Model Activity task 2021(August)
Class 7 Geography ( Part-5)
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট
সপ্তম শ্রেণী |পরিবেশ ও ভুগোল |( পার্ট -৫)
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো:
১.১) ভূভাগ ভাঁজ খেয়ে উপরের দিকে উঠে যে পর্বত সৃষ্টি করে তার উদাহরণ হলো
ক) সাতপুরা
খ) ভোজ
গ) কিলিমাঞ্জারো
ঘ) হিমালয়
১.২) ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো
ক) নদীর উচ্চপ্রবাহ – ভূমির ঢাল কম
খ) নদীর উচ্চপ্রবাহ – নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়
গ) নদীর নিম্নপ্রবাহ – ভূমির ঢাল বেশি
ঘ) নদীর নিম্নপ্রবাহ নদীর প্রধান কাজ বহন
১.৩) আফ্রিকা মহাদেশের মাঝ বরাবর পূর্ব–পশ্চিমে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখাটি হলো–
ক) কর্কটক্রান্তি রেখা
খ) মকরক্রান্তি রেখা
গ) মূলমধ্যরেখা
ঘ) বিষুবরেখা
২. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখো:
২.১) ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির একটি উদাহরণ হলো ছোটনাগপুর মালভূমি।( ঠিক)
২.২) শীতল ও শুষ্ক জলবায়ুতে মাটি সৃষ্টি হতে বেশি সময় লাগে। ( ঠিক)
২.৩) জুলাই মাসে উত্তর আফ্রিকায় যখন গ্রীষ্মকাল, দক্ষিণ আফ্রিকায় তখন শীতকাল। ( ভুল)
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
৩.১) সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কীভাবে আমাদের দেশের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে?
উত্তরঃ ভারতের সমগ্র উত্তরভাগ জুড়ে বিস্তৃত থাকা হিমালয় পর্বতশ্রেণীর ভারতের জলবায়ুর ওপর অসাধারন প্রভাব রয়েছে। যেমন–
১) উত্তরের তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা করা: হিমালয় পর্বতের অবস্থান ভারতীয় উপমহাদেশকে মধ্য এশিয়ার হাড় কাঁপানো শীতের হাত থেকে রক্ষা করেছে। হিমালয় পর্বত না থাকলে ভারতেও রাশিয়া ও চীনের মতো তীব্র শীতের প্রাবল্য দেখা যেত।
২) বৃষ্টিপাতে সাহায্য করা: সমুদ্র থেকে আগত জলীয় বাষ্পপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু হিমালয় পর্বতের দক্ষিণ ঢালে বাধা পেয়ে উত্তর ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। মৌসুমি বায়ু প্রবাহের দ্বারা সংঘটিত বৃষ্টিপাতে হিমালয় পর্বতের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।
৩.২) মাটির দানার আকারের উপর ভিত্তি করে মাটির শ্রেণিবিভাগ কর। প্রতিটি শ্রেণির একটি করে বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তরঃ মাটির দানার আকারের উপর ভিত্তি করে মাটিকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথা-
১) বেলে মাটিঃ– এই মাটির দানাগুলি বেশ বড়।বেলে মাটিতে বালির ভাগ বেশি হওয়ায় জল ধরে রাখতে পারে না। গাঙ্গেয় উপত্যকার পশ্চিমাংশে বেলে মাটি দেখা যায়। এই মাটিতে তরমুজ ফুটি সুপারি প্রভৃতি ফসল চাষ হয়।
২) এঁটেল মাটিঃ– এই মাটির দানার আকার তুলনায় সবথেকে ছোট ।কাদার ভাগ বেশি থাকায় এঁটেল মাটি জল ধরে রাখতে পারে। গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে ও নিম্ন উপত্যকায় দেখতে পাওয়া এই মাটিতে ধান পাট তৈলবীজ খুব ভালো চাষ হয়।
৩) দোআঁশ মাটিঃ– দোআঁশ মাটিতে বালি ও কাদা প্রায় সম পরিমাণে থাকে। ভারতের পাঞ্জাব, বিহার, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের যেসব পলিমাটি অঞ্চল গুলি রয়েছে সেসব জায়গাতে দোআঁশ মাটি দেখতে পাওয়া যায়। এই মাটিতে ধান গম যব নানারকম শাকসবজি চা-কফি বিভিন্ন ধরনের ফসল প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়।
৪. আফ্রিকা মহাদেশের নিরক্ষীয় অঞল ও ভূমধ্যসাগর সন্নিহিত অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কীভাবে জলবায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ নিরক্ষীয় চিরসবুজ গাছের অরণ্য: নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে সারাবছর গরম (২৭°সে.), এবং বৃষ্টির পরিমাণ ২০০-২৫০ সেমি.। সরাসরি সূর্যকিরণ আর সারা বছর বৃষ্টিতে এখানে শক্ত কাঠের ঘন জঙ্গল সৃষ্টি হয়েছে। মেহগনি, রোজউড, এবনি এই ঘন জঙ্গলের প্রধান গাছ। পাতা ঝরানোর নির্দিষ্ট ঋতু না থাকায় গাছগুলো সারাবছর সবুজ দেখায়। তাই এর নাম চিরসবুজ গাছের অরণ্য।
ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদ: আফ্রিকার একেবারে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়। এই জলবায়ু অঞলে শীতকালে বৃষ্টি হয়। সারা বছরে ৫০-১০০ সেমি. বৃষ্টি হয়।গরমকাল বৃষ্টিহীন থাকে। পাতায় নরম মোমের আস্তরণ দেখা যায়। জলপাই, ওক, আখরোট, ডুমুর, কর্ক গাছগুলো এখানে জন্মায়। গরমকালে জলের সন্ধানে গাছের মূলগুলো অনেক গভীরে চলে যায়। কমলালেবু, আঙুর এইসব ফলের বাগান খুব চোখে পড়ে।
Click Here To Download The Pdf