Model Activity Task 2021 October
Model Activity Task Part –7| Class- 7|History
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | অক্টোবর
সপ্তম শ্রেণী| ইতিহাস | পার্ট –৭
ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
উ:-
ক–স্তম্ভ |
‘খ’ স্তম্ভ |
১.১ পানিপথের প্রথম যুদ্ধ | ১৫২৬ খ্রি: |
১.২ খানুয়ার যুদ্ধ | ১৫২৭ খ্রি: |
১.৩ ঘর্ঘরার যুদ্ধ | ১৫২৯ খ্রি: |
১.৪ চৌসার যুদ্ধ | ১৫৩৯ খ্রি: |
২. শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী হিমু দিল্লি শহর _দখল করেছিলেন।
২.২ আকবর _পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে_ যুদ্ধে আফগানদের হারিয়ে দেন।
২.৩ মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায় শাহ জাহানের আমলে।
২.৪ মুঘলরা বিজাপুর ও গোলকোন্ডা দখল করে ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে।
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ ‘জাবতি’ কী?
উ:- আলাউদ্দিন খলজির আমল থেকেই রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জমি জরিপ করার বা মাপার ব্যবস্থা ছিল। পরে শেরশাহর সময়ও জমি মাপা হয়। আকবর নতুন করে জমি জরিপ করান।জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে বলা হয় ‘জাবতি’। ‘জাবত’ মানে নির্ধারণ।
৩.২ ‘মনসব’ কী?
উ:- আকবর সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করেন। মুগল সম্রাট আকবর সমগ্র সামরিক বিভাগকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন এবং তা মনসবদারি প্রথা নামে পরিচিত। প্রতিটি মনসবের অধিকারী ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং আদেশ মতো কর্মসম্পাদনে বাধ্য থাকতেন। রাষ্ট্রের সকল সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারী এই প্রথা মতে পদমর্যাদা পেতেন।
৩.৩ বারো ভূঁইয়া নামে কারা পরিচিত ছিলেন?
উ:- আকবরের ছেলে ও উত্তরসূরি জাহাঙ্গিরের সময় (১৬০৫-১৬২৭ খ্রিস্টাব্দ) বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বার বার বিদ্রোহ করেছে। এই বিদ্রোহীরা এক সঙ্গে ‘বারো ভূঁইয়া’ নামে পরিচিত ছিলেন। এদের মধ্যে প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান প্রমুখ ছিলেন উল্লেখযোগ্য।
৪. চার–পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ আবুল ফজল ও আবদুল কাদির বদাউনি কারা ছিলেন?
উ:- আবুল ফজল ও আব্দুল কাদির বদাউনি আকবরের আমলের বিখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন । আবুল ফজল আকবরের গুণাবলি সম্বন্ধেই লিখেছিলেন। কিন্তু যে কোনো সময়ের ইতিহাস জানতে হলে শুধু ভালো কথা জানলেই হয় না। সে যুগের সমস্যার কথাও জানতে হয়। এই ধরনের সমালোচনা পাওয়া যায় সে যুগের আর একজন ঐতিহাসিক আব্দুল কাদির বদাউনির (১৫৪০-১৬১৫ খ্রিঃ) লেখায়। এঁরা দুজনেই মুঘল দরবারে এসেছিলেন ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু আবুল ফজল হয়ে উঠেছিলেন আকবরের প্রিয় পাত্র। একই ঘটনার দু-ধরনের বিবরণ পাওয়া যায় এঁদের দুজনের লেখায়।
৪.২ তুমি কী মনে করো যে রাজপুত নীতির দ্বারা মুঘলরা ভারতীয় শাসকদের মুঘল প্রশাসনের অঙ্গীভূত করেছিল? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উ:- মুঘল বাদশাহ হুমায়ুন বুঝতে পেরেছিলেন যে, ভারতবর্ষের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রাজপুতদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা দরকার। কারণ তারাই ভারতবর্ষের বিশাল অঞ্চলের জমিদার।
এই ধারণা থেকেই বাদশাহ আকবর মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসেন। মুঘল বাদশাহ ও শাহজাদাদের সঙ্গে বেশ কিছু রাজপুত পরিবারের মেয়েদের বিয়েও হয়। আকবর হিন্দু পত্নীদের নিজেদের ধর্মমত পালনের অধিকার দিয়েছিলেন। তিনি হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থকর ও জিজিয়া কর তুলে দেন এবং যুদ্ধবন্দিদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করাও নিষিদ্ধ করেন। আকবরের এই উদারনীতির ফলে মুঘলরা রাজপুত বীরদের নিজেদের পাশে পেয়েছিল।
এই নীতির ফলে দেখা যায় রাজপুতরা মনে করতেন আকবর অন্যান্য মুসলিম শাসকদের তুলনায় ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তুলনামূলক বেশি উদার। রাজপুতদের প্রতি উদার নীতির কারণে এভাবেই আকবর তার গ্রেট মুঘল হিন্দুস্তান গঠনে রাজপুতদের সহশক্তি হিসেবে পাশে এই আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে কিছু মুঘল সম্রাটের রাজপুতনীতির ফলে রাজপুতরা মুঘল প্রশাসনে অঙ্গিভূত হয়েছিল।
Click here To Download The Pdf