Model Activity Task
বাংলা
Class – VIII
অধ্যায় : দাঁড়াও –শক্তি চট্টোপাধ্যায়
১. অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১.১. ‘দাঁড়াও’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উঃ দাঁড়াও’ কবিতাটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘ মানুষ বড় কাঁদছে’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
১.২. সকাল থেকে কবির কার কথা মনে পড়ছে ?
উঃ সকাল থেকে কবির অর্থাৎ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পরোপকারী মানুষদের কথা মনে পড়ছে।
১.৩. কবি কীভাবে মানুষকে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন ?
উঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মানুষকে তার স্বার্থপরতা , হীনতা, লোভ ত্যাগ করে অসহায় মানুষের দুঃখে সমব্যাথী হয়ে ভালবেসে তার পাশে এসে দাড়াতে অনুরোধ করেছেন।
১.৪. কবিতাটিতে মানুষ শব্দটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে ?
উঃ কবিতাটিতে মানুষ শব্দটি সাতবার ব্যবহৃত হয়েছে ।
১.৫. দল বিশ্লেষণ কর:
মানুষ- মা (মুক্তদল) + নুষ (রুদ্ধদল) [ ২টি দল]
একলা – এক (রুদ্ধদল) + লা (মুক্তদল) [ ২টি দল]
ভেসে- ভে (মুক্তদল)+ সে (মুক্তদল) [ ২টি দল]
ভালোবেসে – ভা (মুক্তদল)+ লো (মুক্তদল) + বে (মুক্তদল) + সে (মুক্তদল) [ ৪টি দল]
২. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
২.১ মানুষের পাশে মানুষ কীভাবে দাঁড়াতে পারে ?
উঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মানুষকে তার স্বার্থপরতা , হীনতা, লোভ ত্যাগ করে অসহায় মানুষের দুঃখে সমব্যাথী হয়ে ভালবেসে তার পাশে এসে দাড়াতে অনুরোধ করেছেন। বিপদগ্রস্ত পাখির পাশে যেমন অপর পাখি এসে ডাকাডাকি জুড়ে সাহায্য প্রার্থনা করে ,তেমনি দুঃখে কষ্টে জর্জরিত মানুষের পাশে এসে মানুষ দাড়াতে পারে ।একা অসহায় মানুষের দুঃখে সমব্যাথী হয়ে ভালবেসে একে অপরের ভরসা হয়ে উঠতে হবে, তবেই মানবিক ধর্ম পালিত হবে।
২.২ ‘দাঁড়াও’ কবিতাটির প্রথম স্তবকে প্রকাশিত কবির অন্তর্নিহিত ভাবনার পরিচয় দাও।
উঃ মানুষ সমাজে নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রাণী হিসাবে গন্য হলেও এই জাতির মধ্যে জটিলটা সব থেকে বেশি। তাই দেখা যায় একজন মানুষ স্বার্থপরতা ও লোভের বশে অপর মানুষের ক্ষতি করে চলেছে। এর ফলে অসহায় মানুষ নিজের দুঃখের ভারে ক্রমাগত কেঁদে চলেছে। মানুষই ফাঁদ পেতে বিপদে ফেলছে অপর মানুষকে। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘দারাও’ কবিতার প্রথম স্তবকে এই একা অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য পরোপকারী ব্যক্তিদের আহ্বান জানিয়েছেন ।
৩. রচনাধর্মী প্রশ্ন :
৩.১ কবিতাটির বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
উঃ মানুষ’ শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে ‘মান’ ও ‘হুশ’ এর অর্থ। কিন্তু যত মানুষ আধুনিকতার শিখরে উত্তীর্ণ হয়েছে, ততই মানবিকতার অবক্ষয় দেখা গিয়েছে। মানুষ হয়ে উঠেছে আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর, সুযোগসন্ধানী ও ক্ষমতালোভী। মানবিকবোধ সম্পন্ন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘দাঁড়াও’ কবিতাটির মধ্যে মানুষের মানবিকতার অবক্ষয়ের দিকটিকে তুলে ধরেছেন। মনুষ্যত্ব, বিবেকবোধ ইত্যাদি যেগুলি মানুষের সদগুণ বলে বিবেচিত, সেইসমস্ত গুণসম্পন্ন মানুষকে তিনি অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সমস্ত মানুষের কথা কবি সর্বদা মনে করেন এবং যেভাবেই হোক, প্রতিটি মানুষ প্রতিটি মানুষের পাশে এসে যেন দাঁড়ায়এটাই কবির একমাত্র প্রার্থনীয় বিষয়।
আসলে কবি বিশ্বাস করেছেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে হোক কিংবা নিঃসঙ্গতা, অসহায়তায় হোক-মানবিকতার বোধ থেকে মানুষ যেন মানুষের পাশে দাঁড়ায়, নিঃসঙ্গতার সঙ্গী হয়, ব্যথিত মানুষের সমব্যথী হয়ে ওঠে। পাশে দাঁড়াও’ বা পাশে এসে দাঁড়াও’ এই শব্দগুলি যথাক্রমে ৩ বার করে মোট ৬ বার কবি এই কবিতায় ব্যবহার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে কবি মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অন্তর-মানবিক চেতনাকে জাগ্রত করে পাঠকমনকে মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
অধ্যায় : কী করে বুঝব–আশাপূর্ণা দেবী
১. অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১.১. বুকুর মায়ের নাম কী ?
উঃ বুকুর মায়ের নাম নির্মলা ।
১.২. বুকুদের বাড়ি কলকাতার কোন অঞ্চলে ?
উঃ বুকুদের বাড়ি কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে।
১.৩. ছেনুমাসিরা কোথা থেকে এসেছেন ?
উঃ ছেনুমাসিরা কলকাতার উত্তরপাড়া থেকে এসেছেন ।
১.৪. বুকুর স্কুলে র নাম কী?
উঃ বুকুর স্কুলের নাম আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১.৫. অতিথিরা বিদায় নেওয়ামাত্র বুকুর মা কী করেছিলেন ?
উঃ অতিথিরা বিদায় নেওয়ামাত্র বুকুর মা বুকুকে পেটাতে শুরু করেছিলেন
২. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
২.১ অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা কী করেছিলেন ?
উঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘ কী করে বুঝব’ গল্পটিতে বাড়িতে অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা মনে মনে ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। বুকুর কথামত তিনি রেগে লাল হয়ে বসে অভিযোগ করেছিলেন যে ছেনুমাসি ও বেনুমাসিরা অসময়ে এসে হাজির হওয়ায় তাদের সিনেমা দেখতে যাওয়া হয়তো পণ্ড হয়ে যেতে পারে।
২.২ বুকুর মতে অতিথিরা চলে গেলে কী করতে হয় ?
উঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘ কী করে বুঝব’ গল্পের ছোটছেলে বুকুর মতে অতিথিরা বাড়ি থেকে চলে গেলে তাদের বিষয়ে নিন্দা করতে হয়। তার মতে অতিথিরা হ্যাংলা স্বভাবের কি না, তাদের সঙ্গে আসা বাচ্ছা ছেলেটি কত দুষ্টু, অতিথিদের অহংকারী স্বভাব এবং তাদের আপ্যায়ন করে মিষ্টিমুখ করাতে অহেতুক কত টাকা খরচ হয়ে গেল এই বিষয়ে আলোচনা করতে হয়। আসলে ছোট্ট বুকু বড়দের কার্যকলাপ দেখেই এই সত্যি কথাগুলি বুঝতে পেরেছ।
৩. রচনাধর্মী প্রশ্ন :
৩.১ বুকু কী বুঝতে পারেনি এবং এবিষয়ে তোমার ধারণা কী ?
উঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘ কী করে বুঝব’ গল্পে দেখা গিয়েছে, দুপুরবেলায় বুকুকে তার মা একশোবার ধরে বুঝিয়েছেন, সর্বদা সত্য কথা বলতে হয় এবং কারও কাছে কোন কিছু গোপন করতে নেই। কিন্তু তিনি তাকে শেখাননি স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী কীভাবে কথা বলতে হয়। তাই অতিথিদের অসময়ে বাড়িতে আসা প্রসঙ্গে মা ও বাবা যে যে মন্তব্য গুলি করেছেন এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, সেগুলিকে সে অতিথিদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। কারণ, মা ঘরের ভিতরে অসন্তুষ্ট হলেও বাইরে অতিথিদের সামনে খুব আনন্দ করছিলেন। বুকুর কাছে এটি বিসদৃশ লাগছিল। তাই সে সব সত্যি কথাগুলি বলেছে। অতিথিরা চলে গেলে মা ও বাবা তাকে প্রহার করলে সে জানায়, “কী করে তার বুঝব আসলে কী করতে হবে?”
সে বুঝতে পারেনি, বড়রা যে আচরণ প্রতিদিন ছোটোদের শেখায়, জীবনের ক্ষেত্রে তাদের তা প্রয়োগ করতে বলেন, অথচ সেই আচরণ বাস্তব জীবনে ছোটোরা করে ফেললে বড়োরা ক্ষেত্রবিশেষে তাদের শেখানো আচরণকেই ভুল বলতে শেখায়। ছোটোদের সহজাত প্রকাশকে শাসন করে সত্যকে গোপন করতে শেখায়। সমগ্র গল্পে বুকু তার বাবামায়ের কথা ও কাজের বৈপরীত্যকে বুঝতে পারেনি। শিশু মনের সারল্য বার বার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে ছোট্ট বুকুকে।
Click Here To Download The Pdf
Click Here To Download The question Paper Part 3