Saturday, October 12, 2024
HomeClassesClass 9Model Activity Task 2021 September Model Activity Task Part – 6 |...

Model Activity Task 2021 September Model Activity Task Part – 6 | Class- 9 | Bengali (Second Language) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | সেপ্টেম্বর নবম শ্রেণী| বাংলা ( দ্বিতীয় ভাষা ) | পার্ট -৬

Model Activity Task 2021 September

Model Activity Task Part – 6 | Class- 9 | Bengali

(Second Language)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | সেপ্টেম্বর

নবম শ্রেণী| বাংলা ( দ্বিতীয় ভাষা ) | পার্ট

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ:

. আমার এই দেশেতেই জন্ম যেন এই দেশেতেই মরি

ধনধান্যে পুষ্পে ভরাকবিতায় কবি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন কেন?

উঃ ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা যে গানটি আমরা গেয়ে থাকি, সেটি আসলে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের “শাহজাহান” নাটকের অংশ । গানটিতে দেশ মাতৃকার প্রতি অটুট ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়েছে। সব দেশের থেকে সর্বাঙ্গীন সুন্দর হল কবির বাংলা মা। বাংলার আকাশে চাঁদ, সুর্য তারার সমারোহ, মেঘের লুকোচুরি অনবদ্য, তুলনাহীন।পাখির কাকলি ঘুম ভাঙ্গায় আর রাত নামায়, বাংলার বুক চিরে বয়ে যায় সরস নদী, পাহারা দেয় বিশালাকার পাহাড়। এই  স্নেহের নীড়ের প্রতি তিব্র ভালোবাসাতেই কবি প্রার্থনা জানিয়েছেন যে তিনি যেন বাংলার বুকেই মৃত্যু বরণ করেন। আসলে প্রবল দেশাত্মবোধ জাগ্রত কবি বাংলার মায়ের সুফলা সুজলা ভাণ্ডারের সৌন্দর্যে  আপ্লূত।

.অধ্যয়ন জ্ঞানলাভরচনা অনুসরণেপাঠাগারসম্পর্কে লেখকের অভিমত ব্যক্ত করো।

উঃ ‘অধ্যয়ন ও জ্ঞানলাভ’ রচনার লেখক প্রফুল্ল চন্দ্র রায় জানিয়েছেন যে এই দেশে ছাত্রদের অধ্যয়নের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকে ন। ছাত্রদের মেসের হট্টগোলের মধ্যে সরস্বতীর আরাধনা চালিয়ে যেতে হয়। এমনকি বিত্তবান ব্যক্তিগণ ও বাড়িতে ছাত্রদের পড়াশোনার জন্য কোন আদর্শ স্থান প্রদান করেন না। এই প্রসঙ্গেই পাঠাগারের কথা উত্থাপিত হয়েছে। লেখকের মতে পাঠাগার হল ছাত্রের একাগ্র মনে অধ্যয়ন ও সাধনা করার স্থান। পাঠাগারকে ঠাকুর ঘরের মতো পবিত্র স্থান দিতে হবে তাহলেই বিঘ্ন ছাড়াই পড়ুয়া তার অধ্যয়ন তপস্যায় মগ্ন হতে পারবে।

.ডাকটিকিটকবিতায় ডাকটিকিটের বিপুল ঐশ্বর্য বৈচিত্র্য কীভাবে প্রতিভাসিত হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করো।

উঃ কবি  সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তার রচিত ‘ ডাকটিকিট’ কবিতায় ডাকটিকিটের বিপুল ঐশ্বর্য ও বৈচিত্র্য সহজ সরল কাব্যিক ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। পুরনো ছেড়া ডাকটিকিট স্পর্শ করাও কবির কাছে পৃথিবী জয়ের সমতুল্য। যুক্তরাজ্য, চিলি , পেরু প্রভৃতি  দেশের নানা ডাকটিকিটে অঙ্কিত চিত্র সমুহ সেই দেশের ঐতিয্যকে প্রকাশ করে।যুগ্ম হস্তী, সিংহ, পদ্ম, সূৰ্য্যমুখী, ফিনিক্স, নিশান,ময়ুর, হরিণ, অৰ্দ্ধচন্দ্র, মুকুট, বিষাণ যেন ক্ষুদ্রাকার চিত্রের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি, বিশ্বাস,প্রীতি বিনিময় ইত্যাদি ভাব মমতার সঙ্গে ডাকটিকিটে ফুটে ওঠে। তাই সেই ক্ষুদ্রাকৃতি ডাকটিকিটগুলি কবির কাছে আশ্চর্য্য সম্পদের সমতুল্য, সেই ডাকটিকিট স্পর্শ করে কবি পৃথিবী পরিক্রমার ন্যায় আনন্দ লাভ করেন।

.তবে আয় ভাই।‘ – কে, কাকে এই আহ্বান জানিয়েছে? আহ্বানে সাড়া দিয়ে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কোন্‌ অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছিল?

উঃ উদ্ধৃতাংশটি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের রচিত শ্রীকান্ত উপন্যাস থেকে গৃহিত, এখানে অসমসাহসী ইন্দ্রনাথ শ্রীকান্তকে তার ডিঙিতে চড়ে মাছ ধরতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তার ডাকে সাড়া দিয়ে শ্রীকান্ত অন্ধকার রাতে ভয়ঙ্কর বাগান পেরিয়ে গঙ্গার পাড়ে এসে উপস্থিত হয়।ইন্দ্রের কথা মতো সে খাড়া কাঁকড়ের পাড়ের উপর দিয়ে ভয়ে ঢিপ ঢিপ করা বুকে সরু দড়ি বেয়ে উচ্ছল গঙ্গার বুকে দোলায়মান ডিঙিতে এসে চড়ে। তারপর শুরু হয় তাদের অভিযান। বর্ষার খরস্রোতা গঙ্গার মধ্যে দিয়ে বালির পাড় ভাঙ্গার শব্দ শুনতে শুনতে, কালো দুর্ভেদ্য অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে তারা এগিয়ে চলল জেলেদের পাড়ার এক সরু খাদের দিকে।সেই সময় কথা প্রসঙ্গে মাছ চুরির সময় পালাবার যে পথ সে বাতলেছে তা শুনে শ্রীকান্ত ভয়ে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেছে।জেলেদের  পাহারা অগ্রাহ্য করে বড় বড় রুই- কাতলা চুরি করে প্রায় ধরা পড়ে যায় তারা, এবং তাদের জীবন সংশয় হয়ে পড়ে।তখন বুনো শুয়োর, সাপের কামড় সব তাছিল্য করে জল কাদা ঠেলে , ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে ডিঙ্গি ঠেলে ইন্দ্র তাদের উদ্ধার কার্যে নামে। এই সঙ্কট মুহুর্তেও কিন্তু ইন্দ্রনাথ একবারও শ্রীকান্তকে ডিঙি থেকে নেমে যেতে বলেনি, তার এই মহানুভবতার, চরম নীর্ভিকতার সাক্ষী হয়েছিল শ্রীকান্ত।

. নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

. মৌলিক শব্দ বলতে কী বোঝ?

উ: যেসব শব্দকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না এবং যার সঙ্গে কোনো প্রত্যয়, বিভক্তি বা উপসর্গ যুক্ত থাকে না, তাদের মৌলিক শব্দ বলে।

উদাহরণ: মা, বাবা, গোলাপ, বই, হাত, আকাশ ইত্যাদি।

. নবগঠিত শব্দকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী?

উ: নবগঠিত শব্দকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলোর মধ্যে কিছু হলো অবিমিশ্র শব্দ যেমন অনিকেত, অতিরেক ইত্যাদি। আবার কিছু শব্দ ভিন্ন-ভিন্ন ভাষার উপাদানের সংযোগে গঠিত। এগুলোকে মিশ্র শব্দ বা সঙ্কর শব্দ বলে। যেমন : হেড [ ইং ] + পণ্ডিত [ বাং] = হেডপণ্ডিত। হেড + মৌলবী [ আরবী] = হেডমৌলবী। ফি [ ফারসী ] + বছর [ বাংলা ] ফি-বছর।

. তদ্ভব শব্দের দুটি উদাহরণ দাও।

উ: তদ্ভব শব্দকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায়। নিজস্ব ও কৃতঋণ তদ্ভব। যেসব তদ্ভব শব্দ যথার্থই বৈদিক বা সংস্কৃতের নিজস্ব শব্দের পরিবর্তনের ফলে এসেছে সেগুলোকে নিজস্ব তদ্ভব শব্দ বলা হয়। 

যেমন -ইন্দ্রাগার > ইন্দাআর > ইন্দারা,   উপাধ্যায় > উবজঝাঅ > ওঝা ইত্যাদি।

 আর যেসব শব্দ প্রথমে বৈদিক বা সংস্কৃত ভাষায় ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের অন্য ভাষা থেকে বা ইন্দো-ইউরোপীয় ছাড়া অন্য বংশের ভাষা কৃতঋণ শব্দ হিসাবে এসেছিল এবং পরে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে সেসব শব্দকে কৃতঋণ তদ্ভব বা বিদেশী তদ্ভব শব্দ বলা হয়। 

 যেমন গ্রীক দ্রাখমে > দ্রম্য >  দম্ম > দাম।

.দেশি শব্দকেঅজ্ঞাতমূল শব্দবলা হয় কেন?

উ: দেশি শব্দ দেশের প্রাচীনতর আদিবাসী দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই শব্দের মূল পাওয়া যায় না বলে একে অজ্ঞাতমূল শব্দ বলা হয়।

. তুর্কি এবং ওলন্দাজ শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় গৃহীত হয়েছে এমন দুটি করে শব্দের উদাহরণ দাও।

উ: তুর্কি – দারোগা,মুচলেকা,বারুদ ওলন্দাজ-তুরুপ, হরতন, রুইতুন

. তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ লেখো।

উ: চুরুট, চেট্টি, পিলে ইত্যাদি

. নির্দেশ অনুযায়ী মিশ্র বা সংকর শব্দ তৈরি কর 

উ:

ইংরেজি + বাংলা  স্কুলঘর/হেড + কেরানি = হেড কেরানি
পোর্তুগিজ + হিন্দি  পাউ+রুটি=পাউরুটি
তৎসম শব্দ ধূপ+দানি = ধূপদানি

 

. ইংরেজি থেকে অনুবাদের মাধ্যমে বাংলায় গৃহীত হয়েছে এমন দুটি শব্দ উল্লেখ কর।

উ: Wrist Watch = হাত ঘড়ি, News paper = সংবাদ পত্র

. যোগরূঢ় শব্দের দুটি উদাহরণ দাও।

উ: রাজপুত, বিনাপানি

.১০ গুণবাচক বিশেষ্যযোগে একটি বাক্য রচনা কর।

উ: সততা – ছেলেটির সততা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।

.১১ ক্রিয়াবিশেষণের দুটি গঠনরীতি নির্দেশ কর।

  • উ: বিভক্তিহীন শব্দযোগেঃভাবজ্ঞাপক – সে অবশ্য আসবে। সময়জ্ঞাপক – ক্রমাগতভুল করো না। স্থানবাচক – হেথা আর এসো না।
  • বিভক্তি যোগেঃসুখে থাকতে চাই। পরিস্থিতি চরমে উঠেছে।

.১২ কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে কোন্ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়?

উ: সামীপ্যবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন – ইনি উনি, এটা সেটা, এই ওই ইত্যাদি।

.১৩ একটি তৎসম অব্যয় এবং একটি খাঁটি বাংলা অব্যয়ের উদাহরণ দাও।

উ: তৎসম অব্যয় -যদি যথা/হঠাৎ খাঁটি বাংলা অব্যয়- আচ্ছা/আবার/তবু

.১৪ ধাতুর গঠন অনুযায়ী ক্রিয়াপদ কত ধরনের হয়ে থাকে?

উ: চার প্রকার I) মৌলিক ক্রিয়াপদ II) সাধিত ক্রিয়াপদ III) যৌগিক ক্রিয়াপদ IV) সংযােগমূলক ক্রিয়াপদ

Click Here To Download  The Pdf

RELATED POSTS

4 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!