Model Activity Task 2021 October
Model Activity Task Part –7| Class- 8| History
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | অক্টোবর
অষ্টম শ্রেণী| ইতিহাস| পার্ট –৭
১. ‘ক‘ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ‘ স্তম্ভ মেলাওঃ
উ:-
‘ক‘ স্তম্ভ | ‘খ‘ স্তম্ভ |
১.১ আত্মীয় সভা | (খ) রামমোহন রায় |
১.২ জাতীয় মেলা | (ঘ)নবগোপাল মিত্র |
১.৩ সত্মশোধক সমাজ | (ক) জ্যোতিরাও ফুলে |
১.৪ আর্য সমাজ | (গ) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী |
২. শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ সাগরে কন্যাশিশু ভাসিয়ে দেওয়ার প্রথা নিষিদ্ধ করেন লর্ড ওয়েলেসলি |
২.২ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে বিধবা বিবাহ আন্দোলন শুরু হয় বীরেশলিঙ্গম পানতুলু _নেতৃত্বে।
২.৩ আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন _স্যার সৈয়দ আহমেদ খা___ |
২.৪ স্বামী বিবেকানন্দ _শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন।
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ বারাসাত বিদ্রোহ কী?
উ:- বারাসাত অঞ্চলের মির নিসার আলি (তিতুমির) ওয়াহাবি মতামতে অনুপ্রাণিত হন। তিতুমিরের নেতৃত্বেই নারকেলবেড়িয়া অঞ্চলে ওয়াহাবি আন্দোলন শুরু হয়। নদিয়া, ফরিদপুর প্রভৃতি অঞলেও ওয়াহাবি বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। তিতুমিরের আন্দোলন স্থানীয় জমিদার, নীলকর ও ব্রিটিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়।বিদ্রোহ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই তিতুমির ঘোষণা করেন কোম্পানি সরকারের শাসন শেষ হয়ে আসছে। বারাসাত অঞ্চলে একটি বাঁশের কেল্লা বানিয়ে নিজে বাদশাহ উপাধি নেন তিতু।একেই বারাসাত বিদ্রোহ বলে। অবশ্য নারকেলবেড়িয়া বা বারাসাত বিদ্রোহ দমন করার জন্য ব্রিটিশ-মধ্যে বাহিনী কামান দেগে বাঁশের কেল্লা ধ্বংস করে দেয় (১৮৩১ খ্রি:)।
৩.২ ‘নব্যবঙ্গ’ নামে কারা পরিচিত ছিলেন?
উ:- নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী: কলকাতার হিন্দু কলেজের শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও-র অনুগামী ছাত্রদের একসঙ্গে নব্যবঙ্গ বা ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী বলা হত। এদের ‘ডিরোজিয়ান’ বা ‘জিরোজিও পন্থী’-ও বলা হত। উনিশ শতকের বিশ, ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী নতুন চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেন।
৩.৩ মোপালা বিদ্রোহ কেন হয়েছিল?
উ:- মোপালা বিদ্রোহের কারণ দক্ষিণ ভারতের মালাবারের মোপালারা ছিলেন দরিদ্র কৃষক, কৃষি শ্রমিক, ছোটো ব্যবসায়ী ও জেলে। সেখানের গরিব কৃষকদের ওপর রাজস্বের বোঝা ও বিভিন্ন বেআইনি কর ব্রিটিশরা চাপিয়ে দিয়েছিল। জমিতে কৃষকদের অধিকারও অস্বীকার করা হয়। এইগুলি ছিল মোপালা বিদ্রোহের কারণ।
৪. চার–পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ সাঁওতাল বিদ্রোহের সমর্থনে ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ কেমন ভূমিকা পালন করেছিল?
উ:- সাঁওতাল বিদ্রোহের খবর কলকাতায় পৌঁছানোর পরে শিক্ষিত হিন্দু বাঙালিদের অনেকেই ঐ বিদ্রোহের বিরোধিতা করেন। এর অন্যতম ব্যতিক্রম ছিলেন হিন্দু প্যাট্রিয়ট সংবাদপত্রের সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। তিনি সত্য উদঘাটন কোরে বলেন সাওতালদের বিনা পারিশ্রমিকে জোর করে বেগার খাটানো হয়েছে। তাছাড়া অতিরিক্ত খাজনা দিতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে। হরিশচন্দ্র বলেন, যারা শান্তিপ্রিয় সাঁওতালদের উপর অত্যাচার করে তাদের বিদ্রোহ করতে বাধ্য করেছে, তাদেরই শাস্তি হওয়া উচিৎ। সাঁওতালদের শাস্তি প্রাপ্য নয়। সাঁওতালরা শুধু চায় নিজেদের জঙ্গল ও উপত্যকার মধ্যে স্বাধীনভাবে জীবন যাপনের অধিকার।
৪.২ ১৮৫৭–র বিদ্রোহের পর প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দুটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের উল্লেখ করো।
উ:-
ভাইসবয় পদের সৃষ্টি:মহাবিদ্রোহের পর ইংল্যান্ডে কোম্পানির ভারত প্রশাসন সংক্রান্ত বিষয়ে সংস্কার করা হয়। ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে পিটের ভারত আইন অনুসারে ‘বোর্ড অফ কন্ট্রোল’, ‘কোর্ট অফ ডাইরেক্টরস’, ‘সিক্রেট কমিটি’ লন্ডন থেকে ভারতীয় প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করত। এখন এই সংস্যাগুলি বাতিল করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট ইন্ডিয়া কাউন্সিল গঠিত হয়। এর সভাপতি হন ভারত সচিব (Secretary of the State for India)। তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার ভারত বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত একজন মন্ত্রী ছিলেন। তিনি তাঁর কাজের জন্য পার্লামেন্টের কাছে দায়ী থাকতেন। এ ছাড়া গভর্নর জেনারেল পদের নাম পরিবর্তন করে ভাইসরয় করা হয়। ভারতের প্রথম ভাইসরয় হন লর্ড ক্যানিং।
আইন পরিষদে ভারতীয়দের গ্রহণ:মহাবিদ্রোহের পর ভারতীয় প্রশাসনের সংস্কার সাধিত হয়। এ যাবৎ ভারতীয় প্রশাসনে ভারতীয়দের যোগদানের ব্যবস্থা ছিল না। মহাবিদ্রোহের পর ভারতীয় প্রশাসনে ভারতবাসীর মতামত গ্রহণের জন্য ভারতীয় পরিষদীয় আইন (Indian Council Act-1861) পাস হয়। এই আইন অনুসারে বড়োলাট বা ভাইসরয় এর আইন পরিষদের সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয় এবং সেখানে ভারতীয়দের নিযুক্তির ব্যবস্থা করা হয়। একইভাবে প্রদেশগুলিতেও (বাংলা, মাদ্রাজ ও বোম্বাই) ছোটোলাট বা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পরিষদে ভারতীয় সদস্য নিযুক্ত করা হয়।
Click Here To Download The Pdf