ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়|
খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ
অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর সমাধান
১ সঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর
১.১ মহাজনপদ্গুলি গড়ে উঠেছিল খ্রিস্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতকে
১.২ গৌতম বুদ্ধ জন্মে ছিলেন শাক্য বংশে
১.৩ পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈন তীর্থঙ্কর
১.৪ আর্য সত্য বৌদ্ধ ধর্মের অংশ
২ ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মেলাওঃ
ক স্তম্ভ |
খ স্তম্ভ |
মগধের রাজধানী |
রাজগৃহ |
মহাকাশ্যপ |
প্রথম বৌদ্ধ সঙ্গীতী |
দ্বাদশ অঙ্গ |
জৈন ধর্ম |
হীন-যান মহাযান |
বৌদ্ধ ধর্ম |
৩.১ মগধ ও বৃজ্জি মহাজনপদ দুটির মধ্যে কি কি পার্থক্য তোমার চোখে পড়ে?
উঃ
মগধ জনপদ |
বৃজি জনপদ |
মগধ একটি রাজতান্ত্রিক মহাজন পদ |
বৃজি একটি অরাজতান্ত্রিক মহাজন পদ |
একজন রাজার অধীনে থাকার কারনে এখানে শাসন ব্যবস্থা ও পরিবেশ খুবই শান্ত ও মনোরম ছিল |
বৃজিতে কয়েকটি উপজাতির হাতে শাসন ক্ষমতা ভাগ করা ছিল |
৩.২ কী কারনে মগধ শেষ পর্যন্ত বাকি জনপদ্গুলির থেকে শক্তিশালী হল? সেই কারণ গুলির মধ্যে কোনটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ?
উঃ ষোলোটি মহাজনপদের মধ্যে মগধ সব থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যা হল-
১ মগধ ছিল পাহাড় ও নদী দিয়ে ঘেরা একটি রাজ্য যার ফলে বাইরের শত্রুরা সহজে এই রাজ্য আক্রমন করতে সক্ষম ছিল না।
২ এই রাজ্যে প্রচুর লোহা ও তামার খনি ছিল ফলে মগধের রাজাদের অস্ত্র শস্ত্রের কোন অভাব হত না।
৩ মগধের ঘন বনে প্রচুর হাতি পাওয়া যেত যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত।
৪ গঙ্গা নদীর পলিমাটি মগধের ভুমিকে উর্বর করে তুলেছিল, ফলে মগধ কৃষি কাজে যথেষ্ট উন্নত ছিল।
৫ জল পথে ও স্থলপথে মগধের বাণিজ্য চলত।
আমার মতে পাহাড় ও নদী বেষ্টিত হওয়ার কারনেই মগধ বাইরের আক্রমণের থেকে সুরক্ষিত ছিল, তাই মগধ সকলের থেকে উন্নত হয়ে উঠেছিল।
৩.৩ সমাজের কোন কোন অংশের মানুষ নব্য ধর্ম আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন? কেন করেছিলেন?
উঃ সমাজে প্রচলিত সাধারণ্নিয়ম কানুনের থেকে মানুষের বিশ্বাস ক্রমশ উঠে যেতে থাকে।সমাজের লোকজন আর গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে চাইছিলেন না। ধর্মের নামে যাগযজ্ঞ ও আড়ম্বড় অনুষ্ঠান বেড়ে গেছিল। ব্রামণ ধর্মে সুদ নেওয়া নিষেধ ছিল। তাই বণিকরা তা ত্যাগ করতে চায়, ক্ষত্রিয়রা নিজেদের ব্রামণদের থেকে শক্তিশালী বলে দাবি করতে থাকে। এই ভাবে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ ব্রামণ্য ধর্মের পরিবর্তে নতুন ধর্মের খোঁজ করতে থাকে।
৩৪ জৈন ধর্মে ও বৌদ্ধ ধর্মে কি কি মিল ও অমিল তোমার চোখে পড়ে?
উঃ জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের মিল গুলি হলঃ
উভয় ধর্ম উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল।
উভয় ধর্মই বেদ মান্য করে।
উভয় ধর্ম কথ্য সহজ সরল ভাষার মধ্যে দিয়ে নিজেদের ধর্ম প্রচার করতে সফল হয়েছিল।
দুটি ধর্মেই রাজার অনুকূল্যতা লাভ করেছিল।
উভয় ধর্ম অহিংসতায় বিশ্বাসী ছিল।
উভয় ধর্মই ব্রামন্য ধর্মের আচার অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল।
জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের অমিল গুলি হলঃ
জৈন ধর্ম |
বৌদ্ধ ধর্ম |
জৈন ধর্ম শুধু মাত্র ভারতবর্ষের মধ্যেই তার বিস্তার লাভ করেছিল। |
বৌদ্ধ ধর্ম শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয় আশেপাশের দেশগুলির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। |
জৈন ধর্মে দিগাম্বর ও শ্বেতাম্বর নামে দুটি ভাগ ছিল। |
বৌদ্ধ ধর্মে হীনযান ও মহাযান নামে দুটি ভাগ ছিল। |
জৈন ধর্মে সংঘের কোন স্থান ছিল না। |
বৌদ্ধ ধর্মে সংঘের স্থান ছিল। |