Model Activity task 2021(August)
Class-6 Bengali( Part-5)
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট
ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ( পার্ট -৫)
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১. ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য। – ‘মরশুমের দিনে’ গদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো
উত্তর- ধান কাটার পর মাঠে যতদূর দৃষ্টি যায়, চোখে পড়ে রুক্ষ মাটির শুকনো ও কঙ্কালসার চেহারা এবং তারসাথে আলগুলি বুকের পাঁজরের মতো চেহারা। রোদের দিকে তাকানো যায় না। গোরুর গাড়ির চাকায়, মানুষের পায়ে মাটির ডেলা গুঁড়ো হয়ে রাস্তা হয়েছে আর সেই ধুলো কখনও ঘূর্ণিঝড়ে বা দমকা হাওয়ায় উড়ে এসে চোখে-মুখে ভরে যায়। বেলা বাড়তেই মাটি গরম হয়ে ওঠে। যারা মাঠে যায়, তারা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরে। পুকুর, নদী, খাল, বিল শুকিয়ে যায়। গাছে পাতা থাকে না। আগুনের হলকায় চারিদিকে হাহাকার শোনা যায়। রাখালেরা ছড়ি-পাঁচন হাতে বট অশ্বত্থ, আম-কাঁঠালের ছায়ায় বসে থাকে। মানুষ জলাশয়ের পাশের রাস্তা ধরে গাছপালার ছায়ায় যাতায়াত করে যাতে যেখানে হাতের কাছে একটু জল পাওয়া যায়
২. দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্র ‘হাট’ কবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তর – কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘হাট’ কবিতায় দূরে দূরে ছড়ানো দশ-বারোখানি গ্রামের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি হাটের ছবি ফুটে উঠেছে।
সারাদিন এই হাট অগুনতি মানুষের কোলাহলে মুখরিত থাকে, পণ্যসামগ্রী কেনা ও বেচা নিয়ে নিরন্তর দরাদরি চলে। নদীর এক পারের মানুষ অন্য পারে বেচার জন্যে জিনিস নিয়ে এলে খরিদ্দারেরা তাকে ঘিরে ধরে। সকলেই যাচাই করে নিতে চায়। তাদের হাতের ছোঁয়ায় সকালে গাছ থেকে পাড়া ফল বিকেলে মলিন হয়ে যায়।কেউ হয়তো লাভবান হয় আবার কেউ ক্ষতির মুখ দেখে।
বিকেলে হাট ভাঙ্গার পরে সন্ধ্যায় তার এক অন্য রুপ দেখায় যায়। হাটে প্রভাতে যেমন ঝাঁট পড়ে না, তেমনই সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বলে না। বেচাকেনা সেরে বিকেলবেলায় যখন সকলে ঘরে ফিরে যায়, তখন বকের পাখা সঞ্চালনের সঙ্গে প্রকৃতির বুকে নেমে আসে নিবিড় অন্ধকার। নদীর পাড় থেকে বয়ে আসা বাতাস বন্ধ দোকানগুলির জীর্ণ বাঁশের ফাক দিয়ে হাহাকারের মত আওয়াজ তুলে বয়ে যায়। এক একলা কাক যেন রাতকে দেখে আহবান জানায়, নিশুতি অন্ধকারে সকালে মানুষের ভিড়ে গম গম করে ওঠা হাট একলা পড়ে থাকে।
৩. ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে ?
উত্তর- সকল আদিবাসী উপজাতিই দেয়াল চিত্র অঙ্কন করলেও সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা অন্যদের থেকে সামান্য আলাদা। তাদের দেয়াল চিত্রে প্রধানত নানা জ্যামিতিক আকারের প্রাধান্য দেখা যায়। সেই সব চিত্রে থাকে লম্বা রঙ্গিন ফিতের মতো সমান্তরাল রেখা, চতুস্কোন ও ত্রিভুজ। চতুষ্কোণের ভিতর চতুষ্কোন বসিয়ে বা ত্রিভুজের ভিতরে ত্রিভুজ বসিয়ে নকশা করা হয়। মুল বেদীতিকে কালো করা হয়। তার উওর চওড়া রঙিন সমান্তরাল রেখা আঁকা হয় এবং তার উপরে সাদা, গেরুয়া, আকাশি ও হলদে রঙের ত্রিভুজ ও চতুষ্কোণের নকশা কাটা হয়। এইভাবে প্রায় ৬ ফুট উচু চিত্র অঙ্কন করা হয়।
৪. ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে।’ — আলোচনা করো।
উত্তর- ‘পিঁপড়ে’কবিতায় কবি পিঁপড়েকে সহানুভূতির চোখে দেখেছেন। তিনি প্রথমেই বলেছেন, ‘আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে। এই ‘আহা, ‘ছোটো’কথাগুলি থেকে বোঝা যায়, পিঁপড়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অভ্যস্ত গভীর। কবি পিঁপড়ের ব্যস্ত চলাফেরার মধ্যে মানুষের ব্যস্ততার মিল খুঁজে পান, অর্থাৎ তিনি পিঁপড়েদের ক্ষুদ্র, তুচ্ছ, অপ্রতুল মনে করেন না। সাধারণত লোকে যেখানে এই তুচ্ছ পিঁপড়েকে পায়ে মাড়িয়ে চলে কিংবা নানা ওষুধ দিয়ে মেরে ফেলে, কবি সেখানে আশা করেছেন এই পৃথিবী যেমন সবাইকে আদরে ঘিরে রেখেছে, সেখানে যেন পিঁপড়েদেরও স্থান হয়। এই সব সহানুভুতিপুর্ন উক্তি থেকেই কবির পিঁপড়েদের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।
৫. ‘ফাকি’গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ।’— উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য ?
উত্তর – লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের লেখা ‘ফাঁকি’ গল্পের কেন্দ্রবিন্দু একটি আম গাছ। গোপালের বাবার তৈরি একটি কলমি আমগাছের চারা বসানোর পর ধীরে ধীরে নিজের চেষ্টায় তা বেড়ে উঠেছিল এবং বিশাল জায়গা জুড়ে তার আভিজাত্য বিস্তার করেছিল। বাড়ির লোকজন যেমন প্রতিমুহূর্তে তার দেখাশোনা করত তেমন পাড়ার লোক বা ছেলেরাও তার নীচে খেলাধুলো, গল্প করা, বই পড়া, দোল খাওয়া আরম্ভ করেছিল। গাছের পাতা, ডাল নিত্যকার কাজের জিনিস হয়ে উঠেছিল। এইভাবে বিরাট আকারের এই গাছটি গোপালের বাড়ির নিশানায় পরিণত হয়। বাড়ির হাঁদা ছেলেকে যেমন সবাই আদর করে গায়ে হাত বোলায়, তেমনই গাছটির ফল ও গাছের গায়ে পাতায় হাত বুলিয়ে বাড়ির অন্যরা যেন তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল। একদিন আষাঢ়ের ঝড়ে , উই ধরে ফোঁপরা হয়ে যাওয়া গাছটি পড়ে গেলে শুধু গোপালদের বাড়ির লোকই নয়, পাড়ার সব লোক দুঃখ প্রকাশ করে। এইভাবে আমগাছ লাগানো, তার বেড়ে ওঠা, বছরে একবার গুটিকতক ফল দিয়ে বাড়ির লোককে খুশি করা ও সবশেষে তার ঝড়ে হঠাত করে তার ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়াই গল্পের মুল বিষয়বস্তু। তাই বলা যেতে পারে উদ্ধৃতিটি সম্পুর্ণ্রুপে সমর্থনযোগ্য।
৬. পৃথিবী সবারই হোক।’— এই আশীবাণী আশীর্বাদ’গল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে ?
উত্তর- দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদারের ‘আশীর্বাদ’গল্পে উক্ত কথাটির বক্তা হল পিঁপড়ে। একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টির সময় পিঁপড়ে আশ্রয় নিয়েছিল এক ঘাসের পাতার নীচে। তাদের কথাবার্তায় বোঝা যায় পিঁপড়ে মাটির নীচে আর ঘাস মাটির উপরে থাকলেও আসলে মাটি তাদের দুজনের । তারপর বৃষ্টি এসে তাদের সাথে গল্প জমালে জানা যায় এই ঘাসের দল বৃষ্টির জন্যই আবার ধুলো ঝেড়ে উঠে বসে। এভাবেই বোঝা যায় যে পৃথিবীতে সবারই প্রয়োজন আছে। তাই পিঁপড়ে সকলের উদ্দেশ্যে আশিস জানাল যে এই পৃথিবীর রং, রস রুপ যেন সকলের প্রাপ্য হয়।
৭. “ছোট্ট গাড়ির মধ্যে যতটা আরাম করে বসা যায় বসেছি। – এর পরবর্তী ঘটনাক্রম ‘এক ভূতুড়ে কাণ্ড’গল্প অনুসরণে লেখো।
উত্তর – ‘এক ভূতুড়ে কাণ্ড’ গল্পে আমরা দেখতে পাই যে নির্জন জায়গায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে লেখক চরম বিপদে পড়েন। প্রথমে একটি লরি আসে কিন্তু সেটি লেখককে উদ্ধার করে না। তারপর একটি ধীর গতির বেবি অস্টিন মোটরগাড়ি আসে। লেখক মরিয়া হয়ে চলন্ত গাড়িতেই উঠে পড়েন। গাড়িতে উঠে তিনি দেখেন যে, গাড়ি চলছে কিন্তু তার ড্রাইভার নেই আর সাথে ইঞ্জিনও চালু নেই। লেখক প্রথমে ভূতের ভয়ে চমকে ওঠেন। ধীরে ধীরে সংবিৎ ফেরে তাঁর গাড়ির সিটের আরাম লেখকের আলস্যকে জাগিয়ে দেয়। তাই চালকবিহীন চলন্ত গাড়ী যে আসলে ভুতুড়ে এটা মনে হলেও লেখক সেই গাড়িতেই বসে থাকেন। অবশেষে এক রেলওয়ে ক্রসিং এর সামনে এসেও যখন গাড়িটি থামার কোন লক্ষণ দেখা যায় না তখন তিনি প্রান বাঁচাতে সেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন। কিন্তু অবাক হয়ে দেখেন গাড়িটিও থেমেছে এবং তার পিছন থেকে একজন চশমা পরা ব্যক্তি বেরিয়ে আসেন। তার কথায় সব রহস্যের সমাধান হয় যে আসলে মাঝপথে তার গাড়িটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় তিনি এতটা পথ গাড়িটিকে ঠেলে আনছিলেন, এবং লেখকের সাহায্য পেলে তার খুব উপকার হবে। লেখক ভুতুড়ে গাড়ি ভেবে অকারণ ভয় পেয়েছিলেন।
৮. ‘এক যে ছিল ছোট্ট হলুদ বাঘ’— ‘বাঘ’কবিতা অনুসরণে তার কীর্তিকলাপের পরিচয় দাও।
উত্তর- নবনীতা দেবসেনের ‘বাঘ’ কবিতায় একটি ছোট্ট বাঘের রাগ, দুঃখ ও নানা কর্মকাণ্ডের পরিচয় পাওয়া যায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে সে থাকত পাখিরালয়ে। সেখানে শুধুই পাখি ছিল। ছাগল, ভেড়া, হরিণ কিছুই নেই। খিদের চোটে মনে রাগ ও অসন্তোষ নিয়ে পাখি ধরতেই সে লাফ দেয়। কিন্তু পাখিরা উড়ে পালায়। তাতে সে আরও রেগে যায়।এরপর খিদে মেটানোর জন্য সে নদীর ধারে যায় কাঁকড়া ধরতে। জানত না যে দাঁড়া দিয়ে কাঁকড়া চিমটে ধরে। বাঘছানা গর্তে থাবা ঢোকাতেই কাঁকড়া তার দাঁড়া দিয়ে থাবা চিমটে ধরে। যন্ত্রণায় কেঁদে ওঠে সে। তার বাবা এসে তাকে বিপদ থেকে মুক্ত করে। এরপর সে আবার মাছ ধরতে যায় জলকাদায়, কিন্ত তার এ কাজে লজ্জা পেয়ে তার মা বলেন তার ভোঁদড়ের মত মাছ ধরা উচিত নয়, কারন সে আসলে বাঘ। অবশেষে ছানার কষ্ট দেখে তার বাবা মা সজনেখোলায় বাড়ি বদলালেন এবং বাঘছানা ভুলেও আর পাখিরালয়ে যায় না।
Click Here To Download The Pdf
আমার এটা খুব ভালো লেগেছে
Wathare..you
Nice but ans is so big
True
🙂🙂🙂Nice
খুবই ভালো উদ্যোগ❤️
অসংখ্য ধন্যবাদ
আর
Emni bhalo kintu koekti prosner uttor ektu sonsodhon kora dorkar
Nice but answer is si big
The answer is so big but nice,😘😘😘😘😘😘😘
Very good
Thanks🙏🙏🙏🙏☺️☺️☺️
The answer is very big but nich. ❤❤❤❤❤
Nice but so big
Nice
Kutti answer so big but nice and very good
Nice