Model Activity Task 2021 September
Model Activity Task Part – 6 | Class- 10 |Geography
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | সেপ্টেম্বর
দশম শ্রেণী| ভুগোল | পার্ট –৬
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখোঃ
১.১ আরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি একটি ভূমিরূপ হলো –
(ক) গিরিখাত
(খ) রসে মতানে
(গ) বালিয়াড়ি
(ঘ) গৌর
১.২ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো –
(ক) উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত – নীলগিরি
(খ) দক্ষিণ ভারতের পূর্ববাহিনী নদী – নর্মদা
(গ) আন্দামান–নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ – মেহগনি
(ঘ) উত্তর-পূর্ব ভারত – কৃষ্ণ মৃত্তিকা
১.৩ ভারতের রূঢ় বলা হয় –
(ক) জামসেদপুরকে
(খ) দুর্গাপুরকে
(গ) ভিলাইকে
(ঘ) বোকারোকে
২. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক‘ এবং অসত্য হলে ‘ভুল‘ লেখো ঃ
২.১ নদীখাতে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি গর্তগুলি হলো মন্থকূপ।
উত্তরঃ সত্য
২.২ ভারতের উপকূল অঞ্চলে দিনেরবেলা স্থলবায়ু প্রবাহিত হয়।
উত্তরঃ ভুল
২.৩ শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়া চা চাষের পক্ষে আদর্শ।
উত্তরঃ ভুল
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ঃ
৩.১ ‘অক্ষাংশভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয়।‘ – ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠে যে সীমারেখার নীচে বরফ গলে যায় বা যে সীমারেখার ওপর বরফ গলে না, তাকে হিমরেখা বলে। বিভিন্ন অক্ষাংশে হিমরেখা বিভিন্ন উচ্চতায় অবস্থানের কারণে গুলি হল-
ভূপৃষ্ঠে উচ্চ অক্ষাংশে বায়ুর উষ্ণতা কমে। কারণ অক্ষাংশভেদে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য ঘটে। এই কারণে বিভিন্ন অক্ষাংশে সমুদ্র সমতলে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য লক্ষ করা যায়। উচ্চ অক্ষাংশ বিশিষ্ট অঞ্চলে হিমরেখা সমুদ্র সমতলে অবস্থান করে। কিন্তু অক্ষাংশের মান মত কমে, হিমরেখার উচ্চতা তত বৃদ্ধি পায়। তাই নিরক্ষীও অঞ্চলে হিমবাহ 5500m, হিমালয় পর্বতে 5500m, আল্পস পর্বতে 2500ম এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় সমুদ্রতলে অবস্থান করে।
৩.২ হিমালয় পর্বতমালা কীভাবে ভারতীয় জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তরঃ ভারতের উত্তর দিকে বিশালকার প্রাচীরের মতো দণ্ডায়মান হিমালয় পর্বত আমাদের দেশের জলবায়ুকে নানাভাবে প্রভাবিত করে ।
প্রচন্ড শীতের হাত থেকে রক্ষা করে – হিমালয় পর্বত সাইবেরিয়া থেকে আগত অতি শীতল ও শুষ্ক মহাদেশীয় মেরু বায়ু প্রবাহকে ভারতে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে । এই কারণে দক্ষিণ এশিয়া একই অক্ষাংশে অবস্থিত অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় শীতকালে অধিক উষ্ণ হয় ।
বৃষ্টিপাত ঘটায় – হিমালয় পর্বত দক্ষিণে সমুদ্র থেকে আগত আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুকে প্রাচীরের মতো বাধা প্রদান করে । এর ফলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পর্বতের ঢাল বরাবর ওপরে ওঠে । এরপর ওই বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ভারতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটায় ।
মরু জলবায়ু সৃষ্টিতে অবদান – আবহবিজ্ঞানীদের মতে মধ্য এশিয়ার গোবি ও তাকলামাকান মরুভূমি সৃষ্টির ক্ষেত্রে হিমালয় পর্বতের যথেষ্ট অবদান রয়েছে । ভারতের জলবায়ুর উপর এই দুই মরুভূমির প্রভাব কমবেশি অনুভূত হয় ।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ব্যাপকতা হ্রাস – হিমালয় পর্বত এর জন্য শীতকালীন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কেবলমাত্র উত্তর-পশ্চিম ভারতেই সীমাবদ্ধ থাকে । এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে উত্তর-পূর্ব ভারতে হিমালয় ও পূর্বাঞ্চলের পর্বত গুলির মধ্যে যে সামান্য ফাঁক রয়েছে সেই ফাঁক দিয়ে অতি শীতল উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় প্রবেশ করে সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতের উষ্ণতার হ্রাস ঘটায় ।
৪. ভারতীয় জনজীবনে নগরায়ণের নেতিবাচক প্রভাবগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বর্তমান ভারতে দ্রুতগতিতে নগরায়ণ ঘটছে। অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণের দরুন ভারতে নগরায়ণের ফলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
- অপরিকল্পিত নগরায়ণ :ভারতে নগরায়ণের সবচেয়ে বৃহৎ সমস্যা হল ভারতে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই নগরায়ণের বিকাশ হচ্ছে। মোট পৌরবাসীর প্রায় 70% প্রথম শ্রেণির শহরে বাস করে। যার মধ্যে 42.6% মানুষ 53টি মিলিয়ন সিটিতে বাস করে, ফলে শহরে রাস্তাঘাট প্রত্যহ যানজট সমস্যা নয়। সরকারি ও বেসরকারি কর্মসংস্থান অন্যান্য ক্ষেত্র সব শহরেই অবস্থিত। ফলে মানুষকে কর্মের জন্য শহরে ভিড় বাড়াতে হয়। যেমন—মুম্বাই, কলকাতা, ব্যাঙ্গালুরু।
- শহরমুখী প্রবণতা :সাম্প্রতিককালে গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষকাজ, সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষাসহ আরও উন্নত জীবনযাপনের আশায় শহরে আসছে। 2011 খ্রিস্টাব্দের জনগণনায় দেখা গেছে, ভারতে এই প্রথম গ্রামীণ মোট জনসংখ্যার বৃদ্ধির চেয়ে শহরে মোট জনসংখ্যা বেড়েছে 32.12%।
3.পরিকাঠামোর অভাব : শহর ও নগরে বাড়িগুলির বিন্যাস, পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা, বিদ্যুতের যোগান এবং জলনিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে গড়ে ওঠে শহরের পরিকাঠামো। কিন্তু জন বিস্ফোরনের কারনে সেই পরিকাঠামো ব্যহত হচ্ছে।
4.পরিবহন ব্যবস্থা : অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে ওঠায় বিভিন্ন শহরে পরিবহন ব্যবস্থা সংকুচিত হয়েছে। ভারতের বেশিরভাগ শহরে জনসংখ্যার চাপ বেশি থাকায় পরিবহন ধীর গতি সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে।
- জলনিকাশি ব্যবস্থা :পূর্ব ভারতের শহর সংলগ্ন নদীগুলিতেই পৌর আবর্জনা নিক্ষেপ করা হত। কিন্তু পরিবেশ সচেতনতা বাড়ায় তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়েছে। বেশিরভাগ শহরে বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় সমস্যায় ভুগছে।
- বিদ্যুৎ :প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি ভারতের বেশিরভাগ শহরে উল্লেখযোগ্য সমস্যা।
Click Here To Download The Pdf
Very very Thank you sir my task my task has been very good for you you have given me this task very simple way
.so i. Am very grateful to you