Thursday, November 21, 2024
HomeModel ActivityClass 10Model Activity Task 2021 October Class 10 | History | Part 7...

Model Activity Task 2021 October Class 10 | History | Part 7 মডেল অ্যা ক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ অক্টোবর দশম শ্রেণী | ইতিহাস |পার্ট – ৭

Model Activity Task 2021 October

Class 10 | History | Part 7

মডেল অ্যা ক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ অক্টোবর

দশম শ্রেণী | ইতিহাস |পার্ট – ৭

. ‘স্তম্ভের সাথেস্তম্ভ মেলাও :

উঃ-

স্তম্ভ স্তম্ভ
১.১ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি। খ) ১৮১৭ খ্রি:
১.২ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ) ১৮৫৭ খ্রি:
১.৩ এশিয়াটিক সোসাইটি ক) ১৭৮৪ খ্রি
১.৪ বসু বিজ্ঞান মন্দির গ) ১৯১৭ খ্রি:

 

. সঠিক তথ্য দিয়ে নীচের ছকটি পূরণ করো:

উঃ-

প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য (একটি বাক্যে)
বেঙ্গল টেকনিকাল ইন্সটিটিউট তারকানাথ পালিত স্বদেশী ও বয়কট আন্দোলনের পটভূমিকায় দেশীয় উদ্যোগে কারিগরি শিক্ষা ও বিজ্ঞান চেতনার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে।
বসু বিজ্ঞান মন্দির আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণা প্রধানত, জীব এবং জড় বস্তুগুলির বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করা ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকার। বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণা ও চর্চার উদ্দেশ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জাতীয় শিক্ষা পরিষদ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। বঙ্গভঙ্গবিরোধী স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনে বিদেশি শিক্ষাকে বয়কট করে জাতীয় আদর্শে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য  জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

 

. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কেন স্মরণীয়?

উঃ- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন একাধারে বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক, অঙ্কনশিল্পী, বেহালাবাদক, সুরকার, অন্যদিকে তিনি ছিলেন একজন মুদ্রণকার। তিনি বাংলায় ‘হাফটোন’ পদ্ধতি, ‘রঙিন ব্লক’-এর সূচনা করেছিলেন এবং স্ক্রিন অ্যাডজাস্টার যন্ত্র, ডায়াফর্ম সিস্টেম প্রভৃতি ব্যবহার করে সে যুগেও রং বেরঙের ছবি ছাপার ব্যবস্থা করেন। এর ফলে মুদ্রণ শিল্পে অভূতপূর্ব উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। তাই ছাপাখানার জগতে তিনি আজও চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।

. কাকে বাংলার মুদ্রণশিল্পের জনক বলা হয় এবং কেন?

উঃ- ‘বাংলা চলনশীল’ বা ‘মুভেবল বাংলা’ হরফ নির্মাতা প্রাচ্যবাদী পণ্ডিত চার্লস উইলকিনসকে ‘বাংলার মুদ্রণশিল্পের জনক’ বলা হয়।

কারণঃ১৪৫৫ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির গুটেনবার্গ ‘চলনশীল’ বা ‘মুভেবল’ মুদ্রাক্ষর তৈরি করে ইউরোপের মুদ্রণ ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। অনুরূপভাবে, চার্লস উইলকিনসও ভারতে চলনশীল বাংলা হরফ বা মুদ্রাক্ষর তৈরি করে বাংলা ভাষার বিকাশে অনবদ্য অবদান রাখেন। তাই তাকে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়।

. সাতআটটি বাক্যে উত্তর দাও :

ছাপাবইএর সাথে শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক আলোচনা কর।

উঃ- ভূমিকা:-অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে ও উনিশ শতকের প্রথমভাগে বাংলা তথা ভারতে বহু ছাপাখানা স্থাপিত হয়।এরই ফলশ্রুতিতে শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটে। সেই দিক থেকে ছাপা বই-এর সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের সম্পর্ক ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

পাঠ্য পুস্তক:- উনিশ শতকে প্রথমে খ্রিস্টান মিশনারিদের উদ্যোগের পরে সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ছাপাখানাগুলিতে এই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় বিষয় যেমন সাহিত্য, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল প্রভৃতি ছাপা হতে থাকে। ফলে সহজে ও সুলভে সুন্দর সুন্দর ছাপা বই গ্রামগঞ্জে পৌছে যায়। মাতৃভাষায় ছাপা বই সহজলভ্য হওয়ায় বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষারও ব্যাপক বিস্তার ঘটে।

সার্বিক গণশিক্ষার বিস্তার:- শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক নয়, এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ যেমন বাইবেলের অনুবাদ, রামায়ণ, মহাভারত, হিতোপদেশ ও বিভিন্ন গবেষণাপত্র, বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্র তেমনি সমাচারদর্পণ”, “হিকি জ গেজেট’, ‘সংবাদ প্রভাকর”, “দিগদর্শন প্রভৃতি প্রকাশিত হয়। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলায় গণশিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটে।

শিশু শিক্ষার বিস্তার :- শিশু শিক্ষার বিস্তারে ছাপা বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। মুদ্রণযন্ত্রের বিস্তারের ফলে ছাপা অক্ষর, ছবি, মানচিত্র, নকশা ইত্যাদির ব্যবহার শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভে উৎসাহী করে তোলে। এক্ষেত্রে মদনমোহন তর্কালঙ্কার এর কবিতা ‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল’ আজও সমান জনপ্রিয়।

)সরকারি বেসরকারি উৎসাহ দান : ছাপাখানার প্রসারের ফলে দেশীয় ভাষায় শিক্ষাদানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগও বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ (১৮০০ খ্রিঃ), শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনারি সোসাইটি’ (১৮০০ খ্রিঃ), ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ (১৮১৭ খ্রিঃ), ‘ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি’ (১৮১৮ খ্রিঃ),ক্যালকাটা ক্রিশ্চান ট্রাস্ট অ্যান্ড বুক সোসাইটি’ (১৮২৩ খ্রিঃ), ক্যালকাটা ক্রিশ্চান স্কুলবুক সোসাইটি’ (১৮৩৯ খ্রিঃ), ‘ভার্নাকুলার লিটারেচার সোসাইটি’ (১৮৫০ খ্রিঃ) প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পুস্তক রচনা ও সরবরাহ করে শিক্ষার প্রসারে সহায়তা করে।

উপসংহার:বাংলাদেশে ছাপাখানার বিস্তারের সঙ্গে শিক্ষারও বিস্তার ঘটতে থাকে। ফলে এদেশে নবজাগরণের পথ প্রশস্ত হয়।

Click here To Download The Pdf

 

RELATED POSTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!