Wednesday, September 10, 2025
HomeClassesClass 9Model Activity task 2021(August) Class 9| Bengali |( Part-5) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক...

Model Activity task 2021(August) Class 9| Bengali |( Part-5) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট নবম শ্রেণী | বাংলা | ( পার্ট -৫)

Model Activity task 2021(August)

Class 9| Bengali |( Part-5)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট

নবম শ্রেণী | বাংলা | ( পার্ট -৫)

. কমবেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :

.হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন‘ – কোন্চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন?

উত্তর:-সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত। লেখক দেখেছেন ভাষার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন। বহু হিন্দি সাহিত্যিক চেষ্টা করছেন হিন্দি ভাষার থেকে আরবি, ফার্সি ও ইংরেজি ভাষার শব্দগুলিকে বর্জন করার।

.এরই মাঝে বাংলার প্রাণ‘ – কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন?

উঃ- কবি জীবনানন্দ দাশ তার ‘আকাশের সাতটি তারা’ কবিতায় গ্রামবাংলার সাধারণ সন্ধ্যার প্রকৃতির মাঝে বাংলার প্রাণ খুঁজে পেয়েছেন।|বাংলার নরম ধানের গন্ধ, কলমি,চাঁদা -সরপুটি মাছেদের ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, কিশোরীর চাল ধোঁয়া ভিজে শীতল হাত,কিষোরের পায়ে দলা মুথাঘাস আর লাল লাল বঁট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতার মধ্যে বাংলার প্রাণের স্পন্দন ধ্বনিত হয়েছে।

.এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে‘ – পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী?

উঃ- মিস নোবেল ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যাদের মধ্যে অন্যতমা ও অগ্রগণ্যা। তার দ্বারা সংঘটিত  কল্যানমূলক কাজের বিবরণ শুনে স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবল-এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।

.যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া‘ – সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্দৃশ্য দেখা যাবে?

উঃ কবি নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর লেখা কবিতা আবহমান এ উঠানে দাঁড়ালে দেখা যায় ছোট্ট ফুল সন্ধ্যার বাতাসে দুলছে, আর দেখা যায় চিরকাল ধরে প্রায় একি রয়ে যাওয়া প্রকৃতির রূপ। না জানি কত লোক এসে ঘর বেঁধেছে, কতজন তারার মালায় নিজেদের স্বপ্ন বুনেছে । তারা হারিয়ে গেলেও আবহমান কাল ধরে সূর্য উঠছে, সন্ধ্যা নামছে।  চক্রাকারে আবর্তিত হওয়া জীবনের প্রবাহ দেখা যায় উঠানে দাঁড়িয়ে।

.তোমার বাড়ি কোথায়?’ – রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল?

উঃ- রাধারানী গল্পে অজানা অচেনা লোকটি অন্ধকারে রাধারাণীকে বাড়ি কোথায় প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তরে সে জানায় যে সে শ্রীরামপুরে থাকে।

. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :

.সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।‘ – প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন?

উঃ- উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতফা আলির লেখা ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।

 নতুন শব্দসৃষ্টির জন্য সংস্কৃত প্রথমে ধার করার কথা না ভেবে আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান চালায়। সেখানকার কোনো ধাতু বা শব্দের অদলবদল ঘটিয়ে কিংবা পুরোনো ধাতু দিয়ে নতুন শব্দটি বানিয়ে নেওয়া যায় কিনা খুঁজে দেখে। অন্য কোনো ভাষা থেকে শব্দ ধার করলেও তার সংখ্যা খুবই কম।  তাই সেভাবে অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল নয় বলেই লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলে মনে করেছেন।

.পৃথিবীর কোনো পথ কন্যারে দেখে নিকো‘ – কোন্কন্যার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে?

উঃ-  ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ আলোচ্য উদ্ধৃতিতে বাংলায় নেমে আসা সন্ধ্যাকে নীলাভ কেশবতী কন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার ঘন কেশরাশি ছড়িয়ে পড়ে বাংলার ছায়াঘন সন্ধ্যার আকাশে, কবির স্বপ্নে বিভোর চোখে, আর আম, কাঁঠাল আর হিজলের বনের মাথায়, সেই স্নিগ্ধ চুলের কন্যাকে পৃথিবীর আক কোন প্রদেশের মানুষ দেখেনি এ কথাই কবি এখানে বলেছেন।

.মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত‘ – স্বামী বিবেকানন্দ কেন এই প্রবাদটি ব্যবহার করেছেন?

উঃ- স্বামীজি বলেছেন, ভারতবর্ষের কাজে যোগ দেওয়ার আগে মিস নোবল যেন গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেন। তবে সেই কাজে বিফল হলে বা বিরক্তি ভাব উপস্থিত হলেও, স্বামীজি তাঁর পাশে থাকবেন। এ ছাড়াও বেদান্ত ধর্মের প্রতি আস্থা না থাকলে কিংবা ভারতবর্ষের কাজ না-করলেও, স্বামীজি তাঁর প্রতি আস্থা হারাবেন না। এবং তিনি যে সর্বান্তকরণে তার কথা রাখবেন তা বোঝাতে একটি  হিন্দি প্রবাদ ব্যবহার করে স্বামীজি লিখেছেন, ‘মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত একবার বেরুলে আর ভিতরে যায় না।’ অর্থাৎ খাঁটি লোকের কথার কোনো নড়চড় হয় না।

.ফুরয় না সেই একগুঁইয়েটার দুরন্ত পিপাসা।‘ – কোন্পিপাসাকে, কেন দুরন্ত বলা হয়েছে?

উঃ- কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতা থেকে উপরিউক্ত চরণটি নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় ‘পিপাসা বলতে সেইসব প্রবাসী বাঙালিকে বোঝানো হয়েছে, যারা ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়’ এই বাংলার প্রকৃতি ও গ্রামজীবনের অনাবিল সৌন্দর্য  উপভোগের নেশায় বারেবারে ফিরে আসে। জন্মভূমি ছেড়ে যাকে চলে যেতে হয়েছে বিদেশ-এ, সে মাতৃভূমির প্রতি নাড়ির টান অনুভবু করে অনবরত।তাই পিপাসাকে দুরন্ত বলা হইয়েছে।

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো (কমবেশি ১৫০ শব্দে) :

.বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।‘ – ‘নব নব সৃষ্টিপ্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন?

উঃ- ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাটিতে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যের ভাষার কথা বলেছেন। সেই ভাষা প্রসঙ্গে আলোচনায় বাঙালি চরিত্রের বিশেষ বাঙালি বৈশিষ্ট্যের দিকটি তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি যে বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন, তা হল বাঙালির বিদ্রোহী মনোভাব। বাঙালি চিরদিন কী রাজনীতি, কী ধর্ম, কী সাহিত্য সর্বক্ষেত্রে বিপ্লবের সন্ধান করে গিয়েছে। এবং যখন যেখানে নতুনের সন্ধান পেয়েছে তখনই কেবল আরোহন করেছে। তাই কলকাতার চলিত মুখের ভাষা কে কেন্দ্র করে কখনও রচিত হয়েছে সাহিত্য,’হুতোম প্যাঁচার নকশা’ ,কখনো ধর্মকে আশ্রয় করে বাঙালি গড়ে তুলেছে সাহিত্যের পরিমণ্ডল, ‘পদাবলী কীর্তন’।  আবার কখনও বাঙালি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রচনা করেছে আরবি-ফারসি মিশ্রিত ভাষার ধরন। কখনো আবার লোক সাহিত্য, গানে, বাঙালি গ্রহণ করেছে লৌকিক ভাষার ছোঁয়া।

     এই ভাবেই, গতানুগতিক প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই বাঙালি কখনো নতুনত্বকে বা আনন্দময় উপাদানকে আগ্রহ্য করেনি। বড় প্রাচীন ও ইতিহাস সাথে, গতানুগতিক প্রথার সাথে বাঙালি বিদ্রোহ করেছে বারবার। এই বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই বাঙালি সমাজে, সাহিত্যে, রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছে নতুনত্ব। প্রাবন্ধিক এর মত অনুসারে এই ভাবেই বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ চিরকাল বিদ্যমান।

.আসিয়াছে শান্ত অনুগত/বাংলার নীল সন্ধ্যা‘ – ‘আকাশে সাতটি তারাকবিতা সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন?

উঃ- চিত্ররূপময় কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘রূপসী বাংলা কাব্যের অন্তর্গত ‘আকাশে সাতটি তারা চতুর্দশপদী কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলাদেশের একটি সন্ধ্যাকে কেন্দ্র করে কবিতাটি রচনা করেছেন। প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ লক্ষ করেছেন বাংলার পল্লিপ্রকৃতির এই বিরল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত বাকি পৃথিবী। বাংলায় নেমে আসা সন্ধ্যাকে নীলাভ কেশবতী কন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন কবি তার ঘন কেশরাশি ছড়িয়ে পড়ে বাংলার ছায়াঘন সন্ধ্যার আকাশে, কবির স্বপ্নে বিভোর চোখে, আর আম, কাঁঠাল আর হিজলের বনের মাথায়, সেই স্নিগ্ধ চুলের কন্যাকে পৃথিবীর আক কোন প্রদেশের মানুষ দেখেনি | কবি নানা অনুষঙ্গে অনুভব করেছেন সন্ধ্যার স্নিগ্ধ গন্ধ। কখনও নরম ধানে, কলমির ঘ্রাণে, আবার কখনও হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, সমাহিত রূপের। কিষোরের পায়ে দলা মুথাঘাস আর লাল লাল বঁট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতার মধ্যে বাংলার প্রাণের স্পন্দন ধ্বনিত হয়েছে।

.চিঠিঅনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত অনুগামীদের পরিচয় দাও।

উঃ‘স্বামীজি চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশি ও বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই তিনি তাঁর মিস নোবেল-এর কথা লিখেছেন|তাঁকেই তিনি চিঠিটি লিখেছেন। মিস মার্গারেট নোবেল স্বামীজির কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শে ভারতের নারীসমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম ‘নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।

            মি স্টার্ডি স্বামী বিবেকানন্দের একজন ইংরেজ ভক্ত যিনি ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে স্বামিজীকে সাহায্য করেন।

          মিস হেনরিয়েটা মুলার স্বামীজিকে বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলারের বাড়িতে স্বামীজি কিছুদিন অতিথি হিসাবে ছিলেন। স্বামীজি বলেছেন যে, তার কিছুটা রুক্ষ মেজাজ ও অস্থিরচিত্ত রয়েছে; তবে তিনি আবার সহৃদয় ও অমায়িক।

        মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি খুব প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার খুবই স্নেহময়ী। তাঁর স্বামী ক্যাপটেন জে. এইচ. সেভিয়ার। এই সেভিয়ার দম্পতিই একমাত্র ইংরেজ যাঁরা এদেশীয়দের ঘৃণা করেন না। তবে এঁদের কোনো নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী নেই।

       স্বামীজির দুজন বন্ধু হলেন মিস ম্যাকলাউড ও বস্টনের মিসেস বুল। তাঁরা খুবই উপকারি।  স্বামীজিকে নানান কাজে সাহায্য করেছেন ম্যাকলাউড, আর মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনে অনেক অর্থ সাহায্য করেছেন।

.নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না‘ – পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উঃ- উদ্ধৃতাংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতার অংশ বিশেষ। বিগত শতক থেকেই ভোগবাদী জীবনের টানে গ্রামের মানুষ ধীরে ধীরে শহরমুখী হয়েছে। গ্রাম ছেড়ে তারা বাসা বেঁধেছে শহরে। শহরের জীবন তাদের হয়তো কিছু ভোগের উপকরণ দিতে পেরেছে, কিন্তু যা দিতে পারেনি, তা হল অনাবিল শান্তি ও সৌন্দর্য। গ্রাম জীবনের চিরন্তন সৌন্দর্য আর অনাবিল শান্তি কবির মনে বার বার জাগিয়েছে প্রত্যাবর্তনের বাসনা। কবির সেই সুপ্ত বাসনাই এই কবিতায় বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে। কবি বিশ্বাস করেন, গ্রামের এই জীবন কোনোদিন‌ও প্রাণহীন হয় না। এই জীবন যত‌ই পুরোনো হোক, কখনও মুড়িয়ে যায় না। রুপকথার  গল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নটে গাছটি মুড়িয়ে যায়। তবে কবিতায় নটে গাছটি মুড়িয়ে যায় না, কিন্তু বুড়িয়ে যায়। এখানে ফিরতে পারলেই মিলবে এক পরিপূর্ণ আনন্দময় জীবনের আশ্বাস। এখানেই আছে আধুনিক শহুরে মানুষের সমস্ত যন্ত্রণার সুনিশ্চিত নিরাময়।

.তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে‘ – কাদের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যাংশ অনুসরণে তাদের দারিদ্র্য এবং নির্লোভতার প্রসঙ্গ আলোচনা করো।

উঃ- আলোচ্য উদ্ধৃতিটি সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাধারানী উপন্যাসের অন্তর্গত প্রথম পরিচ্ছেদ থেকে গৃহীত।এখানে রাধারাণীর কথা বলা হযেছে।

       পিতার অকস্মিক মৃত্যুতে সহায়-সম্বলহীনা রাধারাণী ও তার মা সম্পত্তিসংক্রান্ত মামলায় পরাজিত ও সর্বস্বান্ত হয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে এক নিতান্ত কুটিরে নিদারুণ দারিদ্র্যে দিনযাপন করতে থাকে। রথের পূর্বে রাধারাণীর মা গুরতর পীড়িতা হলে তার পথ্যের সংস্থানে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে মাহেশের রথের হাটে বিক্রয় করতে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে হাট ভেঙে যায়। । মালা বিক্রয়ে ব্যর্থমনোরথ হয়ে রাধারাণী যখন অশ্রুসজল চোখে বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়, তখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে এক আগন্তুকের অচেনা সেই আগন্তুক রাধারাণীর সঙ্গে কথোপকথনকালে তার অসহায়তার কথা জেনে মালা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। রাধারাণী দ্বিধাগ্রস্ত হয় উপকারী সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দাম গ্রহণে৷ শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তি দয়াপরবশ হয়ে মালার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করেন।কিন্তু অন্ধকারেও সেই টাকার পরিমাণ বেশি বোধ হওয়ায় রাধারাণী তাকে দাড়াতে বলে কারন সে আলো জ্বেলে পরখ করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে চায়।এছাড়া রাধারাণীর জন্য সেই ব্যক্তি  শাড়ি কিনে পাঠালে এমনকি একটা নোটও ফেলে যান তাদের বাড়িতে কিন্তু ফেলে যাওয়া নোটটি তারা ভাঙায় থাল তারা বর্তমানে দরিদ্র, অসহায় বলেই রুক্মিণীকুমার দান গ্রহণ করেছে তবে অতিরিক্ত অর্থের প্রতি তাদের কোনো লোভ ছিল না বলেই সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তারা তাঁর সন্ধান করেছিল।

Click Here To Download  The Pdf

RELATED POSTS

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!