Model Activity task 2021(August)
Class 8 | Bengali|( Part-5)
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট
অষ্টম শ্রেণী |বাংলা |( পার্ট -৫)
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
১. ‘দাঁড়াও‘ কবিতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আর্তি কীভাবে ধরা দিয়েছে?
উঃ- মানবিকবোধ সম্পন্ন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাড়াও’ কবিতায় মনুষ্যত্ব, বিবেকবোধ ইত্যাদি। গুণসম্পন্ন মানুষকে অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অবক্ষয়ী সমাজে জীবন-যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। সুতরাং, মানুষ হয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার-উৎপীড়ন না-চালিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে কবি আর্তি জানিয়েছেন। কবির একমাত্র প্রার্থনা যে, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক কিংবা নিঃসঙ্গতা, অসহায়তায় হোক মানবিকতার বোধ থেকে মানুষ যেন মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়, নিঃসঙ্গতার সঙ্গী হয়, ব্যথিত মানুষের সমব্যাথী হয়ে ওঠে। যেভাবেই হোক এসে দাঁড়াও ভেসে দাঁড়াও এবং ভালোবেসে দাঁড়াও”— এই উক্তিটির মধ্যে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটি একটি আকুল আবেদন ধরা পড়েছে।
২. ‘লাঠি ধরলে বটে!’ – বক্তা কে? কার সম্পর্কে তার এই উক্তি? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার কোন্ মনোভাবের পরিচয় পাও?
উঃ- উক্তিটির বক্তা হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র পিরপুরের প্রজা আকবর। তিনি রমেশের সম্পর্কে এই উক্তিটি করেছেন।
বাধ পাহারা দেওয়ার সময় জমিদারির শরিক রমেশের সঙ্গে আকবরের লাঠির লড়াই হয়। সাত গ্রামের মধ্যে লাঠি চালনায় বিখ্যাত লাঠিয়াল রমেশের কাছে পরাজিত হয়েও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উক্তিটি করে। উক্তিটির মধ্যে দিয়ে সাহসী ও বীর রমেশের প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রস্ফুটিত হয়েছে। তার লাঠিচালনায় আকবর মুগধ হয়েছে। রমেশের লাঠির আঘাতে সে আহত হয়, তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরে, কিন্তু সে থানায় গিয়ে নালিশ জানাতে রাজি নয়। কারণ তার আত্মসম্মানবোধ প্রবল এবং সে জানে রমেশ নিজের স্বার্থে নয়, গ্রামবাসীদের স্বার্থে লাঠি ধরেছে। তাই তার কাছে পরাজিত হয়েও তার কোনো আক্ষেপ নেই।
৩. ‘প্রাণ আছে, প্রাণ আছে‘ – ‘ছন্নছাড়া‘ কবিতায় এই আশাবাদ কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?
উঃ- একটি বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবক ফাঁকা ট্যাক্সি খুঁজছিল এবং সেটি পেয়ে যাওয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তারা ঘটনাস্থলে যায়। রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরির শরীরটিকে তারা পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় ট্যাক্সিতে। শরীরটি তোলার সময়ই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে চেঁচিয়ে ওঠে—শরীরটিতে এখনও প্রাণ আছে বুঝতে পেরে। এইভাবেই শহরের ইট-কাঠ পাথরে পরিবেষ্টিত দয়া-মায়াহীন পরিবেশের মধ্যে থেকে একটি মায়া-মমতাপূর্ণ বিশ্বাসের জয় শঙ্খধ্বনি ধ্বনিত হয়ে উঠে—“প্রাণ আছে, প্রাণ আছে” কথাগুলির মাধ্যমে। কারণ, প্রাণ থাকলেই মর্যাদা থাকে এবং সমস্ত বাধা প্রতিবন্ধকতার বাইরেও থাকে অস্তিত্বের অধিকার। এখানে মৃতপ্রায় ভিখারি যেন মরতে বসা সমাজের রুপক, কিন্তু এই সর্বহারা ছন্নছাড়া যুবকদের মানবিকতার ছোঁয়ায় তাতে প্রান ফিরে এসেছে।
৪. ‘শিমুল গাছ অনেকে দেখিয়াছ।‘ – ‘গাছের কথা‘ গদ্যাংশে শিমুল গাছের প্রসঙ্গ লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উঃ- ‘গাছের কথা’ গদ্যাংশে লেখক জগদীশচন্দ্র বসু গাছের বিভিন্ন লক্ষণ তুলে ধরেছেন। তিনি গাছের বীজ ছড়ানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন পাখিরা ফল খেয়ে দূর দূর দেশে বীজ নিয়ে যায়। ফলে অনেক জনমানবহীন দ্বীপেও গাছ জন্মে থাকে। এছাড়া অনেক সময় বীজ প্রবল বাতাসে উড়ে গিয়ে দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে তিনি শিমুল গাছের কথা স্মরণ করেছেন। শিমুল গাছের ফল রৌদ্রে ফেটে যাওয়ার পর তার বীজ তুলোর সঙ্গে উড়ে বেড়াতে থাকে।
৫. ‘বিশ্বের বুক ফেটে বয়ে যায় এই গান – ‘ – কোন্ হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে যায়?
উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসুর ‘হওয়ার গান’ কবিতার সমস্ত অংশ জুড়ে আছে হাওয়ার কথা। হাওয়াদের কোনো বাড়ি নেই। ফলে তাদের কোনোখানে স্থিতি নেই। তারা সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়। তারা পৃথিবীর জল-স্থল, পাহাড়, বনজঙ্গল, নগরের কোলাহলময় পরিবেশ, শূন্য মাঠ সব জায়গাতে তাদের বাড়ির খোঁজ করেছে। কিন্তু, কোথাও তারা তাদের বাড়ির সন্ধান পায়নি। তাদের বিশ্রাম নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। তারা চিমনির নিস্বনে এবং কাননের ক্রন্দনে তাদের বাড়ির খোঁজ করেছে, কিন্তু সন্ধান তারা পায়নি। তাই তারা অবিরাম উন্মাদের মতো উত্তাল হয়ে ছুটে বেড়ায়। তাদের জীবনে কোনো স্থিতি, বিশ্রাম না-থাকায় তারা সারা বিশ্ব জুড়ে হতাশার কান্না কেঁদে বেড়ায়।
৬. ‘ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা–র মাথায় বজ্রঘাত!’ – বুকুর কোন্ কোথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন?
উঃ- আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘কী করে বুঝব’ গল্পে বুকুর মুখে উত্তরপাড়া থেকে ছেনু মাসিরা এসেছেন শুনে বুকুর মা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন অসময়ে বাড়িতে লোকের বেড়াতে আসা তিনি একদম পছন্দ করেন না। কিন্তু অতিথিদের সামনে এসে তিনি ভীষণ আনন্দের সঙ্গে তাদের অভ্যর্থনা জানান এবং এতদিন আসেননি কেন তা নিয়ে অভিমান প্রকাশ করতে থাকেন। মায়ের এই পরিবর্তন দেখে বুকু হঠাৎ সবার সামনে মাকে প্রশ্ন করে বসে যে সে কেন তবে অখুশি হয়ে অসময়ে অথিতি আসায় বিরক্তি প্রকাশ করছিল? বুকুর এই কথাগুলো শুনেই তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পরেন।
৭. ‘পাড়াগাঁর দু–পহর ভালোবাসি‘ কবিতায় গ্রামজীবন সম্পর্কে কবির যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তার পরিচয় দাও।
উঃ পাড়াগাঁয়ের দ্বি-প্রহরকে কবি ভালোবাসেন। কারণ, সেখানকার দুপুরবেলার রৌদ্রে যেন স্বপ্নের গন্ধ লেগে থাকে। সেই স্বপ্নের আবেশে কবির মনে কোন্ গল্প, কোন কাহিনি যে বাসা বাঁধে, তা কেউ বলতে পারে না। এ কথা বলতে পারে শুধু মাঠ এবং মাঠের শঙ্খচিল । কারণ, কবির হৃদয় তাদের কাছে বহু যুগ থেকে কথা শিখেছে। দুপুরে জলসিড়ি নদীর পাশে বুনো চালতার শাখাগুলি নুয়ে পড়ে, জলে তাদের মুখ দেখা যায়। জলে মালিকহীন ডিঙি নৌকাকে ভাসতে দেখা যায়। পাড়াগাঁর দুপুরবেলা অপরূপ রূপে ও বিষন্নতায় কবিমনে মাধুর্যময় স্বপ্নাবেশ দিয়ে যায়। কবির চোখে মায়া-কাজল এঁকে দেয়। তাই সব মিলিয়ে পাড়াগাঁয়ের দুপুরবেলার। প্রকৃতিকে কবি খুব ভালোবাসেন। কবিতাটিতেও কবি জীবনানন্দের সহানুভূতিশীল ও প্রকৃতিপ্রীতিসুলভ মানসিকতা, বিস্ময় এবং প্রকৃতির প্রতি রূপমুগ্ধতার পরিচয় ধরা পড়েছে। পাড়াগাঁয়ের রৌদ্রতপ্ত পরিবেশ কবির মনে স্বপ্নের আবেশ সৃষ্টি করে। কবি বিষন্ন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেন।
৮. ‘এলাহি ব্যাপার সব।‘ – ‘নাটোকের কথা‘ রচনাংশ অনুসরনে সেই এলাহি ব্যবস্থাপনার বিবরণ দাও।
উঃ- নাটোরের মহারাজার রাজসমাদর বলার মতো। কারণ, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর বাড়ির সকলেই ছিলেন নাটোর-মহারাজের নিমন্ত্রিত। আর সেই মহারাজের ব্যবস্থাপনায় নিমন্ত্রিতরা মোটঘাট ছাড়াই নাটোর পৌছন। সেখানে ধুতি-চাদর সবই ছিল রাজকীয় । সকালের দিকে কার, কীরকম পানীয়, নেশা, সে সবও প্রস্তুত ছিল। ডাবের জল, সোডা, হুঁকো, কিছুরই অসুবিধা নেই। নাটোরের রাজবাড়িতে খাওয়াদাওয়ার এলাহি বন্দবস্ত ছিল। খাদ্যতালিকা থেকে মাছ, মাংস, ডিম, মিষ্টি, পিঠে, পায়েস কিছুই বাদ ছিল না। হালুইকররা বাড়িতে বসেই এবেলা-ওবেলা নানারকম মিষ্টি তৈরি করে – এমনকি লেখকের আবদারে তাকে গরম সন্দেশ খাওয়াতে খাবারঘরের সামনেই হালুইকর বসে গেল। অতিথিদের জন্য স্বয়ং রানি মা নিজের হাতে পিঠে- পায়েস তৈরি করেন।সর্বোপরি ছিল, আন্তরিকতা আর আতিথেয়তার অপূর্ব নিদর্শন। তাই লেখক সংগত কারণেই নাটোরের মহারাজের অতিথি-বাৎসল্যকে ‘এলাহি ব্যাপার’ আখ্যা দিয়েছেন।
৯. ‘গড়াই নদীর তীরে‘ কাব্যাংশে প্রকৃতিচিত্র কীভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে?
উঃ-গড়াই নদীর তীরে কবিতায় কবি পরম মমতায় গ্রামীণ কুটিরের ছবি এঁকেছেন। সুন্দর গ্রাম্য পরিবেশের বর্ণনা দিয়ে কবি বলেছেন— সুপারি গাছ, খেজুর গাছ ও আম গাছ দিয়ে ঘেরা এই ছোট্ট কুটির। বাড়ির উঠোনের পাশে গাঁদা ফুলগুলি উঠোনটিকে যেন আলো করে রাখে। অন্যান্য গাছপালাগুলি সমস্ত ঝড়ঝঞ্চা থেকে বাড়িটিকে রক্ষা করে। প্রবল ঝড়কে তারা প্রতিহত করে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে তারাকুটিরটিকে সযত্নে ছায়া বিছিয়ে রাখে। বাড়ির সঙ্গে এই সমস্ত গাছগাছালির যেন এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন ধরনের পাখিরাও নির্ভয়ে এসে গাছে বসে বাড়িটিকে কলকাকলিতে ভরিয়ে তোলে। পাখিগুলোর সঙ্গে বাড়ির মানুষের যেন আত্মিক সম্পর্ক। নানারকমের পাখি, যারা সারাদিন খাদ্যের খোঁজে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়, তারা সন্ধে বেলা পরম নিশ্চিন্তে বাড়ির বাগানের গাছে এসে আশ্রয় নেয়। এভাবেই বাড়ির সাথে বিভিন্ন গাছপালা ও পাখিদের এক নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পল্লিকবি কবি জসীমউদ্দিনের লেখা ‘গড়াই নদীর তীরে’ কবিতাটি পল্লিপ্রকৃতির সহজ স্বাভাবিক রূপ নিয়ে চিত্রিত। প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্যে আরোপিত কোনো বাহ্য কৃত্রিমতা নেই।
Click Here To Download The Pdf
Thanks bro
Hello bro
Hi bro
Hii bro
Thanks
Thanks
Thanks bro
Thanks 😊
Thanks for help
Thanks bro from my deep core of Herat
Thanks bro from my deep core of the heart 🥰🥰🥰🥰🥰
Thanks bro
Thank u broo 👉
Thank you
Is this info realy helpfull.I dont no.Pleas some one reply me.
yes, you can check the text book.
Thank you