Saturday, December 21, 2024
HomeModel ActivityClass 8Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 8| History | Part- 8 মডেল...

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 8| History | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ অষ্টম শ্রেণী | ইতিহাস| পার্ট – ৮|

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 8| History | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

অষ্টম শ্রেণী | ইতিহাস| পার্ট – ৮|

৫০ Marks

. ‘স্তম্ভের সাথেস্তম্ভ মেলাও :

:-   

 – স্তম্ভ  – স্তম্ভ
১.১ আবওয়াব (ঘ) বেআইনি কর
১.২ সাহুকার (ক) মহাজন
১.৩ দাদন (খ) অগ্রিম অর্থ

. সঠিক তথ্যদিয়ে নীচের ছকটি পূরন কর

বিদ্রোহ এক জন নেতার নাম কারন(যেকোন একটি)
নীল বিদ্রোহ দিগম্বর বিশ্বাস জোর করে চাষিদের দিয়ে নীল চাষ করানো ও চাষীদের নায্য দাম না দিয়ে নীলকর সাহেবদের অকথ্য অত্যাচারের প্রতিবাদে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়
বারাসাত বিদ্রোহ তীতুমীর বা মীর নিশার আলি নারকেলবেড়িয়া অঞ্চলে স্থানীয় জমিদার, নীলকর ও ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ আন্দোলোন শুরু হয়
সাওতাল বিদ্রোহ সিধু সাঁওতালদের এলাকায় জমিদার, বহিরাগত মহাজন অর্থাৎ দিকুরা অত্যাচার শুরু করে ও ইংরেজ কর্মচারিরা জোর করে রেললাইন তৈরির কাজে তাদের কম পারিশ্রমিকে নিযুক্ত করে অত্যাচার করত।
মুন্ডা বিদ্রোহ বিরসা মুন্ডা মুন্ডাদের জমি ধীরে ধীরে বহিরাগতদের হাতে চলে যায় এবং জমিদার, মহাজন, খ্রিস্টান মিশনারি ও ঔপনিবেশিক শাশকদের হাতে তাদের সংস্কৃতি বিনষ্ট হতে থাকে।

. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো:

.  ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে লর্ড নর্থব্রুক জারি করেন নাট্যভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন।

উত্তরঃ সত্য

. ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়।

উত্তরঃ সত্য

. পাঞ্জাবে লালা লাজপত রাইএর নেতৃত্বে শিবাজি উৎসব চালু হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা

. সাঁওতালরা ঔপনিবেশিক শাসকের শোষনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। 

:-  মিথ্যা

 . সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর :

. ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে _____মুর্শিদকুলি খান______ কে বাংলার নাজিম পদ দেওয়া হয় (মুর্শিদকুলি খান/সাদাৎ খান /আলিবর্দি খান) 

. ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে ______সাদাৎ খান_____ এর নেতৃত্বে অযােধ্যা এবং স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে গড়ে ওঠে (নিজামউলমুলক/সাদাৎ খান/সফদর জং)

. ১৭২৪ খ্রিষ্টাব্দে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন _____নিজামউলমুলক______ (ফররুখশিয়র / নিজামউলমুলক/সাদাৎ খান)

. ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে দেশীয় মুদ্রণ আইন জারি করেন _____লর্ড লিটন______ (লর্ড লিটন/লর্ড রিপন/লর্ড বেন্টিঙ্ক/লর্ড ক্যানিং) 

. চারপাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

. কে, কি উদ্দেশ্যে সিভিল সার্ভিস চালু করেন? 

:-   ভারতে সিভিল সার্ভিস চালু করেন লর্ড কর্ণওয়ালিশ । সিভিল সার্ভিস চালু করার পিছনে লর্ড কর্ণওয়ালিশের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনিক কাজের মানকে উন্নত ও দ্রুতগামী করা । উল্লেখ্য রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের দক্ষ করার জন্য ও সাধারণ কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ করাই ছিল উদ্দেশ্য

. ব্যাপটিস্ট মিশন শিক্ষার প্রসারে কেমন ভূমিকা পালন করেছিল? 

:-  ব্যাপটিস্ট মিশনারি ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান ও উইলিয়ম ওয়ার্ডের মিলিত প্রচেষ্টায় শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠা হয়। শিক্ষার প্রসারে ব্যাপটিস্ট মিশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই মিশনের প্রচেষ্টাতেই ১২৬টি বিদ্যালয় ও প্রায় দশ হাজার ভারতীয় ছাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষার সুযোগ পায় ।

. পন্ডিতা রমাবাঈ কেন স্মরণীয়?

উঃ- উনিশ শতকে পশ্চিম ভারতে নারীশিক্ষায় বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিলেন পণ্ডিতা রমাবাঈ। প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে শিক্ষিত ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে পণ্ডিতা রমাবাঈ সমস্ত সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে এক শুদ্রকে বিয়ে করেন। পরে বিধবা অবস্থায় নিজের মেয়েকে নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে তিনি ডাক্তারি পড়েন। বিধবাদের জন্য তিনি একটি আশ্রমও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

 ৫. ইয়ং বেঙ্গল দলের দুটি সীমাবদ্ধতার উল্লেখ কর।

উঃ- ডিরোজিও এবং তার অনুগামীদের দ্বারা পরিচালিত ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ আন্দোলনের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা ছিল-

ক)তাদের আন্দোলন ছিল শহর কেন্দ্রিক গ্রামের জনগনের সঙ্গে তাদের কোন সংযোগ ছিল না

খ) ব্রিটিশ শাসন ও শিক্ষার প্রতি তাদের অন্ধ সমর্থন ছিল।

 ৫. ইলবার্ট বিলকে নিয়ে কেন বিতর্কের সূচনা হয়েছিল?

উত্তরঃ কোনও ভারতীয় বিচারকের ইউরোপীয়দের বিচার করার অধিকার ছিল না। গভর্নর জেনারেল লর্ড রিপনের আইনসভার সদস্য সি পি বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্রে এই দূর করার চেষ্টা করেন তার প্রস্তাবিত একটি বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইউরোপীয়দের বিচার করার অধিকার দেওয়া হয় এই বিলের প্রতিবাদে ইউরোপীয়রা সংগঠিতভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। শ্বেতাঙ্গদের এই আন্দোলনের ফলে ঐ বিল প্রত্যাহার করা হয়। বিল প্রত্যাহার হলে ভারত সভার উদ্যোগে ভারতীয়রা আন্দোলন শুরু করেন। উভয়পক্ষের আন্দোলন ও পাল্টা আন্দোলন ইলবার্ট বিল বিতর্ক নামে পরিচিত। ভারত সভার আন্দোলনের জেরে করার অধিকার পতসাপেক্ষে ইউরোপীয় বিচারকদের বিচার।

 . আটদশটি বাক্যে উত্তর দাও :

. জমি জরিপ রাজস্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিল? 

:-  বক্সারের যুদ্ধের পর নায়েব নাজিম, আমিলদার ও সুপারভাইজার এসব গঠনের মাধ্যমেই কোম্পানি ভূমিরাজস্বের ভার দখল করতে থাকে । ঔপনিবেশিক শাসনের জমি জরিপ ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুল হল – পাঁচাওসালা, একসালা, দশসালা ও চিরস্থায়ে বন্দোবস্ত এবং রায়তওয়ারি ও মহলওয়ারি বন্ধবস্ত ইত্যাদি।

পাঁচসালা বন্ধোবস্ত : ভ্রাম্যমান কমিটির সুপারিশে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে পাঁচ বছরের জন্য জমিদারদের জমি বন্টন করেন, সেটাই পাঁচসালা বন্ধোবস্ত নামে পরিচিত।

একসালা বন্ধোবস্ত : পাঁচসালা বন্ধোবস্তের অসুবিধাগুলো দূর করতে আমিনি কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ওয়ারেন হেস্টিংস এক সালা বন্দোবস্ত চালু করেন।

দশসালা বন্ধোবস্ত : ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলা, বিহার ও , উড়িষ্যার জমিদারের দশ বছরের জন্য জমি দেন, এরই নাম দশ সালা বন্ধোবস্ত।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত : জামিদাররা দশ সালা বন্ধোবস্ত অনুসারে ঠিক সময় মত রাজস্ব জমা দেয় তাই রাজস্ব বাের্ডের পরামর্শে লর্ড কর্ণওয়ালিস। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের চিরদিনের জন্য নির্দিষ্ট রাজস্বের বিনিময়ে জমি বন্টন করেন, এটাই চিরস্থায়ী বন্ধোবস্ত নামে পরিচিত।

. সম্পদের বহির্গমন বলতে কী বোঝ? 

উঃ-  উপনিবেশ হিসাবে ভারতের সম্পদকে ব্রিটেনে নানা ভাবে স্থানান্তরিত করা হত। তার প্রতিদনে অবশ্য ভারতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হত না । এইভাবে দেশের সম্পদ বিদেশে চালান করাকেই ‘সম্পদের বহির্গমন বলে উল্লেখ করা হয়। সম্পদের এই বহির্গমন ভারতে ব্রিটিশ শাসনের এক লক্ষ্যনীয় বৈশিষ্ট্য।ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বরাবরি কোম্পানি অর্থাৎ ব্রিটেনের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কাজ করত। ফলে তাদের কাজের যাবতীয় উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় অর্থনীতিকে ব্রিটেনের উন্নতির কাজে ব্যবহার করা, আর তার জন্য আবশ্যক ছিল ভারতের সম্পদ ও অর্থকে ব্রিটেনে স্তানান্তরিত করা।

১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে এক ব্রিটিশ আধিকারিকের বক্তব্য থেকে জানা যায় যে ভারত থেকে বছরে ২-৩ কোটি স্টার্লিং মুল্যের সম্পদ ব্রিটেনে যেত। যদিও ভারত তার বিনিময়ে সামান্য দামের কিছু যুদ্ধের সরঞ্জাম ছাড়া কিছুই পেত না। বাস্তবে ভারত সম্পদের বহির্গমণের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ শাসন স্পঞ্জের মত কাজ করত। ভারত থেকে সম্পদ শুষে ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেওয়া হত।

 . বিশ শতকের প্রথম দিকে বাংলায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন গুপ্ত সমিতির পরিচয় দাও।

উত্তরঃ স্বদেশী আন্দোলনের শেষ দিকে বিপ্লববাদী আন্দোলনের ধারাটি বেশি করে দেখতে পাওয়া যায়। এই ধারাটির একটি প্রধান ভিত্তি ছিল বিভিন্ন সমিতিগুলি। আপাতভাবে সমিতিগুলি শরীর চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক উদ্যোগ নিত। তার মধ্য দিয়ে মূলত ছাত্র ও যুব সমাজের কাছে স্বদেশের ভাবধারা প্রচার করা হত।  অত্যাচারী ব্রিটিশ প্রশাসক ও তাদের সহযোগী দেশীয় ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে শুরু করেন বিপ্লবীরা। শুরু হয় ব্যাক্তি হত্যার রাজনীতি।

এই সময়ে বাংলায় যে সব গুপ্ত সমিতি  গড়ে উঠেছিল তা হল –

অনুশীলন সমিতিঃ অনুশীলন সমিতি ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনুশীলন তত্ত্বের আদর্শে গঠিত বাংলার একটি সশস্ত্র ব্রিটিশ-বিরোধী সংগঠন। ঢাকা ও কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে এই দলটি বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে সংগঠিত হয়। তবে কলকাতায় প্রথম অনুশীলন সমিতির আখড়াগুলি ১৯০২ সালেই শুরু হলেও পরবর্তীকালে ঢাকায় তা আরো বিস্তৃত হয়

ঢাকা অনুশীলন সমিতিঃ ১৯০৬ সালে ঢাকা সরকারি কলেজের শিক্ষক এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকা ‘ন্যাশনাল স্কুল’ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে ৮০ জন্য হিন্দু যুবক গঠন করে ঢাকা অনুশীলন সমিতি।

ময়মনসিংহ অনুশীলন সমিতি; ময়মনসিংহ অনুশীলন সমিতি গঠন করেন ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী। এই সমিতির সভ্য ছিলেন  জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার, রমেশচন্দ্র চৌধুরী, অমূল্যচন্দ্র অধিকারী, প্রমুখ।

 Click Here To Download The Pdf

RELATED POSTS

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!