Model Activity Task 2022 January
Class 10| Bengali | Part-1
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-২০২২| জানুয়ারী
দশম শ্রেণী | বাংলা | পার্ট –১ |
পূর্ণমান- ২০
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ :
১.১ তপনের মেসোমশাই যে পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন —
(ক) শুকতারা (খ) সন্ধ্যাতারা (গ) বালক (ঘ) জ্ঞানান্বেষণ
১.২ তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম —
(ক) রাজা-রানির গল্প (খ) অ্যাকসিডেন্ট (গ) প্রথম দিন (ঘ) বিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা
১.৩ তপনের লেখা গল্প তার মেসোমশাইয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তপনের —
(ক) মা (খ) বাবা (গ) মেজোকাকু (ঘ) ছোটোমাসি
২. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ .. এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা। – উদ্ধৃতাংশে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার লেখা গল্প ‘প্রথম দিন’ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়েছিল। অবশেষে তার ছোট মাসি ও তার লেখক ছোট মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার প্রকাশিত গল্প নিয়ে হাজির হয়, উদ্ধৃতাংশে সেই ঘটনার কথাই বলা হয়েছে।
২.২ ‘ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে। – কোন্ কথাটা ছড়িয়ে পড়ে?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের লেখা পড়ে সবাই প্রশংসা করলে তপনের লেখক ছোট মেসো জানান যে লেখাটি কাঁচা বলে তিনি তা একটু সংশোধন করেছেন। ক্রমে এই কথাটি ছড়িয়ে পড়ে।
২.৩ ‘বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের। – কখন তপনের এমন পরিস্থিতি হয়েছিল?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার লেখা গল্পটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়ার আশায় দিন গুনছিল। এমন সময় তার মনের আশা পূর্ণ করে লেখা ছাপা পত্রিকা নিয়ে তার ছোট মাসি ও মেসো এলে আনন্দে ও উত্তেজনায় তার বুকের রক্ত চলকে ওঠে।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম–বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখ :
৩.১ ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?’ – কোন্ ঘটনাকে কেন অলৌকিক বলা হয়েছে? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার লেখা গল্প ‘প্রথম দিন’ ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়েছিল। অবশেষে তার ছোট মাসি ও তার লেখক ছোট মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার প্রকাশিত গল্প নিয়ে হাজির হয়, উদ্ধৃতাংশে সেই ঘটনার কথাই বলা হয়েছে।
তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়ে প্রকাশিত হবে এটা ছিল তার কল্পনার অতীত। পত্রিকা হাতে নিয়ে সে নিজের চোখে দেখে, লেখকসূচিতে তার নাম প্রকাশিত হয়েছে—প্রথম দিন’ (গল্প), শ্ৰতিপন কুমার রায়।সত্যিই তার গল্প ছাপা হয়েছে এবং সে লেখা হাজার হাজার পাঠকের হাতে হাতে ঘুরবে। তাই এই ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ।
৩.২ ‘যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো, তপন নিজে গিয়ে দেবে। – কখন তপন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? কেন তার এমন সিদ্ধান্ত? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন যখন বুঝতে পারে তার লেখা গল্পটা সম্পূর্ণ ছোট্মেসোর লেখনিতে পরিণত হয়েছে তখন সে এমন সিদ্ধান্ত নেয়।
তপনের লেখক ছোট মেসোর বদন্যতায় তার লেখা গল্প ‘প্রথম দিন’ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তপন তার মাকে গল্পটি পড়ে শুনাতে গিয়ে দেখে সংশোধনের নামে ছোট মেসোমশাই লেখার আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন। ছেপে আসা গল্পে তার নিজস্বতার এতটুকুও অবশিষ্ট নেই। লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে ।তাই তার এমন সিদ্ধান্ত।
৩.৩ গল্প ছেপে আসার পর যে আহ্লাদ হওয়ার কথা, সেই আহ্লাদ তপনের না হওয়ার কারণ কী? কেন দিনটি তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের হয়ে উঠল? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন যখন বুঝতে পারে তার লেখা গল্পটা সম্পূর্ণ ছোট্মেসোর লেখনিতে পরিণত হয়েছে ,ছেপে আসা গল্পে তার কৃতিত্ব এতটুকুও নেই তখন গল্প ছেপে আসার পর যে আহ্লাদ হওয়ার কথা, তা তপনের হয় না।
ছাপার অক্ষরে নিজের লেখাটি সকলের সামনে পড়তে গিয়ে তপন মনে খুব আঘাত পায়। কারণ সে বুঝতে পারে, মেসোমশাই সংশোধনের নামে পুরো লেখাটাই বদলে দিয়েছেন। সেটাকে আর নিজের বলে চিনতেই পারে না তপন। লজ্জায়, অপমানে, দুঃখে সে যেন মাটিতে মিশে যায়। নিজের গল্প পড়তে বসে, অন্যের লেখা লাইন পড়তে গিয়ে তপনের ভিতরে গ্লানিবোধ জেগে ওঠে। সে সংকল্প করে, লেখা যদি ছাপতেই হয় তাহলে পত্রিকা দফতরে নিজে গিয়ে তা দিয়ে আসবে। তার মনে হয় ঐ দিনটি যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের।
৪. কম–বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ :
‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অনুসরণে তপনের জ্ঞানচক্ষু কীভাবে উন্মীলিত হয়েছিল তা আলোচনা কর।
উত্তর : জ্ঞানচক্ষু’ কথাটির অর্থ হল অন্তদৃষ্টি বা জ্ঞানরুপ দৃষ্টি। এই গল্পে প্রাথমিকভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মোচন ঘটেছে যখন প্রথমবার সে তার লেখক ছোটোমেসোকে দেখেছে। লেখকরা যে অন্য জগতের বাসিন্দা নন, বাস্তবের চেনা মানুষদের মতই। তবে গল্পের একেবারে শেষ পর্যায়ে দেখা যায় তপন চরিত্রটির প্রকৃত জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন হয়েছে।
তপনের লেখক ছোট মেসোর বদন্যতায় তার লেখা গল্প ‘প্রথম দিন’ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তপনের লেখা পড়ে সবাই প্রশংসা করলে তপনের লেখক ছোট মেসো জানান যে লেখাটি কাঁচা বলে তিনি তা একটু সংশোধন করেছেন। কিন্তু লেখাটি সকলের সামনে পড়তে গিয়ে তপন মনে খুব আঘাত পায়। কারণ সে বুঝতে পারে, মেসোমশাই সংশোধনের নামে পুরো লেখাটাই বদলে দিয়েছেন। সেটাকে আর নিজের বলে চিনতেই পারে না তপন। লজ্জায়, অপমানে, দুঃখে সে যেন মাটিতে মিশে যায়। নিজের গল্প পড়তে বসে, অন্যের লেখা লাইন পড়তে গিয়ে তপনের ভিতরে গ্লানিবোধ জেগে ওঠে। সে সংকল্প করে, লেখা যদি ছাপতেই হয় তাহলে পত্রিকা দফতরে নিজে গিয়ে তা দিয়ে আসবে । নিজের সেই লেখাটি না ছাপলেও দুঃখ থাকবে না তার। সেখানে তপনেরই নিজস্বতা থাকবে, অন্য কেউ সেই কৃতিত্বের ভাগীদার হবে না। এভাবেই আত্মমর্যাদা ও নিজের লেখার প্রতি অধিকারবোধ তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষ ঘটিয়েছে। তাই বলা যায়, গল্পের ‘জ্ঞানচক্ষু নামকরণটি যথাযথ হয়েছে।
Click Here To Download The Pdf
Click here For Class 10 Physical Science
Also Click Here For Class 10 Life Science