মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ জুলাই
সপ্তম শ্রেণী
ভুগোল (Part-4)
১ বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো
১.১ সূর্যের উত্তরায়নের সময়কাল—
ক) ২১ শে জুন থেকে ২২ শে সেপ্টেম্বর
খ) ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২১ শে মার্চ
গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন
ঘ) ২১ শে মার্চ থেকে ২৩ শে সেপ্টেম্বর
১.২ কোনো মানচিত্রে সমচাপরেখাগুলি খুব কাছাকাছি অবস্থান করলে সেখানে—
ক) বায়ুর চাপ বেশি হয়
খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়
গ) বায়ুর চাপ কম হয়
ঘ) বায়ুর চাপের পার্থক্য কম হয়
১.৩ টোকিও-ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলে উন্নতির অন্যতম প্রধান কারন হল—
ক) খনিজ ও শক্তি সম্পদের সহজলভ্যতা
খ) স্বল্প জনঘনত্ব
গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম
ঘ) সমুদ্র থেকে দুরবর্তী স্থানে অবস্থান
২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শুন্যস্থান পুরন করো
২.১ নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অক্ষরেখার পরিধি ক্রমশ কমতে থাকে।
২.২ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে বায়ুর চাপ বৃদ্ধি পায়।
২.৩ এশিয়া মহাদেশের একটি উত্তরবাহিনী নদী হল ওব নদী
৩ সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
৩.১ কোন তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় ও কেন ?
উঃ২১ শে জুন তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় ।
২১ শে জুন পৃথিবী নিজের কক্ষপথে এমন একটা জায়গায় আসে যে উত্তর গোলার্ধে কর্কট রেখার ( ২৩ ১/২ উত্তর অক্ষরেখা) উপর লম্বভাবে সূর্যরশ্মি পড়ে। এই দিন উত্তর গোলার্ধে দিন সব থেকে বড় আর দক্ষিণ গোলার্ধে সবথেকে ছোট হয়। সুমেরুবৃত্তে ২৪ ঘণ্টাই সূর্যকে দেখা যায় আর কুমেরু বৃত্তে ২৪ ঘণ্টাই অন্ধকার থাকে। তাই ২১শে জুলাই দিনটিকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয়।
৩.২ মেরু অঞ্ছল ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য কীভাবে দুই অঞ্চলের বায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রন করে তা ব্যাখা কর
উঃ বায়ুর উষ্ণতার পরিবর্তন হলে বায়ুর আয়তন ও ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। উষ্ণ বায়ু হালকা হয়ে প্রসারিত হয় এবং ওপরে উঠে যায়। বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় অর্থাৎ নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অনুর সংখ্যাও কমে যায় অর্থাৎ বায়ুর চাপও কমে যায়। তাই উষ্ণ নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়। আবার বায়ু শীতল হলে সংকুচিত হয় এবং বায়ুর ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই বায়ুর চাপ বেড়ে যায়। এ কারনেই শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি হয়।
৪ এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় ও উষ্ণ মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদের চরিত্রকে কীভবে প্রভাবিত করে তা আলোচনা করো।
উঃ এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছরে সূর্যের রস্মি লম্বভাবে পড়ে ফলে সারা বছরই গড় উষ্ণতা থাকে ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া প্রতিদিনই বিকালে পরিচলন বৃষ্টি হয় ও বার্ষিক বৃষ্টির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ সেমি। উষ্ণতা বেশি ও বেশি বৃষ্টিপাতের জন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে চিরহরিৎ উদ্ভিদের ঘন বনভূমি দেখা যায়। শীতকালেও এই উদ্ভিদের পাতা ঝরে না। এই বৃষ্টি অরন্যের গাছগুলি হল – মেহগনি, সেগুন, আব্লুশ, রবার, কোকো, সিঙ্কোনা, আয়রন উড, রোজ উড
এশিয়ার উষ্ণ মরু অঞ্চলে সারাবছরই উষ্ণতা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণও খুব কম। তাই এই মরুভুমি অঞ্চলে সাধারণত কাটাজাতীয় গাছ জন্মায়, যেমন- বাবলা, ফণীমনসা, খেজুর ইত্যাদি। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে গাছগুলির কাণ্ড ও পাতা মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় গাছের জল বেরিয়ে না যায় এবং গাছগুলির শিকড় অনেকদূর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে।
Click Here To Download The PDF