আর্শীবাদ
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
১.১ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত?
উত্তর। রূপকথা, উপকথা এবং লোককথার গল্প দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত।
১.২ তিনি শিশুসাহিত্যের কোন্ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন?
উত্তর। তিনি বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে ভুবনেশ্বরী পদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয়?
উত্তর। বন্যা হলে প্রকৃতির চারিদিকে জলে ডুবে যায়।
২.২ পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?
উত্তর। বন্যার সময় পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছিল।
২.৩ বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন?
উত্তর। বৃষ্টির সময় বাতাস ও জলের প্রবল ঝাপটায় গাছের পাতারা নিজেদের সামলাতে না পেরে কাঁপছিল।
২৪ পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল?
উত্তর। নিজেকে বাঁচাবার জন্য পিঁপড়ে ঘাসের পাতার শিরা আঁকড়ে ধরে ঝুলে থাকল।
২.৫ পিঁপড়ে কখন “বাপ। বাঁচলেম” বলে উঠল?
উত্তর। বৃষ্টি একটু কমলে ঘাসের পাতা সোজা হয়ে দাঁড়ালে তখন পিঁপড়ে “বাপ বাঁচলেম” বলে উঠল।
২.৬ জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল?
উত্তর। খলখল শব্দ করে জল হেসে উঠেছিল।
২.৭ বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের।” কেন এমন হল?
উত্তর। পিঁপড়ে যখন বৃষ্টির কাছ থেকে শুনল যে শরৎকাল এলে ঘাস থেকেই কাশফুল ফোটে তখন পিঁপড়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে করল এবং তার বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।
২.৮ “শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে পরুক।“—কে এমনটি কামনা করেছিল?
উত্তর। শরতের আকাশে মেঘ কেটে গেলে সূর্য কামনা করেছিল যেন শরতের আশীর্বাদ সকলের উপর ঝরে পড়ে।
৩। নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখো :
৩.১ বর্ষা খুব নেমেছে।
(অসমাপিকা ক্রিয়া)
৩.২ ভাই, জোরে আঁকড়ে ধরো।
(অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৩ এক টোক জল খেয়ে পিঁপড়ে আর কিছু বলতে পারলে না।
(অসমাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৪ বৃষ্টির ফোঁটার ঘায়ে পাতাটা বোধ হয় এলিয়ে পড়বে জলে।
(সমাপিকা ক্রিয়া) (অসমাপিকা ক্রিয়া) (সমাপিকা ক্রিয়া)
৩.৫ শিউরে পাতা বললে–ভাই। তেমন কথা বোলো না।
(সমাপিকা ক্রিয়া)
8. সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করো :
৪.১ সারা দিনরাত খাটি। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.২ আমরা যাই, আসি, দেখি। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.৩ ঘাসের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। (অকর্মক ক্রিয়া)
৪.৪ এ জল কী করে পার হব? (সকর্মক ক্রিয়া)
৪.৫ পৃথিবী তোমার হবে। (সকর্মক ক্রিয়া)
৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : নিশ্বাস, বৃষ্টি, নিশ্চয়, আশীর্বাদ।
উত্তর। নিশ্বাস নিঃ + শ্বাস।
বৃষ্টি–বৃষ্ + তি।
নিশ্চয়—নিঃ + চয়।
আশীর্বাদ—আশিঃ + বাদ।
৬. নীচের শব্দগুলি থেকে উপসর্গ পৃথক করো এবং তা দিয়ে দুটি নতুন শব্দ তৈরি করো :
বিদেশ, দুর্ভাগ্য, অনাবৃষ্টি, সুদিন, নির্ভয়।
বিদেশ = বি + দেশ =
বি= বি + কার = বিকার, বি=বি + চার = বিচার
দুর্ভাগ্য = দুঃ + ভাগ্য
দুঃ= দুঃ+ আচার= দুরাচার, দুঃ + শাসন = দুঃশাসন
অনাবৃষ্টি =অনা + বৃষ্টি
অনা= অনা +আচার = অনাচার, অন্য + আবশ্য = অনাবশ্যক
সুদিন = সুদিন = সু + দিন
সু = সু + বিচার = সুবিচার, সু + সময় =সুসময়
নির্ভয় =নিঃ + ভয়
নিঃ= নিঃ + আকার = নিরাকার, নিঃ + বিচার নির্বিচার
৭. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখো :
অপ্রিয়, শরীর, শরৎ, মুখ, ফুল
বিশেষ্য |
বিশেষণ |
আশ্রয় |
আশ্রিত |
শরৎ |
শারদীয় |
ফুল |
ফুলের |
শরীর |
শারীরিক |
মুখ |
মৌখিক |
৮. চোখ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনা করো :
উত্তর। চোখ–চক্ষু—চোখ দিয়ে আমরা সবকিছু দেখতে পাই।
চোখ–নজরে রাখা— শিশুটিকে চোখে চোখে রেখো, ও খুব দুরন্ত।
৯. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধের অংশ ভাগ করে দেখাও :
উত্তরঃ
উদ্দেশ্য |
বিধেয় |
|
৯.১ |
আমরা |
সাঁতার জানি। |
৯.২ |
বর্ষাতেও পিঁপড়ের মুখ |
শুকিয়ে গেল। |
৯.৩ |
আমরা ( উহ্য) |
শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে। |
৯.৪ |
জল |
খলখল করে হেসে উঠল। |
৯.৫ |
পৃথিবী |
সবারই হোক। |
১০, নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
১০.১ আমরা সাঁতার জানি। আমরা হাঁটতে জানি। (এবং দিয়ে দুটি বাক্যকে যুক্ত করো)
উঃ আমরা সাঁতার এবং হাঁটা দুটোই জানি।
১০.২ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো, ফুলটুল ফোটাও। ( দুটি বাক্যে ভেঙ্গে লেখো)
উঃতোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো। তোমরা ফুলটুল ফোটাও।
১০,৩ বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও বান ডেকেছে।( যখন, তখন দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)
উঃযখন বর্ষা খুব নেমেছে তখন নীচেও বান ডেকেছে।
১০,৪ আমরা নড়তেও পারিনে কিন্তু কোনোরকমে শুড়–টুড় বাড়াই।( কিন্তু অব্যয় দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)
উঃআমরা নড়তেও পারিনে। কোনোরকমে শুড়–টুড় বাড়াই।
১০.৫ এক ঢোক জল খেল এবং পিপড়ে কিছু বলতে পারলে না।( এবং অব্যয়টি তুলে বাক্য দুটিকে যুক্ত করে লেখ)
উঃএক ঢোক জল খেয়ে পিপড়ে কিছু বলতে পারলে না।
১১. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১ পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখ।
উত্তর। আমাদের পাঠ্যাংশে বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর প্রসঙ্গ আছে।
বর্ষা ঋতুর উদাহরণ : বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। জলে দেশ থই থই করছে।
শরৎ ঋতুর উদাহরণ : শরতে চেয়ে দেখি, তারাই কাশবন হয়ে হাসছে।
১১.২ পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে?
উত্তর। পাতা গাছের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। সূর্যের আলোকে ধরে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি হয় গাছের পাতায়। এছাড়া গাছের পাতার সাহায্যে গাছ প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস নেয় ও ছাড়ে।
১১.৩ পিপড়েৰ বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর। পিপড়ের বাসস্থান মাটির নীচে গর্তের মধ্যে। তার বাসায় সে সারাদিন ধরে সংগ্রহ করে আনা খাদ্য সংগ্রহ করে রাখে। তার মনে হয় মাটির উপরের পৃথিবীটা সবার আর মাটির নীচের কুঠূরি হল তার বাসস্থান।
১১.৪ বৃষ্টি পাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে?
উত্তর। বৃষ্টির কাছে পাতা হল বন্ধু। তাই বৃষ্টি পাতাকে তার সবুজ বন্ধু বলে ডেকেছে।
১১.৫ সবার কথা শুনে পিপড়ে কী ভাবল ?
উত্তর। পিঁপড়ে ভাবত সে বুঝি কেবল মাটির নীচের গর্তেই আশ্রয় নেবে, আর গাছেরা মাটির উপর ফুল ফল ফলাবে। কিন্তু সবার কথা শুনে সে বুঝল পৃথিবীতে সবার সমান অধিকার। মাটির উপরে ঘুরে বেড়াতে পারবে সে, পৃথিবীটা তার নিজের ও।
১১.৬ প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে ?
উত্তর। বর্ষাকালের শেষে আসে শরত। তখন সুর্যের আলোয় বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া মাটি শুকিয়ে যায়। নতুন জল পেয়ে ঘাসেরা কাশফুল ফোটায়। পিঁপড়ে নির্ভাবনায় মাটিতে ঘুরে বেড়ায়। এভাবেই শরৎকালে প্রকৃতির আশীর্বাদ সবার উপরে ঝরে পড়ে।
১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ :
১২.১। বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখ।
উত্তর। বর্ষা ঋতু হল বৃষ্টির কালরে।সারাদিন ও রাত মাঝে মাঝেই বৃষ্টি পড়তে থাকে। গাছপালা জল পেয়ে সবুজ হয়ে ওঠে। রাস্তাঘাটে কাদা জমে।টগর, জুই কদম ফুলে ভরে যায় ফুলগাছ গুলি। পুকুরপাড়ে ব্যাঙ্গেরা ডাকাডাকি করতে থাকে। শুকনো পুকুরগুলি জলে ভরে ওঠে,প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে।
১২.২। পিপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন ?
উত্তর। বর্ষার ফলে সারা দেশ জলে ভরে গিয়েছিল। ফলে মাটির নীচে থাকা পিপড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সে ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
১২.৩। পাতা কেন পিপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল?
উত্তর। বর্ষার ফলে জলের স্রোত বইছিল। তাই পাতা বন্ধু পিপড়েকে জোর করে তার শরীরকে কামড়ে ধরতে বলেছিল যাতে সে স্রোতের তোড়ে ভেসে না যায়।
১২.৪ । পাতা কী বলে পিপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল? কাজে আসে না কোনোটাই‘—এখানে তার কোন কাজে না আসার আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর। পিপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে পাতা পিপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল।কিন্তু প্রয়োজনের সময় পিপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানোও কোনো কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানো সবসময় কাজে আসে না।
১২.৫। “তাই আজ বেঁচে গেলাম”—বত্তার ‘আজ বেঁচে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর। উদ্ধৃতাংশটি ‘আশীর্বাদ’ গল্পটি থেকে নেওয়া আর এখানে বক্তা হল পিঁপড়ে। সেদিনের বর্ষায় সারা পৃথিবী জলে ভরে গিয়েছিল। তখন পিপড়ে জলের তোড়ে যাতে ভেসে না যায় তাই গাছের পাতা কামড়ে ধরে ছিল। কিন্তু তাও সে এক ঢোক জল খেয়ে ফেলে। অবশেষে বৃষ্টি ধরে এলে সে সম্পুর্ণ রক্ষা পায়। তাই উপকারী ঘাসের পাতার জন্যই সে বেঁচে গিয়েছিল।
১২.৬। পিপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদ লেখ।
উত্তর। প্রকৃতিতে বর্ষা নেমেছে। দেশে বন্যা হবার ফলে সারা দেশে জল থই থই করছে। নিরাশ্রয় পিপড়ে প্রাণ বাঁচাবার তাগিদে একটি ঘাসের পাতাকে অবলম্বন করেছে। হাওয়ার দোলায় দুর্বল ঘাসের পাতা কাপছে। পিপড়ে ঘাসের শিরাটাকে জোরে কামড়ে ধরে আত্মরক্ষার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সে পিঁপড়েকে জানায় যে পিপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণ নেই ।কিন্তু প্রয়োজনের সময় পিপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানোও কোনো কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানো সবসময় কাজে আসে না।
আবার ঘাস তো চলাফেরা করতে অক্ষম। তাই সে নড়েচড়ে বা ঝুলে বাঁচতে পারে না। বর্ষার অবসানে জল নেমে গেলে পিঁপড়ে তার জীবন রক্ষা করার জন্য পাতাকে ধন্যবাদ জানায়। পাতা যেহেতু স্থির, সে চলাফেরা করতে পারে না। তাই তাকে রৌদ্রে পুড়ে শুকিয়ে ধুলোয় পরিণত হতে হয়। আবার বর্ষাকালে বৃষ্টির জল পেলে তারা নতুন জীবন লাভ করে। কোনো কিছুতেই তার কোনো ভয় নেই।
১২.৭। পিপড়ের সঙ্গে গাছের কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ তৈরি কর। শ্রেণিকক্ষে অভিনয়ের আয়োজন কর।
উত্তর। শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্য নিয়ে নিজেরা কর।
১২.৮। ‘মাটি সবারই’—পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন্ সত্য ফুটে উঠেছে?
উত্তর। পাতা মনে করে পৃথিবীর মাটিতে সকলের সম অধিকার। মাটিতেই আমাদের জন্ম এবং মাটির উপর নির্ভর করেই আমরা জীবনধারণ করে থাকি। মাটিতে গর্ত করে পিঁপড়ের মতো নানা প্রানী বসবাস করে। মাটি হল প্রকৃতির সার্বজনীন দান। প্রকৃতির সম্পদে সকলের
১২.৯ মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন্ কথা শুনতে পেয়েছিল? তা শুনে বৃষ্টি পিপড়েকে কী বলল?
উত্তর। বৃষ্টি মেঘের আড়ালে অবস্থান করে পাতা ও পিপড়ের কথাবার্তা মন দিয়ে শুনছিল। পিঁপড়ে ও ঘাস নিজের নিজের দুঃখের কথা আলোচনা করছিল। পিঁপড়ের মনে হয় সে হাঁটতে, দৌড়াতে ও জিমনাস্টিক জানলেও বিপদের সময় কিছুই কাজে আসে না। কিন্তু ঘাস চলতেও পারে না। তাই সে বন্যায় ডোবে, রোদে শুকিয়ে যায়। তবে আবার বৃষ্টির জল পেলে সে জীবন লাভ করে। তাই সে ভয় পায় না।
উভয়ের কথাবার্তা শোনার পর বৃষ্টি পিপড়েকে ঘাসের মতো নির্ভীক হতে বলেছিল।
১২.১০। শরৎ ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে বিষয়ে একটা অনুচ্ছেদ রচনা কর।
উত্তর। তোমার রচনা বই দেখে শরৎকালের রচনাটি লেখ।
১২.১১। পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতা কে কীভাবে পিপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিল—তা আলোচনা কর।
উত্তর। ঘাসের পাতা এবং বৃষ্টির জল প্রকৃতপক্ষে পিঁপড়ের বন্ধু ছিল। তাই তারা তাদের মত করে পিপড়ের মনে সাহস জোগান দিয়েছিল। পাতা পিপড়েকে বলেছিল বাঁচার তাগিদে তাকে শক্ত করে কামড়ে ধরতে।
বৃষ্টির জল পিপড়েকে সবসময় সাহস দিয়েছিল এই বলে যে সে যেন কোন অবস্থাতেই বিপদ পড়লে ভয় না পায়। কারণ ভয় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
Click Here To Download The Pdf
Excellent 👍👍👌
Congratulations 🎉👏
Good job 👍👍
Thank you 😊😊
Wow