“পাগলা গণেশ”
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
গল্পের বিষয়বস্তু:
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা “পাগলা গণেশ” একটি কল্পবিজ্ঞান ভিত্তিক রম্যগল্প, যেখানে ভবিষ্যতের এক অসম্ভব পৃথিবী ও তার সামাজিক বাস্তবতা নিয়ে ব্যঙ্গ-রসের মাধ্যমে লেখক একটি গভীর বার্তা দিয়েছেন।
গল্পটির মূল চরিত্র গণেশ — যিনি একসময় সভ্য সমাজের অংশ ছিলেন, কিন্তু পরে হিমালয়ের গিরিগুহায় চলে গিয়ে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বিভিন্ন রকম রহস্যময় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে যখন মানুষের মৃত্যু বন্ধ হয়ে গেছে ‘মৃত্যুঞ্জয় টনিক’-এর আবিষ্কারের ফলে, তখন মানুষ হয়ে পড়েছে আবেগহীন, যান্ত্রিক ও নির্বিকার।
এই পরিস্থিতিতে গণেশ পাগলের মতো আচরণ করলেও, তাঁর কথাবার্তা, ভাবনা ও আচরণে এমন এক বুদ্ধিদীপ্ত পাগলামি রয়েছে, যা সমাজকে প্রশ্ন করতে শেখায়— সভ্যতা কি আদৌ সভ্য? মানুষ কি তার আবেগ হারিয়ে ফেলে কেবলই যন্ত্র হয়ে উঠছে না?
এই গল্পে লেখক পাগলামির আড়ালে সমাজের অন্তঃসারহীনতা, মানুষের অতিরিক্ত বৈজ্ঞানিক নির্ভরতা এবং আবেগহীন ভবিষ্যতের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। একইসাথে, গণেশের চরিত্রের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী চিন্তা ও মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে।
১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ ‘পাগলা গণেশ’ একটি (বিজ্ঞান/ কল্পবিজ্ঞান/ রূপকথা ) – বিষয়ক গল্প।
উত্তরঃ ‘পাগলা গণেশ’ একটি কল্পবিজ্ঞান – বিষয়ক গল্প।
১.২ ‘অবজার্ভেটরি’– র বাংলা প্রতিশব্দ (পরীক্ষাগার / গবেষণাগার/ নিরীক্ষণাগার)।
উত্তরঃ ‘অবজার্ভেটরি’– র বাংলা প্রতিশব্দ নিরীক্ষণাগার।
১.৩ সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ (হিমালয়ের গিরিগুহায় / গভীর জঙ্গলে / মহাকাশে ) আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উত্তরঃ সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
১.৪ গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল (৩৫৮৯ / ৩৪৩৯/ ৩৫০০) সালে।
উত্তরঃ গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল ৩৪৩৯ সালে।
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও :
২.১ “সালটা ৩৫৮৯”– এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা গল্পে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত ‘পাগলা গনেশ’ গল্পে ৩৫৮৯ সালের মধ্যে পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম, ডান্ডাওয়ালা ঝাটার মত ডাইনিদের বাহন, নারদের ঢেঁকির মতো, কার্পেটের মতো বিভিন্ন ধরনের উড়ান যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে। পাখাওয়ালা মানুষদের আকাশে উড়তে দেখা যাচ্ছে। চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে মানুষ ল্যাবরেটরি বানিয়েছে।এমনকী সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে।
২.২ “ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না” – “অনাবশ্যক ভাবাবেগ” বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তাকে সত্যিই তোমার ‘অনাবশ্যক’ বলে মনে হয় কি?
উত্তরঃ অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলতে কবিতা, গান, ছবি আঁকা, কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা প্রভৃতিকে বোঝানো হয়েছে। গল্প অনুযায়ী বিজ্ঞানের যুগে বিজ্ঞান ছাড়া আর কোন চর্চাই অনাবশ্যক। তাই এগুলিকে অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলা হয়েছে।
এখন, আমি মনে করি যে “অনাবশ্যক” ভাবাবেগ সবসময়ই একেবারে অপ্রয়োজনীয় নয়। অনেক সময় আমাদের জীবনযাত্রা বা মানসিক অবস্থা বুঝতে, আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে বা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে কিছু ভাবাবেগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়। বিশেষ করে প্রেম, সহানুভূতি, স্নেহ, দুঃখ, এবং এমনকি উত্তেজনাও মানুষের মানসিক এবং সামাজিক বিকাশে প্রয়োজনীয়।
২.৩ “চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না”- মানুষের মন থেকে কোন কোন অনুভূতিগুলো হারিয়ে গেছে?
উত্তরঃ কেবলমাত্র বিজ্ঞান নিয়ে মেতে থাকা মানুষের মন থেকে চর্চার অভাবে দয়া, মায়া, করুণা, ভালোবাসা প্রভৃতি অনুভূতি গুলো হারিয়ে গেছে। মানুষের মনে আর এসবের উদ্রেক হয় না।
২.৪ “ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে” – ব্যতিক্রমী মানুষটি কে? কীভাবে তিনি ‘ব্যতিক্রম’ হয়ে উঠেছিলেন?
উত্তরঃ গল্পে ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন পাগলা গণেশ।
৩৫৮৯ সালে যেখানে ঘরে ঘরে কেবলমাত্র বিজ্ঞানের চর্চা চারিদিকে নানান ধরনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ধুম। অথচ এরই মাঝে একমাত্র পাগলা গণেশ বিজ্ঞান চর্চায় হস্তক্ষেপ না করে আশ্রয় নিয়েছেন হিমালয়ের গিরিগুহায়। কবিতা লিখেছেন, গানের চর্চা করেছেন, পাহাড়ের গায়ে বাটালি দিয়ে পাথর কেটে ছবি এঁকেছেন এই সমস্ত কর্মকাণ্ডই এখনকার মানুষদের কাছে নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়। তবু গণেশ তার চেষ্টা থামায়নি। এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন ব্যতিক্রমী।
২.৫ “ও মশাই, এমন বিকট শব্দ করছেন কেন?” – কার উদ্দেশ্যে কারা একথা বলেছিল? কোন কাজকে তারা ‘বিকট শব্দ’ মনে করেছিল?
উত্তরঃ লাসা থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে দুটো পাখাওয়ালা লোক গণেশের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছিল।
গণেশের গান গাওয়াকে তারা বিকট শব্দ মনে করেছিল।
২.৬ “গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে” — গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে? তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উত্তরঃ গণেশ তার তিন ছেলে এক মেয়ের মুখশ্রী ভুলে গেছে।
ভুলে যাওয়ার কারণ মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কারের ফলে তার তিন ছেলের বয়স যথাক্রমে একশো চুয়াত্তর, একশো একাত্তর, একশো আটষট্টি ও মেয়ের বয়স একশো ছেষট্টি। তারা কেও গত একশো বছরে বাবার কাছে আসেনি। তাই গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে।
২.৭ “গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল” – কে, কী বলেছিল? তার এভাবে তাঁকে সম্মান জানানোর কারণটি কী?
উত্তরঃ একজন পুলিশম্যান গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলেছিল, এককালে গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স পড়াতেন তখন পুলিশম্যান লোকটি গণেশের ছাত্র ছিল।
শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা বসতই তিনি সম্মান জানিয়েছিলেন।
২.৮ “ আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি”– বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল? তার প্রয়াস শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল কি?
উত্তরঃ গণেশ কবিতা লিখে, গান গেয়ে, ছবি এঁকে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।
শেষ পর্যন্ত গণেশ সফল হয়েছিল কারণ, গণেশের প্রচেষ্টায় অবশেষে বিজ্ঞান নিয়ে মেতে থাকা মানুষ গান গাইতে শুরু করে, কবিতা মকসো করে, হিজিবিজি ছবি আঁকে।
২.১ “লোকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কী বলল? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী?
উত্তরঃ এখানে পুলিশম্যানের কথা বলা হয়েছে।
সে বলল “কিছু বুঝতে পারছি না স্যার”।
তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ সে পায়ের কাছে পড়ে থাকা গণেশের কবিতা লেখা একটি কাগজের টুকরো নিয়ে পড়ে কিন্তু কিছু বুঝতে পারে না।
২.১০ “তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল”— এই তিনজন কারা? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী? ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তোমার কেমন লাগল?
উত্তরঃ এই তিনজন ছিল পুলিশম্যান, তার স্ত্রী ও মা।
তারা তিনজন গণেশের কবিতা ও গান শুনে এবং গণেশের আঁকা ছবি দেখে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বসে রইল।
৩. ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশেকে তোমার কেমন লাগল?
উত্তরঃ
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত পাগলা গণেশ গল্পে মুখ্য চরিত্র গণেশ এক অভিনব ব্যক্তিত্ব।সকলে বিজ্ঞান নিয়ে মেতে থাকলেও গণেশ সে পথে হাঁটেনি। কবিতা, গান, ছবি আঁকা চর্চার মাধ্যমে সে হয়ে উঠেছে ব্যতিক্রমী।অন্য সকলে গণেশের বিজ্ঞানের বিপরীতমুখী কর্মকান্ড নিয়ে তাকে ঠাট্টা তামাশা করলেও সে লক্ষ্যে স্থির থেকে সাহিত্য, গান, ছবি আঁকার চর্চা করে গেছে।গণেশ চরিত্র তীব্র প্রতিকূলতার সত্বেও লক্ষ্যে অবিচল থেকে কবিতা, গান, ছবি আঁকার চর্চা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীকে বাঁচিয়েছিল।গণেশ চরিত্রের মাধ্যমে লেখক বুঝিয়েছেন দয়া, মায়া, করুণা, ভালবাসাহীন শুধুমাত্র বিজ্ঞানের উপর ভর করে সমাজ চলে না। সৃষ্টিশীল, অনুভূতিপরায়ণ মানুষের ও পৃথিবীতে প্রয়োজন আছে। এ কারণেই গণেশ চরিত্রটি ব্যতিক্রম হয়েও হয়ে উঠেছে অসাধারণ।
৪. অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দগুলির পরিবর্তে নতুন শব্দ বসাও :
৪.১ ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।
উত্তরঃ ওসব অপ্রয়োজনীয় ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।
৪.২ কেউ ঠাট্টা বিদ্রুপ করল না।
উত্তরঃ কেউ ইয়ার্কি তামাশা করল না।
৪.৩ দুনিয়াটা বেঁচে যাবে।
উত্তরঃ পৃথিবীটা বেঁচে যাবে।
৪.৪ মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।
উত্তরঃ মহাসচিব তাঁর আকাশযান থেকে নামলেন গণেশের বাসস্থানে।
৪.৫ গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
উত্তরঃ গণেশকে সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
৪.৬ লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে।
উত্তরঃ লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা অভ্যাস করছে।
৪.৭ হিমালয় যে খুব নির্জন জায়গা, তা নয়।
উত্তরঃ হিমালয় যে খুব জনহীন জায়গা, তা নয়।
৪.৮ ধুর মশাই, এ যে বিটকেল শব্দ।
উত্তরঃ ধুর মশাই, এ যে বিকট শব্দ।
৫. এককথায় লেখো :
মহান যে সচিব, প্রতিরোধ করে যে, গতিবেগ আছে যার, মৃত্যুকে জয় করেছে যে, অন্ত নেই যার।
উত্তরঃ
মহান যে সচিব – মহাসচিব
প্রতিরোধ করে যে – প্রতিরোধকারী
গতিবেগ আছে যার – গতিশীল
মৃত্যুকে জয় করেছে যে – মৃত্যুঞ্জয়
অন্ত নেই যার – অনন্ত
৬. সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
মাধ্যাকর্ষণ, আবিষ্কার, মৃত্যুঞ্জয়, অনাবশ্যক, গবেষণা, অন্তরীক্ষ, গণেশ, হিমালয়, নির্জন গবেষণাগার, পরীক্ষা।
উত্তরঃ
মাধ্যাকর্ষণ = মাধ্য + আকর্ষণ
আবিষ্কার = আবিঃ + কার
মৃত্যুঞ্জয় = মৃত্যুম্ + জয়
অনাবশ্যক = অন + আবশ্যক
গবেষণা = গো + এষণা
অন্তরীক্ষ = অন্তঃ + ইক্ষ
গণেশ = গণ + ঈশ
হিমালয় = হিম + আলয়
নির্জন = নিঃ + জন
গবেষণাগার = গো + এষণা + আগার
পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা
৭. সমার্থক শব্দ লেখো :
কৃত্রিম, পৃথিবী, আন্দোলন।
উত্তরঃ কৃত্রিম = নকল
পৃথিবী = জগৎ
আন্দোলন = বিদ্রোহ
৮. নিম্নলিখিত বিশেষণগুলির পর উপযুক্ত বিশেষ্য বসাও এবং বাক্যরচনা করো :
কৃত্রিম, মেদুর, সুকুমার, যান্ত্রিক, ফিরোজা, মন্ত্রমুগ্ধ।
উত্তরঃ ১. কৃত্রিম
🔹 বিশেষ্য: হাসি
🔹 বাক্য: ওর মুখের কৃত্রিম হাসি দেখে বোঝা যাচ্ছিল, সে আদৌ খুশি নয়।
২. মেদুর
🔹 বিশেষ্য: সন্ধ্যা
🔹 বাক্য: নদীর ধারে বসে আমরা এক মেদুর সন্ধ্যা উপভোগ করছিলাম।
৩. সুকুমার
🔹 বিশেষ্য: প্রকৃতি
🔹 বাক্য: শিশুটির মধ্যে এক সুকুমার প্রকৃতি দেখা যায়, যা সবাইকে আকৃষ্ট করে।
৪. যান্ত্রিক
🔹 বিশেষ্য: জীবন
🔹 বাক্য: আজকের এই যান্ত্রিক জীবন মানুষকে একাকিত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
৫. ফিরোজা
🔹 বিশেষ্য: আকাশ
🔹 বাক্য: পাহাড়ের ওপার থেকে দেখা ফিরোজা আকাশ মনটা হালকা করে দিল।
- মন্ত্রমুগ্ধ
🔹 বিশেষ্য: দৃষ্টিতে
🔹 বাক্য: গায়কের কণ্ঠে এমন জাদু ছিল যে শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
Click Here To Download The PDF