Model Activity Task 2021 October
Model Activity Task Part –7| Class-6 | Bengali
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | অক্টোবর
ষষ্ঠ শ্রেণী| বাংলা | পার্ট –৭
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ৩x৫=১৫
১.১ কোথাও বা চাষির ঘরের বউরা করে ক্ষেত্ৰব্রত।
– ‘ক্ষেত্রব্রত’ কীভাবে পালিত হয় মরশুমের দিনে’ গদ্যাংশ অনুসরণে লেখ।
উত্তরঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘মরশুমের দিনে’ পাঠ্যাংশে চাষির ঘরের বউরা মূলত ক্ষেত্র ব্রত পালন করার জন্য বাড়ির কাছাকাছি কোন খোলা জমিকে বেছে নেয়। তারা নিজেরাই ঘট প্রতিষ্ঠা করে এবং তার গায়ে সিঁদুর-পুত্তলি এঁকে ঘটের জলে আমের পল্লব ডুবিয়ে দেয়। তাদের মধ্যে কোন বয়স্কা মহিলাকে মূলব্রতী করা হয়। এরপর ব্রতীর দল হাতে ফুল ও দূর্বা নিয়ে মূল ব্রতীর মুখ থেকে ব্রথের কথা শোনে। সন্ধেবেলায় উলু দিয়ে ব্রত শেষ হয়। তারপর মাঠে বসেই ব্রতীর দল চিঁড়ে-গুড়-মুড়ি-খই আর দই দিয়ে ফলার খায়।ক্ষেত্রব্রত পালনের দিন ভোরে ছেলে্রা জমি কর্ষণ করে বীজ ধান বপন করে এবং জল ঢালে।
১.২ ‘দিবসরাত্রি নূতন যাত্রী/নিত্য নাটের খেলা। —উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ দুঃখবাদী কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা হাট কবিতাটি একটি রূপকধর্মী কবিতা।
সপ্তাহের কোনো নির্দিষ্ট দিনে গ্রাম থেকে একটু দূরে নির্দিষ্ট জায়গায় হাট বসে। সেখানে পণ্যদ্রব্য পরখ করে কেনাবেচা চলে। হাট এখানে মানবজীবনের প্রতীক।বাস্তবের হাটের ভাঙা-গড়ার মাধ্যমে কবি মূলত মানুষের জন্মমৃত্যুর কথা বলতে চেয়েছেন।আমাদের এই জীবনে বহু মানুষের সঙ্গে পরিচিতি, যোগাযোগ, লেনদেন ঘটে। জীবন ফুরালে সবাইকে বিদায় নিতে হয় । হাটের লোকেদের মতো এই পৃথিবীর মানুষরাও কেউ জীবনে সফল হয়, কেউ-বা বিফলতার মধ্যেই জীবন শেষ করে।
১.৩ ‘মূলত জ্যামিতিক আকার – আশ্রিত বর্ণ সমাবেশেই রচিত হয় সাঁওতালি দেয়ালচিত্র। বক্তব্যটিকে ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র রচনায় লেখক কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?
উত্তরঃ তপন কর তাঁর ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র গদ্যাংশে জানিয়েছেন- সাঁওতালরা মূলত জ্যামিতিক আকার আশ্রিত বর্ণ সমাবেশেই দেয়ালচিত্র করে থাকে যাতে নানান জ্যামিতি সমান্তরাল রেখা, চতুষ্কোণ, ত্রিভুজের ছড়াছড়ি । সাধারণত ঘরের চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে থাকা মূল বেদিটি কালো রঙের হয়। তার সমান্তরালে বিঘতখানেক চওড়া গেরুয়া রঙের একটা রেখা টানা হয়। এর ওপরে সাদা, আকাশি, গেরুয়া বা হলদে রঙের রেখা দিয়ে চতুষ্কোণ বা ত্রিভুজগুলি এঁকে দেয়ালটিকে ভরাট করে তোলা হয়। সাধারণত দেয়ালচিত্রটি মাটি থেকে ছ-ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় আঁকা হয়।
১.৪ ‘..সে বাড়ির সেই মানুষদের একটি বন্ধু ফাকি দিয়ে চলে গেল সেই ঝড়ের রাতে। উদ্ধৃতিটির আলোকে ‘ফঁকি’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন কর।
উত্তরঃ রাজকিশোর পট্টনায়ক রচিত ‘ ফাকি গল্পটির প্রধান চরিত্ৰ তথা কেন্দ্রীয় বিষয় হল গোপালবাবুদের বাড়ির আমগাছটি। গোপাল বাবুর বসানো আমগাছটি ছিল তাদের বিপদ-আপদের সঙ্গী, বন্ধু এবং পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ।ফল – পাতা – কাঠ – ছায়া প্রদানকারী এই গাছটি শত আঘাত ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সদম্ভে দন্ডায়মান ছিল। কিন্তু উইপোকা তাকে কুরে কুরে খেয়ে দুর্বল করে দিয়েছে, তা পরিবারের কেউই বুঝতে পারেনি। তাই আষাঢ় মাসের রাতের এক তুমুল ঝড়ে গাছটি হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে। গাছটির সঙ্গে বাড়ির সকলের আত্মীয়তা গড়ে উঠেছিল। তাই এক ঝড়জলের রাত্রে তার মৃত্যুতে বাড়ির সকলের মনে হল এক পরম বন্ধু যেন হঠাৎ ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। সেই কারণেই বলা যায়, গল্পটির নামকরণ যথাযথ ও সুপ্রযুক্ত হয়েছে।
১.৫ ‘খলখল করে হেসে উঠল জল, ঢেউ তুলে..
—হেসে উঠে জল কী বলল?
উত্তরঃ উপরোক্ত উক্তিটি বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার এর লেখা ‘আশীর্বাদ’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে ।
তুমুল বর্ষায় বান ডেকেছে। এমন অবস্থায় একটি পিঁপড়ে জলের তোড়ে ভেসে যেতে যেতে আশ্রয় নিয়েছে একটি ঘাসের পাতার নীচে।তার কথোপকথন চলছিল ঘাসের পাতার সঙ্গে। পিঁপড়েটি প্রকৃতির ওপর অসন্তুষ্ট। সে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ভয় পায়। ঘাসের পাতাটি তাকে অভয় দিতে থাকে।সেই মুহূর্তে বয়ে চলা জলও বলে ওঠে যে, বর্ষায় সে ঘাসকে ডুবিয়ে দিলেও শরৎকালে সেই ঘাসেরাই আবার কাশফুল হয়ে ফুটে ওঠে। সব দুর্যোগই তাদের প্রাণশক্তির কাছে হার মানে।
২. নির্দেশ অনুসারে নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ নীচের শব্দবিভক্তিগুলির প্রতিটির আগে একটি করে উপযুক্ত শব্দ জুড়ে পদ বানাও :
২.১.১ দিগ :- তাহাদিগ
২.১.২ রা :- বাচ্চারা
২.১.৩ গুলি :- দিনগুলি
২.২ নীচের শব্দগুলির আগে দুটি করে উপসর্গ বসিয়ে আলাদা আলাদা শব্দ তৈরি করো :
২.২.১ দেশ :- প্রদেশ, বিদেশ
২.২.২ কাশ :- অবকাশ, বিকাশ
Click Here To download The Pdf
Thank u sir..