মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
বাংলা
অষ্টম শ্রেণী
দ্বীতিয় ভাগ
১।সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ।
১.১ সেলুকাস ছিলেন – (গ্রীক সেনাপতি/ গ্রীক সম্রাট/ মুর সেনাপতি/আরব সেনাপতি)।
উ:-গ্রীক সেনাপতি।
১.২ তোতাই এর চাই -( একটি সবুজ টিয়া/ সবুজ চারাগাছ/ সবুজ জামা/ চশমা)।
উ: সবুজ জামা।
১.৩বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী পংক্তিটির রচয়িতা -( মাইকেল মধুসূদন দত্ত/ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর/ ভারতচন্দ্র রায়/গৌরদাস বসাক)।
উ: ভারতচন্দ্র রায়।
১.৪. মুর সেনাপতি শব্দের দল সংখ্যা – (২/ ৩/ ৫/ ৬)
উ:৫।
১.৫. আলেম শব্দের অর্থ– (প্রবর্তক/ সর্বজ্ঞ /অভিযাত্রী /সহযাত্রী)।
উ:সর্বজ্ঞ।
2। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
২.১। “সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি“- কবির মতে সুখ লাভের উপায়টি কি?
উঃ উদ্ধৃতিতে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বোঝাপড়া” কবিতা থেকে।
এই পৃথিবীতে বহু চরিত্রের মানুষের সমাবেশ।কেউ কারোর মতো নয়। হয়তো একজন যার কারনে কষ্টে ভুগছে সেই হয়তো অপর কারোর দুঃখের কারন। আসলে মানুষ স্বার্থপরের মতো নিজের দুঃখ কষ্ট নিয়ে এতটাই মগ্ন যে অপরের বেদনায় তার আর প্রান কাদে না। কিন্তু কষ্ট – পীরিত একজন যদি অপরজনের প্রতি স্বান্তনার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে দুঃখ ভাগ হয়ে যায়। স্বার্থ ত্যাগ করে ভালোবাসার, সহানুভুতির হাত বাড়ালে অনেক্ টা সুখ পাওয়া যায়।
২.২।“বন্ধুভাবে উভয় সেনাপতির কথোপকথন হইতে লাগিল“-এই কথোপকথন গল্পের ঘটনাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে?
উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত “অদ্ভুত আতিথেয়তা” গল্পে কথোপকথনে রত মূর সেনাপতি ও আরব সেনাপতির কথা বলা হয়েছে।
আরব সেনাপতি ও মুর সেনাপতি একে অপরের পরিচয় না জেনেই আলোচনা শুরু করেন। উভয়ের কথোপকথনের মাধ্যমে নিজেদের পূর্বপুরুষের পরাক্রম যুদ্ধ কৌশলের নানা কথা উঠে আসে। এই কথোপকথনের মাধ্যমে আরব সেনাপতি বুঝতে পারেন যে মূর সেনাপতি তার পিতার হত্যা করেছেন। কিন্তু এখন মুর সেনাপতি তার অতিথি, তাই তিনি অতিথির কোন ক্ষতি করবেন না।
যার দ্বারা প্রমাণিত হয় আরব সেনাপতি আতিথিয়তা বোধে পৃথিবীর অন্যান্য জাতি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। তারা মনের রুদ্ধ ভাব কখনো অতিথির কাছে প্রকাশ করেন না। তাদের শত্রুতার মধ্যেও পরম মিত্রতার ভাব ফুটে ওঠে, আর লেখক আমাদেরও এই ভাবনায় উদ্দীপ্ত হতে বলেছেন।
২.৩। মহাভারতের কোন চরিত্র কেন অপুর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?
উঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “পথের পাঁচালী” উপন্যাসে মহাভারতের সমস্ত চরিত্রের মধ্যে কর্ণের চরিত্রটি অপুর সবচেয়ে ভালো লাগতো।
অপুর মনে হতো কর্ন মহাবীর হয়েও চিরকাল কৃপার পাত্র। যুদ্ধক্ষেত্রে যখন কর্ণের রথের চাকা মাটিতে বসে যায় সেই অবস্থায় নিরস্ত্র অসহায় কর্ণকে অর্জুন বান নিক্ষেপ করে হত্যা করে। কর্ণের অসহায় ভাবে মৃত্যুবরণের ঘটনা শিশু মনকে বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তুলতো।
তার মনে হয় অসহায় কর্ণ এখনো রথের চাকা তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। অর্জুন বীর, সে রাজ্য পেল, মান পেল কিন্তু কর্ণ এত বড় বীর হয়েও অসহায় সে মান পাইনি। নিজের অজান্তেই অপু কর্ণকে হৃদয় বীরের সিংহাসনে বসিয়েছে। অপুর মতে কর্ণ পরাজিত নায়ক হলেও আদর্শবান তাই মহাভারতের সমস্ত চরিত্রের মধ্যে কর্ণকে অপুর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো।
২.৪। টিনের বাক্সে অপু কি কি রেখেছিল? এর মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের কোন দিক ফুটে ওঠে?
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “পথের পাঁচালী” গল্পে অপু টিনের বাক্সে একটি রং চটা কাঠের ঘোড়া, একটি টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁশি, গোটা কতক কড়ি, দুপয়সা দামের পিস্তল, কতগুলো শুকনো নাটা ফল, খান কতক খাপড়ার কুচি প্রভৃতি সম্পত্তি রেখেছিল।
টিনের বাক্সে সংগৃহীত করে রাখা সম্পত্তি গুলি থেকে তার চরিত্র সম্পর্কে এই ধারণাই উপনীত হওয়া যায় যে, অপু ছিল খুবই কল্পনাপ্রবণ, স্বপ্নবিলাসী। তার স্বপ্নগুলো তাকে জীবনের প্রতিমুহূর্তে বেঁচে থাকার জন্য ওর জীবনকে উপভোগ করার জন্য রসদ যোগাতো ।
Click here To Download The PDF
Click here To Download the Model 2 B VIII Bengali Question Paper