Class 8 Bengali Model Activity 2021 ( Part -1)
Click Here To Download the question Paper
১. “সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়“- কবির মতে সবার চেয়ে শ্রেয় কি?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “বোঝাপড়া” কবিতায় এই উক্তিটি করেছেন।
জীবনের চলার পথে নানান বাধা, ঝড়-ঝঞ্জা অর্থাৎ দুঃখ-কষ্ট আসবে। উত্তাল সমুদ্রে আশায় বুক বেধে যেভাবে নাবিক তার নৌকাকে ভাসিয়ে রাখে সেভাবেই এই সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আমাদের জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতি আসুক না কেন দুঃখ বিলাপ না করে কিভাবে সেই বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাই সব থেকে শ্রেষ্ঠ উপায় ।
২. “তদ বিষয়ে যথোপযুক্ত আনুকূল্য করিব” – বক্তা কোন বিষয়ে আনুকূল্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন?
উঃ বিদ্যাসাগর রচিত “অদ্ভুত আতিথেয়তা” গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
আরব সেনাপতি বক্তা হিসেবে এ কথা বলেছেন। মুর সেনাপতি দিকভ্রষ্ট হয়ে বিপক্ষ শিবিরে গিয়ে পৌঁছায়, মুর সেনাপতি কে আরব সেনাপতি অতিথি আপ্যায়ন করেন। তারপর ভোরবেলা মুর সেনাপতি যাতে দ্রুত আরব শিবির থেকে প্রস্থান করতে পারেন তার জন্য ঘোড়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আরব সেনাপতি ।
৩. “এই রইল তোদের পিকনিক– আমি চললুম“- বক্তা কে?কেনো তিনি পিকনিকে থাকতে চাননি?
উঃ নারায়ন গঙ্গোপাদ্ধ্যায়ের লেখা “ বনভোজনের ব্যাপার “ গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
-এখানে বক্তা হল টেনিদা।
বনভোজনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আলোচনার সময় টেনিদা ভালো ভালো খাবার অর্থাৎ বিরিয়ানি , কোর্মা ,পোলাও ইত্যাদির নাম নিলেও প্যালা ও ক্যাবলা ক্রমাগত আলু ভাজা ,শুক্ত , কুঁদরুর তরকারি ইত্যাদি সাধারন খাবারের নাম করায় টেনিদা ক্রদ্ধ হয়ে যান, এইজন্য টেনিদা পিকনিকে থাকতে চাননি।
৪.”পরবাসী কবে নিজ বাসভূমি গড়বে?” কবির মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে কেন?
উঃ পরবাসীর কবিতাটির প্রথমেই কবি বিষ্ণু দে প্রকৃতির বৈচিত্রের কথা বলেছেন। কবি বলেছেন প্রকৃতি ছাড়া মানুষ অসহায়, মানুষ ছাড়া প্রকৃতি প্রাণহীন। উভয়ে উভয়ের পরিপূরক। প্রকৃতি মানুষকে লালন করে কিন্তু মানুষ তার সভ্যতার সীমানা বাড়াতে বাড়াতে প্রতিনিয়ত অরন্য প্রকৃতি ধ্বংস করছে। শুধু অরন্য নই বনের জীবজন্তুরাও আমাদের হাতে শিকার হচ্ছে। কবির কাছে তাঁর প্রিয় দেশের এই পরিণতি সহ্য করা ছিল অসহ্য। আবেগহীন, ভালবাসাহীন এই দেশকে কবি নিজের দেশ বলে আর ভাবতে পারছিলেন না। আর এই মানসিক তথা সামাজিক বিপর্যয়গ্রস্ত সমাজে কবি সৌন্দর্যময় বিশ্ব প্রকৃতির চিরকালীন রূপের সন্ধান পান না বলেই নিজভূমে নিজেকে ‘পরবাসী বলেছেন এবং প্রকৃতির কোলে নিজের স্থায়ী বাসভুমি গড়তে চাইছেন।
৫. “এইভাবে আমরা দেহরাদুন এক্সপ্রেসের সেই থার্ড ক্লাস গাড়ি খানাতে যেন এক পশতু সাহিত্য গোষ্ঠী বা সম্মেলন লাগিয়ে দিলুম“- লেখকের বক্তব্য অনুসরণে সেই পরিস্থিতির বিবরণ দাও।
উঃসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের “পথচলতি” গদ্যাংশে কথক একথা বলেছেন।
দেরাদুন এক্সপ্রেসে গয়া থেকে কলকাতা ফেরার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। অনেক সময় পথচলতি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অকৃত্রিম আন্তরিকতা ফুটে ওঠে, সাহিত্যের সাধ ও মেলে তেমনই এই গল্পে লেখক দেখিয়েছেন কথক নিজের বুদ্ধির দ্বারা থার্ড ক্লাসে একদল পাঠান কাবুলিওয়ালাদের মাঝে নিজের স্থান করে নেন এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ফার্সি ভাষায় কথা বলেন এবং তখন এ পশতু সাহিত্য গোষ্ঠী বা সম্মেলন শুরু হয় খুশ হাল খা খট্টরের গজল বিষয়ে প্রশ্নের মাধ্যমে। ঔরঙ্গ জেবের সমকালীন এই কবি পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ট কবি। লেখোকের আগ্রহে একজন সহযাত্রী গজল শোনালেন এরপর হলো আদম খান আর দুরি খনির মহব্বতের কিসসা কথা শুধু লেখকই নন গাড়ির সমস্ত যাত্রীরা অবধারিতভাবে মন দিয়ে সে কাহিনী শুনল। পাঠানের গলা যদিও কর্কশ তবে সে গুরু গম্ভীরভাবে কাহিনীটি কিছুটা গান করে আবার কিছুটা পাঠ করে সবাইকে মোহিত করে রাখলো। এভাবে সেই তৃতীয় শ্রেণীর গাড়িতে গানে আবৃতিতে ও পাঠে যেন পশতু এর সাহিত্য গোষ্ঠী বা সম্মেলন হল।
৬.”এসব আমারই হবে; আমাকেই দেবেন বিধাতা” ভাবনাটি কার? বিধাতা তাকে কি কি দেবেন বলে সে মনে করে?
উঃ তারাপদ রায়ের লেখা “একটি চড়ুই পাখি” কবিতায় ভাবনাটি এক চড়ুই পাখির।
একটি চড়ুই পাখি কথকের ঘরে বাসা বেঁধেছে। সে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসে। চড়ুই পাখিটি ভাবে ঘরে থাকা মানুষটি অর্থাৎ কথক চলে গেলে এই ঘর তার হয়ে যাবে।বিধাতা ঘরের জানালা, দরজা, টেবিল, ফুলদানি, বই- খাতা সবই তাকে অর্থাৎ চড়ুই পাখিটিকে দিয়ে দেবেন।
৭. দল বিশ্লেষণ করে মুক্ত দল ও রুদ্ধ দল চিহ্নিত করো।
সম্ভাষণ= সম(রুদ্ধ) + ভা(মুক্ত) + ষন(রুদ্ধ) । অর্থাৎ একটি রুদ্ধ দল ও একটি মুক্ত দল আছে।
৮. উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়– প্রবাদটি ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করে বুঝিয়ে দাও।
উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায় এর অর্থ শুরু দেখে ভবিষ্যৎ অনুমান করা যায়।
যেমন – এই বয়েসেই ছেলেটি পড়াশুনায় মনোযোগী তাতে মনে হয় যে কালে কালে বড় মানুষ হয়ে উঠবে,এ যেনো উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়।