । মেয়েটি জানত না যে , তার প্রিয়তম আর ফিরে আসবে না । জীবন আপন ছন্দে চলল , ক্রমে সপ্তাহ – বছর অতিক্রান্ত হল । কবির পদচিহ্ন বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল , তবু অপেক্ষা চলল । এরপর যুদ্ধের গ্রাসে নগর , দেবালয় চূর্ণবিচূর্ণ হল এবং মৃত্যু হল শিশুসহ অজস্র মানুষের । শুধু অপেক্ষমান মেয়েটির মৃত্যু হল না কারণ ভালোবাসা অমর , চিরন্তন ও শাশ্বত ।
৬‘ শান্ত হলুদ দেবতারা’- দেবতাদের ‘ শান্ত হলুদ বলা হয়েছে কেন ? তাদের কী পরিণতি হয়েছিল ?
উত্তরঃ: ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি চলে যাওয়ার পর একসময় যুদ্ধ বাধল । সেই যুদ্ধের বীভৎসতায় নগরসভ্যতা , কবির স্বপ্নের বাড়ি – ঘর সব চূর্ণ হয়ে গেল , এমনকি ধ্বংস হল দেবতাদের মন্দিরও । হাজার হাজার বছরের যে – দেবতারা মানুষের মনে বিশ্বাস জাগিয়ে এসেছেন , যুদ্ধ তাদেরও আসনচ্যুত করল । প্রাচীন দেবতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও জীর্ণতাকে বোঝাতে হলুদ ও শান্ত বলা হয়েছে । যুদ্ধের আগুনে নগর পুড়লে দেবালয়ও বাদ যায় না । মানুষের মনে দেবতারা যে – বিশ্বাস বোধের জন্ম দিয়েছিল , তা ধ্বংস হল ।
৭তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না ।’- উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ।
উত্তরঃ: উদ্ধৃত অংশটি পাবলো নেরুদার কবিতা ‘ অসুখী একজন ‘ থেকে গৃহীত ।
এখানে কবি বিনাশ ও ধ্বংসের কলরোলে দেবতাদের অসারতার উল্লেখ করেছেন । মানবতার অপচয় প্রাণহানি কিংবা চূড়ান্ত বীভৎসতার সময় কোনো দৈব – মাহাত্ম্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না । উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য মানুষের মতোই একইরকমভাবে যুদ্ধ -তাণ্ডবের ভয়াবহতায় তারাও নিরাশ্রয় , অস্তিত্বহীন এবং চূর্ণবিচূর্ণ হয় । তাই এককথায় দৈব ক্ষমতার ফানুস চুরমার হয়ে যাওয়ায় তাদের যেন মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর ক্ষমতা লোপ পায় । আলোচ্য অংশে কবির এই ভাবনাই প্রকাশ পেয়েছে ।
৮ প্রাচীন জলতরঙ্গ / সব চূর্ণ হয়ে গেল , ‘ — উদ্ধৃতাংশে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশে কবি বুঝিয়েছেন আগ্নেয়পাহাড়ের মতো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের লেলিহান আগুন সমতলকেও গ্রাস করেছিল । কবির শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত মিষ্টি বাড়িটিও যুদ্ধের নির্মম আঘাতে ধ্বংস হয়েছিল । তার বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা , গোলাপি গাছ , ছড়ানো করতলের মতো পাতা , চিমনি ও প্রিয় প্রাচীন জলতরঙ্গ এইসব চূর্ণ হল , সম্পূর্ণ ভস্ম হল আগুনে । অর্থাৎ কবির আশ্রয় ও অস্তিত্বের একমাত্র প্রতীকচিহ্নটিও যুদ্ধের নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলায় নিশ্চিহ্ন হয়েছিল ।
৯.‘ সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা’— বলতে কবি প্রশ্নোদৃত অংশে কৰি বুঝিয়েছেন কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ’ কবিতাটিতে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কবি প্রিয়তমা , ঘরবাড়ি , এমনকি তাঁর প্রিয় শহরও ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন । এরপরে একদিন আসে বীভৎস যুদ্ধ । যার করাল গ্রাসে কবির ঘরবাড়ি , দেবালয় সমস্ত কিছু চূর্ণ হয়ে আগুনে জ্বলে যায় । শহরটিও বাদ যায় না । এক সময়ের সুন্দর শহরে ছড়িয়ে থাকে কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা আর রক্তের দাগ । আসলে শহরের বিধ্বংসী রূপটি তুলে ধরতেই উদ্ধৃতিটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
১০‘ আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায় । মেয়েটি কে ? সে অপেক্ষা করে কেন ?
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় ‘ সেই মেয়েটি ’ হল কথকের প্রিয়তমা , যাকে রেখে কবি বহুদূরে চলে গিয়েছিলেন । কবি যে আর ফিরে আসবেন না এ কথা তার প্রিয়তমা জানত না । তার অপেক্ষার বোঝা গভীর থেকে গভীরতর হলেও সে ভেঙে পড়েনি । এই মেয়েটিকে ধ্বংস যেন স্পর্শ করতে পারে না ; মৃত্যু – যুদ্ধ – হিংসা , দাঙ্গার স্পর্শ পেরিয়েও তাই সে অমলিন থাকে । কারণ ভালোবাসার কখনও মৃত্যু হয় না । সেসময় থেকে সময়ান্তরে অপেক্ষা করে বয়ে চলে নিজস্ব ধারায় ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
১. ‘ আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।— অপেক্ষমান এই নারার মধ্যে দিয়ে কবি মানবীয় ভালোবাসার যে – অনির্বাণ রূপটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন , তা পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো ।
অথবা , যুদ্ধের নেতিবাচক ভাবের পাশাপাশি যে – মানবিক আবেদন ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে আলোচনা করো ।
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদা তাঁর ‘ অসুখী একজন ’ কবিতার অপেক্ষমান নারীর মধ্যে ভালোবাসার অনির্বাণ রূপটি ফুটিয়ে তুলেছেন । কথক তার প্রিয় নারীকে রেখে চলে যান বহুদূরে । সে জানত না যে , তার প্রিয়তম আর ফিরে আসবে না । সময় চলমান , জীবনও তার সঙ্গে চলমান । সপ্তাহ – বছর কেটে যায় । কথকের পদচিহ্ন ধুয়ে গিয়ে তার ওপর ঘাস জন্মায় । তবুও সে নারীর অপেক্ষা থামে না । এইভাবে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে মুহূর্তগুলো একটার – পর – একটা পাথরের মতো ভারী হয়ে নেমে আসে মেয়েটির মাথার ওপর ।
এরপর যুদ্ধ ও যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়ল শহরে । সে আগুনের করাল গ্রাসের হাত থেকে বাদ গেল না শিশু কিংবা দেবতারাও । শান্ত হলুদ দেবতারা তাদের মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে । কবির স্বপ্নের বাড়ি – ঘর সব চূর্ণ হয়ে যায় , পুড়ে যায় আগুনে । যেখানে শহর ছিল সেখানে চারদিকে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা আর রক্তের একটা কালো দাগ । কিন্তু এতসবের মধ্যেও কবির প্রিয়তমা বেঁচে রইল কারণ প্রেম শাশ্বত , তার মৃত্যু নেই । এই প্রেম মানুষকে মরতে মরতে বাঁচতে শেখায় । এই ধ্বংসের মধ্যেও বেঁচে থাকে মেয়েটির অনির্বাণ ভালোবাসা , বেঁচে থাকে ভালোবাসার মানুষের জন্য তার প্রতীক্ষা ।
- ‘ তারপর যুদ্ধ এল ‘ — পাঠ্য কবিতায় কবি যুদ্ধের যে – আশ্চর্য করুণ ও মর্মস্পর্শী ছবি এঁকেছেন , তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো ।
অথবা , শিশু আর বাড়িরা খুন হলো ।’— এই আশ্চর্য – সংহত ছবিটির মধ্যে যুদ্ধের পৈশাচিক বর্বরতা কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা কবিতা অবলম্বনে লেখো ।
উত্তরঃ: চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা জীবনযুদ্ধের একজন লড়াকু সৈনিক । চোখের সামনে ঘটে যাওয়া দুই বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি । তাই পাঠ্য কবিতায় তিনি যুদ্ধের যে – করুণ ও মর্মস্পর্শী ছবি এঁকেছেন তা অত্যন্ত বাস্তবোচিত । ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটি আসলে যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এক শাশ্বত ভালোবাসার গল্প । কবি যুদ্ধের বীভৎসতার মাঝে প্রেম যে অনির্বাণ তা দেখাতে গিয়ে খণ্ড খণ্ড যুদ্ধের চিত্র তুলে ধরেছেন । কবি তাঁর প্রিয়তমাকে অপেক্ষায় রেখে দূরে চলে যাওয়ার পর একদিন ভয়াবহ বীভৎসতা নিয়ে যুদ্ধ নেমে এল । মানুষ আশ্রয়হীন হল । নৃশংসতার হাত থেকে রেহাই পেল না শিশুরাও । দাবানলের মতো যুদ্ধের আগুন সমতলে ছড়িয়ে পড়ল । ধ্বংস হল দেবালয় আর তার ভেতরের দেবতারা । তাদের দেবত্ব নষ্ট হল । মানুষকে তারা স্বপ্ন দেখাতে ব্যর্থ হল । কবির সেই মিষ্টি বাড়ির ঝুলন্ত বিছানা , গোলাপি গাছ , প্রাচীন জলতরঙ্গ সব চূর্ণ ও ভস্ম হল যুদ্ধের আগুনে । ঠিক একইভাবে শহরটাও পুড়ে গেল । বীভৎসতার চিহ্ন নিয়ে ছড়িয়ে – ছিটিয়ে পড়ে রইল কাঠকয়লা , দোমড়ানো লোহা , পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা আর রক্তের একটা কালো দাগ । শুধু সেই ধ্বংসস্তূপে বেঁচে থাকল মেয়েটির অপেক্ষা ও অবিচল ভালোবাসা ।
৩. পাঠ্য কবিতাটি অতৃপ্ত মানবহৃদয়ের একান্ত আতির ‘ অসুখী একজন কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো ।
অথবা , ‘ অসুখী একজন কবিতায় বিশ্বশান্তির বার্তা নিহিত —– আলোচনা করো ।
অথবা , ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতাটিকে যুদ্ধবিরোধী কবিতা বলা যায় । কিনা – বিশ্লেষণ করো ।
উত্তরঃ: পাবলো নেরুদার কবিতা ‘ অসুখী একজন’— এই বাঞ্ছনাময় নামকরণ থেকেই বোঝা যায় যে , কবিতাটি অতৃপ্ত কোনো বাসনার প্রতিচ্ছবি । অনেক সময় কবি – সাহিত্যিকের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিচ্ছবি যা সর্বজনের ভাবনার সঙ্গে মিলে যায় তা সাহিত্যে প্রতিফলিত হয় । আমাদের পাঠ্য কবিতাটিতেও তা ঘটেছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।
কবি চরম অতৃপ্তি নিয়ে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন । কিন্তু তাঁর প্রিয় নারী তাঁর অপেক্ষায় থাকে , কেন – না সে জানে না যে , তার প্রিয়তম আর ফিরে আসবে না । কবিতার শেষ পর্যন্ত এই অপেক্ষাকেই আমরা দেখেছি । সময় অতিক্রান্ত হয় , আবছা হয় স্মৃতি , অপেক্ষার বছরগুলো ভারী হয় । প্রাণঘাতী যুদ্ধের বীভৎসতা তাকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে । দেবালয় , শহর সব কিছু ধ্বংস হওয়া সত্ত্বেও অতৃপ্ত হৃদয়ে সেই মেয়েটি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে । অন্যদিকে কবিও অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে ফিরে আসতে চান তাঁর প্রতীক্ষমান ভালোবাসার কাছে । সব কিছু ধ্বংসের মাঝেও কবির হৃদয়ে অপেক্ষারতা নারীটির মৃত্যু নেই । চিরায়ত অতৃপ্ত মানবাৰ্তিই এই নারী । কবির অতৃপ্ত মন তার কাছে বার বার ফিরে যেতে চায় বলেই তিনি বলে ওঠেন , ‘ আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায় ‘ । স্পষ্টতই কবিতাটিতে কবি যুদ্ধবিরোধী মনোভাব নিয়ে বিশ্বশান্তির বার্তা প্রেরণ করেছেন পাঠকের কাছে ।
Click Here To Download The Pdf