Sunday, December 22, 2024
HomeModel ActivityClass 7Model Activity task 2021(August) Class 7 Bengali ( Part-5) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক...

Model Activity task 2021(August) Class 7 Bengali ( Part-5) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট সপ্তম শ্রেণী বাংলা ( পার্ট -৫)

Model Activity task 2021(August)

Class 7 Bengali ( Part-5)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট

সপ্তম শ্রেণী বাংলা ( পার্ট -৫)

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

১. ‘তুমি কেন এত তাড়াতাড়ি করছো ?’ – এর উত্তরে পৃথিবী লেখককে কী জানিয়েছিল?

উত্তরঃ শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কার দৌড় কদ্দুর’ রচনায় লেখক পৃথিবীকে হনহন করে ছুটে চলতে দেখে প্রশ্ন করেন যে পৃথিবীর এত তাড়া কেন। এর উত্তরে পৃথিবী দখিনা হাওয়ার মুখ দিয়ে লেখকের কানে এসে বলে গেলেন,  থামা মানে জীবন শেষ। তাই যতদিন আছে দাঁড়িয়ে পড়লে চলবে না, শাশ্বত সত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গতি বন্ধ করলেও চলবে না। তাহলে গতির অভাবে স্তব্ধ হয়ে পড়বে জীবনের গতি।

২. ‘এই দেখ ভরা সব কিলবিল লেখাতে। – বক্তার নোটবুকের কিলবিল লেখাতে কোন্ কোন্ প্রসঙ্গ রয়েছে?

উত্তরঃ বাংলা শিশু ও কিশোর সাহিত্যের অন্যতম স্রষ্টা সুকুমার রায়ের লেখা ‘নোটবই’ কবিতায় কবি ভালো কথা শুনেই তা চটপট নোটবুকে লিখে নেন। তার নোটবইয়ে লেখা মজার তথ্যগুলি হল ফড়িঙ্গের কটি পা, আরশোলা কি কি খায়, আঠা কেন চটচট করে, গোরুকে কাতুকাতু দিলে কেন সে ছটফট করে,কান কেন কটকট করে ও ফোঁড়া কেন টনটনায় সেটাও সে জেনে নিয়ে লিখে নেবে।

৩. ‘পুরন্দর চৌধুরী দারুণ খুশি হয়ে উঠেছিলেন। – তিনি দারুণ খুশি হয়ে উঠেছিলেন কেন?

উত্তরঃআবহাওয়া বিষয়ে আলোচনার জন্য বোস্টন শহরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে আসেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী। সেই সভায় কারপভ নামে এক বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরীকে মেঘ চোর বললে তিনি উত্তেজনায় অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে জ্ঞান ফিরলে দেখেন একটি সুন্দরী মেয়ে তার সেবা-শুশ্রূষা করছেন। পরে জানতে পারেন যে সেই মেয়েটি তার ২৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ভাই দিকবিজয়ের কন্যা অসীমা। বিদেশে এসে এমন ভাবে একজন রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়কে খুঁজে পেয়ে পুরন্দর চৌধুরী দারুণ খুশি হয়ে উঠেছিল

৪. ‘একদিন ঘটেছিলো একটি ঘটনা। — সেই ঘটনার বিবরণ রামকুমার চট্টোপাধ্যায় ‘কাজী নজরুলের গান শীর্ষক রচনাংশে কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন?

উত্তরঃ এখানে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর ছোটবেলাকার এক ঘটনার কথা বলেছেন। একদিন স্কুলে যাবার পথে একটি জমায়েত দেখে কৌতূহলবশত কি হয়েছে জানতে গিয়ে তিনি শুনতে পান যে সেখানে নেতাজি বক্তৃতা দেবেন। আর কাজী নজরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এই দুই প্রিয় মানুষকে কাছ থেকে দেখার লোভ তিনি ছাড়তে পারলেন না। লেখক সেইদিন আর স্কুলে না গিয়ে সেইখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে ছিলেন। নজরুল গান গাইলেন এবং নেতাজি বক্তৃতা দিলেন। নজরুলের গান শুনে সকলেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই দিনের সেই গান বক্তৃতা শুনে লেখক তার উত্তেজনাকে সামাল দেওয়ার জন্য বাড়ি ফিরে তার প্রিয় তবলার বোলে ডুবে গিয়েছিলেন। জীবনে প্রথমবার নজরুলকে দেখার ঘটনা অমূল্য হয়ে রয়েছে।

৫. ‘মূঢ় ওরা, ব্যর্থ মনস্কাম!’ —“স্মৃতিচিহ্ন কবিতায় কবি কাদের, কেন ‘মূঢ় এবং ‘ব্যর্থ মনস্কাম বলেছেন?

উত্তরঃ উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহিলা কবি কামিনী রায়ের লেখা স্মৃতিচিহ্ন কবিতায় যারা ভেবেছিল তাদের নাম বিশাল অক্ষরে ইট-পাথরের সৌধের এর মধ্যে চিরদিনের জন্য লেখা থাকবে তাদেরকেই কবি মূঢ় এবং ব্যর্থ মনস্কাম বলেছেন।

সমাজে একদল লোভী ও আত্মস্বার্থসর্বস্ব  মানুষ নিজেদের নাম কে চিরকাল ব্যাপী স্বর্নাক্ষরে খোদাই করে রাখতে চায়। কিন্তু এরা জানে না যে সমাজ ও মানুষের মঙ্গল সাধন করলেই যুগযুগান্তর ধরে মানুষের স্মৃতিতে তারা অমলিন হয়ে থাকবে। তাই তাদের মূঢ় বলেছেন। এরা নিজেদের নামকে অক্ষুন্ন রাখতে ইট কাঠ পাথরের স্মৃতিসৌধে নাম খোদাই করে  রেখেছিল।কিন্তু মহাকালের অমোঘ নিয়মে তা ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। তাই বলা হয়েছে তাদের মনস্কাম ব্যর্থ।

৬. ‘ঠাকুমা গল্প শোনায় যে নাতনিকে – ঠাকুমা তার নাতনিকে কোন্ গল্প শোনান?

উত্তরঃ উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের রচিত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে। ১৩৫০ সালে দুর্ভিক্ষের দিন মানুষের কি অসহায় অবস্থা হয়েছিল সেই গল্পের কথা বলা হয়েছে। সেই কঠিন অন্নাভাবের সময় গ্রামের দরিদ্র মানুষ সামান্য খাবারের সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার সাক্ষী বৃদ্ধ ঠাকুমা তাদের সেই দুর্ভিক্ষপীড়িত গ্রামের মাটির কুটিরের দাওয়ায় বসে তার নাতনীকে সেই অকালের সময়ের গল্প শোনাচ্ছিলেন।

৭. ‘কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে পত্রলেখক তার কলকাতা শহরকে অপছন্দের কোন্ যুক্তি দিয়েছেন?

উত্তরঃ উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “ভানুসিংহের পত্রাবলী” কবিতাটি থেকে।

কবির চোখে কলকাতা শহর টা হল ইট কাঠ পাথরের কংক্রিট। আকাশটা সব সময় ধোঁয়ার মেঘে ঢাকা। কলকাতার বর্ষার মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই। শান্তিনিকেতনের মাঠে বৃষ্টির আগমনে যে সবুজের মেলা দেখা যায় তা কলকাতার বৃষ্টিতে আশা করা বৃথা। এখানে বৃষ্টি যেন বাড়ির ছাদে ঠোক্কর খেতে খেতে তার গতি হারিয়ে ফেলে। এখানে সবকিছু একঘেয়েমি। তাই কবি কলকাতা শহরকে পছন্দ করে না।

 Click Here To Download  The Pdf

RELATED POSTS

8 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!