Saturday, November 23, 2024
HomeModel ActivityClass 8Model Activity Task 2021 Part 8 Model Activity Task Compilation | Class-...

Model Activity Task 2021 Part 8 Model Activity Task Compilation | Class- 8 | Bengali মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | Part- 8 অষ্টম শ্রেণী| বাংলা  | পার্ট – ৮ পূর্ণমান- ৫০

Model Activity Task 2021 Part 8

Model Activity Task Compilation | Class- 8 | Bengali

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | Part- 8

অষ্টম শ্রেণী| বাংলা  | পার্ট

পূর্ণমান- ৫০

১। সঠিক উত্তরটি বেঁছে নিয়ে লেখোঃ
. ————- বিষয়ে পৃথিবীতে কোন জাতিই আরবদিগের তুল্য নহে।
ক)যুদ্ধবিগ্রহ    খ)দয়াপ্রদর্শন     গ)বৈরসাধন ঘ)আতিথেয়তা
১.২’আমার কাছে কিরূপ আচরণ প্রত্যাশা কর?’ বক্তা হলেন—
ক)সেলুকস )সেকেন্দার       গ)পুরু         ঘ)চন্দ্রগুপ্ত
১.৩’পশ্চিমে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়।‘—টেনিদাকে একথা বলেছে—
ক) হাবুল সেন       ) ক্যাবলা গ)প্যালা      ঘ)ভন্টা
১.৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেই জাহাজ থেকে তাঁর বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠি লিখেছিলেন সেটির নাম—
ক)ভার্সাই     )সীলোন  গ)মলটা       ঘ) টাইটানিক
১.৫ কবি মৃদুল দাশগুপ্তের লেখা প্রথম উপন্যাস-
ক) এভাবে কাঁদে না খ) সুর্যাস্তে নির্মিত ঘর গ) জলপাই কাঠের এসরাজ ঘ)ঝিকিমিকি ঝিরিঝিরি
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
২.১’ মান্ধাতারই আমল থেকে/ চলে আসছে এমনি রকম’ – কোন প্রসঙ্গে কবি একথা বলেছেন?
উঃ উদ্ধৃত পঙ্কতিটি  কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বোঝাপড়া’ কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে।
          মানুষের ভাগ্য চিরদিন একইরকম থাকে না। তাই একজন মানুষ কিছুটা সুখ ভোগ করার পরেই আসে দুঃখ, তখন হয়তো অপর ব্যাক্তি সুখ ভোগের সৌভাগ্য লাভ করে। এই প্রসঙ্গেই কবি বলেছেন যে মান্ধাতার আমল থেকে সুখ দুঃখের আবর্তন ঘটে চলেছে।
২.২’ আমা অপেক্ষা আপনার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই’—বক্তার একথা বলার কারণ কি?
উঃ উদ্ধৃত উক্তিতির বক্তা হলেন আরব সেনাপতি। মুর সেনাপতি অজান্তেই তাঁর শ্ত্রু শিবিরে এসে আশ্রয় গ্রহন করেছিলেন। আরবদের অতুলনীয়  আতিথেয়তা উপভোগ করে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান এবং গল্প করতে করতে প্রকাশ পায় যে মুর সেনাপতি আরব সেনাপতির পিতার হত্যাকারী। তাই  প্রতিশোধপরায়ন আরবসেনাপতি বলেছিলেন যে এই বিপক্ষ শিবিরে তিনি মুর সেনাপতির সবথেকে বড় শত্রু।
২.৩ ‘অ্যান্টিগোনাস! তোমার এই ঔদ্ধত্যের জন্য তোমায় আমার সাম্রাজ্য থেকে নির্বাসিত করলাম।‘-আন্টিগোন্স কোন ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে?
উঃ আন্টিগোনস সেকেন্দারের সেনাবাহিনীর একজন সেনাধ্যক্ষ। কিন্তু তিনি বয়স ও সম্মানে বড় সেনাপতি সেলুকাসকে সম্রাট সেকেন্দারের সামনেই বিস্বাসঘাতক বলে অভিযুক্ত করেন এবং তরবারি বের করে তাঁর সঙ্গে সমরে নিযুক্ত হন। সম্রাটের বিচারের অপেক্ষা না করেই, নিজে সেনাপতিকে সম্রাটের সামনে আঘাত করে তিনি চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছিল।
২.৪ ‘ তোদের মত উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলোচনাও ঝকমারি !’—কোন কথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল?
উঃ টেনিদা , হাবুল , প্যালা ও ক্যাবলা পিকনিকের পরিকল্পনা করছিল। টেনিদা মুর্গ মুসল্লম, বিরিয়ানি, পোলাও, চাউ চাউ ইত্যাদি ভালো ভালো খাবারের নাম বললেও প্যালা হঠাৎ করেই আলুভাজা, শুক্ত, বাটিচচ্চড়ি ইত্যাদি খাবারের কথা উল্লেখ করে। ভালো ভালো খাবারের মাঝে এইসব সাধারন খাবারের নাম শুনেই বিরক্ত হয়ে ও রেগে গিয়ে টেনিদা এই মন্তব্য করেছিল।
২.৫’কৌতুহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে’—চড়ুই পাখির চোখে কৌতুহল কেন?
উঃ কবি তারাপদ রায়ের ঘরে একটি চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছে। সে কৌতুহলী চোখে কবির ঘরের জানলা, দরজা, টেবিলের উপরে রাখা ফুলদানি, বই, খাতা ইত্যাদি দেখে। আসলে মানুষের ব্যবহার করা নানা জিনিষ সম্পর্কে তার বিশেষ কৌতূহল।
২.৬. ‘ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা মাথায় বজ্রঘাত!’ – বুকুর কোন্কোথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন?
উঃ- আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘কী করে বুঝব’ গল্পে বুকুর মুখে উত্তরপাড়া থেকে ছেনু মাসিরা এসেছেন শুনে বুকুর মা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু অতিথিদের সামনে এসে তিনি ভীষণ আনন্দের সঙ্গে তাদের অভ্যর্থনা জানান ।মায়ের এই পরিবর্তন দেখে বুকু হঠাৎ সবার সামনে মাকে প্রশ্ন করে বসে যে সে কেন তবে অখুশি হয়ে অসময়ে অথিতি আসায় বিরক্তি প্রকাশ করছিল? বুকুর এই কথাগুলো শুনেই তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পরেন।
২.৭  ‘রমেশ অবাক হইয়া কহিল, ব্যাপার কী?’ – উত্তরে চাষিরা কী বলেছিল?
উঃ শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা ‘পল্লীসমাজ পাঠ্যাংশ থেকে জানা যায় যে গ্রামের চাষিদের একমাত্র ভরসা ছিল গাঁয়ের একশো বিঘা জমি। কিন্তু টানা বৃষ্টির ফলে সেই জমিতে জল জমে গ্যাছে। জল না বের করলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।এই গভীর বিপদ থেকে রক্ষা পেতেই তারা দয়ালু জমিদার রমেশের কাছে এসে কেঁদে পড়েছিল ।
২.৮  ‘গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।‘ – লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উঃ লেখক জগদীশচন্দ্র বসু গাছকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়েছে, গাছের বৈশিষ্ট্যগুলি মানুষের মধ্যেকার নানান স্বভাব বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। মানুষের মতো এদের জীবনেও অভাব-অনটন এবং দুঃখকষ্ট আছে। মানুষের মধ্যে যেমন সদগুণ আছে, এদের মধ্যেও সেই সগুণের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। তাই লেখক এমন মন্তব্য করেছেন।
২.৯  ‘তবু নেই, সে তো নেই, নেই রে‘ – কী না থাকার যন্ত্রণা পঙ্‌ক্তিটিতে মর্মরিত হয়ে উঠেছে?
উঃ বুদ্ধদেব বসুর লেখা ‘হাওয়ার গান কবিতায় হাওয়াদের বাড়ি নেই অর্থাৎ, আশ্রয় নেই।  হাওয়াদের বাড়ি না-থাকায় তারা পৃথিবীর সর্বত্র জলে-স্থলে, পাহাড়ে, বনজঙ্গলে বাড়ির খোঁজ করে বেড়ায়। তাদের এই কোনো স্থায়ী ঠিকানা বা আপন  আশ্রয় না থাকার যন্ত্রণা পঙ্‌ক্তিটিতে মর্মরিত হয়ে উঠেছে
২.১০ছন্দহীন বুনো চালতার‘ – ‘বুনো চালতাকে ছন্দহীন বলা হয়েছে কেন?
উঃ কবি জীবনানন্দ দাশ পাড়াগাঁর দ্বিপ্রহরকে ভালোবাসেন। সেই নিঝুম দুপুরে জলসিড়ি নদীর পাশে বুনো চালতার শাখাগুলি নুয়ে পড়ে, জলে তাদের মুখ দেখা যায়। কিন্তু বাতাসহীন দুপুরে বুনো চালতার ডালে  কোন দোলন দেখা যায় না। প্রকৃতিতে যেন ভিজে বেদনার গল্প আকাশের নীচে কেঁদে কেঁদে ভেসে বেড়াচ্ছে। আর সেই বেদনাতেই বুনো চালতা ছন্দহীন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাওঃ
৩.১পরবাসীকবিতায় শেষ চারটি পঙক্তিতে কবির প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করার তাৎপর্যয় বিশ্লেষণ কর।
উঃ বিষ্ণু দে-র ‘পরবাসী’ কবিতাটির শেষ স্তবকের চারটি বাক্যে কবি চারটি জিজ্ঞাসা চিহ্ন ব্যবহার করেছেন, যা কবিতাটিকে বিশেষ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। ‘পরবাসী’ কবিতার শেষ স্তবকে কাব্যালংকারের বিশিষ্ট প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। কবি যেন তির্যক, তীক্ষ্ণ প্রশ্নের কশাঘাতে মানুষের, বিশেষত ব্যাবসাজীবী, মানুষের বিবেককে জাগিয়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন। সভ্যতার আগ্রাসনে পৃথিবীর নদী, পাহাড়, গাছ লুপ্ত হচ্ছে। বনবাসী প্রাণীরা হারিয়ে যেতে বসেছে। নিজের দেশেই মানুষ উদ্বাস্তুর মত ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হয়েছে। তারা স্থায়ী স্বাভাবিক, চিরপ্রত্যাশিত নিজস্ব বাসস্থান গড়ে তুলতে পারে না। কবি এখানেই প্রকৃতির স্বাভাবিকতাকে পেতে আগ্রহী। শেষ স্তবকে কবির একাধিক প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে আমরা তাঁর বন্যপ্রাণ, বণ্যপ্রাণী তথা প্রকৃতি প্রেমের পরিচয় পাই।
৩.২আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প‘ – গল্পটি বিবৃত করো।
উঃ গল্পটি হল, নাটোরে অনুষ্ঠিত প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে বাংলা ভাষার প্রচলন। লেখক-শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্যদের সঙ্গে গিয়েছিলেন নাটোরে। সে এক হৈ হৈ রৈ রৈ ব্যাপার। প্রথমে স্পেশাল ট্রেন ও পরে স্টিমারে করে পদ্মা পেরিয়ে নাটোর। এই সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি নাটোর-মহারাজ জগদিন্দ্রনাথ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় এক রাজকীয় আয়োজন। যেমন— খাওয়াদাওয়া, তেমনই অন্যান্য সব ব্যবস্থা। তারপর যথারীতি শুরু হয় গোলটেবিল বৈঠক এবং বক্তৃতা। ইংরেজিতে যেই বক্তৃতা শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে ‘বাংলা, বাংলা’ বলে অবনীন্দ্রনাথ ও তাঁর সঙ্গীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর কেউ আর ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে পারেননি। এমনকি ইংরেজি দুরস্ত লালমোহন ঘোষও শেষপর্যন্ত বাংলায় বলতে বাধ্য হন। এটি লেখকের মনে রাখার মতোই ঘটনা। এভাবেই কনফারেন্সে বাংলা ভাষা চালু হয়। এ সম্পর্কে লেখক জানান, সেই প্রথম তারা বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও।
৪.১ দল বিশ্লেষণ করে দল চিহ্নিত করো
ইস্টিশান= ইস + টি+ শান ( ইস ও শান রুদ্ধদল , টি মুক্তদল )
বাগুইআটি= বা +গুই+ আ + টি ( বা, গুই, আ, টি চারটি মুক্তদল)
দর্শনমাত্র= দর + শন + মাত+ র (দর, শন, মাত, তিনটি রুদ্ধদল র একটি মুক্তদল )
ক্ষিপ্রহস্ত= ক্ষিপ+ র+ হস+ ত ( ক্ষিপ, , হস, ত তিনটি   রুদ্ধদল র একটি মুক্তদল )
অদ্ভুতরকম= অদ+ ভূত+ র+ কম ( অদ, ভূত, কম তিনটি   রুদ্ধদল র একটি মুক্তদল )
. উদাহরণ দাও
মধ্যস্বরাগম= কর্ম > করম
স্বরভক্তি= ভক্তি>ভকতি
অন্তঃ স্থ শ্রুতি=দু’এক > দুয়েক
অন্ত্যস্বরলোপ অনোন্য স্বরসংগতি= যদু>যোদো
৫.  বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে – নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো।
তারিখ: ১২-০৭-২০২১
সম্পাদক
যুগান্তর পত্রিকা
ধারাকান্দী, গৌরীপুর-২২৭০, কলকাতা
 বিষয়: নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবেদন
 মহাশয়,
            বাংলা একটি নদীপ্রধান এলাকা। নদী যেমন আমাদের জল, পলি দিয়ে সমৃদ্ধ করে ঠিক তেমনি প্রচণ্ড বন্যায় নদীর নিকটবর্তী এলাকাগুলি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়। প্রতি বছর মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও হুগলির খানাকুল বন্যার প্রকোপে জলমগ্ন হয়। কিন্তু তাই নয় বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে, গৃহহীন ও সম্পদহীন হয়ে যাচ্ছে  হাজার হাজার কৃষক।
            এই প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। নদীর তীরবর্তী এলাকায় যেখানে পাড় সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা আছে সেখানে বাধ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারী ও এলাকার মানুষের উদ্যোগে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে এবং ক্ষয়প্রবণ অঞ্ছল থেকে বসতি সরিয়ে আনতে হবে।
নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় জনগুরুত্বপূর্ণ পত্রটি প্রকাশ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।
বিনীত-
স্মৃতি মজুমদার
নদীয়া
Click Here To Download The Pdf
RELATED POSTS

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!