পল্লীসমাজ
১.১ শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখ?
উঃচরিত্রহীন , গৃহদাহ
১.২ শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোট গল্পের নাম লেখ?
উঃ মহেশ, লালু
২ নিচের প্রশ্নগুলির দু–একটি বাক্যে উত্তর লেখ
২.১ গোপাল সরকারের পাশে বসে রমেশ কি করছিল?
উঃ গোপাল সরকারের পাশে বসে রমেশ জমিদারির হিসাবপত্র দেখছিল।
২.২ গ্রামের একমাত্র ভরসা কি ছিল?
উঃ গ্রামের একশো বিঘার জমি টা ছিল গ্রামের একমাত্র ভরসা।
২.৩ ‘বোধ করি এই কথাই হইতেছিল” – কোন কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?
উঃ গ্রামের একশো বিঘের জমিটি বানের জলে ডুবে যাওয়ায় চাষিরা গ্রামের জমিদার বেণীর কাছে এসে কাঁদছিল যাতে তারা জল বার করে দেবার জন্য পুকুরটি কাটতে দেয়। এখানে সেই বিষয়ে বেণী ও হালদার মশাই আলোচনা করছিল সেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
২.৪ রমা আকবরকে কোথায় পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল ?
উঃ রমা আকবরকে বাঁধ পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল।
২.৫ ‘পারবি নে কেন?’ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন কাজটি করতে পারবে না?
উঃউদ্দিষ্ট ব্যক্তি অর্থাৎ আকবর সদরে গিয়ে নিজের শরীরের আঘাত দেখিয়ে রমেশের নামে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে না।
৩ নিচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখ
৩.৩ কুড়িজন কৃষক রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়ল কেন?
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশ থেকে জানা যায় যে গ্রামের চাষিদের একমাত্র ভরসা ছিল গাঁয়ের একশো বিঘা জমি। কিন্তু টানা বৃষ্টির ফলে সেই জমিতে জল জমে গ্যাছে। দ্রুত জল বার করার ব্যবস্থা না করলে চাষিরা সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে। এই জল বার করে দেবার একমাত্র উপায় হল জমিদারির দক্ষিন দিকের বাঁধ কেটে ফেলা। কিন্তু এই বাঁধ লাগোয়া জমিদারির এক জলা আছে যা থেকে জমিদারদের আয় হয় এবং তাই বাঁধ কাটতে তারা চান না। এই গভীর বিপদ থেকে রক্ষা পেতেই তারা দয়ালু জমিদার রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়েছিল ।
৩.২ রমেশ বেণীর কাছে জল বার করে দেবার হুকুম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল কেন?
উঃ রমেশ বেণীর কাছে জল বার করে দেবার হুকুম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল কারন গ্রামের চাষিদের একমাত্র ভরসা ছিল গাঁয়ের একশো বিঘা জমি ।একশো বিঘার জমির ধান নষ্ট হয়ে গেলে গরিব চাষিরা অনাহারে মারা পড়বে।
৩.৩ বেণী জল বার করতে চাই নি কেন?
উঃ জমিদারির দক্ষিন দিকের বাঁধ লাগোয়া এক জলা আছে যা থেকে জমিদারদের বার্ষিক দুশো- তিনশো টাকা আয় হয়। সেই বাঁধ কেটে জল বার করলে বেণীর সেই টাকার মাছ জলে ভেসে যাবে ও তার লোকসান হবে। তাই নিজের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য সে জল বার করতে চাইনি।
৩.৪ ‘ ঘৃণা, লজ্জায়, ক্রধে, ক্ষোভে রমেশের চোখ মুখ উত্তপ্ত হয়ে উঠিল ‘- রমেশের এমন অবস্থা হয়েছিল কেন?
উঃ উদ্ধৃত উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীদের ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে রমেশ বেণীর কাছে অনুরোধ জানাতে গিয়েছিল যাতে সে দক্ষিনের বাঁধ কেটে জল বার করার অনুমতি দেয়। কিন্তু চাষিদের চরম দুর্দশার কথা জেনেও সে শুধু যে বাঁধ কাটতেই অস্বীকার করে তাই নয় বরং গরিব চাষিদের ছোটলোকের বাচ্ছা বলেও অপমান করে। রমেশকে সে উপদেশ দেয় যাতে চাষিদের এই দুর্দশার সুযোগে রমেশ তার স্বার্থ পুরন করে। বেণীর এই নিরলজ্জ, অমানুষিক ব্যবহার রমেশের মনে ঘৃণা, লজ্জা, ক্রধে, ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল।
৩.৫ ‘ রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল” – রমেশের বিস্ময়ের কারন কি ছিল?
উঃ উদ্ধৃত উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
রমেশ রমার কাছে বাঁধ কাটার প্রস্তাব নিয়ে উপস্থিত হয় কারন জলায় রমারও অধিকার রয়েছে। তারা দুজনে মত দিলে বেণীর অমত হলেও বাঁধ কেটে তারা জল বার করে দিতে পারবে।রমেশ আশা করেছিল চাষিদের বাঁচাতে বাঁধ কাটায় নিশ্চয় রমার মত থাকবে,কিন্তু রমা যখন তাকে জানাল তার বাধ কাটায় মত নেই তখন রমেশের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল প্রমানিত হল। এই অপ্রত্যাশিত আশাভঙ্গে রমেশ হতবুদ্ধি হয়ে গেল।
৩.৬ রমা রমেশের অনুরোধে রাজি হয়নি কেন?
উঃ জলার বাঁধ কাটলে তিন জমিদারের দু-তিনশো টাকার লোকশান হয়ে যাবে। রমা তার ভাইয়ের হয়ে জমিদারী দেখভাল করে। তার যুক্তিতে তার ভাইয়ের ক্ষতি করে সে বাঁধ কাটায় মত দিতে চায়নি, এছাড়া অপর জমিদার বেনীর সঙ্গে বিবাদ করার উদ্দেশ্য তার ছিল না।
৩.৭ মানুষ খাঁটি কি না চেনা যায় শুধু টাকার সম্পরকে” কে , কার সম্পর্কে এ কথা বলেছিল? সে কেন একথা বলেছিল?
উঃ উদ্ধৃত উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
-এখানে রমেশ রমার সম্পর্কে এ কথা বলেছিল।
– রমেশ রমার কাছে বাঁধ কাটার প্রস্তাব নিয়ে উপস্থিত হয়, কিন্তু তখন সে জানতে পারল চাষিদের বাঁচাতে বাঁধ কাটায় রমার মত নেই কারন জলার বাঁধ কাটলে তিন জমিদারের দু-তিনশো টাকার লোকশান হয়ে যাবে। রমেশ রমাকে এক দয়াশীল নারী রুপেই ভাবত , কিন্তু গরিব চাষিদের বাঁচানোর বদলে টাকার মায়া তার কাছে বড়ো হওয়ায় রমেশ যেন রমার আসল রুপের পরিচয় পেল। তাই সে একথা বলেছিল।
৩.৮ ‘ রমা বিহ্বল হতবুদ্ধির ন্যায় ফ্যালফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিল” – রমার এমন অবস্থা হয়েছিল কেন?
উঃ উদ্ধৃত উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ ‘ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
রমেশ রমার কাছে বাঁধ কাটার প্রস্তাব নিয়ে উপস্থিত হয়, কিন্তু তখন সে জানতে পারল চাষিদের বাঁচাতে বাঁধ কাটায় রমার মত নেই কারন জলার বাঁধ কাটলে তিন জমিদারের দু-তিনশো টাকার লোকশান হয়ে যাবে। এমনকি রমা এও বলে যে বেশি দরদী হলে রমেশ ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাধ কাটতে পারে । রমেশের চোখে রমার আসন অনেক উঁচুতে ছিল। কিন্তু রমার এই ব্যবহার দেখে রমেশ তাকে অতি নিচ ও ছোট মনের মানুষ বলে অপমান করে। রমেশের এই কথা শুনে রমা বিহ্বল হতবুদ্ধির ন্যায় তাকিয়ে ছিল।
৩.৯ রমা আকবরকে ডেকে এনেছিল কেন?
উঃ যখন রমেশ রমার ও বেনীর কাছ থেকে বাঁধ কাটার অনুমতি পায় না তখন সে জানায় যে গ্রামের গরীব চাষিদের দুর্দশার হাত থেকে বাঁচাতে সে জোর করে বাঁধ কেটে দেবে তখন অপমানিত ও ক্রদ্ধ রমা লাঠিয়াল আকবরকে বাঁধ পাহারা দেবার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল।
৩.১০ ‘ মোরা নালিশ করতি পারব না’ -কে একথা বলেছিল? কেন নালিশ করতে পারবে না?
উঃ উদ্ধৃতাংশটি পাঁচ গ্রামের সর্দার বিখ্যাত লাঠিয়াল আকবর বলেছে।
রমেশের হাত থেকে বাঁধ রক্ষা করার জন্য রমা আকবর লাঠিয়ালকে ডেকে পাঠায়। কিন্তু রমেশ গ্রামবাসীকে দুরবস্থা থেকে বাঁচাতে দক্ষ লাঠিয়াল রমেশ আকবর আর তার ছেলেদের আহত করে। এমত অবস্থায় কুটিল বেনী রমেশকে জেল খাটানোর উদ্দেশ্যে আকবরকে পরামর্শ দেয় যেন আকবর ও তার ছেলেরা থানায় গিয়ে তাদের আঘাত দেখিয়ে রমেশের নামে অভিযোগ করে। কিন্তু রমেশের প্রতি শ্রদ্ধায় ও তার মত বড় লাঠিয়ালের থানায় গিয়ে আঘাত দেখিয়ে লজ্জিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে সে নালিশ করতে চায় নি।
৪ নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ
৪.১ ‘ নইলে আর ব্যাটাদের ছোটলোক বলেচে কেন?’ -বক্তা কে? এই উক্তির মধ্যে দিয়ে বক্তার চরিত্রের কি পরিচয় পাওয়া যায়?
উঃ উদ্ধৃত উক্তিটি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ ‘ পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধ্রতাংশটির বক্তা হল গ্রামের জমিদার বেনী ঘোষাল।
গ্রামবাসীদের ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে রমেশ বেণীর কাছে অনুরোধ জানাতে গিয়েছিল যাতে সে দক্ষিনের বাঁধ কেটে জল বার করার অনুমতি দেয়। কিন্তু চাষিদের চরম দুর্দশার কথা জেনেও সে শুধু যে বাঁধ কাটতেই অস্বীকার করে তাই নয় বরং গরিব চাষিদের ছোটলোকের বাচ্ছা বলেও অপমান করে। তার মতে চাষিরা দুর্দশাগ্রস্ত হলে তবেই তারা জমিদারের কথা মেনে চলবে এবং জমিদারের কাছে ধার ও ঋণের দায়ে সব সমর্পণ করবে, কারন তারা নির্বোধ ছোটলোক। তার এই মতবাদ শুনেই বোঝা যায় যে বেণী ঘোষাল তৎকালীন গ্রাম্য লোভী, অরথপিপাসু, কুটিল জমিদার চরিত্রের আদর্শ নিদর্শন। চাষিদের বিপদে সে শুধু নি চেষ্ট থাকে তাই নয়, বরং তাদের বিপদ থেকে নিজে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় সেই কুটিল বুদ্ধিও তার রয়েছে।
৪.২ বেণী , রমা ও রমেশ- চরিত্র তিনটির তুলনামুলক আলোচনা কর। এই তিনটি চরিত্রের মধ্যে কোন চরিত্রটি তোমার ভাল লেগেছে এবং কেন?
উঃ বেণী , রমা ও রমেশ এই তিনটি চরিত্রই পল্লিসমাজের জমিদারের প্রতিভূ। তবে তিনজনই আলাদা মানসিকতার পরিচয় দেন।
বেণী– বেণী ঘোষাল তৎকালীন গ্রাম্য লোভী, অরথপিপাসু, কুটিল জমিদার চরিত্রের আদর্শ নিদর্শন। চাষিদের বিপদে সে শুধু নি চেষ্ট থাকে তাই নয়, বরং তাদের বিপদ থেকে নিজে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় সেই কুটিল বুদ্ধিও তার রয়েছে। চাষিদের চরম দুর্দশার কথা জেনেও সে শুধু যে বাঁধ কাটতেই অস্বীকার করে তাই নয় বরং গরিব চাষিদের ছোটলোকের বাচ্ছা বলেও অপমান করে। তার মতে চাষিরা দুর্দশাগ্রস্ত হলে তবেই তারা জমিদারের কথা মেনে চলবে এবং জমিদারের কাছে ধার ও ঋণের দায়ে সব সমর্পণ করবে, কারন তারা নির্বোধ ছোটলোক।
রমা– রমা পরিস্থিতির স্বীকার , ঝগড়াবিমুখ , শান্তিপ্রিয় জমিদারি শরীক। সে একজন নারী, তাই জমিদারিতে তার লিখিত অর্ধেক ভাগ থাকলেও সে নিজেকে তার ছোট ভাইয়ের অবিভাবক মনে করে। ভাইয়ের স্বার্থ রক্ষার জন্য সে নিজের লাভের ভাগ ছাড়তে চায় না, এবং বেনীর সাথে বিবাদও করতে চায় না। তারমধ্যে অভিমানী নারীর দেখা মেলে আবার রমেশের নির্ভীক লড়াই তার চোখে মুগ্ধতার অশ্রু নিয়ে আসে।
রমেশ– রমেশের চরিত্রটি আমার সব থেকে ভাল লেগেছে. রমেশ একজন জমিদার হওয়া সত্ত্বেও সে গরিব চাষিদের ভরসার পাত্র। সে যেমন দয়ালু তেমন সাহসী। একশো বিঘা জমির ফসল বাঁচানোর জন্য সে বেনী ও রমাকে অনেক অনুরোধ করে, কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় গাঁয়ের জোরে বাঁধ কেটে ফেলতেও সে পিছপা হয়নি। বেণীর কুটিলতা ও রমার টাকার প্রতি মায়া তাকে রাগিয়ে তোলে। সব মিলিয়ে বলা যায় মানুষের প্রতি করুনা ও দয়া ও অন্যায়ের সাহসের সাথে প্রতিবাদ করার নির্ভীকতার মিশেলে তৈরী রমেশ এক উজ্জ্বল চরিত্রের উদাহরন।
৪.৩ উপন্যাসের নামে পাঠ্যাংশের নাম পল্লীসমাজ রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নামকরণটি সুপ্রযুক্ত কিনা সে সম্পর্কে মতামত জানাও।
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ ‘ উপন্যাস থেকে পাঠ্যাংশটি নেওয়া হয়েছে।
পল্লীসমাজ ‘ উপন্যাসটিতে গ্রামবাংলার জমিদারি প্রথা ও সেই জমিদারদের শোষণের ফলে চাষি সহ অন্যান্য প্রজাদের দুর্দশার ইতিহাস জ্বলন্ত ভাষায় লিপিবদ্ধ আছে। পাঠ্যাংশটিতে সেই অত্যাচারি শাসকদের কিছু কুটিল ও নিশংস কাজের নমুনা প্রকাশ পেয়েছে, যা দ্বারা তৎকালীন পল্লীসমাজের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় । তাই মনে হয় নামকরণটি সুপ্রযুক্ত ।
৪.৪ পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশে সামন্ত্রতান্ত্রিক ব্যাবস্থার কোনো নিদর্শন পেয়ে থাকলে সে সম্পর্কে আলোচনা কর। এ ধরনের ব্যবস্থার সুফল ও কুফল সম্পর্কে আলোচনা কর।
উঃ পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশে সামন্ত্রতান্ত্রিক ব্যাবস্থার উল্লেখযোগ্য নিদর্শন রয়েছে। দেখা যায় যে বেণী ও রমার মত সামন্তপ্রভুরা নিজেদের দু-তিনশো টাকা বাঁচানোর জন্য চাষিদের অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেও পিছপা নয়। এমনকি তারা এই বিপদ থেকে কিভাবে নিজেদের আখের গোছান যায় সে বিষয়ে বেশি মনোযোগী । সামন্ত্রতান্ত্রিক ব্যাবস্থার মতই পল্লীসমাজ দুই ভাগে বিভক্ত, অত্যাচারী ভুস্বামী এবং পীড়িত প্রজা বা ভুমিদাস।
সামন্ত্রতান্ত্রিক ব্যাবস্থার সুফল তখনই হয় যখন রমেশের মত উদার ভূস্বামীর দেখা মেলে। তাহলেই চাষি ও প্রজারা সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান করে নিজেদের উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বেসিরভাগ ক্ষেত্রেই বেনীর মত অত্যাচারী প্রভু নিজেদের আখের গুছিয়ে আর বড়লোক হয় এবং গরিব কৃষক আর গরিবে পরিণত হয়।
Number of pages-6
File type – PDF
File size-
Very very good
Not so good
Average