Model Activity Task 2022 January
Class 8| Bengali | Part-1
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-২০২২| জানুয়ারী
অষ্টম শ্রেণী | বাংলা | পার্ট –১ |
পূর্ণমান- ২০
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ ‘বোঝাপড়া’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে –
(ক) পুনশ্চ (খ) খেয়া (গ) শেষলেখা (ঘ) ক্ষণিকা
১.২ ‘অনেক __________ কাটিয়ে বুঝি / এলে সুখের বন্দরেতে’ – শূণ্যস্থানে বসবে
(ক) ঝগড়া (খ) শঙ্কা (গ) ঝঞ্ঝা (ঘ) অশ্রু
১.৩ ‘আকাশ তবু ___________ থাকে’ – শূন্যস্থানে বসবে
(ক) ডাগর (খ) সুনীল (গ) আঁধার (ঘ) মস্ত
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ ‘কতকটা এ ভবের গতিক‘ – ‘ভবের গতিক‘ টি কী?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া কবিতা থেকে নেওয়া পঙ্কতিতে ‘ভবের গতিক’ হল, দুনিয়া বা জগতের নিয়ম যে সবাই সবার জন্য নয়, এবং সবাই সবার মতো ও নয়।
২.২ ‘চলে আসছে এমনি রকম‘ – কোন্ সময়ের কথা কবি এক্ষেত্রে স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটিতে কবি ‘মান্ধাতার আমল’ অর্থাৎ অতি প্রাচিন সময়ের কথা স্মরণ করেছেন।
২.৩ ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়‘ – কোন্ বিষয়টিকে সবার চেয়ে শ্রেয় মনে করা হয়েছে?
উত্তরঃ কবি বলেছেন, জীবনের নানান খারাপ অবস্থার মধ্যে হাল না ছেড়ে, ভেঙে না পড়ে বিপদের সঙ্গে লড়াই করে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলাটাই সবার চেয়ে শ্রেয়।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ ‘তবু ভেবে দেখতে গেলে‘ – কবি কী ভেবে দেখার কথা বলেছেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে কবি বলতে চেয়েছেন, আত্মপরায়ণ ব্যক্তিই যখন নিজের স্বার্থ ভুলে পরার্থে সব কিছু বিসর্জন দিয়ে আত্মসুখ খুঁজে নেয়, হয়ে ওঠে পরম বন্ধু, তখন সে-ই খুঁজে পায় অনেক মন্দের মাঝে ভালোর খোঁজ। মন ভরে ওঠে তৃপ্তিতে। তবে এর জন্য পারস্পরিক ত্যাগ স্বীকার দরকার হয়। প্রত্যেকেই যদি নিজের সামান্য স্বার্থ ত্যাগ করে এগিয়ে আসে, তবে পাওয়া যায় পরম শান্তি। অর্থাৎ স্বার্থকে দূরে ঠেলে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেই জীবনে খুঁজে পাওয়া যায় অনেকটা সুখ ।
৩.২ ‘শঙ্কা যেথায় করে না কেউ / সেইখানে হয় জাহাজ–ডুবি‘। – উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে লেখক জীবনের এক গভীরতর সত্যকে উপস্থাপিত করেছেন। জীবনে বহু ঝড়-ঝঞ্জা পেরিয়ে সুখ পাওয়া যায়। যেখানে বিপদের আশঙ্কাই সেখানে সেখানেই ভাগ্যের অমোঘ বজ্রের মত বিপদ নেমে আসে। কোথায়, কীভাবে আঘাত আসে কেউ বলতে পারে না। অপ্রত্যাশিত আঘাতে বুকের পাঁজর ভাঙতে পারে, আর্তনাদে আকাশবাতাস মুখর হতে পারে। কিন্তু তাই নিয়ে বিবাদ চলে না। বরং সমস্ত কিছু সহ্য করে টিকে থাকাই শ্রেয়।
৩.৩ ‘দোহাই তবে এ কার্যটা / যত শীঘ্র পারো সারো‘। – কবি কোন্ কার্যটা দ্রুত সারতে বলেছেন?
উত্তরঃ জীবনে চলার পথে প্রয়োজনমতো মনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলে সহজ-সত্যিকে মেনে নিয়ে আলোর প্রদীপ জ্বালানোর কথাই কবি এখানে বলেছেন। দুঃখভরা মনে, বিরসভাবে বসে থাকলে নিজের মনটিই কেবল ভারাক্রান্ত হয়। নিজের দুঃখকে জমিয়ে রেখে বিধাতার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থাকলে শুধু সময় অপচয় হয়। তাই কবি বলেছেন বেশ খানিকটা কেঁদে কেটে দুঃখকে উদযাপন করার কাজটা দ্রুত সেরে ফেলা উচিত। আসলে মনের দুঃখ-গ্লানি সরিয়ে সানন্দে নিজের কাজ করে যাওয়াই কবির অভিপ্রায়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে‘।
পঙক্তিদুটি ‘বোঝাপড়া‘ কবিতায় কতবার ব্যবহাত করা হয়েছে? এমন পুনরাবৃত্তির কারণ কবিতাটির বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি পাঁচবার ব্যবহার করা হয়েছে। এই পঙক্তিটির অর্থ জীবনে ভালোমন্দ যাই আসুক না কেন, সত্য মনে করে তাকে সহজে গ্রহণ করতে হবে।
কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, কেউ বাসবে না—এটিই স্বাভাবিক। এটিই স্বাভাবিক যে, সবাই সবার জন্য নয়। আমরা একে অন্যকে ফাঁকি দিই। কেউ আঘাত বাঁচিয়ে চলতে পারে না। সুতরাং, সত্যকে সহজভাবে মেনে নেওয়াই ভাল।কোথায়, কীভাবে আঘাত আসে কেউ বলতে পারে না। অপ্রত্যাশিত আঘাতে বুকের পাঁজর ভাঙতে পারে, আর্তনাদে আকাশবাতাস মুখর হতে পারে, কিন্তু তাই নিয়ে বিবাদ চলে না। বরং সমস্ত কিছু সহ্য করে টিকে থাকাই শ্রেয়।সবাই একে অন্যকে পিছনে ফেলে এগোতে চায়। অথচ হাত বাড়ালেই বন্ধু পাওয়া যায়। পাওয়া যায় পরম সুখ। সর্বাবস্থায় আকাশ সুনীল থাকে, ভোরের আলো মধুর হয়, এমনকি সহসা মরণ এলে, জীবনে বাঁচার ইচ্ছাই প্রবল হয়। যাকে ছাড়া জীবন শূন্য বলে মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে তাকে ছাড়াও পৃথিবী মনোরম।কবিতায় বারে বারে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটির মাধ্যমে কবি যেন জীবনের চিরন্তন এক সত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছেন যা আমাদের জীবনে চলার পথে মূল্যবান উপদেশ স্বরূপ।
Click Here To download The Pdf
Thank you