জেলখানার চিঠি
১.১ সুভাষচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন কেন ?
উঃ ভারতবিদ্বেষী ইংরেজ-অধ্যাপক ওটেনকে প্রহারের অভিযোগে সুভাষচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন।
১.২ রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে তিনি কোন দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন ?
উঃ রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।
২ অনধিক তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ তোমার পাঠ্য পত্রখানি কে, কোথা থেকে, কাকে লিখেছিলেন ?
উঃ পাঠ্য পত্রখানি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বর্তমান মায়ানমারের মান্দালয় জেল থেকে বন্ধু দিলীপকুমার রায়কে লিখেছিলেন।
২.২ কোন ব্যাপারটিকে পত্ৰলেখক আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখার কথা বলেছেন ?
উঃ সুভাষচন্দ্র বসু এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা অকারণে বা সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কারণে রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে জেলে থেকে যেসব ঘটনাকে মেনে চলতে বাধ্য হচ্ছেন, সেই অকারণে বন্দি থাকার ব্যাপারটাকেই তিনি আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখার কথা বলেছেন।
২.৩ বন্দিদশায় মানুষের মনে শক্তি সঞ্চারিত হয় কীভাবে?
উঃ বন্দিদশায় মানুষের মনে শক্তির সঞ্চার ঘটার অন্যতম কারণ হল— দার্শনিক ভাব। এই ভাবের কারণেই মানুষের মনে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যাত্ম ধারণা হয়।
২.৪ মান্দালয় জেল কোথায় অবস্থিত ?
উঃ মান্দালয় জেল বর্তমান মায়ানমারে অবস্থিত। পরাধীন। ভারতের ব্রিটিশ সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এই জেলে বন্দি রেখে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। বালগঙ্গাধর তিলকও এই জেলে একসময় বন্দি ছিলেন।
২.৫ ভারতীয় জেল বিষয়ে একটি পুস্তক সুভাষচন্দ্রের লেখা হয়ে ওঠেনি কেন ?
উঃ ভারতীয় জেল বিষয়ে সুভাষচন্দ্র বসুর একটি পুস্তক লেখা না-হয়ে ওঠার কারণ, বই লেখার জন্য যে উদ্যম বা শক্তির প্রয়োজন, সেই সময় তার কাছে সেই উদ্যম বা শক্তির অভাব ছিল। তা ছাড়া, তাঁর বিভিন্ন সমস্যা ও অস্থিরতার কারণে সে-চেষ্টার উপযুক্ত সামর্থ্যও ছিল না।
২.৬ সুভাষচন্দ্র কেন দিলীপ রায় প্রেরিত বইগুলি ফেরত পাঠাতে পারেননি ?
উঃ সুভাষচন্দ্র বসু দিলীপ রায় প্রেরিত বইগুলি ফেরত পাঠাতে পারেননি। কারণ, দিলীপকুমার রায় প্রেরিত বইগুলির তিনি ছাড়া আরও বহু পাঠক আছেন।
৩ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর কয়েকটি বাক্যে লেখ :
৩.১ নেতাজি ভবিষ্যতের কর্তব্যের কথা এই চিঠিতে বলেছেন ?কেন এই কর্তব্য স্থির করেছেন ?কারাশাসন প্রণালী বিষয়ে কাদের পরিবর্তে কাদের প্রণালীকে তিনি অনুসরণযোগ্য বলে মনে করেছেন ?
উঃ নেতাজি ভবিষ্যৎ ভারতের কারাগার সংস্কারসাধনের কথা এই চিঠিতে বলেছেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য নেতাজিকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর মনে হয়েছে, কোনো কারণে কাউকে যদি জেলে থাকতে হয়, তবে জেলের পরিবেশের কারণে তার মানসিকতার বিকার ঘটতে বাধ্য। জেলের বিকৃত পরিবেশে অধিকাংশ বন্দিদের সামান্যতম নৈতিক উন্নতি হয় না। বরং তাদের মনে আরও বেশি ক্ষোভ, হিংসা, ঘৃণা ও প্রতিহিংসা জেগে ওঠে।
কারাশাসন প্রণালী বিষয়ে ভারতীয় কারাশাসন প্রণালী পরিবর্তে আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস-এর মত উন্নত দেশগুলির কারাশাসন প্রণালী অনুসরণযোগ্য বলে তিনি মনে করেছেন।
৩.২ সেজন্য খুবই খুশি হয়েছি। –বক্তা কে ? তিনি কীজন্য খুশি হয়েছেন?
উঃ প্রশ্নোধৃত উক্তির বক্তা মান্দালয় জেলে বন্দি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
জেলে বন্দি আসামির কাছে বাইরে থেকে কোন চিঠি এলে তা দু-দুবার পরীক্ষা করা হয়। এটিই ব্রিটিশ শাসকের রীতি। এবার সেই রীতি লঙ্ঘিত হয়েছে। বন্ধু দিলীপকুমার রায়ের চিঠি তাঁর কাছে অন্যান্য বারের মত এবার double distillation’-র ভিতর দিয়ে আসেনি বলে তিনি খুশি হয়েছেন।
৩.৩ ‘আমার পক্ষে এর উত্তর দেওয়া সুকঠিন। –কে, কাকে এ কথা বলেছেন ? কীসের উত্তর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
উঃ সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর বন্ধু দিলীপকুমার রায়কে এ কথা বলেছেন।
নেতাজি দিলীপকুমার রায়ের লেখা পড়ে অভিভূত। চিঠিটি সুভাষচন্দ্র বসুর হৃদয়কে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর মনকে সেই চিঠি এতটাই স্পর্শ করেছে যে, তিনি যেন নতুন এক চিন্তায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তাঁর পক্ষে সে চিঠির উত্তর দেওয়া সুকঠিন। এমনকি তিনি এও জানেন, যে তাঁর চিঠি censor হয়ে প্রাপকের কাছে যাবে। তাতে নেতাজির ব্যক্তিমনের গভীর আবেগ ও বেদনা অনেকের সামনে চলে আসবে, যা তিনি কোনোদিন চাননি। তাই এরকম চিঠি তাঁর পক্ষে লেখা সম্ভব নয় বলেই তিনি বলেছেন- “আমার পক্ষে এর উত্তর দেওয়া সুকঠিন।
৩.৪ ‘পরের বেদনা সেই বুঝে শুধু যে জন ভুক্তভোগী। –উদ্ধৃতিটির সমার্থক বাক্য পত্রটি থেকে খুঁজে নিয়ে লেখ। সেই বাক্যটি থেকে লেখকের কোন মানসিকতার পরিচয় পাও ?
উঃ পাঠে উল্লিখিত আলোচ্য উদ্ধৃতিটির সমার্থক বাক্য হল— “আমি যদি স্বয়ং কারাবাস না-করতাম তাহলে একজন কারাবাসী বা অপরাধীকে ঠিক সহানুভূতির চোখে দেখতে পারতাম না।”
ওপরের বাক্য থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, নেতাজি কারাবন্দিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি মনে করেন, জেলখানা কেবল শাস্তিদানের জায়গা নয়, তা সংশোধনের স্থানও হওয়া উচিত। তাই তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের সংশোধনের মধ্যে দিয়ে সমাজজীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে চেয়েছেন। লেখক তার সহানুভূতিশীল মন দিয়ে এগুলি উপলব্ধি করেন। সুতরাং, এর থেকে বোঝা যায়, তিনি দরদি ও অনুভূতিশীল মনের অধিকারী।
৩.৫ ‘আমার মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে, অনেকখানি লাভবান হতে পারব। –কোন্ প্রসঙ্গে বক্তার এই উক্তি ? জেলজীবনে তিনি আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে কীভাবে লাভবান হওয়ার কথা বলেছেন ?
উঃ জেলের মধ্যে যে-নির্জনতায় বা দীর্ঘ সময়সীমায় মানুষ বন্দি-জীবনযাপন করতে করতে জীবনের চরম সমস্যাগুলিকে তলিয়ে বোঝার সুযোগ পায়, সেই নির্জনতা প্রসঙ্গে বক্তার এই উক্তি।
লোকমান্য তিলক কারাবাসকালে গীতার আলোচনা করে আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে লাভবান হয়েছেন। সেই আধ্যাত্মিকতার কথাই লেখক বলেছেন।
৩.৬ Martyrdom’ শব্দটির অর্থ কী ? এই শব্দটি উল্লেখ করে বক্তা কী বক্তব্য রেখেছেন ?
উঃ Martyrdom’ শব্দের অর্থ হল ‘আত্মবলিদান। অন্যভাবে বলা যায় রাজনৈতিক বিশ্বাসের জন্য বা মহৎ আদর্শের খাতিরে স্ব-ইচ্ছায় প্রবল কষ্টভোগ করা।
এই শব্দটির উল্লেখ করে বক্তা বলেছেন, দিলীপকুমার রায় তাঁর কারাবাসকে বলিদানের সঙ্গে তুলনা করলেও, নিজে তিনি সেটিকে সেভাবে মনে করার স্পর্ধাও রাখেন না। এটি তার কাছে বড়োজোর একটা আদর্শ হতে পারে।
৩.৭ যখন আমাদিগকে জোর করে বন্দি করে রাখা হয় তখনই তাদের মূল্য বুঝতে পারা যায় ?’—কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে ? তাদের মূল্য’ বিষয়ে লেখকের বক্তব্য আলোচনা কর।
উঃ জেলের ভিতরে অনুষ্ঠিত পিকনিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা চর্চার ফলে বন্দি মানুষের জীবনে সরসতা ও সমৃদ্ধিলাভ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে।
তাদের মূল্য বলতে, জেলের ভিতর অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক ও আনুষঙ্গিক নানা অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে লেখক বলেছেন, এর ফলে, বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সাধিত হয়। খাদ্যপানীয় বা শরীরচর্চার অভাবে কিংবা সমাজ-বিচ্ছিন্ন অবস্থানের বন্দিজীবন অসহনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু, সুস্থ মানসিক পরিবর্তন হলেই বন্দি মানুষ জেলের বাইরের মানুষের মত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
৩.৮ মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থা কী কঠোর ও নিরানন্দময়। —যে ঘটনায় লেখকের মনে এই উপলদ্ধি ঘটে তার পরিচয় দাও।
উঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ২ মে ১৯২৫ তারিখে বন্ধু দিলীপকুমার রায়কে লেখা পত্রটিতে তার কারারুদ্ধ জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রশ্নোক্ত উদ্ধৃতিটি করেছেন। তিনি মনে করেন, জেলের ভিতরে বন্দিদের দৈহিক অপেক্ষা মানসিক কষ্ট সহ্য করতে হয় বেশি। এই মানসিক আঘাতে আঘাতকারীর প্রতি বন্দির মন বিরূপ হয়। তাতে হয়ত ওপরওয়ালার উদ্দেশ্য সফল হয় না। কিন্তু বন্দিদের মনের মধ্যে কোনো আনন্দধাম গড়ে ওঠে না। এটিই লেখক উপলব্ধি করেছেন।
৩.৯ এই চিঠিতে কারাবন্দি অবস্থাতেও দুঃখকাতর, হতাশাগ্রস্ত নয়, বরং আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী নেতাজির পরিচয়ই ফুটে উঠেছে।—পত্রটি অবলম্বনে নিজের ভাষায় মন্তব্যটির যাথার্থ্য পরিস্ফুট কর।
উঃ সুভাষচন্দ্র বসু মান্দালয় জেলে বন্দি জীবনযাপন করলেও চিঠির মধ্যে তাঁর মানসিক অবস্থার অবনতির কথা কোথাও নেই। তিনি এখানে দুঃখে কাতর বা হতাশায় মগ্ন নন। এছাড়া জেলের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বই লিখতে চান। তিনি মনে করেন, দীর্ঘ কারাবাসে বা নির্জনতায় আধ্যাত্মিক উন্নতি হতে পারে। তিনি আশা করেন, জেলের ভিতরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি বন্দিদের জীবনে উৎকর্ষসাধন করতে সুভাষচন্দ্র বসু রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে কারাবাসের সময় প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার দ্বারা কারাশাসনের অব্যবস্থা ও বন্দিদের চরম দুর্ভোগ উপলব্ধি করলেও তিনি দুঃখকাতর বা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েননি। বরং, আত্মবিশ্বাসী হয়ে দুঃখ জয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
৩.১০ কারাগারে বসে নেতাজির যে ভাবনা, যে অনুভব, তার অনেকখানি কেন অকথিত রাখতে হবে ?
উঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে মান্দালয়ের কারাগারে অবস্থানকালে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ২মে বন্ধু দিলীপকুমার রায়-কে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি। জানিয়েছেন, কারাগারে অবস্থানকালে তার যে ভাবনা বা উপলব্ধি, তার অনেকখানিই অকথিত রাখতে হবে। কারণ, এটি তাঁর পুরোপুরি অন্তরের গভীরতম প্রবাহ, যা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এটি দিনের উন্মুক্ত আলোয় প্রকাশিত হলে তার মাধুর্য নষ্ট হতে পারে। এমনকি ‘Censor- এর হাতে সেটির লাঞ্ছিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিংবা জনগণের বহু আলোচনায় সেটি তাঁর বিপদের কারণও হতে পারে।
৪ নীচের বাক্যগুলির তথ্যগত অশুদ্ধি সংশোধন কর :
৪.১ নেতাজি মনে করতেন না যে, আমাদের সমস্ত দুঃখকষ্টের অন্তরে একটা মহত্তর উদ্দেশ্য কাজ করছে।
উঃ নেতাজি মনে করতেন যে, আমাদের সমস্ত দুঃখকষ্টের ভিতর মহত্তর উদ্দেশ্য কাজ করে।
৪.২ কারাগারে বন্দি অবস্থায় নেতাজি সুভাষ গীতার আলোচনা লিখেছিলেন।
উঃ কারাগারে বন্দি অবস্থায় লোকমান্য তিলক গীতার আলোচনা লিখেছিলেন।
8.৩ জেল জীবনের কষ্ট মানসিক অপেক্ষা দৈহিক বলে নেতাজি মনে করতেন।
উঃ জেল জীবনের কষ্ট দৈহিক অপেক্ষা মানসিক বলে নেতাজি মনে করতেন।
৫ নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাসবদ্ধ পদ বেছে নিয়ে ব্যাববাক্য–সহ সমাসের নাম লেখ :
৫.১ তোমার চিঠি হৃদয়তন্ত্রীকে কোমলভাবে স্পর্শ করেছে।
উঃ হৃদয়তন্ত্রী = হৃদয় রূপ তন্ত্রী — রূপক কর্মধারয় সমাস।
৫.২ সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কারণে জেলে আছি।
উঃ অজ্ঞাত = নয় জ্ঞাত — নঞ তৎপুরুষ সমাস।
৫.৩ তখন আমার নিঃসংশয় ধারণা জন্মে।
উঃ নিঃসংশয় = নিঃ (নেই) সংশয় যার/যাতে — বহুব্রীহি সমাস।
৫.৪ নূতন দণ্ডবিধির জন্যে পথ ছেড়ে দিতে হবে।
উঃ দণ্ডবিধি = দণ্ডের নিমিত্ত বিধি — নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস।
৫.৫ লোকমান্য তিলক কারাবাস–কালে গীতার আলোচনা লেখেন।
উঃ লোকমান্য = লোক দ্বারা মান্য — করণ তৎপুরুষ সমাস
৬ শব্দগুলির ব্যুৎপত্তি নির্ণয় কর : পাঠক, দর্শন, দৈহিক, আধ্যাত্মিক, ভণ্ডামি, সমৃদ্ধ, মহত্ত্ব, অভিজ্ঞতা।
পাঠক = √পঠ্+ অক্।
দর্শন = √দৃশ্ + অন্।
দৈহিক = দেহ + ষ্নিক্।
আধ্যাত্মিক = অধ্যাত্ম + ইক্ (য়িক)।
ভণ্ডামি = ভণ্ড + আমি।
সমৃদ্ধ = সম্ + ঋদ্ধ।
মহত্ত্ব = মহৎ + ত্ব।
অভিজ্ঞতা = অভিজ্ঞ + তা।
৭ নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন কর :
৭.১ আমার পক্ষে এর উত্তর দেওয়া সুকঠিন। (না–সূচক বাক্যে)
উঃ আমার পক্ষে এর উত্তর দেওয়া মোটেই সহজ নয়।
৭.২ সেই জন্যই সাধারণের কাছে মুখ দেখাতে সে লজ্জা পায়। (প্রশ্নবোধক বাক্যে)।
উঃ সেই জন্যই সাধারণের কাছে মুখ দেখাতে সে লজ্জা পায় না কি?
৭.৩ লজ্জায় তারা বাড়িতে কোনো সংবাদ দেয়নি। (যৌগিক বাক্যে)
উঃ তারা লজ্জা পেয়েছে এবং বাড়িতে কোনো সংবাদ দেয়নি।
৭.৪ কতকগুলি অভাব আছে যা মানুষ ভিতর থেকে পূর্ণ করে তুলতে পারে। (সরল বাক্যে)
উঃ কতকগুলি অভাবকে মানুষ ভিতর থেকে পূর্ণ করে তুলতে পারে।
৭.৫ বিনা দুঃখ কষ্টে যা লাভ করা যায় তার কোন মূল্য আছে ? (নির্দেশক বাক্যে)
উঃ দুঃখ কষ্টেই লভ্যবস্তুর মূল্য নিরূপিত হয়।
Click Here To Download The Pdf